যতনে রাখিলাম যাতনা পর্ব ৩৪
মম সাহা
বাড়িতে পিনপতন নীরবতা আবারও। চাপা উদ্বেগ চারপাশটায়। বাহার ভাই বনফুলকে নিয়ে বেরিয়ে গিয়েছেন। ড্রয়িং রুমে নেই নুরুল সওদাগর। চিৎকার চ্যাঁচামেচি করে চলে গিয়েছেন নিজের ঘরে।
চিত্রার চারপাশে বসে আছে বোনেরা। চিত্রার মন খারাপ ভীষণ। বাবার চিৎকার চ্যাঁচামেচিতে সে রাগতে গিয়েও রাগতে পারেনি। বাবা কি একেবারেই ভুল? মোটেও নন। তাছাড়া বাহার ভাই দ্বিতীয় বার ফিরে আসার পর তো সে নিজেও প্রথমে মানতে পারেনি। বাবা কীভাবে মানবেন?
“মন খারাপ করিস কেন, চিতাবাঘ? প্রেমে একটু বাঁধা না এলে এডভেঞ্চার হয় নাকি? ছেলে-মেয়েকে তখন কী গল্প বলবো?”
চাঁদনী আপুর কথায় চিত্রার মন ভার কমে গেলো। মুচকি হেসে বলল, “এখন তো এতই এডভেঞ্চার হচ্ছে যে, গল্প সারাজীবন বলেও শেষ হবে না।”
“জীবনে একটু কঠিন কিছু না হলে মজা আছে কি? কিন্তু আমাদের চিতাবাঘ সেইসব কাঠিন্যতা কাটিয়ে উঠতে পারবে।”
চিত্রা দীর্ঘশ্বাস ফেলল। মাথা নাড়ালো। যার অর্থ সে পারবে। বাহিরে শিরশির করা বাতাস বয়ে গেলো। দুশ্চিন্তার ঘুরপাক চললো ভাবনা জুড়ে।
আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন
বারান্দায় দাঁড়িয়ে সিগারেট ফুঁকছেন আমজাদ সওদাগর। চোখ সামনের দিকে। কিছু একটা ভাবছেন তা দেখেই বুঝা যাচ্ছে। কিন্তু ভাবছেনটা কী? তার জীবনের ভাবাভাবির সকল বিষয়ই তো সমাপ্ত হয়ে গিয়েছে। বহু বছর আগ থেকে উনি আর ভাবেন না। কাকে নিয়ে ভাববেন? যাকে ভালোবাসতো সে তো চলে গিয়েছে নতুন পথের ডাকে। এরপর যারা তার জীবনে ছিলো তাদের তিনি রেখেছিলেন বড়োই অবহেলায়। যাদের থাকলেও হয়, না থাকলেও হয়। তাদের নিয়ে আবার ভাবনা কীসের?
কিন্তু আজ বহু বছর পর তার বোধোদয় হলো। যে চলে গিয়েছে তার কথা ভেবে, যারা থেকে গিয়েছিল তাদের কতই না হেলায় ফেলেছেন। অথচ যত্নে রাখা উচিত ছিলো এই মানুষদের। ক’জনই বা হেলার পরেও থেকে যায়? অবনী থেকেছিলেন। থেকেছিলো মেয়ে- অহি। কিন্তু সবশেষে তিনি কী দিয়েছেন ওদের?
“আমজাদ, তোমার সাথে কথা ছিলো।” অবনী বেগমের নিবিড় অনুমতি। দূরে দাঁড়িয়ে আছেন। ঘরের দরজায়। বারান্দায় দরজায় অব্দি আসার কথা ভাবেননি।
আমজাদ সওদাগর বারান্দায় দাঁড়িয়েই অনুমতি দিলেন, “আসো। আমি বারান্দায়।”
অবনী বেগম ধীরেই এলেন। তার হাঁটাচলা বরাবরই ধীর। কিন্তু এই ধীর আগমনই আবার পোক্ত হয়ে আঁকড়ে ধরে হৃদয় জমিন।
“আমজাদ, আমি ভেবেছি বহু বছর পর তোমাকে একটু মুক্তি দিবো।”
আমজাদ সওদাগর কিঞ্চিৎ চমকে উঠলেন। মুক্তি দিবেন মানে? এই জীবনে মুক্তি কি এতই সহজ? আর মুক্তি কাকেই বা বলে? কই, আমজাদ সওদাগর এতদিনও তো বুঝলেন না মুক্তির সংজ্ঞা। এক বিছানায় শুয়ে অবনীকে কখনো বুকে জড়িয়ে ধরেননি বন্দী হওয়ার ভয়ে। অথচ হাঁসফাঁস করে গিয়েছেন চিরজীবন। শান্তি পাননি। কই, বন্দী না হয়েও তো মুক্তিতে তার অশান্তি জেগেছিলো বুকে।
“মুক্তি? কীসের মুক্তি, অবু?”
অবনী হাসলেন। আমজাদের প্রশ্নে, কথায়, ভাব-ভঙ্গিতে আজকাল তার হাসি পায়। মানুষটা কী চায়, কী বলে কিছুই বুঝে উঠতে পারেন না।
“তুমি যেই মুক্তি চাও। সওদাগর বাড়িতে আমি আর থাকবো না। বড়ো ভাইজানের সাথে কথা হয়েছে। চেরিকে নিয়ে আমি আলাদা বাসায় থাকবো।”
“আলাদা বাসায়? আলাদা বাসা কোথায় পাবে? কেনই বা আলাদা বাসায় যাওয়ার কথা উঠছে? তোমায় তো বলিনি কিছু?”
“বলোনি কিন্তু আচরণে বুঝেছিলাম বহু বছর আগ থেকেই। যাইনি তবুও। আমাকে তো আনা হয়েছিলো অহির জন্য। এক মায়ের চলে যাওয়াটাই মেয়েটার জন্য শোকের ছিলো। সেই শোককে আরও গভীর করে আমি চলে যেতে পারিনি। আজ সেই অহি আরেকটু ছোটো শিশুর মা হয়েছে। যে অহির মতনই মা হারা। অহির সংসার হয়েছে। অবনীকে মা বলে ডেকেছে। আমার সব চাওয়া তো পূর্ণই হয়েছে। আর থেকে কী কাজ? আর থাকার মতন সুতো এই বাড়িতে আমার যে নেই, আমজাদ!”
আমজাদ সওদাগরের মাথায় যেন সাত আসমান ভেঙে পড়লো। কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে তাকিয়ে রইলেন। কথা হাতড়ে বেড়ালেন। বহুক্ষণ ভেবে বললেন,
“অহিই কি কেবল সুতো, অবু? ভাইজানরা, ভাবিরা, চাঁদনী, চিত্রা, তুহিন ওরা কি তোমার জন্য কিছু নয়? ওরা কি তোমাকে এই বয়সে এসে ছেড়ে থাকতে পারবে? কেমন বোকা বোকা কথা! এসবের এখন কী দরকার?”
অবনী আবারও হাসলেন। বললেন, “দরকার আছে, আমজাদ। এ বাড়িতে আমার সাথে সবচেয়ে বড়ো সম্পর্কটি তোমার ছিলো। যা কখনো সুতোর বাঁধনে আটকায়নি। তাহলে আর আমার থেকে যাওয়ার কোন প্রয়োজন? শেষ বয়সে হোক, তাও অন্তত আমি এই ভেবেই বাঁচি যে, আমাকে যে ভালোবাসে না, সেই আমজাদের সাথে আর এক বিছানায় আমি ঘুমুবো না। সংসার করছি বলেও সংসারহীনতায় ভুগবো না। এই মুক্তির দরকার আছে, আমজাদ। নয়তো চিরজীবন আত্মসম্মানহীন মনে হবে নিজেকে।”
আমজাদ সওদাগর চুপ করে থাকলেন। জোর করার ভাষা তার নেই। আকুতি করতে ভুলে গেছেন বহু বছর আগেই। আটকাবেন কী দিয়ে? দীর্ঘশ্বাস দিয়ে কি আর মানুষ আটকানো যায়?
বৃষ্টির মৌসুম নয়। ঝকঝকে আকাশ। শাহবাগের ফুলের দোকানগুলোতে বরাবরের মতনই ভিড় উপচে পড়া। মানুষের শোরগোল, হাঁক-ডাকে ব্যস্ত রাস্তা। টুইংকেল সবকিছু দেখছে বিস্ময় নিয়ে। কখনো সুযোগ হলে ছবি তুলে নিচ্ছে। বাংলাদেশ তার হয়তো এরপর আর আসা হবে না। এ-ই প্রথম, এ-ই শেষ। তাই স্মৃতি জমিয়ে দিচ্ছে ডিজিটাল মুঠোফোনে। কখনো-সখনো দমবন্ধ হলে না-হয় মন ভালোর বাক্স খুলে বসা যাবে। বহুক্ষণ তাকিয়ে থেকে চোখ জুড়ানো যাবে!
ফুলের দোকানের ছবি তুলতে তুলতে টুইংকেলের চোখ জোড়া আটকে গেলো একটি দৃশ্যে। একজন পুরুষ বেশ দরদাম করে ফুলের মালা কিনছেন। ঘামে ভিজে আছে লোকটির দেহ। কপালে লেপ্টে আছে অযত্নের চুল। মুখটি দেখলে বোঝার উপায় নেই হাসছেন কি-না। কিন্তু টুইংকেল খেয়াল করলো একটি তৃপ্ত হাসি মানুষটির ঠোঁটের কোণে। সিগারেটের ধোঁয়া উড়াচ্ছেন অনবরত। একদম আদর্শ বখাটে ছেলেদের মতন। অভ্যস্ত ভঙ্গিতে। টুইংকেল কালবিলম্ব না ভেবেই একটি ছবি তুলে নিলো। তার আজকের দিনটির সবচেয়ে সুন্দরতম ছবিটি।
এরপর ফোনটি ব্যাগে রেখেই এগিয়ে গেলো মানুষটার কাছে। ততক্ষণে পুরুষটির ফুল কেনাও শেষ। টুইংকেল পেছন থেকে প্রাণবন্ত কণ্ঠে বললো,
“ফুল কিনছেন? কার জন্য?”
বাহার ভাই আচমকা মেয়েলি কণ্ঠে হয়তো খানিক ভড়কালেন। বুঝা গেলো না ঠিক। টুইংকেলকে দেখেই ঠোঁটের সিগারেটটা ফেলে দিলেন মাটিতে। পা দিয়ে পিষে নিভিয়ে ফেললেন ছোটো আগুনের ফুলকিটি।
সামান্য একটা ঘটনা। অথচ টুইংকেলের কাছে ঘটনাটি এত ভালো লাগলো যে আনমনেই ঠোঁটে হাসি ছুঁয়ে গেলো। তার মনে হলো, লোকটা সম্মান দেখানোতে সবচেয়ে নিখুঁত। চাইলেই ওর সামনে তিনি সিগারেটটা ফুঁকতে পারতেন। কিন্তু তিনি এটা করেননি। এই ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বিষয়গুলো সব পুরুষ ঠিকঠাক পালনও করতে পারেন না। একমাত্র যার ভেতর ভদ্রততার খুঁটি আছে সেই পারে।
“মিস টুইংকেল! এখানে যে?”
মিনিটের ভেতরই নিজেকে আপাদমস্তক স্বাভাবিক করে ফেলেছেন মানুষটা। যেন টুইংকেলের৷ এখানে থাকা বেশ স্বাভাবিক।
টুইংকেল সামান্য হেসে উত্তর দিল, “একটু ঘুরতে-ফিরতে বের হলাম। বাংলাদেশ এসে ঢাকাটা না দেখা হলে আফসোস থাকবে যে!”
“তা, বেশ তো। কোথায় কোথায় ঘুরলেন?”
“তেমন তো কিছু চেনা নেই আমার। হাঁটতে হাঁটতে যতটুকু চিনি।”
“রমনা গিয়েছেন?”
“না তো। কোথায় সেটা? নাম শুনেছি বহুবার।”
“এইতো একটু হাঁটলেই সামনে পাবেন।”
টুইংকেল খানিক ভেবে বলল, “আপনার যদি সমস্যা না হয়, আপনি নিয়ে যাবেন কি?”
মেয়েটির সহজ-সরল প্রস্তাবটি বাহার ভাই একবার ফিরিয়ে দিতে চাইলেন। পরক্ষণেই মনে হলো, এত দূরদেশ থেকে মেয়েটি এসেছে তো এইসব দেখতেই। তাকে ফিরিয়ে দিলে কেমনই বা দেখা যায়!
বাহার ভাই রাজি হলেন। টুইংকেলকে নিয়ে হাঁটতে আরম্ভ করলেন। হাঁটতে হাঁটতে গিয়ে পৌঁছালেন রমনা। পথের কৃষ্ণচূড়া গাছ থেকে শুরু করে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, সবকিছুর সাথেই পরিচয় করিয়ে দিলেন।
টুইংকেল মুগ্ধ চোখে সবটা শুনলো, দেখলো। বেশি উপভোগ্য কিছু মনে হলে ছবি তুলে ফেললো।
হাঁটতে হাঁটতে গিয়ে দাঁড়ালো রমনার ভেতর কাঠের ব্রীজটির সামনে। চারপাশে ঘেরে রাখা সবুজ গাছপালার মাঝখানে কাঠের ব্রীজটিকে এক টুকরো স্বর্গ মনে হলো। লোকজন থাকলেও এখানে কোলাহল নেই। সবটাই নিশ্চুপ, শান্ত। মাথার উপর হরেক রঙের পাখি ডাকছে কয়েক।
টুইংকেল এত বেশিই ঘোরে পড়ে গেলো যে চারপাশটা চোখ ভরে দেখতে লাগলো। বাহার ভাই হাসলেন তা দেখে। মেয়েটি থাকে সুইজারল্যান্ড। সুইজারল্যান্ডে রমনার চেয়েও যে সুন্দর জায়গা আছে তা বলতে নথিপত্রের প্রয়োজন নেই। তবুও মেয়েটি কতই না ভালোবেসে এই সবটা দেখছে! একটু খালি জায়গা পেতেই বাহার ভাই বসলেন। সতেজ ঘাসের উপর।
টুইংকেল আশ্চর্য হলো, “এখানে বসে পড়লেন যে! কোনো পোকাতে যদি কামড়ে দেয়?”
“কামড়াবে না। পোকাও জানে এই রক্ত মাংসের শরীরটি দেশীয় লোকের।”
ঠাট্টা করেই বললেন বাহার ভাই।
টুইংকেল চতুর বেশ। ধরতে পারলো ঠাট্টাটি। তাই সে-ও বসে পড়লো সাথেই কিছুটা দূরত্ব রেখে। চারপাশটায় চোখ ঘুরিয়ে দেখতে দেখতে বল,
“এত সুন্দর জায়গায় নিয়ে আসার জন্য ধন্যবাদ।”
“সুইজারল্যান্ডে এত সুন্দর জায়গা নেই বুঝি?”
টুইংকেল ভাবনায় পড়লো। পার্থক্য করতে পারলো। ফলাফলও বের করতে পারলো না যে আদতেই এরচেয়ে সুন্দর জায়গা আছে কি-না।
বাহার ভাই চাওয়ালো মামাকে ডাকলেন। টুইংকেলকে জিজ্ঞেস করলেন,
“মিস, চা?”
টুইংকেল মাথা নাড়ালো। দুই কাপ চা নিয়ে টাকা দিয়ে বিদেয় করলেন চাওয়ালাকে।
টুইংকেল কিছুটা তাজ্জব বনে বলল, “দুই কাপ চায়ের দাম পঞ্চাশ টাকা?”
“ না তো। কিন্তু উনার পরিশ্রমের দামের এক অংশ দেওয়ার চেষ্টা করলাম। এত কষ্ট করে, আপনার আমার মতন ভ্রমণকারীদের জন্য ভ্রমণ উপভোগ্য করতেই তো উনি সর্বোচ্চ চেষ্টা করেন। তাকে একটু সাহায্য তো করাই যায়, তাই না?”
টুইংকেল বিমুগ্ধ হলো। এই মানুষটার ভেতর কিছু একটা আছে। নয়তো এত সাদা চামড়ার, সুন্দর পুরুষ জীবনে দেখার পরও এই পুড়ে যাওয়া শ্যামলাটে, জীর্ণদেহই কেন তাকে এত টানবে? কেনই বা চাপদাড়ির, কোঁকড়া চুলের মুখটি তার মনে এত মায়া তৈরি করবে?
“বললেন না তো, সুইজারল্যান্ডে এত সুন্দর জায়গা আছে কি-না?”
টুইংকেল চায়ে ফু দিলো। কাঠের ব্রীজটির দিকে তাকিয়ে থেকে বলল, “বুঝতে পারছি না। আছে হয়তো। কিন্তু এই জায়গার মতন মায়া নেই।”
মেয়েটার বিভ্রান্ত জবাবে আবারও মুচকি হাসলেন লোকটা চায়ে চুমুক দিয়ে, অন্য দিকে তাকিয়ে বললেন,
“সুইজারল্যান্ডে অবশ্যই এরচেয়ে সুন্দর জায়গা আছে। এত বিভ্রান্ত হওয়ার কিছুই নেই। আপনি তো বলেছেন আপনার আব্বু বাংলাদেশী। যেহেতু তিনি এই দেশের তাই নিশ্চয় আপনার ছোটোবেলার গল্পে তিনি বলেছে তার বাংলার সৌন্দর্যের কথা। যা শৈশব থেকে আপনার বড়ো হওয়ার গতিতে আটকে গিয়েছে সূত্রের মতন। আপনি তার ভাষায় শুনে শুনে কল্পনা করে নিয়েছেন, এই দেশটিকে। ভেবেছেন, কতই না মায়াময় হবে। তাই আপনার শাহবাগের ভিড় থেকে শুরু করে রমনার গাছ, সবগুলোই মুগ্ধকর দৃশ্য লাগছে। এটা আসলে মন ও মস্তিষ্কের কাজ। মন আর মস্তিষ্ক আগে থেকেই যে জেনে বসে আছে- বাংলাদেশ সুন্দর! তাই সবকিছুতে আপনার মুগ্ধতা কাজ করছে।”
যতনে রাখিলাম যাতনা পর্ব ৩৩
টুইংকেল হা করে শুনলো সবটাই। ঠিকই তো বলছেন মানুষটা। ছোটো থেকেই এই দেশ সম্পর্কে এত শুনেছে যে সে মনপ্রাণে এটা বিশ্বাস করে যে এই দেশটি সুন্দর। পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দরতম দেশ।
চা ঠান্ডা হয়ে আসে কিন্তু বাহার ভাইয়ের সাথে কথা বলার আগ্রহ টুইংকেলের কমার বদলে বেড়ে বেড়ে উঠছে আরও। সে কথা হাতড়ে বেড়ায় অজুহাতে। অতঃপর শুধায়,
“ফুল কিনে ছিলেন দেখলাম। কার জন্য কিনলেন?”
বাহার ভাই নিতান্তই গা-ছাড়া গোছে জবাব দিলেন, “আমার ফুলের জন্য। জানেন নিশ্চয়? আমার ফুলটির নাম- চিত্রা।”