যাতনা আমার পর্ব ৫
সানজিদা ইসলাম সূচনা
শহরের বেশ সুনামধন্য একটা রেস্তোরাঁয় আমেরিকান ক্লায়েন্টের সাথে মিটিং আছে নাভানের। ক্লায়েন্ট ইতিমধ্যে এখানে উপস্থিত কিন্তু দেখা নাই নাভানের। নাভানের পার্সোনাল এসিস্ট্যান্ট সাফরান আহমেদ। কখন থেকেই নাভানকে লাগাতার কল দিয়েই চলেছে। কিন্তু, নাভান ফোন রিসিভ করছে না। সময়ের আগে চলা নাভান শাহরিয়ারের মিটিংয়ে লেট? ভাবতেই অবাক লাগছে সাফরানের। প্রায় পাঁচ মিনিট পর হন্তদন্ত হয়ে রেস্তোরায় আসে নাভান। পার্সোনাল বড় কেবিন বুক করা আছে সেখানে। ১২ নাম্বার কেবিনের দরজার পাশেই সাফরান দাঁড়িয়ে ওয়েট করছিল। আজকে ফর্মাল ড্রেসে নেই নাভান। পড়নে ব্লাক টিশার্ট ব্লাক প্যান্ট এন্ড ব্লাক হুডি। সাফরান অনেক বিস্ময় হলো। অফিসিয়াল কাজে সবসময় নাভান ফর্মাল ড্রেসেই আসে। তার স্যারের মাথা ঠিক আছে তো?
-” গুনে গুনে বিশ মিনিট লেট স্যার! ঠিক আছেন আপনি? ”
-” ইয়াহ্! সবাই এসে গেছে? ”
-” জি স্যার ”
-” ওকে, লেটস্ গেট স্টার্টেড। ”
সন্ধ্যার মিটিং শেষে ক্লায়েন্টের সাথে ডিনার করে বাড়ি ফিরবে নাভান।
কেবিন নাম্বার ২৫, নাভানদের অপজিট পাশের কেবিন সেটা। ছোট গ্লাসে রেড ওয়াইন ঢালছে লিও। মুখ তার কুঁচকে আছে অনেকটা। মাথা কিছুটা ঝাড়া দিয়ে এক টুকরো বরফ মুখে ঢোকায় সে। হাতের ওয়াইনের বোতলটা শব্দ করে টেবিলে রাখে লিও। গ্লাসের ওয়াইন এক চুমুকে শেষ করে বোতলে মুখ লাগিয়ে ডগ ডগ করে খেয়ে শেষ করে সেটা। এতক্ষণ তাকে চুপচাপ পরক্ষ করছিল জিসা।ছেলেটা দিনকে দিন প্রচুর পাগলাটে হয়ে যাচ্ছে। লিও ততক্ষণে আরেকটা বোতলে হাত দিতেই সেটা সড়িয়ে দেয় জিসা। চোখমুখ শক্ত করে সে,
আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন
-” আর কতো গিলবি? পরে তো বাড়ি যাওয়ার শক্তি পাবিনা। ”
ঠোঁট ছড়িয়ে হাসল লিও,
-” এইরকম আরও দুটো খেলেও আমি ফিট থাকব। দেখাই খেয়ে? ”
-” দরকার নেই স্যার। আমাকে খেয়ে দেখাতে হবেনা আপনার। ”
তন্মধ্যে কেবিনে ঢুকলো অদিতি। মলিন
চেহারা উসকোখুসকো চুল। সবসময়ের মতো আবেদনময়ী হাসিটা ঠোটে নাই। পড়নে হাঁটু অবধি স্কাট স্টপ। ক্লান্ত ভঙ্গিতে এসে বসে পড়ে জিসার পাশে। লিও আর জিসা অদিতির দিকে তাকিয়ে আছে। এইরকম বিধ্বস্ত অবস্থায় অদিতিকে দেখে জিসা হকচকিয়ে গেল,
-” অদিতি কি হাল করেছিস তোর? কোনো প্রবলেম হয়েছে? ”
-” নাভান! নাভান আমার সমস্যা। ও আমাকে নিজের লাইফে চায় না। আমাকে এভোয়েড করছে সে। ”
বিচলিত গলায় বলে ওঠে অদিতি। জিসা মাছি তাড়ানোর মত বলে উঠল,
-” এটাতো হবারই ছিল! কারণ সে কয়েকমাস ধরেই তোর প্রতি উদাসীন ছিল। বাদ দে ব্যাপার না। ”
-” বাদ দিবো? কিভাবে? আমি সিরিয়াস রিলেশনে ছিলাম। তুই বুঝতে পারছিস না অবস্থা? ”
-” কি বুঝবো বল তো? নাভানের গার্লফ্রেন্ড তো বছর ঘুরতেই বদলাতে থাকে, এই আর নতুন কি? কিন্তু তোর সাথের সম্পর্কটা নিয়ে আমরা ভেবেছিলাম নাভানও তোর মতো সিরিয়াস। এমনটাই মনে হতো সবার। কারন তোর সাথেই তার লং টাইম রিলেশন ছিল। বুঝলামনা কি হলো হঠাৎ।”
-” আমিও বুঝতে পারছি না। ”
-” রিভেঞ্জ অভ ন্যাচার। মেনে নে সব এটা কোনো বিষয় হলো? ”
এতক্ষণ চুপ করেছিল লিও। কথাটা বলেই অদিতির দিকে বাঁকা চোখে তাকায় সে। অদিতি লিওর দিকে তাকিয়ে বিরক্তি নিয়ে বলে,
-“কি বলতে চাইছিস? মেনে নেবো? এত সহজ না সব কিছু মেনে নেওয়া। আমি এর শেষ দেখে ছাড়বো ”
-” সহজ অদি! প্রেগন্যান্ট হওয়ার পরও যদি। এবোর্শন করিয়ে বয়ফ্রেন্ড কে জাস্ট ফ্রেন্ড বানানো হয়, তাহলে এটা আবার এমন কি। ”
কথাটা শুনে রক্তিম চোখে লিওর দিকে তাকালো অদিতি। লিও শান্ত চোখে তার দিকে তাকিয়ে আছে। অদিতি বিরক্ত স্বরে জিসা কে বলে,
-” আমি আসছি জিসা। কাল ক্যাম্পাসে দেখা হবে।”
বলেই বেড়িয়ে যায় অদিতি। লিও বাঁকা হেঁসে আবার ওয়াইনের বোতলে হাত দেয়। জিসা অবাক হয়ে লিও কে জিজ্ঞেস করে,
-” কি হয়েছে বলতো? ”
লিও তার ফোন বের করে জিসার হাতে দেয়। জিসা দেখতে পায়। লিও নাভানকে কিছু ভিডিও ক্লিপ আর ডাক্তারের দেওয়া প্রেগ্ন্যাসির রিপোর্টের ছবি নাভান কে সেন্ড করেছে আরও চার মাস আগেই। ছবি আর রিপোর্ট দেখে বিচলিত হয়নি জিসা। কারণ, এইসব তার তিনবছর আগেই দেখা। যখন অদিতি লিওর সাথে ব্রেকআপ করেছিল। সব দেখে মন খারাপ করে জিসা বলে উঠে,
-” এইসব করে কি হবে বল? যা হারিয়েছে তা আর পাওয়া যাবে না। ”
-” মামনি আসব?”
সোহানা আর নাহিদ মির্জা বসে, কিছু একটা বিষয় নিয়ে কথা বলছিলেন। ইনায়ার ডাক শুনতেই তাকে রুমে আসতে বলে সোহানা। ইনায়া রুমে ঢুকতেই সোহানা তাকে নিয়ে বসিয়ে দিলেন। সামনে রাখলেন অনেকগুলো শপিং ব্যাগ। তিনি ইনায়ার পাশে বসে পরলেন। একে একে বের করলেন অনেকগুলো চুড়িদার।
-” এগুলো গায়ে জড়িয়ে দেখিস তো মা। সবগুলোই তোর জন্য এনেছি। খুব মানাবে তোকে। আরও একটা জিনিস আছে। ”
বলেই পাশ থেকে অ্যাপল ব্র্যান্ডের একটা ল্যাপটপ এনে ইনায়ার হাতে ধরিয়ে দিলেন তিনি। ইনায়া তাকাতেই হাসলেন তিনি।
-” কবে থেকেই কিনব ভাবছিলাম। আজকে তোর বাবাই আর আমি গিয়ে নিয়ে এলাম।
-” এটা দিয়ে কি করবো আমি?”
-” দরকার পরবে। আজকাল এটা ছাড়া চলে?
-” আমার চাই না। কিছু কথা বলব তোমাকে। ”
ইনায়ার কথা শুনে তার দিকে গভীর দৃষ্টিপাত করেন সোহানা। এতক্ষণ ফোনে নজর রাখা নাহিদ মির্জাও ইনায়ার দিকে তাকালেন। ইনায়ার মুখটা অনেক শান্ত হয়ে আছে। সে সোহানার হাত ধরে মাথা নত করে বলল,
-” মামুনি আমি জানি তুমি আমাকে অনেক ভালবাসো। নিজের মেয়ের মতনই দেখো। আমাকে স্বাভাবিক করতে, সবকিছু ভুলে যেতে তুমি অনেক ভাবেই চেষ্টা করছো। কিন্তু আমার জীবনের এই দুঁঃখ, কষ্ট, বেদনা আমি কতো টুকু মুছতে পারব, তা নিজেই জানি না।
তুমি যদি এখন জিজ্ঞেস করো, কোনো পারব না? তাহলে বলব, আমি মরুভূমির প্রখর রোদের তপ্ত,আগুনে পোড়া বালি মাটি নই যে ইচ্ছে মতো পানি ঢাললেও ভিজবে না তার শোষণ ক্ষমতা অনেক। আমি এক রক্তে-মাংসে গড়া মানুষ আমারও কষ্ট হয়। নিজেকে সামলাতে অনেক রকম ভাবেই আমি চেষ্টা করছি। কিন্তু কোথাও গিয়েও আমি যেন এক ব্যর্থ মানবী। কখনও কখনও আমি এই জায়গায় হেরে যাই, আমি কেনো অন্য সব মেয়েদের মতো স্বামী সংসার করব না? আমার স্বামী কেনো আমাকে ভালোবাসবে না? নিজের ভাগ্য নামের দূর্ভাগ্য কে মানতে পারিনা কিছুতেই। আমি কি সত্যিই এসব ডিজার্ভ করি? হয়তোবা করি। ”
এযাবৎ থামল ইনায়া। বড় করে নিঃশ্বাস ফেলে সে। সোহানা আর নাহিদ মির্জা নিশ্চুপ, চোখ তাদের ইনায়ার দিকে। ইনায়া ধাতস্থ করলো নিজেকে।
-” বাবা-মা দুজনের মৃত্যুর পর মানসিক ভাবে অনেক ক্ষতি গ্রস্থ ছিলাম আমি। একটা ট্রমার ভেতর ছিলাম। বাবা-মা নেই মানতেই পারিনি তখন। এর একমাসের ভিতর আবার নাভানের দেওয়া বেদনা, সব মিলিয়ে বিধ্বস্ত হয়ে উঠেছিলাম প্রায়। তখন এমনো সময় গেছে তোমাদের অজান্তেই নিজেকে শেষ করতে চেয়েছিলাম।
বলেই থামল ইনায়া। সোহানা আৎকে উঠলেন প্রায় নাহিদ মির্জারও একই অবস্থা। যদি কিছু করে ফেলত ইনায়া? মৃত্যুর পর কি জবাব দিতেন তিনি ইনায়ার বাবা-মার কাছে। ধ্যান ভাঙলো ইনায়ার কথাশুনে,
-” কেনো করিনি জানো? মৃত্যুর পরের জীবনের কথা ভেবে। নিজের জীবন দিয়েতো আমি মৃত্যুর পরে সুখে থাকতে পারব না। হবো জাহান্নামি! এর চেয়ে ভালো দুঃখ-কষ্ট গুলো আমার ভেতরে নিয়েই বাঁচব। আমি নিজেকে গুছিয়ে নেবো ভেবেছি। কিন্তু এই বাড়িতে থাকলে আমি সেটা পারব না। ক্ষনে ক্ষনে মনে হবে আমি এই বাড়ির কে? কিসের পরিচয়ে আছি এখানে? নাভানের কথা মনে করে আমার কষ্ট বেশি হবে। তিন কবুল বলে তাকে আমি স্বামী হিসেবে গ্রহণ করেছি। উনার প্রতি আমার আক্রোশ রাগ প্রচুর পরিমাণের থাকলেও ভালবাসাটা আমি মনের গহীনে লুকায়িত রাখব। সেটা শুধু আমার নিজেরই মনে অজান্তে থাকুক।
কেউ না জানুক সেটা। নাভান নিশ্চয়ই বাড়িতে ফিরে আসবে। তোমরা এখন তার প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করলও একদিন ঠিকই মেনে নেবে। কারণ সে তোমাদের একমাত্র ছেলে। তখন আমি আর উনি কি করে নিজেদের ফেস করবো? আমাকে বাড়ি যাবার ব্যবস্থা করে দাও। আমি পুরান ঢাকায় ফিরে যাবো। নিজেকে ঠিক মানিয়ে নেব, আমি এখানে থাকলে সেটা পারবো না। প্লিজ মামনি মেনে নাও আমার কথা। ”
সোহানা নিশ্চুপ হয়ে রইল। আজকে নিজেকে বেশিই দোষী মনে হচ্ছে তার। এমন না করলেও তো পারতেন। এমনিতেই তপ্ত রোদের শুঁকানো শুকনো কাঠ, তিনি সেটা জলন্ত আগুনে দিয়েছেন। সেটা তো জ্বলবেই। এতকিছুর পরও সোহানা ইনায়া কে পুরান ঢাকায় যেতে দেবে না। ইনায়া ওখানে গিয়ে কি করে একা একা থাকতে পারবে। বাবা-মায়ের স্মৃতি তার চোখে ভাসতে থাকবে সর্বক্ষণ। যতই বলুক একা চলতে পারবে, মেনে নিতে পারবে কিন্তু বলা আর করে দেখানো অনেক তফাৎ। বাস্তবতা কনেক কঠিন। সদ্য ডিম ফুটা মুরগীর ছানাকে যেমন করে মা মুরগী আগলিয়ে রাখে তেমনই ভাবে ইনায়া কে আঠারো বছর পর্যন্ত মানুষ করেছে তার বাবা-মা। সে কি করে বুঝবে বাইরের দুনিয়াটা কি?
সেখানে নিজের স্বার্থ বুজে সবাই। এমন পৃথিবীতে ইনায়া কে একা ছাড়বেন না তিনি।
সোহানা বিচলিত অনেকটা তারপরও নিরুত্তর। ইনায়া তাকিয়ে আছে তার দিকে উত্তরের আশায়। নাহিদ মির্জা ভাবলেন কিছুক্ষন। আসলেই ইনায়ার কথাগুলো সঠিক। কিন্তু ইনায়া কে একা ছাড়াটা কতটা নিরাপদ হবে? তিনি অত্যন্ত শান্ত হয়ে বলল,
-” ইনায়া তোমার কথার যুক্তি আছে। এমন হুট করে সিদ্ধান্ত নিয়ে, তোমাকে চলে যেতে দেওয়াটা কতটা ভালো হবে? তারউপর তোমার ফুপু আনিলা আর তার হাসব্যান্ড কয়েকমাস আগে বাংলাদেশে এসেছিল। তুমি জেনে থাকবে ইনায়া, তোমার বাবা ব্যবসার খাতিরে আনিলার থেকে অনেক টাকা ধার নিয়েছিলেন। আনিলা ধার দেওয়া টাকাসহ পৈতৃকসম্পত্তির অধিকারে তোমাদের পুরো বাড়িটা নিজের নামে করার দাবি জানিয়েছে। আমি বিষয়টা তোমাকে তখন জানাইনি। কিছু দিন পর তারা বাড়িটা দখলে নিতে আসবেন। এমতাবস্থায় কি করে তোমাকে যেতে দেই? ”
ইনায়া নিরাশ হলো প্রচুর। শেষমেশ ভিটেমাটি ও ছাড়তে হবে। এখন কই যাব সে? মাথা গোঁজার ঠাঁই কই? সবদিক অন্ধকার যেন৷ চকিতে মাথা তুলে বলল,” মামার ওখানে দিয়ে এসো। ওখানেই থাকব ”
নাহিদ মির্জা চাপা হাসলো, মেয়েটির বাড়িটা ছাড়তে কত তাড়া?
-” জানি, বাবা-মায়ের প্রনয়নের সম্পর্ক ছিল। নানা তাদের মেনে নেননি। আমি কয়েকবার গিয়েছি সে বাড়ি। শেষ বার মামাকে বাবা-মায়ের মৃত্যুর দিন দেখেছিলাম। আমি গেলে নিশ্চয়ই আমাকে ফেলে দিবেন না। ”
নাহিদ মির্জা গম্ভীর মুখে বলে ওঠে,
-” তারা তোমার কোনো খবর নেয়নি ইনায়া। তুমি চিন্তা করো না আমি তোমার বিষয়টা মাথায় রেখে হোস্টেল বা অন্য ব্যবস্থা করবো।”
-” কি ব্যবস্থা করবে তুমি? আমি ইনায়া কে কিছুতেই একলা ছাড়ব না। ”
সোহানার কথায় বিরক্ত হয়ে গেলেন নাহিদ মির্জা। ইনায়া অবাক হলো। সোহানা মির্জা কঠিন স্বরে বলল,
-” তুমি ঘরে যাও ইনায়া,আমি তোমার বিষয় ভেবে দেখব। ”
ইনায়া গুটিগুটি পায়ে ঘর থেকে বেড়িয়ে ছাদে গেল। যেভাবেই হোক তাঁকে বাড়ি থেকে বেড়িয়ে যেতে হবে।
-” কি চাও তুমি সোহানা ? সবকিছু কেনো ঠিক হতে দিচ্ছ না? এই ভাবে চললে নাভান আর ইনায়ার জীবনের কিছুই ঠিক হবে না। ”
ইনায়া যেতেই নাহিদ মির্জা সোহান কে জিজ্ঞেস করলেন। রাগ হচ্ছে সে সোহানার প্রতি। এইভাবে জীবন চলতে পারে?
-” ইনায়ার কিছুই হবে না। তার জীবন আমি সুন্দর ভাবে সাজিয়ে দিব। কিন্তু তোমার ছেলের টা আমার জানা নেই। সে নিজেই তার জীবন নরক বানিয়ে রেখেছে। আমি তাও নাভানের জীবন ঠিক করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু সে হতে দিল কই? বারো পাত্রে মুখ দেওয়া যার অভ্যাস। ”
যাতনা আমার পর্ব ৪
সোহানা রাগান্বিত হয়ে বলে উঠলো প্রায়। নাহিদ মির্জা ক্রোধিত নয়নে তাকাল স্ত্রীয়ের প্রতি। কন্ঠে আক্রোশ ডেলে বলে ওঠে,
-“তার জন্য তুমি দায়ী সোহানা। আর সাথে আমিও যে ছেলেকে সঠিকভাবে গড়ে তুলতে পারিনি। ”