রাগে অনুরাগে তুই আমার গল্পের লিংক || আশু

রাগে অনুরাগে তুই আমার পর্ব ১
আশু

বিয়ের বাড়ি থেকে টেনে হিঁচড়ে ইশাকে নিয়ে যাচ্ছে ইয়াসির। শাড়ি সামলে মেয়েটা হাঁটতে হিমসিম খাচ্ছে তবে সেদিকে ইয়াসিরের বিন্দু পরিমাণ ও ভ্রুক্ষেপ নেই। ইশাকে হেঁচকা টানে গাড়িতে বসিয়ে নিজেও ইশার পাশে বসে। ইশা বার বার বলছে,,”ইয়াসির ভাইয়া কি হয়েছে?এমন করছো কেন?”
ইয়াসির কাঠকাঠ করে জবাব দেয়,,”তোকে কৈফিয়ত দিতে বাধ্য নয় আমি!!”

ইশা থেমে যায়। ইশা জানে মানুষটা হুটহাট রাগে না নিশ্চয়ই কারণ আছে আর সেই কারণটাও সে হারে হারে জানে।
চৌধুরী ভিলার গেইটে গাড়ি থামা মাত্র আবারও ইয়াসির ইশাকে টানতে টানতে ভেতরে নিয়ে এসে ঠাস করে ইশার গাল এক থাপ্পড় বসিয়ে বলে,,”তোর কি লজ্জা নেই নাকি? বাড়ির মানসম্মান খেতে উঠেবসে লেগেছিস কেন?”
ইশা ঠায় দাঁড়িয়ে ইয়াসিরের দিকে তাকিয়ে,ইয়াসিরও প্রচন্ড রেগে তার রক্তবর্ণ চোখ দিয়ে ইশার দিকে তাকিয়ে।
ইশা অস্ফুটস্বরে কিছু বলতে যাবে তার আগেই ইয়াসির ইশারর গাল চেপে ধরে বলে,,,”শাড়ী পড়ে বিয়ে বাড়িতে নাচানাচি করা নিশ্চয়ই সম্মানের ব্যাপার না!!!” তারউপর বাড়ির একমাত্র মেয়ে বলে,,সবার আদরে আহ্লাদী হয়ে নিশ্চয়ই বাড়ির অসম্মান করা তোর উচিত না!!”

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

“কথা বল,কথা বলছিস না কেন?”
ইশা ইয়াসিররের হাত থেকে ছুটার প্রয়াস চালাচ্ছে। ততক্ষণে চোখের জল বেয়ে ইয়াসিরের হাত পর্যন্ত পৌঁছে গেছে।
ইয়াসির ইশাকে ছেড়ে বলে,,,,”একদম কান্না করবি না আর একফোঁটা জল বের হলে একদম জ্যান্ত পুঁতে ফেলব ইশা খবরদার।
ইশা ঢোক গিলে এবার হিঁচকি তুলছে। আর বার বার হাত দিয়ে চোখের পানি আটকানোর প্রয়াস চালাচ্ছে।
ইয়াসির আবারও কটাক্ষ করে বলতে লাগে,,,,”ছোটমাকে ফোন দিচ্ছি, কীভাবে ম্যানেজ করবি তোর ব্যাপার, তবে ঐখানে গিয়ে বাড়ির মানসম্মান ডুবাতে আর যেতে দিচ্ছি না।”
ইয়াসির ফোন দেওয়ার সাথে সাথে ইশার মা ফোন রিসিভ করে বলে,,বাবা কই তুই? কখন আসবি?
ইয়াসির ইশাকে, ইশারা করতেই ইশা তীরতীর করে কেঁপে উঠে বলে,,”মা, মা আমি ইশা”
ইশার মা আলেয়া বেগম বলেন,,,,”তুই কোথায় আর ইয়াসির?
ইশা কাঁপতে কাঁপতে বলে,,,,”মা আমার অসস্তি লাগছিল, বিয়ের বাড়ির পরিবেশ ঠিক ছিল না তাই ভাইয়ার সাথে এসে পড়েছি।”

“আমাকে বলতে পারতি। এত সিকিউরিটি থাকা সত্ত্বেও খারাপ পরিবেশ কোথায়?”
“মা আমার খারাপও লাগছিল ইয়াসির ভাইয়াকে দেখা মাত্রই চলে এসেছি।”
“ইয়াসির কোথায়?”
ইশার থেকে ফোন নিয়ে ইয়াসির বলে,,,”হ্যাঁ ছোটমা বলো!!”
“আচ্ছা ইশা যখন গিয়েছে থাক। তুই এসে পড়। বাসায় তো খালা আছেই।”
“না ছোটমা আমার কাজ আছে আর তোমারা চিন্তা করো না।”
“তুই থাকতে চিন্তা করব কেন বাবা? সাবধানে থাকিস আর ইশাকে দেখে রাখিস।”
“আচ্ছা ছোটমা”

কথা শেষ করে ইয়াসির ধুমধাম করে ইশাকে ইগনোর করে বেরিয়ে যায়।
ইয়াসির যাবার পরই ইশা একটা ভেঙচি কেটে বলে,,,”বেডা বারুদভাই।”
এলাকায় সুনাম রচিত চৌধুরী ভিলায় দুই ভাইয়ের পরিবারসহ বাস। বড় ভাই ইলহাম চৌধুরী আর ছোট ভাই ইশান চৌধুরী তাদের একটা বোন আছে ইয়াসমিন।
বছর পাঁচেক আগে তাদের বাবা ইহতিসাম চৌধুরী মারা যান।তাদের মা সোহানা বেগম আছেন।
ইলহাম চৌধুরীর স্ত্রী সায়রা বেগম আর তাদের দুই ছেলে বড় ছেলে ‘ইয়াসির চৌধুরী’
ছোট ছেলে ‘ইযান চৌধুরী ‘

ইশান চৌধুরীর স্ত্রী আলেয়া বেগম তাদের বড় ছেলে ‘আয়ান চৌধুরী’ আর মেয়ে ‘ইশারা চৌধুরী ইশা।’
____ইয়াসির পড়াশোনা শেষ করে রাজনীতিতে অনেক আগেই এন্ট্রি নিয়েছে বয়স বত্রিশের কৌটায় চলে গিয়েছে। সুদর্শন পুরুষ হওয়ার পাশাপাশি মিশুক স্বভাবের তবে রাগ স্বল্প সময়ে আসার জন্য একটু ভয়ংকর হয়েই আসে। ___
_____ইযান এমবিবিএস তৃতীয় বর্ষে।ফিউচার ডক্টর সে।_____
______এদিকে আয়ান বাড়ির ব্যবসায় বাবা জেঠুদের সাথে উঠাবসা। সুদর্শন এই মানবটি প্রচন্ড মেজাজী একটা মানুষ, এদিক টু ওদিক হলেই তার মেজাজ সপ্তম আকাশে।___
বাড়ির একমাত্র মেয়ে ইশা সবাই ইশু বলে সম্বোধন করে। যার কাজ হুটহাট কান্না করে সব কেড়ে নেওয়া। ইমোশনালি ব্ল্যাকমেইল তার প্রধান কাজ। ইশা সবেমাত্র কলেজ গন্ডি পেরিয়েছে এবার অর্নাসে ভর্তি হওয়া তাগিদে আছে।একমাত্র মেয়ে হওয়ায় সবার আদুরেও বটে।

এই তো সেদিন ইশার ফুফুর মেয়ে বিয়ে উপলক্ষ্যে সবাই চলে যায়। গায়ে হলুদে সবার জোড়াজুড়িতে ইশা ডান্সে জয়েন করে। যা ইয়াসির জানমাত্র টেনে হিঁচড়ে বেচারীকে নিয়ে আসে। আয়ান থাকলেও এতটা সাহস পেত না। আয়ান ব্যবসার কাজে সূদূর সিঙ্গাপুরে গিয়েছে।
ইযান মেডিকেলে পড়াশোনা করায় সেখানেই থাকা পরে। বাসায় মাসে দু’একবারের বেশি তাকে দেখা যায় না।
এদিকে ইয়াসির বাসায় থাকলেও তার দেখা পাওয়া দুষ্কর। রাজনীতি নিয়ে বাসায় ঝামেলা চললেও এখন সবাই মেনে নিয়েছে ইয়াসিরকে।

____রাত বারোটা শাওয়ার নিয়ে নাচতে নাচতে নিচে নামছে ইশা। প্রচন্ড খিদে পেয়েছে বেচারী খেতেও পারেনি তার বারুদভাইয়ের জ্বালায়।
ইশা নামমাত্র কলিং বেলের আওয়াজ পড়ে। ইশা দরজা খুলতে সামনে আয়ানকে দেখে বলে,,”ভাইয়া!!”
আয়ান ক্লান্ত থাকায় বিরক্ত হয়ে বলে,,”সরবি নাকি বাইরেই থাকবো?”
ইশা সরে দাড়িয়ে আয়ানের পিছু পিছু হাঁটতে হাঁটতে বলে,,”ভাই আমার চকোলেট দাও, আমার মেকআপ, আমার জুয়েলারি, আমার পারফিউম, আমার,,,
“বইন চুপ কর তোহ্!! সব আনছি আমি। ফ্রেস হয়ে আসছি খিদে পেয়েছে”।
ইশা আয়ানকে মাথা নাচিয়ে ইশারায় বলে ঠিক আছে।
খাবার টেবিলে আয়ানের একপাশে ইয়াসির আরেকপাশে ইশা। তিনজন মিলে খাওয়া দাওয়া করছিল। তারা দুভাই রাজনীতি আর ব্যাবসার টপিক নিয়ে কথা বলছি। ইয়াসির আয়ানের থেকে দুবছরের বড়। তবে তাদের সম্পর্ক ভাই কম বন্ধু বেশি। তাই তুই তুকারি করেই কথা হয়। আর ইযান ইন্ট্রোভার্ট টাইপের হলেও তিনভাইয়ের মিলমিশ অনেক গভীর।

ইশা বিরক্তিতে ওদের কথা শুনছিল। আয়ান বলে,,,”ভাবছি সিঙ্গাপুরে বাঞ্চ খুলবো টাকার পরিমাণ বড়সড় তা মানিয়ে নেওয়া যাবে তবে বিজনেসে ড্রপ যদি খায় সেই চিন্তাই আছি।”
ইয়াসির খেতে খেতে বলে,,”রিস্ক ছাড়া কিছু সম্ভব না আমি আছি তুই খুল। আর, তোর আমার বাপকে রাজি করানো দায়িত্ব আমার।”
আয়ান স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে বলে,,”ঠিকআছে তাই করিস।”আচ্ছা তোর দিন কেমন চলছে এখন?”
ইয়াসির বলে,,”এই তো যাচ্ছে বয়স বাড়ছে না নির্বাচনে দাঁড়াতে পারছি না।”
আয়ান ঝটপট বলে,,,” সার্টিফিকেটে বাড়িয়ে নে বয়স।”
“তোর কি মনে হয় চেষ্টা করিনি আমি!!”
আয়ান বলে,,”আমার লোক আছে আগে তোহ্ বলিস নি দাঁড়াবি। কালকে যা বলবো আমার অফিসে নিয়ে আসিস দেখছি আমি।”

ইয়াসির মাথা নাড়ায়।
ইশা খেয়ে চলে যেতে নিলে। আয়ান বলে,,”দাঁড়া ইশু তোর গিফটগুলো নিয়ে যা।”
ইশু যেতে গিয়েও গিফটের কথা শুনে আবার ঢেংঢেং করে চলে আসে। এরপর একটার পর একটা ইশা দেখছে আর বলছে,,”সেই ভাই সেই।” ইয়াসির নিশ্চুপ দর্শক হয়ে সব অবলোকন করছে।
আয়ান বলে,,,,”ইয়াসির আমার রুমে আছে তুই যা যা বলেছিস। সব আছে। নিজের রুমে যাওয়ার সময় নিয়ে যাস।”
ইয়াসির মাথা নাড়িয়ে উঠে চলে যায়।
ইশা আয়ানের দিক তাকিয়ে বলে,,,,”ইয়াসির ভাইয়ার জন্য কি এনেছো?”
আয়ান উঠতে উঠতে বলে,,”তোর টা পেয়েছিস এবার যা ঘুমা আরেকজনের বিষয় নিয়ে মাথা ঘামাতে হবে না।”
ইশা চোখ মুখ খিঁচে বিরবির করে বলে,,,”এটাও একটা বারুদের ভাই অজগর আলী একটু কিছু হলেই ফোস ফোস করা আলী”।

আয়ান আবারও ধমকে বলে,,”দাঁড়িয়ে কেন কালকে ভার্সিটিতে যাবি না নাকি। নবীনবরণ না কালকে?? ”
ইশা মাথায় নাড়ায়। ইশার পড়ার ব্যাপারে আয়ান স্ট্রিক সবসময়। তবে আদরও কম না। এই যে বোন এতগুলো অর্ডার দিয়ে দিয়েছে। সব নিয়ে এসেছে।
সকাল সকাল মাথায় হিজাব পেঁচিয়ে কোনোমতে নাস্তা খেয়ে হুমড়ি খেয়ে দৌড়াচ্ছে ইশা। একটু আগে ইশার বান্ধবী রুমি ফোন দিয়েছে রাস্তায় দাঁড়িয়ে আছে বিশমিনিট সাথে কয়েকটা গালিও ফ্রি দিয়ে বলেছে,,,,পাঁচমিনিটে না আসলে খবর বানিয়ে ফেলবে।

এদিকে বেচারী ইশা ঘুমের তোপে নাজেহাল। তাই লেইট লতিফের মা উপাধি দিয়ে রেখেছে রুমি।
ইশা যেতেই রুমি বলে,,”তোর সাতমিনিট লেগেছে ইশুর বাচ্চা”
ইশা হাঁপাতে হাঁপাতে বলে,,”এই শেয়ালের মতো খেক খেক করবি না বলে দিলাম তর জন্য আমার জান প্রানের ঘুম ত্যাগ করেছি পুঁটি মাছের বাচ্চা।”
“এই থাম জঙলের শাঁকচুন্নি, হাঁক ছাড়ে তেরো রত্তি হাহ্”
দুইবান্ধবী সারারাস্তা একে অপরকে গালি দিয়ে ভার্সিটিতে পৌঁছায়। প্রায় দু’ঘন্টা পর ইশার কাছে ইয়াসিরের মেসেজ আসে। সে এদিকে আসছে একসাথে বাসায় যাবে। ইশা একটা লাইক দিয়ে ফোন ব্যাগে রেখে সামনে সিনিয়রের বক্তব্যে ধ্যানজ্ঞান লাগায়।

দুপুর একটা বাজে সব কার্যক্রম শেষ করে ভার্সিটির গেইট পার হতেই কিছু সিনিয়রের অশ্লীল কথাবার্তার সম্মুখীন হয় ইশা আর রুমি।ইশা তো কান্নাই করে দেয় কখনো এমন বিচ্ছিরি কথা শুনে নি। ইশাকে শান্ত্বনা দিচ্ছে রুমি। তারা বাহিরে আসতেই চোখ যায় ইয়াসির দিকে যে ইশার দিকে ভ্রুকুচকে তাকিয়ে।ইশা সামনে যেতেই ইয়াসির বলে,,” কি হয়েছে তোর?”
ইশার কান্না আরো বেড়ে। বেচারি কান্না জন্য ইয়াসিরের কোমড়ে হাত দিয়ে আঁকড়ে নিজের মাথা রেখে কান্না শুরু করে। ইয়াসির আশ্চর্য হয় ইশাকে এমনটা করতে দেখেছে বলে তার মনে পড়ে না। সে জানে ছিচকাদুনী মেয়ে হলেও ইশা এরকম জরিয়ে কান্নাকাটি খুব কমই করে যদি না ভয়াবাহ কিছু ঘটে। পাশ থেকে রুমি তারপর এক এক করে বলে,,”ভাইয়া গেইটে একটা বদমাইশ ছেলে বলছিল,,কি সুন্দর মাল রে একে পেলে একদম কাঁপাকাঁপিতে ডিগ্রি করে ফেলবো আরো বলেছে ভাইয়া বলতে পারছি না” বলে রুমি মাথা নিচু করে।
ইয়াসির ইশার হাত ধরে টেনে। আবার সেখানে গেলে ছেলেপুলে সব ইয়াসিরকে সালাম দিয়ে বলে,,”ভাই আপনি??”

ইয়াসির প্রচন্ড রেগে চিল্লিয়ে বলে,,”ওকে একটু আগে বাজে কথা কে বলেছিস তাড়াতাড়ি বল নয়ত সবগুলোকে জ্যান্ত মাটিচাপা দেব।”
ইয়াসিরকে রাগতে দেখে ছেলেগুলো দমে যায় ইশাও কেঁপে উঠে। একটু পর ইশা ইয়াসিরে হাত ধরে বলে,,,,”ভাইয়া চলো সিনক্রিয়েট করতে হবে না ”
ইয়াসির ভয়ংকর রেগে ইশাকে ধমকে বলে,,”ঐ তুই চুপ কর তোর কাছে শিখতে হবে আমি কি করব না করব?”
ইশার হাফভাব দেখে ইয়াসির ইশাকে গাড়িতে রেখে আবার চলে আসে। ইশা গাড়ির উইন্ডো দিয়ে দেখার চেষ্টা করলেও কিছু দেখতে পায় না কারণ গেইটের ভেতরে।

খানিকবাদে ইয়াসির গাড়িতে উঠে বলে,,”এখনো কান্না করছিস কেন?তোর কান্না দেখলে আমার মেজাজ আরো খারাপ হয়ে যায় এই বা*লের মেলোড্রামা আমার সামনে করবি না,,একদম বিরক্তিকর লাগে,, বা*লছা*ল একটা জিনিসি শিখছোত। জন্ম নেওয়ার পর থেকে যে কান্না শুরু করছোত আল্লাহ মালুম মনে হয় একটা দিনও তোর বাদ যায় নাই যে কান্না করোছ নাই। মাঝে মাঝে মন ডাই চাই তোরে একদম গলাটিপা বালির বস্তায় ভইরা রাখি কিন্তু ঐ যে ভুলেবালে আমার চাচার ঘরেই হইছত তাই বাঁচাইয়া রাখছি।

ইশা হিঁচকি তুলে তুলে সব কথা হজম করছে কারন এখন কথা বলা মানে সিংহের গুহায় আপনাআপনি গিয়ে বলা,,”আমাকে খান সিংহ ভাই,আমি আপনার
খাবার হয়ে এসেছি, আমাকে চিবিয়ে চিবিয়ে গিলে
ফেলুন সিংহভাই।”

রাগে অনুরাগে তুই আমার পর্ব ২