রাজনীতির রংমহল সিজন ২ পর্ব ৭৭

রাজনীতির রংমহল সিজন ২ পর্ব ৭৭
সিমরান মিমি

পরিস্থিতি তখন ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে।নিস্তব্ধ মধ্যরাতের ঘটা তুলকালাম কান্ডে বাড়ির বড়রা হাজির হয়েছে সোভামের কক্ষের সামনে।খলিলুর সরদার এখনো দুহাত দিয়ে ঝাপটে ধরে আছে পাভেলকে।আর্শি পাশে-ই স্বামীর হাত দুটো শক্ত করে ধরে সামলানোর চেষ্টা করছে।ইতোমধ্যে সোভামের সাথে হাতাহাতি হয়ে গেলেও সেটা মারামারি অবধি পৌছাতে পারে নি খলিলুর শিকদারের কারনে।তার পূর্বেই তিনি ক্ষুব্ধ পাভেলকে ছাড়িয়ে নেন।সোভাম আগের মতোই শান্ত দৃষ্টিতে দাঁড়িয়ে আছে।শরীরের প্রতিটা শিরা-উপশিরা দপদপ করে জ্বলছে রাগে।
তন্দ্রার ঘোর টা আলগা হতেই নড়েচড়ে উঠলো পরশ।কাত হয়ে স্পর্শীর দিকে হাত বাড়িয়ে জড়িয়ে ধরতেই চমকে উঠলো।

চোখ খুলে তাকাতেই দেখলো বিছানা শূন্য।রুমের দরজা একেবারে খোলা।বাইরের লাইটের আলো স্পষ্ট ভাবে আলোকিত করছে রুম।কিছুটা শব্দ ও ভেসে আসছে। চোখ জোড়া কুঁচকে থম মেরে বসে রইলো পরশ।মস্তিষ্ক হঠাৎ -ই এতোটা পরিবর্তন নিতে পারছে না।রাত যে কাঁটেনি সেটা বোঝাই যাচ্ছে।কিন্তু এই রাতে কেন লাইট জ্বালানো সারা বাড়ির?আর স্পর্শী ও বা কোথাও।এর-ইমধ্যে পাভেলের কন্ঠস্বর কানে আসতেই মস্তিষ্ক সজাগ হলো।দ্রুত বিছানা থেকে নেমে শার্ট গায়ে দিলো।এরপর হনহন করে বেরিয়ে গেলো রুম থেকে। সবার উপস্থিতি সোভামের রুমে।সেটা বুঝতে পারতেই এগিয়ে গেল সেদিকে।দরজার সামনে দাঁড়াতেই পাভেলের দিকে নজর গেল।ভাইকে দেখতেই গা ঝাড়া দিয়ে সকলের থেকে নিজেকে ছাঁড়িয়ে নিলো।এগিয়ে এলো দরজার দিকে।কন্ঠে তেজ এবং রাগ নিয়ে সবকিছু বলতেই পরশ সোভামের দিকে চাইলো।প্রেমার অস্তিত্ব এখনো তার পেছনেই।থরথর কাঁপছে আর হেঁচকি তুলছে।দেখে বোঝাই যাচ্ছে এতোক্ষণ কেঁদেছে সে।পাভেল আবারো ক্ষেপে উঠলো।বললো,

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

_”দেখ,বেহায়ার মতো শুয়ো/রের বাচ্চা এখনো পেছনে দাঁড়িয়ে আছে।আর ও বলছে -আমাদের থেকেও নাকি ওখানে সেফ মনে করে বলে দাঁড়িয়ে আছে।”
পরশ পুরো রুমটার দিকে চোখ বুলিয়ে নিলো।শামসুল সরদার থেকে শুরু করে বাড়ির প্রত্যেকটা সদস্য এমনকি তার বোনের পরিবারের লোক ও এখানে উপস্থিত।স্পর্শী রুমের এক কোনায় দাঁড়িয়ে নিরব ভঙ্গিতে বুকে হাত দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।সেদিকে একবার শান্ত দৃষ্টিতে তাকিয়ে প্রেমার দিকে চোখ দিলো।কোনোরকম উত্তেজিত না হয়ে থমথমে কন্ঠে গাম্ভীর্যের স্বরে বললো,
_”আমার সাথে আয়।”

সেই শান্ত কন্ঠের সাথে যেন কেঁপে উঠলো প্রেমা।কিন্তু দাঁড়িয়ে থাকতে আর পারলো না।গুটি গুটি পায়ে কেঁপে কেঁপে এগিয়ে গেল বড় ভাইয়ের পিছু পিছু।প্রতিটা কদম ফেলার পর পর চোখে অসহায়ত্ব নিয়ে তাকাচ্ছে সোভামের দিকে। স্পর্শী সম্পুর্ন টা লক্ষ করলো।পাভেল এই মুহুর্তে রেগে আছে ভীষণ। পরশ নিজেও যে স্বাভাবিক আছে সেটা সামনাসামনি দেখালেও বিশ্বাস হবে না স্পর্শীয়ার।দু-ভাই একসাথেই প্রেমাকে ডেকেছে।এই মুহুর্তে ভাই-বোনের ব্যাপার বলে একান্তে ছাড়লে,বিষয়টা মোটেই সুবিধার হবে না। বরং ঘটনা আরো পেঁচাবে।প্রেমার পিছু পিছু সেও এগিয়ে গেল।রুম থেকে বের হবার সময় কিছু একটা ভেবে আর্শিকে ইশারা করতেই সে নিজেও ছুটলো বোনের সাথে সাথে।দু-কদম বাইরে এগিয়ে থেমে পেছনে ফিরে বললো,
_”সবাই ঘুমুতে যাও।যা হওয়ার সকালে হবে।”

বর্তমান কক্ষ টা স্পর্শীয়ার। দরজা ভেতর থেকে লক করে রাখা।ভেতরে রয়েছে মোট পাঁচ জন ব্যক্তি এবং প্রত্যেকেই শিকদার বাড়ির সদস্য। পরশ গম্ভীরমুখে প্রেমার দিকে একদৃষ্টে তাকিয়ে আছে।তার অবস্থা এখন খাটের উপর।পাশেই পাভেল বসে ফুঁসছে।প্রেমা এখনো ট্রমার মধ্যে।রুমের এক কোনায় গুটিশুটি মেরে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ফোঁপাচ্ছে।পাশেই স্পর্শী দাঁড়িয়ে দেয়ালে হেলান দিয়ে।উদ্দেশ্য দু-ভাই এর মধ্যে কেউ মারার জন্য উদ্যত হওয়ার আগেই সে ঠেকাবে।রুমের বাম কোনায় সোফার উপর চিন্তিত চিত্তে বসে আছে আর্শি।তার দৃষ্টি বোনের দিকে। শুধুমাত্র একটা ইশারার জন্য বসে আছে নিরলস ভাবে।
_”সোভামের ঘরে কেন গিয়েছিলি?”

পরশ শান্তকন্ঠে প্রশ্ন করলো প্রেমাকে।কিন্তু এই গুরুগম্ভীর পুরুষালী স্বরটা যেন রুমের চারকোনায় ধাক্কা খেয়ে প্রতিধ্বনিত হয়ে বারংবার ভেতর থেকে নাঁড়িয়ে দিলো প্রেমাকে।ভয়ে ঠোঁট ভেঙে কেঁদে উঠলো আবার-ও।চোখ দুটো বন্ধ করে দাঁত-মুখ খিঁচিয়ে নিজেকে সামলালো পরশ।পুণরায় গম্ভীর গলায় বললো,
_”কান্না বন্ধ কর।এতো রাতে ওই রুমে কেন গেছিলি?কে ডেকেছিলো তোকে?সোভাম ডেকেছিলো?”
ভ্রুঁ কুঁচকে পরশের দিকে তাকালো স্পর্শী।অগোচরে মুখ বাঁকিয়ে আরেকদিকে তাকালো।প্রেমা এবারেও কোনো উত্তর না দিয়ে ফোঁপাতে লাগলো।আর ধৈর্য্য ধরে রাখতে পারলো না পাভেল।রাগ গিজগিজ করতে করতে এগিয়ে এলো প্রেমার দিকে।বাঁধা হলো স্পর্শী।প্রেমাকে নিজের পেছনে লুকিয়ে পাভেলকে বোঝানোর স্বরে বললো,

_”সাবধান!এর আগেও মেরেছো তুমি।আর এগোবে না।যা জিজ্ঞেস করার আমি করছি।”
_”তুমি এসবের মধ্য এসোনা।ঘটনা ঘটেছে অনেক আগে।আর তুমি আমাকে না বলে চুপচাপ রুম থেকে বেরিয়ে গিয়ে তামাশা দেখছিলে?”
ধমকের স্বরে কথাগুলো বলতেই স্পর্শী থেমে গেল।নিচু স্বরে বললো,
_”আপনি ঘুমাচ্ছিলেন।তাই ডাকিনি।।ভেবেছিলাম হুট করে ঘুম ভেঙেই এসব দেখে বেশি উত্তেজিত হয়ে যাবেন।বাড়ি ভর্তি মেহমান,আমি চাইনি কেউ এই বিষয় গুলো জানুক।কিন্তু এর মধ্যেই পাভেল ভাই মারামারি বাঁধিয়ে দিলেন।”
উত্তর দিলো না পরশ।এগিয়ে গেলো প্রেমার দিকে।বোঝানোর স্বরে বললো,
_”কি হয়েছে?আমায় বল।সোভাম কি কোনো ভয় দেখিয়েছে তোকে?নাকি ও তোকে ডেকেছে?কেন গেছিলি এই রাতে ওর রুম? আমাকে বল।”

ক্ষেপে গেল স্পর্শী। পরশ কে সামলানোর বদলে উলটো প্রেমাকে ধমকে বললো,
_”কি হলো বলছো না কেন?আমার ভাই তোমাকে ভয় দেখিয়েছে?নাকি ও তোমায় জোর করে নিজের রুমে নিয়ে গেছে।কোনটা?”
কেঁপে উঠলো প্রেমা।হেঁচকি তুলে আমতা-আমতা করে বললো,
_”না,উনি ডাকেন নি।ভয় ও দেখান নি।”
_”তাহলে কি তুই স্বেচ্ছায় গেছিলি ওর রুমে শুয়ো/রের বাচ্চা।তোর পায়ের প্রত্যেক টা শিরা কেঁটে পঙ্গু করে রাখবো আমি।”
_”আরে কি শুরু করলা তোমরা দু ভাই।একটু তো চুপ করবা।এভাবে জিজ্ঞেস করলে কি কখনো কিছু বলবে?বেচারি তো ভয়েই শেষ। ”
পাভেল ফুঁসে উঠলো। রাগে গিজগিজ করতে করতে বলল,
_”ও বেচারি?ওর কত্ত বড় সাহস!তোর পা লম্বা হয়ে গেছে না?বাড়িতে নিয়ে নিই।তোর পা ছাঁচবো আমি অসভ্যের বাচ্চা।”

স্পর্শী আর থামালো না।কিছু বললো ও না।সরাসরি দৃষ্টি দিলো আর্শির দিকে।চোখ দুটো বন্ধ করে সবার অগোচরে আলতো মাথা নোয়াতেই সোফা থেকে উঠে দাঁড়ালো আর্শি।সাথে সাথে-ই পেট চেপে ধরে চিৎকার করে বসে পড়লো ফ্লোরে।”
_”ও মাগো!!!আল্লাহ!আমাকে কেউ ধরো।”
চমকে পেছনে তাকালো পাভেল।স্পর্শী ছুটে গেলো দ্রুত।আর্শি পেট চেপে ধরে অনবরত চিৎকার করছে।পাভেল হতভম্ব হয়ে গেলো।এগিয়ে এসে আর্শিকে ধরতেই জড়িয়ে ধরে কান্না করতে লাগলো।বললো,
_”আমার খুব পেটে ব্যাথা হচ্ছে পাভেল ভাই।আমাকে…….আমাকে একটু রুমে নিয়ে চলুন না।”
স্পর্শী পাভেলের অপেক্ষা না করেই বোনকে টেনে দাঁড় করানোর চেষ্টা করলো।মুহুর্তে’ই চোখ -মুখ খিঁচিয়ে চিৎকার করে উঠলো আর্শি।বললো,

_”পারবো না।পারবো না।দাঁড়াতে পারবো না।পেটে চাপ পড়ছে ভীষণ। ”
দ্রুত গতিতে স্পর্শীকে ছাড়িয়ে দূরে সরিয়ে দিলো পাভেল।ধমকের সুরে বললো,
_”এভাবে ধরছো কেন?ও ব্যাথা পাচ্ছে না।তোমার সাহায্য লাগবে না।আমি নিচ্ছি ওকে।”
বলে আলগোছে কোলে তুলে নিয়ে রুম থেকে বেরিয়ে গেলো।স্পর্শীও আর দাঁড়ালো না।প্রেমার হাত ধরে টেনে নিজেও পাভেলের পিছু পিছু এলো।রুমের বাইরে প্রেমাকে দাঁড় করিয়ে ভেতরে ঢুকলো। এর-ই মধ্যে পাভেল দ্রুত পায়ে রুম থেকে বেরিয়ে নিচে নামলো।স্পর্শী অবাক হয়ে বললো,
_”ও কোথায় গেলো?”
আর্শি ঠোঁট টিপে হেসে ফিসফিস করে বললো,_”রান্নাঘর থেকে গরম পানির পট আনতে গেছে।”
_”ছিঁচকাদুনি কোথাকার?এত্তো চিৎকার করতে কে বলেছে?আমি নিজেই তো ঘাবড়ে গেছিলাম আদৌ সত্যি সত্যি ব্যথা হচ্ছে কি-না ভেবে।”

আর্শি কিছু বলার প্রয়াস করতেই পাভেল ঢুকলো ভেতরে।তাকে দেখতেই আর্শি কান্নারত কন্ঠে বললো,
_”আপু আজকের রাত টা একটু তুই আমার সাথে থাক না।আমার অনেক ব্যথা করছে।”
পাভেল পানি নিয়ে এগিয়ে এসে আর্শিকে ধরে বললো,
_”লাগবে না।আমি আছি তো।তাছাড়া খুব বেশি দরকার হলে ডেকে নিবো।ভয় পেয়ো না,আমি আছিতো।সকালে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাবো।একটু ঘুমানোর চেষ্টা করো।”
আর কথা বাড়ালো না স্পর্শী।রুম থেকে বেরিয়ে এলো চুপচাপ। এরপর প্রেমার হাত শক্ত করে টেনে আনলো অন্ধকারে।ধমকের সুরে বললো,
_”তোমাকে বাঁচাচ্ছি মানে এটা ভেবো না এইসব ফালতু কাজে সায় দিচ্ছি।তুমি নিজের সাথে সাথে আমার ভাইয়ের ও মানসম্মান ধুলোও মিশিয়েছো।এতো রাতে একটা প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষের রুমে একসাথে ধরা পড়েছো এর মানে জানো?এর মানে অসভ্যতা।শিক্ষা হলে আর দ্বিতীয়বার এই ভুল করবে না।আমার সাথে এসো।”
দুহাত দিয়ে মাথা চেপে নিচুমুখে খাটের উপর থম মেরে বসে আছে পরশ।স্পর্শী ভেতরে ঢুকতেই বললো,
_”প্রেমা কোথায়? ”

_”এবার তো ছাড়ো প্লিজ!মেয়েটা এমনিতেই ট্রমার মধ্যে আছে।তোমার কি মনে হয় এখন ওকে কোনো প্রশ্ন করলে ঠিকঠাক উত্তর দিবে।উলটো কাঁদবে আরো।তার থেকে বরং ও আজকের রাত টা নিজেকে সামলাক।সকালে গিয়ে আমি সবটা জেনে নেব।এখন ঘুমাক গিয়ে।”
পরশ শান্ত দৃষ্টিতে স্পর্শীর দিকে চাইলো।বললো,
_”ও এখানে ঘুমাবে।”
অবাক হলো স্পর্শী। বললো,
_”এখানে?
সায় জানালো পরশ।বললো,
_”হুম,তুমি ওকে নিয়ে খাটে ঘুমাও।
_”আর তুমি?”
দীর্ঘশ্বাস ফেললো পরশ।উঠে বারান্দার দিকে পা বাড়াতে বাড়াতে বললো,
_”আমার আর ঘুমের প্রয়োজন নেই।”

মাথা নুইয়ে রুম থেকে বের হলো স্পর্শী।প্রেমার হাত ধরে রুমে নিয়ে এলো।বিছানা ঠিক করে দিয়ে শুইয়ে দিলো একপাশে।গায়ে কম্বল মুড়িয়ে দিয়ে নিচু স্বরে বললো,
_”চুপচাপ ঘুমাও।একদম কাঁদবে না।তোমার কান্নার আওয়াজ শুনলে কিন্তু তোমার ভাই আবার রেগে যাবে।ভয়ের কিছু নাই।যা হওয়ার সকালে হবে।ভাবী আছে তো।এখন ঘুমিয়ে পড়ো।”
প্রায় দশ-পনেরো মিনিট কাঁটার পরেও ঘুমাতে পারলো না স্পর্শী।বিছানা থেকে উঠে প্রেমার দিকে উঁকি দিতেই দেখলো সে ঘুমিয়ে পড়েছে।চোখের পাশ টা পানিতে চিকচিক করছে।উঠে এলো স্পর্শী।আলমারির উপর থেকে পাটি টা নিয়ে এগিয়ে গেল বেলকুনির দিকে।নিচে সেটাকে বিছিয়ে দিয়ে পুণরায় এগিয়ে এলো রুমে।একটা কম্বল আর একটা বালিশ নিয়ে আবার গেল বেলকুনিতে।পরশ এখনো ঠায় হয়ে দাঁড়িয়ে আছে আকাশের দিকে তাকিয়ে।জোর করে টেনে নিয়ে বসালো স্পর্শী।এরপর কম্বল জড়িয়ে দিয়ে নিজেও ঢুকে পড়লো।শক্ত করে জড়িয়ে বুকে মাথা রেখে বললো,

_”একটু সংযত হও,আর তোমার ভাইকে ও সামলাও।আর্শি যে খুব ছোটো তাও নয়।আবার যে খুব বেশি বুঝদার সেটাও আমি বুঝাতে চাইছি না।শুধুমাত্র এটুকুই বলছি যে ওর বয়সা আবেগের,ভুল করার।তোমরা দু ভাই মিলে ওকে মারছো,ধমকাচ্ছো, হুমকি দিচ্ছো, আঘাত করে কথা বলছো এতে যে সবকিছু সমাধান হবে এমনটাও নয়।বরং উলটো কিছু ঘটতে পারে।আমি মানছি ও ভুল করেছে।কিন্তু তোমাদের এমন প্রতিক্রিয়ায় যদি অভিমান করে বা ভয় পেয়ে লজ্জায় আবেগের বশে উল্টোপাল্টা কিছু করে বসে তখন কি করবে?

রাজনীতির রংমহল সিজন ২ পর্ব ৭৬

শোনো না,তোমরা একটু নিজেদের সামলাও।আমি ওকে সব টা জিজ্ঞেস করবো।আর আমি নিশ্চিত প্রেমা আমাকে সবটা বলবেও।ওর যে গার্ডিয়ান তোমরা দু-ভাই এমন ও না।আব্বু আম্মু বেঁচে আছে।প্রেমা তাদের মেয়ে।আমি ওর থেকে সবটা জানি এরপর আব্বু আম্মুকে জানাও। ওরা সব দেখেশুনে যা ভালো মনে করে তাই করুক।বুঝেছো?মাথা ঠান্ডা করো প্লিজ!

রাজনীতির রংমহল সিজন ২ পর্ব ৭৮