রাজবধূ পর্ব ১৭

রাজবধূ পর্ব ১৭
রেহানা পুতুল

খু*নী নির্বিঘ্নে সবার সামনে ঘুরে বেড়াচ্ছে। কাজ করছে। কেউ কস্মিনকালেও তাকে সন্দেহ করছে না। তালুকদার পরিবারের একেকজনের সন্দেহের বীজ একেকদিকে ছুটতে লাগলো তীরের ফলার ন্যায়।
তবে রানী কিছু একটা আঁচ করতে পারলো স্বামীর মৃত্যু নিয়ে। তবুও সে নিজের ভাবনায় অবিচল রইলো।
তালুকদার বাড়িতে বিরামহীনভাবে বিলাপ চলছে। আদুরী ও সুফিয়া বিবির বুক চাপড়ানো আর্তনাদে গগনও যেন কেঁপে কেঁপে উঠছে। দূর দূরান্ত থেকে অচেনা মানুষজন দলে দলে ভীড় করতে লাগল বাড়ির অন্দরে। আশেপাশের কে বা কারা যেন থানায় গিয়ে পুলিশ নিয়ে এলো। পুলিশরা অবাক হয়ে গেলো। কয়মাস আগেও এই বাড়ির বাগানে লা*শ পাওয়া গেলো। আজ আবার সেই পরিবারের বড় ছেলে মারা গেলো। পুলিশ মৃতকে দেখে বলল,

“উনাকে হ*ত্যা করা হয়েছে। এটা প্রমাণিত। সন্দেহভাজনের নাম বলতে পারেন আপনারা। হ*ত্যা মামলা দায়ের করতে পারেন থানায় গিয়ে৷ আমরা লা*শ নিয়ে যাচ্ছি।”
জয়নুল তালুকদার বাধা দিলো। ধরা গলায় বললেন,
“আমাদের কারো বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ নাই। খোদায় যার মৃত্যু যেইভাবে লিইখা রাখছে সেভাবেই হবে। আপনারা চইলা যান।”
তবুও পুলিশেরা নড়ল না। তারা সুফিয়া, আদুরী,রানীকে জিজ্ঞেস করলো,
“আপনাদের কিছু বলার আছে?”
“না। আপনারা যান। আমার পোলারে কাঁটাছিঁড়া কইরা আর কষ্ট পাইতে দিমুনা আমি। তার কোন শত্রু ছিল না। আন্দাজে আমরা কার লগে কোন্দল করমু কন? তকদিরে বিশ্বাসী আমরা। খোদার ইশারা ছাড়া গাছের পাতাও লড়ে না।”

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

বাষ্পরুদ্ধ কন্ঠে বলল সুফিয়া বিবি।
রানী ও আদুরী এবং পরিবারের বাকি সবাইও জানালো তাদের কারো বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ নেই। পুলিশরা চলে গেলো সবার দিকে অদ্ভুত চাহনি ফেলে। রাশেদের গোসল, জানাযা সম্পন্ন হলো কাচারি ঘরের উঠানেই।
জয়নুল তালুকদার লোক মারফতে ঢাকায় টেলিফোন করিয়েছে। তার তিন ছেলে এসে পৌঁছালেই রাশেদের লা*শ দাফন সম্পন্ন হবে।

রানী বিমূঢ় হয়ে নিজের পালংকে বসে রইলো। সে বিশ্বাস করে রাশেদ গ্রামের কোন গরিব মেয়েকে ধর্ষণ করতে গিয়ে ধরা পড়েছে। তারা তাকে মেরে বাড়ির সামনে ফেলে রেখে গিয়েছে। কারণ রাশেদ নিজেই বলছে সে সন্তান জন্মদানে অক্ষম নয়। এটার প্রমাণ দিবে। গ্রামের প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী সধবার বেশ পালটে বিধবার বেশ ধরিয়ে দেয়া হলো রানীর পুরো অবয়বজুড়ে।
রাশেদের অকাল মৃত্যু নিয়ে স্থানীয় বাজার সরব। মৃদু গুঞ্জন উঠেছে বাড়ির অন্তপুরেও। তার নিঃসন্তান সদ্য বিধবা স্ত্রী রানী থাকবে, না চিরদিনের জন্য চলে যাবে এই সংসার ছেড়ে। এটা অধিক গুরুত্ব পেলো সবার কাছে।
মতির মা ও ফুলবানু ভারাক্রান্ত মনে বসে আছে রসুই ঘরের দাওয়ায়। মতির মা দুঃখভরা স্বরে বলল,
” রাশেদ পোলাটা অনেক ভালা ছিলো। স্বভাব চরিত্র ভালা ছিলো। কোন পশুর ঘরের পশু এই পোলাটার জীবন নিয়া নিলো।”
ফুলবানু বলল,

“আল্লায় জানে চাচী। আমিওতো বড় ভাইজানরে ভালো জানি। উনার উপরে মনে হয় শয়তান ভর করছে। আর শয়তানের প্ররোচনায় কোন আকাম করতে গিয়া জানটা খোয়াই আইলো। নয়তো উনারে ক্যান মারবো?”
মতির মা সন্দেনভজন চাহনি তাক করলো ফুলবানুর দিকে। বলল,
“তুই যেইভাবে কইতাছস,মনে হয় তুই জানস কে মারছে?”
ফুলবানুর কলিজা শুকিয়ে গেলো এই কথা শুনে। তার আত্মারাম খাঁচা ছেড়ে ভয়ে পালায়। শুকনো ঢোক গিলে অসহিষ্ণু গলায় বলল,
“ধুর চাচী! কি যে আবোলতাবোল কথা কননা।”

মতির মায়ের ডাক পড়লে সে উঠে যায়। ফুলবানু আটকে আসা দম ছাড়লো জোরে। উঠে গেলো অন্যকাজে।
শেষ দুপুরে এসে পৌঁছালো তালুকদাদের তিন ছেলে। রাজের প্রাইভেট গাড়িতে করে একসঙ্গে তিনভাই এলো। বেদনাবিধুর পরিবেশটা পূনরায় শোকাবহ হয়ে উঠলো। সুফিয়া বিবি ছোটছেলের গলা জড়িয়ে চিৎকার করে রোদন করতে লাগলেন। এবং ঘোর অভিসম্পাত ঢাললেন খু*নীর উপরে।
রাজ ভেজা কন্ঠে মাকে শান্তনা দিলো বুকে লেপ্টে নিয়ে। বলল,
“আম্মা, আমি ভাইয়ার মৃত্যু রহস্য উদঘাটনের চেষ্টা করবো। আপনি ধৈর্য ধরুন।”
“নাহ বাবা নাহ। খবরদার। আমার পোলা আর ফিরা পামুনা। কি ফায়দা হইবো থানা পুলিশ কইরা। আল্লার কাছে বিচার দিয়া রাখলাম। তার উপরে কোন বিচারক নাই ইহজগতে।”

দাফন সম্পন্ন হয়ে গেলো। রাজের ধারণা ছিলো শিখা আসছে। নতুন বউ তাই ভিতরেই আছে৷ কিন্তু সন্ধ্যায় সে দেখলো পুরো বাড়ির কোথাও শিখার অস্তিত্ব নেই। সে মেজোভাবি সুমনার কাছে গিয়ে জিজ্ঞেস করলো,
“ভাবি মধুপুর থেকে কেউ এলো না আমাদের এতবড় দুঃসময়ে? তারা খবর পায়নি?”
“নাহ। মতির মা চাচী, বরকতরে পাঠাইতে চাইছে। কিন্তু আম্মা কাট কাট গলায় না কইরা দিলো।”
“কেন?” কপাল কুঁচকে জিজ্ঞেস করলো রাজ।
“আম্মার কথা,হেরা আইলে কি তার ছেলে জিন্দা হইয়া যাইবো? হেগো আসনের কোন কাম নাই। হেগো সান্তনারও দরকার নাই। এই জন্য আর আব্বাও জোর করেনাই কাউরে পাঠাইতে। আম্মার লগে তর্ক করা এখন ঠিক হইব না তাই। এমনিতেই পুত্রশোকে উনি বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন।”

“এটা ঠিক হলো ভাবি? বলো? এতে আম্মা ছোট হলো। তাদেরকেও ছোট করে দিলো সবার কাছে। বিপদে নিকটাত্মীয় পাশে নেই। বিষয়টা বাজে দেখায়।”
“তুমি খবর পাঠাও এখন। আম্মা কিছুই কইব না।”
রাজ পাঞ্জাবীর পকেটে দুইহাত গুঁজে গম্ভীরমুখে বেরিয়ে গেলো উঠানের দিকে। বাদশাকে খুঁজে বের করলো। বলল,
“মধুপুর যা। খবরটা জানাবি। শিখা না এলেও যেন তার মা আসে আমাদের বাড়ি। বরকতরেও সঙ্গে নিয়ে যা। বাড়ি চিনে আসবে। কখনো তুই যেতে না পারলে তাকে পাঠানো যাবে। ধর, রিকসা ভাড়া নিয়ে যা।”
“যাইতাছি ছোট ভাই।”

বাদশা দেরী করল না। বরকতকে ডেকে নিয়ে পথ ধরলো মধুপুর গ্রামের উদ্দেশ্যে। হঠাৎ করে ঘরের সামনে বাদশা ও বরকতকে দেখে শিখা দারুণ অবাক হলো। আন্তরিকতার সুরে বলল,
“বাদশা ভাই,বরকত ভাই আপনারা? আসেন, আসেন। বসেন। কোন সমস্যা হইলো বাড়িতে?”
নূরী পিছনের রুম হতে সামনের রুমে এলো শিখার কথা শুনেই। বাদশা ঘটনা জানালো। নূরী ও শিখা স্তব্ধ হয়ে গেলো।
নূরী বিচলিত কন্ঠে বলল,
“এইটা কোন কথা। লা*শ দাফন হইগা গ্যালো। তারা আমাদের জানানোর দরকার মনে করল না? বিপদের সময়েও মনে কূটনামি ধইরা রাখলো?”
শিখা চোখের পানি ছেড়ে দিয়ে বলল,

“আমার খুব খারাপ লাগতাছে। আসার দিন বড় ভাইয়ার সঙ্গে দেখা হইল না। কে করলো কে এই খু*ন? সামনে পাইলে তারে আমি কোপাই কোপাই মাইরা ফালাইতাম। বড় ভাবি এবার ক্যামনে বাঁচবো? ক্যামনে থাকবো? একটা বাচ্চাওতো তার নেই।”
“খালাম্মা, তাড়া কইরা রেডি হন। রাজ ভাই কইছে শিখা ভাবি না গ্যালে নাই। আপনে যাইতেন।”
বলল বরকত।
“হ। শিখা গ্যালে সমস্যা আছে। আমি যামু। আবার চইলা আসুম। বোরকা পইরা নিই। তোমরা বসো।”
শিখা মায়ের রুমে গেলো। বলল,
“আম্মা আমি যামু না?”

“না। আমি যাওয়া বেশি জরুরী। বেয়াইনের শোকে বেয়াইন সঙ্গ দেওন দরকার। জামাই বাড়িতে। তোরা দুইজন দুইজনরে দেখলে মন খারাপ হইবো। এরপর তোর পড়ায় মন বইবো না। মনে রাখবি তোর আব্বার স্বপ্ন পূরণ ও তোর নিজের লাইগা বহু ত্যাগ দিতে হইবো। তুই থাক। তোর চাচীরে আইনা রাখ। ডর লাগব না।”
ব্যক্তিত্ব ও আদর্শবাদী কন্ঠে বলল নূরী।
শিখা মায়ের অনুগত ও বাধ্য মেয়ে। মা যা করে ও বলে সবই তার ভালোর জন্যই। তাই সে অবলীলায় মায়ের হুকুম মেনে নিলো। বাদশা ও বরকতের সঙ্গে আলাদা রিকশায় করে নূরী এলো। রিকশা উঠানে এসে থামলো। রাজ দেখে এগিয়ে গিয়ে নূরীকে সালাম দিলো। দুই রিকশার ভাড়া মিটিয়ে দিলো।
“শিখা কেমন আছে আম্মা?”

” ভালো আছে বাবা৷ আসতে চাইছে। আমি আনিনাই। চারদিন পর পরিক্ষা।”
“খুব ভালো করেছেন আম্মা। এতে পড়ার বিঘ্ন ঘটবে। আমিও বেশিদিন থাকব না। ভাইয়ার তিনদিনের কূলখানি হয়ে গেলে চলে যাবো। সেদিন আপনারা সবাই অবশ্যই আসবেন। যান আম্মার রুমে।”
রাজ বড় দুই ভাইসহ বাজারে গেলো। সঙ্গে জুবায়েরও আছে। ঘটে যাওয়া ঘটনা নিয়ে অনেক প্রাসঙ্গিক আলোচনা হলো তাদের মাঝে। নূরীকে দেখেই সুফিয়া বিবির বেদনার্ত মুখ ঝাঁঝালো হয়ে উঠলো। কিন্তু মুখে কোন রাগ ও বিরক্তি ঝাড়ল না। সুফিয়া বিবিকে নানান শান্তনামূলক বাণী শোনাল নূরী। তারপর রানীর রুমে গেলো। রানীর মুখাবয়ব দেখে নূরীর উপলব্ধি করতে অসুবিধা হলনা যে,স্বামীর মৃত্যুতে সে মুষড়ে পড়েনি। নূরী রানীকে সেই বিষয়ে কিছু বলল না। শান্তনা দিলো নিজের সাধ্যমতো।
রাত হয়ে গিয়েছে। নূরী আবছায়া আলোতে তালুকদারদের পিছনের উঠানে গেলো। বাদশাকে দেখে ইশারায় ডাকলো। চাপাস্বরে বলল,

“তোমার লগে আমার জরুরী আলাপ আছে। এইখানে কন যাইবো না। সময় সুযোগ কইরা একদিন দিনে আমাদের বাড়িতে যাইও। তখন শিখা স্কুলে থাকবো। বিষয়টা যেন পিঁপড়াও টের না পায়।”
বাদশা ঘাবড়ে গেলো। হঠাৎ তার তলব কেন? তবুও নিজেকে স্বাভাবিক রেখে বলল,
“খালাম্মা, আপনার কথা কি আমি ফেলতে পারি। অবশ্যই সুযোগ কইরা আসুম।”
তার কিছুক্ষন পরে খায়রুল তালুকদার নূরীকে দেখতে পেয়ে আনন্দিত হলো। ছোঁকছোঁক করছে নূরীকে একা পাওয়ার। পেয়েও গেলো ঘরের পিছনে। এদিক ওদিক চেয়ে নূরীকে বলল,
” সামনের সপ্তাহে রিকশা পাঠামু। চইলা আইসো। লাভ হইবো।”
নূরী দ্বিমত করল না। এখন জামাই বাড়িতে। এর লগে বাড়াবাড়ি করলে নিজেই বিপদে পড়ে যাবে। ঘাড় হেলিয়ে হ্যাঁ সূচক জবাব দিলো সে।

পরের দিন সকালে নূরী বাড়ি চলে গেলো। তিনদিনের কূলখানি শেষ হয়ে গেলো। সেদিন নূরী, আলো ও আলোর জামাই এলো। তারা যেতে রাজ, বাদশার সহযোগিতায় অনেক খাবার দিয়ে দিলো শিখা ও তাদের জন্য।
সেই রাতেই গোপন যাতনা বুকে নিয়ে রাজ ঢাকায় নিজের গন্তব্যে পাড়ি জমালো। হৃদয়টা বিদীর্ণ হয়ে আছে দুটো কারণে। এক,
দেখা হলোনা তার লাজুক হয়েও চঞ্চলা বালিকা বউটির সঙ্গে। দুই, কোলে পিঠে করে বড় করা বড় ভাইয়ের অকাল প্রয়াণ! আহ জীবন! তুমি বড়ই রসিকতা জানো।
শিখার টেস্ট পরিক্ষা শুরু হলো আজ। পরিক্ষা শেষে বের হয়ে বারান্দায় পা রাখতেই আয়া নমিতা পাল তাকে ডাক দিলো। শিখা থামলো। নমিতা পাল তার হাতে আগের মতই একটি গোলাপ ধরিয়ে দিলো।

“কে দিলো দিদি?”
“চিনিনা। আমাকে দিলো ওই চা দোকানের ছোট্র ছেলেটা। তোমাকে ভালোবাসে এমন কেউই হবে।”
শিখার বিয়ে হয়ে গিয়েছে। এটা বলার আগেই নমিতা চলে গেলো ব্যস্ত পায়ে। গোলাপের ডাঁটায় মোড়ানো একটি কাগজ। স্কচটেপ দিয়ে আটকানো। শিখা খুলে নিলো।
” শিখা তোমার ভাসুর মারা গেলো। তুমি এলে না। আমার দু’চোখ তোমাকে দেখার অপেক্ষায় ছিলো। রাজকে বলোনা আমার কথা। বললে তুমি সমস্যায় পড়বে। তবে আমার জন্য কখনোই তোমার কোন সমস্যা হবে না। ভালোভাবে পরিক্ষা দিও। আমি কে এই ভেবে মাথা নষ্ট করো না। আমাদের দেখা হবে। কথাও হবে।”
ইতি,
তোমার এক নিঃস্বার্থ বন্ধু।

কে তুমি আড়ালের বন্ধু? এটা চিন্তা করতে করতে শিখা বাড়িতে চলে গেলো।
তালুকদার বাড়ির বিষন্ন পরিবেশ। সবাই এখানে ওখানে ঝিম মেরে বসে থাকে। এমন একদিন ছোট তালুকদার পুরোদিন বাড়িতে নেই। বাদশার মনে সন্দেহ তৈরি হলো তাকে না দেখতে পেয়ে। সুফিয়ার কাছে বলে বাদশা নিজের গ্রামে চলে গেলো। ঘরে প্রবেশ করে কাউকে দেখতে পেল না।
জুলফা ছেলেকে দেখেই তব্দা খেলো।
“কিরে বাপ? এই অসময়ে আইলি?”
“ক্যান মা। কোন সমস্যা আমি আইলে?”

“পোলা কি যে কয়। তুই ত এমন ঘনঘন আসছ না। কয়দিন আগে মারে দেইখা গ্যালি। তাই কইলাম।”
“না আসলে কোন বড় খবর ক্যামনে দিমু? বড় তালুকদারের বড় ছেলে খু* ন হইছে। সেই বাড়ির পরিবেশ মরা মরা। ভালো লাগে না। তাই চিন্তা করলাম,বাড়ি থেকে ঘুইরা যাই। তোমারেও দেখা হইবো,খবরটাও বলা হইবো।”
“তাইলে ঠিক আছে। আল্লাহ কস কি? ক্যামনে খু*ন হইলো?”
বাদশা মায়ের প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে থেমে গেলো। দেখলো টেবিলের উপরে একটি মিষ্টির প্যাকেট। বাদশা প্যাকেটটি হাতে নিলো। খুলে দেখলো টাটকা মিষ্টির ছানা। পরিমাণ হাফকেজির মতো হবে।
সে অবাক কন্ঠে,

রাজবধূ পর্ব ১৬

“মা কে আনলো গরিবের জন্য এত দামী ছানা”
“ক্যান? গরিবের কি সব কুটুমেরাই গরিব? আমার এক ভাই বিদাশ থেইকা আইছে। আমারে দেখতে আইলো। সে আনলো।”
জড়ানো কন্ঠে বলল বাদশার মা জুলফা।

রাজবধূ পর্ব ১৮