রাজবধূ পর্ব ২২
রেহানা পুতুল
তালুকদার হাত থেকে মিঠাইয়ের মাটির হাঁড়িটি রাখলো টেবিলের উপরে। পাঞ্জাবীর এককোণ পিছন থেকে সামনে উরুর উপর এনে বসলো।
ভিলেনের মতো গাল বাঁকিয়ে হেসে বলল,
” নূরী তুমি বড়ই নিষ্ঠুর বেয়াইন আমার। কই খুশী হইয়া বসতে বলবা। পান বানায়া দিবা। রঙ রসের কথা বলবা। তা না কইরা জিজ্ঞাসা করতাছো ক্যান আইলাম। আজগুবি কথা।”
“আজগুবি কথা নয় বেয়াই। এটা হিসাবের কথা। আপনিও বা কেমন বেয়াই? বেয়াইনের গলা টিপে ধরেন নিজের বাড়িতে?”
কন্ঠে উপহাস ঢেলে বলল নূরী।
তালুকদার ক্রুর হাসে। বলে,
“ওইটা মশকরা ছিলো? বুঝনা ক্যান?”
“ক্যান আইছেন বইলা ফালান?”
“কইতাছি। তোমার মাইয়া কই? বিদ্যালয়ে? ”
“হুম।”
একশব্দে মিনমিনিয়ে জবাব দিলো নূরী।
তালুকদারের খাঁটি রূপ উদ্ভাসিত হলো। তুমি হতে তুই তে নেমে এলো সম্বোধন।
“আমি দুই দুইবার রিকশা পাঠাইলাম। গেলিনা ক্যান? কইলজায় তোর এত হিম্মত? পরশু রিকশা পাঠামু। যাইবি। আমি যদি কোনভাবে তোর জামাইয়ের আর বেয়াইনের কানে দিই,তুই ধর্ষিতা। তাইলে তোর মাইয়া ভাত খাইতে পারবো আমাগো সংসারে?”
ভয়ংকর চাহনি ফেলে নূরীকে শাসিয়ে কথাগুলো বলল তালুকদার।
নূরী নিভে যায় না তালুকদারের চোখ রাঙানিতে। হাঁড়ি নিয়ে যায় ভিতরে। পিরিচ ভরে রসগোল্লা আর পান সাজিয়ে নিয়ে তালুকদারকে দেয়। তালুকদার টপাটপ তিনটি রসগোল্লা মুখে পুরে দেয়। নূরীকে মুখে তুলে খাইয়ে দিতে চায়। নূরী মুখ বিকৃত করে অন্যদিকে ঘুরিয়ে নেয়। বুঝলো রসগোল্লা বিষমুক্ত। কারণ সে সবগুলো নেড়েছেড়ে নিয়ে তারপরেই আনলো।
আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন
“আমি ধর্ষিতা এইটার প্রমাণ কি?”
নিচু স্বরে নূরী জিজ্ঞেস করলো তালুকদারকে।
” যেই পুরুষেরা তোরে সারারাইত ভইরা মজা দিছে। তাদের একজন কইলো আমারে প্রসঙ্গক্রমে। বুঝে আইছে? তো আমিও সেই সুযোগ নিয়া তোরে ভো* গ করতে চাই। শরির,অন্তর জুড়াইতে ভাই। ভালোর ভালো আমার কাছে আইবি। নইলে সব ফাঁস কইরা তোগো মা মাইয়ারে গ্রাম ছাড়া করমু। ভাইবা দেখ। আমার লগে বিছনায় শুইবি না গ্রাম ছাড়া হইবি। তুই আমার কি করবি? আমার পাকা বা…টাও ছিঁড়তে পারবি না।”
ক্রোধান্বিত কন্ঠে হুমকিধামকি দিয়ে বলল তালুকদার।
নূরী আঁচ করতে পারে তালুকদারের বলা পুরোটা সত্যি নয়। আংশিক সত্যি হতে পারে। কেননা সে নূরীর গলা টিপে ধরেছে। এতে সহজেই অনুমেয়, সে নূরীর উপরে কোন কারণে ক্ষুব্ধ! নয়তো একজন নতুন অতিথির সঙ্গে কোন সুস্থ মস্তিষ্কের মানুষ এমন হীন আচরণ করতে পারে না। নূরী তবুও নিরব থাকে। তালুকদারকে পালটা প্রশ্নের বেড়াজালে সে এখন আটকাবে না। কথায় কথায় বাড়বে। এতে সময় গড়াবে। তালুকদারকে বিদায় করতে পারলেই সে বাঁচে।
“আপনি এখন চইলা যান। আমার শরীর খারাপ। সামনের সপ্তাহে রিকশা পাঠাইয়েন।।কথা দিলাম যামু।”
নিরিহ সুরে বলল নূরী।
তালুকদার উঠে দাঁড়ায়। নূরীর দিকে চেয়ে কামাতুর চোখে বলে,
“ঘরেতো কেউ নাই। কাছে আয়। হাত বুলায়া আদর কইরা দিই।”
“এখন না। যেদিন কাছে আসুম। সেদিন যা ইচ্ছা কইরেন।”
দাঁতে দাঁত পিষে বলল নূরী।
তালুকদার, হউক মাওলা বলে গোঁফ দাঁড়িতে হাত বুলিয়ে বেরিয়ে যায় নূরীর ঘর হতে।
নূরী দপ করে জ্বলে উঠলো। চেয়ারের হাতল ধরে বসে পড়লো মাটিতে। দাঁত চিবিয়ে বিড়বিড়িয়ে বলল,
তুই শ্যাষরে পশু! তুই শ্যাষ!
নুরী উঠে দাঁড়ায়। মিঠাইয়ের হাঁড়ি নিয়ে পুকুরের একপাশে যায়। পাড় দিয়ে নেমে যায়। হাঁড়িতে পানি ভরে নেয় কলসীতে পানি ভরার মতো করে। হাত দিয়ে কচলে গুড়ো গুঁড়ো করে নেয় সব রসগোল্লাগুলোকে। অতঃপর পুকুরের পানিতে মিশিয়ে ফেলে দেয় সব। হাঁড়ি ভালো করে ধুয়ে নিয়ে আসে। মই দিয়ে ঘরের চালার উপরে উঠে হাঁড়িটি রেখে দেয়। ব্যাস শিখা আর টের পাবে না।
সকালে জয়নুল তালুকদার ছোট ভাইকে ডাক দিলো। বলল,
“বৃহস্পতিবারে উত্তরবঙ্গে শীতবস্ত্র নিয়া যামু। কেনাকাটা শ্যাষ। রেডি থাকিস গ্যালে।”
” আইচ্ছা মিয়াভাই। আমি তৈরি থাকুম। কে কে যাইতাছি আমরা? আর আইটেম কি কি?”
নম্রস্বরে জিজ্ঞেস করলো খায়রুল তালুকদার।
“আমি,তুই,বাদশা, সীমান্ত, আর এলাকার কয়েকটি ভলান্টিয়ার পোলাপান যাইতাছি। আইটেম হইলো গিয়া কম্বল, উলের সোয়েটার,কানটুপি,মাফলার,হাতমোজা ও পা মোজা। ”
” বহুত হইছে। খালেদ বাড়িতে আছে। যাইব নি? ”
” নাহ। সে আইছে তার কামে। পরশু চইলা যাইবো।”
“ঠিকাছে মিয়াভাই।”
আদুরী রানীর রুমে গেলো বিমর্ষ মুখে। পালংকের একপাশে বসলো দরজা বন্ধ করে দিয়ে। রাশেদ প্রয়াত হওয়ার পঁয়তাল্লিশ দিন এখনো অতিক্রম হয়নি। বিধবা রানী শুয়ে বসেই শোক পালন করে। কোন গৃহকার্যে হাত লাগায় না সে। অন্যরাও কেউ তাকে কিছু বলছে না। কে বলবে। গৃহকর্ত্রী সুফিয়া বেগমকে ডিঙিয়ে কথা বলার সাহস তেমন কারোই নেই। সুফিয়া বিবির বহু ছোট ছোট কুকর্মের সাক্ষী ও সঙ্গী ছিলো তার বড় পুত্রবধূ রানী।
এটাও সুফিয়া চুপ থাকার বড় একটি কারণ। যেগুলো তার মেয়ে আদুরীও জানেনা। আদুরী ছোট। মুখ ফসকে যেতে পারে বয়সের দোষে।
রানী যখন বউ হয়ে আসে তখন আদুরী ছোট ছিলো। আদুরীর অনেক দেখাশোনা তার করতে হয়েছে বড় ভাবি হিসেবে। তাই দুজনের প্রতি দুজনের মমতা কম নয়। রানী আদুরীর অভিব্যক্তি দেখে কিছু টের পেলো। আদুরী মুখ খোলার পূর্বে রানীই নিজ থেকে যেচে বলল,
“কিরে আদুরী কিছু কইবি মনে হয়?”
আদুরী ভেজা গলায় প্রেমিক শোয়েবের কথা বড় ভাবিকে জানালো সব। কবে থেকে সম্পর্ক? কিভাবে সম্পর্ক? কোন গ্রামের ছেলে শোয়েব? কি কর্ম করে শোয়েব? ইত্যাদি সব।
শুনে রানীর গলা শুকিয়ে কাঠ হয়ে যায়। আদুরীর হাত ধরে ফেলল রানী। আদ্রকন্ঠে চোখ বড় বড় করে বলল,
“কি করলি তুই এইটা? তোদের ঘরে শত নিয়ম। জানস না? নিয়ম ভাঙ্গন কি সোজা কথা? এখন ক্যামনে কি হইবো? বাবা তো তোর বিয়া ঠিক কইরা ফালাইবো এই ভিতরেই। আম্মার ও কথা হইলো আবিয়াত্তা মাইয়া ঘরে ধইরা রাখন ভালানা।”
“ভাবি আমি পালাইয়া যামু সৌরভরে নিয়া। দেশান্তরী হমু দরকার পড়লে। কেউ খুঁইজা পাইব না।”
রানী বিস্ময়ে বিমূঢ় হয়ে যায়। বলে,
“বেদিশা হইস না। তোরে জানে মাইরা ফালাইবো তোরে বাপে আর তোর জল্লাদ ফুফু। হেরেও মাইরা ফালাইবো। এক গ্রামের পোলা। দুই তালুকদারের তারে বাইর করতে টাইম লাগব না। তুই আমার বুদ্ধি ল। এমনিতে লুকায়া দেখা কর সুযোগ হইলে। খবর পাঠা আগে তার কাছে, কখন,ক্যামনে দেখা করবি।”
“আইচ্ছা ভাবি। ধন্যবাদ। থাকো। দেখি কারে দিয়া খবর পাঠান যায়।”
বিপন্ন মুখে উঠে যায় আদুরী।
সেদিন বিকালে সৌরভ তাদের স্থানীয় বাজারে যায় চা খেতে। বরকতকে দেখে সে আড়ালে ডেকে নেয় একটি দোকানের পিছনে। তার ও আদুরীর প্রেমের অন্যতম বাহক হলো এই বরকত। আদুরী কলেজে পড়ার সময় তৃতীয়জনের সাহায্য লাগেনি। কিন্তু পড়া বন্ধ করে দেওয়ার পর হতে বরকতকে দিয়েই আদুরী চিঠি,ও খোঁজখবর আদানপ্রদান করে থাকে সৌরভের সঙ্গে।
“কিরে বরকত কি খবর?”
“নেন, আদুরী আপা এইটা দিতে কইছে আপনেরে।”
“তুই যাইস না। দাঁড়া।”
বরকত দাঁড়িয়ে রইলো।
সৌরভ দেখলো আদুরীর চিরকুট। সে মন দিয়ে পড়লো।
“সৌরভ, বৃহস্পতিবার সকালে আব্বা, কাকা, বাদশা এরা সবাই শীতবস্ত্র দিতে যাইবো। এই সুযোগ মিস করন যাইব না। তখন তোমার সঙ্গে দেখা করব। জরুরী। কখন, কই আসব বলে দিও? বরকতের কাছে উত্তর দিও।”
সৌরভ, দোকানে ঢুকে একটি কলম নিয়ে নিলো। বাইরে এসে হাতের পিঠে চিরকুটের উল্টো পিঠ মেলে নিলো। জবাব লিখল। বরকতের শার্টের পকেটে রেখে হুঁশিয়ার করে দিয়ে বলল,
“গিয়াই আদুরীর হাতে দিবি। খুব সর্তক হয়ে যাবি। আর ধর এই দশ টাকা নে। নাস্তা করিস।”
বরকত খুশী হয় চকচকে দশ টাকার নোট পেয়ে। “রাজমনি’ হোটেলে গিয়ে এই দশ টাকা দিয়ে পরোটা, সুজির হালুয়া,কলিজা সিংগারা খাবে। সে মাথা নামিয়ে বলে,
“জে আইচ্ছা সৌরভ ভাই। আমি যাইগা।”
বরকত আদুরীকে এনে দেয় চিরকুট। আদুরী নিজের রুমে গিয়ে চিরকুটটি পড়লো মনোযোগ দিয়ে।
“প্রেয়সী, তোমাদের জংলার বাগানের চেয়ে নিরাপদ ও উত্তম স্থান আর কোথায় আছে বলো? সেখানে ত আমরা বিকেলে আরো দেখা করছি। তুমি বৃহস্পতিবার মাগরিবের নামাজের পর অন্ধকার হয়ে এলে সেই বাগানে চলে এসো। এতবড় সুযোগ হাতছাড়া করতে চাই না। তোমার একটু নিবিড় ছোঁয়ার জন্য আমি সাত সমুদ্র তেরো নদী পাড়ি দিতে প্রস্তুত। আর মাত্র গ্রামের কয়েকবাড়ি ডিঙিয়ে যেতে পারব না? আমি অপেক্ষায় থাকব সোনা।”
আদুরী প্রতিক্ষায় দিন গোনে সেই শুভ মুহুর্তের।
রাতে সবাই খেয়ে দেয়ে ঘুমিয়ে পড়লো দশটার দিকে। খালেদ রানীর রুমে আসলো। রানী গোপন চিত্ত আন্দোলিত হয়ে উঠলো।
“মাইজ্জা ভাই আপনে? বসেন না। সুমনা কি করে?”
” সুমনা মেয়েরে নিয়া ঘুমায়। আমি সকালে চইলা যামু। তাই তোমার থেকে বিদায় নিতে এলাম। কিছু লাগবো তোমার? আমি আইতে আনুম। বলো?”
সুমনা খালেদের দুহাত ধরে ফ্যালফেলিয়ে কেঁদে ফেলল।
“আমার যা লাগবো তা কি দিতে পারবেন? একজন মাইনষের অভাব ক্যামনে দূর করুম আমি? ক্যামনে? তিনি কত সোহাগ, মহব্বত করতো আমারে। আমারে না জড়ায়া ধরলে উনার ঘুম আইতো না। কে এখন আমারে বুকে নিয়া ঘুমাইবো? ”
বলতে বলতে রানী খালেদের দুই পায়ের উপর লুটিয়ে পড়ে। খালেদ ভ্যাবাচেকা খেয়ে উঠে। ভীষণ অপ্রস্তুত হয়ে যায়। রানীর দুবাহু ধরে দাঁড় করায়। বলে,
“তোমার মাথা ঠিক নেই ভাবি। তাই এলোমেলো বকছো। বলো কিছু লাগবো?”
রানী খালেদের বুকে মাথা রাখে। বেদনাভরা কন্ঠে বলে,
“আমার কিচ্ছু চাইনা। কেবল আপনের ভাইয়ের অভাব মিটায়া দেন।”
“আশ্চর্য ভাবি। পাগল হইছো। আমি কিভাবে এটা মেটাই?”
“ক্যান? দেবর আর স্বামী প্রায় কাছাকাছি। চাইলেই সব করন যায়।”
এই বলে সুমনা মুখ ঘঁষতে থাকে খালেদের বুকে। একজন পুরুষ রাতের নির্জনে একজন নারীর এমন ঘনিষ্ঠ সান্নিধ্য পেলে কিঞ্চিৎ হলেও দুর্বল হয়ে যাবে। এটাই স্বাভাবিক। খালেদ রানীকে বুকের সঙ্গে লেপ্টে ধরে। পিঠের উপর নিচে হাত বুলাতে বুলাতে সংযত স্বরে বলে,
“তুমি কি আবার বিয়ে করতে চাইতাছো ভাবি? তাহলে চইলা গেলানা ক্যান?”
” আমি তোমারে চাই খালেদ। তোমার বউ হইতে ভাই। তোমার বাচ্চা প্যাটে ধরতে চাই। দয়া করো। সুমনার চাইতে বেশি সুখ দিমু তোমারে।”
রানির কন্ঠে অসহায়ত্ব! আর্তি!
খালেদ আগুন চোখে রানীর দিকে চায়। ঘৃণায় ছিহ! উচ্চারণ করে রানীর রুম ত্যাগ করে। ক্ষিপ্ত মেজাজ নিয়ে নিজের রুমে গিয়ে শুয়ে পড়ে। রানী ডুকরে কেঁদে উঠে বিছানার চাদর খামচে ধরে।
সন্ধ্যা মিলিয়ে রাত হলো। চলছে অমাবস্যা। প্রকৃতিজুড়ে ঘুটঘুটে অন্ধকার। বাড়িতে তেমন পুরুষ নেই। সবাই নিজ নিজ কক্ষে ঘুমিয়ে গেছে। আদুরী বিকালেই মাকে বলছে ভাবির সঙ্গে ঘুমাবে আজ রাত। ঘরে পুরুষ নেই বলে সদ্য বিধবা ভাবি নিঃসঙ্গ অনুভব করছে। রানী আদুরীকে বলেছে সে এদিকটা দেখবে। তাকে খুঁজলেই সে বরকতকে জংলায় পাঠাবে। রানী আদুরীকে সাহায্য করার অন্যতম কারণ সে খালেদের সঙ্গে সম্পর্ক করতে চায়। এতে যদি আদুরীর সাপোর্ট পাওয়া যায়।
রাতের আঁধার মাড়িয়ে আদুরী চলে যায় বাগান পেরিয়ে জংলার ধারে। এটা তার বাড়ি,তার চেনা পথ। তাই কোন আলো ছাড়াই আদুরী নির্বিঘ্নে চলে যেতে পারলো। কারো নিরব পদচিহ্ন টের পেতেই সৌরভ তার হাতের ছোট্ট পেন্সিল লাইটটি জ্বালিয়ে নিলো। সে আলোয় আদুরী দেখলো শয্যা পাতানো হয়েছে। একটি কয়েল জ্বলছে। সে পায়ের স্যাণ্ডেল খুলে নিয়ে চাদরের উপরে উঠে বসলো। হিসহিসিয়ে চমকিত কন্ঠে বলল,
“বাহবা! এক্কেবারে বিছানা বানাইলেন? আমরা কি ঘুমাইবো এইখানে? ”
“ঘুমাব না। বাসর করবো তুমি আমি মিলে। কারণ এই রাত তোমার আমার। অপার্থিব সুখ থেকে দুজন দুজনকে বঞ্চিত করা হবে বোকামী!”
রাজবধূ পর্ব ২১
মাতালের মতো জড়ানো কন্ঠে বলল সৌরভ।
জংলায় কি ঘটবে আজরাতে? কোন হ*ত্যা না কি দুজন মানব মানবীর গোপন অভিসার?