শুভ্ররাঙা ভালোবাসা পর্ব ১০
সুমাইয়া সুলতানা
আগুন কলেজে যাওয়ার জন্য রেডি হয়ে গেল। মিনা সকালের নাস্তা তৈরী করে রেখে গিয়েছিলেন। নাস্তা খেয়ে কলেজের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়ল। যাওয়ার আগে মোমকে ঘুম থেকে তুলে মিনার চলে যওয়ার কথাটা জানায়। মোম কিঞ্চিৎ মন করলেও আয়মানের অ্যাক্সিডেন্টের কথা শুনে আর রাগ করলো না। আগুন দুপুরে রান্না করতে নিষেধ করে গিয়েছে। বলেছে, আজকে সে দুপুরের দিকে বাসায় চলে আসবে। আর আসার সময় খাবার নিয়ে আসবে। যতদিন না কাজের লোকের ব্যবস্থা করা যাচ্ছে ততদিন বাইরের খাবার খাবে।
মোম, আগুনের কথা শুনতে নারাজ। ও বলেছে ও রান্না করবে। মোম জানে আগুন বাইরের খাবার খেতে পারে না। তাছাড়া, মোম রান্না করতে পারে। বেশি একটা না পারলেও যতটুকু পারে নিত্যদিনের কাজ চালিয়ে নেওয়া যায়। সকালে তেমন কাঁচা বাজার পাওয়া যায় না। তবুও যা পায় একজন লোককে ফোন করে আগুন বেশ কিছু কাঁচা বাজার আনিয়ে নিয়েছে। মিনা একা হাতে সেগুলো গুছিয়ে রেখেছেন। মাছ, মাংস কে’টে পলিথিনের মধ্যে ছোট ছোট পুটলি করে ফ্রিজে রেখে দিয়েছেন। শাক-সবজি গুলো ভালো করে ধুয়ে হাজির মধ্যে রেখে দিয়েছেন।
আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন
এতে শাক-সবজিতে থাকা পানি গুলো আরামছে ঝরে যাবে। মোমের একাএকা ভালো লাগছে না। মন খারাপ করে বারান্দায় কিছুক্ষণ বসে রইল। রুমে এসে সকালের নাস্তাটা খেয়ে নিল। রান্নাঘরে প্লেট রেখে পুরো বাসাটা একবার খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে ঘুরে দেখল। ঝাড়ু এনে প্রত্যেকটা রুম সুন্দর করে ঝাড়ু দিলো। রুম গুলো বালতি দিয়ে পানি এনে কাপড় ভিজিয়ে মুছে নিল। আগুনের রুমে এসে বিছানার চাদর উঠিয়ে পুনরায় ঠিকঠাক করে বিছালো। নাহ! এই কাজের পরও সময় মনে হচ্ছে যাচ্ছেই না। আগুন বাসায় তার একটা ফোন রেখে গিয়েছে। বলেছে, কোনো দরকার হলে ফোন করতে। মোমকে শিখিয়ে দিয়ে গেছে কিভাবে চালাতে হয়। মোম ফোন নিয়ে এসে ড্রয়িংরুমের সোফায় গোল হয়ে বসে। ইউটিউবে ঢুকে কার্টুন দেখতে থাকে। মোম কিছুক্ষণ পরপর হাই তুলছে। কার্টুন অফ করে ফোনটা এক পাশে রেখে সোফায় গা এলিয়ে দিল। অল্প সময়ের মধ্যেই মোম ঘুমিয়ে পড়েছে।
আগুন এক মনে গাড়ি চালাচ্ছে। বেশির ভাগ সময় আগুন নিজেই ড্রাইভ করে। মাঝে মাঝে কোনো প্রয়োজন হলে বাড়ির ড্রাইভারকে ডাকে। আজকেও ভেবেছিল বাড়িতে ফোন করে ড্রাইভারকে বাড়ির গাড়ি নিয়ে এসে মাকে নিয়ে যেতে বলবে। তবে ড্রাইভারের আসতে আসতে সময় লাগবে। কলেজে আসতে দেরি হবে বলে আগুন নিজেও মিনাকে ড্রপ করে দিতে পারেনি। সেজন্য টেক্সি ভারা করে পাঠিয়ে দিয়েছে। রাস্তার মাঝ পথে আসতেই একজন বৃদ্ধ আগুনের গাড়ির সামনে এসে পড়ল। আগুন সঠিক সময় ব্রেক হ্যান্ডেল না করলে হয়তো এক্ষুনি এক্সসিডেন্ট হয়ে যেত। সিট ব্লেট খুলে গাড়ি থেকে নেমে বৃদ্ধর কাছে আসে। লোকটা একটা লাঠি ভর দিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। আগুন তাকে থামিয়ে শান্ত কন্ঠে জিজ্ঞেস করলো,
” দাদু, আপনি রাস্তার মাঝখানে কেন হাঁটছিলেন? যদি অ্যাক্সিডেন্ট হয়ে যেত? এক্ষুনি তো আমার গাড়ির নিচে চাপা পড়তে যাচ্ছিলেন। ”
বৃদ্ধ লোকটি ক্ষীন স্বরে বললেন,
” আমি তো চোখে ভালো দেখতে পাই না, দাদু ভাই। চারপাশ ঝাপসা ঝাপসা দেখি। ”
” তাহলে বাড়ি থেকে বেরিয়েছেন কেন? এই বয়সে এভাবে রাস্তায় হাঁটতে বের হওয়াটা আপনার উচিত হয়নি। ”
” আমি তো হাঁটতে বের হইনি। কিছু রোজগারের আসায় বেরিয়েছি। ”
” এই বয়সে আপনি কিভাবে রোজগার করবেন? ”
” মানুষের কাছ থেকে হাত পেতে ভিক্ষা করে যতটুকু পাই সেটুকু দিয়েই জীবন চালিয়ে নেই। ”
আগুন অবাক হয়ে প্রশ্ন করে,
” ভিক্ষা করতে রাস্তায় নেমেছেন? কেন? আপনার ছেলে-মেয়ে নেই? কোনো আত্মীয় স্বজনও নেই? ”
” আত্মীয় তেমন কেউ নেই। আর এক ছেলে আছে। সে তার সংসার নিয়ে ব্যস্ত। তার সংসারই কোনো রকম চলে। আমার দায়িত্ব নিবে কিভাবে?”
” আপনার স্ত্রী কোথায়? আপনার নাতি-নাতনি নেই? ”
” আমার স্ত্রী মা’রা গিয়েছে অনেক বছর আগে। ছেলের ঘরে নাতি-নাতনি আছে চারজন। তাদের সংসার কোনো রকম টেনেটুনে চলে। ”
” আপনার ছেলে কি কাজ করে? ”
” ভেন গাড়ি চালায়। গাড়ি নিজের না। কম্পানির মালিকের। সেটা দিয়ে ঝুঁটের মাল টানে। একদিন কাজ করলে দুইদিনই বসে থাকে। ”
” বসে থাকে কেন? কাজ পায় না? ”
” পায়, তবে সে করে না। তার বউয়ের বাপের বাড়ি থেকে টুকটাক মাসের সরঞ্জাম এনে বউ’মা সংসারের হাল’টা টিকিয়ে রেখেছে। ”
” ওহ। বলতে গেলে আপনার ছেলে একজন ভাদাইম্মা। তবে আপনার ছেলের বউসহ চারজন ছেলে-মেয়েকে নিয়ে সংসারটা দিব্বি চলছে। আর আপনাকে দুবেলা দুই মুঠো খাবার দিতে পারে না? ”
বৃদ্ধ চোখের পানি ছেড়ে দিয়ে বললেন,
” সবই আমার কপাল। যখন সবল ছিলাম শক্তি স্বামর্থকে কাজে লাগিয়ে ছেলেকে, নাতি-নাতনি, ছেলের বউকে খাইয়েছি। এখন বয়স হয়েছে। আগের মতো কাজ করে সংসারে টাকা-পয়সা দিতে পারি না। সেজন্য তাদের চোখেও ভালো হতে পারছি না। ”
আগুন দীর্ঘশ্বাস ছাড়ে। মনে পড়ে বাবার বলা কথাটা। রাশেদকে কাজ করতে নিষেধ করলে তিনি প্রাই বলতেন, নিজের কাজ নিজে করলে ভুল হওয়ার সম্ভবনা কম থাকে। কাজ করলে শরীর ভালো থাকে। আর মেইন পয়েন্ট হলো যতদিন কাজ করতে পারবো সকলের চোখে ভালো থাকতে পারবো। একবার নিজের অক্ষমতা ধরা পড়লে আপনজনও মুখ ফিরিয়ে নেয়। বাবার কথাটা কতটা সত্যি আর সেটার মর্ম কতখানি আগুন আজ বুঝতে পারলো। যদিও সবাই এক না। তবে তিক্ত হলেও এটাই বাস্তব। আর এটাই চরম সত্যি। আগুন পকেট থেকে হাজার টাকার দুইটা নোট বের করে বৃদ্ধর হাতে তুলে দিল। বলল,
” দাদু, এটা রাখুন। যেটা মন চায় কিনে খাবেন। আপনার যদি কোনো আপত্তি না থাকে তাহলে আমি আপনাকে একটা থাকার ব্যবস্থা করে দিতে পারি। ”
” কোথায়? ”
” আমার এক বন্ধু আছে। তাদের ছোট খাটো একটা বৃদ্ধাশ্রম আছে। সেখানে ভালো যত্ন আত্তি পাওয়া যায়। সেখানে গেলে আপনাকে রাস্তায় ভিক্ষা করতে নামতে হবে না। খাবার থেকে শুরু করে যবতীয় প্রয়োজনীয় জিনিস দেওয়া হবে। আমিও নাহয় মাঝে মাঝে গিয়ে আপনার সাথে দেখা করে আসবো। যাবেন? ”
” যাবো, দাদু ভাই। ”
আগুন হাতে থাকা ফোনটা দিয়ে পরিচিত একটা নাম্বারে কল করল। ওপাশ থেকে রিসিভ হতেই বৃদ্ধর কথাটা তাকে বুঝিয়ে বলল। কথা শেষে আগুন একটা রিকশা ডেকে বৃদ্ধ দাদুকে সেটাতে উঠিয়ে দিল। রিকশা আলাকে ভাড়ার টাকা মিটিয়ে নির্দিষ্ট ঠিকানা দিয়ে বলল, এই ঠিকানায় যেন বদ্ধকে পৌঁছে দেওয়া হয়। আগুন বৃদ্ধর চলে যাওয়ার দিকে তাকিয়ে থেকে নিজের গাড়ির কাছে ফিরে আসে। গাড়ির দরজা খুলতেই পেছন থেকে নাঈমা ডেকে উঠে,
” আগুন, কলেজে যাচ্ছিস বুঝি? আমিও হসপিটালে যাচ্ছি। আমাকে ড্রপ করে দিবি? আজকে গাড়ি আনিনি। না করিস না প্লিজ। ”
আগুন ভ্রু কুঁচকে নাঈমার দিকে তাকায়। হাতঘড়ির দিকে একবার নজর বুলিয়ে গম্ভীর কন্ঠে বলল,
” তোর তো আরো আধা ঘন্টা আগে হসপিটালে থাকার কথা ছিল। এখানে কি করছিস? ”
নাঈমা, আগুনের থেকে পুরোপুরি পারমিশন না নিয়েই গাড়িতে উঠতে উঠতে বলল,
” আরে কিছু কাজে এসেছিলাম। চল এখন যাওয়া যাক। ”
আগুন গিয়ে ড্রাইভিং সিটে বসে পড়ে। নাঈমার হসপিটালের পরই আগুনের কলেজ। তাই আর নিষেধ করল না। নঈমা নিজের মতো বুলি আওড়াচ্ছে। আগুন কিছু বলছে না। চুপ করে ড্রাইভ করছে। হঠাৎ গাড়ি চালানো থামিয়ে দিতেই নাঈমা জিজ্ঞেস করলো,
” কি হলো? ”
” তোর হসপিটালে চলে এসেছি। ”
নাঈমা দেখলো তার হসপিটালের গেইট। মন খারাপ করে বলল,
” এত তাড়াতাড়ি এসে পড়লাম। ”
” তুই হয়তো ভুলে যাচ্ছিস মাঝ রাস্তা থেকে গাড়িতে উঠে ছিলি। কথা না বাড়িয়ে জলদি গাড়ি থেকে নাম। ”
” তুই আজকে কলেজ থেকে কখন ফিরবি? ”
” সেটা যেনে তুই কি করবি? ”
” বলনা? ”
” দুপুরে। ”
” তাহলে, আজকে এক সাথে লাঞ্চ করি প্লিজ? ”
” সম্ভব না। ”
” কেন? ”
” সময় নেই। ”
” তুই তো নিজের ফ্ল্যাটে ব্যাক করেছিস। তাহলে কি প্রবলেম? প্লিজ চল। ব্যস্ততার জন্য তো সময় হয় না। আজকে অন্তত চল। প্লিজ প্লিজ। ”
এতবার বলায় আগুন না করতে পারলো না। ভাবলো এই সুযোগে ওর বিয়ে করার ব্যাপার্টাও ঠান্ডা মাথায় নাঈমাকে বুঝিয়ে বলা যাবে। সেজন্য রাজি হয়ে গেল।
লাঞ্চ টাইমে নাঈমাকে সাথে নিয়ে কলেজে থেকে কিছুটা দূরে বড়সর একটা রেস্টুরেন্টে প্রবেশ করল, আগুন। সেখানে গিয়ে পরিচিত কয়েকজন ফ্রেন্ড এবং তারই কলেজের একজন কলিগের সাথে দেখা হয়ে গেল। আগুন তাদের সাথে কুশল বিনিময় করল। সবাই এক টেবিলেই বসেছে। আগুনের পাশের চেয়ারটায় নাঈমা বসেছে। ইচ্ছে করেই বসেছে। যাতে আগুনের কাছাকাছি থাকতে পারে। খাবার অর্ডার দিয়ে সবাই মিলে গল্প করা শুরু করে দিয়েছে। আগুন তেমন কিছু বলছে না। শুধু হেসে হেসে তাদের কথার জবাবে হুম, হ্যাঁ বলে উত্তর দিচ্ছে। খাবার আসতেই সবাই খাওয়া শুরু করে দিয়েছে। নাঈমা খাচ্ছে আর আড় চোখে আগুনের দিকে বারবার তাকাচ্ছে। আগুনের কলিগ রাফি ব্যাপার্টা খেয়াল করেছে। ওদেরকে প্রায় সময়ই এক সাথে দেখেছে সে। রাফি ভেবেই নিয়েছে নাঈমা, আগুনের গার্লফ্রেন্ড। রাফি মনেমনে নাঈমাকে খুব পছন্দ করে। তবে কখনো বলার সাহস হয়ে উঠেনি। নাঈমার তাকানোতে আগুনের অস্বস্তি হচ্ছে। চেয়েও কিছু বলতে পারছে না। ফ্রেন্ডসরা আছে এখানে। ধমক দেওয়াটা বেমানান। ভেবেছিল মোমের কথাটা নাঈমাকে জানাবে তবে এখন আর সম্ভব হবে বলে মনে হচ্ছে না। আজকে বরং থাক, অন্য দিন বলা যাবে। কৈ মাছের কা’টা বাছতে বাছতে আগুনের এক বন্ধু বলল,
” কিরে আগুন! তোর মনের আগুন জ্বলবে কবে? সেই সাথে তোর বংশের বাতি জ্বলবে কবে? বয়স তো কম হলো না। প্রায় ত্রিশ হতে চলল। বিয়ে করবি কবে? আমরা বিয়ে করে বাচ্চার বাবা হয়ে গেলাম আর তুই এখনো লাইফ পার্টনার কেমন চাস সেটাই ডিসাইড করে উঠতে পারলি না। ”
” আমার বয়সি মেয়েরাই এখনো বিয়ে করার নাম নিচ্ছে না। সেখানে আমিতো ছেলে। ”
আগুনের কথায় নাঈমা বিষম খেলো। আগুন কি তাকে মিন করে কথাটা বললো? নাঈমা বলল,
” হয়তো সেই মেয়েরা তোর মতো কোনো হিরোর অপেক্ষাতেই আছে। আশেপাশে ভালো করে নজর রাখ। ঠিক বুঝতে পারবি। ”
আগুন ফিচেল হাসলো। প্রতি উত্তরে কিছু বললো না। খাবারে মনোযোগ দিল। রাফি বলল,
” তা আগুন সাহেব, কোনো মেয়ে পছন্দ আছে নাকি? ”
” হ্যাঁ, আছে। ”
আগুনের কথায় নাঈমা খুশি হলো। নিশ্চই তার কথা বলছে। নাঈমা কপালের সামনে আসা চুল গুলো কানের পিঠে গুজে চেয়ারটা আর একটু টেনে আগুনের কাছাকাছি বসলো। মুচকি হেসে জিজ্ঞেস করলো,
” তা সেই ভাগ্যবতী রমণীটি কে শুনি? আমাদের ফ্রেন্ডসদের মধ্যে কেউ বুঝি? ”
আগুন ঠোঁট কামড়ে হাসে। চোখের সামনে ভেসে উঠে মোমের স্নিগ্ধ মুখশ্রী। কন্ঠ খাঁদে এনে বলল,
” নাহ! আমাদের ফ্রেন্ডসদের মধ্যে সে নেই। সে তো প্রাণঘাতী এক কন্যা। আমার মনের আঙিনায় তার বসবাস। চোখ বুঝলেই হৃদয়ের আয়নায় ভেসে উঠে তার ছোট্ট নিষ্পাপ মুখ। ”
এ পর্যায়ে নাঈমার মুখভঙ্গি বদলে গেল। সিরিয়াস হয়ে জিজ্ঞেস করলো,
” তার মানে, তোর আগে থেকেই কাউকে পছন্দ ছিল? কোথায়? কখনো তো বলিসনি? ”
” অনেক আগে থেকে পছন্দ থাকলে তো বলতাম। রমণীটি বক্ষস্থলে জায়গা করে নিয়েছে সপ্তাহ খানেক হলো। ”
নাঈমা অবাক হয়ে বলল,
” কি বলছিস? ”
আগুন শব্দ করে হেসে ফেললো। টিস্যু দিয়ে হাত মুছে বলল,
” মজা করছিলাম। আমার লেইট হচ্ছে। ফিরতে হবে। আসছি। ”
নাঈমার মনে খটকা লাগলো। আগুন মজা করছে বিষয়টা ঠিক হজম হচ্ছে না। আচ্ছা, সত্যিই আগুনের জীবনে অন্য কোনো নারী নেই তো? থাকলে তাকে জাস্ট খু*ন করে ফেলবে ও। আগুন গাড়ির চাবি হাতের এক আঙুলে ঘুরাতে ঘুরাতে রেস্টুরেন্ট থেকে বেরিয়ে আসলো। তক্ষুনি মনে পড়ল মোমের কথা। ও তো বলেছিল দুপুরে চলে আসবে। রান্না করতেও নিষেধ করেছিল।
শুভ্ররাঙা ভালোবাসা পর্ব ৯
যদিও মোম বলেছে সে রান্না করবে। আগুন ভাবলো হয়তো মোম রান্না করেছে। খেয়ে এতক্ষণে নিশ্চই ঘুমিয়ে পড়েছে। মেয়েটা যা ঘুমকাতুরে। তবুও রেস্টুরেন্টে পুনরায় গিয়ে তিন প্যাকেট বিরিয়ানি নিয়ে আসলো। দোকান থেকে কিছু চিপস আর চকলেট কিনে নিলো। বাড়িতে থাকতে ময়ূরী মোমকে চকলেট খেতে দিয়েছিল। আগুন সেটা দেখেছিল। মেয়েটা কত তৃপ্তি করে খেয়েছিল। হয়তো চকলেট তার খুব পছন্দ। সেজন্যই এগুলো কিনে নিলো।