শেষ থেকে শুরু পর্ব ২৪

শেষ থেকে শুরু পর্ব ২৪
Sabihatul sabha

জবা আলগোছে শুয়া থেকে উঠে বসলো।
হাত উঁচু করে এলোমেলো চুল গুলো হাতের মুঠোয় নিয়ে খোঁপা করে সামনে তাকালো।
ড্রেসিং টেবিলের সামনে দাঁড়িয়ে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে অভ্র।
জবা বিছানার পাশে টি-টেবিলের উপর থেকে ফল কাটার ছুরিটা হাতে নিয়ে উঠে দাঁড়ালো।
ধীর পায়ে এগিয়ে এসে ছুরিটা হাল্কা করে চেপে ধরলো অভ্রর গলায়।
অভ্র মুচকি হেঁসে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে জবার দিকে।
জবা চেয়েছে অভ্র ভয় পাক, অভ্রের চোখে সে ভয় দেখতে চেয়েছে অথচ ছেলেটা হেঁসে তাকিয়ে আছে।
‘ তোমার সাহস কি করে হয় পারমিশন না নিয়ে চোরের মতো আমার রুমে প্রবেশ করার!’
অভ্র জবার চোখের দিকে তাকিয়ে বলে উঠলো, ‘ এখন তোমাকে পাক্কা ডাকাত রাণী লাগছে, ডাকাত রাণী কি জানে না চোর চুরি করার আগে পারমিশন নেয় না ‘

জবা বোকার মতো বলে উঠলো, ‘ তাহলে কি চুরি করার পরে নেয়!.? ‘
অভ্র উচ্চ শব্দে হেঁসে উঠলো, ‘ পারমিশন নিলে এটাকে চুরি কিভাবে বলে..বোকা রাণী.?’
জবা রেগে ছুরিটা আরও একটু চেপে ধরে হয়তো ছুরিটা ধারালো ছিল অভ্রর গলার কিছু অংশ কেটে গেছে হাল্কা রক্ত দেখা যাচ্ছে,’ আমার নাম নিরুপমা নিরু তোমার এইসব ফালতু নামে ডাকবে না। এখনো তোমার আচরণ নিব্বাদের মতো রয়ে গেছে। ‘
অভ্র গম্ভীর কন্ঠে বললো ‘ তুমি নিব্বি হলে আমি নিব্বার আচরণ করলেই দোষ! এখানে নিব্বাদের মতো কিই বা বললাম.? তুমি যা তাই ত বলছি।’
অভ্র জবার চোখের সামনে পরে থাকা চুলগুলো সরিয়ে দিতে হাত বাড়াতেই জবা চোখ রাঙ্গিয়ে বলে উঠলো, ‘ খবর্দার হাত বাড়াবে না, হাত ভেঙে দিব তোমার ‘

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

অভ্র হাত গুটিয়ে নিল। এমনিতেই গলায় ছুরি ধরে আছে, ছুরির আঘাতে গলায় হাল্কা জ্বলছে। এই মেয়ের উপর বিশ্বাস নেই পাক্কা গুন্ডি মেয়ে, এমনি এমনি ত আর পুরো সিআইডি ডিপার্টমেন্ট একটা মেয়েকে ভয় পায় না!
জবা অভ্র গলা থেকে ছুরি নামিয়ে চোখ রাঙ্গিয়ে আঙ্গুল অভ্রর চোখের সামনে রেখে বললো,’ জবারাণী, ডাকাত রাণী, বোকা রাণী এইসব ফালতু নামে আমাকে ডাকবে না। আমি আজ থেকে শুধু মাত্র নিরুপমা নিরু ‘
‘ জবা নামটা ত আমারি দেওয়া ছিল ‘ রক্তজবা’ শেষ পর্যন্ত আমার দেওয়া নামেই আমার বাড়িতে আশ্রয় নিলে। মনে মনে আমাকে এতো ভালোবাসতে কখনো বলোনি ত!’
‘ তোমাকে ভালোবাসব আমি.? জেগে জেগে স্বপ্ন দেখছো.? এতোটাও খারাপ দিন আসেনি আমার!’
অভ্র জবার মুখের দিকে তাকিয়ে বললো,’ তাহলে আমার দেওয়া নামেই কেন নিজেকে রাঙিয়ে রাখো.? কেন চোখ সরিয়ে নাও.?”

‘ শুধু মাত্র নিজের লক্ষে পৌঁছানোর জন্য নামটা ব্যাবহার করেছি, আপনার এইসব ফালতু আলাপ শেষ হলে আসতে পারেন’
” চুলগুলো বেঁধে নাও খুবই ভয়ংকর লাগছে, এলোমেলো শাড়ি খোলা চুল ডাইনী ডাইনী লাগছে।”
ঝগড়া করার মাঝে কখন চুলগুলো ছুটে গেলো!
জবা চুলগুলো খোঁপা করে নিল। মুগ্ধ চোখে তাকিয়ে এই সুন্দর দৃশ্যটা মনে একে নিল অভ্র।
জবা অভ্র কে এভাবে তাকিয়ে থাকতে দেখে রেগে বললো,’ তোমার ত নজরও ভালো না বের হও রুম থেকে। না হয় ডাইনী ঘার মটকাতেও খুব ভালো পারে । ‘

অভ্র জবার এমন কথায় থতমত খেয়ে গেলো। সে কখন খারাপ নজরে তাকালো.? সে ত শুধু…
জবা অভ্রর সামনে ছুরি ধরে বলে উঠলো, ‘ যাবে নাকি আবার গলায় ছুরি বসাবো.? অসভ্য ছেলে মাঝ রাতে একটা মেয়ের রুমে আসতে লজ্জা করলো না.? অহ্ কাকে কি বলছি তোমার লজ্জা থাকলে ত করবে।’
অভ্র এক হাত দিয়ে কপাল স্লাইড করে এদিক ওদিক তাকিয়ে জবার হাত ধরে ছুরিটা বুকের বা পাশে ধরলো।
‘ এক কাজ করো তুমি তোমার কথার আঘাতে আমাকে খু’ন না করে ছুরিটাই বুকে বসিয়ে দাও’
‘ একি আল্লাহ তোমার এতো বড় সাহস!’
জবার মুখের রিয়াকশন দেখে অভ্র ভয় পেয়ে গেলো। সে আবার কি বললো.?
‘ কি হয়েছে ‘
‘ তুমি! তুমি আমার হাত কোন সাহসে ধরেছো.?’

অভ্র একটা হতাশার শ্বাস ফেলে জবার হাত ছেড়ে দিল। জবা এখনো ঠোঁট গোল করে, চোখ বড় করে নিজের হাতের দিকে তাকিয়ে অভ্রর দিকে তাকিয়ে বললো,’ আমি কালই তোমাকে আমার স্পেশাল থেরাপির রুমে নিয়ে থেরাপি দিব তোমার মাথায় থাকা সকল কুবুদ্ধি বেরিয়ে যাবে।’
‘ জবা কি বলছো তুমি নিজে জানো.? এতো ছোট একটা বিষয় এতো বড় করে কেন দেখছো.? আমার মাথায় কিছু প্রশ্ন ঘুরছিল তাই এসে ছিলাম জিজ্ঞেস করতে অথচ তুমি কি থেকে কি ভেবে নিচ্ছ! আমার চরিত্র খারাপ নয়, আমি একজন ডাক্তার অথচ তুমি এমন আচরণ করছো মনে হচ্ছে কোনো ধ*** তোমার সামনে দাঁড়িয়ে আছে। ‘
জবা অভ্রর দিকে তাকিয়ে বাঁকা হেঁসে বললো, ‘ আজ আপনি এই শহরের এক নম্বার হার্টের ডাক্তার হতে পারেন কিন্তু আজ থেকে ছয় বছর আগের সেই রাতে আপনি একজন ধ**** ছিঃ ভাবতেও আমার ঘৃণা হয়।’
অভ্র রাগে জবার কোমর চেপে ধরে নিজের সাথে মিশিয়ে নেয়। জবার কানে ফিসফিস করে বলে উঠে, ‘ কোনো এক সকালে যদি তোমার চোখে সবটা মিথ্যা মনে হয়.? পৃথিবীর সবচেয়ে শুদ্ধ পুরুষ, পবিত্র পুরুষ আমাকে মনে হয়..? নিজের এমন চিন্তা ভাবনার জন্য যদি নিজেকে অপরাধী মনে হয়.? তখন যদি এই আমিটা আর না থাকি.? তুমি কি সবকিছুর জন্য আপসোস করবে না.?

জবা অভ্র কে নিজের থেকে ছাড়ানোর জন্য ধাক্কা দেয় তবে কিছুই লাভ হয় না। এক চুলও নড়ে না অভ্র।
‘ না হবে না কারণ তুমি এমনটাই, আমার ভাবনার থেকেও জঘন্য! আর আমার এই ভাবনায় কোনো ভুল নেই। ভেবে ছিলাম ভালো হয়ে গেছো কিন্তু বেলীর সাথে যেটা করলে তারপর থেকে তোমাকে দেখলেই ঘৃণা হয় আমার। এর শাস্তি তোমাকে আমি দিব শুধু অপেক্ষা করো, নারীদের অপমান করা,অসম্মান করা তোমার রক্তে মিশে গেছে। তোমার জন্য একটা মেয়ে বেঁচে আছে তবে ভালো করে খেয়াল করলে দেখবে সে মৃত।
অভ্র বিষাদ ভরা চাহনিতে তাচ্ছিল্যের হাসি দিয়ে বলে উঠলো, ‘ আমি ত তোমার সামনে দাঁড়িয়ে আছি আমাকে কেন খেয়াল করলে না কখনো.? আমি ত তোমার চোখে ঘৃণা দেখেই মরে গিয়ে ছিলাম সেই দিন।’
জবা অভ্র কে ধাক্কা দিয়ে বললো,’ তোমার নাটক শেষ হলে বেরিয়ে যাও’

অভ্র দরজার সামনে দাঁড়িয়ে গম্ভীর কন্ঠে বলে উঠলো, ‘ যাকে এতো ঘৃণা করো তাকেই কাল চুমু খেয়ে ছিলে তাও ঠোঁটে এটা কেমন ঘৃণা! আদরও করো আবার ঘৃণাও ।’
জবা অবাক হয়ে কিছু বলার জন্য মুখ খুলতেই অভ্র বড় বড় পা ফেলে চোখের আড়াল হয়ে গেলো।
জবা রাগে দরজা শব্দ করে বন্ধ করে চোখ মুখ খিঁচে বলে উঠলো, ‘ অসভ্য পুরুষ! নিজেই খেয়ে ছিল আর এখন আমাকে দোষ দিচ্ছে! ছিঃ বলে নিজের ঠোঁট বার বার ঘষতে শুরু করলো।

সকাল থেকে বাড়িটা জমজমাট মনে হচ্ছে। অনেকদিন পর মনে হচ্ছে বাড়িটা নিজের আসল রুপে ফিরে এসেছে।
লতিকা কে ফিরিয়ে এনেছে। রান্না ঘরে শার্লিন বেগম আর লতিকা মিলে নাস্তা করছে।
শার্লিন বেগম বেলীর জন্য কফি নিয়ে ওর রুমে গেলো। মেয়েটা কেমন হয়ে গেছে কারো সাথে কথা বলে না, নিচে আসে না সারাক্ষণ রুমে আঁটকে থাকে। বাড়িতে এর মধ্যে একের পর এক ঝামেলা চলছেই। শার্লিন বেগম ভেবেছে ঝামেলা সব মিটে গেলে বেলীকে নিয়ে দূরে কোথাও ঘুরতে যাবে।
কুলসুম বেগম সোফায় বসে চা খাচ্ছেন পাশেই শফিক সাহেব পেপার পড়ছে।

বাড়িতে প্রবেশ করলো আয়ান। সে রাতে মায়ের এইসবের জন্য লজ্জায় আর বাড়িতে ফিরেনি। আসিফ, অভ্র কে সে সব সময় নিজের ভাইয়ের মতো দেখেছে সেখানে ওর আম্মু কিভাবে পারলো এমনটা করতে.?
আয়ান একবার ওর আব্বুর দিকে তাকালো। লোকটাকে আয়ান তেমন পছন্দ করে না। মনে হয় না বুঝ হওয়ার পর কখনো এক জায়গায় বসে দুইটা কথা বলেছে উনার সাথে। লোকটার বউ জেলে অথচ তাকে দেখে মনে হচ্ছে কিছুই হয়নি এমনো মানুষ হয়! শতহক, যতবড় অন্যায় করুক তার ত স্ত্রী!
আয়ান কুলসুম বেগমের দিকে তাকালো না। মায়ের এমন অপরাধে নিজেকে বাড়ির সবার সামনে ভীষণ ছোট কিছু মনে হচ্ছে।

আয়ান সোজা চলে গেলো নিজের রুমে।
বেলী তখন বারান্দায় দাঁড়িয়ে কফি খাচ্ছে। আয়ান সোজা ওয়াশরুমে চলে গেলো।
আয়ান ফ্রেশ হয়ে মোবাইল হাতে নিয়ে বিছানায় বসলো।
বেলী ধীর পায়ে রুমে আসলো। আয়ান কে দেখে বিরক্ত হয়ে বারান্দায় আবার চলে যেতে ধরলে আয়ান গম্ভীর কন্ঠে বলে উঠলো, ‘ বেলী মাথাটা ধরে আছে এক কাপ চা নিয়ে আয়’
বেলীর ইচ্ছে করলো মুখের উপর পারবো না বলে দিতে। মনের কথাটা গলা পর্যন্ত আসতেই গিলে নিল বেলী। আয়ানের এমন গম্ভীর কন্ঠ বলে দিচ্ছে ওর মন মেজাজ তেমন ভালো নেই কথা বাড়াতে আর ইচ্ছে করলো না বেলীর সে বেরিয়ে গেলো।

আসিফ বসে নাস্তা করছে কুলসুম বেগম নিজ হাতে ছেলের সবকিছু এগিয়ে দিচ্ছেন৷ মৃত ছেলে হঠাৎ জীবিত হয়েও ফিরে এসেছে মায়ের কোলে।
অভ্র রেডি হয়ে নিচে আসলো হসপিটাল যাবে। কুলসুম বেগম ওকেও বললো নাস্তা করে যেতে। অভ্র হাতের ঘড়ির দিকে তাকিয়ে বললো,’ সময় নেই আম্মু এমনিতেই লেইট হয়ে গেছে। ‘
আসিফ বললো সেও যাবে অভ্রর সাথে। হসপিটালের রাস্তায় ওর কিছু কাজ আছে।
অভ্র আসিফ বেরিয়ে গেলো।
বেলী চা নিয়ে উপরে আসলো। আয়ান বেলীর থেকে চায়ের কাপ নিয়ে বললো,’ মাথাটা ধরে আছে একটু টিপে দে ত’
বেলীর প্রচন্ড রাগ হলো।

‘ তোমার মাথা ধরে আছে আমাকে কি তোমার কাজের লোক মনে হয়!.?’
আয়ান ল্যাপটপ বন্ধ করে বেলীর দিকে তাকালো।
‘ তোকে কাজের লোক কেন ভাবতে যাব.? এটা খুবই সাধারণ বিষয় ছিল বেলী!’
‘ তোমার কাছে সব কিছুই সাধারণ মনে হয় তাই না.? ‘
‘ বেলী আমি এখন ঝগড়া করতে চাচ্ছি না’
‘ আর আমি তোমার মুখটাও দেখতে চাচ্ছি না! কন্ঠটাও শুনতে চাচ্ছি না’

আয়ানের মাথার যন্ত্রণায় চোখ গুলো অসম্ভব লাল হয়ে আছে। মনে হচ্ছে চোখে পানি ছলছল করছে। অথচ পুরুষের যে কান্না করা নিষেধ! আয়ান যে ভেতর ভেতর একদম শেষ হয়ে যাচ্ছে সেটা কেন কেউ দেখছে না.? কেন বুঝছে না.? শখের নারী হারালো! চোখের সামনে থেকেও তাকে চাওয়া যে আজ অন্যায়, প্রাণের চেয়েও প্রিয় মায়ের এমন রুপ! এমন সত্যি সামনে আসলো! সত্য এতো ভয়ংকর হয় কেন.? মানুষটাকে ভেতর থেকে ভেঙে চুরমার করে দেয়! তার উপর শখের নারীর আসল পরিচয় সবকিছু জেনো আয়ান কে ভেতর ভেতর ভেঙে চুরে দিচ্ছে। না কাউকে বলতে পারছে আর না কেউ বুঝছে।

বেলী আয়ানের চোখের দিকে তাকিয়ে থমকে গেলো। কিছু বলার ভাষা হারিয়ে ফেললো।
বেলী কিছু বলার আগেই দরজা থেকে কেউ বলে উঠলো, ‘ বেলী নিচে যাও ছোট তোমাকে ডাকছে’
বেলী দরজার দিকে তাকিয়ে দেখলো কুলসুম বেগম দাঁড়িয়ে আছে।
বেলী কিছু বলতে চাইলে কুলসুম বেগম ইশারায় আবারও বেরিয়ে যেতে বললো।
বেলী চুপচাপ বেরিয়ে গেলো।
কুলসুম বেগম আয়ানের পাশে বসে মাথায় হাত বুলিয়ে বললো,’ আমার কোলে মাথা রেখে শুয়ে পড়ো আসিফ, অভ্রের মতো, আমি টিপে দিচ্ছি।’
আয়ান মাথা নিচু করে আছে।
কুলসুম বেগম ফের বললো,’ তুমিও আমার আরেক ছেলে আয়ান, মা’য়ের কোলে মাথা রাখতে পারো।’
এই সময় হয়তো এইটা খুব বেশি প্রয়োজন ছিল আয়ানের।

জবা একটা অন্ধকার রুমে প্রবেশ করতেই রুমের লাইট জ্বলে উঠলো।
সেই রুমে একটা ছোট টেবিল আর দুই পাশে দুইটা চেয়ার রাখা।
একটা চেয়ারে বসে আছে শায়েলা সিদ্দিকী।
জবার গায়ে কালো শার্ট আর জিন্সের প্যান্ট, মাথায় কালো ক্যাপ।
জবা সোজা এসে শায়েলা সিদ্দিকীর বরাবর চেয়ারটায় পায়ের উপর পা তুলে বসলো।
তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলো শায়েলা সিদ্দিকী।
জবা আশেপাশে তাকিয়ে বললো,’ আমার লোকেরা আপনার আপ্যায়ন ঠিক মতো করেছে ত.? চা, কফি সাথে শরবত কিছুর কমতি পরেছে কি.?

শায়েলা সিদ্দিকী জবার কথার পিঠে বাঁকা হেঁসে রুমের চারপাশে তাকিয়ে বললো,’ আমাকে এখানে নিয়ে আশার কারণটা কি.? আমি ত পুলিশের হেফাজতে থাকার কথা।’
জবার পাশে আলিফ দাঁড়িয়ে আছে। জবা শায়েলা সিদ্দিকীর টেবিলের উপর একটা ডায়েরি রেখে বলে উঠলো, ‘ আপনি ত আমার শিকার, আমার শিকার কে আমি পুলিশের উপর ছেড়ে দেই কিভাবে.? ওই সব আইনকানুন আমি নিজেই তৈরি করি। আমার নিজের নির্দিষ্ট আদালত, উকিল,জর্জ, শাস্তির মঞ্চ আছে।
শায়েলা সিদ্দিকী জবার কথা শুনে রেগে টেবিলের উপর দুই হাত রেখে বলে উঠলো, ‘ তুমি আসলে কি চাচ্ছ!.? সবটাই আমাকে এই পর্যন্ত আনার জন্য তোমার প্ল্যান ছিল তাই না!.? আগুন নিয়ে খেলছো মেয়ে পুড়ে ছাই হয়ে যাবে!’

শেষ থেকে শুরু পর্ব ২৩

জবা শায়েলা সিদ্দিকীর কথা শুনে উচ্চস্বরে হেঁসে উঠলো। হাসি থামিয়ে ডায়েরির দিকে ইঙ্গিত করে বললো,’ বেশি কিছু চাচ্ছি না আপাতত শুধু আমার মায়ের খুনিদের চাচ্ছি! দেখি কতোটুকু পুড়তে পারি আর কতোটুকু পুড়াতে পারি!’
শায়েলা সিদ্দিকী ভ্রু কুঁচকে ডায়েরির দিকে তাকালো। উপরে সুন্দর করে রঙিন কলমে খুদাই করে লেখা ” মায়া তালুকদার ”
সাথে সাথে শায়েলা সিদ্দিকী চোখ মুখ ভয়ে রক্তশূণ্য ফ্যাকাসে হয়ে গেলো।

শেষ থেকে শুরু পর্ব ২৫