সঙ্গীন হৃদয়ানুভুতি ২য় খন্ড পর্ব ৭
Jannatul Firdaus Mithila
“আফনে আমারে কই নিতাছেন? ছাড়েন আমার হাত।ছাড়েন কইতাছি! ”
সুজনের একের পর এক হম্বিতম্বিতেও কাজ হচ্ছে না কোনো। সামনের গুরুগম্ভীর মানুষটা তার একহাত চেপে ধরে সজোরে টেনে নিয়ে যাচ্ছে কোথাও। মানুষটার দ্রুত হাটার গতিতে সমান তাল মিলাতে না পেরে দুয়েকবার উপুড় হয়ে পড়তে গিয়েও কোনরকমে বেচে গিয়েছে সুজন। সামনের মানুষটাতো শুধুমাত্র হাঁটছে না, রীতিমতো দৌড়াচ্ছে। বেচারার হাতটা এতোটা জোরে চেপে ধরেছে, যেন এই বুঝি কব্জি খুলে পড়লো! সুজন বারকয়েক চেষ্টা চালায় হাত ছাড়াবার কিন্তু নাহ! লোকটা বোধহয় নিজের সর্ব শক্তি দিয়ে চেপে ধরে রেখেছে হাতটা।
সুজন এবার কিছুটা ভয় পেলো। শুকনো ফাঁকা ঢোক গিলে যেই না চেঁচাতে যাবে ওমনি তার মুখটা হাত দিয়ে চেপে ধরে রৌদ্র। সুজন গোঙাতে থাকে। রৌদ্রের আগুন চোখে তাকিয়ে আরও ভয় পেলো ছেলেটা। রৌদ্র সুজনের মুখটা চেপে ধরে তাকে বাড়ির পেছনের দিকে নিয়ে যায়। বলাবাহুল্য, বাড়ির পেছনের দিকটা খানিকটা জঙ্গলের মতো। উঁচু উঁচু গাছপালার উপস্থিতির জন্য জঙ্গলের ভেতরের দিকে কিছু দেখতে পাওয়া বড় দায়! তারওপর এখন ভর সন্ধ্যা। একটু পড়েই রাতের আধার নামবে। এমনেতেই দিনের বেলায় এখানে কেও তেমন একটা আসে না, সেখানে এই রাতের বেলা কেও থোড়াই আসবে! তাইতো এই সুযোগটাই কাজে লাগালো রৌদ্র।
আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন
জঙ্গলের প্রায় অনেকটা গভীরে গিয়ে থামলো রৌদ্র। সুজনের মুখটা এখনো চেপে রেখেছে ও। রৌদ্র নিজের পকেট হাতড়ে রুমালটা বের করে নেয়।তারপর রুমালটা চেপে ধরে সুজনের মুখে। সুজন গোঙাতে থাকে। হাত বাড়িয়ে চেষ্টা চালায় রুমালটা সরাতে কিন্তু পারছে না ছেলেটা। রৌদ্র তাকে দিচ্ছেই না রুমালটা সরাতে। রৌদ্র এবার অধৈর্য্য হয়ে পরপর সুজনের নাক বরাবর সজোরে কয়েকটা ঘুষি মেরে বসে। তৎক্ষনাৎ ছেলেটা ব্যাথায় মাটিতে উবু হয়ে বসে গোঙাতে থাকে। রৌদ্র থামলো না। সে আশেপাশে ব্যস্ত চোখে পরখ করে অদূরে থাকা একটা শুকনো গাছের ঢাল কুড়িয়ে বেধড়ক মারতে থাকে সুজনকে। সুজন ছটফটাতে থাকে মাটিতে শুয়ে। হাত দিয়ে বাধা দেওয়ার চেষ্টা চালায় অনবরত। রৌদ্র আবারও ফুঁসে ওঠে। সুজনের সামনে হাঁটুগেড়ে বসে, একটানে সুজনের গায়ের শার্টটি ছিড়ে ফেলে।তারপর কোনরুপ কালবিলম্ব না করে সেই ছেড়া শার্ট দিয়েই সুজনের হাতদুটো শক্ত করে বেধে দেয়। এর মধ্যে সুজন বাঁধা দিতে চাইলে আবারও মার খায় ছেলেটা। রৌদ্র নিজের কাজটা শেষ করে উঠে দাড়ায়। হাত বাড়িয়ে কাঠের টুকরোটি নিয়ে উল্টে পাল্টে দেখে কটমট করে বললো,
” আল্লাহ তোরে কতবড় কলিজা দিয়ে পাঠাইছে রে! ভাবা যায়? কতবড় কলিজার মালিক হলে ইফতেখার এহসান রৌদ্রের কলিজায় হাত দিতে গিয়েছিলি? ”
সুজন হতভম্ব চোখে তাকিয়ে রইলো রৌদ্রের পানে। এতক্ষণে সে এটুকু তো বেশ বুঝতে পেরেছে যে রৌদ্র তাকে কেন মারছে। কিন্তু সে এটা বুঝে নি, তাকে এতোটা জঘন্যভাবে মারবে। রৌদ্র একপলক তাকালো সুজনের দিকে। তারপর চোখের পলকের ব্যাবধানে আবারও মারতে শুরু করে সুজনকে। সুজন নিজের সর্বস্ব দিয়ে গোঙাতে থাকে কিন্তু এই গহীন জঙ্গলে আদৌও কি কারো কানে যাবে সেই গোঙানির শব্দ?
বেশকিছুক্ষন মারার পর রৌদ্র থামলো। সুজনের সামনে বসে, ছেলেটার চুলগুলোকে মুঠোয় নিয়ে দাত কিড়মিড় করে বলতে লাগলো,
” তোর ভাগ্য ভালো এটা গ্রাম। তা নাহলে আজকে তোর দাফন করিয়ে ছাড়তাম আমি। ”
সুজন পিটপিট চোখে তাকিয়ে রইলো রৌদ্রের দিকে। শরীরের অসহ্য ব্যাথায় তার অবস্থা এখন মূর্ছা প্রায়। মিনিট খানেক পর আবারও তার কানে আসলো রৌদ্রের শক্ত কন্ঠ,
” আজকে এখানে যা-ই হয়েছে তা যদি ভুলেও কারোর কানে তুলিস তাহলে মনে রাখবি দ্বিতীয়বার পৃথিবীতে নিশ্বাস নেওয়ার সুযোগ আমি তোকে দিবো না।”
সুজন ভড়কালো। ভীত নয়নে তাকিয়ে রইলো রৌদ্রের শক্ত হয়ে থাকা লম্বাটে মুখপানে। সে মাথা নাড়িয়ে সায় জানায় রৌদ্রের কথায়। তা দেখে রৌদ্র বাঁকা হাসলো। তারপর সটান হয়ে দাড়িয়ে হাতে থাকা কাঠের টুকরোটি দিয়ে সুজনের বেধে রাখা বামহাতে ইচ্ছেমতো মারতে লাগলো। সুজন আরেকদফা ছটফটিয়ে উঠলো। ছেলেটার নাকমুখ ফেটে রক্ত বের হয়ে যাচ্ছে তা-ই অবস্থা!
রৌদ্র তাকে মারতে মারতে বিরবির করে বললো,
” যে হাত আমার সানশাইন কে ছুঁয়েছে, সে হাতকে আমি অক্ষত রাখি কি করে বলতো?”
ধরনীতে রাতের আধার নেমেছে। চারপাশের বাঁশ-ঝাড় থেকে ধেয়ে আসছে নাম না জানা অসংখ্য পোকার ডাক। রৌদ্র বাড়ির পাশের পুকুর থেকে যতটা সম্ভব হাত-পা পরিষ্কার করে নেয়। হাতে-পায়ে বিভিন্ন জায়গায় রক্তের ছিটেফোঁটা লেগে আছে, সেগুলোকে পরিষ্কার না করলে কি আর হয়? প্রায় মিনিট পাঁচেক পর রৌদ্র বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করে। ঠিক তখনি তার সামনাসামনি হাজির হন কবির সাহেব। মানুষটার মুখভঙ্গি গম্ভীর। তিনি রৌদ্রকে সরু চোখে আপাদমস্তক দেখে নিয়ে বললেন,
” শরীর এমন ভেজা কেন তোমার? আর এতক্ষন ছিলেই বা কোথা তুমি ? ”
রৌদ্র প্রতিত্তোরে কিছুক্ষন মৌন রইলো। খানিক পরে মৌনতা ভেঙে বললো,
” গ্রামটা একটু ঘুরে দেখতে গিয়েছিলাম আব্বু। আর গরম লাগছিলো তাই হাতমুখ ধুয়ে আসলাম।”
কবির সাহেব ছেলের কথা বিশ্বাস করলেন কি-না কে জানে! তিনি কেমন বাজপাখির দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলেন রৌদ্রের দিকে। রৌদ্র হয়তো আচ করলো ব্যাপারটা।তাই সে আর কিছু না বলে সরে গেলো সেখান থেকে। কবির সাহেব একদৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলেন ছেলের যাওয়ার পথে। ঠিক তখনি তার বুক চিড়ে বেরিয়ে আসে এক অজানা কারণবশত দীর্ঘ নিশ্বাস।
” হেলো! রুহি? কেমন আছো? ”
এপাশ থেকে রেহানের কলটি রিসিভ করে মৌন রইলো রুহি। মেয়েটা রেগে আছে রেহানের ওপর। কাল থেকে মানুষটা শুধু মেসেজেই কথা বলে যাচ্ছে, এপর্যন্ত একটাবার কল অবধি দিলো না। তাইতো সে কোন কথাই বলবে না লোকটার সাথে। সে কথা না বলে থাকতে পারলে ও কেন পারবে না?
ওপাশ থেকে রেহান স্পষ্ট টের পাচ্ছে প্রিয়তমার অভিমান। সে ঠোঁট কামড়ে মুচকি হাসলো। হালকা গলা খাঁকারি দিয়ে বললো,
” আমার শ্যামবতী টা কি রাগ করেছে?”
রুহি এখনো নিশ্চুপ। নাহ, আজকে আর কোন মিঠা কথায় গলবে না ও। নাকটা আরেকটু ফুলিয়ে বসে রইলো চুপচাপ।
ওপাশ থেকে রেহান আবারও বললো,
” জান, ও জান! কথা বলবা না? সরি না শোনা! ”
রুহি এবার ফিক করে হেসে দেয়। রেহানের ওমন মিষ্টি কথায় মেয়েটার রাগ বুঝি ছুটে পালালো কোথাও। বরফের মতো রাগ গুলো একেবারেই গলে পানি! ওপাশ থেকে রেহান চুপটি করে শুনলো মেয়েটার হাসি। তারপর নিজেও একটা প্রশান্তির হাসি টেনে বললো,
” শ্যামবতী! তোমার জন্য একটা সারপ্রাইজ আছে। ”
চট করে রুহি সোজা হয়ে বসলো। অধীর হয়ে জিজ্ঞেস করলো,
” কি সারপ্রাইজ? ”
রেহান রহস্যময় হাসলো। আলতো কন্ঠে বললো,
” তোমার বাড়ির বাহিরে সারপ্রাইজ পাঠিয়েছি তোমার জন্য। গিয়ে নিয়ে এসো। আর হ্যা, খবরদার! শুধু তুমিই যাবে।”
রুহি খানিকটা চিন্তিত হলো। বললো,
” রেহান এতো রাতে…..”
রেহান রুহির কথা মাঝপথে থামিয়ে নিজেই বলা শুরু করলো,
” জান, কিচ্ছু হবে না। তুমি জাস্ট যাবে আর নিয়ে আসবে।”
রেহানের এতবার করে বলায় রুহি হার মানলো।রাজি হলো বাড়ির বাহিরে যেতে। রেহানকে বলে ফোনটা কেটে দিয়ে চলে যায় বাড়ির বাহিরের উদ্দেশ্যে।
প্রায় মিনিট পাঁচেক পর গুটি গুটি পায়ে বাড়ির কেঁচি গেইটের সামনে এসে থমকে যায় রুহি।সামনে অনিককে পায়তারা করতে দেখে হাসফাস করতে থাকে মেয়েটা। অনিক হাটতে হাটতে ঘাড় ঘুরিয়ে পাশে তাকাতেই রুহিকে দেখতে পায়। রুহির দিকে তাকিয়ে মুচকি হেসে বলে ওঠে,
” যা, তোর সারপ্রাইজ বাহিরে ওয়েট করছে। আমি এখানে দাড়াচ্ছি।”
রুহি অবাক হয়। অনিককেও তাহলে সারপ্রাইজের ব্যাপারে আগে থেকেই সবটা জানিয়েছে রেহান। রুহি হাফ ছেড়ে নিশ্বাস ফেলে। এখন আর বাইরে যেতে ভয় নেই তার।রুহি এগিয়ে যায় কেচি গেটের বাইরে। গ্রাম হওয়ায় ইতোমধ্যেই রাস্তাটা সুনশান হয়ে গেছে।রুহি আশে-পাশে নজর ঘুরিয়ে কিছু দেখতে না পেয়ে চলে যেতে নেয় ঠিক তখনি পেছন থেকে কেও একজন তার চোখ আটকে ধরে। রুহি হকচকিয়ে ওঠে। ব্যাকুল কন্ঠে বলে ওঠে,
” কে. কে আপনি? ”
মানুষটা মুচকি হেসে রুহির কানের কাছে মুখ এনে ফিসফিসিয়ে বলে,
” তোমার বর”
মুহুর্তেই জমে যায় রুহি।কাঁপা কাঁপা গলায় বললো,
“রেহান?”
রেহান মুচকি হাসলো। রুহির চোখ ছেড়ে দিয়ে তাকে নিজের দিকে ফেরালো। তারপর একদৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলো রুহির মুখপানে। অন্যদিকে রুহি এখনো হতভম্ব। মেয়েটার বুঝি কিছুতেই বিশ্বাস হচ্ছে না, রেহান তার সামনে। সে তার কাঁপা হাত রেহানের গালে রেখে বললো,
” এটা সত্যিই আপনি? ”
রেহান মৃদু হেসে রুহির হাতটা চেপে ধরে। অতঃপর নিজেদের মাঝের দুরত্ব ঘুচিয়ে ঠোঁট ছুয়ে দেয় রুহির মসৃণ ললাটে।রুহি আবেশে চোখ বন্ধ করে নেয়। রেহান প্রায় অনেকটা সময় নিয়ে ঠোঁট সরায়। রুহির দিকে তাকিয়ে মুচকি হেসে বলে,
” এবার বিশ্বাস হলো?”
রুহি পরপর মাথা ঝাকায়। ছলছল চোখজোড়া রেহানের ওপর নিবদ্ধ করে বলে,
” এতো রাতে কি করে এলেন আপনি? ”
রেহান ফোঁস করে নিশ্বাস ফেলে। রুহির হাতটা টেনে নিজের বুকে চেপে ধরে বলে,
” হাহ! নিজের বউকে দেখতে কি আর দিন অথবা রাত আছে মেডাম? যখন মনে পড়ে তখনই দেখতে ইচ্ছে করে। ধরে নিন এখনো তাই হলো।”
রুহি ভেজা চোখে হাসলো। রেহানের টানা চোখদুটোয় তাকিয়ে রইলো কিয়তক্ষন। তারপর বললো,
” আপনি একটা পাগল রেহান! এতো রাতে এতদূর আসা কিন্তু মোটেও ঠিক করেননি আপনি! ”
রেহান ঠোঁট কামড়ে হাসে। চোখ ছোট ছোট করে বলে,
” হুম আমি পাগলই তো! তোমার একান্ত পাগল।”
রুহি রেহানের এরূপ কথায় খিলখিল করে হেসে ওঠে। তার এমন প্রান কাড়া হাসির দিকে মোহাবিষ্ট নয়নে তাকিয়ে রইলো রেহান। রুহির হাসির মাঝেই রেহান ঘোরলাগা কন্ঠে বললো,
” এভাবে হেসো না শ্যামবতী, আমার যে এখনো বিয়েই হয়নি।তোমার হাসি দেখলে যে নিজেকে সামলানো বেশ কঠিন ”
সহসা থমকে যায় রুহি। হাসি মুখটায় তৎক্ষনাৎ এসে ভিড় জমায় রাজ্যের সব লজ্জা! রেহান সেদিকে তাকিয়ে আবারও বলতে লাগলো,
” উফফ! এখন তো মনে হচ্ছে সত্যি আমি ভুল করে ফেললাম ”
রুহি অবাক হয়ে তাকালো রেহানের দিকে।নয়নে তার একরাশ জিজ্ঞাসাবোধ। রেহান সেটা অবলোকন করে আরেকটু এগিয়ে আসে।রুহির গালে আলতো হাত ঠেকিয়ে বলে বসে,
” এভাবে কেন আমায় পাগল করো শ্যামবতী? তুমি কি জানো না, তোমার ঐ লজ্জা রাঙা মুখ বারবার আমায় পাগল করে, বারবার কাছে ডাকে।কেন প্রতিবার আমায় এতোটা অসহায় করে দাও শ্যামবতী?”
রুহি এমন কথায় লজ্জায় হাসফাস করতে থাকে। মাথানিচু করে ফেলে সহসা। রেহান রুহির থুতনিতে আঙুল রেখে মাথাটা আবারও উপরে তুলে। আবদার করে বসে এক ভিন্ন চাওয়ার,
” শ্যামবতী! একটা ছোট্ট চুমু খাই?”
সঙ্গীন হৃদয়ানুভুতি ২য় খন্ড পর্ব ৬
রুহি লজ্জায় কুন্ঠে যায়। চিবুক আবারও গলায় এসে ঠেকলো তার। রেহান সবটা দেখলো।মুচকি হেসে রুহির মুখের ওপর আসা অবাধ্য চুলগুলো কানের পিঠে গুজে দিলো।তারপর টুপ করে একটা চুমু বসিয়ে দিলো রুহির গালে। রুহি কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে দাড়িয়ে রইলো কয়েক সেকেন্ড।তারপর ঘটে যাওয়া ঘটনা সম্পূর্ণ বোধগম্য হতেই লজ্জায় হাসফাস করতে করতে রেহানের বুকে আছড়ে পড়ে মেয়েটা। বাহ! কি সুন্দর। লজ্জা নিবারনের জন্য বেশ জায়গায় লুকালো মেয়েটা।রেহান আলতো হাতে জড়িয়ে ধরে মেয়েটাকে।তারপর ফিসফিস করে বলতে থাকে,
” শ্যামবতী! তোমার প্রতিটি লজ্জা নিবারনে তুমি নাহয় আমার এই বুকটায় ঠায় নিয়ো।আমি দরকার হয় সারাজীবন তোমার লজ্জা ভাঙিয়ে যাবো।”