সিন্ধুতে সন্ধির খোঁজে পর্ব ৩

সিন্ধুতে সন্ধির খোঁজে পর্ব ৩
জাওয়াদ জামী

” আম্মা! আপনি এসেছেন! আমি ভাবতেই পারিনি অসুস্থ শরীর নিয়ে আপনি এতদূর আসবেন। মেজো ভাবী, কেমন আছো তুমি? এত দেরি করে আসলে যে? সকাল থেকে তোমাদের পথ চেয়ে বসে আছি আমি। ” রাখি আক্তার মাকে দেখে আনন্দে কেঁদে ফেলল। মাকে জড়িয়ে ধরল। এরপর মেজো ভাবীর সাথে কথা বলতে শুরু করল।
” গতরাত থেকে আম্মার শরীরটা খারাপ ছিল। তাকে সুস্থ করে তবেইনা রওনা দিয়েছি। আম্মার শরীর খারাপ ছিল, তাই আমরাও যে ভালো ছিলামনা এটা নিশ্চয়ই বুঝতে পারছ? ” হাসিমুখে জবাব দিলেন তাহমিনা আক্তার।

” বুঝেছি। ভেতরে এস। আম্মা, ভেতরে চলুন। ভালো কথা, তাহমিদ কোথায়? ওকে তো দেখছিনা? ও বলেছিল তোমাদের সাথেই আসবে। ”
” ওর বন্ধু অ্যাকসিডেন্ট করেছে। তাই বন্ধুকে ফেলে আপাতত কোথাও যাবেনা। ছেলেটা একটু সুস্থ হলেই সে আসবে। ”
” রাখি, নিহান নানু ভাইকে দেখছিনা যে? ও কি বাড়িতে নেই? আর আনানই বা কোথায়? ” ক্ষীন গলায় জানতে চাইলেন আয়েশা সালেহা৷
” নিহানকে ওর বাবা বাহিরে পাঠিয়েছে৷ আনান বাড়িতেই আছে। আপনি ভেতরে আসেন, আম্মা। ” রাখি আক্তার একপাশ থেকে মায়ের হাত ধরল। আরেকপাশ থেকে তাহমিনা আক্তার ধরলেন শ্বাশুড়িকে। দুজন মিলে আয়েশা সালেহাকে ভেতরে নিয়ে গেলেন।

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

” রাখি, সবাইকে খেতে ডাক। আর কতক্ষণ খাবার নিয়ে বসে থাকবে? ” আফরোজা নাজনীন রাখি আক্তারকে বললেন।
” সত্যিই খুব ক্ষুধা লেগেছে। তার ওপর বড় ভাবী রান্না করেছে শুনে ক্ষুধা আরও বেড়ে গেছে। কতদিন একসাথে সবাই মিলে খাইনা। আজকে সবাই একসাথে বসে খাব। রাখি, তুমি বারান্দায় মাদুর বিছিয়ে দাও৷ ” নিয়াজ মাহমুদ সায় জানিয়ে বললেন।
” লাভ নেই, নিয়াজ। খাবারগুলো তোমার পছন্দ অনুযায়ী রান্না হয়নি। তোমার আদরের বড় ভাবী তার আদরের বাপের পছন্দের খাবার রান্না করেছে। তার আদরের বাপ না আসায় এখন খাবারগুলো আমাদেরই গলাধঃকরন করতে হবে। বিশ্বাস না হলে, তাকে জিজ্ঞেস করে দেখতে পার। তার কাছে যদি পুরো দুনিয়া একদিকে হয়, তবে আরেকদিকে থাকবে তার বাপ। তার অতি আদরের বেয়াদব বাপ। ” সাদিক আহমেদ রাশেদীন মুখ গোমড়া করে বললেন।

স্ত্রীর বড় ভাইয়ের দিকে তাকিয়ে অনেক কষ্টে হাসি চেপে রাখলেন নিয়াজ মাহমুদ। ভদ্রলোক যে স্ত্রীকে রাগানোর জন্যই কথাগুলো বলেছেন এটা বুঝতে পারছেন তিনি।
” নিয়াজ, তুমি এই লোকের কথায় কান দিওনা। খেতে বস। তার ইচ্ছে হলে খাবে, ইচ্ছে না হলে খাবেনা। কার জন্য কি কি রান্না করেছি, এটা তাকে না দেখলেও চলবে। আমার রান্না করা খাবার তার পেট ভরাতে পেরেছে কিনা এটাই মূখ্য। অযথা কেন আমার ছেলেটাকে হিংসা করে? ছেলেটা এখনো এসে পৌঁছাতেই পারলনা, কিন্তু এদিকে হিংসার জাহাজ নিয়ে বসেছে এই ভুঁড়িওয়ালা। ”
আফরোজা নাজনীনের কথা শুনে হো হো করে হেসে উঠলেন সাবির আহমেদ রাশেদীন। কিন্তু বড় ভাইয়ের দিকে চোখ পরতেই ঠোঁটে আঙুল দিয়ে হাসি থামালেন। সাদিক আহমেদ রাশেদীন তার দিকে চোখ কটমট করে তাকিয়ে আছেন।

” ভাবী, এটা ভিষণ অন্যায়। আমরা সকলেই জানি বড় ভাই খেতে পছন্দ করেন। তুমি তার পছন্দের খাবার রান্না করবে কিনা, কিন্তু সেটা না করে তাহমিদের পছন্দের খাবারগুলো রান্না করেছ। এটা ভিষণ অন্যায়। যদিও আমরা চিংড়ির মালাইকারী, রুই মাছের কালিয়া, সরিষা ইলিশ খেতে ভিষণ পছন্দ করি। তুমি এক কাজ করতে পার, বড় ভাইয়ের জন্য ডিম ভুনা করে দিতে পার। ভাই এতকিছু খেতে নিশ্চয়ই পছন্দ করবেনা। তাইনা, ভাই? ”
” সাবির? তুমি যদি আর একটাও কথা বল, তবে কিন্তু আমি এই মুহূর্তে চিটাগং ফিরে যাব। ” দাঁত কিড়মিড়িয়ে বললেন সাদিক আহমেদ রাশেদীন।
” আর বলবনা। এই যে ঠোঁটে আঙুল রাখলাম। ” ঠোঁটে আঙুল রাখলেও হাসি চেপে রাখতে পারলেননা সাবির আহমেদ রাশেদীন।
দুই ভাইয়ের কান্ড দেখে হাসছেন নিয়াজ মাহমুদ। তিনি সাদিক আহমেদ রাশেদীনের চার ভাইয়ের মধ্যকার সম্পর্ক দেখে বরাবরই অবাক হন। চার ভাইয়ের মধ্যে নেই কোন হিংসা, রেষারেষি। বউদের মধ্যেও তাই। সকলেই বড় জা কে সম্মান করে। সবাই তার কথা মেনে চলে। বিপদেআপদে একে-অন্যের পাশে দাঁড়ায়। তিনি নিজের দুর্ভাগ্যের কথা ভেবে গোপনে দীর্ঘশ্বাস ছাড়লেন। একই মায়ের পেটের ভাইবোন হয়েও ভাইদের সাথে রাখি আক্তারের আকাশপাতাল তফাৎ।

” এই যে মা, তোমার কুহুকে এনেছি। সাথে করে এই দুই পিচ্চিকেও ধরে বেঁধে এনেছি। ” সিক্তা একহাতে কুহুকে ধরে রেখেছে, আরেক হাতে ধরেছে শিহাবকে।
” খুব ভালো কাজ করেছিস। কুহু, দৃষ্টি, শিহাব তোমরা এস। সবার সাথে খাবে। ”
ওদের তিন ভাইবোনকে দেখে রাখি আক্তার বিরক্ত হলেও ভাই-ভাবী সামনে থাকায় কিছুই বলতে পারলনা। সিক্তা ততক্ষণে কুহুকে নিয়ে বারান্দায় উঠে গেছে। শিহাব, দৃষ্টিও ওদের পিছুপিছু বারান্দায় উঠল।
” দৃষ্টি, শিহাব তোরা এসেছিস? কুহু, কেমন আছো মা? ” তাহমিনা আক্তার এগিয়ে এসে শিহাবকে কাছে টেনে নিলেন।
কুহু বারান্দায় বড়মার চার ভাইকেই বসে থাকতে দেখল। সে সবাইকে সালাম দিয়ে কুশলাদি জানতে চাইল।

” তুমি কায়েসের মেয়ে! কত বড় হয়ে গেছ! সেই ছোটবেলায় তোমাকে দেখেছিলাম। তোমার মায়ের অসুস্থতার কথা শুনেছিলাম। কিন্তু কাজের চাপে দেখতে যাওয়ার সময় পাইনি। পরে একদিন শুনলাম কায়েস অ্যাকসিডেন্ট করেছে। সময় করে তোমার বাবা-মা দুজনকেই দেখতে গেলাম। তুমি সেদিন হসপিটালে ছিলেনা। শুধু দৃষ্টি আর শিহাবের সাথে দেখা হয়েছিল। এতটুকুন বয়সেই তোমরা কত কষ্ট সয়েছ, এটা ভাবতে গেলেই আমি অসুস্থ হয়ে যাই। তুমি কিসে পড়ছ, মা? ” সাদিক আহমেদ রাশেদীন শিহাবকে নিজের কোলে নিয়ে কুহুকে জিজ্ঞেস করলেন।
” অ্যাডমিশনের প্রস্তুতি নিচ্ছি। ” কুহু আর কিছু বলতে পারলনা।
” এসএসসি, এইচএসসি পরীক্ষায় তোমার রেজাল্ট কি ছিল, মা? কোন স্কুল কলেজে পড়াশোনা করেছ? ”
” দুটোতেই বিভাগীয় পর্যায়ে সেকেন্ড হয়েছিলাম। ভিকারুননিসায় পড়েছি। আজিমপুর শাখায়। ”
” বাহ্ বাহ্। কায়েসের মতই মেধাবী হয়েছ তুমি। মন দিয়ে পড়াশোনা কর। ভালো প্রতিষ্ঠানে চান্স পেতে হবে কিন্তু। ”
” দোয়া করবেন। ”

বেশ কিছুক্ষণ সবার সাথে গল্প করল কুহু। আফরোজা নাজনীন আর সাদিক আহমেদ রাশেদীন ছাড়া তাদের বাড়ির প্রত্যেককেই মোটামুটিভাবে চেনে কুহু। ওরা ঢাকায় থাকতে নিয়মিত দুই পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল। যদিও কুহু তাদের বাসায় দুই-একবারের বেশি যায়নি। কিন্তু দৃষ্টি, শিহাব মাঝেমধ্যেই যেত। স্কুল-কোচিং এ দিনের অধিকাংশ সময় কাটত কুহুর। তাই খুব একটা বেড়াতে যেতোনা কোথাও।
এরইমধ্যে কুহুর সাথে সিক্তার মধ্য বেশ ভালো সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। সিক্তা কুহুকে ‘ তুই ‘ বলে ডাকতে শুরু করেছে। কিন্তু কুহু ইতস্তত করছে। ও এমনিতেই ইন্ট্রোভার্ট টাইপের। তার ওপর বড়মার ভয় তো আছেই। কিন্তু সিক্তা নাছোড়বান্দা। ও কুহুকে ‘ তুই ‘ বলিয়েই ছাড়বে বলে প্রতিজ্ঞা করেছে।
রাখি আক্তার বারান্দায় মাদুর বিছিয়ে দিল। তাহমিনা আক্তার এবং তার আরেক জা শাহনাজ পারভীন খাবার এনে রাখছেন। নিহানের বিয়ে উপলক্ষে তারা চার জা এসেছেন।

” কোকিলা, এসেছিস? আজকাল তোর দেখা পাওয়া দুষ্কর হয়ে গেছে। ” আনান সিক্তার মাথায় গাট্টা মেরে কুহুকে জিজ্ঞেস করল।
একে একে সবাই এসে বসল। আফরোজা নাজনীন আগেই শ্বাশুড়িকে খাইয়ে দিয়েছেন। ননদের অনুরোধে তিনি খাবার পরিবেশন করছেন।
নিহান এসে শিহাবের পাশে ফাঁকা জায়গায় বসল। আরেকপ্রান্তে দৃষ্টি মাথা নিচু করে বসে আছে। দৃষ্টিকে একনজর দেখে দীর্ঘশ্বাস গোপন করল সে। এই মেয়েটিকে ওর কখনোই পাওয়া হবেনা ভাবলেই বুকের ভেতরটা দুমড়েমুচড়ে যায়। অব্যক্ত বেদনারা ডানা ঝাপটায় বুকের খাঁচায়। বিচ্ছেদের করুন সুরের লহরী হিল্লোল তোলে হৃদ মাঝারে। গলা ফাটিয়ে স্রষ্টার কাছে জানতে ইচ্ছে করে, সে যদি আমারই না হবে, তবে কেন হিয়ায় প্রেম নামক মরিচীকার জন্ম দিয়েছিলে? কেন হৃদয় খাতার প্রতিটি পাতায় ‘ দৃষ্টি ‘ নামটি আজীবনের জন্য লিখে দিয়েছিলে? এসব ভাবনা অহরহ নিহানের মনে আছড়ে পরে। কোন এক অদৃশ্য বাঁধায় স্রষ্টার কাছে অভিযোগ জানানোও হয়না। অদমনীয় কষ্ট বুকে লালন করে ওকে বাঁচতে হবে ধরায়।

” নিহান, খাচ্ছিসনা যে? রান্না বুঝি মজা হয়নি? ” কোমল গলায় জিজ্ঞেস করলেন আফরোজা নাজনীন।
মামীর গলা শুনে চমকে তার দিকে তাকায় নিহান। মলিন হেসে বলে,
” তোমার হাতের রান্না যে খারাপ বলবে, তার জিভ কেটে নেয়ার জন্য ঐ একটা কারনই যথেষ্ট। ”
নিহানের কথার সাথে সায় জানাল প্রত্যেকেই। হাসি, গল্পে খাচ্ছে তারা। আফরোজা নাজনীন লক্ষ্য করলেন সবাই হাসলেও নিহানের মুখে হাসি নেই। তার চোখ গেল তাহমিনা আক্তারের দিকে। তিনিও নিহানকেই লক্ষ্য করছেন। মুহূর্তেই দুই জা এর চোখে চোখে কথা হল। কাকপক্ষীতেও সেটা টের পেলোনা৷

” বড়মা, এই ভুঁড়িওয়ালা ভদ্রলোক এখানে এসেও কি শুয়ে-বসেই দিনাতিপাত করছে? ”
গা জ্বালানো হাসি দিয়ে জিজ্ঞেস করল তাহমিদ। ও কিছুক্ষণ আগেই এসে পৌঁছেছে ফুপুর বাড়িতে। আসবার পর থেকেই বড় চাচার পেছনে লেগে আছে।
” আহ্ তাহমিদ, এগুলো কোন ধরনের কথা? বড় চাচাকে সম্মান দিয়ে কথা বলতে হয়, সেটা কি ভুলে গেছিস তুই? কতদিন পর চাচার সাথে দেখা হল, কোথায় তুই তার সাথে বসে গল্প করবি, সেটা না করে তার পেছনে লাগছিস! তুই কবে বড় হবি বলতো? ” ছেলেকে ধমক দিলেন তাহমিনা আক্তার।

” তাহমিনা, তোমার এই বেয়াদব ছেলেকে আমার সাথে কথা বলতে নিষেধ করে দাও। এই বেয়াদবের জন্যই আমি নিহানের বিয়েতে আসতে চাইনি। কিন্তু তোমার জা, সেই মহিলা নিজে মহীয়সী সাজবার জন্য আমাকে জোর করে নিয়ে এসেছে। অথচ সে ভালোভাবেই জানত, তার বেয়াদব বাপ আমার পেছনে কলকাঠি নাড়তে সর্বদাই এক পায়ে খাড়া থাকে। এসব ষড়যন্ত্র আমি বুঝিনা মনে করেছ? এরা দু’জন মিলে আমাকে নাকানিচোবানি খাওয়ানোর প্ল্যান করেছে৷ ”

” খবরদার সিনিয়র রাশেদীন, আমার বড়মাকে নিয়ে কোন কথা হবেনা। ”
” একশোবার বলব, দরকার পরলে হাজার বলব। তুমি কি করবে শুনি? ”
” কিছুই করবনা। শুধু বড়মাকে তোমার বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যাব। আমি মা আর বড়মাকে নিয়ে আলাদা বাড়ি নিয়ে থাকব। ”
” তাদেরকে আলাদা বাড়িতে রাখার মুরোদ আছে তোমার? নাকি শুধুই গালগল্প ঝাড়ছ? ”
” এই সিনিয়র রাশেদীন, তোমার কি স্মৃতি লোপ পেয়েছে? তুমি বোধহয় ভুলে গেছ আমি মেডিকেল স্টুডেন্ট। আমি চাইলেই কয়েকটা টিউশনি করাতে পারি। সেই টিউশনির টাকা দিয়েই মা বড়মার ভরণপোষণ করতে পারি। দেখবে নাকি আমার মুরোদ? আমি বলামাত্রই বড়মা আমার প্রস্তাবে রাজি হয়ে যাবে এটা দুনিয়ার সবাই জানে। ”
” বাপ, তুই এই ভদ্রলোকের সাথে কথা না বলে একটু ভেতরে আয় । তোর জন্য পাঞ্জাবি কিনেছি। গায়ে দিয়ে দেখতো ঠিক আছে কিনা? ”

” কিসের পাঞ্জাবি, বড়মা? ”
” নিহানের গায়ে হলুদে পরার জন্য। ”
” নির্দিষ্ট কোন ড্রেস কোড আছে নাকি? ”
” হুম। ছেলেরা হালকা সবুজ রঙের পাঞ্জাবি আর মেয়েরা সবুজ শাড়ী পরবে। ”
” বড়মা, আমি নিহানের বড় ভাই হয়ে এখনো বিয়ের দরজায় পৌঁছাতে পারলামনা। কিন্তু ছোট ভাইয়ের দিব্যি গায়ে হলুদের আয়োজন করছ তোমরা। আমার সিচুয়েশন বুঝতে পারছ তুমি? ছোট ভাইয়ের হলুদে অবিবাহিত বড় ভাই ড্যাং ড্যাং করে ঘুরে বেড়াচ্ছে, এটা কেমন দেখায়না? ”
” আফরোজা, এই বেয়াদবটাকে এক্ষুনি বাড়ি থেকে বের করে দাও। বড়দের সামনে বিয়ে হয়নি বলে আফসোস করছে! লজ্জা লাগছেনা ওর? এমন লজ্জাহীন ছেলে দুইটা দেখিনি আমি। ”

” কাম অন, সিনিয়র রাশেদীন। আমার বয়সে তুমি রীতিমত শ্বশুর বাড়িতে নায়র করেছ। শ্বাশুড়ির হাতের মজার মজার খাবার খেয়ে ভুঁড়ি বাগিয়েছ। আর সেই তুমিই কিনা আমাকে লজ্জাহীন বলছ? তোমার বাবা-মা সচেতন ছিল, তাই তোমাকে সঠিক বয়সে বিয়ে করিয়েছে। আবার সেই তুমিই আমাকে বিয়ে না করিয়ে অবিবেচকের পরিচয় দিচ্ছ। ” কথাটা বলেই তাহমিদ বড়মার পেছনে গিয়ে লুকাল।

সিন্ধুতে সন্ধির খোঁজে পর্ব ২

সাদিক আহমেদ রাশেদীন এদিকসেদিক তাকালেন লাঠির খোঁজে। কিন্তু তাকে হতাশ হতে হল। বাধ্য হয়ে তিনি খালি হাতেই তেড়ে গেলেন তাহমিদের দিকে। বড় চাচাকে আসতে দেখেই তাহমিদ দৌড়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে গেল।

সিন্ধুতে সন্ধির খোঁজে পর্ব ৪