সুখময় যন্ত্রণা তুমি পর্ব ২৭

সুখময় যন্ত্রণা তুমি পর্ব ২৭
neelarahman

ঠিক এক মিনিট ধরে চু*মু খেলো সায়মন ।এক মিনিট পর ধীরে ধীরে রিমাকে ছেড়ে দিলে রিমা কিছুটা সময় নিল ধাতস্থ হওয়ার ।সায়মন তাকিয়ে আছে রিমার দিকে।কিছু বুঝে ওঠার আগেই শুরু হল সাইমনের উপরে অ*ত্যাচার চ*ড় থা*প্পর ঘু*সি একটাও যেন থেমে নেই ।
রিমা একনাগারে বলতে লাগলো ,”বাইরে লু*চ্চামি করবি গার্লফ্রেন্ড আছে বাসায় বিয়ে করবি তোর এত বড় সাহস হলো কেন তুই আমাকে চু*মু খেলি শ*য়তান?

সাইমন যেন অবাক হওয়া ভুলে গেলো।এক রিমা ওকে তুই করে বলছে দ্বিতীয়তঃ এত ছোট হওয়া সত্ত্বেও বয়সে চ*ড় থা*প্পর ঘু*ষি মা‘‘‘রতে মার‘‘তে সাইমনকে নিয়ে বিছানায় ফেলে দিল। নীলা রহমান
সাইমনের উপর চড়ে কলার ধরে ঝাকাতে ঝাকাতে বলল ,”তোর এত বড় সাহস কেন তুই বাইরে প্রেম করে বেড়াস আর আমার ঠোটে চু*মু খেলি ?আমার জীবনে প্রথম চুমু*টা এখন ফিরত দে ফেরত দে চু*মু ?শয়*তানের বাচ্চা বলতে গিয়েও আবার থেমে গেল রিমা।
সাইমন এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইল রিমার দিকে ।রিমার হাত দুটো চে*পে ধরে রেখেছে সায়মন ।কিছুক্ষণ আগেই রিমা বারবার এভাবে আক্রমণ করায় রিমাকে বিছানায় ফে*লে দিয়ে রিমার উপরে হালকা ঝুকে হাত দুটো বিছানা চে‘‘পে ধরে রেখেছে সায়মন ।

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

জোরে জোরে নিশ্বাস নিতে নিতে বলল ,”মে‘‘রে ফেলবি তোকে তো আমি সহজ সরল মেয়ে মনে করেছিলাম তুই তো পুরো একটা ডা”কিনি।
আর চু*মু খেয়েছি চু*মু এখন কিভাবে ফেরত দিব আমি ?ঠিক আছে তারপরও তোর যেহেতু ফেরত লাগবে চু*মু ফেরত যা এখনই দিয়ে দিচ্ছি ।তুইও কি মনে রাখবি আমি কোনদিন কারো কাছে ঋণী থাকি না তোর কাছে ঋণী থাকবো না ।”
বলেই সাথে সাথে আবার রিমার ঠোঁট আঁক*ড়ে ধরল সায়মন।

ক*ষে একটা চু*মু খেয়ে রিমাকে ছেড়ে দিল রিমা যেন অবাক হতো ভুলে গেল । ফিরত দিতে বলেছিল কি মহাভুলটাই না করেছে রা‘‘গের মাথায় রিমা ।ও তো আরো এই সুযোগে আরও একটা খেয়ে বসল ।রিমা এবার ভ্যা ভ্যা করে কেঁদে দিল বলল ,”তুই আমাকে আবার চু*মু খেলি?”
সাইমন এবার রিমার কানের কাছে ফিসফিস করে বলল ,”একদম কান্না করবি না সবাই শুনে ফেলবে ।আর সাহসের কি আছে এখানে ?চু*মু খেয়েছি ১০১ বার খাব যখন আমার ইচ্ছা হবে তখন আমি খাব।
তোর সাথে তো আমি কথা বলতে এসেছিলাম বারবার সময় দিয়েছিলাম সুযোগ দিয়েছিলাম তুই একটিও গ্রহণ করিস নি।

আর আমার কোন গার্লফ্রেন্ড নেই আর সুদূর ভবিষ্যতে আমার কোন বিয়েও হচ্ছে না তবে এতটুকু শিওর থাক আমার সব কা*জ তোকেই করতে হবে ।
তুই আগে করেছিস তাহলে এখন থেকে তোকেই করতে হবে যদি খালি একবার বলিস তুই কা*জ করতে পারবি না তাহলে এই ভাবেই তোর উপরে চু*মুর বৃষ্টি হবে।”
বিছানায় শুয়ে আছে হুমায়ুন রহমান ও নওরিন আফরোজ ।হুমায়ূন রহমান ভাবছেন ছেলের কথা ।বিছানায় এপাশ-ওপাশ করছেন ঘুমাতে পারছেন না ।নওরিন আফরোজ আমতা আমতা করে বলল ,”জেগে আছেন ?একটি কথা বলতে চাইছিলাম।”

হুমায়ূন রহমান এমনি জেগে ছিল তাই বলল ,”হ্যাঁ বলো তুমি ঘুমাও নি কেনো?”
নওরিন আফরোজ বলল ,”আপনি ও তো ঘুমান নি। আচ্ছা আপনার সাথে একটি খুব গুরুত্বপূর্ণ কথা বলতে চাইছিলাম জানিনা কিভাবে বলবো ।ভ*য় ভ*য় লাগছে অভয় দিলে বলতাম।”
“এত ভনিতা করে তো কখনো অনুমতি নিয়ে কথা বলনি আমার সাথে ?আজ এমন কি হলো শুনি ?”বললো হুমায়ূন রহমান।
নওরিন আফরোজ একটু মুচকি হাসলেন ।হেসে বললেন ,”কথাটা তো আপনাদের কলি*জাকে নিয়ে তাই অনুমতি নিয়ে কথা বলতে হয়।”
“কলি*জা মানে কার কথা বলছো রিমা নাকি নুর?”জানতে চাইলো হুমায়ূন রহমান।
“নুরের বিষয় বলতে চাচ্ছিলাম ।অভয় দিলে বলতাম ।” বললো নওরিন আফরোজ।
হুমায়ূন রহমান বলল ,”ভনিতা না করে বল কি হয়েছে ?আবার কি নালিশ নিয়ে এসেছ আমার কলি‘‘জা দের নামে ?”

নরিন আফরোজ বলল ,”এবার কোনো নালিশ নিয়ে আসেনি সমন্ধ নিয়ে এসেছি। সোজাসাপ্টা কথা বলতে চাই নুরকে আমরা বাইরে দেওয়ার কোন ইচ্ছা নাই আমি চাই নুর আমার সাদাফের বউ হয়ে আমার ঘরে আসুক।”
হুমায়ূন রহমান এতটাই অবাক হলেন কিছু বলতে ভুলে গেলেন ।সাথে সাথে বিছানায় চট করে উঠে বসলেন ।বসে স্ত্রীর দিকে তাকিয়ে বললেন ,”কি বললে আরেকবার বলতো ?”
নওরিন আফরোজ আমতা আমতা করে বললেন ,” না মানে আমি চাই নূর সাদাফের বউ হোক ।আমি চাইনা নুর অন্য কোন বাড়িতে যাক আমার বাড়ির মেয়ে আমার বাড়িতেই থাকুক।

ভীষণ মায়াবী ছোটবেলা থেকে আমি ওকে মেয়ের মত মানুষ করেছি আমার একদম সইবে না নুর অন্য কোন বাড়ির বউ হলে ।আর যেখানে আমার ছেলে বিয়ের উপযুক্ত আছে সেখানে আমি অন্য কোন জায়গায় কেন দিব আমার মেয়েকে?”নীলা রহমান
এদিকে ফজলুর রহমান গুরুতর চিন্তায় মগ্ন ।ভাই কি বুঝাতে চাইলেন ?সাদাফ এখনো নুরকে চাইবে ?কিভাবে চাইবে ?যদি চায় তাহলে ফজলুর রহমান কি করবে ?
একমাত্র ভাইয়ের একমাত্র ছেলে বংশের বড় ছেলে সাদাফ।যদি কোন কিছু চেয়ে বসে ফজলুর রহমানের কাছে উনি কি পারবে খালি হাতে ফেরাতে ? কিন্তু নূর যে বড় অবুঝ আর ছোট।

আর তাছাড়া সাদাফ যে মুখ ফুটে বিয়ে করতে চাইলো বললো পাত্রী ঠিক করা আছে ?পাত্রীকে নাকি ওনারা সবাই চিনে তাহলে আসলে কি বুঝাতে চাইলেন ভাই ?এটা ভাবতে ভাবতেই ঘুমাতে পারলো না ফজলুর রহমান।
এদিকে দীর্ঘ সময় পানিতে ভিজে থাকার কারণে নূরের সারা শরীর কাঁপিয়ে জ্বর চলে এসেছে ।সাদাফ পড়ে গেছে মুশকিলে দুষ্টুমি করতে গিয়ে মেয়েটার জ্বর বাঁধিয়ে দিলো।
অনেকক্ষণ ধরে চেষ্টা করছে নুরের জ্বর কমানোর জন্য কিন্তু কেঁপে কেঁপে উঠছে মেয়েটা ।সাদাফ বুঝতে পারছে না কি করবে এই মুহূর্তে রাতে সবাইকে ডাকতে গেলে সবাই অবাক হয়ে যাবে ।নূর কেন এই রুমে এবং ভেজা অবস্থায় সবাইকে কি জবাব দিবে সাদাফ?

তাই সিদ্ধান্ত নিল কাউকে কিছু জানাবে না সারারাত নিজেই সেবা করবে ভোর রাতের দিকে নূরকে রেখে আসবে নুরের রুমে ।
যেই ভাবনা সেই কাজ একটি চাদর দিয়ে প্রথমে নুরকে কভার করে দিল তারপর আলমারি খুলে একটি শার্ট এবং একটি ট্রাউজার বের করে রুমের দরজা লা*গিয়ে দিল।
ঘরের বাতি অফ করে দিল সাদাফ।তারপর চাদরে নিচে একটু একটু করে নূরের জামাটি খো‘‘লার চেষ্টা করল ।ভাগ্যিস পিছনে চেইন দেওয়া জামা ছিল ।পিছনে চেইন খুলে একটু একটু করে জামা পরিবর্তন করে দিল সাদাফ।
নূরের ড্রেস পরিবর্তন করে শুকনো টাওয়েল দিয়ে নূরকে সুন্দর করে মুছিয়ে দিয়ে আরো একটি কম্বল এনে নূরের গায়ে জড়িয়ে দিল সাদাফ।

নূরের কানে ফিসফিস করে বলল ,”আমাকে মাফ করে দিস ।তোর অনুমতি ছাড়া তোকে ছুয়েছি ।তোর ড্রেস পরিবর্তন করেছি। কিন্ত আমার অধিকার আছে তোর উপর।
নূরের ঠোঁটে হালকা করে একটু চু*মু খেলো সাদাফ।তারপর কানে ফিসফিস করে বলল ,”তুই কি শুনতে পাচ্ছিস নুর?আমি তোকে ভীষণ ভালোবাসি।যা বলে প্রকাশ করার ভাষা আমার নেই।তাই শুধু তোকে চেয়েই গেছি রাগ*লের মতো।

সুখময় যন্ত্রণা তুমি পর্ব ২৬

আজ বলছি ভালোবাসি তোকে ভীষণ ভালোবাসি নুর ।এক আকাশ পরিমাণ বা এক সমুদ্র পরিমাণ পরিমাপ করতে পারবো না শুধু জানি নিজের চেয়েও বেশি ভালোবাসি তোকে।”

সুখময় যন্ত্রণা তুমি পর্ব ২৮

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here