সুখময় যন্ত্রণা তুমি পর্ব ৬৮+৬৯

সুখময় যন্ত্রণা তুমি পর্ব ৬৮+৬৯
neelarahman

সোফার রুমে বসে সায়মন ও রিমা একজন অপরের দিকে আড় চোখে তাকাচ্ছে ।কিন্তু এমন একটা ভাব যেন কেউ কারো সাথে কথা বলছে না ।রিমা মনে মনে পন করে ফেলেছে আর কিছুই করে দেবে না ওর রুমেও যাবে না।
ওর কাজের যখন কোন মূল্য নেই ঠিক আছে কিছুই করে দেবে না আর।নিজেরটা নিজে করে নিক ।যখন আবার হাতি গর্তে পড়বে তখন বুঝাবে ঠ্যালা।

সায়মন ও মনে মনে ঠিক করলো এখন থেকে নিজের কাজ সব নিজেই করবে ।কি এমন কাজ করে ?না হয় একটু ঘরটা গোছায় আর কাপড়চোপড় গুলো আয়রন করে দেয় আলমারিতে ভাঁজ করে রেখে দেয় এই তো ।এগুলো নিজেও করতে পারবে।
এদিকে সাদাফ উঠে দাঁড়ালো ।নিজের রুমে যাবে রেস্ট করবে।
সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠছিল সাদাফ।হঠাৎ নুর দৌড়াতে দৌড়াতে হাতে সুপের বাটি নিয়ে আচমকাই পড়ল সাদাফের উপর।

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

সাদাফ সাথে সাথে নূর কে ধরে ফেলল কিন্তু স্যুপ পরে শার্ট নষ্ট হয়ে গেল।
সাদাফ নুরকে সামলে বলল ,”চোখ কোথায় নিয়ে হাটিস? আর একটু হলে তো পড়ে হাত-পা ভেঙে ফেলতি।”
নূর সাথে সাথে নিজেকে সামলিয়ে বলল ,”সরি সরি আপনি ব্যথা পাননি তো ?আল্লাহ আমি তো আপনার শার্ট টা নষ্ট করে দিয়েছি ।পুরো ভিজে গিয়েছে দাঁড়ান এক্ষুনি দিন আমি পরিষ্কার করে দিচ্ছি।”
তুই পরিষ্কার করতে পারবি ?করতে চাইলে নিজের হাতে করবি অন্য কাউকে দিয়ে করাবি না ।না হলে মাকে বলবি বা ছোট আম্মুকে বলবি।

আচ্ছা শোন এই শার্ট টা তুই নিজ হাতে ধুবি।
নুর অবাক হয়ে জানতে চাইলো কেন ?
সাদাফ নূরের কানের কাছে ফিসফিস করে বলল ,”তুই নষ্ট করেছিস তাই তুই ধুবি আর এটা তোর দায়িত্ব। এখন থেকে নিজের দায়িত্ব বুঝে নে।”
নূর লজ্জা পেয়ে গেল ।লজ্জায় বললো ,”আচ্ছা ঠিক আছে তাহলে দিন ।”
সাদাফ বলল ,”ভিতরে আয়।”
নুর বলল ,”আপনি যান আমি আসছি ।”বলেই সাথে সাথে সাদাব উপরের দিকে যেতে শুরু করলো ।নূর সুপের বাটিটা আস্তে করে তুলে নিচের দিকে গেল।
রান্নাঘরে ঢুকতেই বাটি হাতে নিয়ে যেতেই নওরিন আফরোজ বলল ,”কি শব্দ পেলাম? কিভাবে পড়েছে ?পুরো ফেলে দিয়েছিস ?”

সাথে সাথে নুর বলল ,”হ্যাঁ আম্মু সাদাফ ভাইয়ার শার্টের উপরে ফেলে দিয়েছি ।বাটিটা রাখো আর কাউকে দিয়ে পরিষ্কার করিয়ে ফেলো সিড়িটা ।আমাকে সাদাফ ভাই শার্ট নিজ হাতে ধুতে বলেছে।
কথাটি শুনে সাথে সাথে নওরিন আফরোজ মুচকি হাসলো ।নূরের দিকে তাকালো ।দেখতে দেখতে মেয়েটা কত বড় হয়ে যাচ্ছে । একদিন এই সংসারের সাদাফের বউ হয়ে পুরোদমে গৃহিণী হয়ে যাবে ।নতুন করে আবার এবাড়ির বড় বউ হবে নুর ।নুরের মাথায় হাত রেখে বলল ,”আচ্ছা ঠিক আছে যা আমি এগুলো পরিষ্কার করিয়া রাখছি।”

১০ মিনিটের মধ্যেই নূর সাদাফের রুমে দরজা নক করলে সাদা বললো ভিতরে আয় ঢুকেই দেখল শার্ট খুলে চেহারা রেখেছে অন্য একটি টি-শার্ট পরে বসে আছে।
নুরকে রুমে ঢুকতে দেখে সাদাফ বলল ,”ওই যে শার্ট তাড়াতাড়ি গিয়ে পরিষ্কার কর নাহলে আবার দাগ লেগে যাবে ।আমি এখন একটু ঘুমাবো ঠিক পাঁচটার দিকে আমার জন্য কফি নিয়ে আসবি।”
নুর কে এখনো দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে সাদাফ জিজ্ঞেস করলো ,”কিছু বলবি ?”
নুর বলল ,”না দাঁড়িয়ে ছিলাম ।আপনি আরো কিছু বলবেন কিনা ।”
সাদাফ মুচকি হেসে বলল ,”তুই কি ভেবেছিস আবারও তোকে কাছে ডাকবো?
বেশি পাকা হয়ে গিয়েছিস আজকাল ।তাই না ?যা শার্ট টা গিয়ে তাড়াতাড়ি পরিষ্কার কর ।বিকেল পাঁচটা মানে ঠিক পাঁচটায় কফি নিয়ে এসে আমার ঘুম ভাঙ্গাবি।”

নুর মুচকি হেসে সাদাফের দিকে তাকিয়ে বলল ,”আচ্ছা ঠিক আছে ।”
বলেই শার্ট টি বুকের সাথে জড়িয়ে রুম থেকে বের হয়ে যেই দৌড় লাগালো অমনি আবার দেখা হয়ে গেল হুমায়ূন রহমান ও ফজলুর রহমানের সাথে।
ফজলুর রহমান সাথে সাথে বলল ,”তোমার হাতে কি আম্মু ?”
নুর বলল ,”সাদাফ ভাইয়ের শার্ট ।আমাকে ধুতে বলেছে ময়লা লেগে গিয়েছে তাই ।”
ফজলুর রহমান বলল ,”তুমি কেন ধুবে? আর লোক নেই বাড়িতে ধোঁয়ায় ?”নুর বলল ,”আছে কিন্তু আমাকে দিতে বলেছে।”

কথাটা শুনেই সাথে সাথে হুমায়ূন রহমানের কাশি উঠে গেল ।ফজলুর রহমানের দিকে তাকিয়ে কিছু না বুঝার ভান করে বলল ,”আমার কাশি আসছে খুব কথা বলতে পারছি না ।”ফজলুর রহমান বললো,”দেখলেন ভাই সাদাফ কি করছে?
বাড়িতে এত লোক থাকতে ও আমার ছোট্ট মেয়েটিকে দিয়ে নিজের কাপড় ধোয়াচ্ছে ।”

নুর সাথে সাথে বলল ,”না বাবা আমি স্যুপ ফেলে দিয়ে নষ্ট করেছি তো তাই আমাকে ধুতে বলেছে।
আর অনেক না তো শুধু একটি শার্ট ।আমি তো নষ্ট করেছি স্যুপ ফেলে দিয়েছিলাম সাদাফ ভাইয়ের উপরে তাই।” ফজলুর রহমান তাকালেন হুমায়ন রহমানের দিকে ।হুমায়ূন রহমান না বোঝার ভান করে কাশির অভিনয় করতে লাগলো।

নুর সাদাফের শার্ট ধুয়ে নিজের রুমের বারান্দায় মেলে দিয়েছে আর ঠিক পাঁচটায় কফি নিয়ে সাদাফের রুমে এসে নক করবে তখন চিন্তা করলো সাদাফ ভাই তো ঘুমাচ্ছে ।তাই নক করে ঢুকতে হবে না ।
নক না করে ঢুকে পড়ল নূর ।দেখলো সাদাফ ভাই পুরো শিশু বাচ্চাদের মত এক হাত কপালে রেখে আর এক হাত ব্যান্ডেজ করা হাতটি পেটে রেখে সুন্দর করে ঘুমিয়ে আছে।

নুর ধীরে ধীরে কফি টি টেবিলে রেখে এগিয়ে এলো বিছানায় সাদাফের মাথার কাছে।
এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইল নূর। নূর সব সময় সাদাফ ভাইয়ের দিকে এইভাবে তাকাতে পারেনা ।লজ্জা হয় ।ভয় হয় ।এখন তাও একটু দূর থেকে দেখে কিন্তু আগে ওইভাবে দেখতে পেত না ।এখন অবচেতন হয়ে ঘুমাচ্ছে সাদাফ ভাই ।পুরো শিশু বাচ্চার মত ।নূর হাঁটু ভে*ঙ্গে সাদাফের মুখোমুখি হয়ে বসে সাদাফের মুখটি ভালো করে দেখছে।

সাদাফের চুল কপাল ঠোঁট নাক ভ্রু সবকিছু কত সুন্দর । মনোযোগ সহকারে অবলোকন করছে নুর।একটা মানুষ কত সুন্দর হতে পারে !সাদাফ কে মুগ্ধ দৃষ্টিতে তাকিয়ে দেখছে নূর আগে তো কখনো এইভাবে দেখেনি ।ছোটবেলা থেকেই দেখছে কিন্তু ৬ বছর বিদেশে থাকার কারণে এখন যেন নূরের একটু একটু ল*জ্জা লাগে।
সবার কাছ থেকে শুনেছে ছোটবেলা থেকে সাদাফ নুর কে কোলে পিঠে করে মানুষ করেছে ।ওকে কোলে নিয়ে ঘুরতো কাঁধে করে ঘুরতো স্কুলে নিয়ে যেত কলেজে নিয়ে যেত দিনভর কোলে কোলে রাখত ।কিন্তু ছয় বছরে দূরত্বে যখন নূর একটু বড় হল সাদাফ বিদেশ থেকে আসলো তখন হঠাৎ সাদাফের আচরণ একটু পরিবর্তন হওয়ায় নূর ভ*য় পেয়ে যেত এবং ল*জ্জাও পেতো।
ছয়টা বছর তো কম নয় এই ছয় বছরে তো নূর অনেক কিছু ভুলে গিয়েছে ।কারণ সাদাফ যখন বিদেশ যায় তখন নূর নিতান্ত একটি শিশু বাচ্চা।

তাই সবার মুখ থেকে শুনলেও নূরের খুব একটা এসব মনে পড়ে না বা মনে পড়ে শিহরিত হয় না ।কিন্তু বিদেশ থেকে আসার পর থেকে সাদাফের আচরণ নুরকে ভাবিয়ে তুলতো ।সাদাফ হঠাৎ নুর কে ছুয়ে দিতো। প্রত্যেকটা স্পর্শ যেনো অস্থির করে তুলতো নুর কে।ভাবতো সাদাফ ভাই কেন এরকম করে ?তবে এখন একটু একটু বুঝতে পারে একটু একটু কি হয়তো পুরোটাই বুঝতে পারে নুর।সাদাফ ভাই অবশ্যই নূরকে ভালবাসে।
ভালো না বাসলে তো আর এরকম করত না ।নূরের উপর অধিকার খাটাতো না ।অবশ্যই সাদাফ ভাই নূরকে ভালবাসে ।নূর ধীরে ধীরে আর একটু সাদাফের দিকে এগিয়ে এলো ।হাতের একটি আঙ্গুল তুলে কপাল থেকে বেয়ে বেয়ে নাক পর্যন্ত নামলো।

নাক থেকে নামতে নামতে ধীরে ধীরে ঠোঁট পর্যন্ত এসে হঠাৎ নুরের মনে হলো এই ঠোট দিয়ে সাদাফ ভাই ওকে কতবার চু*মু খেয়েছে ।ল*জ্জায় যেন লাল নীল হয়ে গেল নুর ।সাদাফের ঠোটের দিকে তাকাতে পারছে না ।কি সুন্দর ঠোঁট দুটো। হঠাৎ একটা ইচ্ছা হল নুরের।সবসময় সাদাফ ভাই নুরকে আ*দর করে চু*মু খায় নূর যদি একটা ছোট্ট করে চু*মু খায় তাহলে কেমন হবে?এমনিও সাদাব ভাই ঘুমাচ্ছে উনি তো টের পাবে না ।যেমন ভাবনা তেমন কাজ নুর ধীরে ধীরে এগিয়ে এসে ছোট্ট একটু করে হালকা চু*মু খেলো সাদাফের ঠোঁটে।
চু*মু খাওয়ার সাথে সাথে যেন নূরে সারা শরীরে শিহরণ হয়ে গেল ।নুর সাথে সাথে ঠোঁট ছেড়ে উঠবে এমন সময় সাদা নূরের চুলের মুঠি ধরে সাথে সাথে নিজের ঠোঁটের সাথে চে*পে ধরল।নুর সাথে সাথে সাদাফের কলার ধরে বুকে খা*মচে ছোটার চেষ্টা করল কিন্তু সাদাফ নুর কে খুব জোরে নিজে ঠোটের সাথে চে*পে রেখেছে ।ঘন ঘন নিঃশ্বাস নিচ্ছে সাদাফ।সাদাফের উষ্ণ নিঃশ্বাস নুরের মুখে আছড়ে পড়ছে ।এদিকে পা*গলের মত চু*মু খাচ্ছে সাদাফ।

ঠিক মিনিট দুয়েক পর নূরকে ছেড়ে দিয়ে জোরে জোরে নিশ্বাস নিচ্ছে সাদাফ।নূর হাপাচ্ছে ।কিছুক্ষণ পর নূর শান্ত হয়ে সাদাফের দিকে ভয়ে ভয়ে তাকালো।
সাদাফ নুরের দিকে তাকিয়ে দুষ্টু হেসে বলল ,”তোকে আমি ভালো মেয়ে মনে করেছিলাম।আমি ঘুমানোর পর তুই এভাবে আমার সুযোগ নিতে আসিস ভাগ্যিস আজকে একটু জেগে গিয়েছিলাম টের পেয়েছি ।এতদিন তুই আমার সাথে কি কি করেছিস সত্যি করে বল।”
নুর কান্না কান্না ভাব হয়ে গেলে সাদাফ সাথে সাথে নূরের মাথাটা নিজের বুকের সাথে চেপে ধরে বলে ,”কাঁ*দছিস কেন তোকে কি আমি বকা দিয়েছি?”

হঠাৎ নূর এক হাত তুলে সাদাফের বুকের বাম পাশে রাখল ।তারপর ধীরে ধীরে বলল ,”আপনার বুকের ভিতরে কেমন ধিরিম ধিরিম শব্দ হচ্ছে ।হার্ট অনেক জোরে জোরে বিট হচ্ছে । আপনার কি অসুস্থ ফীল হচ্ছে?”
সাদাফ নুরের র মাথা ওই ভাবেই বুকে চে*পে ধরে বলল ,”হ্যাঁ অস্থির লাগছে ।খুব অস্থির লাগছে ।তুই এভাবে কিছুক্ষণ বুকে থাক তাহলে দেখবি ধীরে ধীরে একটু শান্ত হয়ে গেছে ।আমার অশান্তিও তুই আমার শান্তি ও তুই।”
নুর লজ্জা পেয়ে গেল ।চোখ বন্ধ করে বুকে হাত দিয়ে ওইভাবে হা*টু ভেঙে ফ্লোরে বসে সাদাফের বুকে এ মাথা রেখে বসে রইল।

হঠাৎ কিছুক্ষণ পর বোকার মত প্রশ্ন করল ,”আচ্ছা আপনি যে বলেছেন ১৭ দিন পর বিয়ে ?কিভাবে বিয়ে করবেন?”
সাদাফ অবাক হয়ে গেল ।তারপর বলল ,”কিভাবে আবার সবাই যেভাবে বিয়ে করে ?”
নুর জিজ্ঞেস করল ,”কিভাবে করবেন ?”
সাদাফ বলল,”তুই কিভাবে চাস ?”
নূর বললো ,”আপনি তো এখনো বিয়ের প্রস্তাব দেননি ।”
সাদাফ বলল ,”আমি প্রস্তাব দিব কেন আমি তো বলেছি পাত্রী নিজে বিয়ের প্রস্তাব দিবে।
আর যদি তুই দিতে না পারিস তাহলে সাবা রেডি আছে আমার জন্য বিয়ের প্রস্তাব দিবে ওকে বিয়ে করে ফেলব ।”কথাটি শুনে নূর সাথে সাথে সাদাফের শার্টের কলার ধরে খা*মচে কয়েকটি কিল ঘুষি মেরে দিল।
সাদাফ সাথে সাথে অবাক হয়ে বলল ,”কি হল এরকম পাগ*লামি করছিস কেন ?হঠাৎ কি জিন ভূত ভর করেছে নাকি তোর উপরে ?নাকি এটাও প্রতিবেশীর হক ?আমাকে মারার হোক তোর আগে?”

নুর কান্না কান্না কন্ঠে বলল ,”হুম ।আপনার উপর সব কিছুর হক আমার সবার আগে ।”
সাদাফ জানে নুর অবচেতন মনের কথাটা বললে ও এই কথাটি শত ভাগ সত্য ।সাদাফের সবকিছুতে হক নূরের সবার আগে।
সাদাফ নুরের মাথায় কপালে চুল সরিয়ে মাথায় একটি চু*মু খেয়ে মাথাটা বুকে চে*পে ধরে বলল ,”হ্যাঁ আমার সবকিছুতে হক আগে তোর ।প্রতিবেশীর হক হোক বা অন্য কোন কিছুর হোক তুই সব কিছুর উত্তরাধিকারী ।এবার খুশি ?যা তোর বাপ চাচাকে গিয়ে বিয়ের প্রস্তাবটা দিয়ে দিস। বলবি সাদাফ ভাইয়ের সব কিছুতে আগে আমার অধিকার যদি অন্য কেউ এর মধ্যে ভাগ বসিয়ে ফেলে তাই তার আগেই বিয়েটা যেন করিয়ে দেয়।
আর শোন এভাবে তুই ঘুমন্ত সাদাফের সুবিধা নিতে আসিস ?তুই জানিস আমি কিভাবে নিজেকে এত কষ্ট করে নিয়ন্ত্রণ করে রেখেছিলাম ?তুই যখন কফি নিয়ে ঢুকেছিস তখনই আমি জেগে গিয়েছিলাম ।কিন্তু দেখতে চাচ্ছিলাম আমাকে ঘুমন্ত পেয়ে তুই কি করিস।

সুখময় যন্ত্রণা তুমি পর্ব ৬৬+৬৭

ভাগ্যিস উঠিনি।না হলে তুই যে এরকম পাকা পেকে গিয়েছিস আমি তো জানতামই না ।আগে জানলে তো এতদিন অপেক্ষা করতাম না ।আরেকটু আগে বিয়ে করে ফেলতাম।”
নূর বুকে চেপে থাকা অবস্থায় বলল ,”আপনি তো পাকিয়েছেন? সাদাফ অবাক হয়ে একটু ঠোঁট বেঁকিয়ে হাসলো ।তারপর বলল ,”তাই আমি পাকিয়েছি? তা ঠিক কতখানি পাকিয়েছি শুনি?”

সুখময় যন্ত্রণা তুমি পর্ব ৭০+৭১

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here