সে আমার হৃদয় হরণী পর্ব ২১

সে আমার হৃদয় হরণী পর্ব ২১
বুশরা আহমেদ

নিউইয়র্ক সিটি, রাত ৯ .৩০ মিনিট।
এখন ঠান্ডা টা একটু ভালোই পরেছে দেখতে দেখতে প্রায় অনেক দিন কেটে গেছে।বুশরা এখন বাইক রাইড শিখে গেছে । এলিন আর বুশরা মাঝে মাঝেই বাইক রাইড করে একসঙ্গে।
এই কই দিনে রাহি ঠিক ভাবে বুশরার সঙ্গে কথা বলে নি। এমন কি দেখাও হয় নি।সকালে চলে যায় আর রাতে ফিরে। বুশরা তখন ঘুমে বিভোর।
আজ রাহি তাড়াতাড়ি বাড়ি ফিরেছে ‌ । বুশরা এই সুযোগে রাহির রুমে গেছে ‌ । কিন্তু রাহিকে পেলো না ‌।নিচে এসে দেখলো তৌফিক অফিস এর কাজ করছে।

বুশরা: ভাইয়া, রাহি ভাইয়া কোথায়?
তৌফিক: জিম করছে ।
বুশরা : ওহ্।
তৌফিক: একটা কথা বলি বনু!
বুশরা : হুম বলো।
তৌফিক: নিজেকে প্রোটেক্ট করতে শিখতে হবে তোকে। আর সব সময় ছেলেদের থেকে দুরে থাকবি । আর ফোন টা তো ভাইয়া ভেঙ্গে ফেলেছে । তাই তুই এক কাজ কর ল্যাপটপ থেকেই বাসায় কথা বলবি ।
বুশরা: তুমি টেনশন করো না ভাইয়া। তোমার বনু নিজেকে সামলাতে পারে ।
তৌফিক: আমি এই সপ্তাহে বাংলাদেশে যেতে পারি?
বুশরা: সত্যি। আমিও যাবো।

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

তৌফিক: ভাইয়া কে একা রেখে থাকতে পারবি?
বুশরা : রাহি ভাইয়া যখন আমাকে ছাড়া থাকতে পারে তখন আমিও পারবো।
তৌফিক: এইটা তোর ভুল ধারণা। সময় হলে সব বুঝবি।
বুশরা: সেই সময়টা কবে হবে।
তৌফিক: আল্লাহ কাছে দোয়া কর খুব তাড়াতাড়ি সেই সময় আসবে।
বুশরা: ওকে তুমি কাজ করো।
বলেই এক দৌড়ে আবার রাহির রুমে গেলো। রাহি জিম সেরে সবে মাত্র ওয়াশরুম থেকে বের হয়েছে।
বুশরা রাহির রুমে গিয়ে দেখলো ,রাহি বেলকুনিতে দাঁড়িয়ে আছে।পরণে শুধু টাওজার, চুলগুলো ভিজা। চুল থেকে পানি পরছে টপটপ করে।

ঘাড়ের নিচে কাটা দাগ টা চোখে পরতেই বুশরার বুকের ভেতরে হাজার টা প্রশ্ন দৌড়াচ্ছে। চুল থেকে পানি পরে ঘাড়ে পিঠে ফোঁটা ফোঁটা পানি গড়িয়ে পরছে ,,
আর বুশরা তার পেশিবহুল পিঠে তাকিয়ে আছে।
রাহি বুশরার উপস্থিত টের পেয়ে বললো,,
রাহি: নুর!!
বুশরা চমকে উঠলো ,সে এখনো দরজায় দাঁড়িয়ে কিন্তু রাহি কি করে তার উপস্থিতি টের পেলো।
বুশরা কোন কথা বললো না।রাহির কাছে এগিয়ে গেলো ‌।
বুশরা রাহির ঠিক পিছনে দাঁড়িয়ে রাহির ঘাড়ের নিচে কাটা জায়গায় হাত দিতেই রাহি বললো ,,
কি করছিস নুর?

তোকে তো নিষেধ করেছি হুট হাট এই রুমে না আসতে কথা শুনিস না কেন?
বুশরা কোন কথা না বলে রাহিকে জরিয়ে ধরলো পিছোন থেকে ‌ ।
রাহি: আমাকে কাছ থেকে কথা লুকিয়ে রাখতে তোর ভালো লাগে?
আজ রাহির কথায় এক রাশ অভিমান,,বুশরা বুঝলো না কেন রাহি এই ভাবে কথা বলছে ।
অন্য দিন হলে রাহিকে জরিয়ে ধরার অপরাধে বুশরার গালে একটা থাপ্পড় পরে যেতো,,
বুশরা: আমি তো তোমায় কোন কথা লুকায় নি রাহি ভাইয়া.!
রাহি: লুকিয়েছিস। আমার কাছে কথা লুকানো কী খুব জরুরী। আমি কি তোকে নিষেধ করতাম।
বুশরা বুঝলো না যে সে কি এমন কথা লুকিয়েছে ‌ ।
রাহি বুশরার হাত টা তার বুক থেকে সরিয়ে পিছন থেকে টেনে তার সামনে নিয়ে আসলো ।
রাহি: তুই বাইক রাইড কবে শিখলি নুর!!

বুশরা এইবার বুঝলো রাহির এতো গম্ভীর হওয়ার মানে।
রাহি: এতটা বড় হয়ে গেছিস যে কথা লুকিয়ে রাখছিস। তোর এতো যখন বাইক রাইড এর সখ আমায় বললে কি আমি তোকে শিখাতাম না? অন্য কারো কাছে তোকে কেন শিখতে হবে।
বুশরা: অন্য কারো কাছে শিখি নি তো। এলিন আপু ছিল আমার সঙ্গে।আর তোমাকে বলবো তুমি তো শুধু রেগে যাও রাহি ভাইয়া। তুমি তো আমায় ভালোবাসো না।
রাহি কিছু বললো না।

বুশরা : ভালো যখন বাসোই না তখন আমায় নিয়ে এতো চিন্তা কিসের তোমার।বলেই রাহির কাছে এগিয়ে এলো।
কিন্তু রাহি দুরে সরে গেলো ,,বললো,,
যখন বুঝতেই পারছিস যে আমি তোকে ভালবাসি না তাহলে আমার কাছে আসার আর চেষ্টাও করবি না।আর পারমিশন ছাড়া রুমে ঢুকবি না।না হলে আমার থেকে খারাপ কেউ হবে না।
বুশরার প্রচন্ড কষ্ট হচ্ছে এই প্রথম রাহি তাকে কাছে আসতে নিষেধ করছে । কেন এমন হয় তার সঙ্গে যাকে এত দিন পর দেখে একটু শান্তি পেলো সেই তাকে এতো কষ্ট দিচ্ছে কেন?
রাহি আবার বললো ,,
পরপুরুষ এর কাছে আসার চেষ্টাও করবি না। স্বামী বাদে সব পুরুষ হারাম জানিস তো! এখন যা এখান থেকে ।
বুশরার কান্না পাচ্ছে সে আর এক মুহূর্তও থামলো না দৌড়ে নিজের রুমে চলে গেলো ।
রাহি সামনে এগিয়ে গিয়ে সামনে দেওয়ালে থাকা রঙিন পর্দাটা সরিয়ে দিতেই স্পষ্ট ফুটে উঠল একটা বড় আকারের ফ্রেম । যেই ফ্রেমে দেখা যাচ্ছে একটা ৭ বছর বয়সি ছোট ছেলে একটা ফুটফুটে সদ্য ভুমিষ্ঠ হওয়া একটা মেয়েকে কোলে নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।

রাহি ছবিটার দিকে তাকিয়ে রইল একপলক । তার দৃষ্টি যেন সরছেই না।
রাহি: তোকে কষ্ট দিতে আমারো ভালো লাগে না বেবিগার্ল কিন্তু তোকে ঐ ভাবে না বললে তুই আমার কাছ থেকে যেতিই না। আর তোর এই ভাবে কাছে আসা যে আমি সহ্য করতে পারি না।তোকে একেবারে নিজের করে নিতে ইচ্ছে করে । কখন কী করে বসি তখন তোর কাছে নিজেকে ছোট মনে হবে । তোর পারমিশন ছাড়া যে আমি তোকে ছুঁয়ে দেখতেও চাই না জানপাখি । কিন্তু তুই এমন সব কাজ করে ফেলিস যে তোর কাছে বারবার যেতেই হয়‌।
বলেই সামনে থাকা ছবিটায় দশ বারোটা চুমু খেলো।
সামনে থাকা ছবিটি বুশরার জন্মের সময় যখন রাহি তাকে প্রথম কোলে নিয়ে ছিল। কিন্তু আজো সে কাউকে জানতে দেই নি এই ছবির কথা। শুধু তৌফিক জানে।
রাহি গিটার হাতে নিয়ে ছবিটার ঠিক সামনে বসলো,, টুং টাং শব্দ করে গাইলো,,

KYA TUJE AB YEA DIL BATAIYE
TUJPE KITNA MUJHE PYAAR AAYE ,,ANSOON SE LIKDU
MAIN TUJHKO
KOY MERE BIN PARR HEE
NA PAYE,,
🎵🎵🎵🎶
রাহির চোখ দিয়ে দুই ফোঁটা অশ্রু গড়িয়ে পড়লো,,
কি অদ্ভুত তাই না পৃথিবীতে যাকে সে এতোটা বেশি ভালোবাসে তাকে সে নিজের কথা গুলো বলতে পারছে না, তাকেই সে নিজের করে নিতে পারছে না।
এইদিকে বুশরা নিজের রুমে এসে কান্না করছে আর বলছে ,
তুমি পরপুরুষ না রাহি ভাইয়া, কেন তুমি বোঝ না। আমি যে আমার স্বামী হিসেবে তোমাকে চাই । তোমাকে ছোঁয়ায় আমার কোন পাপ হবে না রাহি ভাইয়া কোন পাপ হবে না।
এই ৫ টা মাসে আমি তে পাঁচ হাজার বার তোমায় নিয়ে স্বপ্ন দেখেছি । তবে কেন তুমি আমার সপ্ন গুলো ভেঙ্গে দিচ্ছো।

বুশরা বিছানায় বসে ল্যাপটপ টা অন করলো সেখানে রাহির বেশ কয়েকটা ছবি আসে্ এইতো আজকেই যখন সে তৌফিক এর সঙ্গে গল্প করছিল। তৌফিক এর ফোন থেকে বেশ কয়েকটা ছবি ল্যাপটপ এ পার করে নিয়েছে। সেখানে থাকা একটা ছবি রাহির পরনে কালো টি শার্ট আর জিন্স হাতে ঘড়ি পরে সোফায় বসে গালে হাত দিয়ে কি যেন ভাবছে আর তৌফিক ছবি টা তুলছে ।
ছবি টা দেখছে আর নিচে আলাদা করে টাইটেল দিলো ,,
“”তোমার ছোঁয়ায় নেই কোন পাপ তোমার সব ছোঁয়ায় যেন আমার পূর্ণ””
তুমি আমার সুগন্ধি,,
ছবির দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে কখন ঘুমিয়ে পড়েছে তার ঠিক নেই,,
এইদিকে রাহি বুশরার রুমে এসে দেখলো। বুশরা ল্যাপটপ অন করেই ঘুমিয়ে পড়েছে।
রাহি ল্যাপটপ টা হাতে নিয়ে দেখলো স্ক্রিন এ তার ছবি নিচে ক্যাপশন লেখা,,
আমার চলার পথের সুগন্ধি,,

এইটা দেখে রাহি মুচকি হাসলো ,,
রাহি শব্দের অর্থ পথিক বা ভ্রমণ কারি আর রায়হান শব্দের অর্থ সুগন্ধি।
সেই থেকেই বুশরা এই ক্যাপশন টা দিয়েছে।
রাহি ল্যাপটপ টা রেখে বুশরার দিকে তাকিয়ে রইল।
রাহি বুশরার কপালে আলতো করে চুমু খেয়ে বললো আমার ছোঁয়ায় পাপ এইটা বোঝাই নি জানপাখি তোকে সব সময় অন্য ছেলেদের থেকে দুরে থাকার জন্য বলেছি কিন্তু তুই বুঝলি উল্টো।
রাহি বুশরার মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে ।আরেকবার কপালে চুমু খেয়ে নিজের রুমে চলে আসলো ।

বাংলাদেশ ,,, ঢাকা , আহমেদ মেনসন
__ডাইনিং টেবিলে সবাই একসঙ্গে ব্রেকফাস্ট করছে । রিফাত আর আফরিন এখন আর আগের মতো এতো বেশি কথা বলে না । রিফাত এর মধ্যে এক ধরনের গাম্ভীর্য চলে এসেছে । একটুতেই রেগে যায় । তার এস.এস.সি এক্সাম এর ডেট দিয়ে দিছে ।আর মাত্র এক মাস পড়াশোনা নিয়ে প্রচুর ব্যাস্ত সে।
হাফিজুর আহমেদ আর রেজা আহমেদ দুই জনেই গল্প করছে । বিজনেস এর বিভিন্ন কাজ নিয়ে গল্প করছে।এরি মধ্যে আহমেদ মেনসন এ হিয়া আসলো ,,

হিয়া: আসসালামুয়ালাইকুম আন্টি। কেমন আছো?
রেবা আহমেদ: আলাইকুম আসসালাম। আলহামদুলিল্লাহ ভালো। তুমি কেমন আছো আম্মু।
রেজা: আরে হিয়া বসে পরো এক সঙ্গে ব্রেকফাস্ট করি।
হিয়া: বুশরার সঙ্গে অনেক দিন কথা হয় না।
হাফিজুর আহমেদ: আমাদের ও ওদের সঙ্গে কথা হয় না। তৌফিক এর সঙ্গে একটু হয় কিন্তু রাহি আর বুশরা সঙ্গে কথা হয় না।
হিয়া : বুশরার ফোন টা কি যে হয়েছে ।জানি না।আর পাই না অনলাইন এ ।
রিফাত: আমি কি কল দিবো তৌফিক ভাইয়া কে ।
আফরিন: এখন ওখানে রাত দিলে পাওয়া যাবে না।
রেবা আহমেদ: আচ্ছা পরে দেওয়া যাবে । তোমরা তাড়াতাড়ি ব্রেকফাস্ট করে নেও ।
হাফিজুর রহমান: রিফাত তুমি আজকে আফরিন কে কোচিং এ নিয়ে যাও ।
রিফাত; কিন্তু আব্বু আমার তো অনেক পড়া আছে ।

রিফাত মনে মনে বললো,, তোর থেকে নিজেকে দুরে রাখছি বলে ভাবিস না যে কিছুই চোখে পরে না।
আফরিন মনে মনে বললো,, বাহ্ এখন এমন করছো রিফাত আগে তো কোন ছেলের সঙ্গে কথা বলা দেখলেই রেগে যেতে । যাক ভালোই হইছে না গেলে বন্ধু দের সঙ্গে একটু আড্ডা দিতে পারবো।
রেজা আহমেদ: রিফাত তুমি আজকে আফরিন কে নিয়ে যাও ।আমার কাজ আছে ।আমি নিয়ে যেতে পারবো না।
রিফাত: ছোট আব্বু।ওকে পড়াশোনা না করিয়ে বাসায় বসে ফোন টিপতে দেও । একটুও পড়ে না শুধু বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা আর ফোন টিপা।
আফরিন: তুমি বুঝি খুব পড়াশোনা করো । আড্ডা দেও না। ফোন টিপো না। আব্বু আমি একা যেতে পারবো। কাউকে দিয়ে আসতে হবে না।
হাফিজুর আহমেদ: রিফাত তোমাকে বললাম তো দিয়ে আসতে আফরিন কে।এতো কথা আমি পছন্দ করি না।
রেজা আহমেদ: আফরিন রিফাত এর সঙ্গে যাও । আর এখন একা একা যাওয়া ঠিক হবে না ‌।বড় হইছো একটু বুঝতে শিখো ।

সবাই ব্রেকফাস্ট করে যে যার কাজে চলে গেল।হিয়াও সবার সঙ্গে কথা বলে গল্প করে চলে গেল।
রিফাত আফরিন কে নিয়ে কোচিং এ পৌঁছে দিলো।
আফরিন: আমার জন্য তোমার অনেক প্রবলেম হলো তাই না রাদ ভাইয়া।
রিফাত: প্রবলেম আমার না তোর বুঝতেই পারছি । আমি না আসলে আড্ডা দিতে পারতি ।
আফরিন: হুম ঠিক বলেছো । তুমি না আসলে ভালোই হতো ।
রিফাত: আসতে চাই নি ,বুঝছিস ,,।তোকে কোচিং এ নিয়ে আসার অনেকে আছে আমি জানি কিন্তু বাসায় তো আর সবাই জানে না।

আফরিন: অনেকে আছে বলতে কাকে বোঝাতে চাচ্ছো তুমি।
রিফাত: এই যে রাস্তায় আরো কাক , বিড়াল, কুকুর আছে তো তাদের সঙ্গেই আসতি ।
আফরিন: কি বললে আমি বাসায় গিয়ে কিন্তু বলে দিবো বড় আব্বু কে ।
রিফাত: হুম বল তাহলে ভালোই হয় আমাকে আর আসতে হয় না।
আফরিন: ওহ্ বুঝছি।আমাকে নিয়ে আসছো তাই কথা শোনাচ্ছো।চলে যাও আমি একা যেতে পারবো বাসায়। বলেই কোচিং এ ঢুকে পরলো।
রিফাত বাসায় না গিয়ে বসে অপেক্ষা করলো আফরিন এর কোচিং শেষ হওয়ার।

_এইদিকে বুশরা, রাহি, তৌফিক এক সঙ্গে ব্রেকফাস্ট করছে আর ভ্যাভেন তাদের সার্ভ করছে ।
তৌফিক: বনু আজকে তো ভার্সিটি তে যাবি তাই না?
বুশরা : হুম যাবো ।
রাহি: আসার সময় আমি নিয়ে আসবো ।
বুশরা কিছু বললো না। একপলক রাহির দিকে তাকিয়ে আবার খাওয়া শুরু করলো।
বুশরার খাওয়া শেষ হলে ভ্যাভেন তাকে নিয়ে ভার্সিটি পৌঁছে দিলো।
রাহি আর তৌফিক অফিস কাজ করছে।
ক্যাভেন এসে বললো ,,

আনোয়ার হোসেন ও তার ছেলে আরিয়ান জানতে পেরেছে আমরা কোথায় থাকি । আমাদের বাসার আশে পাশে অনেক লোক ঘুরঘুর করছে । এইটাও জানতে পেরেছে যে তৌফিক স্যার কে।
রাহি ক্যাভেন এর কথা শুনে সীমিত হাসলো ।
এইদিকে বুশরা ক্লাস এ যাওয়ার পর থেকেই অরিন বিভিন্ন প্রশ্ন করছে এতো দিন আসে নি কেন কি হয়েছে। কিন্তু বুশরার কিছু ভালো লাগছে না।
আদনান স্যারর ক্লাস,, বুশরা খেয়াল করছে তার দিকে আদনান বার বার তাকাচ্ছে।বুশরার অস্বস্তি বোধ হচ্ছে।
কোন রকম ক্লাস শেষ করে বাহিরে আসলো কি কোথায় থেকে আদনান এসে তার পিছনে দাঁড়ালো ।
আদনান: হেই মিস ,, কেমন আছো?

বুশরা চমকে উঠলো সঙ্গে বিরক্ত হলো । কিন্তু কি বলবে।
বুশরা: এইতো আলহামদুলিল্লাহ ভালো।আপনি কেমন আছেন স‌্যার ।
আদনান: একদম ভালো না,দিন কাল ভালো যাচ্ছে না। যার সঙ্গে কথা বলতে চাই সে দুরে দুরে সরে যায়।তাহলে ভালো থাকি কেমনে।
বুশরা : ওহ্ ।যে কথা বলতে চায় না তার সঙ্গে কথা না বলাই ভালো।
আদনান: একটা কথা বলবো?
বুশরা: এতোক্ষণ তো বললেন, এইটাও বলেন।
আদনান: তোমার ফোন নম্বর টা দেওয়া যাবে।
বুশরা: আসলে আমার ফোন নেই ,,

এরি মধ্যে হুট করেই রাহি এসে বুশরার পিছনে দাঁড়িয়েছে ,আর বুশরার কথা শুনছে তার ঠিক নেই।
আদনান: হেই আর.এ কেমন আছিস?সেই দিন তোর সঙ্গে কথা বলার সুযোগ টা হয়ে উঠেলো না।
আদনান এর কথায় বুশরা পিছনে ফিরে দেখলো ,রাহিকে দেখে তার হাত পা কাঁপতে লাগলো।সে ভাবলো আবার বুঝি তার গালে একটা থাপ্পড় পরবে । তাই সে চুপ চাপ সরে যেতে চাইলো । কিন্তু রাহি তার হাত ধরে রইলো শক্ত করে।

সে আমার হৃদয় হরণী পর্ব ২০

রাহি: হেই মি.আদনান । ভালো আছি।
আদনান: এখন তুই অনেক বড় একজন বিজনেস ম্যান সঙ্গে এই ইউনিভার্সিটিতে কন্ট্রিবিউট করিস । এখন তোর খোজ পাওয়া যায় না।
রাহি: ব্যাস্ত থাকতে হয় ।
আদনান: বাই দ্যা ওয়ে ।বুশরা তোর কে হয় ?
রাহি: আমার কাজিন। ওকেই নিতে এসেছি। বাই ।
বলেই বুশরা হাত শক্ত করে ধরে গাড়িতে নিয়ে গিয়ে বসলো ।
এইদিকে দুরে একটা গাড়িতে বসে একজন রাহি আর বুশরাকে পরোখ করে মুচকি হেসে বলল,,
__Interesting!

সে আমার হৃদয় হরণী পর্ব ২২

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here