হলুদ বসন্ত পর্ব ২৪

হলুদ বসন্ত পর্ব ২৪
জাওয়াদ জামী জামী

ইশরাক দরজা বন্ধ করে কয়েক মুহূর্তের জন্য চোখ বন্ধ করে সৃষ্টিকর্তার শুকরিয়া আদায় করল। মায়ের কঠিন রুপ দেখে ও ভয়ই পেয়ে গেছিল। মায়ের কথা শুনে যদি অবনী ওকে ছেড়ে যেত, তবে ওর অবশ্যই বেঁচে থাকার ইচ্ছে মরে যেত। অবনীর ফোঁপানোর আওয়াজ কানে যেতেই ইশরাক ওর দিকে তাকায়। এতক্ষণ রুমে দমবন্ধকর পরিস্থিতি থাকলেও এখন পরিস্থিতি পুরোটাই আলাদা। এই মুহূর্তে ও ভয় পাচ্ছে। ভাবছে কিভাবে অবনীর সামনে গিয়ে দাঁড়াবে? ওর সাথে কথা শুরু করবে কিভাবে? যদি অবনী রিয়্যাক্ট করে? মনে মনে দোয়াদরুদ পাঠ করতে করতে ইশরাক এগিয়ে গেল অবনীর দিকে। কয়েক মুহূর্ত নিশ্চল হয়ে দাঁড়িয়ে রইল। এরপর সাহস করে বসে পরল অবনীর পাশে।

” কাঁদিসনা, প্লিজ। তোর চোখের পানির একেকটা ফোঁটা আমার বক্ষপিঞ্জরে আগুন জ্বালিয়ে দেয়। আমার হিয়া চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে যায় সেই তীব্র যন্ত্রণায়। নিঃশব্দ কান্নার স্রোতে ভেসে যায় অনুভূতির সমস্ত সুর। প্লিজ থেমে যা। ”
ইশরাকের গলায় এমন কিছু ছিল নিমেষেই থেমে যায় অবনীর কান্না। এতক্ষণে পরিস্থিতি সম্পর্কে সচেতন হল। বন্ধ দরজার আড়ালে শুধু ওরা দু’জন। যে মানুষটাকে সে সবচেয়ে বেশি অপছন্দ করত, সেই মানুষটার সাথেই কাটাতে হবে দীর্ঘ রজনী। কথাটা মনে আসতেই ভয়ের শীতল স্রোত মেরুদণ্ড বেয়ে নামতে থাকল। রাগে-অভিমান, দুঃখ-কষ্টের মাঝে অবনী কখনোই ভাবেনি আজকের এই রাত জীবনে কখনো আসবে। একটা প্রশ্ন এসে মনে উঁকিঝুঁকি মারছে। যদি ইশরাক ওর ওপর জবরদস্তি করে? ভয়ে হাতের তালু ঘামছে। পরপর কয়েকটা ঢোক গিলল। বোধহয় ললাটে কয়েক ফোঁটা ঘাম আতঙ্কের দহন হয়ে ঝরে পরছে।
অবনীকে উসখুস করতে দেখে ইশরাক ভ্রু কোঁচকায়। মানস চোখে দেখতে পেল, অবনী ভয়ার্ত দৃষ্টিতে সামনে তাকিয়ে আছে। যেন অদৃশ্য কোন ভয় তাকে গ্রাস করছে। মুহূর্তেই ইশরাক বুঝে গেল ঘটনা কি। অবনীর ছেলেমানুষী দেখে মৃদু হাসল।

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

” অনেক রাত হয়েছে শুয়ে পর। আমি ঐ পাশে শুচ্ছি। মাঝখানে বর্ডার হিসেবে কোলবালিশ থাকবে। তোর কোন ভয় নেই। আমি মানুষ, হায়েনা নই। ” অবনীকে অবাক করে দিয়ে ইশরাক পাশ ফিরে শুয়ে পরল।
অবনী পেছনে তাকিয়ে দেখল অপর দিকে পাশ ফিরে শুয়েছে ইশরাক। স্বস্তির নিঃশ্বাস পেলে ও এবার পুরো রুম দেখতে শুরু করল। অনেক বছর ধরে রুমটায় আসা হয়নি। নতুন আসবাবপত্র এসেছে দেখেও একবারের জন্যও উঁকি দেয়নি এই রুমে। সামনে তাকাতেই বিস্ময়ে বাকহারা হয়ে গেল অবনী। দেয়ালে ওর ছবি ঝুলছে! ভালো করে লক্ষ্য করতেই বুঝতে পারল, কয়েকদিন আগে রান্নাঘরে বড়মার সাথে কাজ করছিল। গরমে ঘেমে-নেয়ে একাকার। এলোমেলো চুলে ঝুঁকে কিছু একটা করছিল। তখনই ছবিটা তোলা হয়েছে। কিন্তু অবনী একবারের জন্যও বুঝতে পারেনি কেউ ওর ছবি তুলেছে! অবনী বুঝতে পারছে কাজটা এই লোকটার। ছবির দিকে তাকিয়ে বিরবির করে কয়েকটা গালি দিল ইশরাককে। এরপর খুব সাবধানে পিঠ ঠেকালো বিছানায়।
ঘুম ভাঙ্গতেই ঘড়ির দিকে চোখ গেল। আটটা বাজে! তড়িঘড়ি করে বিছানা ছাড়ল। লজ্জায় ওর শরীর আড়ষ্ট হয়ে গেল। বড়মা কি ভাবছে! বিছানায় তাকাতেই দেখল ইশরাক সটান হয়ে শুয়ে আছে। ঘুমে বিভোর সে। একহাত কপালের ওপর রেখেছে, আরেক হাত রেখেছে বুকে। অবনী বুকে ফুঁ দিয়ে ওয়াশরুমে ঢুকল। ভাগ্যিস লোকটা রাতে কিছু করেনি।

দরজা খুলেই দাদীকে দেখতে পেল অবনী। কুলসুম বেগম ড্রয়িংরুমে কিছু একটা করছিল। অবনীকে ইশরাকের রুম থেকে বেড়োতে দেখে তার ভ্রু কপাল আপনা-আপনিই কুঁচকে গেল। তাকে দেখেই বোঝা যাচ্ছে এটা সে আশা করেনি। অবনী দাদীর তীক্ষ্ণ দৃষ্টিকে পাত্তা না দিয়ে রান্নাঘরে গেল। নাজমা আক্তার এক মনে কাজ করছেন। অবনী গিয়ে দাঁড়াল বড়মার পাশে।
” বড়মা। ”
” হুঁ। ”
” কিছু করতে হবে? ”
” নাহ্। আমি করছি। ”
বড়মার গম্ভীর মুখখানা দেখে অবনীর কান্না পেল। তার এমন নির্লিপ্ত ভাব অবনীকে পোড়াচ্ছে। এই বড়মাকে দেখে অভ্যস্ত নয় সে। এদিকে নাজমা আক্তার অবনীকে দেখেও না দেখার ভাব করে কাজ করছেন। অবনী বড়মার পাশে দাঁড়িয়ে থাকল। টুকটাক কাজ করতে থাকল। নাজমা আক্তার ওকে বাঁধা দিলেননা কিংবা কিছু করতেও বললেননা। রান্না শেষ হলে অবনী খাবারগুলো টেবিলে নিয়ে যায়। সব গোছগাছ করে রাখে। এবার সবাই আসলে খেতে দেবে।
নাজমা আক্তার সবাইকে খেতে ডাকলেন। একে একে সবাই এসে হাজির হল।
” অবনী, তুই তো আমাদের বাড়িতে কখনো খাসনা। তুই বরং তোর বাড়িতে গিয়েই খেয়ে আয়। ” নাজমা আক্তার ব্যাঙ্গ করে বললেন।

বড়মার কথাটা অবনীর বুকে গিয়ে লাগল। কখনোই বড়মা ওকে খাবার নিয়ে কিছু বলেনি। কিন্তু আজ এ কি বলল সে! বড়মার কথার ধরনও একটু কেমন যেন।
নাজমা আক্তারের কথা শুনে বেশ খুশি হল কুলসুম বেগম। এতদিন তার জন্যই কুলসুম বেগম অবনীকে জব্দ করতে পারেনি। আজ বোধহয় সেই সুযোগ এসেছে। কুলসুম বেগম সিদ্ধান্ত নিল, আজকে থেকেই সে অবনীকে জব্দ করতে যা যা করার করবে। সে অবনীকে ইশরাকের জীবন থেকে ঝেঁটিয়ে বিদায় করবে। এরপর তার নাতনী মিতুর সাথে ইশরাকের বিয়ে দেবে।
ইসহাক আজাদ চেয়ার টেনে বসতে গেলে অবনী তাকে বাঁধা দেয়।
” চাচা, তুমি ঐ চেয়ারে গিয়ে বস। তুমি জানোনা এটা আমার চেয়ার? ” চার বছর আগেও এটাই অবনীর চেয়ার ছিল। ও এই চেয়ার ছাড়া অন্য কোথাও বসতনা।

ইসহাক আজাদ হেসে আরেক চেয়ারে গিয়ে বসলেন। নাজমা আক্তার আঁড়চোখে অবনীর কর্মকাণ্ড দেখছেন। অবনী একটা প্লেট নিয়ে তাতে দুইটা পরোটা আর ডিম ভাজা নিয়ে খেতে শুরু করেছে।
” ছেমরির কামডা দেখছ! ক্যাম্নে সক্কলরে রাইখাই নিজে খাইতাছে! এইডা নাকি বাড়ির বউ! ইমুন অলক্ষুণে কারবার আগে দেখি নাই। কি দুনিয়াডা আইলো গো। বাড়ির কারো মুখে এখনো খাওন উঠেনি, কিন্তু এই ছেমরির সেইদিকে কুন নজর নাই! ” কুলসুম বেগম খেঁকিয়ে উঠল। সে নাজমা আক্তারকে উস্কে দিতে চাচ্ছে।
” আহ্ বুড়ি, এত কথা বল কেন? আমি কি তোমার টাকায় কেনা খাবার খাচ্ছি? আমি আমার শ্বশুরের টা খাচ্ছি। তোমার এত জ্বলে কেন? আর সকলের হাত কি আমি বেঁধে রেখেছি? খাওনা কেন? নাকি তোমাদের খেতে কেউ বারণ করেছে? ঠিক বলেছিনা, শ্বাশুড়িমা? ” অবনী ভয়ে ভয়ে তাকাল নাজমা আক্তারের দিকে। ও চাচ্ছে নাজমা আক্তার ওর পক্ষে কথা বলুক।

” আম্মা, ও নিজের মত খাচ্ছে খাক। আপনি এসব কি বলছেন ওকে? এটা কি অবনীর নিজের বাড়ি নয়? এই বাড়িতে খেতে গেলে সবার অনুমতি নিতে হবেনা ওর। ”
অবনী বড়মার দিকে তাকিয়ে কৃতজ্ঞতার হাসি হাসল। এইতো ও আগের বড়মাকে ফিরে পেয়েছে।
এরপর আর কেউ কোন কথা বললনা। চুপচাপ খাওয়া শেষ করে যে যার রুমে গেল।
অবনী গেল রান্নাঘরে।
” বড়মা? ”
” হু। ”
অবনী এবার ঘাবড়ে গেল। বড়মা আবারও হুট করেই গম্ভীর হয়ে গেছে। কিন্তু কেন? ও আবার কি ভুল করল? পরক্ষনেই অবনীর নিজের ভুলের কথা মনে পরল। কিন্তু ও লজ্জা পাচ্ছে। কিভাবে কাজটা করবে? অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকে উসখুস করল। বড়মার মনযোগ আকর্ষনের চেষ্টা করল। কিন্তু কোন কাজ হলোনা। বাধ্য হয়ে চোখমুখ খিঁচিয়ে এক নিঃশ্বাসে বলল,
” মা, আমি একটু ঐ বাড়িতে যাব। আমার কাপড়চোপড় নিয়ে আসতে হবে। ”
অবনীর মুখে মা ডাক শুনে খুশিতে কেঁদে ফেললেন নাজমা আক্তার। তার অনেক বছরের স্বপ্ন আজ পূরণ হয়েছে। তিনি এগিয়ে গেলেন অবনীর দিকে। ওকে জড়িয়ে নিলেন বুকে। চুমু দিলেন ওর পুরো মুখে। কাঁপা কাঁপা গলায় বললেন,

” কি বললি আরেকবার বল? আমার কলিজা জুড়াক। ”
বড়মার আদর পেয়ে কাঁদল অবনীও। মৃদু গলায় বলল,
” মা। হয়েছে নাকি আবারও ডাকব? ”
” যা তোর সব জিনিসপত্র একে একে নিয়ে আয়। না তোকে আনতে হবেনা। আমি রেখাকে পাঠাচ্ছি, অর্নি সব গুছিয়ে দেবে, রেখা নিয়ে আসবে। তুই আগামী কয়েকদিন এই বাড়ি ছেড়ে কোথাও যাবিনা। ”
” কিন্তু রেখা খালা কোথায়? তাকে তো দেখছিনা। ”
” উঠানে কাজ করছে। তুই ঘরে যা। তোর কাপড়চোপড় নিয়ে আসার ব্যবস্থা আমি করছি। এক কাজ কর, তোর রুমে গিয়ে দেখ আলমারিতে নতুন বেডশিট রাখা আছে, তুই সেটা বিছিয়ে ফেল। জানালার পর্দাগুলোও বদলে ফেল ৷ আলমারিতেই সব পাবি। আমার ছেলের বউ নিজের বাড়িতে এসেছে অথচ আমি তার রুমটাই সাজিয়ে দিতে পারিনি, এই লজ্জা আমি কোথায় রাখব৷ ” নাজমা আক্তার হন্তদন্ত হয়ে ছুটলেন উঠানে।
অবনী বড়মার কাজকর্ম দেখে হাসতে লাগল। কিন্তু যখনই মনে পরল ইশরাকের রুমে যেতে হবে, তখনই মুখের হাসি মুছে গেল। মুখ কাঁচুমাচু করে রুমে গেল।
ইশরাক বিছানায় বসে ল্যাপটপে কাজ করছিল। অবনীকে ভেতরে আসতে দেখে ল্যাপটপ চালু রেখেই উঠে দাঁড়াল। এগিয়ে গেল আলমারির কাছে।

” বেডশিট কোথায়? আর পর্দাগুলো? ” ইশরাককে উদ্দেশ্য করে বলল অবনী।
” এদিকে আয়। সবকিছু দেখে নে। ” অবনী ইশরাকের দিকে এগিয়ে গেল।
ইশরাক আলমারির কপাট খুলে দিল।
” দেখে নে কোথায় কি আছে। আজকে থেকে এসবকিছুর মালিক তুই। কোথায় কি রাখবি এটা তোর বিষয়। চাইলে নিজের কাপড়চোপড়ও রাখতে পারিস। ”
” হুঁ।”

ইশরাককে ধাক্কা মেরে সরিয়ে দিয়ে অবনী বেডশিট খুঁজতে শুরু করল।
” পর্দাগুলো খুলতে হবে। ” যেন হাওয়াকে উদ্দেশ্য করে বলল মেয়েটা।
ইশরাক হেসে জানালা থেকে পর্দা খুলতে শুরু করল। ইতোমধ্যেই অবনী পুরোনো বেডশিট বদলে নতুনটা বিছিয়েছে। ইশরাক পর্দা খুললে অবনী আবারও হাওয়ার সাথে কথা বলল,
” এগুলো টানিয়ে দিতে হবে। ” ইশরাক অবনীর কথামত কাজ করল।
কাজ শেষ করে অবনী রুম থেকে বেরিয়ে যেতে চাইলেই ওকে পেছন থেকে ডাকল ইশরাক।
” অবনী, একটু শুনবি? ” অবনী থমকে দাঁড়ায়। ইশরাক কয়েক মুহূর্ত পর এসে দাঁড়ায় অবনীর সামনে। অবনীর সামনে বাড়িয়ে ধরল ওর হাত। অবনী দেখল ইশরাককে হাতে একটা ব্যাগ।

” তোর জন্য এনেছিলাম। ইচ্ছে হলে ব্যবহার করিস, নয়তো ফেলে দিস। তবুও আমাকে ফেরৎ দিসনা। ”
অবনী হাত বাড়িয়ে ব্যাগটা নিল। ইশরাক আর সেখানে দাঁড়ালোনা। বেরিয়ে গেল রুম থেকে।
অবনী ব্যাগটা নিয়ে বিছানায় গিয়ে বসল। একে একে ব্যাগ থেকে বের করছে সবকিছু। কয়েকটা বক্স দেখে ওর কপাল কুঁচকে গেল। ধীরে ধীরে খুলল বক্সগুলো। চেইন, কানের দুল, আংটি, ব্রেসলেট আর কয়েকটা ড্রেস আছে ব্যাগে। সেই সাথে আছে অবনীর সেদিনের ফিরিয়ে দেয়া বালা আর কানের দুল। অবনী স্থির হয়ে বসে রইল। নিজের সাথেই নিজে বোঝাপড়া করল অনেকক্ষণ। অবশেষে একটা সিদ্ধান্তে উপনীত হল। প্রথমে বালা দুটো হাতে ঢোকাল। এরপর ধীরে ধীরে কানে দুল জোড়া পরল, যেন চাঁদের টুকরো দুটি ঝুলে রইল তার কান দুটোয় । বক্স থেকে সোনার চেইনটা নিয়ে গলায় জড়াল। যা সকালের মৃদু আলোয় ঝলমল করছিল। ধীরে ধীরে আংটিটা তুলে নিল, এক মুহূর্ত তাকিয়ে থাকল তার দীপ্তির দিকে। তারপর অনামিকায় পরল। যেন চিরবন্ধনের এক নীরব স্বাক্ষর রেখে গেল সেখানে। গহনাগুলো পরা হলে বাকিগুলো ব্যাগে তুলে রাখল অবনী। ব্যাগটা আলমারিতে রেখে রুম থেকে বেরিয়ে আসল।

হলুদ বসন্ত পর্ব ২৩

ইশরাক ড্রয়িংরুমে বসে ছিল। অবনীকে দেখে ও মুগ্ধ নয়নে তাকিয়ে থাকল। সামান্য কানের দুল, চেইন আর হাতের বালায় যেন ওকে বউ বউ লাগছে। গর্বে ফুলে উঠল ইশরাকের বুক। এই মেয়েটা ওর ‘ বউ ‘ ভাবতেই ইশরাকের তনুমন আন্দোলিত হচ্ছে। বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস আছড়ে পরছে হিয়ার দুকূলে। প্রেমকাননে উড়ে বেড়াচ্ছে রংবেরঙের প্রজাপতি।
ইশরাকের মুগ্ধ দৃষ্টি অবনীর নজর এড়ালোনা৷ কিন্তু ও সেটাকে পাত্তা না দিয়ে বড়মার কাছে গেল।

হলুদ বসন্ত পর্ব ২৫