হামিংবার্ড পর্ব ৬৩
তাসমিয়া তাসনিন প্রিয়া
রৌদ্রময় একটা সকাল। ঢাকার আকাশ ঝকঝকে নীল। রোদের আলো ফুটপাতে পড়ে ঠিক যেন কাঁচের মতো ঝিলমিল করছে।
আরিশ গাড়ির দরজা খুলে দাঁড়িয়ে আছে। পরনে কালো পাঞ্জাবি, সানগ্লাস চোখে। অরার আবদারেই পাঞ্জাবি পরেছে। অরা ধীরে পা ফেলে গাড়ি থেকে বাইরে বেরোল। পরনে অফ-হোয়াইট শাড়ি আর গোলাপি স্লিভলেস ব্লাউজ, চুলগুলো খোলা, সাথে হালকা গয়নাগাটি।
গাড়ি থেকে নামার সঙ্গে সঙ্গেই আশপাশের কয়েকজন পথচারী তাকিয়ে রইল অরার দিকে।
কারও চোখে অবাক হয়ে তাকানো, কেউ যেন চেনা চেনা মুখ ভেবে চেয়ে থাকল, কেউ নিছক সৌন্দর্যের প্রশংসা করল।
আর এইসব কিছুই আরিশের চোখ এড়াল না।
প্রথমে চুপ করে রইল। তারপর একটা লোক একটু বেশি সময় ধরে তাকাতেই, আরিশ পাঞ্জাবির হাতা গুটিয়ে একধরনের ঠান্ডা রাগে সামনে গিয়ে বলল,
“ভাই, সামনে তাকান। মানুষ দেখার জায়গা এটা না। পথ।”
লোকটা কিছুটা অপ্রস্তুত হয়ে সরে গেল। অরা পাশে এসে বলল,
“আপনি কি পাগল?”
“আমি না, ওরা পাগল। আমার বউকে এভাবে কেউ দেখবে,আমি দাঁড়িয়ে দেখব?”
” তাহলে কী করবেন? এভাবে সবাইকে বলবেন? ”
” দরকার হলে, বলবো। ”
“আরিশ, আপনি এখন রাস্তায় ঝগড়া করবেন!”
“হ্যাঁ করব। কারণ আমি জেলে যেতে রাজি আছি, কিন্তু তোমাকে কেউ কল্পনায়ও না ছুঁয়ে যায় এটাও সহ্য করতে পারি না।”
আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন
অরা অবাক হয়ে বলল,
” আপনি কি খু ন করার কথা ভাবছেন? ”
” তোমার জন্য সবকিছু মঞ্জুর। ”
অরা ঠিক কী বলবে বুঝতে পারছে না। মাঝে মধ্যে মনে হয়, মানুষটা কেন আর পাঁচটা স্বাভাবিক পুরুষের মতো নয়? কেন এতো পাগলাটে সে? দীর্ঘশ্বাস ছাড়ল অরা। আরিশকে যেহেতু বদলানো যাবে না তাই মানিয়ে নেওয়া ছাড়া কিছু করারও নেই।
“আচ্ছা, এখন এক কাপ কফি খাবো। কিন্তু আশেপাশে তো দোকান দেখছি না! সকাল তো দশটা ছুঁইছুঁই, এখনো কি দোকান খোলেনি? ”
আরিশ মুখে চাপা হাসি নিয়ে বলল,
“দোকান বন্ধ থাকলেও তালা ভেঙে ভেতরে চলে যাবো। তোমার কফি খাওয়া মিস হবে না, ডার্লিং। ”
অরা হতবিহ্বল হয়ে তাকিয়ে রইলো। দু’জনে হাত ধরে সামনের দিকে হাঁটতে লাগলো। দূরে একটা কফিশপ দেখা যাচ্ছে। অরা আরিশকে বোঝানোর চেষ্টা করতে শুরু করলো।
” আচ্ছা আপনি একটু শান্ত থাকতে পারেন, না? ”
আরিশ একটু থেমে বলল,
“ তোমাকে কেউ কল্পনাতেও দেখে এটা ভাবলেই মাথা গরম হয়ে যায়।”
“তাহলে আজকে আমি চোখে কালো চশমা পরে হাঁটব। তাহলে চোখে কিছু দেখবোও না। আর তো আপনি মানুষ পেটাতে চলে যাবেন!”
“চশমার দরকার নেই। আজকের পর থেকে স্লিভলেস কোনো পোশাক পরবে না তুমি। আর সবসময় ওড়না পরবে।”
” বাসায়ও?”
” হ্যাঁ। শুধু রুমে বসে যা খুশি পরো। আর কিছু না পরলে আরো ভালো। ”
আরিশ মুচকি হেসে বলল। অরা তার কাঁধে মৃদু ঘুষি মেরে বলল,
” আপনি একটা খাটাশ। ”
” খাটাশের বউ, মাটাশ। ”
অরা শব্দ করে হেসে উঠলো।
” মাটাশ আবার কী?”
” আমি জানি না। ”
” পাগল একটা! ”
আরিশ কিছু বলল না। দু’জনে হেঁটে চলে গেল কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে। অরা মাঝে মাঝে তাকায় আরিশের দিকে—ওর ঠোঁটের কোণে এখনও হাসি লেপ্টে আছে।
শুক্রবার। সাপ্তাহিক ছুটির দিন। সোলাইমান মল্লিক আজ বাড়িতে আছেন। রোকসানা মল্লিক রান্নাঘরে, দুপুরের রান্নাবান্না করছেন। ছুটির দিন, সেই উপলক্ষে গরুর মাংসের খিচুড়ি রান্না হচ্ছে। নয়নার প্রিয় খাবার এটা।
বসার ঘরে সোফায় বসে আছেন সোলাইমান। গতকাল তার বড়ো ভাই আজমাইনের সাথে ফোনে কথা হয়েছিল। আগামী সপ্তাহে উর্মির বিয়ে। তাই দুই দিন পরই সোলাইমানকে পরিবারসহ গ্রামের বাড়িতে পৌঁছে যেতে বলেছেন তিনি। পাত্রপক্ষ এতদিন বিয়ে পিছিয়ে রেখেছিল, তাদের বাড়ির কেউ একজন অসুস্থ ছিলো বলে। নয়তো এতদিনে উর্মির বিয়েটা হয়ে যেতো।
“ হ্যাঁ গো, অফিসে ছুটির কথা বলেছো?”
আঁচলে হাত মুছতে মুছতে রান্নাঘর থেকে বেরিয়ে এলেন রোকসানা। স্ত্রী’র প্রশ্নে নড়েচড়ে বসলেন সোলাইমান।
“ না, বলা হয়নি। আগামীকাল বলবো। তবে হঠাৎ ছুটি দিবেন কি-না, জানি না। “
“ আমি একবার অরাকে কল দিয়ে বলবো?”
“ আরে না। অফিসের বাইরে আরিশের সাথে আমার যা-ই সম্পর্ক থাকুক, অফিসে ও আমার বস। তাই ছুটির কথাও অফিশিয়ালি বলবো। “
“ সে ঠিক আছে। কিন্তু গ্রামের কথা, উর্মির বিয়েতে যাওয়ার কথা – সেসব তো বলতে হবে অরাকে। আরিশ যাবে কি-না সেটাই সন্দেহ। “
দীর্ঘশ্বাস ছাড়লেন রোকসানা। এরমধ্যে নয়না এলো সেখানে।
“ কোথায় যাওয়ার কথা বলছো, তোমরা?”
সোলাইমান মেয়েকে নিজের পাশে বসার জন্য ইশারা করলেন। নয়না গিয়ে তার বাবার পাশে বসলো।
“ তোর উর্মি আপুর বিয়ে আগামী সপ্তাহে। “
“ বাহ! সেজন্যই ভাইয়ার যাওয়ার কথা বলছিলে! আপু বললে ভাইয়া হয়তো, না করবে না। “
সোলাইমানও রোকসানাকে উদ্দেশ্য করে বললেন,
“ হ্যাঁ রোকসানা। তুমি এতো ভেবো না। খিচুড়ি রান্না হয়েছে? আমরা বাপবেটি বসে আছি তো। “
মুচকি হাসলেন তিনি। রোকসানা হাসিমুখে রান্নাঘরের দিকে এগোতে এগোতে বললেন,
“ ডাইনিং টেবিলে এসো, খাবার দিচ্ছি। “
সোলাইমান ও নয়না দু’জনেই চটপট ডাইনিং রুমের দিকে পা বাড়াল।
বেলা সাড়ে এগারোটা। আরিশের অফিসে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কাচঘেরা কেবিন। ডেস্কে বসে ল্যাপটপে কাজ করছিল আরিশ। হঠাৎ দরজায় টোকা।
“কাম ইন।”
দরজাটা খুলে সোলাইমান মল্লিক ভেতরে ঢুকলেন। পরিপাটি পোশাক, চোখেমুখে বিনয়ের ছাপ। আরিশ চেয়ার থেকে সোজা হয়ে বসল।
সামনে রাখা চেয়ারটার দিকে তাকিয়ে বলল—
“প্লিজ, বসুন।”
সোলাইমান বসে হালকা কাশলেন।
“স্যার, একটা দরখাস্ত ছিল আপনার কাছে।”
আরিশ মাথা নাড়ল।
“বলুন।”
সোলাইমান পকেট থেকে মোড়ানো একটা কাগজ বের করলেন।
“পারিবারিক কারণে পাঁচ দিনের ছুটি প্রয়োজন ছিল। আগামী বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার। গ্রামের বাড়িতে একটু জরুরি যাওয়া দরকার।”
আরিশ কাগজটা হাতে নিয়ে চুপচাপ পড়ে দেখল।
“ঠিক আছে, মঞ্জুর করলাম। ফর্মালিটি শেষে এই কাগজটা এইচ.আর. সেকশনে দিয়ে দেবেন।”
সোলাইমান মাথা হেঁট করে বললেন,
“ধন্যবাদ, স্যার।”
একটু থেমে আরিশ বলল,
“আপনি নিয়মিত, সময়মতো, নিরবিচারে কাজ করেন—এমন কর্মীর ছুটি নিয়ে কখনো ভাবতে হয় না।”
সোলাইমান সংক্ষিপ্ত হাসি দিয়ে মাথা ঝাঁকালেন।
আর কিছু না বলে দাঁড়িয়ে পড়লেন।
আরিশও বসে বসে এক মুহূর্ত তাকিয়ে রইল। কিছু বলল না। হঠাৎ শ্বশুর মশাই গ্রামের বাড়িতে কেন যাবেন সেটাই ভাবছে সে।
সোলাইমান মল্লিক কেবিন থেকে বেরিয়ে গেলে আরিশ ধীরে চেয়ার হেলান দিয়ে চোখ বন্ধ করল।
“ সাবিহা আপা, আপনার কী হয়েছে? ক’দিন ধরেই দেখছি, কেমন মনমরা হয়ে থাকেন। “
সাবিহার ঘরে কী একটা দরকারে এসেছিল তামান্না। সাবিহার মলিন মুখ দেখে উপরোক্ত কথাটি বলল সে। সাবিহা আধশোয়া অবস্থায় ছিলো এতক্ষণ। ধীরে ধীরে উঠে বসলো সে।
“ তেমন কিছু না, গো। “
“ সত্যি, তো?”
দীর্ঘশ্বাস ছাড়ল সাবিহা। মেহরাব যে তার সাথে এভাবে সবকিছু শেষ করে দেবে দুঃস্বপ্নেও ভাবেনি সে। সেদিনের পর থেকে আর যোগাযোগ হয়নি তাদের। মাঝখানে কেটে গেছে বারোটা দিন।
“ মেহরাব…. “
সাবিহা থেমে যায়। আচমকাই শব্দ করে কাঁদতে শুরু করে। আকস্মিক ঘটনায় তামান্না হতবিহ্বল হয়ে তাকিয়ে আছে শুধু। কী হলো বিষয়টা বুঝতে কিয়ৎক্ষণ সময় লাগলো তার। তারপর সাবিহার পাশে বসলো তামান্না।
“ আপা! কান্না করছেন কেন? কী হয়েছে মেহরাব ভাইয়ের? ঝগড়া হয়েছে, আপনাদের? “
সাবিহা কোনোমতে কান্না থামিয়ে বলে,
“ ঝগড়া করলেও তো হতো। কোনো যোগাযোগ রাখেনি। দুইদিন অফিসে গিয়েও তার সাথে দেখা করতে পারিনি। “
“ বাড়িতে গিয়েছিলেন?”
“ কোন অধিকারে যাবো, ভাবি? সে তো আমাকে কিছু বলেনি। আমিই একটু বেশি এগিয়েছিলাম। “
তামান্নাকে এখন, ভাবি বলেই সম্মোধন করে সাবিহা। মেয়েটার এমন কষ্ট সহ্য হচ্ছে না তামান্নার। সাবিহা একটু থেমে আবার বলে,
“ আমাকে কেউ ভালোবাসে না কেন? আমি কি কারোরই ভালোবাসার যোগ্য নই, ভাবি? যার কাছেই যাই, সে-ই…….. “
সাবিহা কথা বলতে পারছে না। কাঁদতে কাঁদতে হেঁচকি তুলে ফেলেছে সে। কে বলবে এই মেয়েটা একসময় অন্যের ক্ষতি চাইতো?
“ আপা শান্ত হোন। আমি অরা ভাবির সাথে কথা বলবো। উনি সরাসরি মেহরাব ভাইয়ের সাথে কথা বলবেন। তবে একটা কথা! যে মানুষগুলো আমাদের ভালোবাসে না, তাদের জন্য এভাবে কষ্ট পাওয়া উচিত নয়। কেউ আপনার অনুভূতির মূল্য দিচ্ছে না বুঝেও সেখানে অনুভূতি ইনভেস্ট করা মানে নিজেকে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করা। এটা করতে নেই, আপা। “
সাবিহা কিছু বলে না। তামান্নাকে জড়িয়ে ধরে কেবল।
অন্যদিকে মাত্রই অফিস থেকে বাসায় ফিরেছিল আরিশ। দোতলার বারান্দা দিয়ে নিজের ঘরের দিকে যাওয়ার সময় আচমকা সাবিহার কান্নার শব্দে স্থির হয়ে দাঁড়িয়েছিল সে। তারপর তামান্না ও সাবিহার সব কথাই শুনেছে সে।
আয়নার সামনে বসে আছে অরা। ইদানীং মুখে বেশ পিম্পল দেখা দিচ্ছে। সেজন্য অরার মনটা একটু খারাপ। আরিশকে রুমে ঢুকতে দেখে অরা পেছন ফিরে তাকাল। ভদ্রলোকের চেহারা কেমন থমথমে লাগছে আজ। রুমে ঢুকে কোনো কথাও বলেনি। অরা বুঝতে পারছে না, আরিশের মতিগতি। ভয়ে চুপ করে বসেই রইলো অরা। আরিশ টাই আলগা করে, পরনের কোট, শার্ট খুলে বিছানায় ছুড়ে ফেলল। অরা চুপচাপ তাকিয়ে আছে কেবল। আরিশ এবার তার দিকে দৃষ্টিপাত করলো।
“ ওখানে বসে আছো কেন? কাছে এসো। “
আরিশের গম্ভীর কণ্ঠ অরাকে বেশ ভয় পাইয়ে দিলো। সে কোনো কথা না বলে দ্রুত আরিশের পাশে গিয়ে বসল। আরিশ তার কোমরে হাত রেখে, কোলে তুলে বসাল। অরা টাল সামলাতে আরিশের গলা জড়িয়ে ধরল। বিছানা থেকে ফোনটা হাতে নিয়ে মেহরাবের নম্বরে কল দিলো আরিশ। অরা চুপচাপ গলা জড়িয়ে বসে আছে।
“ হ্যালো! কী খবর দোস্ত? “
“ তোর খবর বল মেহরাব। “
মেহরাব তখন একটা জুয়েলারি শপের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলো। সাবিহার জন্য একটা নেকলেস কিনতে এসেছিল। হাতে তার জুয়েলারিসহ, ফুল, চকলেট আর টেডিবিয়ার। সবগুলো জিনিসপত্র একহাতে নিয়ে, অন্য হাত দিয়ে বড়ো কষ্টে কল রিসিভ করে ফোনটা কানে ধরে আছে সে। সামনেই গাড়ি। সেদিকে এগোচ্ছে মেহরাব।
“ আমার আবার কী খবর? তোর গলাটা এমন লাগছে কেন? কিছু হয়েছে? “
অরা কিছুই বুঝতে পারছে না। তবে আরিশের এমন রাগী হাবভাবে তার আগের মতো ভয় লাগছে।
“ মানঅভিমান কিংবা শাস্তির একটা লিমিট আছে মেহরাব। সাবিহাকে অতিরিক্ত কষ্ট দিচ্ছিস তুই। এটা বাড়াবাড়ি হচ্ছে। “
জিনিসপত্র পেছনের সিটে রেখে, ড্রাইভিং সিটে বসলো মেহরাব।
“ বোনের কষ্ট সহ্য হচ্ছে না বলে এত রাগ? আমি বুঝি খুব সুখে আছি?”
“ আমার এসব কথা ভালো লাগে না, মেহরাব। যাকে ভালোবাসি তাকে কষ্ট দেবো কেন?”
অরা মুখ বাঁকাল, ভেংচি কাটল। তবে আরিশ তা দেখলো না।
‘ভালোবাসে যাকে তাকে কষ্ট কেন দিবে– জীবনটা তেজপাতা বানিয়ে সাধু সাজা হচ্ছে। ‘
মনে মনে কথাগুলো বলল অরা। আরিশ কথার ফাঁকে ফাঁকে অরার কপালে ঠোঁট ছুঁইয়ে দিলো কয়েকবার।
“ সরি! ভাই….. আমি পথে আছি। তোদের বাসায়ই আসছি। আর একটু সময় অপেক্ষা করতে বল, তোর বোনকে। “
“ তুই বল। শয়তান একটা। রাখছি। “
আরিশ কল কেটে ফোনটা বিছানার ওপর রাখল। অরা পুতুলের মতো কোনো নড়নচড়ন ছাড়া বসে আছে দেখে আরিশ বলল,
হামিংবার্ড পর্ব ৬২
“ কী হয়েছে? “
“ আমি তো জানি না । “
“ তোমার কী হয়েছে, সেটা বলো। “
“ আপনি রেগে ছিলেন……”
“ ভয় পেয়েছ?”
অরা মাথা নেড়ে বলে,
“ একটু!”
আরিশ খুব যত্নসহকারে তাকে বিছানায় বসিয়ে দিয়ে নিজে বসা থেকে উঠে দাঁড়াল।
“ ফ্রেশ হয়ে আসছি, ভয় কাটিয়ে দেবো। “
আরিশের হাসির কারণ অরার অজানা নয়। অরা লজ্জায় মাথা নিচু করে ফেলল। আরিশ তোয়ালে হাতে, ওয়াশরুমের দিকে এগোল।