হৃদয় মাঝে হঠাৎ তুমি পর্ব ১৬
সানা শেখ
মায়া নিজের রুম থেকে বেরিয়ে নিচে নেমে আসতেই
দেখে হাত পা মাথায় ব্যান্ডেজ বাঁধা আলভী কে।
আলভী কে এমন অবস্থায় দেখেই পা দুটো থেমে যায় মায়ার। সবাই কথা বলছে আর আলভী চুপ চাপ শুনছে।
আলভীর মনে হতে থাকে মায়া ওর আশে পাশে আছে। ঘাড় ঘুরিয়ে তাকাতেই দেখে সত্যি সত্যিই মায়া দাঁড়িয়ে আছে একটু দূরে, তাঁকিয়ে আছে ওর দিকেই।
আলভী কে তাকাতে দেখে দৃষ্টি সরিয়ে নেয় মায়া। ঘুরে দাদির রুমের দিকে এগিয়ে যায়।
আলভী বির বির করে বলে,
“হায়রে বউ রে, কাছে এসে একটু জিজ্ঞেসও করলো না “কি হয়েছে?” উল্টো মুখ বাঁকিয়ে চলে গেল, পাষাণ বউ।”
“আমি ড্রেস চেঞ্জ করে ফ্রেস হয়ে আসছি।”
বলেই বসা থেকে উঠে দাঁড়ায়। খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে এগিয়ে যায় সিঁড়ির দিকে।
মায়া দাদির রুমে এসে দেখে দাদি এখনো জায়নামাজের উপর বসে তাসবীহ পাঠ করছেন।
মায়া কে দেখে কাছে ডাকেন।
“ড্রইং রুমে কি হয়েছে? সকলে জোড়ে জোড়ে কথা বললো কেন?”
“তোমার পেয়ারের নাতির কি যেন হয়েছে।”
“মাহিরের? ওর আবার কি হলো? নামাজ পড়তে আসার আগে না ওকে সোফায় দেখে আসলাম।”
“আরে ভাইয়ার না তো, তোমার বিদেশি ধলা ইন্দুর নাতির কি যেন হয়েছে। হাত পায়ে ব্যান্ডেজ বাঁধা দেখলাম।”
আতকে ওঠেন নাহার বেগম।
আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন
“কি হয়েছে আলভীর?”
“মনে হয় এক্সিডেন্ট হয়েছে।”
নাহার বেগম দ্রুত বসা থেকে উঠে দাঁড়ান। ডোরের দিকে এগিয়ে যেতে যেতে বলেন,
“পাষাণ মেয়ে তোর জামাই ম/রে যায় আর তুই এখানে এসে দাঁত বের করে কথা বলছিস?”
“আশ্চর্য তো, কথা বললে তো দাঁত বের হবেই। তোমার মত দাঁত ছাড়া নাকি আমি?”
“বেশি কথা না বলে তাড়াতাড়ি আয়।”
“তুমি যাও আমি যাব না।”
নাহার বেগম ফিরে ভেতরে আসেন আবার। মায়ার হাত ধরে টেনে রুম থেকে বেরিয়ে আসেন। রুমের বাইরে এসে শক্ত হয়ে দাঁড়ায় মায়া।
“অদ্ভুত তো, এভাবে আমার হাত ধরে টানছো কেন?”
“বাড়িতে এত গুলো মেহমান এসেছে তারা কি বলবে, ছেলেটার এক্সিডেন্ট হয়েছে আর তুই বউ হয়ে ওর সেবা যত্ন তো দূরে থাক কাছেও যাচ্ছিস না।”
“মেহমানরা খুশিই হবে। এখন ছাড়ো আমার হাত। তোমার ঐ শ য় তা ন নাতির সামনে যাব না আমি।”
“জামাই কে এভাবে বলতে হয় না।”
“ওহ নাতির জন্য দরদ উথলে পড়ছে বুঝি?”
“তুই বেশি কথা বলিস।”
“যাব না আমি।”
নাহার বেগম শোনেন না মায়ার কোন কথা। হাত ধরে জোর করেই ড্রইং রুমে নিয়ে আসেন।
“আলভী কোথায়?”
নাহার বেগমের কথা শুনে সবাই ওনার দিকে তাকায়। মাহির বলে,
“রুমে গেছে।”
নাহার বেগম আর কোন কথা না বলে সিঁড়ির দিকে এগিয়ে জান মায়ার হাত ধরে রেখেই।
সোফায় সবাই বসে আছে তাই মায়া কিছু বলছে না।
দাদি কে ধরে নিয়ে উপরে উঠে আসে।
“এখন ছাড়ো আমাকে।”
“কোন ছাড়াছাড়ি নেই, তুই আয় আমার সাথে।”
“বুড়ো হয়ে গেছো, শরীরে এখনো এত শক্তি কেন?”
“তোর বয়সে আমি দুই সন্তানের মা হয়ে গিয়েছিলাম।”
“আশ্চর্য্য, আমি বলছি একটা তুমি বলছো আরেকটা।”
“বেশি কথা না বলে আয় আমার সাথে।”
মায়া কে টেনে নিয়ে আলভীর রুমের সামনে এসে দাঁড়ায়। কিছুতেই ভেতরে প্রবেশ করবে না।
“আলভী।”
দাদির গলার স্বর শুনে ড্রেসিং টেবিলের সামনে থেকে ডোরের দিকে উঁকি দেয়।
“ভেতরে আসো।”
“তুমি একটু আসো।”
আলভী ড্রেসিং টেবিলের সামনে থেকে সরে আসে। দাদি নাতনী কে এক প্রকার কুস্তি করতে দেখে কয়েক সেকেন্ড চুপ চাপ দাঁড়িয়ে থাকে।
মায়া আলভীর দিকে তাকাচ্ছেই না। দাদির হাত থেকে নিজের হাত ছাড়িয়ে নেয়ার চেষ্টা করছে সমানে।
“বলো দাদু।”
“ওকে একটু ভেতরে নিতে সাহায্য করো। পারবে কি?”
আলভী দুই কদম এগিয়ে আসে। মায়ার বাম হাত টা নিজের বাম হাত দিয়ে ধরে এক টানে ভেতরে নিয়ে আসে।
“উপরের সিটকিনি টা লাগিয়ে দাও।”
দাদির কথা মতন তাই করে আলভী।
মায়া এক পাশে মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে আছে। রাগে লাল হয়ে গেছে। বুড়ো মানুষ বেশি জোরে টানাটানি বা ধাক্কা দিলে পড়ে গিয়ে ব্যাথা পাবে তাই মায়া করে সেরকম কিছু করেনি মায়া। আর এই বুড়ি ওকে ধরে বেঁধে বাঘের খাঁচায় এনে বন্দী করলো তাও যে সে বাঘ না এক নাম্বারের অসভ্য অভদ্র লুচ্চু বাঘ। সুযোগ পেলেই চেপে ধরে।
নাহার বেগম মায়া কে টেনে এনে দাঁড়ান আলভীর সামনে। মায়া মাথা নিচু করেই দাঁড়িয়ে থাকে। একটা বারও উপরের দিকে তাকায় না। নাহার বেগম ভালো ভাবে তাকান নাতির দিকে।
“এরকম হয়েছে কিভাবে তোমার? কিভাবে এক্সিডেন্ট হয়েছে?”
“বাইক চালাতে গিয়ে বাইক নিয়ে পড়ে গিয়েছিলাম।”
“আর কোথায় কোথায় ব্যাথা পেয়েছো?”
“বেশি ব্যাথা পাইনি আর। কয়েক দিনেই ঠিক হয়ে যাবে।”
“তুমি দেখাও আমি দেখব।”
গায়ের টিশার্ট তুলে ডান পাশের পিঠ দেখায়।
“এরকম হয়ে গেছে আর বলছো বেশি কিছু হয়নি?”
দাদির কথা শুনে মায়া চোখ তুলে তাকায়। আলভীর ফর্সা পিঠ ডান পাশ টা পুরোপুরি জখম হয়ে গেছে। এমন অবস্থা দেখেই মায়ার শরীর কা টা দিয়ে ওঠে।
আলভী ঘুরে দাঁড়াতেই চোখাচোখি হয় দুজনের।
মায়ার চোখে মুখে স্পষ্ট ব্যাথা যন্ত্রণার ছাপ দেখতে পায় আলভী। এই ব্যাথা যন্ত্রণার ছাপ পড়ার কারণ, মায়া আঘাত পেয়েছে এমন নয়। আলভী আঘাত পেয়েছে সেটা দেখেই ওর চোখে মুখে এই ব্যাথা যন্ত্রণার ছাপ ফুটে উঠেছে। মায়া নিজের দৃষ্টি সরিয়ে নেয়। আলভী বুঝতে পারে মায়া ওর কাছ থেকে নিজের দৃষ্টি লুকিয়ে নিল। আলভী খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে বেডে বসে পা ঝুলিয়ে। দাদি আর মায়া কেও বসতে বলে। দাদি মায়া কে টেনে নিয়ে বসেন আলভীর পাশে।
“ডক্টর কি বলেছেন?”
“কয়েক দিনে ঘা শুকিয়ে যাবে।”
“দেখে শুনে বাইক চালাবে না? যদি বড় ধরনের কিছু হয়ে যেত?”
আলভী সামনের দিকে দৃষ্টি রেখে বলে,
“কি আর হতো? সবাই কে মুক্তি দিয়ে চলে যেতাম। আমার জন্য আর কাউকে কষ্ট পেতে হতো না।”
“আলভী।”
“রেগে যাচ্ছো কেন? ভুল কিছু বলেছি আমি? তুমিই হিসেব করে দেখো, আমার জন্য এই বাড়ির প্রত্যেক জন কে ঠিক কতটা কষ্ট পেতে হয়েছে। সবাই কে আমি অনেক কষ্ট দিয়েছি এত গুলো বছর ধরে।”
“পুরোনো কথা বাদ দাও।”
“কিভাবে বাদ দেব? পুরোনো স্মৃতি কি ভুলতে পারবে?”
“পুরোনো কথা মনে করে কেন কষ্ট পাবে? বর্তমান আর ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবো। ভবিষ্যতে যেন কাউকে কষ্ট পেতে না হয় সেদিকে খেয়াল রাখবে।”
“অতীতের কষ্টই তো মুছে দিতে পারছি না বর্তমান ভবিষ্যৎ নিয়ে কখন ভাববো? আগের ক্ষত টা তো সারাতে হবে আগে।”
আলভীর কথা শুনে মায়ার মুখের দিকে তাকান নাহার বেগম। মায়া এখনো চোখ মুখ শক্ত করে নিচের দিকে তাকিয়ে আছে। আলভীর কথা ওর কর্ণকুহরে পৌঁছেছে কিনা কে জানে।
আলভী পুনরায় বলে,
“তোমার কি মনে হয় দাদু, তোমাদের সকল কে ছেড়ে জার্মানিতে আমি খুব সুখে আনন্দে নেচে গেয়ে দিন পাড় করেছি?”
“এরকম কেন মনে হবে? আমাদের পরিবারের সবাই এখানে আছে শুধু তুমি ছিলে না তাতেই সকলের এত কষ্ট হয়েছে। সব সময় শূন্যতা ঘিরে রেখেছে সবাই কে।সেখানে তুমি পরিবারের সবাই কে ছেড়ে একা একা ছিলে এত গুলো বছর, আমাদের থেকে তোমার অনেক বেশিই কষ্ট হয়েছে।”
“ভুল বললে দাদু ,যাদের হৃদয় থাকে তাদের কষ্ট হয়, আমার তো হৃদয় নেই তাই আমার কষ্টও হয়নি।”
আলভী একটু থেমে আবার বলে,
“সদ্য আঠারো বছর বয়স। অপরিচিত একটা দেশ, অপরিচিত জায়গা, অপরিচিত মানুষ। পরিচিত বলতে শুধু আমার আমি টাই। পরিবারের সাথে যোগাযোগ বন্ধ, কথা বলার মতো কেউ নেই। যদিও এর জন্য একমাত্র আমি নিজেই দায়ী। দিন যায়, মাস যায়, বছর পেরিয়ে নতুন বছর আসে। কিন্তু আমার জীবনে হাসি আনন্দ আসে না। এভাবেই পড়াশোনা করতে করতে সাত টা বছর পেরিয়ে যায়। রাগ জেদ তখনো আমার শরীরের প্রত্যেক টা শিরায় উপশিরায়। রাগী, গম্ভীর, বদ মেজাজি, খিটখিটে মেজাজ। কারো সাথে কথা বলতেই ইচ্ছে করতো না। মানে কেমন যেন হয়ে গিয়েছিলাম। সিদ্ধান্ত নিয়েই নিলাম দেশে ফিরবোই না। জব করার সিদ্ধান্ত নিয়েও আবার মত পাল্টে বিজনেস করার সিদ্ধান্ত নেই। আব্বুর কাছ থেকে টাকা নিয়ে শেয়ারে বিজনেস শুরু করলাম। ব্যস্ত হলাম নতুন ভাবে। সারা দিন কাজ কর্ম ব্যস্ততা শেষে যখন ওই বাড়িটায় ফিরতাম দম বন্ধ হয়ে আসতো। ডাইনিং টেবিলে খাবার খেতে বসে প্রত্যেক লোকমা ভাতের সাথে এক ঢোক পানি গিলতে হয়েছে। পানি ছাড়া ভাত গলা থেকে নেমে পেটে যেতেই চাইতো না।”
এত টুকু বলেই একটু থামে। তাকায় দাদির মুখের দিকে। দাদির চোখ দুটো পানিতে টুইটুম্বর হয়ে আছে। আলভী মুচকি হেসে নিজের হাত দিয়ে দাদির চোখের পানি মুছিয়ে দেয়।
এক হাতে জড়িয়ে ধরে দাদি কে। দাদি কে জড়িয়ে ধরার সময় মায়ার বাহুতে ছোঁয়া লাগে। মায়া একটু সরে যায়। আরো কিছু বলতে চাইলেও দাদির চোখে পানি দেখে আর বলে না আলভী।
“কি হয়েছে? চোখে পানি কেন?”
“সবাই কে ছেড়ে থাকতে অনেক কষ্ট হয়েছে তাইনা?”
“আমার কষ্ট হয় না।”
ছলছল চোখে নাতির মুখের দিকে তাকিয়ে থাকেন নাহার বেগম।
আলভী দাদি কে ছেড়ে উঠে দাঁড়ায়।
“তোমরা দুই মিনিট বসো আমি আসছি।”
টাওয়েল হাতে ওয়াশরুমে প্রবেশ করে আলভী। ড্রেস চেঞ্জ করলেও হাত মুখ ধোয়া হয়নি।
টাওয়েল ভিজিয়ে হাত মুখ মুছে নেয়। ব্যান্ডেজে এখন পানি লাগাতে নিষেধ করেছে। সকালে লাগাতে পারবে সমস্যা হবে না।
নাহার বেগম মায়ার মুখের দিকে তাকান। মায়া এখনো আগের মতোই বসে আছে। মায়ার এক হাত নিজের হাতের মুঠোয় নিয়ে বলেন,
“আর কত জেদ ধরে থাকবি? এবার অন্তত সব রাগ জেদ ঝেড়ে ফেলে দে। তুই যেমন কষ্ট পেয়েছিস আলভী ও তো তেমন কষ্ট পেয়েছে।”
“কষ্ট পেয়েছে ঠিক আছে কিন্তু আমাকে যা যা ফেস করতে হয়েছে তোমার নাতি কে কি সেসব ফেস করতে হয়েছে? আমি শুনেছি মানুষ দের তীরের ফলার মত ধারালো কথা। হাজার বার ছু রি দিয়ে আঘাত করলেও বোধহয় অতটা কষ্ট হতো না যত টা কষ্ট মানুষের কথায় হয়েছে। সে ছেলে বলে এখনো তাকে দুটো কথা বলেনি কেউ। আর বাড়িতে মানুষ আসতে না আসতেই আমাকে কথা শোনানোর জন্য চলে এসেছিল। আমাকেই সব সহ্য করতে হবে, আমাকেই মানিয়ে নিতে হবে, আবার আমাকেই ছেড়ে দিতে হবে। আমি কি তোমার নাতি কে ধরে রেখেছি? নাকি তাকে আবার বিয়ে করতে নিষেধ করেছি? সে এখনই বিয়ে করে নিক তাতে আমার কোন আপত্তি নেই। এর পর যে আমাকে কথা শোনাতে আসবে আমি কিন্তু তাকে অপমান করে দেব। তারপর কেউ বলতে পারবে না আমি এত বড় বেয়াদপ কেন হয়েছি!”
“কে তোকে কি বলেছে আবার?”
“কে কি বলেছে এখন বলতে চাইছি না কিন্তু নেক্সট টাইম বললে অপমান করতে দুই সেকেন্ড ভাববো না, সে যেই হোক না কেন।”
দাদি হয়তো বুঝতে পারলেন কিছু। তিনি এর আগেও আলভীর নানীর বাড়ির কয়েক জন কে দেখেছিলেন মায়া কে কথা শোনাতে। তখন তিনি হুশিয়ার করে দিয়েছিলেন পরের বার যেন এমন কিছু না করে।
কিন্তু তারা এবারেও এসে একই কাজ করছে। কিন্তু কে করেছে সেটা শিওর হতে পারছেন না।
ওয়াশরুমের ডোরের সামনে দাঁড়িয়ে দাদি নাতনীর সব কথা শুনেছে আলভী।
মায়া যখনোই বলেছে “আসতে না আসতেই কথা শোনানোর জন্য চলে এসেছিল” তখনই বুঝতে পেরেছে ওর নানার বাড়ির কেউ একজন মায়া কে পছন্দ করে না। আর সেও অন্যদের মতোই মায়া কে কথা শোনায়, আগেও শুনিয়েছে।
ডোর খুলে রুমে চলে আসে। মায়া আর কোন কথা না বলে চুপ হয়ে মাথা নিচু করে বসে থাকে।
আলভী ভেজা টাওয়েল শুকিয়ে দিয়ে আসে বেলকনিতে।
রুমে এসে ডোর খুলে মায়ার দিকে তাকিয়ে বলে,
“মায়া তুমি যাও।”
মায়া আর এক সেকেন্ড ও দেরি করে না। সাথে সাথেই উঠে রুম থেকে বেরিয়ে যায়। মায়া চলে যাওয়ার পর আলভী আবার ডোর লক করে দেয়।
তারপর দাদির পাশে এসে বসে।
“তোমাকে যা জিজ্ঞেস করব তার সঠিক উত্তর দেবে।”
“কি জানতে চাও?”
হৃদয় মাঝে হঠাৎ তুমি পর্ব ১৫
“মায়া একটু আগে যা যা বলেছে তা সবই শুনেছি আমি।”
“তুমি কিন্তু কোন ঝামেলা করো না দাদু ভাই।”
“ঝামেলা করব না তুমি শুধু আমার প্রশ্নের উত্তর দাও।”