হৃদয় মাঝে হঠাৎ তুমি পর্ব ৩২
সানা শেখ
ফটোশুট, সকলের সাথে কথা-বার্তা অতিথিদের সঙ্গে পরিচয় শেষে বাড়ির ভেতর প্রবেশ করতে করতে আলভী আর মায়ার রাত আটটা বেজে যায়। ভারী শাড়ি পড়ে মায়ার অসস্তি হচ্ছে এখন। শাড়িটা চেঞ্জ করতে পারলেই শান্তি।
বাড়ির ভেতর প্রবেশ করে সোফায় বসে দুজন। দুজন কেই অরেঞ্জ জুস খেতে দেওয়া হয়।
নাহার বেগম ছোট ছেলের বউয়ের দিকে তাকিয়ে বলেন,
“ওদের দুজন কে খাইয়ে রুমে পাঠিয়ে দাও। এভাবে আর কতক্ষন বসে থাকবে?”
মায়া শাশুরি মায়ের দিকে তাকিয়ে বলে,
“আমি এখন আর কিছুই খাব না।”
“অল্প করে খাও, খেয়ে ছিলে তো সেই কখন।”
“আসরের পর খেয়েছি তো, এখন আর খেতে পারবো না। আমি ফ্রেস হবো।”
“আলভী খেয়ে যাও তাহলে।”
“আমিও খাব না।”
“তাহলে আর কি! সানজিদা ওদের রুমে দিয়ে আসো।”
আলভী সোফা ছেড়ে উঠে দাঁড়ায়। মাহিদ এর দিকে তাকিয়ে চোখ ইশারা করে। তারপর বলে,
“মায়া কে রুমে নিয়ে যান। রানা আর তাজের ফ্যামিলি চলে যাবে, ওদের এগিয়ে দিয়ে আসছি আমি।”
সানজিদা মায়া কে নিয়ে আলভীর রুমের দিকে আগায়। ওদের দুজনের সাথে আরো অনেক মেয়েরা যায়।
আলভী মাহিদ আর বন্ধুদের সাথে বাড়ির বাইরে বেরিয়ে আসে।
দুই বন্ধু কে বলে,
আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন
“আগামী কাল তাড়াতাড়ি চলে আসিস কিন্তু।”
“আসবো, আর বলতে হবে না। আসছি আমরা, শুভ বাসর রাত বন্ধু।”
তাজের কথা শুনে হেসে ওঠে চার জন। তাজ আর রানা বেরিয়ে যায় নিজেদের ফ্যামিলি নিয়ে।
আলভী মাহিদ আর রিমন কে নিয়ে কাজিন দের দিকে এগিয়ে যায়।
রুমে এসে মায়ার হিজাব খুলে দেয় সানজিদা। চুল গুলো ব্রাশ করে খোঁপা করে বেঁধে নেয়। তারপর খোঁপার ভাঁজে ভাঁজে টাটকা লাল সাদা গোলাপ ফুল গুঁজে দেয়। সোজা সিঁথির মাঝখানে টিকলি পড়িয়ে দেয়। কানে বড় বড় কানের দুল, গলায় হাড় পড়িয়ে দেয়। দোপাট্টা দিয়ে লম্বা করে ঘোমটা টেনে দিয়ে মায়া কে ফুল সজ্জিত বেডের মাঝখানে বসিয়ে দেয়।
সব কিছু ঠিক করে রেখে রুমের চারো দিকে সাজিয়ে রাখা ক্যান্ডেল গুলো জ্বালিয়ে দেয়। ডিম লাইট অন করে বড় লাইট অফ করে দেয়। তারপর সবাই কে নিয়ে রুম থেকে বেরিয়ে বাইরে থেকে ডোর লক করে দেয়।
নিচে যেতে যেতে আলভীর ফোনে ম্যাসেজ পাঠায় “সব ডান।”
আলভী সকলের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে বাড়ির ভেতরের দিকে এগিয়ে যায়। ওর পেছন পেছন কাজিন গুলোও আগায়।
বাসর ঘরের সামনে আসতেই দেখে ডোরের সামনে ভিড় জমিয়ে দাঁড়িয়ে আছে মেয়েরা। আলভী কপাল ভ্রু কুঁচকে তাকিয়ে বলে,
“সবাই এখানে এভাবে দাঁড়িয়ে আছে কেন?”
সকলের পক্ষ থেকে শীতল বলে,
“বাসর ঘরের টাকা না দিলে ভেতরে প্রবেশ করতে পারবে না।”
“মামার বাড়ির আবদার! বাসর ঘরের টাকা দেবে মেয়ের বাড়ির মানুষ, আমি কেনো দেব?”
“তো মেয়ের বাড়ির মানুষ জন কোথায়?”
“তুমিই তো মেয়ের বাড়ির মানুষ।”
“একদম না, আমি ছেলে পক্ষের মানুষ।”
“তাহলে মেয়ের ভাই নয়তো ভাবীর কাছে চাও।”
মাহিদ সকলের ভিড় ঠেলে পেছনের দিকে যেতে যেতে বলে,
“মেয়ের ছোট ভাই সারা দিন দৌড়াদৌড়ি করে অসুস্থ হয়ে পিজি হসপিটালে ভর্তি।”
বলতে বলতে নিজের রুমে ঢুকে ডোর লক করে বেডে শুয়ে পড়ে।
“মেয়ের ছোট ভাই হসপিটালে ভর্তি আছে তাই দয়া করে আপনারা সবাই আসুন।”
“মেয়ের ছোট ভাই অসুস্থ হলেও মেজো ভাই সুস্থ সবল আছে এখনো।”
“আস্তাগফিরুল্লাহ, মেয়ের মেজো ভাই গত তেরো বছর আগে ইহ জগত ছেড়ে পরলোকে গমন করেছে। যে বেঁচে আছে সে মেয়ের জ্বলজ্যান্ত হাসবেন্ড।”
“মেয়ের হাসবেন্ডই টাকা দেবে এখন নয়তো বাসর ঘরে প্রবেশ নিষিদ্ধ।”
“এ্যাহ্, বাসর ঘর আমার নিজের টাকায় সাজিয়েছি তাহলে তোমাদের কেনো টাকা দেব? তোমরা সাজালে নাহয় তোমাদের টাকা দিতাম।”
“বউ কে রুমে এনে আমরাও কষ্ট করে রুমের দরজায় তালা ঝুলিয়েছি। টাকা ছাড়া এই তালা এই জন্মে খোলা হবে না।”
“কোন দেশে বিয়ে করতে আসলাম রে ভাই! যেখানেই যাই সেখানেই দাবি টাকা দিতে হবে। এত টাকা আমি কোথায় পাব?”
“এত গুলো বছর জার্মানিতে কি করেছো?”
“শোক পালন করেছি।”
“কিসের শোক?”
“সে মেলা বড় কাহিনী। এই কাহিনী বলতে বলতে আমার বাসর রাত শেষ হয়ে বাসি রাত চলে আসবে।”
“টাকা না দিলে বাসি রাতই পালন করতে হবে।”
“আমার কাছে টাকা নেই সত্যি সত্যি। এই যে দেখো।”
বলে নিজের শেরওয়ানির দুই পকেট দেখায়।
নাদিরা বলে,
“এক লক্ষ টাকা দিয়ে বাসর ঘরে প্রবেশ করতে হবে নয়তো বাসর রাত সত্যি সত্যিই বাসি রাতে পরিণত হবে।”
“সব গুলো আমার মীরজাফর বাপের অনুসারী। সব গুলো বোধহয় এক জায়গার মাটি দিয়ে তৈরি। সব সময় সবাই আমার মতো একটা নিষ্পাপ, ভোলা-ভালা, ইনোসেন্ট ছেলে কে ব্ল্যাকমেইল করে।”
আলভীর কথা আর বলার ধরণ দেখে সবাই হাসতে হাসতে শেষ। শীতল নিজেকে সামলে নিয়ে বলে,
“ভাইয়া টাকা দিয়ে দাও না আমরা চলে যাই।”
“আমার কাছে তো টাকা নেই।”
“কারো কাছ থেকে ধার করে আনো।”
“দশ মিনিট সময় দাও।”
“আচ্ছা।”
আলভী নিচে নেমে আসে।
একটু পরেই রিমন আর নাজিম কে খুঁজে নিয়ে আসে।
ওদের দুজন কে সিঁড়ির কাছে দাড় করিয়ে রেখে নিজের রুমের সামনে এসে দাঁড়ায়।
“টাকা কই?”
“টাকা ওদের দুজনের কাছে। তোমরা সবাই ওদের দুজনের কাছে গেলেই টাকা পাবে।”
“মিথ্যে কথা বলছো তুমি।”
“একশো পার্সেন্ট সত্যি কথা বলছি আমি। বিশ্বাস না হলে ওদের জিজ্ঞেস করো ওদের কাছে টাকা আছে কি না!”
নাদিরা ভাইয়ের দিকে তাকিয়ে বলে,
“তোমাদের কাছে টাকা আছে?”
“হ্যাঁ।”
“কোথায়? আমাদের দেখাও নয়তো আমরা বিশ্বাস করি না।”
দুজনেই নিজেদের পকেট থেকে দুটো টাকার বান্ডিল বের করে সবাই কে দেখায়।
এক হাজার টাকার বান্ডিল স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে।
আলভী সকলের দিকে তাকিয়ে বলে,
“বিশ্বাস হয়েছে তো আমার কথা! এখন ওদের দুজনের কাছে যাও ওরা তোমাদের সকল কে টাকা বুঝিয়ে দেবে।”
“সব গুলো দেবে তো নাকি আবার চিট করবে?”
“একদম সব গুলো টাকা দিয়ে দেবে তোমাদের।”
“সত্যি?”
“মিথ্যে বলি না আমি।”
আলভীর হাতে চাবি দিয়ে সবাই ডোরের সামনে থেকে সরে রিমন আর নাজিম এর সামনে আসে।
আলভী দ্রুত ডোর খুলে ভেতরে প্রবেশ করে। পেছন থেকে ছেলেদের দল গান গেয়ে ওঠে সাথে মিউজিক বক্সেও গান প্লে হয়।
ছেলেরা গলা ছেড়ে চিৎকার করে গাইছে,
“তুমি দিও না গো বাসর ঘরের বাত্তি নিভাইয়া,
আমি অন্ধকারে বন্ধ ঘরে যাব মরিয়া।”
ছেলেদের গান শুনে বেডে বসে থাকা মায়া হেসে ওঠে সাথে লজ্জাও পায়। আলভী ডোর লক করে সোজা হয়ে দাড়ায়। অবশেষে বাসর করবে আজ। আহা ওর বউটা ওর জন্য বউ সেজে ফুল সজ্জিত বেডে বসে অপেক্ষা করছে তখন থেকে। বেডের দিকে ঘুরে দাঁড়ায়।
লম্বা ঘোমটা টেনে বসে আছে মায়া। হঠাৎ আলভীর হৃদস্পন্দন বাড়তে শুরু করে। বুকের বা পাশে হাত দিয়ে চেপে ধরে। চোখ বন্ধ করে লম্বা শ্বাস টেনে নেয়।
তারপর এক পা দুই পা করে বেডের দিকে আগায়। রুমের বড় লাইট অন করে। দূরত্ব মিটিয়ে অবশেষে বেডে উঠে বসে।
বিসমিল্লাহ বলে মায়ার ঘোমটা তুলে মায়ার মুখের দিকে উঁকি দেয় ঘাড় কাত করে। মৃদু স্বরে সালাম দেয়,
“আসসালামু আলাইকুম বিবী সাহেবা।”
চোখ তুলে তাকায় মায়া। আলভীর হাস্যোজ্বল মুখ জ্বলজ্বল করছে যেন।
মায়া নিজেও মৃদু স্বরে সালামের জবাব দেয়,
“ওয়ালাইকুম আসসালাম বিবীর সাহেব।”
আলভীর হাসি আগের চেয়েও চওড়া হয়।
মায়ার ঘোমটার নিচে নিজের মাথা ঢুকিয়ে দেয়।
চোখ রাখে মায়ার চোখে। এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থেকে বলে,
“বাকি জীবন এভাবেই পাড় হয়ে যাক। সময় এখানেই থেমে যাক। আমি অনন্ত কাল তোমাকে এভাবেই দেখতে থাকি।”
মায়া কিছু না বলে আলভীর চোখের দিকে তাকিয়ে রইলো। আলভী মায়ার দুই চোখের পাতায় সযত্নে আলতো চুমু খায়। টিকলি টা সরিয়ে ললাটে অধর ছোঁয়ায়। তারপর বেড থেকে নেমে দাড়ায়।
মায়ার হৃদস্পন্দন বেড়ে গেছে। আলভী ওর কাছাকাছি আসলেই ওর এমন হয়।
মায়ার এক হাত ধরে বলে,
“কষ্ট করে একটু নিচে নামুন মায়া রানী।”
মায়া বেড থেকে নেমে দাড়ায়। আলভী একটু দূরে দাঁড়িয়ে মায়া কে দেখতে থাকে। মায়া নিজেও আলভীর দিকে তাকিয়ে থাকে।
আলভী ড্রেসিং টেবিলের ড্রয়ার থেকে নিজের ক্যামেরা বের করে। মায়া কে ফুল সজ্জিত বেডের সামনে দাঁড় করায়। দোপাট্টা মায়ার দুই হাত দিয়ে ধরিয়ে উচু করে ধরায়। তারপর নিজে দাঁড়ায় মায়ার থেকে কিছুটা দূরে।
“হাসি দাও আলভীর রানী।”
মায়া হাসে, পর পর কয়েক বার ক্যামেরায় ক্লিক হয়।
“নতুন পোজ দাও সাহেবের বিবী।”
ঘুরে ফিরে অনেক গুলো পোজ দেয় মায়া।
আলভী আবার মায়া কে বেডে বসায়। মায়ার শাড়ি চারো দিকে গোল করে ছড়িয়ে দেয়। দোপাট্টা খুলে দিয়ে মায়া কে উপরের দিকে তাকাতে বলে। মায়া উপরের দিকে তাকায়। বেডের উপর দাঁড়িয়ে মায়ার ফটো তোলে আলভী। এই ফটো গুলো সবচেয়ে বেশি সুন্দর হয়েছে। মায়ার পার্সোনাল ফটোগ্রাফার আলভী।
ফটো তোলা শেষ হলে মায়া কে বেড থেকে নামায় আবার। মায়ার আলভীর মুখের দিকে তাকিয়ে বলে,
“এসব এখন খুলি?”
“হ্যাঁ, আসো আমি খুলে দিচ্ছি।”
মায়া টুলের উপর বসে। আলভী আগে জুয়েলারি গুলো খুলে দেয়। তারপর খোঁপায় লাগানো ফুল গুলো।
শাড়ির সেফটিপিন গুলো একটা একটা করে খুলে দেয়। ভারী শাড়ি টা নিজেই খুলে নিয়ে সোফার উপর রাখে। লজ্জায় দুমড়ে মুচড়ে যাচ্ছে মায়া। আলভী আলমারি থেকে হালকা শাড়ি বের করতে করতে বলে,
“এমন লজ্জা পাচ্ছো মনে হচ্ছে আজকেই প্রথম দেখছো আমাকে, অথচ আমি তোমার তেরো বছরের পুরোনো স্বামী।”
“তুমি নির্লজ্জ্ব বলে কি আমিও নির্লজ্জ্ব নাকি?”
“এই টুকুন শরীরে এত লজ্জা সরম কোথায় স্টক করে রেখেছো দেখি একটু।”
বলে মায়ার হাত ধরে। মায়া আলভীর হাত থেকে থাবা দিয়ে শাড়ি টা নিয়ে দ্রুত ওয়াশরুমে প্রবেশ করে।
আলভী ওয়াশরুমের দিকে তাকিয়ে বলে,
“যা বাবা দেখতেও দিল না লজ্জা সরম কোথায় স্টক করে রেখেছে। এক ঘণ্টার মধ্যে ওই লজ্জা সরম স্টক আউট করতে হবে।”
কথা বলতে বলতে ড্রেসিং টেবিলের সামনে এসে দাঁড়ায়। শেরওয়ানি খুলে রেখে দেয়। কোমরে টাওয়েল পেঁচিয়ে শেরওয়ানির পায়জামা খুলে নরমাল ট্রাউজার পড়ে নেয়। গায়ে জড়ায় নতুন একটা শুভ্র রঙা পাঞ্জাবি। সাদা ড্রেস পড়তে আলভীর একটু বেশিই ভালো লাগে।
শাড়ি পড়ে মেকআপ রিমুভ করে ফ্রেস হয়ে ওযু করে বেরিয়ে আসে মায়া। আলভী নিজেও ওয়াশরুমে প্রবেশ করে।
পাঁচ মিনিটেই আবার বেরিয়ে আসে। হাত মুখ মুছে নিজের গায়ে সাথে মায়ার গায়েও আতর দিয়ে দেয়। আগে পিঠে করে জায়নামাজ বিছিয়ে দেয় মায়া। আলভী সামনে দাঁড়ায় পেছনে দাঁড়ায় মায়া।
দুই রাকাত নফল নামাজ আদায় করে উঠে দাঁড়ায় দুজনেই। জায়নামাজ ভাঁজ করে তুলে রাখে আলভী।
মায়া কে বেডে গিয়ে বসতে বলে নিজের গায়ের পাঞ্জাবি খুলে রাখে। আলমারির ভেতর থেকে ছোট একটা বক্স বের করে উদাম গায়েই মায়ার কাছে এগিয়ে আসে। বড় লাইট অফ করে বেডে উঠে বসে। ডিম লাইট আর ক্যান্ডেলের লাল নীল আলোতে মায়ার মুখশ্রী আরো মায়াময় হয়ে উঠেছে।
বক্স টা মায়ার হাতে তুলে দেয় আলভী।
“কি আছে বক্সের ভেতর?”
“খুলে দেখো।”
আলভীর দিক থেকে দৃষ্টি সরিয়ে বক্সের দিকে দৃষ্টি দেয় আবার। বক্সের উপরের ঢাকনা টা খুলতেই বক্সের ভেতরের লাইট জ্বলে ওঠে। লাইটের আলোয় মায়ার চোখ মুখ আরো জ্বলজ্বলে হয়ে ওঠে। এই মুহূর্ত টা পুরো স্বপ্নের মতন লাগছে মায়ার কাছে। বক্সের ভেতরে থাকা আংটি টা বের করে মায়ার আঙ্গুলে পড়িয়ে দেয় আলভী। তারপর হাতের উল্টো পিঠে চুমু খায়। ট্রাউজারের পকেট হাতড়ে স্বর্ণের চেইন টা বের করে। চেইন টাও নিজেই পড়িয়ে দেয় মায়ার গলায়।
সব শেষে মায়ার মুখের সামনে হাত পাতে আলভী। মায়ার চোখের দিকে তাকিয়ে বলে,
“এবার আমার গিফট দাও।”
মায়া চোখে মুখে অসহায়ত্ব ফুটিয়ে তুলে বলে,
“আমি তো তোমার জন্য কোনো গিফট আনিনি।”
“কেনো আননি?”
“বাসর রাতে হাসবেন্ড কে যে গিফট দিতে হয় সেটা তো আমি জানতাম না, কেউ তো বলেওনি।”
“এত বড় একটা গিফট থাকতে আলাদা কোনো গিফটের প্রয়োজন নেই আমার।”
“বড় গিফট?”
হৃদয় মাঝে হঠাৎ তুমি পর্ব ৩১
“তুমি নিজেকেই গিফট করে দাও আমাকে। তোমার চেয়ে বড় গিফট এই দুনিয়ায় আমার জন্য আর আছে নাকি?”
“সারা জীবনের জন্য তোমাকে গিফট করে দিলাম পুরো আমি টা কেই।”
আলভী এক ঝটকায় মায়া কে টেনে আনে নিজের অতি নিকটে। মায়ার কোমর পেঁচিয়ে ধরে এক হাতে। মায়ার ঘাড়ে মুখ গুজে আলতো চুমু খেয়ে বলে,
“গিফট একসেপ্ট করে নিলাম অনন্ত কালের জন্য।”