হ্যালো 2441139 পর্ব ২২
রাজিয়া রহমান
সূর্যের আলো ধীরে ধীরে মলিন হচ্ছে। একটি রৌদ্রজ্বল দিন আস্তে আস্তে সমাপ্তির দিকে যাচ্ছে।
আসরের আজান হয়েছে বেশ খানিকক্ষণ হলো।পারভীনের দাঁত কপাটি লেগে আসছে।
বাড়ির বাহিরে রাস্তায় বাইকের শব্দ শোনা যাচ্ছে। পারভীন সচকিত হয়।সাদেক স্যার আসছে না-কি!
এই মুহূর্তে সাদেক স্যারকে পারভীনের কাছে ফেরেশতার মতো মনে হয়।
কাদের হর্ণের শব্দ শুনে পুকুর পাড়ের জঙ্গলে ঢুকে গেলো। জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে হাটা চলার রাস্তা আছে।
কাদেরের মনে ভীষণ আনন্দ। শালার বউকে সে একটু একটু করে খেলিয়ে খেলিয়ে বঁড়শিতে গাঁথবে।
কতো দিন ধরা না দিয়ে থাকবে সে!
এতো সোজা!
কাদের যার দিকে তাকিয়েছে তাকে নিজের করে ছেড়েছে সবসময়।
সাদেক বাড়ি দিরে দেখে পারভীন পুকুরে। দৃষ্টি অবনত করে সাদেক ঘরে চলে গেলো।
পারভীন ভেজা কাপড় বদলে ঘরে এলো।
মাথা ধরে আছে তার।
এক কাপ গরম চা খাওয়ার জন্য রান্নাঘরে যেতে হবে এখন।পারভীনের অস্বস্তি হচ্ছে। ঘরে কেউ নেই।চা বানালে মাস্টারকে ও দতে হবে।বিকেলে তিনি রং চা খান।
পারভীন তার মুখোমুখি হতে চায় না।সে জন্যই আজকে চা বানাতে গেলো না।
পিয়াসা ফিরলো স্কুল থেকে। পারভীন মেয়েকে ভাত দিতে গিয়ে ভাবলো সাদেক স্যারকে তো চা দেওয়া হলো না।পিয়াসাকে দিয়ে পাঠিয়ে দিবে।
দুই কাপ চা বানানোর জন্য পানি বসালো পারভীন।
তার শরীরের ভেতরে কেমন যেনো করছে পারভীনের।গলা খুসখুস করছে।ক্লান্ত শরীরটাকে পারভীন যেনো জোর করে টেনে নিয়ে যাচ্ছে।
আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন
সাদেক জানালার পর্দা সরিয়ে দেয়।পারভীনকে অন্য রকম মনে হচ্ছে না?
কেমন টলমল পায়ে হাটছে যেনো?
জমিরন, মালিহা কেউ ঘরে নেই।সাদেক সাহস করে বাহিরে এলো।পারভীনের থেকে কিছুটা দূরত্বে দাঁড়ায় সাদেক।
একটা সবুজ শাড়ি পরে পারভীন চা বানাচ্ছে। সাদেকের বুকের ভেতর কেমন ধুকপুক করছে।
এই মানুষটা তার হলে কি এমন ক্ষতি হবে এই দুনিয়ার?
সেই তো রোজ নিয়ম করে সূর্যাস্ত হবে,সূর্যোদয় ও হবে।নদীতে জোয়ার আসবে,পাখিরা গস্ন গসিবে,ভ্রমর ফুলে উড়ে বেড়াবে।দিন শেষে রাত্রি নামবে।
কোনো কিছুরই তো ব্যতিক্রম হবে না।
অথচ এই মানুষটা তার না হলে তার জীবনের স্বপ্ন হারিয়ে যাবে।উদ্দেশ্যহীন পথিকের মতো সে হেঁটে বেড়াবে জীবনের পথে।
দিক হারা নাবিকের মতো হাতড়ে বেড়াবে বন্দর।
পারভীন পেছনে তাকাতেই দেখে সাদেক দাঁড়িয়ে আছে।
পারভীন এদিক ওদিক তাকায়। ভয় করছে তার।
সাদেক বললো, “ভয় পেও না আমাকে।তোমাকে এমন লাগছে কেনো?শরীর ঠিক আছে? ”
পারভীন জবাব দিলো না। চায়ের কাপ নিয়ে ঘরে চলে গেলো।
একটু পর পিয়াসা এসে চা দিয়ে গেলো সাদেককে।
মাগরিবের আগ মুহূর্তে জমিরন আর মালিহা বাড়িতে এলো এক সাথে। কলেজ থেকে মালিহা সাবিহার বাড়ি গিয়েছিলো।
রাতে পারভীনের ভীষণ জ্বর এলো।
গা কাঁপিয়ে উথাল-পাতাল জ্বর এলো পারভীনের।কম্বল মুড়ি দিয়ে পারভীন শুয়ে রইলো।
সকালে পারভীন ঘুম থেকে উঠলো ভীষণ জ্বর গায়ে।টলোমলো পায়ে পারভীন রান্নাঘরে ঢুকলো।সংসারে বউদের শরীর খারাপ হোক আর যাই হোক তাকে চুলার পাড়ে না পেলে গৃহকর্ত্রীর মেজাজের পারদ তুঙ্গে উঠে যায়।
পারভীন রান্না করে বসে টের পেলো সারা শরীর গুলিয়ে বমি আসছে তার।
ছুটে গিয়ে পারভীন বমি করে।
সাদেক বের হয়ে আসে।
জমিরন মেয়েকে নিয়ে কম্বলের নিচে শুয়ে আছে।বাহিরে ভীষণ ঠান্ডা। কুয়াশায় মুড়ে আছে সবকিছু। কনকনে ঠান্ডা বাতাসে পারভীনের দাঁতে দাঁত লেগে যাচ্ছে।
বালতি থেকে মগে করে এক মগ পানি এগিয়ে দেয় সাদেক পারভীনকে। পারভীনের সারা শরীর কাঁপছে ততক্ষণে শীতে,ক্ষিধেয়,জ্বরে।
গতকাল সকালে নাশতা করেছে তারপর এখন পর্যন্ত কষ্টে, লজ্জায়,ভয়ে পারভীন আর খায় নি কিছু।এতো অপমান আল্লাহ তাকে কেনো করলো?
সে তো কোনো অন্যায় করে নি তাহলে প্রতি পদক্ষেপে এতো পরীক্ষা কেনো দিতে হচ্ছে?
কেনো কাদেরের মতো একটা নরকের কীটকে তাকে এতো ভয় পেতে হচ্ছে?
তার স্বামী যদি তাকে একটু বুঝতো তাহলে তো তো কেউ আর তার দিকে নোংরা হাত বাড়াতে সাহস পেতো না।
এসব ভেবে কষ্টে পারভীন কিছু খেতে পারে নি।
সাদেক দেখলো পারভীন কেমন বেহুঁশ হয়ে যাচ্ছে। দ্রুত এগিয়ে গিয়ে পানি দিয়ে পারভীনকে কুলকুচি করায় সাদেক।
পারভীনকে কোনোমতে ধরে মালিহাকে ডাকে সাদেক।
এতো আরামে কম্বলের নিচে শুয়েছে মালিহা তার আর সেখান থেকে বের হতেই ইচ্ছে করছে না।
জমিরন বললো, “যা,গিয়ে শুইনা আয় ক্যান ডাকে।এরে হাতে রাখন লাগবো।”
“মা,আমার বাইর হইতে মন চায় না।এই শীতে কোন পাগলে বাহিরে যায়।এখন কিছুতেই বাইর হমু না।তুমি গিয়ে শুনে আসো।”
“পাগল নি,এই রকম শীতের মধ্যে বাইর হইতে পারমু না।শুইয়া থাক।”
কেউ এগিয়ে আসছে না দেখে সাদেক পারভীনকে কোলে তুলে নেয়।
পাখির মতো একটা মানুষ।
এতো হালকা কেনো!
ঠিক মতো খাওয়া দাওয়া করে তো!
পিয়াসা পড়ছে বসে।মা’কে এরকম দেখে পিয়াসা ভয় পায়।কি হয়েছে মা’য়ের।
সাদেক বললো, “কিছু হয় নি পিয়া।তোমার মা সেন্সলেস হয়ে গেছে। ওনার ভীষণ জ্বর।তোমার ফুফুকে ডেকে নিয়ে আসো।তোমার মায়ের কাপড় চেঞ্জ করতে হবে।”
পিয়াসা গিয়ে মালিহাকে ডাকে।
মালিহা আসে না।
জমিরন মেয়েকে বললো, “এইগুলা হইছে নখরা।না রান্দনের জন্য ভং ধরছে।মাস্টার কলেজে যাক এরপর ধরমু আমি।”
মালিহা বললো, “মা আমি যামু না আইজ।”
পিয়াসা কোনো মতে মায়ের ভেজা কাপড় বদলে দেয়।
কিছুক্ষণ পর পারভীনের হুঁশ আসে।সাদেক স্যার নাপা এনে পিয়াসাকে দিয়ে বললো, “কিছু খাইয়ে তোমার মা’কে ঔষধ খাইয়ে দিও।”
পারভীন কৃতজ্ঞ দৃষ্টিতে তাকায়।
অথচ এই কাজটা করার কথা ছিলো যার সাথে নিজের জীবন জড়িয়েছে পারভীন তার।সে না করে একটা বাহিরের লোক তার জন্য ভাবছে।
তবুও এই দুনিয়ায় কেউ একজন তার কথা ভাবে এটা ভেবেই পারভীনের মন আনন্দিত হয়।
সাদেক আলী কলেজে যাওয়ার পর পিয়াসা ও চলে গেলো স্কুলে। আজকে না খেয়েই তাকে স্কুলে যেতে হচ্ছে।
কিছুক্ষণ পর জমিরন এলো পারভীনের রুমে।পারভীনকে কম্বল মুড়ি দিয়ে শুয়ে থাকতে দেখে বললো, “নাটক দেখাস বাঁদির ঘরে বাঁদি।শুইয়া থাকলে রানবো কে?এসব ঢং আমারে দেখাবি না।”
পারভীনের কথা বলতে ও কষ্ট হচ্ছে। অনেক কষ্টে বললো, “আমি উঠে দাঁড়ানোর শক্তি ও পাচ্ছি না আম্মা।”
“ক্যান?খাইতে তো কম খাস না।তাইলে উঠতে পারস না ক্যান।না রানলে আইজ কই থেকে তুই আর তোর মেয়ে খাস আমি দেখমু।আমি রানমু আর তুই আরাম করে গিলবি ভাবছস?মনে রাখিস তা হবে না।আইজ রান্ধা হইবো না।তুই উইঠা রানবি। ”
সত্যি সত্যি জমিরন মালিহাকে নিয়ে চলে গেলো সাবিহার বাড়িতে।
কাদের ঘরের সামনে বসে হিন্দি গান শুনছে।মালিহা গিয়ে কাদেরে গা ঘেঁষে দাঁড়ায়।
মালিহাকে দেখে কাদের মালিহার গাল টিপে দিয়ে বললো, “এই অবেলায়?কি মনে করে? ”
“আপনার জন্য পরাণ পোড়তেছিলো তাই।”
“পরাণ না-কি অন্য কিছু? ”
মালিহা গাল টিপে হেসে বললো, “সারাদিন উল্টাপাল্টা কথা কন।”
জমিরন সাবিহাকে বললো, “পিয়াসার মা’রে রাইখা আইছি আইজ।জ্বরে বেতাল হইয়া আছে।আমি ও রানমু না আইজ।ভাবছে আমি রানমু আর নিজে গিলবো।এজন্যই চইলা আসছি।ভালা কইরা রান্না কর তো।”
সাবিহা খুশি হয়ে বললো, “আইচ্ছা ঠিক আছে মা।রানতেছি।মাস্টার খাইবো কই তাহলে? ”
“ওর জন্য নিয়ে যামু। বক্সে করে দিয়ে দিস তো।এতো ভালো পোলা।এরে জামাই বানাইতে পারলে আর কিছু লাগবো না।”
“হ মা,নিয়ে যাইও।ওরা মা মাইয়া খাইলে খাইবো না খাইলে নাই।ওইসব নিয়ে ভাবিও না।আমি গরুর গোশত নামাই। ”
কাদের ভাবলো এই সুযোগ। পারভীন অসুস্থ, ঘরে ও কেউ নাই।আইজ তারে কে আটকায়?
মালিহাকে বললো, “থাকো,দোকান থাইকা কিছু নিয়ে আসি তোমার লাইগা।”
মালিহা খুশি মনে অপেক্ষা করে।
পারভীন জ্বরে আচ্ছন্ন হয়ে আছে। গলা শুকিয়ে কাঠ হয়ে আছে তার।একটা মানুষ নেই এক ফোঁটা পানি দেওয়ার জন্য।
পারভীন চিঁচিঁ সুরে শাশুড়ীকে ডাকে।কোথাও কোনো শব্দ নেই তাদের।
মানুষ এত নির্দয় কিভাবে হয়?
মানুষ হয়ে মানুষের জন্য কেনো এক ফোঁটা ভালোবাসা জন্মে না কেনো?
এতো পাষাণ কেনো এরা!
অথচ এদের জন্য কি-না পারভীন খেটে মরে। তা না হলে কিসের আশায় এখানে পড়ে আছে সে!
বাহিরে গুনগুন সুরে গান শোনা যাচ্ছে। পারভীনের বুক কেঁপে উঠে। কাদের এসেছে না-কি!
পারভীনের শরীরে এক ফোঁটা শক্তি নেই যে উঠে দরজা বন্ধ করে দিবে।
মাথা সমানে ঘুরছে তেমনই পুরো শরীর কাঁপছে।
অনেক কষ্টে মাথা তোলে পারভীন।দরজাটা বন্ধ করতে হবে তার।
পারভীন বিছানা থেকে আর উঠে যেতে পারে না। কাদের এসে পারভীনের পাশে বসে বললো, “ভাবীজান!কেমন আছেন?”
পারভীনের মনে হচ্ছে খোদ শয়তান বুঝি তার শিয়রে এসে হাজির হয়েছে।
গায়ের উপর থেকে পারভীনের কম্বল সরিয়ে দেয় কাদের।কম্বলের নিচে পারভীনের কাপড় এলোমেলো হয়ে আছে।
পেটের দিকে তাকিয়ে কাদের জিভ দিয়ে ঠোঁট ভিজাই।আজকে ফাঁকা মাঠে সে গোল দিবে।আজ আর কেউ নেই বাঁধা দিতে।
ছোঁ মেরে পারভীনের কাপড় খুলে নেয় সাদেক। পারভীন চিৎকার করে উঠে। সাদেক পারভীনের মুখে হাত দিয়ে চাপা দিয়ে ধরে। টান দিয়ে ব্লাউজের বোতাম ছিঁড়ে ফেলে।
পারভীন নড়াচড়া করতে পারছে না।
এই অপমানের চাইতে তার মৃত্যু ভালো ছিলো।
সাদেক আজ আর ক্লাস করালো না।বারবার মনে হচ্ছে পারভীনকে দেখার কেউ নেই ওখানে।বাড়িতে থাকলে অন্তত অবস্থা খারাপ হলে ডাক্তার তো দেখাতে পারবে সে।
এই ভেবেই চলে এলো ছুটি নিয়ে।
বাইকের শব্দ শুনে কাদের অবাক হলো।সাদেক স্যার আসবে কোথায় থেকে এখন?সে তো কলেজে।
সবেমাত্র পারভীনকে বিবস্ত্র করেছে সে।এখনো তো কিছুই করতে পারে নি।
সাদেক ঘরে ঢুকতে গিয়ে দেখে সদর দরজা বন্ধ।সাদেক মালিহাকে ডাকে।কোনো কারো সাড়া না পেয়ে নিজের কাছের এক্সট্রা চাবি দিয়ে দরজা খুলে ভেতরে ঢুকে।
পারভীনের বুকের উপর উঠে কাদের নিঃশব্দে বসে থাকে।পারভীনের মুখে হাত দিয়ে চাপা দিয়ে রেখেছে যাতে কোনো শব্দ করতে না পারে।
উপায় না পেয়ে পারভীন নিজের মোবাইল ছুঁড়ে মারে ফ্লোরে।
পারভীনের রুম থেকে শব্দ শুনে সাদেক এগিয়ে আসে এদিকে।ঘরে কেউ নেই তাহলে শব্দ করলো কে?
পারভীন কোথায় গেলো?ওকে কি ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেছে?
এসব ভাবতে ভাবতে সাদেক দরজা ধাক্কা দেয়। এক মুহূর্তের জন্য সাদেক নড়াচড়া করতে ভুলে যায়।
মুহুর্তেই তার মাথায় যেনো আগুন ধরে যায়।
কাদের লাফিয়ে বের হয়ে যায় ঘর থেকে।
পারভীনের মনে হলো সে আর এই দুনিয়ায় বেঁচে নেই বুঝি।এর চাইতে বড় লজ্জা একজন নারীর জন্য কি হতে পারে!
সাদেক কাদেরের পিছু নিতে গিয়ে থেমে যায়।
কি লাভ হবে ছুটে?
কোনো প্রমাণ নেই,সাক্ষী নেই।
লোকটা যদি উল্টো বলে যে এরা দুজন এক ঘরে, এক সাথে ছিলো তখন?
সাদেক অসহায় ভঙ্গিতে দাঁড়িয়ে থাকে পুকুর ঘাটে।
এরপর আর পারভীনকে এখানে রেখে যাওয়ার কোনো মানে হয় না।
পারভীন কাপড় পরে বসে আছে। হঠাৎ করেই তার মনে হচ্ছে তার সব অনুভূতি যেনো হুট করেই মরে গেছে। কষ্ট, দুঃখ,যন্ত্রণা কিছুই তাকে আর স্পর্শ করছে না।
সারাদিন আর পারভীন রুম থেকে বের হলো না।
বিকেলে জমিরন ফিরিলো একা।মালিহা আসে নি।সাদেকের জন্য খাবার নিয়ে এলো সাদেকের জন্য।
সাদেক ব্যাগ গুছিয়ে নিয়েছে।
জমিরন খাবার নিয়ে আসতেই সাদেক ছুড়ে ফেলে দিলো বাহিরে।তারপর ঠান্ডা গলায় বললো, “আমি খাবো না।আপনি এখান থেকে চলে যান।আমি যতদিন এই বাড়িতে আছি ততদিন যাতে কাদেরকে এই বাড়ির আশেপাশে না দেখি।”
জমিরন চমকে উঠে। সাদেক কি বুঝতে পেরে গেছে মালিহার আর কাদেরের সম্পর্ক?
তাহলে এতো রেগে আছে কেনো?
সাদেক সিদ্ধান্ত নিলো সে আপাতত কোনো ঝামেলা করবে না।তা
না হলে পারভীনকে নিজের করা তার জন্য কঠিন হয়ে যাবে।
রাতে শাহেদ কল দিলো। পারভীন নিস্পৃহ ভঙ্গিতে ফোন নিয়ে বের হলো।
হ্যালো 2441139 পর্ব ২১
শাহেদ কল করে গালাগাল দিতে লাগলো সমানে।জমিরন তাকে জানিয়েছে পারভীন ইচ্ছে করে আজ শুয়ে ছিলো সারাক্ষণ, ভাত রান্না করে নি।তাকে সাবিহার বাড়ি থেকে খেতে হয়েছে।
শাহেদের গালাগাল শুনে পারভীন শান্ত সুরে বললো, “আজকে যদি আপনাকে আমি সামনে পেতাম,তাহলে আল্লাহর কসম করে বলছি আমার পায়ের জুতা দিয়ে আপনার গালে মারতাম।গায়ে মানুষের চামড়া থাকলে আমার সাথে আর কথা বলবেন না।”