৪ বছরের চুক্তির মা পর্ব ১৯
সারা চৌধুরী
শ্রাবন নিজের প্রতি নিজেই বিরক্ত.. কেনো বুজ্জে না..একটা ছোট্ট মেয়ের প্রতি দুর্বল সে তো কখোনো হয় নি তাও আবার হাটুর বয়সি মেয়ে..স্কুল।। কলেজ.. ভার্সিটি সব সময় ই শ্রাবন প্রেমের প্রোপোজাল পেয়েছে শুভ্রর দুইটা মেয়ে বন্ধু থাকলেও শ্রাবন এর শুভ্র বাদে কোনো বন্ধু ছিলো না কয়েক বছর আগে শ্রাবন এর জিবনে একটা প্রেম এসেছিলো মাত্র ছয় মাসের গম্ভীর শ্রাবন তারপর আবার আরো বেশি গম্ভীর হয়ে গেছিলো..শ্রাবন সেখান থেকেই কোনো মেয়ের দিকে চোখ তুলে তাকাই না..কিন্তু সেদিন অফিস থেকে বাড়িতে এসে মেইন গেইট থেকে ঢুকতেই একটা মেয়েকে পড়ে যেতে দেখে হটাৎ ই দৌড়ে গিয়ে ধরে ফেলেছিলো মেয়েটাকে..আর মেয়েটাকে দেখার পরেই হৃদয় থমকে গিয়েছিলো..শ্রাবন আবারো বুজেছিলো মেয়েটার তার জিবনে বসন্তের হাওয়ার মতো এসেছে সুন্দর করে সাজিয়ে দিতে।।
আর যখন সেদিন শ্রাবন শুনলো মেয়েটি আর কেও না শুভ্রর বউ..শ্রাবন এর খুব রাগ হয়েছিলো কারন শুভ্র হাসি খুশি বলেই সে এতো সুন্দর মেয়েকে বিয়ে করবে আবার ভাবি বলতে হবে..কিন্তু যখন শুনলো এটাই শুভ্রর চুক্তিতে বিয়ে করা বউ..তখন ই তার মন লাফিয়ে উঠেছিলো এক সয়তানি বুদ্ধি তে..শ্রাবন এক মুহুর্ত দেরি না করে তার বড় মামাকে সব কিছু খুলে বলে তারপিরেই শুভ্র কে ডেকে নিয়ে বেরিয়ে যায়. আর তার মামা মানে শুভ্রর বাবা লে যা যা বলেছে তার মামা তাই তাই করেছে সারার কথা ভেবে..কিন্তু ফারুক তালুকদার শ্রাবণ এর বুদ্ধি বুজে নাই..শ্রাবন সব সময় সারাকে শুভ্রর থেকে আলাদা করে রাখতে চেয়েছে..!
আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন
শ্রাবন জানে না কেন সব সময় শুভ্রর পছন্দের জিনিস টাই কেন তার পছন্দ হয়..কিন্তু শুভ্র যখন বলেছিলো সে সারাকে ভালোবাসে না..শুধুই চুক্তির জন্যই আছে তখন শ্রাবন ভেবে নিয়েছিলো এবার সারাকে সে পাবে..কারন সব সময় সে শুভ্রর খুশির জন্য তার পছন্দ ছেড়ে দেছে..এবার সারাকে সে নিজের পছন্দ হিসেবে কেড়ে নিবে।।
ফারুক তালুকদার এর কর্কস কন্ঠে সবাই তার দিকে তাকাই..ফারুক তালুকদার আনিস এর দিকে তাকিয়ে আবার শুভ্র শ্রাবন এর দিকে তাকাই তারপর সারার দিকে তাকিয়ে বলে উঠে..
-“শুভ্র সকাল সকাল সবাইকে এখান্র ডাকার মানে কি…?
শুভ্র এবার গলা ঝেড়ে বলে উঠে আব্বু আমি কিছু দরকারি কথা বলতে চাই বলবো..?
ফারুক তালুকদার কর্কস কন্ঠে বলে উঠে বলতে পারো..!
ফারুক তালুকদার এর অনুমতি পেয়ে শুভ্র বলে উঠে…
শুভ্র:- আব্বু আমি চাই সারা আর অরু আমার কাছে থাক..আমি চাই না ওরা দুজন আমার থেকে দূরে থাক..!
শুভ্রর কথা শুনে সবাই চোখ বড় বড় করে করে তার দিকে তাকায়..ফারুক তালুকদার বলে উঠে…
ফারুক তালুকদার:- মানে কি…?
শুভ্র:-মানে আমি আমার স্ত্রী সিদরাতুল সারা তালুকদার আর আমার মেয়ে অরুকে নিয়ে থাকতে চাই..আমি তোমাদের সব কথা শুনি তবে সরি আব্বু আমি সারা আর অরু কে আলাদা করতে পারবো না..সারা দিন দিন মন মরা যাচ্ছে অরুকে ওর কাছে দিচ্ছো না..কেনো এমন করছো..এক দমে কথা গুলো বলে থামে শুভ্র..!
শুভ্রর কথা শুনে ফারুক তালুকদার মিসেস আনিতার দিকে তাকিয়ে গম্ভীর কন্ঠে বলে উঠে..
ফারুক তালুকদার :- কি শুনছি শুভ্রর মা তুমি দাদু ভাই কে সারা মামনির কাছে দাও না কেন…?
মিসেস আনিতা:- আসলে আমি সারা পড়াশোনার ক্ষতি যাতে না হয় তাই দেই না..!
মিসেস আনিতার কথা শুনে ফারুক তালুকদার শুভ্রর দিকে তাকিয়ে বলে উঠে…
ফারুক তালুকদার:- শুভ্র আমি যা একবার বলি সে কথার নড়চড় হয় না মাথায় রেখো…সারা আর অরু আলাদা থাকবে যা সিদ্ধান্ত চার বছর নিবো..!
শুভ্র:- তাহলে আমি সিদ্ধান্ত নিয়ে নিয়েছি আব্বু..!
সবাই শুভ্রর দিকে তাকাই এদিকে শ্রাবন মনে মনে খুশি তার বড় মামা তার কথা অনুযায়ী কাজ করে চলছে।।। আনিস তালুকদার ঠান্ডা কন্ঠে বলে উঠে কি সিদ্ধান্ত শুভ্র বাবা..?
শুভ্র:- আমি অরু আর সারাকে নিয়ে আজকেই ডাকা ব্যাক করবো।। আমি অরু আর সারাকে আলাদা করতে পারবো না মাফ করে দাও…!
ফারুক তালুকদার:-তোমার বলা শেষ..?
শুভ্র বেশ অবাক হলো তার বাবার ঠান্ডা কথার উত্তর শুনে এদিকে শান্তা আর শ্রাবন এর মনে চলছে অন্য কিছু..শান্তা কুটিল হেসে উপরে শুভ্রর রুমে চলে গেলো এদিকে শ্রাবন বুজে গেছে তার মামা এখন কি বলবে……
শ্রাবন ভাবতে লাগলো কিছুক্ষন আগের কথা.. শ্রাবন সারাকে পুরো বাড়ি খুজে না পেয়ে যখন শুভ্রর রুমের সামনে আসে ঠিক তখনি শুভ্র রুমের দরজা খুলে দেই..এতে শ্রাবন একটু বোকা বনে যায় তবুও নিজের গম্ভীরতা বজায় রেখা..শ্রাবন কে দরজার সামনে দেখে শুভ্র ও অবাক হয়ে যায় তারপর জিজ্ঞাসা করে…
শুভ্র:- তুই এতো সকালে এখানে কি করিস..?
শ্রাবন:- কি করি মানে..?
শুভ্র:- না মানে আমার দরজার সামনে কি করিস..!
এবার শ্রাবন একটা লম্বা দোম নিয়ে বলে..
শ্রাবন:- সারা বাড়ি খুজে সারাকে পেলাম না তুই জানিস কোথাই ও…?
শুভ্র:- ওরে কেন দরকার..?
শ্রাবন:- সকালে পড়বে তাই..?
শুভ্র:- ওর শরীর ভালো না আজ পড়বে না।।ও আমার রুমে।।!
শ্রাবন অবাক হয়ে জিজ্ঞাসা করে….
শ্রাবন বেশ কিছুটা অবাক হয়ে জিজ্ঞাসা করে কি হইসে সারার..শুভ্র প্রতিউত্তরে কিছু না বলে শুধু বলে জর আর ঠান্ডা লাগছে এই শীতের মধ্যে কিছু গায়ে না দিয়ে বাইরে দাঁড়িয়ে থাকলে আর কি হবে..শুভ্রর কথা শুনে শ্রাবন ভ্রু কুচকে বলে কিছু গায়ে না দিয়ে মানে..শুভ্র থতমত খেয়ে যায় এমন প্রশ্নে তাও ঠান্ডা মাথায় বলে কাল বারান্দায় বসে ছিলো কোনো জ্যাকেট চাঁদর কিছু নেইনি..শ্রাবন চোখ ছোট ছোট করে বলে তুই কিভাবে জানলি আর সারা তীর রুমে কেন..শুভ্র এবার বিরক্ত হলো তাও কিছু বল্লো না.. শুধু বললো আমার বউ আমার রুমে থাকবে না তো তোর রুমে থাকবে গাধা। বলেই শুভ্র রুমে চলে যায়..এদিকে শ্রাবন রাগে ফেটে পড়ছে.. চোখ গুলো মুহুর্তেই রক্তিম আভা ধারন করলো..!শ্রাবন আর কিছু না বলে নিজের রুমে চলে গেলো..!
বর্তমানে……
ফারুক তালুকদার এর কথা শুনে শ্রাবন রেগে উঠে চলে যায় ড্রয়িং রুম থেকে..সে কল্পনাও করে নাই তার মামা তার আশায় এমন ভাবে পানি ঢেলে দিবে।।সে ভেবেছিলো অন্তত সারা আর শুভ্র কে আলাদা করতে পারবে..কিন্তু না পারলো তার মামা ছেলে হারানোর ভয়ে এক সাথে থাকার পারমিশন দিয়ে দিয়েছে..শ্রাবন জানে শুভ্র সারার সাথে কোনো খারাপ কিছু করবে না এটা তার বিশ্বাস কারন শুভ্র এমন না কিন্তু সারা আর শুভ্র কে এক সাথে থাকার কথা শুনে মাথা গরম হয়ে গেছে শ্রাবণ.. শ্রাবন বুজতে পেরেছে শুভ্র সারাকে ভালোবাসতে শুরু করেছে.. কিন্তু সারা তো ছোট আর সে শুধু শ্রাবন… এই তো কিছুক্ষন আগেই তার মামা বললো শুভ্রকে উদ্দেশ্য করে…..।
ফারুক তালুকদার:- শুভ্র তোমার শেষ কথা কি…?
শুভ্র:- মানে..?
ফারুক তালুকদার:- মানে হলো আর কি কিছু বলবা তুমি…?
শুভ্র:- না আব্বু..!
ফারুক তালুকদার এবার সারার দিকে তাকিয়ে বল্লো.. সারা মামনি তুমি কি চাও শুভ্রর সাথে থাকবা নাকি না তুমার কথায় আমি সিদ্ধান্ত নিবো…এদিকে সারা লজ্জায় মাটি ফাক করে দিতে ইচ্ছা করছে..এতো মানুষের সামনে কিভাবে বলবে সে শুভ্রর সাথে থাকতে চাই..সারাকে চুপ থাকতে দেখে শ্রাবন মহা খুশি..সে জানে সারা সবার সামনে কিছু বলবে না মেয়েটা একটু বেশিই লাজুক..সারাকে চুপ থাকতে দেখে ফারুক তালুকদার আবার বলে উঠে কি হলো মামনি বলো.. এবার শুভ্র বলে উঠে….
শুভ্র:- মাফ করে দিও আব্বু আমাকে..সারা কি বলবে না বলবে সেটা আমার জানার দরকার না..আমার সারাকে লাগবে সাথে অরুকেও..আর সারা অরুর আম্মু হয়েই এ বাড়িতে থাকবে..ওর মতামত আমি চাইনি।।ওর প্রতি এটা আমার অধিকার..ও মানলেও হ্যা আর না মানলেও হ্যা আমার সাথেই এক রুমে থাকা লাগবে…!
ফারুক তালুকদার:- কি নির্লজ্জের মতো কথা বলছো শুভ্র তুমি-(বেশ রেগে কথাটি বলে উঠে)-
শুভ্র:- যদি নিজের স্ত্রী সন্তান কে নিজের কাছে রাখতে নির্লজ্জ উপাধি পাই।।তবে আমি শুভ্র হাজার বার নির্লজ্জ হতে রাজি..!
শুভ্রর কথা শুনে সবাই অবাক।। এ কোন শুভ্র কে দেখছে সবাই..শুভ্র তো কখোনো কারোর মুখের উপর কথা বলে নি তাহলে আজ কি ভাবে কি হচ্ছে..শ্রাবন কিছু বলতে উদ্দত হলে ফারুক তালুকদার হাতের ইশারায় তাকে থামিয়ে দেই..ফারুক তালুকদার মনে করে শ্রাবণ সারাকে নিজের বোন মনে করে তাই শুভ্রর থেকে আলাদা করতে চাই..বয়স অল্প যেহেতু.. তাই তিনিও শ্রাবন এর কথা শুনেন…কিন্তু আজ শুভ্রর ব্যাবহার এ যত টুকু না অবাক হয়েছে তার বেশি মনে মনে খুশি হয়েছে..ফারুক তালুকদার বেশ গম্ভীর কন্ঠে বলে উঠে….
ফারুক তালুকদার:- শুভ্রর মা ওদের ব্যাগ গুছিয়ে দাও ওরা চলে যাবে এখান থেকে… আমি এমন অপদার্থ ছেলে আমার বাড়িতে রাখবো না।। যে গুরুজন দের সম্মান করে না..বাবা-চাচার মুখের উপর কথা বলে..!
ফারুক তালুকদার এর কথা শুনে সবাই আরো অবাক হয়..শুভ্রর ভাবাবেগ বুঝা গেলো না.. যে ছেলের ঠোঁটে সব সময় হাসি লেগে থাকে সেই ছেলের নাক চোখ মুখ সব লাল বর্নের বোজাই যাচ্ছে প্রচন্ড রেগে আছে…মিসেস আনিতা আর মিসেস সুমনা আতকে উঠলেন সাথে আনিস তালুকদার ও… শ্রাবন ও ভুরু কুচকালো…সারা ভয় পেয়ে গেলো বুজতে আর বাকি রইলো না এই পরিবার টাও তার পোড়া মুখি ভাগ্য থেকে হারিয়ে যেতে চলেছে..সারার চোখ দিয়ে গড়িয়ে পড়লো নোনাজল..ফারুক তালুকদার সেদিকে তাকিয়ে শুভ্রর উদ্দেশ্যে বলে উঠলেন….
ফারুক তালুকদার:- শুভ্র এখনি তোমরা ঢাকা চলে যাবে আর এই বাড়িতে আসবে না..আমি তোমার মতো ছেলে চাই না..গুছিয়ে বেরিয়ে যাও…!
শুভ্রর ভাবাবেগ হলো না সে শান্ত কন্ঠে বলে উঠলো:- ওকে।। আব্বু যা আপনি বলবেন..!এই বলে সারার হাত ধরতেই সারা জোরে ফুফিয়ে কেদে উঠে সাথে সাথে শুভ্রর হাত ছাড়িয়ে ফারুক তালুকদার এর পা জড়িয়ে বসে কান্না করতে শুরু করে…আকর্ষিক আক্রমনে ফারুক তালুকদার একটু ভড়কে যান তবে সে জানতো এমন টাই হবে…ফারুক তালুকদার সারার দিকে তাকিয়ে মাথাই হাত বুলিয়ে বলে….
ফারুক তালুকদার:- কি হইছে মামনি..পা ধরতে নেই ছাড়ো..!
সারা ছাড়ে না আরো জোরে জড়িয়ে ধরে।। শুভ্র দূর থেকে শান্ত কন্ঠে বলে উঠে সারা আব্বুকে ছেড়ে চলে আসো আমরা ঢাকা ব্যাক করবো সব কিছু গুছাতে হবে…সারা এবার জোরে কেদে ফেলে..মিসেস আনিতা ও সুমনার চোখে পানি চিক চিক করছে.. সারা মেয়েটাকে খুব আপন মনে হয় তাদের.. চলে যাবে শুনে খুব কস্ট লাগছে তবে ফারুক তালুকদার এর মুখের উপর কথা বলার সাহ মস তাদের নেই..আনিস তালুকদার সারার মাথায় হাত রেখে বলে যাও মা শুভ্র অপেক্ষা করছে..এদিকে সারার চোখে পানি দেখে শ্রাবন এর পায়ের রক্ত মাথায় উঠে গেছে.. পারছে না শুভ্রকে কয়েকটা থাপ্পড় দিতে…ফারুক তালুকদার এবার শান্ত কন্ঠে বলে উঠে…সারা মামনি যাও.. ও তোমাকে ভালো রাখবে..!এখানে থাকলে আলাদা থাকবা অরুকে বেশি পাচ্ছো না.. ঢাকা যাও সব পাবে দেরি করো না…শুভ্র সারাকে নিয়ে জাও কথাটা বেশ জোরেই বলেই উঠে ফারুক তালুকদার..সারা এবার ফারুক তালুকদার এর পা আরো জোরে জড়িয়ে ধরে কান্ন করতে করতে বলে…
সারা:- বাবাই প্লিজ এমন করবেন না..আমি খুব একা হয়ে যাবো..বাবাই আপনি আমাকে মেয়ে মনে করেন।।মেয়ে কে দূরে সরিয়ে দিতে পারবেন..বাবাই আমি কখোনো বাবা মায়ের ভাই বোনের আদর ভালোবাসা পাইনি..আপনাদের এখানে এসে পেয়েছি..প্লিজ এভাবে চলে যেতে বলবেন না..আমি ছোট থেকেই খুব অবহেলা পেয়েছি আপনাদের ভালোবাসা পেয়ে আমি ভালোবাসার লোভি হয়ে গেছি প্লিজ বাবাই আপনাদের ছেড়ে আমি থাকতে পারবো না..!
৪ বছরের চুক্তির মা পর্ব ১৭+১৮
সারার কথা শুনে সবার মন খারাপ হয়ে গেলো নিমিষেই..শুভ্রর ও মনটা খারাপ লাগছে.. কি করবে বুজতে পারছে না সে.. মিসেস সুমনার চোখ বেয়ে পানি পড়ছে চোখ এড়াইনি কারোর..শ্রাবন বেশ খুশি.. যে সারা যেতে চাই না..!সারাকে সবাই আপন ভেবে নিয়েছে..ফারুক তালুকদার এবার বেশ কঠিন ভাবে সারাকে নিজের পা থেকে ছাড়িয়ে বেশ কঠিন রাগি স্বরে শুভ্রকে হুংকার দিয়ে বলে উঠেন…