৪ বছরের চুক্তির মা পর্ব ২৫
সারা চৌধুরী
দরজা খুলে সামনে শ্রাবন কে দেখে ঠাস করে চড় বসিয়ে দেই শ্রাবন গালে।।মুহুর্তে বাড়ির সকলে অবাক হয়ে আতকে উঠে সারা কর্মকান্ডে।।শ্রাবন রেগে রক্তচক্ষু নিয়ে সারার দিকে তাকাতেই সারা আবার একটা চড় বসিয়ে দিতে যায় কিন্তু শ্রাবন সারার হাত ধরে ফেলে চোখ মুখ সক্ত করে তাকিয়ে রয়েছে সারার দিকে যেনো এক্ষুনি খেয়ে ফেলবে তবে সারার এক ঝটকায় শ্রাবন হাত থেকে নিজের হাত ছাড়িয়ে নিয়ে বলে লজ্জা করে না আপনার নিজের ছোট ভাইয়ের বউ এর দিকে নজ ম্র দিতে ভাসুর হয়ে এমন করতে পারেন অসভ্য লোক।।শ্রাবন ধমকে উঠে কি বলছো মাথা ঠিক আছে। সাথে সাথে শুভ্র নাহিদ আর শান্তা কে নিয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে আসে সবাই রিতিমতো অবাকে আকাশ সীমায়।।।
ফারুক তালুকদার আর ইব্রাহিম শেখ বসে আছে ড্রিয়িং রুমে।।কাজি এসেছে বিয়ে পড়াবে৷।। শান্তা কেদে কুটে শেষ এদিকে নাহিদ ও বলছে বিয়ে করবে না।।সে শুধু মজা করেছে তাই বলে বিয়ে করতে হবে।।এ কথা শুনে শ্রাবন রেগে যায় তবে এখানে তার দোষ সেহেতু রাগ হজম করে নেয়।।কিছুক্ষন আগে……..
আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন
ফারুক তালুকদার এর ধমকে সবাই ড্র্যিং রুমে আসে।। সারা সবাইকে কে সব খুলে বলে শান্তার কথা শুনে মিসেস মনিরা ঠাস করে চড় বসাই শান্তার গালে তারপর বলে কালনাগিনী তুই যার পাতে খাস যার পরিস তার বুকে ছুরি ধরিস তোরে তো মেরেই ফেলবো।।আমি কি অমানুষ জন্ম দিয়েছি।।।মিসেস আনিতা আর সুমনা মিলে মনিরা কে সরিয়ে এনে সোফাই বসাই।।আনিস তালুকদার সারাকে নিজের পাশে বসাই।। রক্তচক্ষু নিয়ে শ্রাবন এর দিকে তাকিয়ে বলে বাই এনি চান্স আমার মেয়ের কোনো ক্ষতি হলে তোরে জ্যান্ত কবর দিতাম কু*ত্তা*র বাচ্চা।।এই প্রথম আনিস তালুকদার কে এতো বেশি রেগে জেতে দেখলো বাড়ির সকলে।।
এদিকে সারা যখন নাহিদ আর শান্তার কিছু গোপনীয়তা সবার সামনে তুলে ধরলো তখন ফারুক তালুকদার রেগে বললেন ইব্রাহিম শেখ কে যে আপনি এখন কি সিদ্ধান্ত নিবেন আর যদি চান আমরা নেই তবে পুলিশ ডাকবো আর শ্রাবন এর বিচার তালুকদার বাড়িতে করবো।।।আপাতত ওটা স্তগিত।। তবে শ্রাবন।। শ্রাবন এর দিকে রক্তচক্ষু নিয়ে তাকিয়ে ফারুক তালুকদার বললেন পালানোর সাহস করিও না।।।তোমাকে টুকরো টুকরো করার ক্ষমতা আমার আছে।।বাড়ির সকলে ফারুক তালুকদার এর এমন কন্ঠে ভড়কে যান।।শ্রাবন রাগে ফুসছে।। মাথা নিচু করে আছে এদিকে শুভ্র অরুকে নিয়ে ব্যাস্ত।
ফারুক তালুকদার ইব্রাহিম শেখ কে আবার বলে উঠেন কি ভাবলেন শেখ সাহেব।। ইব্রাহিম শেখ বকে উঠেন ভুল যেহেতু করছে আমি শান্তা কে আমার ছেলের বউ হিসাবে মেনে নিতে পারবো।।বিয়ে দেওয়া উত্তম।।সাথে সাথে নাহিদ বলে উঠে ওর মতো বে*শা কে আমি কোনোদিন ও বিয়ে করবো।।। নাহিদের কথাটা মুখ দিয়ে বেরোতে দেরি হলো শ্রাবন এর নাহিদের মুখ বরাবর ঘুষি দিতে দেরি হলোনা।।।শ্রাবন জোরে চিল্লিয়ে বলে উঠলো তুই তাইলে ওর সাথে জেনে শুনে নষ্টামি করলি কেন তোর জন্য ও আকাশ কে ছাড়ছে তুই ই আকাশ কে ড্রাগস দিছিস।। ছেলেটা কোথায় কেও যানে না।।
মেরে ফেলেছিস তোরা আর এখন বলিস আমার বোন বে*শ্যা।।ফারুক তালুকদার এ ধমকে শ্রাবন কে দূরে সরে আসতে বললেন।। স্রাবন রাগী চোখে সরে আসলো নাহিদ মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে আছে।।ফারুক তালুকদার জোরে বলে উঠলো শুভ্র।।।শুভ্র দূর থেকেই বললো বলেন আব্বু।।ফারুক তালুকদার একটু থেমে বললেন নাফিজ কে নিয়ে এক্ষুনি কাজি কে ডেকে আনো হাতে ঘড়ির দিকে তাকিয়ে বললো দশ মিনিট সময়।। অরুকে৷ মিসেস আনিতার কোলে দিয়ে শুভ্র নাফিজ কে নিয়ে বেরিয়ে জায়।।এবার ফারুক তালুকদার শ্রাবন এর দিকে তাকিয়ে ঠান্ডা কন্ঠে বলে আকাশ কে সব ঘটনা খুলে বল।।আর কিছু লুকিয়ে বিপদ বাড়িয়ো না।।শ্রাবন বেশ কিছুক্ষন চুপ থাকলো।। শান্তা কে মিসেস সুমনা ধরে রেখেছে।।মেজে তে বসে আছে নাহিদ।।আনিস তালুকদার এর ধমক খেয়ে শ্রাবন বলে উঠে…….
আপনারা জানেন অরুর মা অহনা।।আর শুভ্রর বউ।।ঠিক একই ভাবে ধরতে গেলে আকাশ অহনার আপন ভাই।।।শুভ্রর শালা।।যেদিন প্রথম অহনাকে নিয়ে শুভ্র বাড়িতে আসে।। আমরা সবাই খুশি ছিলাম পরে আমরা ঢাকা যায় ঘুরি ওখানে সেখানে আকাশ এর সাথে পরিচয় অহনার এক বছরের বড় পিঠাপিঠি।।সেহেতু শুভ্র আর আমার সাথে বেশ ভালো বন্ধুত্ব তৈরি হয়।। কিছু মাস যেতেই শুনি শান্তার সাথে প্রেম চলছে।।আমি বড় ভাই হিসাবে মেনে নিতে না পারলেও।।
আকাশ ভালো আর প্রতিষ্ঠিত ছেলে বলা চলে তার বাবার ব্যাবসা ছিলো ফলে অল্প বয়সে পড়াশুনার পাশাপাশি বিজনেস সামলাতো।।আকাশ এর সাথে শান্তার প্রেম যখন সাত মাসের তখন আমাদের বন্ধুত্ব এক বছরের বেশি।।একদিন নাহিদ আমাদের ওখানে যায় আর কিসে কি করে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে।।।শান্তা রাজি না থাক্লেও নাহিদ এক প্রকার রাজি করিয়েছে।।যখন আকাশ এগুলা জানে খুব রাগারাগি করে আমাদের সাথেও বন্ধুত্ব বিচ্ছেদ করে।।তখন অহনার মাধ্যমে আবার সব ঠিক করি।।এটুকু বলে থামলো শ্রাবন জোরে একটা নিশ্বাস ফেললো।।
সবাই চেয়ে আছে শ্রাবন এর দিকে এ কি নতুন আর এক রহস্য৷ ফারুক তালুকদার গম্ভীর কন্ঠে বলে তারপর তখন শ্রাবন শান্তার দিকে তাকিয়ে বলে তুই বলবি নাকি জুতা দিয়ে বলাবো তোরে।।শান্তা কেপে উঠলো সবার দিকে তাকালো সবার এমন রাগী চোখ দেখে কাপা কাপা কন্ঠে বলে উঠে…
নাহিদ ভাই এর সাথে রিলেশন জানতে পেরে। আকাশ খুব রেগে যায় ব্রেকাপ করে পরে আবার ঠিক করে নিতে চাই।। কিন্তু সেদিন আকাশ এর বাসাই গেলে নাহিদ কে আটকে রেখে।। আর বলে না ফুফিয়ে উঠে শান্তা।।ফারুক তালুকদার কঠিন চোখে তাকিয়ে আছে।।তারপর সেদিনের পর নাহিদ ও কেমন করতো তাও আমার সাথে ছিলো এদিকে আকাশ সব ঠিক করে নেই সেদিন আমি আর নাহিদ আবার যাই ওদের বাড়ি তবে আকাশ কিছু বলার আগেই নাহিদ শ্রাবন এর গলাই ড্রাগস ইঞ্জেক্ট করে প্রায় ছয় সাত ঘন্টা এর নেশা থাকে তারপর সেদিন নাহিদের সাথে।
আমি তখনও বুজি নি আমার কপাল এ কি আছে আমি শুভ্র ভাইকে ভালোবাস্তাম সব সময়।। কিন্তু সেদিনের পর থেকে নাহিদ একদিন পর পর ভিডিও দেখিয়ে ব্লাকমেইল করতো আর আকাশ এর বাড়ি নিয়ে যেতো আকাশ এর সাথে নাহিতে সখ্যতা হয়েছে কারন নাহিদ গেলেই ড্রাগস দেবে আকাশ খাওয়া দাওয়া ছেড়ে সারাদিন ঘুমাতো।। কিন্তু হটাৎ আকাশ লা পাত্তা হয়ে যায়।।।আর খুজে পাইনি।। বলেই চোখ দিয়ে পানি ফেলে শান্তা।।
শান্তার কান্নায় সবার রাগ হয় এতো জঘন্য কেও হতে পারে।।।এদিকে নাহিদের এমন কথা শুনে সবাই ঘৃনায় মুখ ফিরিয়ে নেয় এতো খারাপ সন্তান ইব্রাহিম শেখ এর নিজেই ভাবতে পারছে না।।এরি মাঝে শুভ্র আর নাফিজ চলে আসে কাজি নিয়ে।।শ্রাবন ফিচলে হাসলো।।শুভ্র আনিশার পাশে এসে দাড়ালো সাথে ফাতিহা।।অরু ঘুম।। সারা চুপচাপ বসে আছে মনিরা রেগে বোম।।
৪ বছরের চুক্তির মা পর্ব ২৪
আনিস তালুকদার চুপ রিয়েকশন বোজা যাচ্ছে না।।বাড়ির মহিলারা সবাই চুপ।। ফারুক তালুকদার কিছুটা গম্ভীর সরে বলে উঠে আজ দুটো বিয়ে হবে এখানে তালুকদার বাড়ির দুই মেয়ের।।শান্তা আর সারা।।।আমার কথার উপর কেও কথা বলার সাহস করবা না আনার সিদ্ধান্ত শেষ।। নইতো জেল এ যাবা।।ফারুক তালুকদার এর কথা শুনে সবাই হতবাক হয়ে গেলো কি বলছেন তিনি।।শুভ্র বিষ্ময় সরে বলে উঠে মানেহ……
