প্রেমসুধা পর্ব ৬৪
সাইয়্যারা খান
আজ দুই দিন পার হলো দেশের মাটিতে ফিরে এসেছে তৌসিফ। এসেছে থেকে বেড়েছে তার কাজের চাপ। গোছানো হাতে গড়া তার কোটি টাকার ব্যাবসা। চাইলেই খামখেয়ালি দেখানো যাচ্ছে না। হাজার লোক থাকলেও নিজের তদারকি যদি সঠিক না থাকে তাহলে সেই কাজে আয় উন্নতি থাকে না। এটাই নিয়ম। এটাই সত্যি। সমস্যা বেঁধেছে ভিন্ন জায়গায়। দেশে আসা মাত্র অসুস্থ হয়েছে পৌষ। ঠান্ডার দেশে খাপ খায়িয়ে ফেললেও দেশের অল্প ঠান্ডায় তার শরীর কাঁপানো জ্বর চলে এলো। তৌসিফ চাইলেও ততটা সময় দিতে পারছে না৷ কাল রাত ভর বুকে নিয়ে শুয়েছিলো। পৌষ মাঝরাতে উঠে বমি করলো।
তৌসিফ সকালেই ডাক্তার দেখিয়েছে। তেমন কিছু না যদিও তবুও তৌসিফ চিন্তিত। কেন একটা মানুষ এত অসুস্থ থাকবে? তারমধ্য একটু মনমালিন্য চলছে তাদের মাঝে। এই অসুস্থ শরীরে পৌষ চাচার বাসায় যেতে চাইছে। টুকটাক টুকটাক করে শপিং করেছে সে ভাই-বোনদের জন্য। কথাটা অবশ্য মিথ্যা। শপিং গুলো তৌসিফ করিয়েছে। পৌষ তার ভাই-বোনদের জন্য জমিয়েছে একগাধা হাবিজাবি। তৌসিফে’র ভাষায় সেগুলো হাবিজাবি হলেও পৌষ’র কাছে তা অমূল্য রত্ন। সে প্লেন সহ হোটেল থেকে নানান জিনিসপাতি হাতিয়ে নিয়েছে। হোটেলের রুমের সাদা তয়লা কখন যে চুরি করলো তৌসিফ জানে না৷ দেশে এসে দেখলো। নরম এক কুসন ছিলো তাদের খাটে সেটা আবদি কাপড়ের ভাজে লুকিয়ে এনেছে। ফিরার পথে প্লেনে তার মরিমরি অবস্থা অথচ যতটা পেরেছে লুটপাট করেছে সে। এখন এগুলো বিলাবে তার ভাই-বোনদের মাঝে। রাতে জ্বরে ম’রে অথচ তৌসিফ’কে বলে,
আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন
— শুনুন, কাল ওদের দিতেই হবে। বাসি হয়ে যাবে নাহয়।
তৌসিফ রাগে কথা বলে নি। একবার তো চাইলো রাগের বহিঃপ্রকাশ সে পৌষ’কে বুক থেকে সরিয়ে করবে কিন্তু জ্বরে পুড়া বউ সে সরাতে পারে নি। শীতের রাতে উষ্ণ তার বউ, যাকে জড়িয়ে ধরে তৌসিফ চোখ বুজেছিলো।
ফোন হাতে তুলে কল করতেই তা রিসিভ হলো। ধরেছে মিনু। ধরেই সালাম দিয়ে জানায় সে মিনু। তৌসিফ কপাল কুঁচকায়। কোনভাবে যদি পৌষ জানে তার ফোন মিনু’র হাতে গিয়েছে তাহলে মিনু’কে কি করবে তা তো পরে দেখার বিষয় তার আগেই সে তৌসিফ’কে ঝাড়বে। তৌসিফ গম্ভীর কণ্ঠে প্রশ্ন করে,
— পৌষরাত কোথায়? ওর ফোন তুমি ধরলে যে?
— মামা, ছোট ভাবী বাইরে গেলো মাত্র। ফোন খাটে ছিলো। কাপড় রাখতে এসে দেখলাম তাই তুলেছি।
পৌষ বাইরে গিয়েছে শোনামাত্র তৌসিফে’র মেজাজ বিগড়ালো। এই অসুস্থ শরীরে কোথায় গেলো ও? তৌসিফ কত করে বুঝালো ওকে। কথা শোনে না ও। আজ তৌসিফ তাকে রাগ দেখাবে। এত আদরে রাখার পরও কেন এই অবাধ্যতা?
রাগ চেপে মিনু’কে জিজ্ঞেস করলো,
— কোথায় গিয়েছে বলেছে? গাড়ি নিয়েছে সাথে?
— গাড়ি লাগবে কেন মামা? ছোট ভাবী তো বাড়ীতেই আছে।
— মানে?
— নিচে হাঁটতে গেলো মনে হয়। ঘাটের দিকে দেখেছি ছাদ থেকে।
তৌসিফ ফোঁস করে দম ছাড়লো। ফোন কেটে দিলো। ডান হাতটা ঘাড়ে ডললো কিছুক্ষণ। কাঁধ ব্যথা করছে তার। ইমু’কে ডেকে কাজ বুঝিয়ে তৌসিফ বেরিয়ে গেলো৷ তার মন বলছে পৌষ’র এখন তাকে দরকার। নিশ্চিত একা একা খারাপ লাগছিলো তাই হয়তো বাইরে বেরিয়েছে।
“পৌষ।”
নারী কণ্ঠের ডাকে পিছু ফিরে পৌষ। আভিজাত্যের ছাপে জর্জরিত একজন নারী দাঁড়িয়ে সামনে। তৌসিফে’র ভাবী হন সম্পর্কে। পৌষ’র কপাল কুঁচকে গেলো৷ মেজাজ খারাপ হলো। এত সুন্দর বিকেলে কেন এই উজবুক মহিলার চেহারা দেখতে হবে? পৌষ’র চোখে মুখে বিরক্তির ছাপ। মহিলাটি তা বুঝলো। তৌহিদে’র বউ হাসলো। পৌষ’র বড়ই আশ্চর্য লাগে। পা থেকে নাক পর্যন্ত স্বর্ণে মুড়ে আছেন উনি। বাড়ীর মধ্যে কে পরে এগুলো? পৌষ’র এখন হাসি পেলো। কেমন আশ্চর্য লাগছে তাকে দেখছে। মিরা এগিয়ে এলো। হাসিমুখে জিজ্ঞেস করলো,
— হানিমুন কেমন কাটলো?
পৌষ অবাক হলো। সবাই জানে তারা হানিমুনে গিয়েছে? কই তৌসিফ মিয়া তো বললো না তাকে। উত্তর না পেয়ে পৌষ’র বাহুতে হাত রাখে মিরা। পৌষ চমকালো। বললো,
— ভালো।
— ঘাটে বসবে? নাহলে চলো হাটি?
পৌষ সরাসরি নাকচ করে,
— যেতে হবে আমাকে।
— তোমার স্বামী আসতে দেড়ী হবে না? এতদিন পরে বেরিয়েছে। নাকি গুরুত্বপূর্ণ কাজ আছে? আচ্ছা, চলো তাহলে উপরে যাই। অনেকদিন যাওয়া হয় না৷
পৌষ’র অবস্থা এখন সামনে কুয়ো পিছনে খাল। ও কিছুতেই মিরা’কে নিজেদের ফ্লাটে নিতে চাইছে না। কেন জানি ভালো লাগে না৷ তাই ভেবেচিন্তে বললো,
— আচ্ছা, তাহলে এখানেই হাটি।
— ঘাটে?
— না। হাটি শুধু।
এই ঘাট নিয়ে পৌষ চরম অপমানিত হয়েছিলো তৌসিফ থেকে যদিও পরে সে নৌকা দিয়ে পৌষ’কে ঘুরিয়েছে কিন্তু প্রথম ভয়টা এখনও চাপা কাজ করে তার মাঝে। তৌসিফ’কে ভয় সে আজীবন পাবে। মুখ চালালেও তার ভেতর টিপটিপ করে এই লোকের ভয়ে। পৌষ বুঝতে দিতে চায় না কিন্তু চালাক তৌসিফ বুঝে ফেলে। মামাতো ভাই কি না৷
মিরা’র কথায় পৌষ’র ধ্যান ভাঙলো।
— কোথায় কোথায় ঘুরলে পৌষ?
— অনেক জায়গাই ঘুরেছি। নাম মনে নেই।
— ভাইয়া, গিফট দিলো না?
— দিয়েছে।
— কি দিলো?
— অনেককিছু।
— ও বুঝেছি বলতে চাইছো না। তাই তো? আচ্ছা থাকুক। এই দেখো এই আংটিটা তোমার ভাসুর দিলো। ডায়মন্ডের। সাথে ম্যাচিং ইয়ার রিং আছে। তবে কাজ ভারী পরতে মন চাইলো তাই কানে স্বর্ণ দিলাম। পাঁচ ভরীর তাই টানা ছাড়া পরতে পারি না৷ তোমার কানেরটা কিসের?
পৌষ’র মাথা ওরনা দিয়ে পুরো ঢাকা। দেখার জোঁ নেই। ও বললো,
— আছে ভাবী।
— ভাবী? যাক এতক্ষণে মনে পরলো আমি তোমার জা। শোনো পৌষ, লজ্জা পেয়ো না৷ এই দেখো না আমার আর তোমার ভাসুরেরও কত অমিল কিন্তু আমি তাকে ভালোবাসি। প্রথম বাচ্চার পরই মোটা হয়ে গিয়েছিলান। তৌহিদ তখন মোটি বলে ক্ষেপাতো আমাকে। ওকে ভালোবাসি বলে কত কষ্টেই না শুকালাম। আমি ছিলাম উড়ন্ত এক মেয়ে। তোমার ভাসুরকে ভালোবেসে এখন কতই না সংকুচিত হয়েছি। গতবছর হজ করেছি। এখন মাথা ঢেকে রাখি। বুঝোই তো কালার করা চুল। কত যত্ন নিতে হয়……
নিজের বিষয়ে নানান কথা মিরা বললো। পৌষ বুঝলো তার থেকে বড় বাঁচাল মিরা। মাথায় দুই একটা স্কু ঢিলাও আছে। বিষয়টা তুসু ভাই’কে জানাতে হবে। পৌষ মনে মনে ফন্দি আটলো। তবে আশ্চর্যের বিষয় পৌষ’র সাথে তার ভালোই কথা হলো। পৌষ নিজের পরিবার সম্পর্কে তাকে জানালো যদিও মিরার যথেষ্ট খোঁচানিতে ও বলেছে। মাগরিবের আজান হতেই মিরা বললো,
— নামাজ না পরলে তোমার ভাসুর রেগে যাবে। তুমি আমার সাথে চলো। চা খেতে খেতে আড্ডা দেই।
পৌষ মুখ মুছে না করলো কিন্তু মিরা মানলো না। সিঁড়ি দিয়ে উঠার সময়ে টেনে ওকে ভেতরে নিলো। পৌষ এত করে না করলো কিন্তু মিরা হার মানলো না। চায়ের সাথে নানান নাস্তার আয়োজন করলো। এদিকে ভয়ে ভয়ে বসে আছে পৌষ। তৌসিফ জানলে মাইর ই না দেয় তাকে। একবার সে না করছিলো যাতে তার ভাই বউদের সাথে না মিশে পৌষ বা তারা কিছু বললেও পৌষ চুপ থাকে। ভয়ে এক ফাঁকা ঢোক গিললো ও।
পৌষ ভয়ে ভয়ে নিজেদের ফ্লাটে ঢুকলো। রাত প্রায় আটটার কাছাকাছি। তৌসিফ কি চলে এলো? ও বুঝতে পারছে না। স্বাভাবিক পরিস্থিতি। মিনু টিভিতে নাটক দেখছে। যত কুটনা নাটক আছে তার ওর দেখতে হবেই হবে। এমনি সময় হলো ওর সাথে একটু লাগালাগি করতো পৌষ কিন্তু এখন ভয়ে কলিজায় তার পানি শূন্যতা দেখা যাচ্ছে। মামাতো ভাই তার কোথায়? ভীতু পা জোরা তার পদচারণ করে এগিয়ে এলো রুমের কাছাকাছি। জাঁকজমকপূর্ণ ড্রয়িং রুম পেরিয়ে যেই না রুমে ঢুকবে ওমনিই দরজায় বেল বেজে উঠলো। হঠাৎ শব্দে ছিটলে যায় পৌষ। ঠান্ডার মধ্যেও যেন কপালে ঘাম ছুটছে। গতরাতে এমনিতেও তৌসিফ রেগে ছিলো। পৌষ বুঝে। এতটুকু তো সে তার তৌসিফ’কে চিনতে পেরেছে। মিরা এলো কি না কে জানে। আসলে পৌষ খতম। একেবারে শেষ। ওর বুক উঠানামা করছে। পৌষ হাঁপিয়ে উঠলো যেন। ততক্ষণে নাটক ত্যাগ করে মিনু উঠেছে দরজা খুলতে। বুয়া একজন রান্নাঘরে হয়তো রাতের খাবার রান্না হচ্ছে। এসেছে থেকে পৌষ রান্নায় হাত দিতে পারে নি। সম্ভব হয় নি।
ড্রয়িং রুমের পিলার ধরেই দাঁড়িয়ে রইলো পৌষ। ওর মাথায় নানান কথা চলমান। তার মধ্যে কিছু কিছু মিরা’র বলা কথা। কথার ফাঁকে ফাঁকে সে খুবই সূক্ষ্ম ভাবে তৌসিফ’কে নিয়ে কথা বলেছে। তাদের তিন ভাইকে নিয়ে বিভিন্ন কথা বলেছে যদিও কোনটাই খারাপ কথা না। কিন্তু পৌষ এতটুকু বুঝেছে তৌসিফ গোছানো মানুষ পছন্দ করে। সেই হিসেবে তো পৌষ অগোছানো। এছাড়াও নানান তথ্য যার সাথে পৌষ নিজেকে মিলিয়ে পায় না৷
কাঁধে শক্ত হাতের ছোঁয়া পেতেই ওর দেহ ঝাঁকি দিয়ে উঠে। সামনে তৌসিফ দাঁড়িয়ে। পৌষ’র দিকে কপাল কুঁচকে তাকিয়ে আছে। পৌষ বুঝলো মাত্রই তাহলে তৌসিফ ফিরেছে। কলিজায় সৃষ্ট মরুভূমিতে তখন এক পশলা বৃষ্টির আগমন৷ শুকরিয়া আদায় করলো পৌষ। এই যাত্রায় বেঁচেছে ও।
তৌসিফ পৌষ’র কপালে হাত রাখলো। এখনও গরম। এই মেয়ের জ্বর কমে নি অথচ ও এখানে দাঁড়িয়ে আছে। বাইরেও নাকি ঘুরে এসেছে। একা-একা বাইরে ঘুরঘুর করলো। তৌসিফ ফিরতো আরো আগেই। হঠাৎ শেষে একটা কল আসায় আবার তাকে শোরুমে যেতে হয়েছে। ঘাড়ের ব্যথা বেড়েছে। পৌষ’র হাত ধরে রুমে যেতেই পৌষ বললো,
— গ্রিজার অন করব? গোসল করবেন এখন?
— হ্যাঁ কিন্তু তোমাকে করতে হবে না।
— ও তাহলে কে করবে?
— খেয়েছো কিছু?
প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে তৌসিফ জিজ্ঞেস করে। পৌষ মাথা নিচু করে বললো,
— খেয়েছি। আপনি এখন খাবেন? নিয়ে আসব?
— গোসল করে খাব।
তৌসিফ রাগ প্রকাশ করছে এভাবে পৌষ তা চট করে বুঝে নিলো। এত বড় এক লোক যদি বাচ্চাদের মতো গাল ফুলিয়ে অভিমান করে তখন কেমন লাগে? পৌষ’র হাসি পেলো। হাসি চেপে বললো,
— বাসায় একজন এসেছিলো। আমি দেখি নি৷ মিনু দেখেছে। আপনাদের নিচে কিসের জানি কাজ হচ্ছে তার জন্য বললো।
— হ্যাঁ। বাসার নিচে অফিস রুম করছি একটা। কাজের জন্য কত মানুষের আনাগোনা। আমি চাই না নিজের বাসায় তুমি লুকিয়ে থাকো।
তৌসিফ বাথরুমে ঢুকলো। পৌষ পা ঝুলিয়ে বসলো বিছানায়৷ ওর মনে পরলো কিছু মাস আগে বাসায় এক গাদা লোকের আগমন হয়েছিলো। পৌষ তখন রুমে ঘাপটি মে’রে বসে ছিলো। প্রায় দুই ঘন্টা মিটিং থাকায় পৌষ এক রুম থেকে আরেক রুমেও যেতে পারে নি।
ঐ দিনের পর অবশ্য বাসায় ওমন ভাবে কাউকে আনে নি তৌসিফ। পৌষ অবাক না হয়ে পারলো না। এই লোকটা এতটা ভালো কেন? কারণটা কি?
তৌসিফ এসে বিছানায় বসতেই পৌষ নিজ থেকে ওর ঘাড়ে মলম মালিশ করতে লাগলো। তৌসিফ চোখ বুজে নিলো। পৌষ হা করে তাকিয়ে রইলো তৌসিফে’র পিঠে। ফর্সা চামড়ার লোক। পৌষ হাত বাড়িয়ে পিঠ পর্যন্ত মালিশ দিলো। তৌসিফ আরামে গুঙিয়ে উঠে। পৌষ পেছন থেকে জড়িয়ে ধরে ওকে। পিঠে ঠোঁট ছোঁয়ায়। ফিসফিস করে ডাকে,
— তুসু ভাই, আপনি এত কেন সুন্দর? লজ্জা হওয়া দরকার আপনার। আপনার বউ থেকেও আপনি সুন্দর।
— আমার বউ নিয়ে খারাপ মন্তব্য করো না হানি৷ খারাপ হবে। ঘাটে কি করছিলে তুমি আজ?
যাহ! দিলো তো রোমাঞ্চকর মূহুর্তের বারোটা বাজিয়ে। সরে বসে পৌষ বললো,
— বাতাস খেতে গিয়েছিলাম।
— আর?
— আর কি?
— মিরা ভাবীর কাছে?
প্রেমসুধা পর্ব ৬৩
পৌষ’র চোখ দুটো বড় বড় হয়ে গেলো। তৌসিফ কিভাবে জানলো? ও দেখলো তৌসিফ র’ক্তলাল চোখে তাকিয়ে আছে ওর দিকে। পৌষ মুখ খুলে কিছু বলতে চাইলো কিন্তু সাহসের অভাবে পারলো না। এদিকে ক্রমশ নিজের রাগ নিয়ন্ত্রণে ব্যার্থ তৌসিফ। সে সত্যিই ব্যার্থ।
প্রায়শই ভালোর মাঝে মন্দ থাকে। সেই মন্দ দেখা যায় না৷ তারা হয় নীরব ঘাতক যারা ধীরে ধীরে বিষক্রিয়া করে অতঃপর সবটা শুষে খতম করে।