বাঁধনহারা প্রেম পর্ব ১৬

বাঁধনহারা প্রেম পর্ব ১৬
shanta moni

এখন সময় সন্ধ্যা ৭:০০ টা
মাগরিবের নামাজ পড়ে বসে আছে, রোদ শুভ্র বাসায় নেই, এই একলা বাসায় সবাই ভিষন মনে পড়ছে, পুড়ো বাড়ি ফাঁকা কেউ নেই, এই রকম একা কি কেউ থাকতে পারে,
রাত : ১২:৩০
ঘুমের মধ্যে হটাৎ কেঁদে উঠে রোদ, অসহ্য পেটে ব্যাথা মনে হচ্ছে মরেই যাবে,
শুভ্রের ঘুম ভেঙে যায়। দৌড়ে আসে রোদের কাছে, রোদ বিছানায় শুয়ে ব্যাথায় কাতরাচ্ছে। শুভ্র রোদের মাথা তুলে নিজের কোলে নেয়। গালে হাত দিয়ে বলে।

শুভ্র: রোদ কি হয়েছে, এমন করছিস কেনো কি হয়েছে?
রোদ ডুকরে কেঁদে উঠে, শুভ্রের পেট জড়িয়ে ধরে কাঁদতে কাঁদতে বলে,
রোদ: নানু আমার পেটে ভিষন ব্যাথা হচ্ছে, খুব কষ্ট হচ্ছে, সহ্য করতে পারছি না,
শুভ্র আর কিছু বলতে হয়’না সব টা বুঝে যায় সে,
ঘুমের জন্য হয়তো শুভ্রকে নানু ভাবছে।
রোদকে বিছানার উপর রেখে, শুভ্র কিচেনে যায়, গরম পানি হট’ওয়াটার ব্যাগ পানি এনে রোদের পেটে দিতে থাকে, রোদ চিৎকার করে কাঁদছে, মনে হচ্ছে জান,টা বেড়িয়ে যাচ্ছে। শুভ্র রোদের মাথা কোলে নিয়ে বলে,
শুভ্র: এই রোদ প্লিজ এই ভাবে কাঁদিস না, ঠিক হয়ে যাবে। একটু সহ্য কর।
রোদ শুভ্রকে জড়িয়ে ধরে কাঁদছে,

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

শুভ্রের অস্থিরতা যেনো আরো বাড়ছে, কি করবে এতো রাতে কিছুই বুঝতে পারছে না,
শুভ্র রোদের কাছে থেকে উঠে, রোদকে পেইন কিলার খায়িয়ে দেয়। রোদের আস্তে আস্তে পেটে ব্যাথা কমে আসে, রোদ ঘুমিয়ে আছে, শুভ্র এক ধ্যানে তাকিয়ে আছে রোদের দিকে, কিছু একটা মনে পড়তেই, রাগে চোয়াল শক্ত করে ফেলে, উঠে দাঁড়ায় শুভ্র ধব ধব পা ফেলে বেলকনিতে চলে যায়। মাথা নিচু করে নিজের চুল টেনে ধরে। রাগে রি,রি করতে বলে।
শুভ্র : কেনো এই মেয়ে কিছু হলে, আমি অস্থির হয়ে যাই, কেনো কেনো কেনো, ও মরে যাক তাতে আমার কিচ্ছু আসে যায় না,কিচ্ছু আসে যায় না, কিচ্ছু না,
শুভ্র মুখে কথা গুলো বল্লেও মন থেকে মানতে পারছে না,

সকাল ৭:৩০
জানালা বেধ করে সূর্য আলো চোখে পড়তেই, পিটপিট করে চোখ খুলে রোদ, বিছানা থেকে উঠতে গিয়েও, উঠতে পারছে না, কোমরে ব্যাথা যেনো পুড়ো শরীর বিষ হয়ে আছে। আস্তে আস্তে উঠে দাঁড়ায় বিছানা থেকে, ওয়াশরুমে গিয়ে লম্বা শাওয়ার নিয়ে বেড় হয়, চুল দিয়ে টপ’টপ পানি পড়ছে। রোদ ধীর পায়ে হেঁটে মিরোরের সামনে দাঁড়ায়। চেহারা কেমন ফেকাসে হয়ে আছে, ঠোঁট দুটো শুকনো। মেরুন রঙের একটা থ্রি পিস পড়া। কালকে শুভ্র রোদকে থ্রি পিস টা দিলো। জিজ্ঞেস করেনি কোথায় পেয়েছে’ রোদ দীর্ঘ শ্বাস ফেলে আস্তে করে পিছনের চুল গুলো সামনে দিকে এনে তোয়ালে দিয়ে মুছতে থাকে। শুভ্র সোফায় শুয়ে আছে, ঘুমের ভান ধরে রোদকে দেখছিলো। পিছন থেকে চুল গুলো সরানোর জন্য গাড়ের নিচে কালো কুচকুচে তিল টা যেনো ফুটে উঠেছে ফর্সা শরীরে, শুভ্র সমস্ত শরীর যেনো কেঁপে ওঠে। নিজের ভিতরে
খুব বাজে কিছু করে দেবার ইচ্ছে হচ্ছে।

শুভ্র ধীর পায়ে উঠে দাঁড়ায় পিছন থেকে রোদকে জড়িয়ে ধরে। রোদ হকচকিয়ে উঠে,কিছুটা অবাক হয়। মিরোরের আয়নায় শুভ্রকে দেখে ভয়ে কেঁপে ওঠে। পুড়ো শরীর শিউরে ওঠে।
শুভ্র রোদের গাড়ে নাক ডুবায়। রোদ ভয়ে থর থর করে কাঁপছে, শুভ্র কিছুটা রাগ নিয়ে গাড়ে তিলে জোরে কামর বসায়। রোদ ব্যাথায় আহহহ করে শব্দ করে উঠে। শুভ্র এক হাত দিয়ে রোদের পেট হাত চেঁপে ধরে বলে।
শুভ্র: আমাকে উসকানি দিস না রোদ। তার বিপরীতে তোকেই পুড়তে হবে। তাই নিজেকে সামলে রাখ। এই ভাবে আমার সামনে নিজেকে ওপেন রাখিস না। আমি কিন্তু মোটেও ভালো মানুষ না’ তাই সাবধান।
শুভ্র রোদকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে রুম থেকে বেড়িয়ে যায়।

বাঁধনহারা প্রেম পর্ব ১৫

রোদ ডুকরে কেঁদে উঠে রোদ, কি হচ্ছে তার সাথে কিছুই বুঝতে পারছে নাহ।
চৌধুরী বাড়ি,
হেনা বেগম টেনশনে শরীর অসুস্থ হয়ে গেছে। শুভ্র কল ধরছে না, কোনো খোঁজ খবর নেই, রোদ শুভ্রের কোনো খোঁজ নেই।
অয়ন কালকে বাসায় এসেছে। এসেই সব শুনেছে, কিছুটা অবাক হলেও কাউকে কিচ্ছু বলে না।

বাঁধনহারা প্রেম পর্ব ১৭

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here