বিষাক্তফুলের আসক্তি পর্ব ৮

বিষাক্তফুলের আসক্তি পর্ব ৮
লেখনীতেঃ তাহমিনা তমা
গা কাঁপিয়ে জ্বর এসেছে পাখির। ন্যান্সি পাখির মাথায় জলপট্টি দিচ্ছে। মেয়েটা জ্বরের ঘোরেও আপুনিকে ডেকে যাচ্ছে। আহান পাখির কপালে হাত রেখে বুঝার চেষ্টা করলো জ্বর কমেছে কিনা।
আহান ন্যান্সির উদ্দেশ্যে বললো, আপনি এবার গিয়ে ঘুমিয়ে পড়ুন। আমি আছি পাখির কাছে।
ন্যান্সি বললো, কিন্তু স্যার আপনার তো সকালে ভার্সিটি যেতে হবে।
আহান পাখির দিকে তাকালো, আমার সমস্যা হবে না আপনি যান।
ন্যান্সি আর কিছু না বলে পাখির মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে চলে গেলো। আহান এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে পাখির দিকে। আহান কখনো পাখির দিকে বিরক্তির দৃষ্টি ছাড়া তাকায়নি। কিন্তু আজ শান্ত দৃষ্টিতে তাকিয়ে পাখিকে স্নো হোয়াইট নাম দিতে ইচ্ছে করছে। অনেক বছর আগে এই নামটা দিয়েছিলো ছোট একটা পুতুলকে আজ মনে পড়ে যাচ্ছে তার কথা। ধবধবে ফর্সা মুখটায় রক্তগোলাপের মতো রক্তবর্ণ ঠোঁট, কৃষ্ণবর্ণ লম্বা চুল। এক কথায় স্নো হোয়াইটকে যেনো বাস্তবে দেখছে আহান।
আহান বিড়বিড় করে বললো, কে তুমি ? আমাকে যে সেটা জানতেই হবে।
দু’দিন যাবত ঘরবন্দী তিতির। তাকে কেউ বন্দী করে রাখেনি সে নিজেই বের হয় না রুম থেকে। সার্ভেন্ট খাবার দিয়ে গেলে মন চাইলে খায়, আবার না চাইলে সেভাবেই পড়ে থাকে খাবারগুলো। তাজ দু’দিন বাড়ি ফিরেনি, তার বাবা-মা তার চিন্তায় অস্থির, মনে হয় ভুলেই গেছে বাড়িতে একটা মেয়ে। তিতির রায়হানকে কল দিলো বেলকনিতে গিয়ে।
রায়হান রিসিভ করে বিরক্তি নিয়ে বললো, এতবার বিরক্ত করছিস কেনো তিতির ?
তিতির রাগী গলায় বললো, আমার বোনুকে ফিরিয়ে দিন আপনার মতো লোকের ছায়াও মাড়াবো না আমি।
বলেছি তো সময় হলে ফিরে পাবি।
আমার দম বন্ধ হয়ে আসছে এই বাড়িতে। দয়া করে আমাকে এবার মুক্তি দিন।
আমার কাজ তো এখনো শেষ হয়নি। শেষ হলে অবশ্যই মুক্তি দিবো তোদের।
আর কী কাজ বাকি আছে ? আপনার উদ্দেশ্য ছিলো স্যারের ক্যারিয়ার ধ্বংস করা, সেটা হয়ে গেছে।
এতো ছোট একটা কাজ করার জন্য এতো কষ্ট করলাম নাকি আমি। আরো অনেককিছু বাকি আছে। তোর এতকিছু জেনে কাজ নেই। বেশি না এক মাস থাকতে হবে তোকে।
তিতির আঁতকে উঠলো, অসম্ভব আমি কিছুতেই এক মাস এখানে থাকতে পারবো না।
রায়হান বাঁকা হেসে বললো, তোর মনে হয় বোনের চিন্তা নেই রে তিতির। তিতিরপাখি শব্দটা থেকে পাখি বাদ দিতে চাইছিস।
তিতির অস্থির হয়ে উঠলো বোনের কথা শুনে, না আমার বোনের কিছু করবেন না। আমি থাকবো যতদিন চাইবেন ততদিন থাকবো।
কার সাথে কথা বলছিস রায়হান ?
মৌয়ের গলা শুনে চমকে উঠলো রায়হান। পরক্ষণে নিজেকে সামলে পেছনে ফিরে মৌয়ের দিকে তাকালো। মৌ সরু চোখে তাকিয়ে আছে তার দিকে। রায়হান কোনমতে পরে কথা বলছি বলে কল কেটে ফোন পকেটে রেখে দিলো। মৌ তখনো তাকিয়ে আছে রায়হানের দিকে।
রায়হান জোরপূর্বক হেসে বললো, এমনই একটা জরুরি কল ছিলো।
মৌ বললো, তাহলে কথা শেষ না করে রেখে দিলি কেনো ?
কথা শেষ তো, তাই রেখে দিলাম। কিন্তু তুই এখানে কী করছিস ? তোর তো রোগী দেখার কথা এখন।
দম বন্ধ লাগছিলো তাই একটু ব্রেক নিয়েছি।
রায়হান ব্যস্ত হয়ে বললো, তোর শরীর ঠিক আছে ?
মৌ বললো, আমি ঠিক আছি। তবে একটু একা থাকতে চাইছি। এপাশটা নিরিবিলি তাই এলাম।
ঠিক আছে তুই থাক তাহলে, আমি আসছি। আমার আবার একটা অটি আছে কিছুক্ষণ পর।
মৌয়ের উত্তরের অপেক্ষা না করে চলে গেলো রায়হান। মৌ তাকিয়ে আছে রায়হানের যাওয়ার দিকে। একই হসপিটালে আছে তারা। মৌয়ের সন্দেহ একটু একটু করে গাড়ো হচ্ছে।
মৌ বিড়বিড় করে বললো, সেদিন তোকে দেখে তিতিরের ভয় পাওয়া। আজ তোর বলা কথা সব মিলিয়ে কিছু তো একটা রহস্য আছে রায়হান। তিতিরপাখি শব্দটা থেকে পাখি বাদ দিতে চাইছিস। মানে কী হতে পারে এই কথার ? তিতিরের সাথে তোর কী সম্পর্ক ?
মৌ এসে রায়হানের বলা লাস্ট কথাটুকু শুনেছে। মৌ বুঝতে পারছে রায়হানের সাথে তিতিরের কোনো একটা কানেকশন আছে কিন্তু সেটা কী ধরতে পারছে না।
কিছুক্ষণ এসব চিন্তা করে তাজকে কল দিলো। সে রাতের পর তাজের সাথে আর যোগাযোগ হয়নি মৌয়ের। এবারও ফোন বন্ধ বলছে, সে দীর্ঘ শ্বাস ছাড়লো। মৌ খোঁজ নিয়েছে দু’দিনে তাজ বাড়িও ফিরেনি।
মৌ ফোন বের কর তাজের পিক দেখে বললো, কোথায় তুমি তাজ ?
স্যার দু’দিনে মেয়েটা বাড়ি থেকেই বের হয়নি। তবে কল লিস্ট বের করে একটা নাম্বার পাওয়া গেছে। কিছুদিন যবত এই একটা নাম্বারে কথা বলে যাচ্ছে। আপনার বিয়ের পাঁচদিন আগেই প্রথম কথা বলে এই নাম্বারে। কিন্তু তার আগে কখনো এই নাম্বার থেকে না কল এসেছে আর না গেছে।
গার্ডের কথা চুপচাপ শুনলো তাজ। তিতিরকে সুযোগ দিতেই তাজ দু’দিন বাড়ি ফিরেনি। তাজ দেখতে চেয়েছিলো তিতির কার সাথে দেখা করে। কিন্তু তেমন কিছুই হয়নি। তাই আজ তিতিরের কল লিস্ট বের করতে বলে।
তাজ অনেক ভেবে বুঝতে পেরেছে সত্যি মিথ্যা সামনে আনার জন্য তিতিরের পিছনে সময় নষ্ট না করে, আসল কালপ্রিটকে খোঁজা বুদ্ধিমানের কাজ। আসল কালপ্রিটকে খুঁজে পেলে এমনই সব সামনে চলে আসবে।
ঐ নাম্বার কার তার ডিটেইলস বের করো। মনে হচ্ছে এই নাম্বারের মালিকই আসল কালপ্রিট। তিতিরের উপর আরো কড়া নজর রাখো।
ঠিক আছে স্যার।
তিতিরের পুরো লাইফ ডিটেইলস বের করতে বলেছিলাম তার কী হলো ?
স্যার সেই কাজও হয়ে গেছে। তিতিরের বাবা আবির মাহমুদ। একসময় বেশ বড় পারিবারিক বিজনেস ছিলো। আবির মাহমুদ আর তার স্ত্রী মারা গেছে বেশ রহস্যজনক ভাবে। তারা মারা যাওয়ার পর সেই বিজনেসের মালিক হয়েছে আবির সাহেবের বোন-জামাই আব্দুর রহমান চৌধুরী। বাবা-মা মারা যাওয়ার পর তিতির বড় হয়েছে তার বাবার এক বিশস্ত গার্ড নুরুলের কাছে।
তাজ অবাক হয়ে শুনছে গার্ডের কথা। তাজ শুধু জানতো তিতিরের বাবা-মা নেই। সে একটা ফ্ল্যাটে ভাড়া থাকে। এর বেশি জানার ইচ্ছে হয়নি কখনো।
তাজ অবাক হয়ে বললো, আত্মীয় স্বজন থাকতে গার্ডের কাছে কেনো বড় হয়েছে।
যতটুকু জানা গেছে আবির সাহেব মারা যাওয়ার পর আত্নীয় স্বজনরা প্রোপার্টি দখলে ব্যস্ত হয়ে যায়, প্রোপার্টির পরিমাণ অনেকটাই বড় ছিলো। তিতিরের খোঁজ কেউ করেনি। নুরুলই বড় করেছে তিতিরকে কিন্তু বছর দুয়েক আগে নুরুল মারা গেছে কার এক্সিডেন্টে। তারপর থেকে একাই আছে তিতির। তবে মাঝে মাঝে তার সাথে আরো একটা মেয়েকে দেখা গেছে কিন্তু সেটা কে জানা যায়নি। তিতির আপনাদের বাড়ি যাওয়ার পর থেকে তার ফ্ল্যাট ফাঁকা পরে আছে।
তাজ উঠে দাঁড়িয়ে বললো, অন্য মেয়েটা কে সেটা খোঁজে বের করো দ্রুত।
ইয়েস স্যার।
তাজ বের হয়ে গেলো ফার্মহাউস থেকে।  গত দুদিন সে এখানেই ছিলো। গাড়ি স্টার্ট করে বাড়ির পথে এগোতে লাগলো।
স্টিয়ারিং হাতে ভাবতে লাগলো, এবার খেলাটা জমবে মিস তিতির উপস সরি মিসেস তিতির। আর তাড়াহুড়ো নয়, এবার সব হবে ঠান্ডা মাথায়। ক্যারিয়ার, ক্যারিয়ার শেষ করে দিয়েছো তাই না। যে ক্যারিয়ারে ঘুণ ধরেছে সেটা তো আর বয়ে বেড়াবে না এই তাজওয়ার খান তাজ। আমার চরিত্রে লাগা দাগতো আমি তুলবো কিন্তু আগের জীবনে আর ফিরে যাবো না। তাই কোনো তাড়া নেই আমার, সবটা সময়ে আনবো আমি। এতে যত সময় লাগুক। তুমি আমার সাথে গেইম খেলেছো এবার আমি তোমার সাথে গেইম খেলবো। তোমরা যত মনে করবে আমি সবটা মেনে নিতে শুরু করেছি তত কাজটা সহজ হবে আমার জন্য। তোমরা যেটা চাইবে আজ থেকে সেটাই হবে। আজ থেকে তোমাদের উড়তে দিবো আমি, উড়তে উড়তে যখন আকাশ ছুঁতে চাইবে ঠিক সেই সময় ডানা কেনে দিবো। মুখ থুবড়ে মাটিতে পরে তড়পাবে তোমরা। শেষ খেলাটা তো এই তাজওয়ার খান তাজ জিতবে, জাস্ট ওয়েট এন্ড সি।
কথাগুলো নিজের মনে আওড়ে বাঁকা হাসলো তাজ।
বাড়ি ফিরে কলিংবেল বাজালে দরজা খোলে দিলো সার্ভেন্ট। সোজা নিজের রুমে গিয়ে লম্বা সময় শাওয়ার নিলো।
তাজ ডিনার টেবিলে গিয়ে দেখলো তার বাবা-মা বসে খাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। তাজ নিজের চেয়ার টেনে বসলো।
ইকবাল খান ছেলের দিকে তাকিয়ে বললো, গত দু’দিন কোথায় ছিলে ?
বাবা-মায়ের উপর অভিমানটা জমিয়ে রেখেছে তাজ। সবটা সামনে আসুক তারপর বাবা-মায়ের সাথে বুঝাপড়াটা হবে৷
তাই এখন স্বাভাবিক ভাবে নিজের প্লেটে খাবার তুলে নিতে নিতে শান্ত গলায় বললো, এর আগে মাসের পর মাস বাইরে থেকেছি, তখন তো কৈফিয়ত দিতে হয়নি।
তখনকার সময় আর এখনকার সময়ে অনেক তফাত। তখন তুমি কাজের জন্য বাইরে থাকতে।
তাজ শান্ত গলায় বললো, নিজেকে সময় দিতে গিয়েছিলাম।
তাজ এক সার্ভেন্টের দিকে তাকিয়ে বললো, মেয়েটা আই মিন তিতিরকে ডেকে নিয়ে এসো।
সার্ভেন্ট তিতিরকে ডাকতে গেলে ইরিনা বললো, ওকে কেনো ডাকছিস ?
তাজ বললো, কিছু কথা বলতে চাই সেটা তিতিরেরও জানা প্রয়োজন।
তিতির ফোনে তার আর পাখির ছবি দেখছিলো তখনই দরজায় নক হয়।
তিতির বলে উঠে, কে ?
ছোট স্যার আপনাকে ডাকছে, এখনই যেতে বলেছে।
তিতির বুঝতে পারলো তাজ এসেছে। কিন্তু তাকে কেনো ডাকছে সেটা বুঝতে পারছে না। ভয়ে এক ঢোক গিলে বেড থেকে নেমে গেলো। ওড়না মাথায় দিয়ে দরজা খোলে বের হয়ে এলো। সার্ভেন্টের পিছন পিছন ডাইনিং টেবিলের সামনে হাজির হলো। তাজ একবার তাকালো তিতিরের দিকে।
বেশ শান্ত গলায় বললো, বসো।
তিতির চমকে উঠলো তাজের কথায়। তাজ খুব সাধারণ একটা কথা বলেছে তবু সেটা হজম করতে কষ্ট হচ্ছে। সেদিনের পর আজ প্রথম তাজ ভালো করে কথা বললো তার সাথে। তিতির কাঁপা হাতে চেয়ার টেনে বসলো।
তাজ সার্ভেন্টকে উদ্দেশ্য করে বললো, খাবার দিন ওকে।
এবার অনেক বেশি চমকে উঠলো তিতির। কাঁপা গলায় বললো, আ,,আমি খাবো না।
তাজ শান্ত দৃষ্টিতে তাকালো তিতিরের দিকে। তাজের শান্ত দৃষ্টি তিতিরের গলা শুকিয়ে দিলো, দ্রুত মাথা নিচু করে ফেললো।
তাজ সার্ভেন্টকে বললো, আপনি দাঁড়িয়ে আছেন কেনো ? ওকে খাবার দিতে বললাম তো।
সার্ভেন্ট দ্রুত তিতিরের সামনে খাবার রাখলো। ইকবাল আর ইরিনা অবাক দৃষ্টিতে ছেলের কান্ডকারখানা দেখে যাচ্ছে।
তিতিরের সামনে খাবার দিলে তাজ বললো, নাও শুরু করো।
তিতির একবার তাজের দিকে তাকিয়ে আবার মাথা নিচু করে ফেললো।
তাজ তা দেখে ধমক দিয়ে বললো, কী হলো শুরু করতে বললাম না ?
তিতির কেঁপে উঠলো তাজের ধমকে। কাজ করার সময় তাজ কখনো ধমক দিয়ে কথা বলতো না তিতিরের সাথে৷ তাই তিতির কখনো ভয়ও পেত না তাকে। কিন্তু এখন তাজের দিকে তাকাতেও ভয় লাগে তিতিরের। হাত-পা অস্বাভাবিক হারে কাঁপে।
তিতির কাঁপা হাতেই চামচ তুলে নিলো আর একটু খাবার মুখে দিলো।
তাজ বাবা-মায়ের দিকে তাকিয়ে বললো, তোমরা বসে আছো কেনো, খাও।
সবাই খাওয়ায় মনোযোগ দিলো, তিতির চামচ দিয়ে খাবার নাড়াচাড়া করছে শুধু। তিতির বুঝতে পারছে না তাজের এমন ব্যবহারের কারণ।
তাজ খেতে খেতে হঠাৎ বললো, অনেক ভেবে দেখলাম যা হওয়ার হয়ে গেছে। এবার সবটা মেনে নেওয়ার চেষ্টা করাই ভালো।
খাওয়া থেমে গেলো সবার, শুধু তাজ নিজের মতো স্বাভাবিকভাবে খেয়ে যাচ্ছে।
ইকবাল খান অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলো, মানে কী বলতে চাইছো ?
তাজ এবার তাকালো বাবার দিকে, মানে খুব সহজ। আমি মেনে নিচ্ছি সবটা, হয়তো আমারই কোথাও ভুল ছিলো। তিতির সবসময় আমার সাথেই থাকতো, হয়তো দূর্বল হয়ে পড়েছিলাম কোনো মুহূর্তে। আমি সবটা মেনে নিয়ে সামনে আগাতে চাইছি।
তিতিরের হাত থেকে চামচটা প্লেটে পড়ে ঝনঝন আওয়াজ তুললো। তিতির হতবিহ্বল হয়ে তাকিয়ে আছে তাজের দিকে। মাথা ঠিক আছে তো, কী সব আবোল তাবোল বকছে। তাজ আঁড়চোখে তিতিরের হতবিহ্বল অবস্থা দেখে বাঁকা হাসলো।
মনে মনে বললো, তোমরা তো এটাই চাইছিলে আমি হাড় মেনে নেই, সবটা মেনে নিতে বাধ্য হই। জেতার জন্য নাহয় হাড় মানার অভিনয় টাই করলাম।
তাজ বাঁকা হাসলো পুনরায়। তাজের বাবা-মা দীর্ঘ শ্বাস ছাড়লো তাজের কথা শুনে।