অদ্ভুত প্রেমানুভূতি পর্ব ৭ || Suraiya Aayat || SA Alhaj

অদ্ভুত প্রেমানুভূতি পর্ব ৭
Suraiya Aayat

বাধ্য হয়েই আসাদকে আসতে হয়েছে ,তবে আরূশির কথায় নয় ওর মায়ের কথাই এসেছে ৷
আজ দুদিন হল আসাদ আরুশির বাড়িতে রয়েছে৷
আরুশির নানান ধরনের টর্চার ওকে সহ্য করতে হয়েছে, হয়তো এতদিন ওর সাথে যা যা টর্চার করেছে তার.ই শোধ নিচ্ছে আরুশি ৷

আজকাল তো কোন কিছু খেতেই ওর ভয় ভয় লাগে,এই বূঝি আবার কিছু মিশিয়ে দেয় খাবারে ৷
আগের দিন ওয়াশরুমে শ্যাম্পু দিয়ে দিয়েছিল আর আসাদ ঢুকতে গেলেই পড়ে গেলে ৷ তা দেখে আরুশি হাসতে হাসতে শেষ ৷ আসাদকে ইতিমধ্যে খাবার খাওয়ার জন্য ডেকে গেছে আরুশি ৷ যাবে কি যাবে না বুঝতে পারছে না, এখানে কোন কিছু করতেও পারছেনা ৷ ঠিক করল বাড়ি গিয়ে আরুশিকে দেখে নেবে….
আরুশি : আপনাকে কখন থেকে ডাকছি আপনি খেতে আসছেন না কেন ? খাবার ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছে তো ,আর বাপি আপনার জন্য অপেক্ষা করছে৷

আমার খিদে নেই৷
খিদে নেই মানে ? আলবাদ খিদে আছে, আপনার চোখ মুখ দেখে বোঝা যাচ্ছে ৷চলুন খাবেন ৷
আমার পেটের অবস্থা খুব খারাপ ৷
আপনাকে আমি যখন বলেছি আপনি যাবেন তো যাবেন ৷ বলে আসাদের হাত ধরে টেনে নিয়ে গেল….
খাবার টেবিলে বসে আছে আসাদ সামনে অনেক রকমের খাবার সাজানো কিন্তু কোনটা দিয়ে শুরু করবে বুঝতে পারছে না ৷ও বুঝতে পেরেছে যে খাবারে কোন গন্ডগোল তো অবশ্যই আছে…..
আরুশির বাবা : বাবা তুমি খাচ্ছ না কেন?খেয়ে দেখো ভালোই হয়েছে আরুশি মা নিজের রান্না করেছে৷ মামনির হাতের রান্না একবার খেয়েছি বেশ ভালই রান্না করে , তুমিও খেয়ে দেখো ভালো লাগবে৷
আরূশির দিকে তাকিয়ে :খাব?
অবশ্যই ৷

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

আসাদ খেতে শুরু করল প্রথমে একটা বাটিতে হাত দিতেই তার রান্নাটা খেয়ে বেশ ভালই লাগলো কোন খারাপ নেই রান্নাই ৷ ভয়ে ভয়ে দ্বিতীয়বার খেয়ে দেখলে খাবার প্রচন্ড তেতো মুখে দেওয়ার মতো নয়৷ কোনরকমে খেতে পারছে না আসাদ ৷ অপরদিকে আরূশির বাবা বারবার বলেছেন খাওয়ার জন্য তার জন্য নাও করতে পারছেন না ৷ নানান খাবারে নানান ধরনের টেস্ট পাচ্ছে আসাদ ৷ এমন খাবার খাওয়ার সৌভাগ্য যেন আর কোনদিন না হয় ওর , আর এ ধরনের খাবার খেতে ও চায় না ওর জীবনে….

শেষের খাবারটা মুখে দিতেই ওখানে আর বসে থাকা হয় তোর পক্ষে সম্ভব না, খাবারটা এতই ঝাল যে ওর কান দিয়ে ধোঁয়া বের হচ্ছে, এরকম অবস্থায় কোনো রকম খাবারটা খেয়ে ঘরে চলে গেল ৷ ওয়াশরুমে গিয়ে বারবার চোখেমুখে জল দিয়ে কুলকুচি করতে লাগলো কিন্তু কোনভাবেই যেন ঝালটা কমছে না ৷
আরোশী মজা নেওয়ার জন্য রুমে গিয়ে দেখল আসাদের চোখ মুখ লাল হয়ে আছে প্রচন্ড রেগে যে আছে সেটা আরুশি ওকে দেখে বেশ ভালই বুঝতে পারছে ৷ কিন্তু ও তো এটাই চেয়েছিল আসাদকে জব্দ করার ৷
তোমাকে আমি দেখে নেব একবার শুধু বাড়িতে চলো, আর তুমি আমার খাবারে ঝাল কেন মিশালে?
ওখানে অনেক ধরনের খাবারই তো ছিল, আপনি ঝালটা খেলে আমার কি করার ! আর আমি তো ঠিকঠাকই রান্না করেছি ৷
একদম বাজে কথা বলবে না আজ তোমার জন্য বলে আরূশিকে চেপে ধরে ওর ঠোঁটে ঠোঁট দুটো মিশিয়ে দিল ,কিছুক্ষণ পর ছেড়ে দিলে ৷ ঝাল এখন অনেকটাই কম লাগছে…
.
আজকে আরুশি আর আসাদ বাড়িতে যাচ্ছে ৷ আসাদ বেশ খুশি কিন্তু আরুশি কোন ভাবেই খুশি না কারণ ও জানে গেলে আসাদ নিশ্চয়ই কিছু না কিছু করে ওকে জব্দ করবে তাই ওর যেন যেতে মন চাইছে না কিন্তু কিছু করার নেই যেতে তো ওকে হবেই….
আসাদ গাড়ি চালাচ্ছে আর আরুশি জানালার দিকে মুখ করে বসে আছে ৷
তা ম্যাডাম ভালো লাগছে তো এখন?
একদম চুপ করুন আপনার জন্য আমাকে এত তাড়াতাড়ি চলে আসতে হলো একদম ফালতু কথা বলবেন না ৷
বাড়ি চলো ম্যাডাম সব ভালো লাগবে ৷

অদ্ভুত প্রেমানুভূতি পর্ব ৬

আরুশি বাড়ি আসতেই আসাদের মা খুশি হলেই কারণ আজকে অনেকদিন পর আরুশি বাড়ি এসেছে ৷ আসাদ এর মধ্যে এক দুবার বাড়ি আসলেও আরুশির জন্য ওকে থাকতে হয়েছে বেশিরভাগ সময়৷ সেই কদিন আরুশি আসাদকে জ্বালিয়ে মেরেছে….
সকাল সকালই ওরা বাড়ি এসেছে, যাতে বাড়ি এসে ফ্রেশ হয়ে অফিসে যেতে পারে৷
আসাদ রেডি হয়ে ওয়াশরুম থেকে বেরিয়ে এসেছে, আরুশি ওয়াশরুমে যদিও প্রথমে যেতে চেয়েছিল কিন্তু আসাদ যেতে দেয়নি….

আরোশী যেই ওয়াশরুমে ঢুকলো আশাদ তখন দরজা বন্ধ করে দিল, ততক্ষণে আরুশির সমস্ত শরীর জলে ভিজে গেছে….
ওয়াশ রুমে ঢুকে আরুশির মনে পড়লো যে ও ড্রেস আনতে ভুলে গেছে , তাই ও আসাদকে হেল্প এর জন্য বললে বাইরে থেকে কোন সারা শব্দ পেল না ৷

আসাদ দরজা দিয়ে বেরিয়ে চলে গেছে, আর যাওয়ার সময় ওর মাকে বলে গেছে যে আরুশি অনেকক্ষণ আগেই বেরিয়ে গেছে তাই সে ক্ষেত্রে আসাদের মা ও আর আসাদের ঘরে গেলেন না একবারও ৷
আরে এদিকে দরজা খুলতে না পারায় আরুশিকে ওয়াশরূমেই থাকতে হচ্ছে, এভাবে অনেক্ষণ ধরে থাকলে যে জ্বর জ্বর কাশি হবে সেটা ও খুব ভাল করেই জানে, কিন্তু চেঁচালেও ওর গলার শব্দ কারো কান অবধি যাবে না সেটাও ও জানে ৷

অদ্ভুত প্রেমানুভূতি পর্ব ৮