অনুভবে তুই পর্ব ২৭

অনুভবে তুই পর্ব ২৭
লেখনীতে-ইসরাত জাহান ফারিয়া

মিমি বলল, ‘আদ্রি ভাইয়া অনেকক্ষণ তোমার সুন্দর পিঠের দিকে তাকিয়ে দেখছিল লোজাপ্পি।’
কথাটা শুনেই রোজার কান গরম হয়ে গেলো। শাড়িটা ভালোভাবে ঠিকঠাক করে রোষপূর্ণ দৃষ্টিতে আদ্রিশের দিকে তাকিয়ে বলল, ‘এত অধঃপতন হয়েছে আপনার? এজন্যই আমার পেছনে এসে বসেছেন তাইনা? যেন লুকিয়ে লুকিয়ে ছিহ্…’
আদ্রিশ ভাবেনি মিমি অকপটে কথাটা রোজাকে বলে দেবে। সে হতভম্ব হয়ে রোজাকে বোঝানোর চেষ্টা করলো সে কিছুই দেখেনি,

‘দেখো, আমি কিছুই দেখিনি। শুধু… ‘
রোজা ওকে থামিয়ে দিয়ে কড়া গলায় বলল, ‘বাচ্চারা কখনো মিথ্যা বলে না, আর মিমি তো না-ই। এত বয়স হয়েছে তাও আবার মিথ্যা বলছেন? জঘন্য লোক!’
আদ্রিশ রেগে গেল, ‘একবার বললাম তো আমি কিছু দেখি নি। তোমার পিঠে তিল আছে সেটাও দেখি নি। কোত্থাও তাকাইনি, কিচ্ছু দেখিনি।’
বলেই চুপ করে গেলো। এটা কি বলে ফেললো সে? ততক্ষণে রোজা বিস্ফোরিত দৃষ্টিতে ওকে গিলে ফেলবে এমন ভাব করে রাগে কটমট করতে লাগলো। কোন অশুভ সময়ে সে শাড়ি পরতে গিয়েছিল? যে এই লোকটা ছিহ্….! রাগে রোজার প্রায় কান্না পেয়ে গেল। একে মনে মনে ভালোবাসে সে? একে?

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

রোজার মা সুলতানা কিছু মুরুব্বী মহিলার সঙ্গে বিপরীত দিকের সারিতে বসেছিলেন। দূর থেকে রোজার নিষ্প্রাণ মুখ দেখে তিনি কিছু একটা আন্দাজ করে ওকে ডাক দিলেন সেখানে গিয়ে বসার জন্য। আর আদ্রিশের অর্ন্তভেদী দৃষ্টি থেকে আড়াল হওয়ার প্রয়াস নিয়ে রোজা যেখানে বসেছিল সেখান হতে ওঠে মায়ের পাশে গিয়ে বসে পড়লো। ওর বা-পাশের চেয়ারে এক মাঝবয়েসী মহিলার সঙ্গে সুলতানা ওকে পরিচয় করিয়ে দিলো। রোজা আলতো হেসে ভালোমন্দ জিজ্ঞেস করে মহিলার সঙ্গে গল্প করা শুরু করে দিলো।

মহিলাটি মিষ্টভাষী হওয়ার অল্প সময়েই রোজা আর ওর মায়ের সাথে ভালো সম্পর্ক তৈরি করে ফেললো। ওদের কথাবার্তা আর হাসাহাসির শব্দ আদ্রিশের কানে আসছিলো। নিজের জায়গায় বসে কপাল কুঁচকে শুধু তাকিয়ে তাকিয়ে দেখছিলো রোজাকে। স্টেজে নেহার সাথে ছবি তোলার জন্য আদ্রিশকে ডাকা হলে ও বারবার আড়চোখে রোজাকে দেখতে থাকে, ইশারা সূচক বার্তায় প্রকাশ করে নিজের চাওয়া। রোজা যেন ওর সাথে ছবি তুলে। কিন্তু দূর থেকে আদ্রিশের গাইগুই করে ইশারা দেওয়াটা রোজা দেখলেও ওর মর্মার্থ বুঝতে পারছিলো না। এত লোকের সামনে বেহায়ার মতো ইশারা দেওয়ায় তৎক্ষনাৎ রাগে জর্জরিত হয়ে কটমট করে তাকালো ওর পানে। রোজার চাহনিকে তোয়াক্কা না করেই আদ্রিশ নেহার পাশে বসে ওর কানে কানে ফিসফিস করে বলল, ‘তোর বোনটাকে ডাকতে পারিস না?’

নেহা কুটিল চোখে তাকালো। নিচু স্বরে বলল, ‘রোজাকে?’
‘তা নয়তো কে?’
‘আমি ভাবলাম ফিহাকে। যাইহোক, রোজাকে কেন ডাকবো? কোনো দরকার আছে তোমার?’
আদ্রিশ রাগী স্বরে বলল, ‘ছবি তুলতে ডা-ফা-র।’
নেহা আচানক এ কথা শুনে শুকনো মুখে বলল, ‘তো সেকথা আমায় বলছো কেন? তোমাদের দু’জনের মনোমালিন্য চলে সেখানে আমি কাবাব মে হাড্ডি হবো কেন? তোমার যদি ওর সাথে ছবি তুলতে ইচ্ছে করে তো ডাকো! আই ডোন্ট মাইন্ড। বাট, খালা কি ভাববে বোঝার চেষ্টা করো। খালা যেমন ভালোর ভালো, তেমনই খারাপের খারাপ। তোমার সঙ্গে রোজাকে এত নর্মাল দেখলে নির্ঘাৎ ওকে নিয়ে এখনি হরষপুর ফিরে যাবে।’

অগত্যা আদ্রিশ দিরুক্তি করলো না। রোজার মা বেশ চুপচাপ। ভীষণ কাজপাগল আর সাহায্যকারী মনোভাবের কারণে সবাই তাকে খুব পছন্দ করে। কিন্তু গম্ভীর ও কড়া স্বভাবের বলে উল্টোপাল্টা কোনো কাজ তার সামনে করে না। এতক্ষণে আদ্রিশ বুঝতে পারলো তার হবু শ্বাশুড়ি নেহাতই বোকাসোকা মানুষ নয়। আর তার এ স্বভাবের অংশীদার হয়েছে তার মেয়ে রোজা। আদ্রিশ ভ্রু’কুঁচকে একবার সুলতানার দিকে চেয়ে দেখতে পেলো তিনি শান্ত ভঙ্গিমায় রোজার শাড়ির পিন ঠিক করে দিচ্ছেন। এটা দেখে আদ্রিশ সঙ্গে সঙ্গেই চোখ ফিরিয়ে নিলো। পাছে না আবার রোজা ওকে দেখে নেয়, আর ভাবে আদ্রিশ খারাপ, ওর চাহনি খারাপ!

গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান শেষ হলো বেশ রাতে। সকল ফর্মালিটি শেষ করে সবাই খুব ক্লান্ত থাকায় যে যার মতো কাজ সেরে ঘরে গিয়ে শুয়ে পড়লো। কিন্তু উৎস আর তার বন্ধুদের ছিল অন্য পরিকল্পনা। তারা ঠিক করলো ছাদে বসে আড্ডা দিবে। যেহেতু আজ সব কাজিনরা একসাথে হয়েছে তাই মুহূর্তটা নষ্ট করা উচিৎ হবে না৷ সবার আগে আদ্রিশকে এই কথা জানানো হলো, প্রথমে রাজি না হলেও পরে রোজাকে চোখের সামনে দেখতে পাবে ভেবে অনুমতি দিয়ে দিলো। ছাদে সেইমতো আয়োজন সম্পন্ন করা হলো। তবে নেহা খুব ক্লান্ত থাকায় ও আড্ডায় যোগ দিতে পারলো না।

নিশিতার সঙ্গে ঘরে ফিরে ঘুমিয়ে পড়লো। রোজাকে ছাদের আড্ডায় থাকতে অনুরোধ করলো ইশা। কিন্তু আড্ডায় আদ্রিশও থাকবে জানতে পেরে ও ঘুমাতে যাওয়ার বাহানা খুঁজতে লাগলো। ফিহা খানিকক্ষণ চেঁচামেচি করে ওকে রাজি করালো। প্যান্ডেল যখন প্রায় খালি এবং সবার দেখাদেখি সিঁড়ি দিয়ে ছাদে ওঠার জন্য রোজা পা বাড়ালো তখনি পেছন থেকে হেঁচকা টানে ও থেমে গেলো। পেছনে ফিরে আদ্রিশকে দেখে অবাক কন্ঠে কিছু জিজ্ঞেস করতে গেলেই আদ্রিশ ওর হাত ধরে টান দিয়ে জনশূন্য লনে নিয়ে এলো।

চারদিকে সাঁঝক বাতির সাদাটে আলোয় ফুলের গাছগুলো চকচক করছিলো। হিমেল হাওয়ায় বেশ জোরে বইতেই বোঝা যাচ্ছিলো একটু পরেই ঝুপ করে বৃষ্টি নামবে। চারপাশ ফুলগন্ধি হাওয়ায় মেতে ওঠে একটা ঘোর সৃষ্টি করছিল। রোজা কয়েক মুহূর্তের এ কান্ডে কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে আদ্রিশের মুখের দিকে তাকিয়ে ছিলো। ক্লান্ত, অবসন্ন আদ্রিশের পাঞ্জাবি থেকে আসছিলো পারফিউমের মৃদু সুগন্ধ। ফর্সা মুখখানা রক্তিম আভা ছড়াচ্ছিলো। একহাতে রোজার কোমড় জড়িয়ে ধরে অন্যহাতে নিজের চুলগুলোতে আঙুল চালিয়ে ঠিকঠাক করে দাঁড়ালো আদ্রিশ। রোজা যে ওর পাশে আছে সেদিকে যেন ভ্রুক্ষেপই করলো না এমন একটা ভাব নিয়ে সামনে তাকিয়ে বলল, ‘নে। এবার তোল।’

রোজার ধ্যান ভাঙতেই ও সামনে তাকালো। ইমাদকে দেখে আপনাআপনি ওর ভ্রু-কুঁচকে গেল। পারিপার্শ্বিক অবস্থা অবলোকন করে কোমড় থেকে আদ্রিশের হাত সরানোর জন্য ছটফট করতে লাগলো। আদ্রিশ আরো শক্ত করে চেপে ধরলো। রোজা রাগমিশ্রিত স্বরে বলল, ‘এসব কি অভ্যতামি করছেন? ছাড়ুন প্লিজ…’
আদ্রিশ সামনে তাকিয়ে থেকেই বলল, ‘ওই ইমাদ। তোকে না বললাম ছবি তুলতে৷ এতক্ষণ লাগে? জানিস না এই অভদ্র পাখিটা খাঁচায় থাকতে চায় না। ছটফট করে জ্বালিয়ে মারে?’

ইমাদ অসহায় চোখে আদ্রিশের ফোনটা ওর দিকে বাড়িয়ে দিয়ে বলল, ‘ভাই, একটা ছবিই তুলছি। কিন্তু রোজা না মানে ভাবি যেমনে নাচানাচি করতেছে ছবিটা ঠিকঠাক উঠেই নাই। আমি কি ক্যামেরা দিয়ে তুইলা দিব?’
আদ্রিশ পাত্তা না দিয়ে বলল, ‘আমার ফোনেই তোল। যারতার ক্যামেরায় আমি ছবি তুলি না।’
রোজা রাগী স্বরেই বলল, ‘তা তুলবেন কেন? নিজের ফোনে ছবি তুলে পরবর্তীতে যাতে আমাকে ব্ল্যাকমেইল করতে পারেন সেটাই তো চান আপনি।’

রোজার কথা শুনে আদ্রিশ বাঁকা হাসলো। আরো একটু সরে ওর কোমড় চেপে নিচু স্বরে বলল, ‘ভালো কথা মনে করালে তো। এই বিষয়টা ভেবেই দেখিনি।’
‘ভাবতে হবে না। আপনি আমাকে যেতে দিন প্লিজ। কেউ দেখলে আপনাকে নয়, আমাকেই বাজে মেয়েলোক ভাববে।’
রোজা নিজেকে ছাড়াতে না পেরে আদ্রিশের হাতে নখ বসিয়ে দিলো। ব্যথায় অস্ফুট শব্দ করে আদ্রিশ হুমকি দেওয়া গলায় বলল, ‘খোঁচাখুঁচি বন্ধ না করলে এই ইমাদের সামনেই চুমু খেয়ে বসবো। ভালো হবে যদি চুপচাপ দাঁড়িয়ে আমার সাথে ছবি তুলো।’

রোজা বিরক্তি নিয়ে বলল, ‘আপনার সাথে ছবি তোমার বিন্দুমাত্র শখ নেই আমার। আর আমি আপনার হুমকিকে ভয় পাই না। ইমাদ ভাইয়ার সামনে আমার সাথে এভাবে চিপকে থাকতে লজ্জা লাগছে না? মানইজ্জত খোয়াতে না চাইলে ছাড়ুন আমাকে।’
আদ্রিশ ব্যগ্র কন্ঠে বলল, ‘মানসম্মানের পরোয়া আমি করি না। একচুয়ালি আদ্রিশ তার নিজের জিনিস কারো সাথে ভাগ করতে পছন্দ করে না। আর তুমি নামক মানবীটা হলে আমার অতি প্রিয় জিনিসপত্রের মধ্যে অন্যতম। সেটাতে কীভাবে কাউকে ভাগ বসাতে দেই? তুমি হলে তুমি, মরিচ আর তার ঝাঁঝের মতো। নিজে তো জ্বলো-ই সাথে আশেপাশের সবাইকে জ্বালিয়ে মারো! তোমার সাথে ছবি তো তুলবোই, নাও গেট রেডি….’

ওদের কথোপকথনের সব বার্তা ইমাদ অসহায়ের মতো শুনে যাচ্ছে আর নিজের একটা গার্লফ্রেন্ড নেই বলে আফসোস করছে। খানিকটা রাগও হচ্ছে। মুখটা কালো করে ঝগড়ারত অবস্থায়ই আদ্রিশ-রোজার কয়েকটা ছবি তুলে উৎসের ডাক শুনে মানে মানে করে কেটে পড়লো।

তখন গভীর রাত। মেঘে ডুবে গেছে উজ্জ্বল চাঁদ। ফুটিফুটি তারকারাজিতে ঘিরে থাকা আকাশটা মোহনীয় লাগছে। কালচে মায়াবী আঁধারে চারপাশের নীরবতা বেশ অস্বস্তিতে ফেলে দিচ্ছিলো রোজাকে। এতক্ষণ ইমাদ থাকায় একটু সাহস দেখালেও ইমাদ চলে যাওয়ার পরে রোজা কি করবে বুঝতে পারলো না। আদ্রিশের হাত থেকে নিজেকে ছাড়িয়ে সামনের দিকে পা বাড়ালো। পরক্ষনেই শাড়ির আঁচলে টান পড়তেই চোখদুটো বন্ধ করে নিজের রাগ সামলে জিজ্ঞাসা সূচক কন্ঠে বলল, ‘কী বলতে চান বলে ফেলুন! আমার ঘুম পেয়েছে, যেতে হবে।’

আদ্রিশ দু-পা এগিয়ে ঠিক ওর পেছনে দাঁড়িয়ে শান্ত গলায় বলল, ‘একটুখানি নয়, অনেকখানিই ভালোবাসি।’
কথাটা ব্যক্ত করেই শাড়ির আঁচলটা ছেড়ে গটগটিয়ে হেঁটে ছাদের সিঁড়ির দিকে পা বাড়ালো আদ্রিশ। পেছনে থম মেরে দাঁড়িয়ে থাকা রোজা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বাড়ির ভেতর পা বাড়ালো। ছাদের আড্ডায় গেলো না। ও বসে থাকতে পারবে না লোকটার সামনে, অস্বস্তিতে মিইয়ে যাবে। কিন্তু রোজাকে তো ওভাবে মানায় না।

চোখদুটোও ভীষণ জ্বলছে। রোজা একহাতে চোখের কিনারে জমা পানিটুকু মুছতে মুছতে চলে এলো ভেতরে। লিভিংরুমটা ভীষণ অন্ধকার। ল্যাম্পশেডের নীল আলোয় শান্তিপূর্ণ একটা ভাব সারা ঘরময় দ্যুতি ছড়াচ্ছে! সাবধানে শাড়ি সামলিয়ে নেহার ঘরে চলে এলো। রুমটা খালি। ইশা-ফিহা ছাদে আর নেহা নিশিতার ঘরে থাকবে আজ। রোজা ঘরের দরজা আটকে আলো নিভিয়ে বিছানায় খানিকক্ষণ বসে রইলো। একটু আগে আদ্রিশের বলা কথাটা ভাবছে। আদ্রিশ ওকে প্রপোজ করেছে, তাও এইভাবে! হয়তো ভালোবাসা ঠিকই তার পথ খুঁজে নেয়। কারো না কারো মনে আশ্রয় নেয়।

রোজার মা সুলতানার চোখে ঘুম আসছে না। তিনি বারান্দায় বসে প্রকৃতির দর্শন করছিলেন এতক্ষণ। এখান থেকে নিচের সজ্জিত লনের পুরো অংশটাই দেখা যায়। কিন্তু মানবশূন্য লনে নিজের একমাত্র মেয়েকে আদ্রিশের সাথে এভাবে দেখে তিনি স্তম্ভিত! সেইসাথে খুব রাগলেন। তিনি কখনোই মেয়েকে এই শিক্ষা দেন নি যে, বিবাহবহির্ভূত কোনো সম্পর্কে তার মেয়ে আবদ্ধ থাকবে, রাত-বিরেতে লোকচক্ষুর আড়ালে অবিবাহিত দু’জন ছেলে-মেয়ে এভাবে দেখাসাক্ষাৎ করবে।

অনুভবে তুই পর্ব ২৬

কিন্তু রোজাকে এভাবে দেখে সুলতানা মানসিকভাবে আহত হয়েছেন। তার শিক্ষায় তো কোনো ভুল ছিল না? গ্রামে থাকতে রোজা তো এমন ছিল না, তাহলে শহরে এসে তার মেয়ে এমন পালটে গেল কেন? এর জন্য তো নিশিতার সংসারে ফাটল ধরবে, এটা কী রোজা জানে না? সুলতানা চিন্তায় মগ্ন হয়ে পুরো রাত নির্ঘুম কাটালেন। নিজের স্বামী ছাড়া এ বিষয়ে কার সাথে আলোচনা করবেন তা ভেবে পেলেন না। অগত্যা আজিজুর সাহেবকেই তিনি সব জানাবেন বলে ঠিক করলেন! সেইসাথে রোজার ওপর বেজায় চটলেনও।

অনুভবে তুই পর্ব ২৮