অবশেষে তোমাকে পাওয়া পর্ব ১৮
লেখিকা:- তারা ইসলাম
আমার দিকে রাগি চোখে তাকিয়ে আছেন রুদ্র।ভয়ে আমি থরথর করে কাঁপছি।আমি যতই সাহস দেখায় না কেন এই মানুষটার সামনে আমি ভেজা বেড়াল হয়ে যায়।
“আমি তখন ইটের সাথে পা বেজে পরে যেতে নিলে রুদ্র আমাকে ধরে ফেলেন।আর যখন আমি উনার দিকে তাকালাম তখন উনি চমকে উঠলেন!সাথে আমিও চমকে উঠলাম।মনে মনে ভাবলাম- উনি এখানে কি করছেন?
“রুদ্র হতভম্ব হয়ে যায় নূরকে এখানে দেখে।সে আমানকে খুঁজতে এদিক টায় এসেছিলো!কারণ আমানকে ফোনে পাওয়া যাচ্ছিলো না।কিন্তু হুট করে গায়ে কিছু পরতেই সে চমকে উঠে তার চাইতেও বেশি চমকে যায় নূরকে এখানে দেখে।সে মনে মনে ভাবলো- হয়তো নূরকে নিয়ে সে বেশি ভাবছে তাই হয়তো তার মনে ভুল।কিন্তু যখন ভালো ভাবে নূরকে স্কেন করে নিলো তখন সে সিউর যে এটাই নূর।তার মনের ভুল না।
আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন
“উনি আমার দিকে এক-মানে তাকিয়ে আছেন।আর এদিকে ভয়ে আমি পিছুপা হলাম কি করবো ভেবে না করবো ভেবে পাচ্ছিলাম না।তবে উনি কিছু বলার আগেই আমি সজোরে দৌড় লাগালাম।কারণ এখন আমি উনার হাতে পরতে চাইনা কোনো ভাবেই না।আমি দূর্বল হয়ে পরবো আমি আবার উনার প্রতি আসক্ত হয়ে পরবো যা আমি চাইনা।উনার কাছে আমি কখনোই ফিরতে চাইনা।সব-সময় উনি অবহেলা,অপমান করেন যা আমি আর নিতে পারছি না।
“নূরের কাজে রুদ্র হতবাক হয়ে গেলো যখন বুঝলো নূর পালানোর চেষ্টা করছে তখন সেও নূর দাড়াও বলে নূরের পিছনে দৌড় দিলো।
“নূর আগে আগে দৌড়াচ্ছে আর থেকে খানিক’টা পিছনে রুদ্র দৌড়াচ্ছে আর ওকে চিল্লিয়ে চিল্লিয়ে বলছে- নূর দাড়াও বলছি নাহলে হাতের কাছে পেলে একদম খু*ন করে ফে’লবো।
“নূর রুদ্রর কথায় কান না দিয়ে প্রা’ণপ’ণে দৌড়াচ্ছে কোনো ভাবেই রুদ্রর হাতে আজকে পরা যাবে না।
“কিন্তু রুদ্র এক-সময় নূরকে ধরে ফেলে তারপর সেখানে থাকা একটা দেয়ালের সাথে তাকে আটকে পেলে।
“রুদ্র রাগি চোখে তাকিয়ে আছেন আমার দিকে আর আমি ভয়ে কাঁপছি।
“উনি রেগে আমার গাল শক্ত করে চেপে ধরে বললেন- নূর আই কি’ল ই’উ।তুমি এখানে কি করছো?তুমি জানো বাড়ির সবাই আমি কত টেনশনে ছিলাম তোমার খুঁজ না পাওয়ায়?একদম শে’ষ করে দি?
“আমি গালে ব্যথা পাওয়ায় কিছু বলতে পারলাম না তবে উনার হাত ছাড়ানোর চেষ্টা করলাম।
“উনি আরও চিল্লিয়ে বললেন- কথা বলছিস না কেন তুই?
“আমি এবার ব্যথায় চিল্লিয়ে উঠে বললাম- ব্যথা লাগছে ছাড়ুন আমায়।
“তবে উনি ছাড়লেন না বরং আরও শক্ত করে চেপে ধরলেন।
“আমি এবার ব্যথা সহ্য করতে না পেরে চিল্লিয়ে উঠলাম।আমার অবস্থা খারাপ দেখে উনি ছেড়ে দিলেন।
“এবার আমি নিজের রাগ আর সামলাতে না পেরে উনার কলার ধরে বললাম- কে আপনি?কিসের এত অধিকার দেখাচ্ছেন?আমি এখানে কেন আসলাম সেটা একান্ত আমার ব্যাপার।আর আপনি যেমন কিছু জিনিস নিজ একান্ত রাখতে পছন্দকরেন!তেমন আমি ও করি।আর আমাকে নিয়ে এত টেনশন করার কি আছে?বা*চ্চা নই আমি।
“আমার কথায় উনি তাজ্জব বনে গেলেন তারপরও ভ্রু কুঁচকে বললেন- নূর তুমি ঠিক আছো?তুমি জানো মারিয়া যখন বললো তোমাকে খুঁজ পাওয়া যাচ্ছে না! তখন আমার কি অবস্থা হয়েছিলো?মনে হয়েছিলো আমার শ্বাস বন্ধ হয়ে যাবে।আর অধিকার মানে তোমার ওপর আমার চাইতে আর কার বেশি অধিকার আছে বউ তুমি আমার।আর এখানে কি করছো তুমি?তারপর উনি আমাকে ভালো ভেবে দেখে রেগে বললেন- এসব জামা পরার মানে কি?আমি মানা করেছিলাম না?
“আমি তেজি গলায় বললাম- আমি ভীষণ ভালো আছি।আমাকে খুঁজে না পেলে আপনার কেন শ্বাস বন্ধ হয়ে যাবে মির্জা সাহেব?আমি এমন কেউ নই আপনার।আমাকে শুধু আপনার বিছানাতেই প্রয়োজন পরে এছাড়া আমার কোনো কথার মূল্য কিংবা প্রয়োজন তো নেই আপনার।আমি কথাটা শেষ করতেই একটা শক্ত হাতের চ*ড় এসে পরলো আমার গালে আমি ব্যথায় কুকড়ে উঠলাম।
“উনি রেগে আমার এক হাত পিছনে মুচড়ে ধরে বললেন- নূর যথেষ্ট বলেছো!আর না আমি কিন্তু একদম খু*ন করে ফে’লবো তোমাকে!ভালোবাসি আমি তোমাকে।
“উনার কথা শুনে আমার আরও রাগ বৃদ্ধি পেলো তাই রাগ নিয়ে বললাম- শুধু পারবেন আঘাত করতে!ছাড়ুন আমায়”আমি নামমাত্র আপনার বউ এছাড়া কিছু না।
আর আপনার সো”কোল্ড ভালোবাসা আমার প্রয়োজন নেই।কখনো সম্মান দিয়ে পর্যন্ত কথা বলেন’নি।আমার ভালো লাগা খারাপ কখনো পাত্তা দেন’নি।আমার জীবন আমি যেভাবে ইচ্ছা সেভাবে চলবো। যেমন ইচ্ছা তেমন কাপড় পরবো সেখানে আপনি বলার কেউ ন’ন।আর রইলো নামমাত্র বিয়েটা তাহলে শুনে রাখুন আমি আপনাকে ডিভোর্স দিয়ে দিবো ঠিক আছে।
“আমার কথা শুনে উনি আমার হাত ছেড়ে দিলেন তারপর অবাক হয়ে তাকিয়ে বললেন- নূর কি হয়েছে তোমার?এমন বিহেভ করছো কেন?আমাকে বলো কি হয়েছে?আর আমার ভালোবাসাকে তুমি কিন্তু অপমান করছো।
“আমি এবার নিজেকে শান্ত করে স্বাভাবিক গলায় বললাম- বললাম না আমি ঠিক আছি!তবে ওইদিন বলেছিলাম না আপনি আর আমাকে পাবেন না।ওটা কিন্তু আমি মজা করে বলি’নি আই এম সিরিয়াস মিস্টার রুদ্র মির্জা।আর ভালোবাসা থাকলেই তো অপমান করবো বলেই তাচ্ছিল্য হাসলাম।
“উনি আমার কথা শুনে থমকে গেলেন তবু নিজেকে সামলিয়ে বললেন- কি বলতে চাও তুমি?
“আমি শান্ত গলায় বললাম- আমি কিছু বলতে চাই’না শুধু মু’ক্তি চাই আপনার থেকে।
“আমার কথা শুনে উনি আমার দিকে শান্ত চোখে তাকালেন তারপর বললেন- যাও দিয়ে দিলাম মুক্তি!তুমি না তখন আমার ভালোবাসা বুঝেছিলে না এখন।আসলে কি জানো তুমি কখনো আমার ভালোবাসার যোগ্য ছিলে না মিস নূর জামান।আজ থেকে তুমি তোমার রাস্তায় আর আমি আমার রাস্তায়।এখন থেকে আমাদের পথ আলাদা।ভালো থেকো বলেই উনি সেখান থেকে চলে গেলেন।
“উনার যাওয়ার দিকে আমি একমনে তাকিয়ে আছি কান্না করা প্রয়োজন কিন্তু হৃদয় যে আমার অনেক আগেই পাথর হয়ে গেছে তাই’তো কান্নাটাও আসছে না।উনি এবারো আমার মনের কথা”কষ্ট”ব্যথা”কিছু বুঝেন’নি কত সহজেই সম্পর্কটা শেষ করে দিয়ে চলে গেলেন।উনার প্রতি অভিমান না কমলো না বরং পাল্লা দিয়ে আরও বেড়ে গেলো এই জীবনে আর আমি উনার কাছে ফিরবো না।ভেবেই চোখ বন্ধ করে জোরে জোরে শ্বাস নিলাম।আর বেরিয়ে পরলাম নিজের উদ্দেশ্য!এখন থেকে আমি সত্যিকারে একা একদম একা।
হোটেলের রুমে এসেই রুদ্র তার ফোন বিছানায় ছুড়ে ফেললো।রাগে যেন তার সারা-শরীর কাঁপছে।সে দ্রুত রাগ কমানোর জন্য ওয়াশ-রুমের ডুকে ঝর্ণা ছেড়ে দিলো।আর চোখ বন্ধ করে কিছুক্ষণ আগের সব ঘটনা ভাবতে লাগলো সে নিজ মনে বলতে লাগলো- নূর তুমি যা করেছো একদম ঠিক করনি।তুমি আমার ভালোবাসাকে ছোট করেছো।আমার কথার অবাধ্যতা করেছো।আমারি ভুল ছিলো তোমার প্রতি দূর্বল হয়ে পরা।রুদ্র জোরে জোরে শ্বাস নিয়ে নিজের রাগ কন্ট্রোল করার চেষ্টা করলো না-হলে সে কোনো অ’ঘটন ঘটি’য়ে পে’লবে।সে আবারও নিজ মনে মনে বলতো লাগলো- আমি তোমাকে কখনো ক্ষমা করবো না নূর।তুমিহীন জীবন আমার জন্য বি*ষাক্ত*ময় তবুও এই জীবন আমার কবুল।তুমি জানো না কত-বড় ভুল করেছো রুদ্র কখনো ফেলে আসা জিনিসের দিকে দ্বিতীয় বার ফিরে তাকায় না।
“রুদ্রর হুট করে মনে পরলো নূর এখানে কি করছে?
সে-তো জানে না আমি এখানে আসবো!আর সে আমার জন্য এলেওবা এমন বিহেভ করলো কেন?আর আমার যতটুক জানা আছে এখানে তার কোনো রিলেটিভ নেই।তাহলে কি নূর সেদিন কিছু বলতে চেয়েছিলো?সে না শুনে কি ভুল করলো?নাকি এর মধ্যে কোনো রহস্য লুকিয়ে আছে এসব ভাবতেই রুদ্রর আবার মনে পরে গেলো নূরের সে বি*ষা*ক্ত কথা গুলা।তাই সে কথা গুলা আর না ভেবে গোসলে মন দিলো।
“রুদ্র ফ্রেশ হয়ে বের হলো আর দ্রুত তার পরিবারকে কল করে জানালো নূর ঠিক আছে আর তার সাথেই আছে তারা যেন চিন্তা না করে।মিথ্যা বলেছে না হলে আরও জামেলা হতো এতে সে কেস’টা মন দিয়ে সমাধান করতে পারতো না।তার মায়ের সাথে কথা বলে সে আমানকে ফোন দিয়ে জানালো সে অন্য ভাবে অন্য উপায়ে কেস’টা সমাধান করতে চাই।
“রুদ্র ফোন রেখে আয়নায় নিজেকে একবার দেখে নিলো আর নূরের কথা মাথা থেকে ঝেড়ে পেলে কেসের কথা ভাবতে লাগলো।তবুও যেন সে পারছে না হটাৎ তার পাথরের নায় হৃদয় ক্ষ’তবি’ক্ষত হলো যে হৃদয় বার বার নূরকে চাই।রুদ্র আবারো নিজেকে সামলে নিলো সে নূরকে ভালোবাসে আর বেসে যাবে কিন্তু সে তার ভালোবাসা নিয়ে কখনো নূরের কাছে যাবে না কারণ নূর তার ভালোবাসাকে অপমান করেছে।
~ লেয়ান নূর কোথায়…?
“রেহেলা খানের প্রশ্ন শুনে খবরের কাগজ থেকে চোখ তুলে উনার দিকে তাকালেন লেয়ান জামান!আর হালকা গম্ভীর গলায় বললেন- তাতে তোমার কি?সে ম*র’লো কি’না বাঁ’চ’লো তা তো তোমার জানার দরকার নেই।
“রেহেলা খান হালকা স্বরে বললেন- আমি মেয়েটাকে ভালোবাসি না ঠিক।কিন্তু তাকে আমি লালন-পালন করেছি সে কোথায় আছে তা জানার অধিকার আমার আছে।
“লেয়ান জামান রেগে উঠে দাঁড়িয়ে বললেন- না নেই সে অধিকার সেদিন তুমি হারিয়েছো!আর ও যেখানে আছে ভালো আছে।
“রেহেলা খান চিল্লিয়ে বললেন- ওকে আমি মানুষ করেছি লেয়ান।
“লেয়ান জামান তাচ্ছিল্য হেসে বললেন- আ..হা তোমার মানুষ করা”লিয়ন হওয়ার পর থেকে কি তুমি ওকে কখনো মায়ের আদর দিয়েছো?যখন নিজের সন্তান ছিলো না তখন ওকে কত ভালোবাসতে।আর যখন লিয়ন হলো তখন থেকে মেয়েটা আমার,মায়ের আদর পাই’নি।শায়লা আপা বিশ্বাস করেই উনার মেয়েকে আমার হাতে তুলে দিয়েছেন।তুমি যে ওর জন্য মাঝে মাঝে কাঁদো এই জন্যই তাই’না কারণ তুমি ওকে লালন-পালন করেছো?আর কি জানো তুমি ওকে ভালোবাসো ঠিকি”কিন্তু ও শায়লা আপার মেয়ে বলেই তুমি সেটা মানতে চাও’না বলেই উনি রেগে উনার রুমে চলে গেলেন।
“রেহেলা খান উনার যাওয়ার দিকে তাকিয়ে মনে মনে বললেন- আমি তো নূরকে ভালোবাসতে চেয়েছিলাম।কিন্তু ওর শরীরে যে দু*শ্চরিএ*দের র*ক্ত বয়েছে।উনি সেসব ভেবে দীর্ঘশ্বাস ফেলে নিজের কাজে মন দিলেন।
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমি সে ভাড়া নেওয়া রুমে বিছানার এক-পাশে এলোমেলো হয়ে শুয়ে আছি আর মনে মনে ভাবছি- আজকে কি থেকে কি হয়ে গেলো!হয়তো রুদ্রকে বেশি বলে ফেলেছি কিন্তু এই ছাড়া উপায় ছিলো না।এমনটা না করলে আপনি সব জানতে পেরে যেতেন।আর আপনার সেদিনের ব্যবহার আমি কোনো ভাবেই ভুলতে পারছি না!আর না পারছি আপনাকে ক্ষমা করতে।আগে আপনাকে সব বলতে চাইলেও এখন আমি গভীর ভাবে ভেবে দেখেছি”আম্মু আপনাদের চোখে অপ’রা’ধী তাই উনাকে আপনারা কখনো ক্ষমা করবেন না সাথে আমাকেও!আমি আপনাকে ভালোবাসতাম আর বাসি।
“তারপর হটাৎ মাথায় এলো রুদ্র এখানে কি করছে!সে যদি আমার জন্য এখানে আসতো তাহলে নিশ্চয় অবাক হতো না।তাহলে কি সে অন্য কোনো কাজে এসেছে আমি শুয়া থেকে উঠে বসে মাথা চেপে ধরলাম সব কেমন জানি ধোঁয়াশা হয়ে যাচ্ছে।
“আজ ৩-৪ দিন চলে গেলেও আম্মুকে খুঁজে পেলাম না।আচ্ছা আম্মু কি কোনো ছদ্দবেশ নামে এখানে থাকছেন।হবে হয়তো আমাকে অন্য রাস্তা বের করতে হবে যত দ্রুত পারি তত দ্রুত খুঁজে বের করতে হব ভেবেই আমি চোখ বন্ধ করে নিলাম।চোখ বন্ধ করার সাথে সাথেই রুদ্রর চেহেরা ভেসে উঠলো আর মনে মনে বললাম- আপনার সাথে আমি বিচ্ছেদ চাই’না রুদ্র।আমি আপনাকে ভালোবাসি আপনি প্লিজ আমাকে ছেড়ে যাবেন না এসব ভেবেই ক্লান্ত শরীর নিয়ে ঘুমিয়ে পরলাম।
ওওওও ম্যাডাম আপনার লাগি এক্কান খারাপ খবর আছে।
“শায়লা খাতুন বিছানায় বসে পা’ন খাচ্ছিলেন রাসেলের কথায় উনি পা’ন খেতে খেতে বললেন- কি খবর তাড়াতাড়ি বল?
“রাসেল আমতা আমতা করে বললো- ম্যাডাম আপনের মাইয়ারে এই এলাহাতে দেখছি।
“রাসেলের কথা শুনে শায়লা খাতুন পা’ন চিবানো থামিয়ে অবাক হয়ে বললেন- মানে?
“রাসেল এবার বললো- আমি বিহালে(বিকালে)নাস্তা আনিতে গেছিলাম না তহন চায়ের দোহানে(দোকানে)আপনের মাইয়া ফায়জা মানে নূররে দেখছি।তারে দেইক্কা(দেখে)মুই(আমি)তো অবাক তাই তাই হের পিছন লাগছিলাম।হে দেহি হারে জিজ্ঞাইতেছে শায়লা খাতুনের বাসা কোন দিক দিয়া?
“রাসেলের কথা শুনে শায়লা খাতুন বিছানা থেকে নেমে পরেন তারপর থমকে যাওয়া গলায় বললেন- তুই সত্যি বলছিস?এটা কিভাবে হয় সে তো আমাকে চিনেও না
“রাসেল বললো- ক’স’ম ম্যাডাম হাছা কইতাছি।
“রাসেলের কথা শুনে শায়লা খাতুন মনে মনে ভাবলেন- ভাইজান কি ফায়জারে সব বলে দিয়েছেন?তাই সে আমাকে খুঁজতে এসেছে?ভাবতেই উনার চোখ খুশিতে চিকচিক করে উঠলো।তাই শায়লা খাতুন খুশি মনে রাসেলকে বললেন- ফায়জা মানে নূর এখানে কোথায় থাকে খুঁজ লাগা!আর খুঁজে পেলে কৌশলে আমার কাছে নিয়ে আসবি আমার মেয়ে’কে।
“রাসেল দাঁত খেলিয়ে বেরিয়ে যেতে যেতে বললো- আইচ্ছা ঠিক আছে ম্যাডাম!আমি খুঁজ লাগাইতেছি….
অবশেষে তোমাকে পাওয়া পর্ব ১৭
(ভুল ক্রুটি ক্ষমা করবেন।ভুল গুলা ধরিয়ে দিবেন)
(আজকের পর্বটা পড়ে কেউ রাগ করবেন না প্লিজ।
আর সব অতীত আমি খোলাসা করবো।তবে তার আগে একটু ধৈর্য্য ধরে পড়ে যান।হয়তো আরও নতুন নতুন ক্যারেক্টার এড হতে পারে গল্পে।যদি বিরক্তবোধ করেন তার জন্য দুঃখিত আমি।এখন থেকে গল্পের আরও নতুন নতুন মোড় নিবে।আমি গল্পটা সুন্দর ভাবে গুছিয়ে বড় করতে চাই।আরও একবার বলছি গল্পটা আপনাদের ভালো না লাগলে দুঃখিত আমি।আর হ্যা সবাইকে অনেক অনেক ভালোবাসা)
Next part ta aktu taratari den plz..???
Porer part gulo diccen na k9
Porer part gulo den,,,,plzzzzzzzzzz