অবশেষে তোমাকে পাওয়া পর্ব ২০

অবশেষে তোমাকে পাওয়া পর্ব ২০
লেখিকা:- তারা ইসলাম

রানা আজকে যে নূরের সাথে ছেলেটা ছিলো সেটাই কি আহনাফ সওদাগর।যে নূর’কে বার বার বিরক্ত করে?
“রানা বললো- জ্বী স্যার আজকে যে ছেলেটার সাথে ভাবি আই-সক্রিম খাচ্ছিলো সেটাই আহনাফ সওদাগর।
ওদের বাড়িতেই ভাবি ভাড়াটে হিসেবে থাকছেন।
“রুদ্র চোখ-মুখ শক্ত করে বললো- ঠিক আছে!তুই সব-সময় নূরকে চোখে চোখে রাখিস।আর ওই ছেলেটার উপর ও নজর রাখিস।যদি উল্টা-পাল্টা কিছু করে তু’লে আ’নবি”একদম ঠু*কে দি’বো।
“রানা বললো- ঠিক আছে স্যার আমি সব-সময় ভাবি আর ওই ছেলেটার উপর নজর রাখবো।

“রুদ্র ফোন কেটে বাঁকা হাসলো কারণ- যেদিন প্রথম নূরকে এখানে দেখে সে অবাক হয়েছিলো যাকে বলে সীমাহীন অবাক।কিন্তু নূরের বলা প্রতিটা কথা থাকে ক্ষ*তববিক্ষ*ত করেছিলো।কিন্তু সেদিন নূর’কে মু*ক্তি দিয়ে এলেও পরে অনেক ভেবে চিনতে দেখলো তারই বেশি দো’ষ ছিলো।কিন্তু সেটা স্বীকার করার মতো সে নই।কারণ তার আত্নসম্মানে লাগে তাই’তো সেদিনের পর থেকে নূরের পিছনে রানাকে নজর রাখতে দিয়েছিলো।রানা তার দে’হর’ক্ষী কিন্তু তার থেকে বেশি ভাইয়ের মতো।
“কিন্তু তখন সে আমান কে কিছু বলে’নি কারণ সে কিছু কথা একান্ত রাখতে পছন্দ করে।সে আমানের কাছ থেকে অনেক কিছুই আড়াল করেছে।আমান যদি জানতে পারতো সে নূরের উপর নজর রাখছে কিংবা নূর এখানে কোথায় থাকে?কেন এসেছে?তাহলে তা নিয়ে টিজ করতো+জামেলাও হতো।যা রুদ্রর এক্কিবারে পছন্দ হতো না।কারণ রুদ্রর চরিএর সাথে সেটা যায় ও না।রুদ্র চোখ বন্ধ করে মনে মনে বলতে লাগলো- আমার তোমাকেই প্রয়োজন নূর!আমি জানি আমার উপর তুমি অভিমান করে আছো!কিন্তু বিশ্বাস করো সব অভিমান আমি সঠিক সময়ে ভে*ঙ্গে দিবো।তুমি হয়তো কখনো বুঝ’নি আমার ভালোবাসা!আমিই সঠিক ভাবে প্রকাশ করতে পারি’নি!আমি এমনই নূর আমি এমনই। রুদ্র চোখ খুললো দ্রুত তার এখন বের হতে হবে রাসেলের ব্যাপারে আমান’রা কি যেন একটা খবর পেয়েছে।রুদ্র নিজেকে স্বাভাবিক করে বেরিয়ে পরলো হোটেল থেকে।

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

সন্ধ্যা হয়েছে”তবে এখনো আমি আম্মুর কোনো খুঁজ পাই’নি তাই অল্প নাস্তা করে সওদাগর বাড়িতে ফিরছিলাম।সে বাসার গলিতে আসতেই একটা গাড়ি আমার সামনে এসে দাঁড়ালো”আমি গাড়িটাকে পাশ কাটিয়ে চলে যেতে নিলেই চার জন ছেলে সেখান থেকে বের হয়ে আসলো!এভাবে ওদের বের হতে দেখে আমার আত্না কেঁপে উঠলো”মনে মনে ভ*য় খানা দিলো।তারা আমার দিকে অদ্ভুত ভাবে তাকিয়ে আছে যেন আমাকে আগে থেকে চচেনে?তবে হুট করে সেখান থেকে একটা ছেলে আমার হাত ধরে ফে’ললো!যে ভয়’টা আমি পেয়েছিলাম সেটাই হলো আমি চিল্লাতে যাবো তার আগেই একটা রু’মাল দিয়ে আমার মুখ চেপে ধরলো”আর তার কিছুক্ষণ পরেই আমি লু’টি’য়ে পরলাম”তারপর কি হয়েছে তা আমার জানা নেই।

~~ রুদ্র আমানের সাথে যে জায়গায় আছে সেখানে আগে রাসেল থাকতো”কিন্তু আপাতত সে এখানে থাকছে না রুদ্র বললো- শীট কু******** এখানেও নেই!আমান আরও ভালো ভাবে খুঁজ লাগা তাকে আমার ভীষণ দরকার মানে ভীষণ দরকার।
“আমান কিছু বলতে যাবে তার আগেই রুদ্রর ফোনে কল আসলো”রুদ্র ফোন হাতে নিয়ে দেখলো রানা কল করেছে”সে আমানকে আসছি বলে তার থেকে একটু দূরে এসে কল রিসিভ করতেই রানা কান্না জড়িত গলায় বললো- স্যার ভাবিকে কেউ তুলে নিয়ে গেছে”চার-জন ছেলে ছিলো আমি এখন তাদের পিছনে আছি আমি আপনাকে লোকেশন বলছি প্লিজ তাড়াতাড়ি চলে আসুন!আমি একা কিছু করতে পারবো না বলেই সন্ধ্যার সব ঘটনা রুদ্রকে খুলে বললো।
“রুদ্র সব শুনে হতভম্ব হয়ে গেলো তবে সে রানাকে বললো- তুই ওদের পিছনে থাকিস আমি এক্ষুণি আসছি বলেই ফোন কেটে আমানকে কিছু না বলেই গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে পরলো রানার দেওয়া লোকেশনে।
~~ রুদ্র গাড়ি’টা জোরেই চালাচ্ছে”তার মাথা কাজ করছে না তার মাথায় ঘুরছে শুধু নূর ঠিক আছে তো?রুদ্র ঘেমে একাকার হয়ে গেলো তার এই প্রথম ভ’য়ে বুক কাঁপছে।

মুখে হালকা পানি পরতেই আমার জ্ঞান ফিরে এলো।তারপর চোখ ফিটফিট করে আশ-পাশ দেখার চেষ্টা করলাম”ভালো-ভাবে চোখ পরিষ্কার করে আশে-পাশে তাকাতেই ভয়ে আমি কুঁকড়ে গেলাম”অচেনা জায়গায় আর অচেনা মানুষ”আমার সামনে একজন মধ্যে-বয়সী রুপবতী মহিলা চেয়ারে বসে আছেন”তার পাশে সে ছেলে গুলা”তবে মহিলাটা বিচ্ছিরি ভাবে শাড়ি পরেছেন”যা দেখে আমি চোখ নামিয়ে ফে’ললাম”এতদিনে সঞ্চয় করা সব সাহস যেন আজকেই শেষ হয়ে গেলো।
“কিছুক্ষণ পর সে মহিলাটি আমার কাছে এসে আমার চুল শক্ত করে ধরে বললেন- তুই ওই মা** শায়লা খাতুনকে খুঁজছিস কেন?
“আমি ব্যথায় কুকড়ে উঠলাম তাই কিছু বলতে পারলাম না।

“উনি আমার চুল ছেড়ে দিয়ে মুখ চেপে ধরে বললেন- আমি জেসমিন রানী!আমার সাথে মিথ্যা বললে এমন হাল করবো যে দ্বিতীয় বার বাহিরে মুখ দেখা পারবি না।কে তুই?কেন এখানে এসে শায়লার খুঁজ করছিস?ওর হয়ে কাজ করিস নাকি?
“আমি এবার আরও ভয়ে কেঁপে উঠলাম উনার মুখে বাজে কথা শুনে আমার কান গরম হয়ে গেলো।তাই ভয় নিয়েই বললাম- বিশ্বাস করুন আমি উনাকে ব্যক্তিগত ভাবে চিনি না।আর না উনার হয়ে কাজ করি!আমি উনার বাজে কাজের জন্য উনাকে পুলিশের হাতে তু’লে দিতে চাই তাই উনার খুঁজ করছি(আমি মিথ্যা বললাম কারণ বুঝে গিয়েছিলাম জেসমিন রানী আমার মাকে অ’পছন্দ করেন)
“আমার কথা শুনে জেসমিন রানী আমাকে ছেড়ে দিলেন!তারপর চেয়ারে বসে বললেন- ও সত্যি তো?তাহলে শুনে রাখ ওকে শায়লা খাতুন নামে কেউ চিনবে না এখানে!কারণ ও এখানে শিলা নামেই আছে!আর আমি ওর পুরণো শক্রু তাই ওর ব্যাপারে সব জানি।ওকে এখানে শিলা নামেই সবাই চিনে।বলেই অট্টহাসি দিলেন!তারপর চোখ মুখ শক্ত করে বললেন- ওই শায়লার জন্যই আমার ব্যবসায় এত ক্ষতি হয়েছে!অনেক দিন ধরে চেয়েও ওকে হারাতে পারি’নি।আমি তোকে উফ মাফ করবে তোমাকে ওর ঠিকানা দিবো”তবে আমার ব্যাপারে কাউকে বলতে পারবে না,না হলে আমি তোমার কি হাল করবো তুমি তা ভাবতেও পারবে না।আর ওর খেলা তো আমি শেষ করবোই করবো।

“আমি কিছু না বলে ভয়ে চুপচাপ সেখানে ফ্লোরে বসে রইলাম।
“তবে সেখানে একটা ছেলে আমাকে বাজে ভাবে দেখে নিয়ে ওই জেসমিন রানীকে বললো- ম্যাডাম মাইডারে আমার পছন্দ হয়ছে যদি আজকের রাইত্তে এরে বলতেই জেসমিন রানী ওকে থামিয়ে দিয়ে বললেন- যা তোর মনের আশা পূরণ করলাম মেয়েটা তোর আজকের জন্য।তারপর উনি আমার দিকে তাকিয়ে বি*চ্চি*রি ভাবে হেসে উঠে বললেন- এই মেয়ে তোমাকে যখন এরা কষ্ট এখানে নিয়েই এসেছে তাদের ক*ম্পা*নি তো দিতেই হয়!আর দিয়ে কালকে না-হয় চলে যাবে।
“উনাদের কথা শুনে ভয়ে আমি চিল্লিয়ে কেঁদে উঠলাম কাঁদতে কাঁদতে বললাম- প্লিজ আমাকে ছেড়ে দিন!আপনার কথা আমি কাউকে বলবো না তবুও আমাকে যেতে দিন।আমি আরও কিছু বলতে যাবো তার মাঝেই দরজা ধা*ক্কা দিয়ে কেউ সেখানে প্রবেশ করলো সে রুমটার দরজা লাগানো ছিলো হয়তো তাই যারা প্রবেশ করেছে তাদের ডুকতে কষ্ট হয়’নি।আমি দরজার দিকে তাকাতেই যেন আমার শরীরে প্রাণ ফিরে এলো কারণ সেখানে দাঁড়িয়ে আছে রুদ্র আর তার সাথে আরেক’টা অ’চেনা ছেলে।
“রুদ্রকে দেখে সেখানের সবাই চমকে উঠলো সেখানে থাকা একটা ছেলে রুদ্রর দিকে তাকিয়ে বললো- এই কে তোরা?এহানে কি তোদের?

“রুদ্র সে ছেলের গালে সজোরে চ*ড় দিয়ে বললেন- কু****** তোরা যে মেয়েটাকে তুলে এনেছিস সে আমার বউ।
~ রুদ্রর কথা শুনে সেখানের সবাই হতভম্ব হয়ে যায়। জেসমিন রানী রেগে চিল্লিয়ে বললেন- তোরা দাঁড়িয়ে আছিস কেন ব্যাটা গুলাকে মা’র।উনার কথা শেষ হওয়ার আগেই সেখানে চার জন পুলিশ হাতে ব*ন্দু*ক নিয়ে প্রবেশ করলেন।পুলিশ গুলাকে দেখে জেসমিন রানী আর তার সাথে থাকা ছেলে গুলা ভয়ে পিছিয়ে গেলো।
“রুদ্র সেখানে আসার আগেই সে এলাকার থানায় খবরটা দিয়ে এসেছিলো”আর তার সাথে লোকেশনটাও দিয়ে দে।
“রুদ্র পিছন থেকে পি*স্ত*ল বের করে জেসমিন রানীর দিকে ধরে রেখে রেগে বললেন- ঠু*কে দি?
“রুদ্রর কাজে তারা সবাই থরথর করে কাঁপতে লাগলো।
~ আমি এসব আর নিতেই না পেরেই জ্ঞান হারালাম।
“পুলিশ গুলা জেসমিন রানী আর তারসাথে থাকা ছেলে গুলাকে এ*রে*স্ট করে নিয়ে যেতে লাগলে জেসমিন রানী রুদ্রর দিকে তাকিয়ে রাগি গলায় বললেন- যা করেছো ঠিক কর’নি।আমি কে?কতটুক ভয়ংকর তা তুমি জানো না?এর ফল তুমি পাবে বলেই উনি চলে গেলেন পুলিশ গুলার সাথে।
“রুদ্র দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে নূরের দিকে তাকাতেই দেখলো সে জ্ঞান হারিয়েছে।রুদ্র রানার দিকে তাকিয়ে বললো- ধন্যবাদ তুই না থাকলে হয়তো আমি নূরকে হারিয়ে ফে”লতাম আজ”আর হ্যা তুই চলে যা আমি নূরকে নিয়ে হোটেলে চলে যাবো।

“যখন আমার জ্ঞা*ন ফিরে এলো!তখন নিজেকে একটা আরামদায়ক বিছানায় আবিষ্কার করলাম।আমি শুয়া থেকে মাথা ধরে উঠে বসলাম!প্রচুর মাথা ব্যথা করছে।আমি এবার ভালোভাবে আশে-পাশে তাকিয়ে দেখলাম আমি একটা অচেনা জায়গায়।যেখানে আপাতত আমি ছাড়া কেউ নেই।তখনের সব ঘটনা গুলা মনে পরতেই ভয়ে আমি কুকড়ে গেলাম!কি থেকে কি হয়ে গেলো বুঝতে পারলাম না।মনে মনে ভাবলাম তখন তো রুদ্র এসেছিলেন?উনি এখন কোথায়?ভাবতে ভাবতেই কেউ রুমের দরজা খুলে ভেতরে প্রবেশ করলো।কে প্রবেশ করলো সেদিকে তাকাতেই দেখলাম রুদ্র!রুদ্রকে দেখার সাথেই সাথেই বিছানা থেকে নেমে দৌড়ে আমি উনার বুকে ঝাঁপিয়ে পরলাম।আর চিল্লিয়ে চিল্লিয়ে কাঁদতে লাগলাম।ভুলে গেলাম রুদ্রর প্রতি থাকা আমার রাগ-অভিমান আপাতত মনে হচ্ছে এটাই সব থেকে বেশি ভরসার জায়গা।
“আমার কাজে উনি অবাক হলেন না!তবে আমাকে ছাড়াতে ছাড়াতে বললেন- এখন আমাকে কেন জড়িয়ে ধরেছো?খুব তো ভাব নিয়েছিলে সেদিন!একা থাকার ফল নিশ্চয় পেয়েছো?খুব তো সাহসি হওয়ার শখ জেগেছে তাই’না?তো এখন কেন কান্না করছো?কান্না বন্ধ কর নূর?

“আমি উনাকে না ছেড়ে আরও শক্ত করে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে লাগলাম!আজ অনেক গুলা দিন পর আমি কান্না করছি”সব রাগ,অভিমান,কষ্ট যেন এই কান্নার মাধ্যমে প্রকাশ পাচ্ছে।
“রুদ্র আমাকে জোর করে ছাড়িয়ে মুখামুখি দাঁড় করিয়ে বললেন- কান্না বন্ধ কর নূর রাগাবে না আমাকে।
“আমি কান্না বন্ধ করলাম না বরং আরও জোরে জোরে কাঁদতে লাগলাম।
“উনি আমার কান্না সহ্য করতে না পেরে আমার ঠোঁটে নিজের ঠোঁট মিলিয়ে দিলেন।উনার কাজে আমি তাজ্জব বনে গেলাম।
“তারপর আমি শান্ত হতেই উনি আমাকে ছেড়ে দূরে গিয়ে দাঁড়ালেন তারপর শান্ত গলায় বললেন- একদম কান্না করবে না আমি খাবার এনেছি তোমার খাওয়া প্রয়োজন।

~ আমার খিদে পাওয়ায় আমি কোনো কথা না বলে উনার সাথে খেয়ে নিলাম।দূর্বল লাগছিলো তাই বিছানায় শুয়ে পরলাম।যে না চোখ বন্ধ করলাম তখন হটাৎ মনে পরলো- আচ্ছা আমি যে ওখানে ছিলাম তা রুদ্র কিভাবে জানলো?আমি দ্রুত চোখ খুলে উনার দিকে তাকালাম উনি লাইট বন্ধ করে আমার পাশে এসে শুয়ে পরলেন”তবে দূরুত্ব বজায় রেখে।
“আমি উনাকে শান্ত গলায় জিজ্ঞাস করলাম- আমি যে ওখানে ছিলাম আপনি কিভাবে জানলেন?
“আমার কথা শেষ হওয়ার পর উনি বললেন- নূর ঘুমাও এখন তোমার বিশ্রামের প্রয়োজন।সে-সব কথা পরে হবে বলেই আমার উল্টো দিকে ফিরে গেলেন।
“আমি বললাম- প্লিজ রুদ্র বলুন?আমি এখন ঠিক আছি।
“উনি এবার রেগে চিল্লিয়ে বললেন- বেশি জেদ ভালো না নূর!বললাম না পরে বলবো।
“আমি এবার বিরক্তি নিয়ে বললাম- আপনি অহেতুক চিল্লাছেন!আর আমি কোনো জেদ করছি না।বলুন আপনি কিভাবে জানলেন আমি সেখানেই ছিলাম?

“আমার কথা শেষ হতে না হতেই উনি দ্রুত আমার দিকে ফিরে উনার সমস্ত ভর আমার উপর ছেড়ে দিয়ে হাত দুটো বিছানার সাথে চেপে ধরে বললেন- বেশি বাড়াবাড়ি করবে না নূর!আমার সাথে তোমার এসব জেদ-টেদ চলবে না।শান্ত আছি শান্ত থাকতে দাও না-হলে তোমারি ক্ষ*তি।আর কি বললে কিভাবে জেনেছি?তাহলে সে তোমার না জানলেও চলবে।বলেই উনি আমাকে ছেড়ে দূরে গিয়ে আবার শুয়ে পরলেন।
“উনার কথায় রেগে ফুঁপিয়ে উঠে বললাম- সব-সময় আপনি এমনই করেন থাকবো না আমি আপনার সাথে!কেনও বা থাকবো?আমার কি কোনো মূল্য আছে আপনার কাছে?বলতে বলতে আমি বিছানা থেকে নামতে গেলেই উনি আমার হাত ধরে টেনে উনার উপর ফে’ললেন”তারপর শ*ক্ত করে আমার কোমড় জড়িয়ে ধরে বললেন- কোথায় যাবে?রুদ্র ছাড়া যে তোমার কোনো পথ নেই?নাকি ওই আহনাফের কাছে যাবা?যেতেই পারো সে তো তোমার প্রতি একদম লাড্ডু বলেই তাচ্ছিল্য হাসলেন।
“আমি উনাকে ভালোভাবে দেখতে না পেলেও ড্রিম-লাইটের আলোয় আধো আধো দেখতে পারছি।উনার কথায় কান না দিয়ে উনাকে অবাক করে দিয়ে প্রথমবারের মতো উনার কপালে নিজের ঠোঁটের ছুঁয়া দিলাম।আমার কাজে উনি হতভম্ব হয়ে গেলেন।উনার এমন চেহেরার রিয়েকশন দেখে আমি লজ্জায় উনার থেকে সরে আসতে চাইলে উনি আমাকে আরও শক্ত করে চেপে ধরলেন!
“আরআর নিজেকে সামলিয়ে বললেন- কোথায় যাচ্ছো?

অবশেষে তোমাকে পাওয়া পর্ব ১৯

“আমি আমতা আমতা করে বললাম- আমার বিশ্রামের প্রয়োজন।
“উনি আমার দিকে গাঢ় দৃষ্টিতে তাকিয়ে বললেন- আমাকে তৃষ্ণায় রেখে তুমি পালানোর চেষ্টা করছো?
“আমি উনার দৃষ্টিকে পাত্তা না দিয়ে বললাম- ছাড়ুন! আমার খারাপ লাগছে আর বিশ্রামের প্রয়োজন।
“উনি আমাকে পুরোপুরি ভাবে নিজের বাহুডোরে আবদ্ধ করে বললেন- সেটা তোমার কাজটা করার আগেই ভাবা উচিত ছিলো বলেই আমার ঠোঁট শক্ত ভাবে আঁ’কড়ে ধরলেন।আমি প্রথমে উনার কাজে হতভম্ব হয়ে গেলেও যখন বুঝতে পারলাম কি হচ্ছে তখন উনার থেকে ছাড়া পাওয়ার চেষ্টা করলাম।তবে উনার শক্তির সাথে পেরে না উঠে ব্যথা হয়ে উনার কাজে সম্মতি দিলাম।
~~ মাঝরাতে উনি আমার কপালে ঠোঁট ছুঁয়ে দিয়ে জড়িয়ে ধরে বললেন- আমি তোমাকে ভালোবাসি নূর!সেখানে তোমার অতীত কি?কেমন ছিলো?তাতে আমার যায় আসে না…….

অবশেষে তোমাকে পাওয়া পর্ব ২১