আমার শহরে তোমার আমন্ত্রণ পর্ব ২১

আমার শহরে তোমার আমন্ত্রণ পর্ব ২১
Raiha Zubair Ripte

কুয়াশা ভেদ করে সূর্য্যি মামা তার রশ্মি ছড়িয়েছে আকাশে। চারপাশ সূর্যের আলোয় ঝলমলে করছে। আজ বাদে কাল নিউ ইয়ার৷ ২০২৩ সাল কে বিদায় দিয়ে ২০২৪ সালকে বরণ করে নিবে সবাই৷ রাফি বলে দিয়েছে তারা এবার থার্টি ফার্স্ট নাইট সেলিব্রেট করবে ধুমধাম করে। ধুমধাম করে থার্টি ফার্স্ট নাইট সেলিব্রেট করার ও কারন আছে। ২০২৪ সাল জীবনের কিছু মোড় পাল্টে দিবে। সিঙ্গেল জীবন কে ছুটি দিয়ে মিঙ্গেলে পরিনত হবে। সেটা ভেবেই ২০২৪ সালকে বেস্ট করে শুরু করবে।

সোফায় বসে রাফি আর রিয়া এটা ওটা প্ল্যান করছে। সাহেল আহমেদ খবরের কাগজ পড়ছে আর রাসেল আহমেদ চা খাচ্ছে। রায়ান গ্রামে গিয়েছে তার দাদা আর দাদি কে আনতে। দাদা দাদির তাদের সাথে সেদিন আসার কথা থাকলেও কোনো এক কারনে আসা হয় নি। চিত্রা কফি হাতে শরীরে চাদর জড়িয়ে বেলকনিতে দাঁড়িয়ে রোদ পোহাচ্ছে। হঠাৎ নিচের দিকে তাকিয়ে খুব পরিচিত মুখ দেখে মাথা টা বেলকনির রেলিঙের বাহিরে নিয়ে ঝুঁকল। একবার ফোনের দিকে তাকিয়ে সময় দেখে নিলো। ১০ টা বেজে ২৪ মিনিট। এই সময় মানুষ টাকে এখানে দেখে বেশ অবাক হলো চিত্রা।

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

তুষার গাড়িতে থাকাকালীন ই নজরে পড়েছে চিত্রা কে। গাড়ি থেকে নেমে চিত্রার দিকে আড়চোখে একবার তাকালো। গাড়ির পেছন সিট থেকে তানিয়া বেগম আর তৃষ্ণা নামলো। তারা বাড়ির ভেতর ঢুকতেই তুষার চিত্রার বেলকনির ঠিক নিচে দাঁড়িয়ে বলে-

-“ ওভাবে তাকিয়ে আছো কেনো?
চিত্রা সোজা হয়ে দাঁড়ালো। কফির মগে চুমুক দিয়ে বলল-
-“ আচমকা আপনাকে দেখে অবাক হলাম তাই তাকিয়ে ছিলাম।

কথাটা বলে নিচের দিকে তাকাতেই দেখে তুষার নেই। চিত্রা আবার মাথা বাড়িয়ে এদিক ওদিক নিচে তাকিয়ে দেখলো। না তুষার নেই। লোকটা মুহূর্তের মাঝে চলে গেলো। একটা তপ্ত শ্বাস ফেলে পিছু ঘুরতেই সুঠাম দেহের অধিকারি প্রশস্ত এক বুক এর সাথে ধাক্কা খায় চিত্রা।

হাতে থাকা কফির মগটা ফ্লোরে পড়ে এক ঝনঝন শব্দ সৃষ্টি করে। চিত্রা পড়ে যাবে ভেবে ভয়ে চোখমুখ খিঁচে আছে। আচমকা এমন ধাক্কা খেলে ভয় পাওয়াটা স্বাভাবিক।
তুষার চিত্রার খিঁচে যাওয়া মুখটার দিকে তাকিয়ে আছে। মেয়েটাকে সহজে ভয় পেতে দেখা যায় না। ভিষণ শক্ত মনের অধিকারী এই নারী। তুষার ফু দিয়ে চিত্রার চোখ মুখে উপচে পড়া চুল গুলো কে উড়িয়ে দেয়।
হঠাৎ মুখে গরম বাতাস পেয়ে চোখ মেলে তাকায় চিত্রা। সামনে তুষার কে দেখে কপালে দু ভাজ পড়ে। ফ্লোরে পড়ে থাকা মগটার দিকে একবার তাকিয়ে বলে-

-“ এভাবে কেউ আসে?
তুষার বেলকনির দরজায় হেলান দিয়ে বুকে দু হাত গুঁজে বলে-
-“ কিভাবে আসতে হয় তাহলে?
চিত্রা কফির মগটা উঠায়।

-“ শব্দ করে আসতে হয়। আপনি আসছেন ওপর পাশে থাকা ব্যাক্তি যেনো বুঝে।
-“ উমম শব্দ করে আসে কিভাবে?
-“ দরজায় টোকা বা গলা ঝেড়ে।
-“ থাক আমি এসব পারবো না,আমি আচমকা এসে তোমাকে এভাবেই ভয় পেতে দেখতে চাই।
চিত্রা তুষার কে পাশ কাটিয়ে রুমে আসে। মগ টা খাটের পাশে থাকা টেবিলে রেখে বলে-

-“ তা আপনার আজ অফিস নেই?
-“ এক মাসের ছুটি নিয়েছি বাবার থেকে।
চিত্রা অবাক হয়ে তাকায় তুষারের দিকে। তুষার রুমে ঢুকে চিত্রার থেকে দুরত্ব নিয়ে বিছানায় বসে।
-“ এক মাসের ছুটি নিয়েছেন!

-“ হ্যাঁ কম নিয়েছি তাই না? আমি সারা রাস্তা ভাবতে ভাবতে আসলাম দুই মাসের নেওয়া উচিত ছিলো।
-“ আপনি এতো ছুটি কেনো নিয়েছেন?
-“ সামনে বিয়ে না সেজন্য।
তুষারে সহজসরল কথা শুনে চিত্রা মুখ টা হা হয়ে গেলো। সামনে বিয়ে সেজন্য ছেলে এক মাসের ছুটি নিয়েছে ভাবা যায়!

-“ আপনি কি পাগল হয়েছেন? কোথাও দেখেছেন বিয়ের জন্য মানুষ এক মাস ছুটি নেয়?আর বিয়ের ডেট ১৫ তারিখে আর আজ ৩০ তারিখ। আপনি এতো আগেই অফিসের কাজ টাজ ফেলে ছুটি নিয়েছেন।
তুষার ডোন্ট কেয়ার ভাব নিয়ে বলল-
-“ এক মাস কমই মনে হলো আমার কাছে,বিয়ে রিসিপশন ,হানিমুন এক মাসে হবে না। বাড়িয়ে নিতে হবে আরো।
চিত্রা তীক্ষ্ণ দৃষ্টি নিয়ে কড়া গলায় বলল-

-“ আপনি কি এসব বলার জন্য এসেছেন এখানে?
-“ আরে না আজ তো আমরা নাইট পার্টি করবো।
-“ কিসের নাইট পার্টি?
-“ থার্টি ফার্স্ট নাইট পার্টি।

-” ওহ্ তাহলে নিচে গিয়ে যারা করবে তাদের সাথে আড্ডা দিন।
-“ বাহ রে আমি আমার হবু বউ ছেড়ে অন্যদের সাথে আড্ডা দিবো কেনো।
-” কারন আপনার হবু বউয়ের এসবে ইন্টারেস্টেড নেই।
-“ তার তো তুষারের প্রতি ও কোনো ইন্টারেস্ট দেখি না।
-“ এটা কেনো মনে হলো?

-“ মন বললো তাই মনে হলো।
-” আপনার মন মিথ্যা ধারণা ও দেয় দেখছি আজকাল ।
-“ মন রা কখনও মিথ্যে বলে না।
-“ কিন্তু আপনার মন তো বললো মিথ্যা।
-“ তাহলে সত্য টা তুমিই বলে দাও।
-“ আচ্ছা আচ্ছা বলবো নি সময় হোক। এখন নিচে চলুন।

তৃষ্ণা ছাঁদে দাঁড়িয়ে আছে। রাফি এক এক করে ছাঁদ টাকে সুন্দর করে ডেকোরেশন করছে। মাঝেমধ্যে এটা ওটা চাচ্ছে আর তৃষ্ণা সেটা রাফির হাতে ধরিয়ে দিচ্ছে। ছাঁদের ডেকোরেশন শেষ হলে রাফি লম্বা শ্বাস ফেলে তৃষ্ণার পাশে দাঁড়ায়। ছাঁদের ডেকোরেশনের দিকে তাকিয়ে বলে-
-“ এই চাতক দেখো তো সব ঠিকঠাক কি না?
তৃষ্ণা একনজর তাকালো সেদিক টায়। সব ঠিকঠাক ই আছে।

-“ হ্যাঁ ঠিকঠাক ই আছে।
-“ নেক্সট ইয়ার এই দিনে তুমি আর আমি মিলে সাজাবো ওকে?
-“ আজ তো আমি আর আপনিই সাজালাম।
-“ কোথায় তুমি সাজালে?সাজালাম তো আমি,তুমি তো শুধু এটা ওটা আগিয়ে দিলে।
-“ তো এটা তো পুরো কাজেরই একটা পার্ট।
-“ হয়েছে চাপা ছাড়া বন্ধ করো। আজ রাতে সুন্দর করে সেজেগুজে রেডি হয়ে থাকবে। তোমাকে নিয়ে আজ লং ড্রাইভে যাবো।
তৃষ্ণা আগ্রহ নিয়ে বলল-

-“ কোথায় নিয়ে যাবেন?
-“ বলা যাবে না।
-“ বলেন না।
-“ বললাম তো বলা যাবে না।
-“ আচ্ছা।
-“ কি আচ্ছা?
-“ বলতে হবে না।
-“ ওকে এবার নিচে চলো রেডি হতে হবে তো।
-“ কি ব্যাপার তানিয়া তামিম আসলো না যে?

তানিয়া বেগম মিষ্টি মুখে নিতে নিতে বলে-
-“ ভাইজান উনাকে তো চিনোই সারাক্ষণ কাজে ডুবে থাকে।
রাসেল আহমেদ লম্বা শ্বাস টানলেন। তামিম খান সচারাচর আসেন না এ বাড়ি। বোনের জামাই থেকে এখন বেয়াই হতে যাচ্ছে এখন তো আসা যাওয়ার মাত্রা টা বাড়ানো উচিত। চয়নিকা বেগম একটা ছোট্ট বক্স এনে তানিয়া বেগমের সামনে রাখলেন। তানিয়া বেগম বক্সের দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করে- কি?
চয়নিকা বেগম মৃদু হেসে বললেন-

-“ আপনার ভাই আপনার জন্য এটা নিয়ে এসেছে।
তানিয়া বেগম বক্স টা খুললেন। বক্সে খুব সুন্দর এক জোড়া হেয়ার রিং রয়েছে। তানিয়া বেগম হেয়ার রিং টা হাতে তুলে বলে-
-“ খুব সুন্দর তো।
-“ হ্যাঁ আপনার আমার ভাবি আর রিয়ার জন্য নিয়ে এসেছে চার জোড়া। আজ তো বছরের শেষ দিন তাই।
তানিয়া বেগম দুল জোড়া কানে পড়ে নিলো।

সন্ধ্যার৷ দিকে রায়ান সজল আহমেদ আর সানজিদা বেগম কে নিয়ে আসে। ছাঁদের একপাশে ছোটখাটো একটা ভোজের আয়োজন করে বাড়ির ছেলে সদস্য রা। চিত্রা, তৃষ্ণা, রিয়া কাঠে জ্বালানো আগুনে হাতে আলতো তাপ নিচ্ছে। চিত্রার পড়নে ব্লাক শাড়ি,রিয়া মেরুন রঙের শাড়ি পড়েছে আর তৃষ্ণা পার্পল রঙের। রিমি রিক্তা বেগমের কোলে। রায়ান আর তুষার বড়দের খাবার সার্ভ করছে। চিত্রা আড়চোখে বারবার তাকাচ্ছে তুষারের দিকে। লোকটার পড়নে ব্লাক শার্ট তার উপর ব্লাক হুডি। চিত্রা তুষারের সাথে মেচিং করেই ব্লাক পড়েছে। চিত্রা ভেবে পায় না একটা মানুষ এতো ব্লাক লাভার হয় কি করে?

বিয়েতেও না জানি ব্লাক শেরওয়ানি পড়ে আসে। চিত্রা মনে মনে ভেবে নেয় তুষার যদি ব্লাক ড্রেস চয়েস করে তাহলে ব্লাক রঙের বালতি তে চুবিয়ে আনবে। বড়দের খাওয়া দাওয়া শেষ হলে বাড়ির ছোট সদস্য রা বসে। চিত্রা চেয়ার টেনে বসতেই তুষার চিত্রার পাশে চেয়ার টেনে বসে পড়ে। অলস ভঙ্গিতে বলে-
-“ ভাইয়া তুমি আর রাফি সার্ভ করো আমার শরীরে শক্তি নেই।
রাফি আড়চোখে তুষারের দিকে তাকিয়ে বলে-

-“ ব্রো জানো আমি একটা কথা শুনেছিলাম।
তুষার ভ্রু কুঁচকে বলে-
-“ কি?
-“ শুনেছিলাম আশেপাশে ভালোবাসার মানুষ থাকলে নাকি এনার্জি বেড়ে যায় কিন্তু তোমার তো চিতা কে দেখা মাত্রই শরীরের শক্তি চলে গেলো।
তুষার বিরক্তি নিয়ে রাফির পানে চেয়ে বলে-

-“ বেশি সাধু সাজতে যেয়ো না,আমি মুখ খুললে মানসম্মান থাকবে না।
রাফি চুপ হয়ে গেলো। রায়ান আর রাফি খাবার সার্ভ করে দেয় সবাই কে। তুষার খাবার মুখে দিতে দিতে ফিসফিস করে বলে-

-“ আজ ম্যাচিং ম্যাচিং কিয়া বাত হ্যা!
চিত্রা বিষম খায়। তৃষ্ণা পানির গ্লাস আগিয়ে দেয়। চিত্রা পানি টা খেয়ে বলে-
-“ তো এতে অবাক হওয়ার কি আছে? কাপল আমরা পড়তেই পারি।
-“ হ্যাঁ তা অবশ্য ঠিকই। তোমাকে ব্লাক কালারে লাগছে জাস্ট লুকিং লাইক অ্যা ওয়াও।
-“ বাট আপনাকে একটু ও সুন্দর লাগছে না। প্রতিদিন ব্লাক কালার পড়তে বিরক্ত লাগে না?
তুষার মাংসে কামড় দিয়ে বলে-

-“ না।
-“ বাট আমার লাগে।
-“ তো?
-“ প্রতিদিন ব্লাক পড়বেন না। লোকে ভাববে আপনার ড্রেস নেই ফকির।
-“ তাতে আমার কি লোকে কি ভাবলো না ভাবলো।
-“ আপনার সাথে তর্ক করা মানে দেওয়ালে নিজের মাথা বারি দেওয়া একই।
রাফি তুষার আর চিত্রা কে বিরবির করতে দেখে বলে-

-“ আজকাল আমার কানে ময়লা হয়েছে নাকি মানুষের মুখেরই আওয়াজ কমে গেছে বুঝতে পারছি না।
তৃষ্ণা নাক মুখ কুঁচকে নিয়ে বলে-
-“ খাওয়ার সময় কিসব বলছেন এসব।
রাফি গা ছাড়া ভাব নিয়ে বলে-
-“ কি বললাম?
-” এই যে কানে ময়লার কথা বলছেন।

তুষার রাগী দৃষ্টি নিয়ে রাফির দিকে তাকাতেই রাফি চুপ হয়ে যায়। রায়ান আর রিয়া খেয়ে দেয়ে নিজেদের রুমে চলে যায় রিমিকে ঘুম পাড়াতে। মেয়ে টা যে এখনও ঘুমায় নি এটা শিওর।
তুষার চিত্রার খাওয়া শেষ হলে ছাঁদের একপাশে কার্নিশ ঘেঁষে দাঁড়ায়। তুষার ঘড়িতে সময় দেখে নেয়। বারো টা বাজতে আর দশ মিনিট বাকি আছে। তুষার চিত্রার সোজাসুজি দাঁড়ায়। চিত্রার দু হাত নিজের দু হাত দিয়ে ধরে। চিত্রা তুষারের ভাবগতিক বোঝার চেষ্টা করছে। তুষার লম্বা শ্বাস টেনে বলে-

-“ ২০২৪ সাল আসতে আর মাত্র কয়েক মিনিট বাকি। বছর ঘুরবে মাস শেষে, দিন পাল্টাবে চোখের নিমিষে কিন্তু তোমার প্রতি আমার ভালোবাসা কখনো বদলাবে না। তোমাকে ফিরতি জানাই #আমার_শহরে_তোমার_আমন্ত্রণ , আমার শহর তুমি বিহীন এক আঁধার ঢাকা আমাবস্যা, পুর্নিমার জ্যোৎস্নায় পুরো শহরতলী কে আলোকিত করার জন্য তোমাকে আমার শহরে আসতে হবে। তুমি জ্যোৎস্না হয়ে আমার শহর কে সামলাবে আর আমি সূর্য হয়ে। পারবে না সামলাতে?
চিত্রা মুচকি হাসলো। তুষারের বা পাশের বুকেটায় হাত রেখে বলে-

-“ আপনি পাশে থাকলে চিত্রা সব পারবে। আপনার আমন্ত্রণ চিত্রা সাদরে গ্রহণ করে নিয়েছে।
তুষার চিত্রার কপালে চুমু খেলো। আর তখনই আকাশের জ্বল জ্বল করে উঠলো হ্যাপি নিউ ইয়ার ২০২৪।
চিত্রা তুষার দুজনই আকাশের পানে চাইলো। তুষার দু এক হাতে চিত্রা কে জড়িয়ে আছে আর চিত্রা মাথাটা ঠেকিয়ে রেখেছে তুষার বুকে। দুজন দুজনের দিকে একবার তাকিয়ে বলল-

-“ বিদায় ২০২৩ ওয়েলকাম ২০২৪।
নিচে বাগানে রাফি তৃষ্ণা কে নিজের বাহুডোরে নিয়ে কানে ফিসফিস করে বলে-
-“ হ্যাপি নিউ ইয়ার মিস চাতক এন্ড লাভ ইউ মাই লাভ।

আমার শহরে তোমার আমন্ত্রণ পর্ব ২০

তৃষ্ণা কেঁপে উঠলো প্রথম বার প্রিয়তমের মুখে ভালোবাসার কথা শুনলো। ভালোবাসার মানুষটার মুখে ভালোবাসার কথা শোনার মতো সুন্দর অনুভূতি হয়তো আর একটাও নেই। তৃষ্ণা রাফির মুখে থাকা চাপ দাড়িতে হাত বুলিয়ে বলে-
-“ লাভ ইউ অলসো মি.হ্যান্ডসাম।

আমার শহরে তোমার আমন্ত্রণ পর্ব ২২