আযদাহা পর্ব ২১

আযদাহা পর্ব ২১
সাবিলা সাবি

হঠাৎ পাহাড়ে জ্যাসপারের পদচারণা পড়তেই গ্লাস হাউজ কেঁপে উঠল, তার উপস্থিতির ভয়ে আর শক্তির ভারে। হন্তদন্ত হয়ে সে দ্রুত হাউজের ভেতরে প্রবেশ করল, কোন বাধা তাকে আর থামাতে পারবে না।তার চোখে এক অদম্য দৃঢ়তা, একমাত্র লক্ষ্য ফিওনা।
জ্যাসপার সিঁড়ির দিকে অগ্রসর হলো, দ্রুত দুখানি ধাপ উঠতেই হঠাৎ কিচেন থেকে একটা খসখস শব্দ ভেসে এল। সে থমকে দাঁড়াল, চঞ্চল দৃষ্টিতে সেই দিকেই তাকাল। নিঃশব্দে নিচে নেমে এসে রান্নাঘরের দিকে এগিয়ে গেল। দরজার ফ্রেম ধরে দাঁড়িয়ে দেখল ফিওনা এক কোনায় দাঁড়িয়ে প্লেট পরিষ্কার করছে, এক অন্যমনস্ক নির্লিপ্ততায়।
সেই দৃশ্য তাকে এক মায়াবী আবেশে জড়িয়ে ধরল।ফিওনার মাথার সামান্য ঝুঁকে থাকা অবস্থায় তার চুলগুলো কপালের ওপর পড়েছে,আর তার হাতের প্রতিটি ক্ষীণ স্পর্শে এক মৃদু সুরের মূর্ছনা সৃষ্টি হচ্ছে।এক অজানা আকর্ষণে জ্যাসপার ফিওনার দিকে এগিয়ে গেল, কিন্তু তার হৃদয়ের গভীরে চাপা আতঙ্কও বেজে উঠল—সে জানে, ফিওনাই তার অস্তিত্বের একমাত্র মুক্তি। ফিওনার অলক্ষ্যে দাঁড়িয়ে, জ্যাসপার এক মুহূর্তের জন্য স্থির হয়ে গেল।

ফিওনার চোখে হঠাৎ করেই জ্যাসপারের উপস্থিতি ধরা পড়ল, আর তার ভিতরটা শীতল হয়ে গেল এক চমকে। তার হৃদস্পন্দন দ্রুত হয়ে উঠল, কিন্তু জ্যাসপারের চোখে ক্রোধ বা রাগের কোনো ছায়া নেই, বরং অদ্ভুত এক স্থিরতা।কিছু বলার আছে,কিছু জানাতে চায়—কিন্তু তবুও শব্দ আবরণে মোড়ানো।
হঠাৎ করেই জ্যাসপার গম্ভীর কণ্ঠে বলল,“ফিওনা,ঘরে চলো।”
ফিওনা বিস্মিত হলো। তার কণ্ঠের গভীরে কিছু ছিল,যা ফিওনার অজানা অথচ আকর্ষণীয়। সে ইতস্তত করে বলল, “আপনি যান,আমি আসছি। একটু কাজ আছে এখানে, এটা শেষ করেই আসব। যদি বিশেষ কিছু দরকার হয়, এখানেই বলুন না।”
জ্যাসপার সামান্য ঝুঁকে, অগ্নি ঝরানো চোখে তাকিয়ে বলল, “তুমি আমার মুখের ওপর না করছো? হাউ ডেয়ার ইউ!!!”

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

তার কণ্ঠের মধ্যে এতটাই প্রচণ্ড শক্তি আর শাসন ছিল যে, ফিওনা অবাক হয়ে তাকিয়ে রইল।একটি মাত্র বাক্যে সে নিজের পুরো আধিপত্য প্রকাশ করল।
ফিওনা কাঁপা কাঁপা কণ্ঠে মৃদু স্বরে বলল, “আমি তো না বলিনি… আপনি যান, আমি দশ মিনিটের মধ্যে কফি নিয়ে আসছি আপনার জন্য।”
জ্যাসপার ধীর পদক্ষেপে ফিওনার একদম সামনে এসে দাঁড়াল, তার তীক্ষ্ণ দৃষ্টি সরাসরি ফিওনার চোখে স্থির। চোখের ভাষায়ই সে আদেশের প্রচণ্ডতা প্রকাশ করতে চাইছে। তার ঠোঁটের কোণে এক তিক্ত হাসি খেলে গেল, চোখে ঝলসে উঠল এক আদেশের গাঢ়তা।
“আই ডোন্ট নিড কফি রাইট নাও” সে কঠোর গলায় বললো “আই নিড ইউ।ডোন্ট আরগিউ উইথ মি;লেটস জাস্ট গো টু দ্য রুম।”
তার কণ্ঠের চাপে,ফিওনা নির্বাক হয়ে গেল।জ্যাসপার এমন এক আধিপত্য নিয়ে কথাগুলো বলল যে,ফিওনা আর কোনো উত্তর খুঁজে পেল না।

“কিন্তু…….” ফিওনা বাক্যটি শেষ করতে পারলো না—হঠাৎই জ্যাসপার তার হাতগুলো দিয়ে দৃঢ়ভাবে ফিওনার কোমড় জড়িয়ে ধরলো আর এক ঝটকায় তাকে নিজের শক্তিশালী বাহুর ভাঁজে কাঁধে তুলে নিলো। ফিওনার দীর্ঘ বাদামী চুল ঝরে পড়লো জ্যাসপারের পিঠে,মনে হলো কোনো রোদ্রছায়ায় আলোর ঢেউ দুলছে তার মসৃণ সাদা শার্টের উপর। তার চুলগুলো জ্যাসপারের চলার তালে তালে নরমভাবে দুলছিল,ঠিক পাহাড়ের ঝরনায় পড়ে থাকা সূর্যালোকে সোনার ধারা। ফিওনার মুখে বিস্ময় আর শিহরণের রেখা; নিজের অবশ শরীরটাকে সে সংবরণ করতেও ভুলে গেছে।

অন্যদিকে, জ্যাসপার সেই দৃঢ় ভঙ্গিতে,কোনো কথা না বলে,সোজা এগিয়ে চললো সিঁড়ি বেয়ে—তার একমাত্র লক্ষ্য তাকে নিয়ে ফিওনার নির্জন কক্ষে পৌঁছানো, যেখানে তার সমস্ত দাবী প্রতিষ্ঠিত হবে।
ফিওনার ঘরের সামনে পৌঁছাতেই স্লাইডিং দরজা নীরবে খুলে গেল,দরজাটা তাদের প্রবেশের অপেক্ষাতেই ছিল।ঢ়জ্যাসপার,এক মুহূর্তের বিলম্ব না করেই,সোজা ফিওনাকে নিয়ে ঘরে প্রবেশ করলো—তার শক্ত বাহুতে ফিওনাকে স্থির রেখেছে,ঠিক যেন কোনো মূল্যবান সম্পদ ধরে আছে।
তারপর,এক গভীর আবেগময় দৃঢ়তায়,ফিওনাকে কাঁচের দেয়ালের সাথে ঠেকিয়ে ধরলো। ফিওনার পিঠ ঠেকে গেল সেই শীতল কাঁচে,আর তার দীর্ঘ বাদামী চুল ছড়িয়ে পড়লো কাঁচের উপর।
ফিওনার পা দুটো জ্যাসপারের কোমরে পেঁচিয়ে

জ্যাসপারের সবুজ চোখজোড়ায় গভীর তীব্রতা, ফিওনার সমস্ত ভাবনা পড়ে ফেলতে চাইছে। তাদের মাঝে আর কোনো শব্দ নেই,শুধু দৃষ্টির ভাষায় কথা বলছে দু’জন। এই নীরব মুহূর্তে,ফিওনা বুঝতে পারলো,সে জ্যাসপারের এই শক্ত,গভীর আলিঙ্গনে নিজেকে সম্পূর্ণরূপে হারিয়ে ফেলেছে।
তবুও ফিওনা বারবার নিজেকে ছাড়ানোর চেষ্টা করছে।তার চোখে এক ভীতির ছাপ,মুখে দমবন্ধ কণ্ঠে অসহায় আকুতি—“ছাড়ুন আমাকে,প্লিজ! আপনি আসলে কি চাইছেন?”
জ্যাসপার কোনো উত্তর দেওয়ার প্রয়োজন মনে করলো না।তার কঠোর, নির্লিপ্ত দৃষ্টির আড়ালে এক অনড় সংকল্প। ফিওনার সমস্ত শক্তি ব্যর্থ হয়ে যাচ্ছিল তার ইস্পাতের মতো দৃঢ় বাহু থেকে মুক্তি পাওয়ার চেষ্টায়।
তবুও হঠাৎ তার দৃষ্টি আটকে গেলো জ্যাসপারের ঘাড়ে।সেই প্রাচীন ড্রাগনের ট্যাটুটি রহস্যময়ভাবে সাড়া দিচ্ছে, সবুজ আর সোনালী আলোর দ্যুতি একে একে ঝলসে উঠছে আবার নিভে যাচ্ছে,কোনো আদি যন্ত্রণা বা আকাঙ্ক্ষা থেকে সাড়া দিচ্ছে।

জ্যাসপারের কাছে ছটফট করছিল ফিওনা,তার হাত দুটো দিয়ে জ্যাসপারের দুই কাঁধে ঠেলতে লাগলো,জ্যাসপারের থেকে নিজেকে মুক্ত করার চেষ্টা করছিল,মুখ দিয়ে অস্ফুটে বললো,“ছাড়ু…”
কিন্তু ফিওনার বাক্য শেষ হওয়ার আগেই,জ্যাসপার তার শক্ত হাতের একটি দিয়ে ফিওনার দুই হাতকে উপরে তুলে ধরে চেপে দিলো কাঁচের দেয়ালে, মাথার ঠিক ওপরে। অন্য হাতটি ধীরে ধীরে চলে গেল তার গলায়, চেপে ধরে ফিওনাকে সামান্য নিঃসাড় করে ফেললো। ফিওনার ঠোঁট থেকে মৃদু এক চাপা আর্তনাদ বেরোল,“আহ্…”
কাঁচের দেয়ালের ওপর ভাসমান আলোর প্রতিফলন জ্যাসপারের চোখে এক ভয়াল ছায়া তৈরি করেছিল। আর তার শ্বাস-প্রশ্বাস দ্রুততর হয়ে উঠছিল।
এক মুহূর্তের বিলম্ব না করে জ্যাসপার তার রক্তিম বেগুনি ঠোঁটজোড়া যা আগুনের শিখা,ফিওনার কোমল গোলাপী ঠোঁটজোড়া আঁকড়ে ধরলো। তার ঠোঁটের স্পর্শে ফিওনার সারা দেহে অসংখ্য বিদ্যুতের প্রবাহ ছড়িয়ে পড়ল। এই চুম্বন ছিলো দখলদারির, চাহিদার আর গভীর আকাঙ্ক্ষার—এর প্রাথমিক আবেগ যা তাকে যেন মন্ত্রমুগ্ধ করে ফেলেছিল।

ফিওনা তার চোখ বন্ধ করে ফেলল মনে পড়ে গেল সেদিনের সেই তেতো স্বাদের কথা, যখন জ্যাসপার প্রথম তাকে স্পর্শ করেছিল। কিন্তু আজকের চুম্বনটি ছিল ভিন্ন—অতীতের যন্ত্রণাকে ভুলিয়ে দেওয়ার জন্য বড্ড বেশি আবেগপ্রবণ।
জ্যাসপারের হাতগুলো তার হাতে আর গলায় বুনো একটি দুঃসাহসী খেলায় জড়িয়ে গেল,সে পৃথিবীর সমস্ত আবেগ এবং ইচ্ছাকে তার ভেতরে প্রবাহিত করতে চায়। ফিওনার নিঃশ্বাস জড়িয়ে আসছে,প্রতিটি পালক আকর্ষণের উন্মাদনাকে আরও জোরালো করছে।
আশ্চর্যজনকভাবে,ফিওনা আজকের চুম্বনে একটি অদ্ভুত মিষ্টি তরল জাতীয় স্বাদ অনুভব করল,যা তার জন্য এক ভিন্ন জগতের দরজা খুলে দিল।সেদিনের বিষাক্ত তেতো স্বাদের স্মৃতি ধীরে ধীরে মিলিয়ে যাচ্ছিল,আর তার স্থান দখল করে নিচ্ছিল এক অপার্থিব মিষ্টতা—যা পৃথিবীর কোনো পরিচিত মিষ্টির সাথে তুলনীয় নয়।
জ্যাসপারের চুম্বনের সাথে বের হওয়া এই মিষ্টি তরল আসলে এক ধরনের জটিল রাসায়নিক মিশ্রণ।
জ্যাসপারের ঠোঁটের স্পর্শে,ফিওনা অনুভব করল এক মধুময় ঝর্ণা তার ভেতর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।সেই চুম্বনের সাথে মিশে থাকা গ্লুকোজের মিষ্টি স্বাদ তাকে বিমোহিত করে,তার জিহ্বার প্রতিটি কোষ জেগে উঠেছে এই অপার্থিব মাধুর্যের স্বাদ নিতে। ডোপামিন আর সেরোটোনিনের কোমল স্পর্শে ফিওনার মস্তিষ্কে এক ধরণের সুখানুভূতির ঢেউ উঠে অক্সিটোসিনের প্রভাবে তার মনে জন্ম নেয় এক অজানা আকাঙ্ক্ষা,যা তাকে জ্যাসপারের প্রতি আরও গভীরভাবে টেনে নেয়।

জ্যাসপারের ঠোঁটের স্সঞ্চারিত মিষ্টি তরল থাকা ফেনিলইথাইলামিন তার মনে এক উচ্ছ্বাসের সৃষ্টি করে,তার হৃদয় শুধু জ্বলতে চাইছে এই অমোঘ আকর্ষণে।
ফিওনা নিজেও অবচেতনে জ্যাসপারকে আরও কাছে টেনে নিতে চায়,আর তার ঠোঁটের মাদকতা তাকে এক নতুন পৃথিবীর স্বাদ দিতে থাকে, যেখানে মিষ্টতা আর আবেগের গভীরতা এক সাথে মিলে তাকে আবিষ্ট করে রেখেছে।
জ্যাসপার এমন এক বিশেষ প্রাণী যে ড্রাগন আর মানব রূপের মিশ্রণে গঠিত,তাই তার শারীরিক কার্যক্রম মানুষের চেয়ে ভিন্ন আর অত্যন্ত রহস্যময়।চুম্বনের সময় তার শরীরে থাকা কিছু বিশেষ গ্রন্থি সক্রিয় হয় যা গ্লুকোজ বা মিষ্টি স্বাদের এক প্রকার তরল নিঃসৃত করতে পারে সে নিজ ইচ্ছায়।

সেদিন জ্যাসপারের চুম্বনে তেতো স্বাদ পাওয়ার কারন ছিলোসেদিন জ্যাসপার অসুস্থ ছিলো,তার চুম্বনে তেতো স্বাদ পাওয়া গিয়েছিল,যা তার দেহে তৈরি হওয়া এক ধরনের বিষাক্ত কেমিক্যালের কারনে এক ধরনের অ্যামাইন বা কেটোন কেমিক্যালের মতো, যা তার অসুস্থতার সময় দেহে তৈরি হয়েছিল।
সেদিন জ্যাসপারের শরীর থেকে হাইড্রোক্সি-ফেনাইল এসিটিক অ্যাসিড নিষ্ক্রিয় হয়েছিলো তার চুম্বনের সাথে। ফেনোলিক যৌগগুলোতে সাধারণত তেতো স্বাদ থাকে,যা স্বাভাবিক স্বাদকে বিকৃত করছিলো।
ফিওনার ঠোঁটের কোমল স্পর্শ জ্যাসপারের জন্য এক অবশ্বাস্য আচ্ছন্নতার সৃষ্টি করছিল। অতঃপর ওর কাজ শেষ জ্যাসপার এবার ফিওনার ঠোঁটজোড়া ছেড়ে দিতে চাইলো, কিন্তু আশ্চর্যজনক ভাবে ফিওনা মিষ্টি স্বাদের আবেশে জ্যাসপারের ঠোঁটজোড়া আঁকড়ে রেখেছে তার সব সত্ত্বা এই মূহুর্তে একত্রিত হতে চাচ্ছে।
ফিওনা তার কাঁধের শার্ট আঁকড়ে ধরে রেখেছে মুক্তির কোনো ইচ্ছে তার নেই।জ্যাসপার অনুভব করছিল,তার ভেতরের লুকায়িত সুপ্ত বাসনাগুলো ধীরে ধীরে সাড়া দিচ্ছে,তার শরীরের ভেতরের উত্তেজনা এক মুহূর্তে জ্বলে উঠছে।

এই রসায়নিক পরিবর্তন তার ভেতরের এক নতুন সেক্সুয়ালিটি উত্তেজনা এক্টিভ করে তুলেছে। তার দেহের প্রতিটি কোষ এই প্রাণস্পর্শী আকর্ষণে সাড়া দিচ্ছে, প্রতিটি শ্বাস তাদের আরও কাছে টেনে নিচ্ছে।
ফিওনা তার হাতের স্পর্শে তাকে এমন এক অনুভূতির জগতে নিয়ে গেছে যেখানে যুক্তি-বুদ্ধি স্তব্ধ হয়ে যায়।জ্যাসপার নিজেকে নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করছে,কিন্তু সেই চেষ্টায় বারবার ব্যর্থ হচ্ছে। তার দেহের উত্তেজনা আর শারীরিক কামনা আবেগের দ্বন্দ্ব এক হয়ে তার ভেতরের পশুপ্রবৃত্তিকে একে একে জাগ্রত করছে।
জ্যাসপার বুঝতে পারছিল,তার ভেতরে যে কামনার ঢেউ উঠেছে,তা এক অজানা গভীরতায় ডুবিয়ে দিতে চাইছে।তার কাঁধে ফিওনার হাতের মৃদু চাপ,ফিওনার কোমল ত্বকের উষ্ণতা,তাদের দম আটকে যাওয়া নিঃশ্বাসগুলো—সবই তাকে অনিয়ন্ত্রিত এক আকর্ষণের দিকে টেনে নিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু তার মনের এক কোণায় ভীতিও উঁকি দিচ্ছে। সে জানে,এই আকর্ষণের গভীরতা তাদের দুজনকেই বিপদে ফেলতে পারে, বিশেষ করে ফিওনাকে।

এই গভীর মুহূর্ত থেকে বেরিয়ে আসার জন্য,নিজেকে এক ঝাঁকুনিতে ফিরিয়ে আনতে,জ্যাসপার হঠাৎ ফিওনার নরম, পাতলা নিচের ঠোঁটে প্রবল ভাবে একটা কামড় বসিয়ে দিলো। তার চোখে এক ধোঁয়াশাচ্ছন্ন আকাঙ্ক্ষা, আর ঠোঁটে সেই তিব্র কামড়ের চাপ।
ফিওনা ব্যথায় আতকে উঠল,কিন্তু সেই ক্ষণস্থায়ী ব্যথার সাথে সাথেই তার মনে উন্মুক্ত হলো এক আবেশময় অনুভূতি,জ্যাসপারের সেই মৃদু কামড় তার ভেতরে এক নতুন সাড়া জাগিয়েছে। তার কাঁধের আঁকড়ে ধরা হাতগুলো এক মুহূর্তে শিথিল হয়ে আসলো,জ্যাসপার দেখল ফিওনার ঠোঁটে তার প্রবল কামড়ের কারণে একটি ছোট কাটা হয়েছে,আর সেখান থেকে র*ক্ত বের হচ্ছে।এই দৃশ্যটি তার হৃদয়ে এক অদ্ভুত অনুভূতি নিয়ে এলো—একদিকে অস্থিরতা,অন্যদিকে চরম আকর্ষণ।
ফিওনার চোখে প্রথমে ব্যথা,কিন্তু এরপর দ্রুত সেই ব্যথার জায়গাটির দিকে তাকাতে তাকাতে এক অদ্ভুত আবেশ প্রবাহিত হতে লাগল।

জ্যাসপার হাত বাড়িয়ে ফিওনার ঠোঁটের কাটা জায়গাটিকে স্পর্শ করার জন্য এগিয়ে এলো। পরক্ষনেই কিছু এটা ভেবে থেমে গেলো।
জ্যাসপার ধীরে ধীরে তার সবুজ চোখজোড়া ফিওনার বাদামী চোখে রাখল,এক নীরব কথোপকথনে বলছে—”নিজকে নিয়ন্ত্রণ করো বোকা মানবী।”
ফিওনা সেই উত্তপ্ত চোখের ভাষা বুঝতে পেরে শান্ত হলো। তাদের মধ্যে এক অনির্বচনীয় ইশারার আদান-প্রদান ঘটলো, যা কথা নয়,কিন্তু অনুভূতির স্তরে একে অপরকে ছুঁয়ে গেলো—এক মৃদু,গভীর, আর সূক্ষ্ম আকর্ষণ,যা তাদের এই মুহূর্তটাকে অমোঘ আর মোহনীয় করে রাখল।

জ্যাসপার আর এক মুহূর্তও অপেক্ষা না করে ফিওনাকে নিজের শক্তিশালী বাহু থেকে হঠাৎই নামিয়ে দিলো। ফিওনা ভারসাম্য হারিয়ে ধপাস করে মেঝেতে পড়ে গেল,কিন্তু এবার আগেরবারের মতো তীব্র আঘাত লাগল না,বরং তার শরীরে শুধুমাত্র মৃদু ব্যথার স্রোত খেলে গেল।জ্যাসপার কোনো কথা না বলেই হনহন করে ঘর থেকে বেরিয়ে গেল,মনে হলো কোনো অশান্তি তার হৃদয় জুড়ে দানা বেঁধেছে।
ফিওনার শরীর তখনও জমে ছিল,তার মন কিছুটা বিভ্রান্ত। সে এখনও পুরোপুরি নিজের চেতনা ফিরে পায়নি। জ্যাসপারের সেই গভীর চুম্বন আর রহস্যময় দৃষ্টি তার মনে গেঁথে ছিল ফিওনা স্বপ্নের ঘোরে আটকে ছিল।
ফিওনার মনে হল, এই অদ্ভুত চুম্বন,এই নিষিদ্ধ মুহূর্তগুলি তার আত্মাকে নতুন এক আকর্ষণে আচ্ছন্ন করেছে।জ্যাসপারের চলে যাওয়ার পরও সেই অনুভূতি তার ভেতরে এক গভীর প্রভাব রেখে গেছে, যা কোনোভাবেই মুছে ফেলা সম্ভব নয়।
এ এক মাদকতার মতো,যা তাকে বাধ্য করছে সেই নিষিদ্ধ আকর্ষণের কাছে ফিরে যেতে।

ওয়াং লি বসে আছেন তার ল্যাবের আরামদায়ক চেয়ারে, চারপাশে বড় বড় পর্দায় নানা তথ্য ভেসে উঠছে,আর হঠাৎই নজরে এলো একটি বিশেষ ব্রেকিং নিউজ আপডেট।তার চোখের সামনে খবরটির লাল অক্ষরে ঝলসে উঠলো– “বিস্ময়কর হ*ত্যা: ছয়জনের ঝলসানো মৃত*দেহ উ*দ্ধার, আগু*নের উৎস রহস্যজনক!”
খবরটা পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই ওয়াং লির দৃষ্টিতে উদ্বেগের ছাপ ফুটে উঠল। সংবাদদাতার কণ্ঠে ধরা আতঙ্ক তাকে মুহূর্তেই শিহরিত করলো।সিসিটিভি ফুটেজগুলো পর্যন্ত আগুনের তাপে ঝলসে গেছে;কোথা থেকে আগুন লাগল,কীভাবে এত ভয়ং*কর মৃ*ত্যু ঘটল,কেউই বলতে পারছে না।সাংবাদিকরা যেমন হতবাক,পুলিশ কর্মকর্তারাও তেমনি দিশেহারা।

ওয়াং লি ধীরে ধীরে নিঃশ্বাস নিলেন।তার মনের গভীরে সেই পুরনো আশঙ্কাটি আবার মাথা তুলে দাঁড়ালো।তিনি নিজেকে সংবরণ করার চেষ্টা করলেন,কিন্তু তবুও মনে প্রশ্ন উঁকি দিল—ওই ড্রাগনের ভাইয়েরই কাজ নয় তো এটা? কি জানি নাম জ্যাসপার অরিজিন। সম্ভবত সেই এই নৃ*শংস কাণ্ড ঘটিয়েছে।
ওয়াং লির চিন্তা ধীরে ধীরে দুশ্চিন্তায় পরিণত হলো।সে জানেন,এমন শক্তির মোকাবিলা করার মতো প্রস্তুতি তার কাছে নেই।ঐ অপ্রতিরোধ্য ড্রাগনের সাথে নিজেকে এক ভয়ংকর খেলায় জড়িয়ে ফেলেছেন তিনি,যার ফলাফল হতে পারে অকল্পনীয়।

জ্যাসপার ল্যাবে বসে আছে নিস্তব্ধতায় ডুবে, চারপাশের জগৎ থেকে বিচ্ছিন্ন। তার দৃষ্টি সামনে স্থির,কিন্তু মনের ভেতরে চিন্তার এক অশান্ত ঝড় চলছে।তার মাথায় একই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে—কেনো অন্য কারো মধ্যে সেই বিশেষ বায়ো-কেমিক্যাল পাওয়া গেলো না? কেনো শুধুমাত্র ফিওনা?
এই রহস্য তাকে দিন দিন আরও অধৈর্য করে তুলছে।সে নিজেই তো বহু সময় ধরে গবেষণা করেছে,পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়েছে, ভেবেছে যে সে পৃথিবীর গোপন সব রহস্যকে বুঝে নিয়েছে। কিন্তু ফিওনা সেই সমস্ত জ্ঞানকে চ্যালেঞ্জ করছে।আর সবচেয়ে অদ্ভুত হলো,প্রতিবার ফিওনার কাছাকাছি গেলেই তার ভেতরে এক অজানা প্রবাহ খেলা করে ওঠেছে, একধরনের আকর্ষণ,যা তাকে নিয়ন্ত্রণের বাইরে নিয়ে যাচ্ছে।
“এই মেয়েটা কি সত্যিই সাধারণ মানবী?” জ্যাসপার মনে মনে প্রশ্ন করে।তার ভাবনায় অদ্ভুত সন্দেহের বীজ জন্মাচ্ছে। ফিওনা কি কোনো ম্যাজিক জানে??
তার শিরায়-উপশিরায় বয়ে যাওয়া উত্তেজনা তাকে ক্রমেই একধরনের অস্থিরতায় ভরে দিচ্ছে।তার চোখে ভাসছে ফিওনার চঞ্চল মুখ,তার হাসি,তার স্পর্শের স্মৃতি—যা শুধুমাত্র চমৎকার মুহূর্ত ছিল না বরং এক রহস্যময় নেশার মতো।

হঠাৎ ল্যাবের নিস্তব্ধতা ভেঙে প্রবেশ করল থারিনিয়াস। দরজার পাশে দাঁড়িয়ে, সে গভীর শ্বাস নিল, নিজেকে শান্ত করার চেষ্টা করছে। কয়েক মুহূর্তের নীরবতার পর,কণ্ঠে অস্থিরতার ঝাঁঝ নিয়ে বলল, “প্রিন্স,কাজটা আপনি করেছেন তাই না?”
জ্যাসপার চোখ তুলে তাকালো,কিন্তু মুখে কোনো ভাবান্তর নেই। “কোন কাজ,থারিনিয়াস?”
“চীনে ছয়জন মানুষের মৃত্যু*র খবরটা,” থারিনিয়াস দ্রুত বলল। “খবরে লা*শগুলো দেখে আমি বুঝে ফেলেছি এটা কোনো ড্রাগনের কাজ। আর একমাত্র আমরা ছাড়া এই পৃথিবীতে আর কোনো ড্রাগন নেই।”
জ্যাসপার সামান্য হাসল,কিন্তু তার চোখে কঠিনতা স্পষ্ট। “হ্যাঁ,ওদের আমিই মেরেছি।নাহলে ওরা আমাকে মেরে ফেলত।”

থারিনিয়াস হতবাক হয়ে কিছুক্ষণ চুপ করে দাঁড়িয়ে থাকল, তারপর সাহস করে বলল, “প্রিন্স,আপনাকে হ*ত্যা করা কি এতোই সহজ? কিন্তু আপনি তো ভেনাসের রুলস ভঙ্গ করছেন। এটা আমাদের সবার জন্য বিপদজনক হতে পারে!”
জ্যাসপার এবার গভীর,স্থির দৃষ্টিতে তাকালো থারিনিয়াসের দিকে,তার চোখে একধরনের নির্ভীকতা, সে কারো প্রতি বিন্দুমাত্র জবাবদিহিতায় বাধ্য নয়।ঠান্ডা কণ্ঠে বলল, “এখন কি আমাকে তোমার কাছ থেকে রুলস শিখতে হবে, থারিনিয়াস?”
থারিনিয়াস কিছু বলার জন্য মুখ খুলে আবার চুপ করে গেল। সে জানত, প্রিন্স জ্যাসপারকে যুক্তি দিয়ে বোঝানো সহজ নয়। তার সামনে দাঁড়িয়ে থাকা এই প্রাচীন,অদম্য ড্রাগন এক অভেদ্য প্রাচীর,যার শক্তি সংকল্পে কোনো ফাটল নেই।
থারিনিয়াস কণ্ঠে স্নিগ্ধ অথচ দৃঢ় অনুরোধ নিয়ে বলল,

“মাফ করবেন,প্রিন্স অরিজিন।আমি আপনাকে রুলস শেখাচ্ছি না,শুধু অনুরোধ করছি—আপনি নিজের রাগ আর শক্তিকে কিছুটা নিয়ন্ত্রণ করুন। আমাদের পৃথিবীতে আসার মূল উদ্দেশ্য আমাদের লক্ষ্য পূরণ করা, দুর্বল মানুষের ক্ষতি নয়।”
জ্যাসপার নীরবে থারিনিয়াসের কথা শুনল,তবে কোনো প্রতিক্রিয়া দিল না।তার মনে কোনো প্রভাবই পড়েনি।
থারিনিয়াস আবার বলল, “প্রিন্স,আমি জানি আপনি এসব নিয়ে ভাবছেন না।তবে আমি আপনাকে নিয়েই চিন্তিত। আপনার যদি কোনো সমস্যা হয়,আপনি যদি নিজের ড্রাগন ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেন—”
জ্যাসপার তার ঠোঁটের কোণে এক তির্যক হাসি ফুটিয়ে বলল,“তোমার কি আমাকে সাধারণ ড্রাগন মনে হয়,থারিনিয়াস? আমি প্রিন্স অফ ড্রাগনস। আর পৃথিবীতে টিকে থাকার জন্য যে বিশেষ বায়োকেমিক্যাল প্রয়োজন, সেটার উৎস আমি পেয়েছি।”

থারিনিয়াস কিছুটা চমকে উঠল,“কিভাবে,প্রিন্স?”
জ্যাসপার চোখে রহস্যের ঝিলিক নিয়ে বলল,“ইটস আ সিক্রেট।”
এই কথার সঙ্গে সঙ্গে তার ভেতরে এক প্রবল আত্মবিশ্বাসের স্রোত বইল,এমন এক অনুভূতি যা পৃথিবীর মানুষের আর ভেনাসের সাধারন ড্রাগনদের বোঝার বাইরে।থারিনিয়াসের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা এই ড্রাগন প্রিন্স এক নতুন শক্তির খোঁজ পেয়েছে,যা তার উপস্থিতি আরো গভীর, আরো তীক্ষ্ণ করে তুলেছে।

রাতের নিস্তব্ধতা গ্লাস হাউজেএর প্রতিটি কোণায় ছড়িয়ে পড়েছে। সবাই রাতের খাবার খেয়ে নিজের মতো ব্যস্ত, তবে আজ জ্যাসপার ডাইনিং টেবিলে আসেনি। তার নির্দেশে খাবারটা তার ঘরেই পৌঁছে দিতে হবে, এবারো এই কাজটা করতে হবে ফিওনাকেই।
ফিওনা প্লেটে খাবার সাজাতে সাজাতে মনে মনে নিজেই নিজেকে দোষারোপ করছে, এক ধরনের অস্বস্তি তার বুকের ভেতর মোচড় দিয়ে উঠছে।
“উফ!ওই ফায়ার মনস্টারটারের সামনে কীভাবে যাবো আমি?” ফিসফিস করে বলল সে, নিজেই লজ্জায় লাল হয়ে যাচ্ছে। “ছি ছি ফিওনা,তুই কী করেছিস তখন?আমি কী করে ওকে চুম্বন করলাম? ঈশ্বর!মাথা তো পুরোপুরি ঘুরে গেছে আমার।”

ফিওনার কপালে এক বিন্দু ঘাম জমেছে। সেই জ্যাসপারের মুখোমুখি দাঁড়ানোর কথা ভেবেই ফিওনার মুখ শুকিয়ে যাচ্ছে,অথচ পায়ে পায়ে সে নিজেকে প্রস্তুত করেই চলেছে।
ফিওনা নিঃশব্দে পা টিপে টিপে জ্যাসপারের ঘরের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।তার হৃদস্পন্দন তীব্র হতে থাকে,প্রতিটি পদক্ষেপে সে আরো এক অলৌকিক দুনিয়ার কাছে পৌঁছাচ্ছে।দরজার সামনে আসতেই দরজাটি নিজে থেকেই ধীরে ধীরে খুলে যায়,এক রহস্যময় স্বাগত জানায় তাকে।ঘরের ভেতরে চাঁদের স্নিগ্ধ রূপালি আভা মিশে আছে ল্যাম্পের ম্লান আলোয়, এক আধ্যাত্মিক আভাসে পুরো কক্ষ ভরিয়ে রেখেছে।
জ্যাসপার বিছানায় নির্লিপ্ত ভঙ্গিতে শুয়ে আছে,কালো রঙের টি-শার্টে আবৃত তার সুঠাম দেহ,কপালে এক হাত রেখে গাঢ় চিন্তায় নিমগ্ন, ডানপাশে প্রসারিত তার হাত,পায়ের ওপর পা তুলে শায়িত থাকা এই সত্ত্বার মুখে আছে এক প্রশান্ত অথচ দুর্বোধ্য রহস্যের ছাপ।
ফিওনা খাবারের প্লেট হাতে নিয়ে ধীরে ধীরে তার সামনে পৌঁছায়, আর ঠিক সেই মুহূর্তে তার চোখ পড়ে জ্যাসপারের বাঁ হাতে।

হাতের তালুর মধ্যস্থলে এক গভীর কাঁটার দাগ,সেই ক্ষতচিহ্নে জমাট বেঁধে থাকা এক সবুজ রঙের তরল—অস্বাভাবিক এক জৈবিক মিশ্রণ, কোনো মহাজাগতিক বিষের প্রতীক, যা পৃথিবীর বোধের বাইরে।
ফিওনা অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকে, এক চমকিত বিস্ময়ে তার দৃষ্টি স্থির হয়ে থাকে সেই দাগে।
ফিওনার হৃদয়ের গহীনে অচেনা কৌতূহল উঁকি দেয়।
জ্যাসপার হঠাৎ ফিওনার দিকে তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তাকায়,তার মনের গহীনে লুকিয়ে থাকা কৌতূহলটি নিঃসন্দেহে আঁচ করতে পেরেছে। “তুমি সবসময় কক্ষে প্রবেশ করে চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকো কেনো?” তার কণ্ঠে মৃদু বিরক্তির সুর।
ফিওনা সামান্য ঘাবড়ে গিয়ে বলল, “না মানে…আপনি যদি বিরক্ত হন তাই… আচ্ছা আপনার হাতে কি হয়েছে আর সবুজ রঙের এটা… এটা কি?”

জ্যাসপার এক মুহূর্তের জন্য নিজের হাতের দিকে তাকায়, চোখে এক নির্মম শীতলতা। “র*ক্ত।” কথাটা তার ঠোঁট ছুঁয়ে এমনভাবে বেরিয়ে আসে এটা কোনো সাধারণ তথ্য, অথচ তার প্রতিটি শব্দ শীতল বরফের ধারালো শলাকা ফিওনার মস্তিষ্কে বিদ্ধ হয়।

আযদাহা পর্ব ২০

ফিওনার চোখ বিস্ফারিত হয়ে যায়। তার অর্থ কি, জ্যাসপারের শরীরের র*ক্ত সবুজ? এই অদ্ভুত দৃশ্য তাকে এক রহস্যময় জগতে প্রবেশ করিয়ে দেয়। তার নিজের মনে এক অদ্ভুত শিহরণ খেলে যায়—এটাও সম্ভব কী হচ্ছেটা কি জ্যাসপারের চুম্বনে একবার তেতো স্বাদ আরেকবার মিষ্টি স্বাদ আর এখন আবার রক্ত নাকি সবুজ রঙের ?

আযদাহা পর্ব ২২