এই অবেলায় তুমি পর্ব ৯

এই অবেলায় তুমি পর্ব ৯
Sabihatul Sabha

দ্বিতীয় ছেলেটা রেগে বলে উঠলো,”তোর এত বড় সাহস, তুই জানিস তুই কার গায়ে হাত তুলেছিস। আমাদের ক্ষমতা সম্পর্কে তোর ধারণা আছে!!।বলেই ওড়না ধরে সম্পূর্ণ টান দিবে তার আগে নূর ছেলেটার নাক বরাবর একটা ঘুসি দিলো।সাথে সাথেই ছেলেটা নাকে হাত দিয়ে দেখে, নাক দিয়ে রক্ত বের হচ্ছে। সে অবাক হয়ে সামনের মেয়েটির দিকে তাকালো। একটা মেয়ের ঘুসিতে এতো শক্তি থাকে যে রক্ত চলে এসেছে।

নূর ছেলেটার সামনে এসে নিজের চুল গুলো খোলে দিলো। সাথে সাথে চুল গুলো সারা পিঠ জোরে ছড়িয়ে পরলো।কিছু চুল সামনে এনে ওড়নার মতো গায়ে জড়িয়ে নিলো। তারপর ওড়নাটা খোলে নিয়ে ছেলেটার শরীরে পড়িয়ে দিয়ে বললো।এবার ঠিক আছে। খুব সুন্দর লাগছে।তারপর আবার বলে উঠলো, ” বুঝলাম না একটা ওড়না নিয়ে কেনো দু’জন টানাটানি করছেন।আগে বললে বাসা থেকে দুইটা এনে দিতাম। আপনাদের ওড়না লাগবে বললেই পারতেন।
নূরের কথাগুলো বলার ভঙ্গি দেখে ইরিন শব্দ করে হেসে দিলো।
প্রথম ছেলেটা রেগে নূরের দিকে আবার তেরে আসতে নিলে, ইরিন পা বাড়িয়ে দেয়। ছেলেটা পায়ের সাথে উষ্ঠা খেয়ে গিয়ে নূরের পায়ের কাছে পড়ে।

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

দ্বিতীয় ছেলেটা আসলে নূর তাকে মারতে শুরু করে।
প্রথম ছেলেটা আসলে ইরিন আবার ওই ছেলেটার সামনে গিয়ে দাঁড়ায়। ছেলেটা ইরিনের দিকে আসতে নিলে ইরিন পা দিয়ে সঙ্গে সঙ্গে ছেলেটার অন্ডকোষ বরাবর লাথি বসিয়ে দিলো।। সাথে সাথে ছেলেটা শুয়ে ব্যথায় গোঙ্গানো শুরু করে।
আশেপাশের সব মানুষরা অবাক হয়ে তাকিয়ে দেখতে থাকে। দুই মেয়ের হাতে এদের এভাবে মার খেতে দেখে কিছু ছেলে মেয়ে ভিডিও করছে।এয়তো বেশি সময় লাগবে না এটা নেটে ছেড়ে দেওয়া হবে। ক্যাপশনে হয়তো নানা ধরনের কথা লেখা হবে।

ছেলে দুটো ছাড়া পেয়ে পা খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে চলে যায়।তবে যাওয়ার আগে স্পষ্ট ভাবে নূরে আর ইরিনের দিকে আঙ্গুল দেখিয়ে বলে যায়।আমি আবার আসবো!!…তদের এমন অবস্থা করবো রাস্তার কুকুর ও তোদের দিকে তাকাতে ভয় পাবে।

মাহি ক্যান্টিনে বসে আছে।দেখেই বুঝা যাচ্ছে ও খুব রেগে আছে।আদিবা গিয়ে ওকে পিছন থেকে জরিয়ে ধরলো।
আদিবাঃ জান্স…..
মাহিঃ এই সর! একদম ধরবি না তুই আমাকে।(আদিবাকে নিজের থেকে ছাড়ানোর চেষ্টা করে)
আদিবাঃ কেনো জান্স!! কি হইছে? তুমি রেগে আছো কেনো?
মাহিঃ নেকা সাজবি না একদম। জানোস না কি হইছে?
আদিবাঃ না বললে জানবো কি ভাবে আগে বল!!
মাহিঃফোন কই? কয়টা কল দিছি আমি!!
আদিবা মাথা নিচু করে আছে।

মাহি আবার বললো,” কি হয়েছে এভাবে মাথা নিচু করে আছিস কেনো? দেখি আমার দিকে তাকা..
আদিবা মাহির দিকে তাকাতেই মাহির বুক কেঁপে উঠল।
মাহি উত্তেজিত হয়ে বলে উঠলো, ” একি তোর গালে দাগ কিসের!!?”

আদিবা হাসার চেষ্টা করে বলে উঠলো, ” আরে এ কিছু না।গালে হাত রেখে ঘুমিয়ে গিয়ে ছিলাম তাই দাগ পড়ে গেছে।”
মাহিঃ আবার!! আবারো তুই মিথ্যা বলছিস আমার সাথে।ওই ডাইনী মহিলা না! ওই ডাইনী মহিলা আবারো তোর গায়ে হাত তুলেছে!! কতো বড় সাহস আমি ওই মহিলার হাত ভেঙে দিবো! আমি এতো বার ওয়ার্নিং দেওয়ার পরেও কিভাবে হাত তুললো আবার।আমি খুন করবো এই মহিলাকে।জেলের ভাত যদি না খাইয়েছি আমার নাম ও মাহি না!!….
আদিবা কিছুক্ষন মাহির দিকে তাকিয়ে থেকে বললো,” আন্টি আঙ্কেল কেমন আছে?
মাহি রাগে কটমট করে তাকিয়ে বলে উঠলো, ” সব সময় কথা এরিয়ে যাস কেনো? আর এখন চল..

আদিবাঃ কোথায়?
মাহিনঃ থানায়!!
আদিবাঃ কি!! তুই পাগল হইছোস!..
মাহিঃ আমাকে দেখে কি পাগল মনে হয়?
আদিবাঃ তাহলে থানায় কেনো?
মাহিঃ আবির ভাইয়ার কাছে যাবো।মেঝো আম্মু ভাইয়ার জন্য খাবার দিয়ে দিছে।দিয়ে আসবো।থানা তো বেশি দূর না। এখান থেকে তিন-চার মিনিট হাটলেই পৌঁছে যাবো।
মাহি খেয়াল করলো আদিবার চোখগুলো খুশিতে চিকচিক করে উঠলো।
আদিবাঃ আচ্ছা চল..

মাহিঃ ভাইয়াকে প্রপোজ করছিস কবে?
আদিবা মাহির কথা শুনে থতমত খেয়ে গেলো।
আদিবাঃ মানে!!?
মাহিঃ দেখ লুকিয়ে কোনো লাভ নেই। আমি জানি তিন বছর ধরে তুই আবির ভাইকে ভালোবাসিস। তাহলে ভাইকে বলতে সমস্যা কোথায়?..
আদিবাঃ আহা জান্স তুমি যে কিভাবে আমার মনের কথা বুঝে যাও।
মাহিঃ এভাবে মনের কথা মনে ঝুলিয়ে রাখলে।একদিন ভাই উড়াল দিবে তারপর আর হাজার খুঁজেও পাবি না।
আদিবাঃ কোথায় যাবে উনি?
মাহিঃ গাঁধি তোর জন্য কি ভাই সারা জীবন বসে বসে আধবুড়ো হবে।
আদিবাঃ হুম তাও ঠিক,কিন্তু এতিমরা কাউকে ভালোবাসলে তা প্রকাশ করা যে নিষেধ।

রুদ্র হসপিটালে আজকে নতুন জয়েন করেছে। প্রথম দিন বলে বেশি কাজের চাপ নেই। নিজের কেবিনে বসে আছে। ফোন বেজে উঠলো, ” হ্যালো”
~ওই শালা কই তুই?
রুদ্রঃ আমি আমার কোন বোন বিয়ে দিছি তোর কাছে? যে আমি তোর শালা!!…
~কই তুই আগে বল?
রুদ্রঃ আজকে হসপিটালে প্রথম দিন। নিজের কেবিনে বসে আছি।
~দুস্ত আজ আমারো কলেজে প্রথম দিন। প্রথম দিনেই কি হয়েছে জানোস?
রুদ্রঃ না বললে জানবো কিভাবে?

~দুস্ত যখন আমি কলেজের ভিতর গাড়ি নিয়ে ঢুকবো।তখন দেখলাম গেইটে মানুষের ভিড়।তাই কৌতুহলের বসে নেমে সামনে গেলাম। গিয়ে যা দেখলাম মেয়েতো না পুরাই আগুন!!!
রুদ্রঃ ফায়াজ তোর আর এই লুচ্চা নজর ঠিক হলো না।কলেজের টিচার হইছোস ভালো কথা। সব মেয়েদের নিজের মেয়ের মতো দেখবি!..

~দেখ আমাকে একদম লুচ্চা বলবি না।তোর মতে নিরামিষ হয়ে থাকবো নাকি। আগে যখন ভার্সিটির গেইট দিয়ে ঢুকতাম কতো মেয়ে প্রেমময় নজরে তাকিয়ে থাকতো।কতো প্রপোজাল পেয়েছি আর তুই আমাকে এভাবে বলতে পারলি। এটা আসা করিনি আমি।আর সব মেয়েদের নিজের মেয়ের নজরে দেখবো মানে? শালা এখনো বিয়ে টাই করলাম না আর তুই হাজার হাজার মেয়ের বাবা বানিয়ে দিলি।তকে বলাটাই ভুল হইছে।
রুদ্রঃ আচ্ছা কি হইছে বল এবার?

~না থাক বলবো না।
রুদ্রঃ এইসব নেকামি মেয়েদের সাথে করিস।আমি মেয়ে না যে তোর রাগ ভাঙ্গাবো।এখন বল?
~প্রতি কথায় কথায় মেয়েদের মতো খুঁটা দেস কেনো? তুই কি জেলাস নাকি। আমার এতো এতো গার্লফ্রেন্ড তোর একটাও নেই বলে!..
রুদ্রঃ এই রুদ্র কারো প্রতি জেলাস হয় না!! আমার এক ঈশারায় কতো মেয়ে বউ হওয়ার জন্য পাগল হয়ে যাবে আর তুই গার্লফ্রেন্ড নিয়ে ভাব নেছ!!..
~রুদ্র ক্লাসের টাইম হয়ে গেছে।আজ সন্ধ্যায় চাচার দোকানের পাশে দেখা করিস..

ক্লাস শুরু হওয়ার কিছু সময় আগেই। ক্লাসে পিন্সিপাল স্যারের আগমন।
সবাই একসাথে উঠে স্যারকে সালাম দিলো..
স্যার সালামের উওর দিয়ে বলে উঠলো, “প্লিজ.. Sit Down..সবাই কেমন আছো?
সবাই একসাথেঃ আলহামদুলিল্লাহ ভালো.. স্যার আপনি?
পিন্সিপাল স্যারঃ আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।তোমরা তো জানো আজকে তোমাদের নতুন ইংরেজি টিচার আসবে..ইনি হলো ফায়াজ আহমেদ। তোমাদের নতুন ইংরেজি টিচার।

নূর নাম শুনে চমকে দরজার দিকে তাকালো। তারপর আবার নিজে নিজেই বললো, “থুর আমি তো আর মুখ দেখিনি নাম শুনেই চিনবো কিভাবে। আইডিয়া মোবাইল আছে কিসের জন্য। একটা তো পিক তোলাই যায়। বাসায় গিয়ে আপুকে দেখাবো। আহা নূর তুই তো দেখি দিন দিন চালাক হয়ে যাচ্ছিস।বলে নিজের প্রসংশা নিজেই করা শুরু করলো।
ইরিন নূরকে ধাক্কা মেরে বললো,সামনে তাকা।

নূর সামনে তাকিয়ে দেখে স্যুট বুট পড়ে এক সুদর্শন পুরুষ এগিয়ে আসছে।
ইরিনঃ দুস্ত রে আমি তো ক্রাশ খেয়ে ফেলছি স্যারনা যেনো মাকাল ফল।
নূরঃ চুপ থাক।আমার রুদ্র ভাইকে দেখলে তো। তুই শুধু ক্রাশ না এর উপরে কিছু থাকলে সেটা খাবি।
ইরিনঃ তাই তো একদিন ও বাসায় নিস নাই, এবার বুঝলাম।তুই আসলেই কিপটা, তুই কি জানোস না বান্ধবীর সুদর্শন ভাই মানেই জামাই।আর তুই এতো দিন সেই জামাই থেকে আমাকে দূরে রাখছোস।
নূরঃ তোর এই শাকঁচুন্নি মার্কা চেহারার যেনো নজর আমার ভাইদের উপর না পড়ে তাই নেইনি।
ইরিনঃ এভাবে বলতে পারলি। তুই আমার বেস্ট ফ্রেন্ড নাকি শত্রু ফ্রেন্ড।

ফায়াজ ক্লাসে এসে সবার সাথে পরিচিত হয়ে গেছে। পিন্সিপাল স্যার ও চলে গেছে। কিন্তু এদিকে আমাদের মেধাবী দুই ছাত্রীর সেই দিকে কোনো খেয়ালি নেই।ওরা আছে ভাইনিয়ে ঝগড়ায়।
হঠাৎ একটা ডাকে ওরা চুপ হয়ে গেলো।ফায়াজ সামনে থেকে ওদেরকে দাঁড়াতে বললো।
ভয়ে ভয়ে দু’জন দাঁড়িয়ে গেলো।
ফায়াজঃ আপনাদের যদি ক্লাসে ভালো না লাগে।ক্লাস থেকে বের হয়ে যান।
ইরিনঃ সরি স্যার! আর এমন হবে না।
ফায়াজঃ আজ প্রথম দিন তাই বেশি কিছু বলবো না কিন্তু পরবর্তীতে খেয়াল রাখবেন বসেন।
নূরঃ বাপ রে বাপ!! যা ভাবছিলাম! তুই ওই ছেলে হইলে নিজের বোনের সাথে বিয়ে দিমু।কিন্তু এখন মত পাল্টায় ফেললাম। জীবনেও তোর কাছে বোন বিয়া দিমু না হুহ্….

ভার্সিটি থেকে বের হয়ে একটা রিক্সা নিলো মাহি।কিছু দূর আসতেই রিক্সা আর চলে না।জিজ্ঞেস করাতে রিক্সা ওয়ালা বললো,” আফা আফনে বাকিডা হাইটা চইলা জান। আমার রিক্সা মেকানিকের কাছে নিতে হইবো”
মাহি রিক্সার ভাড়া মিটিয়ে হাঁটা ধরলো।কিছু দূরে আসতেই পিচ্ছিল খেয়ে কাঁদার মধ্যে পড়লো।মাহি ভেবে ছিলো সিনেমার হিরোদের মতো না হলেও ভিলেন এর মতো কেউ এসে ওকে ধরবে কিন্তু না কেউ এসে ধরলো না।কিন্তু পিছন থেকে ঠিকি হাসির শব্দ পাচ্ছে। পিছন ফিরলো হাসি দেওয়া গাধা মানুষটিকে দেখতে। যে কিনা একটা মেয়ে পড়ে গেছে সাহায্য না করে বোকা দের মতো হাসছে।

পিছন ফিরে দেখে কালকের সেই ছেলেটা।মাহি কালকের উপকারের জন্য কৃতজ্ঞ থাকলেও এখন এই পড়ে যাওয়া নিয়ে হাসার কারনে ফায়াজ ছেলেটির উপর খুব রেগে যায়।কিছু বলতে যাবে তার আগেই ছেলেটি বলে উঠলো, ” এই যে মিস!! আপনার কি যেখানে সেখানে পড়ে যাওয়ার রোগ আছে নাকি। কাল গাড়ির সামনে আজ আবার কাঁদার উপর বলে আবার হাসা শুরু করলো।

মাহিঃ আপনি তো বললেন একটা মানুষের বিপদে যদি আরেকটা মানুষ এগিয়ে না আসে। সে কেমন মানুষ। আর আজকে আপনি নিজেই একটা অসহায় মেয়ের বিপদ দেখে সাহায্য না করে হাসছেন।
ফায়াজ হাত বারিয়ে দিয়ে বললো, ” উঠে আসুন ”
মাহি ফায়াজের হাত ধরে উঠার পরিবর্তে হাত ধরে উল্টো টান দিয়ে কাঁদায় ফেলে দিলো আর নিজে উঠে গেলো।
মাহিঃ এবার কেমন লাগছে? হাসেন বেশি করে হাসেন!!
কি হলো বুঝতে ফায়াজের একটু সময় লাগলো। মাহি এতো দ্রুত কাজটা করলো যে ফায়াজ বেআক্কেল হয়ে গেলো। যখন বুঝলো তখন খুব রেগে গেলো।সে তো সাহায্যের হাত বারিয়ে দিয়ে ছিলো। আর মেয়েটা কিনা তাকেই ফেলে দিলো।বেয়াদব মেয়ে!!

টিপটিপ বৃষ্টি ঝরছে অবিরত। সন্ধ্যে নামার ঠিক আগ মূহুর্তে ফকফকা আকাশটা কালো মেঘে ছেয়ে গেলো।
এখন বৃষ্টি থেমে গেছে।তবে শাঁ শাঁ করে বাতাস বইছে। এখনো বেশ মেঘলা,আবার বৃষ্টি আসতে পারে। ছাঁদের রেলিং ধরে দাড়িয়ে আছে নূর।মেঘলা আকাশের মতো। তার মনেও আজ মেঘ জমেছে।

আকাশের দিকে তাকিয়ে ভাবছে,”ভালোবাসা বুঝি এমন, যখন আসে একদম টের পাওয়া যায় না।আর যখন চলে যায়, মনটা ভেঙে ক্ষতবিক্ষত করে জানান দিয়ে যায়। ছলনাময় পুরুষরা মনে ভালোবাসার রং লাগাতে সময় লাগে না।আবার তেমনি মন ভেঙে চুরমার করতেও সময় লাগে না।যেদিন প্রথম আদি নূরের দিকে প্রেমিকের নজরে তাকিয়ে ছিলো। সেদিন নূরের কিশোরী মনে এক আকাশ খুশির ঝড় তুলে ছিলো।আসলে সহযে পেয়ে যাওয়া জিনিসের মূল্য থাকে না।
নূর অনুভব করলো ওর পাশে কারো উপস্থিতি। তাকিয়ে রুদ্রকে দেখে অবাক হয়ে গেলো।

নূরঃ আপনি?
রুদ্রঃ হুম আমি.. এ অবেলায় তুমি এখানে কি করছো।
নূরঃ আকাশ দেখি।
রুদ্রঃ আকাশে দেখার মতো তো আমি কিছু দেখছি না।

এই অবেলায় তুমি পর্ব ৭+৮

নূরঃএই যে দুপুরের দিকেও আকাশ কতো ফকফকে পরিস্কার ছিলো।বিকেলের দিকে সেই আকাশ কালো মেঘে ছেয়ে গেলো। ঝরঝর করে বৃষ্টির স্রোত নামলো।এখন আবার সব কিছু শান্ত। মানুষের মন আর আকাশের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই।কখন কার মন পাল্টে যাবে কেউ বলতে পারে না। তাই ভাবছি।
রুদ্রঃ মানুষ বলতেই পরিবর্তনশীল আর আকাশ তার তো কাজই ক্ষনে ক্ষনে নিজের রূপ পাল্টানো।
নূরঃ আপনি কখনো কাউকে ভালোবেসে ছেন?

এই অবেলায় তুমি পর্ব ১০