এক বিন্দু ভালোবাসা দাও পর্ব ৩

এক বিন্দু ভালোবাসা দাও পর্ব ৩
আদ্রিতা জান্নাত অরিন

নোটনের কথা শুনে সমুদ্র আর রাইমা দুইজনে অবাক কারণ রাইমা মনে করেছিলো নোটন সমুদ্রকে জোর করে নিজের কাছে রাখতে চাইবে। কিন্তু রাইমার প্রত্যাশিত কোনো কাজ নোটন করে নাই এখন মনে হচ্ছে নোটন খুশি হয় যদি রাইমার সাথে সমুদ্রের বিয়ে হয়। নোটন ওদের দুইজনের মুখ দেখে মনে মনে একটা সয়তানি হাসি দেয়। রাইমা বলে –
“- তোমার যদি সমুদ্রের প্রতি কোনো আগ্রহ না থাকে তাহলে তখন ডিভোর্স হতে দাও নাই কোনো? ছয়মাসের চুক্তি করে সমুদ্রের কোনো সমুদ্রের বউ হিসাবে থাকতে চাও?
-” কারণ এই চৌধুরী বাড়িতে থাকার জন্য আমার একটা পরিচয়ের দরকার ছিলো। আর রাইমা তুমি কি করে ভাবলে যে আমি তোমার মতো এইরকম বোকা যে আমি সমুদ্রের মতো এইরকম বেকার আর চরিএহীন পুরুষকে জোর করে নিজের করার চেষ্টা করব।
রাইমা নোটনের কথা শুনে বলে –

“- নোটন তুমি নিজেকে কি মনে করো?
“- অবশ্যই তোমার থেকে বেটার রাইমা “।
নোটনের এইরকম জবাব শুনে রাইমার রাগ হয় সমুদ্র শুধু এতোখন নোটনের কথা শুনে যাচ্ছে। তিনবছর আগে যে নোটনকে দেখে গিয়েছিলো আজকে তার সাথে কোনো মিল নাই। সমুদ্র বলে –
“- নোটন আপনি রাইমার সাথে এইরকম করে কথা বলতে পারেন না। আর রাইমার থেকে আপনি কোনোদিন বেটার হতে পারেন না আপনি একটা লোভী আর চরিএহীন মেয়ে.
“- যার নিজের কোনো চরিত্র নাই তার চরিএ নিয়ে জ্ঞান দেওয়া মানায় না। আর জ্ঞান দেয় জ্ঞানী মানুষ আপনার মতো এইরকম থার্ড মানুষ জ্ঞানী নয় “।
সমুদ্র কোনো কথা বলার আগে নোটন তাদের দরজা দেখিয়ে বেরিয়ে যেতে বলে কারণ এইসব আগলা পিরিত নোটনের সয্য হয় না। সমুদ্র আর রাইমা রুম থেকে বেরিয়ে যায় রাইমা বাহিরে বের হয়ে নোটনের কথা ভাবতে থাকে। সত্যি যদি সে সমুদ্রকে বিয়ে করে তাহলে তাকে গরিবের মতো করে চলতে হবে দুমুঠো ভাত খেয়ে সারাদিন কাটাতে হবে। সমুদ্র রাইমাকে এইরকম চিন্তা করতে দেখে বলে –

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

“- কি হয়েছে রাইমা কোনো সমস্যা? তুমি কি নোটনের কথায় খারাপ লেগেছে?
“- না সমুদ্র তেমন কিছু না আমি একটু রুমে যাবো ভালো লাগছে না আমার এইসব। তুমি ও যাও সমুদ্র রুমে গিয়ে ঘুমিয়ে পড়ো “।
রাইমা কথাটা বলে চলে যায় সমুদ্র রাইমার এইরকম ব্যবহার দেখে একটু অবাক হয় কোনো জানি মনে হচ্ছে রাইমা তাকে ইগনোর করছে। সমুদ্র কোনো কথা না বলে নিজের রুমে চলে যায় যেখানে নোটন রয়েছে। নোটন দরজার সামনে সমুদ্রকে দেখে বলে –
“- কি হয়েছে মিস্টার সমুদ্র আপনি এখানে? মানে প্রেমিকার সাথে ঘুমাবেন না যান রাইমার সাথে ঘুমিয়ে পড়ুন গিয়ে”।
“- রাইমার সাথে আমার এখনো বিয়ে হয় নাই ওর সাথে আমি এক রুমে কি করে থাকতে পারি। আর এই রুমটা আমি কোনো অন্য জায়গায় ঘুমাতে যাবো নোটন “।

“- সমুদ্র আপনার কথার মানে কি যানেন ভুতের মুখে রাম নাম দেশে বউ রেখে যেই প্রেমিকার সাথে এতো বছর বিদেশে প্রেম করে করতে পারলেন। আজকে তার সাথে বিয়ে হয় নাই দেখে থাকতে পারবেন না কি ফানি কথাটা “।
নোটনের চোখে বেশ ঘুম চলে আসে আর জন্য সে বেডে শুয়ে পড়ে আর সমুদ্র মুখ ফিরিয়ে অন্য পাশে শুয়ে পড়ে। নোটন চোখ বন্ধ করে নেয় তবে কোনো জানি ঘুম আসছে না। একটু আগে সমুদ্র আর রাইমা একে অপরকে জড়িয়ে ধরেছে সেই কথাটা মনে পড়ে। নোটন শান্ত গলায় বলে –
“- সমুদ্র আপনি রাইমাকে অনেক ভালোবাসেন?
সমুদ্রের চোখে কখনো ঘুম আসে নাই তাই সে নোটনের কথাটা শুনতে পায়। নোটনের গলাটা অনেক শান্ত আর অসহায় মনে হলো সমুদ্রের কাছে একটু আগে যার কণ্ঠে তেজ ছিলো এখন সেটা শান্ত। সমুদ্র এইপাশ ফিরে নোটনের দিকে তাকিয়ে বলে –

“- হুম খুব ভালোবাসি রাইমাকে আমি। অনেক অনেক ভালোবাসি “।
সমুদ্রের কথা শুনে নোটন একটু ওর চোখের দিকে তাকায় সত্যি রাইমার জন্য সমুদ্রের মনে ভালোবাসা অনুভব করছে নোটন। নোটনের মনটা কোনো যানি বিষণ্নতা দিয়ে ভরে উঠে বুকের মধ্যে অসম্ভব কষ্ট হচ্ছে তার। সমুদ্র বলে –
“- একটা সত্যি কথা বলুন নোটন আমার প্রতি কি আপনার কোনো আগ্রহ নাই?
“- না নাই সমুদ্র। টাকা ছাড়া নোটনের আর কোনো জিনিসের প্রতি আগ্রহ নাই আমি শুধু আপনার সম্পত্তি চাই আপনাকে না “।
“- হুম সেটা আমি খুব ভালো করে জানি আপনার মতো লোভী মেয়েরা আর টাকা ছাড়া কোনো জিনিসের প্রতি জীবনে ও আগ্রহ দেখবে না। এই জন্য ঘৃণা করি আপনাকে আমি নোটন অনেক বেশি ঘৃণা করি “।
সমুদ্র আর নোটনের দুইজনের চোখ মিলিত হয় তারা একে অপরের কতো কাছে তবুও যেনো কতো দূরে। সমুদ্র সময় নোটনের দিকে তাকিয়ে থাকতে পারে নাই তাই চোখ সরিয়ে অন্য পাশে ফিরে শুয়ে পড়ে। সমুদ্রের মুখে ঘৃণা করি শব্দটা শুনে নোটনের চোখে এক বিন্দু পানি ঝমে যায় নোটন একটা দীর্ঘ নিশ্বাস ছাড়ে আর বলে –
“- এই পৃথিবীতে নারীরা সবচেয়ে অবহেলিত কোনো হয় যখন দুর্বল থাকে তখন সবাই তাদের আঘাত করে। যার যখন তারা প্রতিবাদী হয় তখন সবাই তাদের অহংকারী মিথ্যাবাদী আর লোভী মনে করে। সমুদ্র আপনি শুধু আমার বাহিরের রাগী রূপটা দেখলেন কিন্তু একবার ও এই নোটনের ভিতরের কষ্ট অভিমান দেখলেন না।
নোটন আরো বলে –

“- সমুদ্র আপনার বলা প্রতিটা খারাপ কথা মিথ্যা অপবাদ আমার বুকে তীরের মতো বিঁধে কি অসহ্য কষ্ট হয় সেটা হয়তো আপনি জানেন না। একজন নারী যতই কঠোর আর শক্তিশালী হোক না কোনো নিজের স্বামীকে অন্য কারো সাথে দেখলে তার ভীষণ কষ্ট হয়। কিন্তু আপনারা পুরুষ মানুষ সেটা কখনো বুঝতে পারবেন না শুধু সারাজীবন বেঈমানি করে যাবে “।
নোটন কথাটা বলে চোখের কোণে জমে থাকা জলকে মুছে পাশে থাকা ফোনটা হাতে নিয়ে তার আব্বুকে মেসেজ দেয়। এরপর একটা এর্লাম সেট করে ঘুমিয়ে পড়ে সমুদ্র আজকে অনেক টার্য়াড তাই তার চোখ জুড়ে ও নিদ্রার ছায়া নামে।
ভোর হয়ে গেছে তবে আশেপাশে এখনো অন্ধকার রয়েছে নোটনের ফোনে এর্লাম বেজে উঠে। নোটন এর্লামের শব্দ শুনে ঘুম থেকে উঠে বাহিরে ফজরের আযান শুনা যাচ্ছে সেটা দেখে নোটন বিছানা ছেড়ে উঠে যায়। নোটন ওয়াশরুম থেকে ফ্রেশ হয়ে বাহিরে এসে দেখে সমুদ্র এখনো ঘুমিয়ে রয়েছে। নোটন সেটা দেখে আবার ওয়াশরুমে যায় সেখান থেতে একটা মগ নিয়ে আসে আর সমুদ্রের শরীরে ছুঁড়ে মারে।
হঠাৎ করে ঘুমের মধ্যে শরীরে পানি পড়ায় সমুদ্র ঘুম থেকে উঠে পড়ে নিজের শরীরের দিকে তাকিয়ে দেখে পানি দিয়ে সারা শরীর ভিজে গেছে। সমুদ্র রাগী দৃষ্টিতে তাকিয়ে বলে –

“- নোটন কি শুরু করেছেন আপনি? এইরকম করে ঘুম থেকে কে উঠায় এইসব করার মানে কি?
“- মানে খুব সাধারণ সমুদ্র ফজরের আযান দিয়েছে তাই নামাজ পড়তে যান। আর বিছানা যদি নষ্ট হয় তাহলে হাজার বিছানা কিনে আনা যাবে কিন্তু যদি সময় নষ্ট হয় তাহলে সেটা ফিরে পাওয়া যায় না। সো চুপচাপ গিয়ে ওয়াশরুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে আসুন “।
“- আমি এখন নামাজ পড়তে পারব না খুব ঘুম পাচ্ছে আমার। ঘুমাতে দেন “।
“- দেখুন সমুদ্র ঘাড়ত্যাড়াকে ত্যাড়ামি শিখ্তে আসবেন না চুপচাপ ঘুম থেকে উঠে ওয়াশরুমে যান। আর না হলে আমি এই নোটন যে এখন আপনার সাথে কি করব সেটা আপনি নিজে ও জানেন না তাই ঘুম থেকে উঠুন বলছি “।
সমুদ্র নোটনের দিকে দেখে নোটনের চোখ মুখ দেখে সমুদ্র একটু ভয় পায় তারপর বিছানা ছেড়ে উঠে ওয়াশরুমে যায়। সমুদ্রের যাওয়া দেখে নোটনের মুখে একটু হাসি ফুটে উঠে কিন্তু এখনো এই বাড়ির মানুষকে উঠানো বাকি। নোটন রুম থেকে বের হয়ে যায় এরপর রান্না ঘরে গিয়ে একটা বাসন নিয়ে জোরে জোরে বাজাতে থাকে।ভোরে এইরকম শব্দ শুনে চৌধুরী বাড়ির সবাই বেশ বিরক্ত হয় শব্দটা ক্রমশ বেড়ে যাচ্ছে।
চৌধুরী বাড়ির সকলে অতিরিক্ত শব্দের কারণে ঘুম থেকে উঠে লিভিং রুমে আসে সেখানে এসে দেখে নোটন হাতে একটা বাসন দেখে সবাই অবাক। মলি বেগম বলে –

“- নোটন কি সমস্যা তোমার এতো সকালে এইরকম করে বাসন হাতে নিয়ে জোরে জোরে শব্দ কোনো করছো।তোমার জন্য কি শান্তিতে একটু ঘুমাতে পারব না আমরা “।
“- চাচি মণি আমার হাতের বাসনের শব্দ আপনার কানে গিয়ে পৌঁছাতে পেরেছে কিন্তু আযানের কানে পৌঁছাতে পারে নাই। সবাই চুপচাপ ওয়াশরুম গিয়ে ফ্রেশ হয়ে নামাজ পড়ার জন্য রেডি হন আর বাড়ির সকল পুরুষ সুন্দর করে মসজিদে চলে যান “।
আহনাফ চৌধুরী বলে –
“- এখন কি তোমার থেকে শিখতে হবে আমাদের কখন নামজা পড়তে হবে আর কখন ঘুম থেকে উঠতে হবে। আমার অফিসে একটা জরুরি কাজ রয়েছে তাই এখন ঘুমানো অনেক দরকার। আর তোমার কথায় সবকিছু করতে আমরা বাধ্য নয় “।
“- বাধ্য মানে অবশ্যই বাধ্য এই বাড়িটা আমার তাই এখানে যা কি হবে সেটা ও আমি ঠিক করব।এই নোটন এক কথা বারবার বলতে পছন্দ করে না তাই যা বলছি তাই করেন “।
নাবিলা চৌধুরী বলে –
“- নোটন তুমি কিন্তু অতিরিক্ত করছো?

“- যদি এখন আপনারা নামাজ না পড়েন তাহলে অতিরিক্ত কি জিনিস সেটা দেখবেন আপনারা। এই নোটনের আসল চেহারা দেখাতে বাধ্য করবেন না তাই তাড়াতাড়ি যান আর যা বলছি তাই করেন। যান “।
নোটনের শেষের কথাটা বেশ জোরে বলেছে যেটার কারণ পুরো চৌধুরী বাড়ি কেঁপে উঠেছে। আহনাফ চৌধুরী সহ বাড়ির সবাই কোনো উপায় না পেয়ে সবাই নোটনের কথা মেনে নেয় আর বাড়ির পুরুষ মানুষ মসজিদে চলে যায়। আর বাড়ির মহিলারা চলে একটা রুমে নামাজ পড়ে নেয় যেটা দেখে নোটন একটা তৃপ্তির হাসি হাসে। নোটন বলে –
“- মা চাচি ভাবী আর লিজা চলেন বাগানে যায় সেখানের থাকা গাছকে পানি দিতে হবে।
“- কোনো বাড়ির মালি রয়েছে তারা থাকতে আমরা কোনো পানি দিবো। আর আমি এখন ঘুমাতে যেতে চাই “।
“- একটা কথা আমাকে দিয়ে বারবার বলাতে কি ভালো লাগে আপনাদের যেটা বলছি সেটা করুন “।
নোটনের কথা শুনে সবাই বাগানে যায় একটা সুন্দর মিষ্টি হাওয়া ভেসে রয়েছে। সকলের প্রাণ জুড়িয়ে যায় সেখানে নাবিলা বেগম সহ বাড়ির মহিলাদের বেশ ভালো লাগে। এরপর সকাল আটটার সময় নোটন বলে –
“- মা চাচি চলুন রান্না ঘরে যায় সবাই নয়টার মধ্যে নাস্তা করবে নিশ্চয়ই চলুন “।
“- রান্না করব মানে বাড়ির কাজের লোকেরা রয়েছে তারা রান্না করবে। আর আমি এইসব রান্না করতে পারি না পরে দেখা যাকে কেউ আমার রান্না করা খাবার খেতে পারবে না.

“- দেখুন মা আর চাচি কাজের লোক সব বাড়িতে থাকে তাই বলে কি বাড়ির মহিলারা রান্না করবে না। আর আপনারা চলুন রান্নাঘরে আমি আছি সব শিখিয়ে দিবে চলুন “।
নাবিলা বেগম আর মলি বেগম রান্না ঘরে যায় সেখানে নোটন তাদের গ্যাসের চুলা জ্বলাতে বলে। ওনারা ভয় পেলে নোটন গিয়ে চুলা জ্বালিয়ে দেয় এরপর একজনকে চাল ধুয়ে নিয়ে আসতে বলে আর আরেকজনকে সবজি কাটতে বলে। মলি বেগম যখন চাল ধুতে যায় তখন তিনি চাল একটু ফেলে দেন নোটন সেখানে গিয়ে ওনাকে বলে –
“- এইরকম করে না চাচি। এই বাসনের নিচে হাত দিয়ে আস্তে আস্তে পানি জড়ান দেখবেন পড়বে না “।
মলি বেগম নোটনের দেখানো অনুসারে কাজ করে পরে আর চাল পড়ে যায় নাই। নাবিলা বেগম সবজি কাটতে না পারছে না নোটন এসে ওনাকে সবজি কাটা শিখিয়ে দেয় এরপর বলে –
“- এখন এক চুলায় ভাত অন্য চুলায় তরকারি বসিয়ে দেন।
“- ওকে.
“- এরপর তেল দেন আরে এতো কম দেন। আর চালে পানি দেন “।
নাবিলা বেগম আর মলি বেগম প্রথমে বিরক্ত নিয়ে করলে ও পরে রান্না করো ইনজয় করতে থাকে। নাবিলা বেগম বলে

এক বিন্দু ভালোবাসা দাও পর্ব ২

“- এই মলি দেখো আমার সবজি কি সুন্দর সিদ্ধ হয়ে গেছে আর কতো দারুণ কার্লার হয়েছে “।
“- হুম ভাবি আর আমার ভাত দেখুন কি সুন্দর ফুটে গেছে আর কত সুন্দর পুড়ো হাঁড়ির ভর্তি হয়ে গেছে “।
নোটন ওনাদের কথা শুনে হাসে এরপর আরো কিছু রান্না করে সবাই মিলে। নোটনের কি ভাগ্য যেখানে বিয়ের পর শাশুড়ি আর চাচি শাশুড়ী মিলে বউদের রান্না শিখায় সেখানে তাকে তার শাশুড়ীকে শিখাতে হচ্ছে। নাবিলা বেগম আর মলি বেগমের মুখে হাসি দেখে নোটন বলে –
“- সরি মা সরি চাচি আপনারা আমার থেকে বড়ো এইরকম ধমক দিয়ে বা বাধ্য করে কিছু করাতে চাই নাই আমি।কিন্তু আপনাদের শিক্ষা আর সঠিক পথে নিয়ে আসতে এইরকম করতে হবে। বড়দের সাথে এইরকম ব্যবহার করার জন্য আমাকে মাফ করে দিয়েন

এক বিন্দু ভালোবাসা দাও পর্ব ৪