এক মুঠো কাঁচের চুরি পর্ব ৩০

এক মুঠো কাঁচের চুরি পর্ব ৩০
Fabiha bushra nimu

তানহা মুখ ভার করে আছে।ইফাদ তানহার দিকে অসহায় দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে।মাঝে মাঝে কাপড়ে দু’একটা বারি দিচ্ছে।রাত করে কাপড় কাঁচার শব্দ পেয়ে,রোকেয়া বেগম বাহিরে আসলেন।ওয়াশরুমের কাছে আসতেই চোখ গুলো গোল গোল হয়ে গেল।অবাক দৃষ্টিতে ছেলে আর ছেলের বউয়ের দিকে তাকিয়ে আছেন।

–তানহা তোমার কোনো কান্ড জ্ঞান নেই।তুমি রাত করে কাপড় ধুইতে আসছো।আমরা কি এতটাই খারাপ মা।যে,তুমি কাজ না করলে,আমরা তোমাকে কথা শোনাবো।কাপড় গুলো কালে-ও পরিষ্কার করতে পারতে।
–আম্মা আমি কিছু বলবো না।আপনার গুনধর ছেলেকে বলেন।রান্নাটা মাত্র শেষ করেছি।এসে দেখি এই কাজ করে বসে আছে।

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

–ছেলে মানুষের এই একটা স্বভাব নিজে তো’ কাজে সাহায্য করবে না।উল্টা আরো কাজ বাড়িয়ে দিবে।ইফাদের বাবা টাও এমন ছিল।ছেলে ঠিক বাপের মতোই হয়েছে।সারাদিন মেয়েটা কাজ কাম করে।মেয়েটাকে একটু শান্তি দিস।কাজের লোক পেয়েছিস।আমি’ও এতটা কাজ করাই না তানহাকে দিয়ে।

–আম্মু আমাকে বকছো কেনো?আমি তো’ তানহার ভালোই করতে চেয়ে ছিলাম।
রোকেয়া বেগম কিছু বললেন না।চৈতালির রুমের দিকে গেল।চৈতালি বই পড়ছিল।মাকে আসতে দেখে মায়ের দিকে তাকালো।রোকেয়া বেগম মেয়ের মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে দিতে বলল।
–বিকেলে কিসের নামাজ পড়ছিলি মা’।চৈতালির মায়ের কথায় চমকে উঠলো।মা কি সবকিছু শুনে,ফেলল।
–আসলে আম্মু নফল নামাজ পড়ছিলাম।

–আছরের ওয়াক্ত থেকে মাগরিবের আগ পর্যন্ত কোনো নফল নামাজ আদায় হয় না মা’।আমার রুমে হাদিসের বই আছে।সেখানে সবকিছু সুন্দর ভাবে ব্যাখ্যা দেওয়া আছে।সঠিকটা জেনে নিস আচ্ছা মা।
–আমি তো জানতাম না আম্মু।এখন জানলাম।এখন থেকে এমন ভুল আর হবে না।আমি ঘুমানোর আগে তোমার রুম থেকে হাদিসের বইটি নিয়ে এসে পড়ব।রোকেয়া বেগম মেয়ের কপালে আদর করে দিলেন।মেয়েটাকে দেখলে আজকাল বড্ড মায়া হয়।

–আম্মু ভাবিকে বলো না।ভাবি যেনো আমাকে মাফ করে দিয়ে,আমার সাথে কথা বলে।
–তুই ভুল করেছিস।তুই মাফ চাইবি।আমার তানহার মন অনেক ভালো।ও তোকে ঠিক মাফ করে দিবে।আগের মতো ভালোবাসতে পারবে কি না জানি না।তবে তোকে ফেলেও দিবে না।চৈতালি মাথা নিচু করে ফেলল।
–মন খারাপ করিস না মা।সবকিছু আগের মতো হয়ে যাবি।তোর ভাইটা একদম বাবার মতো হয়েছে।কাজ কমিয়ে দেওয়া বদলে বাড়িয়ে দিয়েছে।মেয়েটাকে রাত করে কাপড় ধুইতে হচ্ছে,বলেই রোকেয়া বেগম চলে গেল।কাপড় ধুইতে গিয়ে তানহার অনেকটা সময় চলে গিয়েছে।ইফাদকে মসজিদে পাঠিয়ে দিয়েছে।নিজের কাজ শেষ করে,কাপড় বদলে নিজেও নামাজে দাঁড়িয়ে গেল।

অনেক দিন পরে রাতে সবাই একসাথে খেতে বসেছে।চৈতালি তানহার সাথে একটু কথা বলার জন্য ছটফট করছে।ইফাদের ভয়ে কিছু বলতে পারছে না।সবাই চুপচাপ খাচ্ছে।খাওয়া শেষ করে সবাই রুমে চলে গেল।
ইফাদ তানহার সামনে কাচুমাচু হয়ে দাঁড়িয়ে আছে।কিছু একটা বলবে,তানহার গম্ভীর মুখের দিকে তাকিয়ে বলতে পারছে না।তবুও নিজেকে ঠিক করে,নরম কণ্ঠে বলল।

–বউজান একটা কথা বলবো।
তানহা তিক্ষ্ণ দৃষ্টিতে ইফাদের দিকে তাকালো।
–এমন ভাবে বলছো।আমি তোমার বউ না প্রেমিকা।
–আমি একটু বাহিরে যাব।বেশি দূরে না।পাড়ার মোড়ে যাব।চা খেয়েই চলে আসবো।
তানহা ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখলো দশটা বাজে,রেগে বলল।
–রাত করে তুমি আমার সাথে মজা করছো।রাত দশটার সময় কেউ চা খেতে যায়।
–হরি দাদার দোকান রাত বারোটা পর্যন্ত খোলা থাকে।

–তুমি কি করে জানলে,সত্যি করে বলো।এত রাতে কি করতে যাবে।অন্যদিন তো কোথাও যাও না।এই তুমি প্রেম-ট্রেম করছো না তো’।এত রাতে কার সাথে দেখা করতে যাবে।
–আস্তাগফিরুল্লাহ ঘরে বউ রেখে আমি কেনো পাপ কাজে,লিপ্ত হব।
–ছেলে মানুষ বিশ্বাস নেই।আজকাল তুমি আমার সাথে ভালো করে কথা বলো না।আমাকে কেমন এড়িয়ে এড়িয়ে চলো।তোমার হাবভাব সুবিধার ঠেকছে না।জীবনের মায়া থাকলে,মাথা নিচু করে যাবে।দশ মিনিটের মধ্যে চা খেয়ে চলে আসবে।
–এর নামই বউজাতি খালি সন্দেহ আর সন্দেহ।হালকা করে হুমকি দিয়ে দিল।
–কিছু বললে,,

–না রাত হয়ে যাচ্ছে।আমি আসছি।বলেই ইফাদ চলে গেল।তানহা একটা ছোট কাঁথা সেলাই করছে।ক’দিন আগেই সেলাইয়ের ভুত মাথায় চেপে বসেছে।সময় পেলেই কাঁথা সেলাই করতে বসে যায়।আজকে-ও তার ব্যতিক্রম নয়।
চৈতালি দরজার সামনে দাঁড়িয়ে আছে।একবার ভাবছে কথা বলবে,আরেকবার ভাবছে চলে যাবে।দ্বিধা-দন্ড নিয়ে বলেই ফেলল ভাবি আসবো।তানহা একবার চৈতালির দিকে তাকালো।আবার নিজের কাজে মনযোগ দিল।ভাই নেই।এটাই সুযোগ ভাবির সাথে কথা বলার।চৈতালি রুমের মধ্যে এসে তানহার পাশে বসলো।

–ভাবি আমার সাথে কথা বলবে না।মাথা নিচু করে আছে চৈতালি।দু’জনেই নিরব।তানহা চৈতালির দিকেই তাকিয়ে আছে।মেয়েটার মুখের দিকে তাকালেই মায়া হচ্ছে,তবুও মুখে কিছু বলছে না।চুপ করে আছে।হঠাৎ করেই চৈতালি তানহার দু’হাত ধরে হাউমাউ করে কান্না করে দিল।অপরাধবোধ মেয়েটাকে কুঁড়ে কুঁড়ে খাচ্ছে।কান্না করতে করতেই বলে উঠলো।

–ভাবি আমি জানি আমি অনেক বড় অন্যায় করে ফেলছি।আমি তোমাকে মনে আঘাত দিয়ে অনেক কথা বলেছি।আমি সেসব কথা ফিরিয়ে নিতে পারবো না।তোমার কষ্টগুলো মুছে দিতে পারবো না।কিন্তু বিশ্বাস করো।আমি শপথ করতে পারি।আজকের পর থেকে,তোমাকে আর কখনো কষ্ট দিব না।আমি আর এই অপরাধের বোঝা বইয়ে নিয়ে বেড়াতে পারছি না।ভেতর থেকে শেষ হয়ে যাচ্ছি।ও ভাবি নিজের বোন মনে করে আমাকে মাফ করে দাও না।আমি আর কখনো তোমাকে কষ্ট দিব না।তুমি কষ্ট পাও।এমন কোনো কাজও আমি করবো না।ভাবি রে’ ভাবি প্লিজ আমাকে মাফ করে দাও।তুমি না বড় ভাবি।ছোটরা কতো ভুল করে,সেই ভুলগুলো বড়রাই মাফ করে তাই না ভাবি।

চৈতালির চোখের পানি দেখে,তানহা-ও কান্না করে ফেলল।দু-চোখ বেয়ে অশ্রু গড়িয়ে পড়ছে।মুখ দিয়ে কথা আসছে।এভাবে বললে,কেউ রাগ করে থাকতে পারবে না।তানহা-ও চৈতালির সাথে কথা বলতে চাচ্ছে,কিন্তু কথাগুলো গলায় এসে আটকে যাচ্ছে।তানহা নিজের চোখের পানি আড়াল করার জন্য উঠে অন্য দিক হয়ে দাঁড়াল।চোখের পানি মুছে,সামনে দিকে ঘুরতেই চৈতালি তানহার দু’পা আঁকড়ে ধরলো।

–আমাকে মাফ করে দাও না ভাবি।আমি আর তোমাকে কষ্ট দিব না।আমি আমার সব কথা ফিরিয়ে নিচ্ছি।তুমি আমার সাথে কথা বলো না।আমার খুব কষ্ট হচ্ছে,বিশ্বাস করো।আবির স্যারের জন্য আমার কোনো অনুভূতি কাজ করছে না।আমার সব থেকে বেশি কষ্ট হচ্ছে,তুমি আর ভাইয়া আমার সাথে কথা বলছো না।আমার জন্য তোমাদের মাঝে দুরত্ব সৃষ্টি হয়েছে।আমি একটা সাজানো গোছানো পরিবারকে শেষ করে ফেলছি।ও’ ভাবি মানুষ কত বড় বড় ভুল করে,কেউ খুন করে।কেউ অন্যের সম্পদ আত্মসাত করে খায়।তারাও তাদের প্রিয়জনের কাছে ক্ষমা পায়।আমি না হয় একটা ভুল করেছি।এর জন্য আমাকে তোমরা মাফ করবে না।আমাকে মাফ করে দাও না।আমি আর কখনো তোমাদের কষ্ট দিব না।বলছে আর কান্না করছে।তানহা আর নিজেকে ধরে রাখতে পারলো না।চৈতালি তুলে নিজের বুকে জড়িয়ে নিল।দু’জনেই শব্দ করে কান্না করছে।

আড়াল থেকে ননদ ভাবির মিলন দৃশ্য দেখে,রোকেয়া বেগমর চোখে পানি চলে আসলো।ইফাদের মুখে হাসি বিদ্যমান।রোকেয়া বেগম আর ইফাদ দু’জন মিলে,পরামর্শ করেছিল।কিভাবে দু’জনকে মেলানো যায়।অবশেষে দু’জন সফল হলো।দুজনের মুখে তৃপ্তির হাসি ফুটে উঠলো।

তানহার কান্নার গতিবেগ কমে এসেছে।চৈতালি তানহাকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে কান্না করছে।তানহা চৈতালির মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছে,মেয়েটা সত্যি ভেতর থেকে অনুতপ্ত।মেয়েটার চোখের পানি বুঝিয়ে দিচ্ছে,সে তার বলা কথা গুলোর জন্য কষ্ট পাচ্ছে।ইফাদ হঠাৎ করেই ধমকে দিয়ে উঠলো।

–কিরে তোকে নিষেধ করেছি না।আমার বউয়ের কাছে আসবি না।হঠাৎ ধমক দেওয়াতে চৈতালি চমকে পেছনে ঘুরে ইফাদের দিকে তাকালো।চোখ দু’টো লাল হয়ে আছে।চোখে দিয়ে পানি গড়িয়ে গড়িয়ে পড়ছে।চৈতালি ভাইয়ের পা ধরতে যাবে।তার আগেই ইফাদ চৈতালি ধরে বুকে আগলে দিল।

–বোকা মেয়ে তোর স্থান পায়ে নয়।তোর স্থান আমার বুকে।তুই আমার একটা মাত্র বোন।
তানহা ইফাদের কাছে থেকে চৈতালিকে কেঁড়ে নিয়ে একহাতে জড়িয়ে নিল।
–খুব তো’ বোন বোন করছো।বোনকে তো ঠিকি কষ্ট দিয়েছো।তুৃমি জানো না।ও ছোট।আর ছোটরা ভুল করতেই পারে।আর সেই ভুল মাফ করে দেওয়া,বড়দের দায়িত্ব।তুমি চৈতালির অবস্থা জানতে না।আমি না হয় চৈতালির কেউ হই না।তুমি নিজের ভাই হয়ে,কিভাবে চৈতালিকে কষ্ট দিতে পারলে।যখন চৈতালিকে কিছু বলার দরকার ছিল।তখন কিছু বলো নাই।অসুস্থ অবস্থায় মেয়েটার মাথায় চাপ দিয়েছো।

–চাপ দিয়েছি জন্যই তোমার ননদ তোমার কাছে এসেছে।যার জন্য করলাম চুরি।এখন সেই বলে চোর।আমি যদি চৈতালিকে এমন চাপের মুখে না রাখতাম।তাহলে চৈতালি আমাদের কথা ভাবতো বলো।ধরো তুমিও চৈতালিকে মাফ করে দিয়েছো।আমিও মাফ করে দিয়েছি।এখন চৈতালির মাথা ফাঁকা আছে।চৈতালির যা মনের অবস্থা।চৈতালি উল্টা-পাল্টা চিন্তা করবে।এতে চৈতালি মানসিক ভাবে ভেঙে পড়তো।

আমি ওর সাথে কথা বলি নাই।তোমার কাছে আসতে দেয় নাই।এতে চৈতালির মনে বাহিরের চিন্তা মাথা থেকে বের হয়ে গিয়েছিল।চৈতালির মনে পরিবারের চিন্তা প্রবেশ করেছিল।ভাই আমার সাথে কথা বলে না।ভাবির সাথে কথা বলতে দেয় না।কিভাবে সবকিছু ঠিক করা যায়।সেসব ভাবছিল।অনুতপ্ত হয়েছে।নিজের করা ভুলের জন্য।আমি যদি খারাপ ব্যবহার না করতাম।তাহলে এসব করতো।উল্টা-পাল্টা চিন্তা করতো।

তাই কখনো কখনো কিছু ভালোর জন্য খারাপ করতে হয়।চৈতালি আমার নিজের বোন হয় না।ওর সাথে খারাপ ব্যবহার করতে আমার কষ্ট হয় নাই।তোমার সাথে কথা বলি নাই।কারন এটা তোমার শাস্তি।চৈতালির অনেক বড় বড় ভুল তুমি লুকিয়ে গিয়েছো।একজনের সাথে খারাপ ব্যবহার করলে,আরেকজন মন খারাপ করবে।তাই দু’জনকেই শাস্তি দিয়েছি।এখন চৈতালি তানহাকে ভয় পাচ্ছে।নিজের ভুলের জন্য অনুশোচনা করছে।তানহা এখন সব কথা আমাকে বলে,কোনো কিছু লুকায় না।আমার খারাপ ব্যবহারের জন্য কাদের ভালো এবার বলো।

–ভাইয়া তুমি কিন্তু খুব চালাক।আমি বিশ্বাস করতে পারছিলাম না।আমার ভাইয়া আমার সাথে এমন ব্যবহার করছে।আমি তো এটাই ভুলে গিয়ে ছিলাম।আমার ভাইয়া ঠান্ডা মাথার মানুষ।
ইফাদ আবার ধমকে উঠলো।এই তুই আবার আমার বউয়ের কাছে গিয়েছিস।আজকে তোর একদিন কি আমার একদিন।
চৈতালি অসহায় দৃষ্টিতে তাকালো।রোকেয়া বেগম ইফাদের দিকে তাকিয়ে বলল।

–আহ ইফাদ মেয়েটাকে আর ভয় দেখাস না।মেয়েটা এমনি অনেক কষ্ট পেয়েছে।আর চৈতালি কথায় কথায় কারো পায়ে হাত দিবি না।আল্লাহ ছাড়া কারো সামনে মাথা নত করবি না।এক কথা কতদিন বলতে হয়।জেনেশুনে এই ভুলগুলো আমরা অনেকেই করি।এসব ভুল আর কখনো করবি না।মনে থাকবে।

চৈতালি মাথা নাড়িয়ে সন্মতি জানালো।কতদিন পরে মেয়েটার মুখটা হাসোজ্জল হয়ে উঠলো।খুশি হয়ে বলল।
–আম্মু আমি আজকে আমার বউকে আমার রুমে নিয়ে যাব।আর সারারাত মাফ চাইবো।
ইফাদ ভ্রু কুঁচকে চৈতালির দিকে তাকালো।গম্ভীর কণ্ঠে বলল।

এক মুঠো কাঁচের চুরি পর্ব ২৯

–তানহা তোর বউ মানে,তোর সাহস কম না।আমার বউকে নিজের বউ বলে দাবি করছিস।দেখ বোন।তুই আমার কলিজার বোন।তোকে সবকিছু দেওয়ার চেষ্টা করি।আমাকে মাফ কর।আমার বউয়ের ভাগ দিতে পারবো না।
–তোমার বউ মানে,আমার বউ।আমাদের বউ।এই বাড়ির বউ।তার মানে ভাবি এই বাড়ির সবার বউ।
চৈতালির কথা শুনে সবাই হেসে দিল।ইফাদ মুখটা গম্ভীর করে রাখলো।ইফাদের গম্ভীর মুখের দিকে তাকিয়ে সবাই শব্দ করেই হেসে দিল।

এক মুঠো কাঁচের চুরি পর্ব ৩১