এক মুঠো প্রণয় সিজন ২ পর্ব ১৪

এক মুঠো প্রণয় সিজন ২ পর্ব ১৪
লেখনীতে একান্তিকা নাথ

সেদিন পুরোটা সময়ই জ্যোতি মেহেরাজকে নিয়ে ভাবল। ভালো করে মনে করল সেই ছোটবেলা থেকে দেখে আসা মেহেরাজ ভাইকে।শুরু থেকেই,বলতে গেলে ছোটবেলা থেকেই মেহেরাজের ব্যাক্তিত্বকে সে সম্মান করত, শ্রদ্ধা করত। মেহেরাজ ভাই বলতেই সে, মিথি এমনকি অন্যান্যদের সামনে ও ফুটে উঠত এক আদর্শবান ব্যাক্তিত্বের চিত্র। আর সেই ব্যাক্তিত্বের কারণেই বোধহয় কিশোরী কাল হতে এই পুরুষটির প্রতি কিঞ্চিৎ দুর্বলতার ও সৃষ্টি হয়েছিল তার হৃদয়ে।

কিন্তু এখন কি এই দুর্বলতাকে প্রশ্রয় দেওয়া উচিত তার? মেহেরাজ ভাই কেনই বা নিজ থেকে তাকে বিয়ের প্রস্তাব দিবে? কোন ছেলে নিজের বিয়ের প্রস্তাব নিজে দেয় নাকি?আর সামান্তা? সামান্তার সাথে কি সত্যিই কিছু ছিল না? জ্যোতি ভাবে কেবল। ভাবতে ভাবতেই দিন পেরিয়ে রাত হলো, রাত পেরিয়ে সকাল হলো।আর ঠিক সকাল বেলাতেই পুকুর পাড়ে দেখা হলো মেহেরাজের সাথে।জ্যোতি কিয়ৎক্ষন তাকিয়ে দেখল মেহেরাজকে।

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন হউন

এই প্রথম বোধহয় সে মেহেরাজের বাহ্যিক রূপ ও লক্ষ্য করতে লাগল। পরনের জামা হতে, কপালে পড়ে থাকা কালো চুল, এমনকি ভ্রুজোড়া,খোঁচা দাঁড়ি, বড় বড় চোখজোড়া, লালচে খয়েরি পুরু ঠোঁটজোড়া সবই সে সরু চাহনিতে লক্ষ্য করে গেল। মেহেরাজ তার চোখজোড়ার সে সরু দৃষ্টিতে লক্ষ্য করা দেখেই আড়ালে হাসল।তারপর কিছুটা এগিয়েই বুকে হাত গুঁজে দাঁড়াল জ্যোতির সামনে। ভ্রু নাচিয়ে শুধাল,

“কি আশ্চর্য!বিয়ের প্রস্তাব পাঠাতে না পাঠাতেই প্রেমে পড়ে গেলি নাকি জ্যোতি? ”
কথাটা শুনতে দেরি হলেও জ্যোতির নজর সরাতে দেরি হলো না যেন। দ্রুত অন্যদিকে দৃষ্টি স্থির করে অস্বস্তিতে হাত ঘষল। তার এভাবে তাকানোটা উচিত হয়নি বলে মনে মনে নিজের উপর বিরক্তও হলো।তারপর অস্বস্তি আড়াল করে বলে উঠল,

“প্রেমে পরব কেন? আমি ভাবছিলাম শুধু। ”
মেহেরাজ এবারেও চাপা হাসল। জ্যোতির মুখে পূর্ণদৃষ্টি নিক্ষেপ করে প্রশ্ন ছুড়ে দিল,
“ ওহ, তো কি ভাবছিলি? আমি কতোটা সুন্দর তা? ”
জ্যোতি শান্ত চাহনিতে তাকাল মেহেরাজের দিকে। মাথা দুলিয়ে উত্তর দিল,
“না, তবে আপনার মতো একটা সুন্দর ছেলে আমার মতে অসুন্দরী মেয়েকে বিয়ে করার প্রস্তাবই বা কেন পাঠাবে? অদ্ভুত না বিষয়টা?”

“তারমানে সত্যিই তুই আমার সৌন্দর্য নিয়েই ভাবছিলি? ”
“ না, বিয়ের প্রস্তাব পাঠানোর কারণ ভাবছিলাম। ”
মেহেরাজ এবারে যেন বিরক্ত হলো৷ কপাল কুঁচকে গম্ভীর গলায় বলে উঠল,
“ গর্দভ!এটা ভাবতে গিয়ে চোখ দিয়ে আমার সর্বাঙ্গ ওভাবে দেখার মতো কি ছিল? আমার সর্বাঙ্গে উত্তর লেখা ছিল কি তোর সে প্রশ্নের? ”

জ্যোতি উত্তর দিল না। আসলেই ওভাবে কেন তাকিয়েছো তার উত্তর বোধহয় তার নিজের কাছেও নেই৷ তবে তাকানোটা যে তাে মস্ত বড় বোকামো হয়েছে এই নিয়ে নিজের প্রতি বিরক্তিটা চূড়ায় পৌঁছাল। বেহায়ার মতো একটা ছেলের দিকে ড্যাবড্যাব করে তাকানোর কোন প্রয়োজন ছিল কি আধো?ছিল না তো। তবুুও সে বেহায়ার মতো তাকিয়ে ছিল।এই নিয়ে মনে মনে তার বিরক্তির মাত্রা ক্রমশ বাড়তেই কানে মেহেরাজের গলা,

“ যায়হোক, আমায় ড্যাবড্যাব করে এতক্ষন ধরে দেখে কি উত্তর পেলি সেটা বল।”
জ্যোতি এবারে ছোট শ্বাস ফেলল। কিছুটা নড়ে স্পষ্ট স্বরে বলে উঠল,
“ কোন উত্তরই পাইনি, তবে এটা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে আমি এই বিয়েটা করব না। ”
মেহেরাজের বিরক্তির মাত্রা আরো কয়েকগুণ বাড়ল। তপ্তশ্বাস ফেলে শক্ত গল্য় বলে উঠল,
“ তো কোন বিয়েটা করবি? শোন যে বিয়েটাই করিস না তুই বিয়েটা কিন্তু আমার সাথেই হবে।এটা মাথায় রাখলেই চলবে। ”

ফের জ্যোতি উত্তর দিল,
“আপনাকে বিয়ে না করার কথাই বললাম মেহেরাজ ভাই। আমি অতোটা নিষ্ঠুর নই। ”
সুচালো চাহনিতে জ্যোতির দিকে ফিরে চাইল মেহেরাজ। ভ্রু কুঁচকে বলে উঠল,
“নিষ্ঠুর?নিষ্ঠুরের প্রশ্ন কেন আসছে? ”
জ্যোতি কিয়ৎক্ষন চুপ থাকল। তারপর হঠাৎ নরম গলায় বলে উঠল,

“ আপনি জানেন না আসলেই?সামান্তা আপু আপনাকে ভালোবাসে মেহেরাজ ভাই। জানেন না সেটা?আর অন্যের ভালোবাসার মানুষকে কেড়ে নেওয়ার মতো অতোটাও স্বার্থপর বা বেহায়া আমি নই৷ ”
মেহেরাজের কপালের ভাজ মিলিয়ে গেল৷ পকেটে হাত গুঁজে ভরাট গলায় বলে উঠল,
“ আর আমিও অতোটা দয়ালু নই যে নিজের অনুভূতিময় কিছু ছেড়ে দিয়ে সারাজীবন হাত গুঁটিয়ে বসে থাকব৷ ”
“মানে? ”

“আমি তো তোকে আগে বুদ্ধিমতি ভাবতাম জ্যোতি। কিন্তু কে জানত তুই এতোটা গর্দভ? ”
কথাটা বিরক্তি সুরে বলেই পাশ ঘুরল মেহেরাজ। এই মেয়ের কথা শোনা মানেই মেজাজ খারাপ হওয়া।তার চেয়ে কথা না শোনাটাই সুন্দর সিদ্ধান্ত৷ তাই তো আর দাঁড়াল না। পিছনে জ্যোতির প্রশ্নোবোধক চাহনিকে পাত্তা না দিয়ে দ্রুত চলে গেল নিজ গতিতে।

মেহু ভার্সিটি থেকে হেঁটেই ফিরছিল। হঠাৎ চোখে পড়ল হসপিটালটা। এই হসপিটালেই মেঘ ইন্টার্নি করছে। জ্যোতির বাবা যখন হসপিটালে ছিল তখন কয়েকবার দেখা হয়েছিল। মেঘের মুখটা মনে পড়তেই মুহুর্তে মনে পড়ল মেঘের যন্ত্রনামাখা কথা, বিষাদ আর যন্ত্রনাগুলো। তার চেয়েও বোধহয় মেঘের যন্ত্রনাটাি বেশি। বেশি নয় কি? সে প্রত্যাখিত হয়ো কষ্ট পেয়েছে, অন্যদিকে মেঘ তো প্রত্যাখানের সাথে সাথে এটাও জানল যে তারই ভালোবাসার মানুষ অন্য কাউকে ভালোবাসা।

এটা বোধহয় সত্যিই তার যন্ত্রনার চেয়েও বেশি।কিন্তু সে কি আসলেই কিছু করতে পারে? কিছু করা যায় আধো?দুই দিকে দুইজন৷ একজন তাকে ভালোবাসে, অপরজনকে সে ভালোবাসে। ঠিক কোনদিকে এগিয়ে যাওয়া উচিত মেহুর? সাঈদের দিকে? নাকি মেঘের দিকে? ভেবে পেল না। আর ভেবে পেল না বলেই বোধহয় হসপিটালের সামনে মেঘকে দেখেও এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা চালাল। দ্রুত পায়ে পার হওয়ার চেষ্টা করল নির্ধারিত স্থানটি। কিন্তু হয়ে উঠল না। তার আগেই সম্মুখে এসে দাঁড়াল মেঘ৷ পকেটে হাত গুঁজে মৃদু হেসে বলে উঠল,

“ এড়িয়ে যাচ্ছেন মিস মেহু?আপনি এতোটা অস্বস্তি ফিল করার মতো কিন্তু সত্যিই কিছু নেই। আমি কিন্তু আপনাকে দোষী ঘোষণা করছি না, করবও না। ওটা সম্পূর্ণটাই আমার অনুভূতির দোষ। আপনি বরং আগের মতোই পরিচিত হিসেবে আমার সাথে কথা বলতে পারেন৷ ক্ষতি নেই তো তাতে? ”

মেঘ কখনো আপনি সম্বোধন করে, আবার কখনো বা তুমি। এই নিয়ে অবশ্য মেহু কিছু বলল না। তবে সে সত্যি সত্যিই অস্বস্তি ফিল করল। অস্বস্তি ফিল করার মতো কিছু নেই তা মেঘ বললেও তার সত্যি সত্যিই অস্বস্তি লাগছেে। মৃদু কন্ঠে তবুও উত্তর দিল,

“ না আসলে, আপনাকে খেয়াল করিনি। নয়তো কথা বলতাম।”
“ আসলেই খেয়াল করোনি? নাকি এড়িয়ে যেতে চাইলে? আচ্ছা আমি ছ্যাঁছড়ার মতো আচরণ করছি মেহু? ভালোবাসো না জেনেও নিজ থেকে কথা বলতে চলে এলাম।যায় হোক, কেমন আছো তা বলো?”
মেহু ইতস্থত বোধ করল৷ভদ্রভাবে উত্তর দিল,
“আলহামদুলিল্লাহ,আপনি? ”
মেঘ হাসল। বলল,

“ এই যে কাঁটছে দিন। তো তোমার ভালোবাসার মানুষটির সাথে আলাপ করাবে না কখনো? আমার কিন্তু তাকে দেখার অনেক ইচ্ছে মেহু। একবার দেখা করাবে? ”
মেহু অন্যমনস্ক ছিল। হঠাৎ এই কথা শুনে কাঁপা গলায় বলল,
“ হু? মানে আসলে সে দেখা করবে কিনা জানা নেই আমার। ”

মেঘের চাহনি হঠাৎ কেমন হলো যেন। গলা যেন ধরে আসল। তবুও হাসার চেষ্টা করে শুধাল,
“আচ্ছা, সে খুব ভালো তাই না মেহু? খুব ভালোবাসে তোমায়? নিশ্চয় দেখতে ও খুবই সুন্দর? ”
মেহুর চোখ টলমল করল এবারে৷ ঠোঁটে ঠোঁট কাঁমড়ে চেষ্টা চালাল কান্না আটকানোর। কিন্তু আধৌ পারল কি? যে মানুষটাকে সে ভালোবাসে সে মানুষটাতো তাকে ভালোবাসে না। মেঘের বাকিসব প্রশ্নের উত্তর বলার মতো হলেও এই উত্তরটা যে সে বলতে পারবে না। কি করেই বা বলবে?তাই তো মেহু উত্তর না দিয়ে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করল। মৃদু গলায় বলল,

“ আপনি আমার চেয়েও ভালো কাউকে ডিজার্ব করেন।নিজের জীবনটা গুঁছিয়ে নিন প্লিজ। আমি জানি আপনি আমায় অনেকটা ভালোবাসেন, হয়তো বা এই ভালোবাসাটা কুড়িয়ে নিলে আমিই সর্বোচ্চ সুখী হবো। কিন্তু আমি পারছি না, পারব কিনা তাও জানা নেই। আপনি ভালো থাকুন এটাই চাইব খালি। ”
মেঘ তাচ্ছিল্য নিয়ে হাসল কেবল। গম্ভীর স্বরে শুধাল,

“ হাস্যকর না মেহু? যাকে আমি চাই তাকেই পেলাম না, তার চেয়ে ভালো কেউ আসলেও আমি কি আসলেই সুখী হবো? আমার তো তার চেয়ে ভালো কাউকে চাই না, তাকেই চাই। যায় হোক, আমার সুখের কথা নাহয় বাদ থাক। তুমি সুখী হও, অনেকটুকু সুখী হও মেহু। আমার সুখটুকুও নাহয় তোমার হোক। ”

মেঘ আজও রাত করেই বাসায় ফিরল। পরিবার,হসপিটাল সব জায়গায় নিজেকে পার্ফেক্টলি হাজির করার চেষ্টা করলেও ভেতর থেকে যে সে বড্ড নড়বড়ে হয়ে আছে তা বোধহয় বুঝল খালি তার মা। তাই তো আজও জেগে থেকে অপেক্ষা করলেন ছেলের ফেরার জন্য। ছেলে যখন বাসায় ফিরল তখন ছেলের গা থেকে ভেসে নিকোটিনের গন্ধটাও খুব ভালো করেই বুঝলেন। কিন্তু প্রশ্ন ছুড়লেন না। চুপচাপ খেতে দিলেন ছেলেকে। তারপরই চেয়ার টেনে বসে মৃদু কন্ঠে বললেন,

“ মাকে বিশ্বাস করিস তো মেঘ?”
মেঘ খাওয়ার মাঝেই চোখ তুলে চাইল। খাওয়া থামিয়ে আলতো হেসে উত্তর দিল,
“ নিজেকে বিশ্বাস করার আগে থেকেই তোমাকে বিশ্বাস করা শিখেছি আম্মু। ”
মেঘের মা চাপা নিঃশ্বাস ফেলল। বলে উঠল,
“তবে মায়ের থেকে সবকিছু এতোটা আড়াল করা কেন মেঘ? ”
মেঘ অবাক হওয়ার ভান করল। ভ্রু কুঁচকে শুধাল,

“ কিসব বলছো আম্মু? কি আড়াল করেছি আমি? ”
“ কিছুই না? এতোটা অনিয়ম কেন তবে হঠাৎ? যে ছেলে নেশার দিকে ফিরে চাইত না সে ছেলে আজ নেশায় অভ্যস্ত হচ্ছে। কেন এসব? ”
মেঘ অনুতপ্ত হলো। ভাবল মা যে আদর্শে বড় করেছে তাকে সে আদর্শ থেকে সরে গেছে বলেই হয়তো মা রাগ করেছে। হয়তো সিগারেটের বিষয়টা টের পাওয়ার কারণেই এসব প্রশ্ন ছুড়ছেন। তাইতো বাধ্য ছেলের মতো বলে উটল,

“ স্যরি আম্মু,আর হবে না। আসলে এক ফ্রেন্ড বলল তাই সিগারেট হাতে…”
কথাটা শেষ হওয়ার আগেই তার মা ফের বলে উঠল,
“শুধু আজ নয় মেঘ, আমি এই কয়েকটাদিন নিয়মিত লক্ষ্য করেছি। খাবারে অনিয়ম, চলাফেরায় অনিয়ম,ঘুমে অনিয়ম। এমনকি চোখের নিচে কালো দাগও বসেছে।খুব বেশি ভুল না হলে তুই কাঁদিস ও আড়ালে। কিন্তু কেন? ”
মেঘ চুপ থাকল। সব আড়াল করতে চেয়েও আড়াল করতে না পারার ব্যর্থতায় চুপ হয়ে গেল। তার মা আবারও বলল,

“কি হলো? বল। কেন এসব? ”
এবারেও উত্তর এল না। মেঘের মা আবারও
প্রশ্ন ছুড়ল,
“মেহেরাজরা বিয়ের প্রস্তাবটা রিজেক্ট করেছে বলে? শুধু এই কারণেই এতোটা অবহেলা নিজের প্রতি? ”
এতক্ষনে গিয়ে উত্তর দিল মেঘ। চাপা স্বরে বলে উঠল,

“শুধু না আম্মু, আমি তাকে সবটা দিয়ে ভালোবেসেছিলাম। সবটা দিয়েই চেয়েছিলাম। অথচ সে আমার দিকে তাকিয়েও দেখল না।বুঝল না আমায়। আমি তাকে হারিয়ে ফেলেছি আম্মু। সে অন্য কাউকে চায়, অন্য কাউকে ভালোবাসে আম্মু। এটা যন্ত্রনার নয়? যাকে আমি চাই সে অন্য কাউকে চায় এর চেয়েও যন্ত্রনার বিষয় আর কিছু হয়?”

“এতোটা কষ্ট? এতোটা ভালোবাসিস ওকে মেঘ?”
মেঘ তপ্তশ্বাস ফেলল। খাওয়া ছেড়ে উঠে বলল,
“ আম্মু, আমি ভালোবাসা বলতেই তাকে চিনেছিলাম। ভালোবাসার অনুভূতি বুঝতেই তাকে ভেবেছিলাম। কি করে ভুলি বলো? আমি জানি জোর করে ভালোবাসা হয় না, এ ও জানি তাকে আমি পাব না। আমি তাকে জোর করে পেতেও চাইছি না। কিন্তু সত্যিই আমার কষ্ট হয়। সে অন্য কাউকে ভালোবাসে এটা ভাবতেই আমি মৃত্যুসম যন্ত্রনা অনুভব করি। এর চেয়ে তো মৃত্যুই ভালো ছিল আম্মু। বলো?আমার ভাগ্যেই কেন এমনটা লেখা ছিল? কেন আমি এই যন্ত্রনার ভাগীদার হলাম?”

এক মুঠো প্রণয় সিজন ২ পর্ব ১৩

মেঘের মা রেগে গেল যেন। বললেন,
“ হুশশ!চুপ! একদম চুপ! আম্মু আছে না? পরিবারের এতগুলা মানুষ তোকে কতোটা ভালোবাসে ভেবেছিস? সানশাইন কতোটা ভালোবাসে? তুই সেসব না ভেবে মৃত্যুর কথাটা বলতে পারলি মেঘ? ”
মেঘ দীর্ঘশ্বাস ফেলল। নিজ রুমে যেতে যেতে শান্ত গলায় বলে গেল কেবল,
“ স্যরি, আর বলব না আম্মু। ”

এক মুঠো প্রণয় সিজন ২ পর্ব ১৫