এক শ্রাবণ হাওয়ায় পর্ব ১৩

এক শ্রাবণ হাওয়ায় পর্ব ১৩
কায়ানাত আফরিন

-‘এভাবে ইগ্নোর করছো কেনো আমায়? খুব শখ না আমার কাছ থেকে দূরে থাকার? নাও, আজকে এই অন্ধকারে সারাক্ষণ আমার সাথে চিপকে থাকবে। আমিও দেখবো কতক্ষণ আমার সাথে কথা না বলে থাকতে পারো।’
কথা অনুযায়ী উনি আসলেই আমাকে মিশিয়ে রাখলেন নিজের সাথে। আশপাশে কিছুটা অন্ধকার। কোনো কোনো বাড়িতে জেনারেটরের জন্য টিমটিমে আলো জ্বলছে। আমি বুঝতে পারছি না যে আমাদের এপার্টমেন্টটিতে এখনও জেনারেটর চালু হচ্ছে না কেনো।

এদিকে আনভীর নির্বিকার। উনি আমার বাহু এমনভাবে চেপে ধরছেন যে আমি একচুলও উনার কাছ থেকে সরে আসতে পারছি না। এই অন্ধকারে আমার অস্বস্তিও হচ্ছে বেশ। কিন্ত মানুষটা বোধহয় পণ করে নিয়েছে আমি কথা না বলা পর্যন্ত ছাড়বেননা আমায়। অবশেষে বাধ্য হয়ে আকুতিস্বরে বললাম,
-‘ছাড়ুন আমায়!’
উনি অন্ধকারের মধ্যেই একটা বাকা হাসি হাসলেন। যা আমি স্পষ্ট টের পেয়েছি। উনি তুখর কন্ঠে বললেন,

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

-‘বাব্বাহ! দশমিনিটও হলো না আবার মুখে খই ফুটিয়েছো?’
আমি বিরক্ত হলাম এবার। একে তো আমি যথাসম্ভব চেষ্টা করছি উনাকে এড়িয়ে চলার আর উনি রীতিমতো আমায় পাগল করে তুলছেন। আনভীর আবার বললেন,
-‘আজকের জন্য ছেড়ে দিলাম তোমায়। নেক্সট টাইম যদি আমায় ইগ্নোর করেছো বা ইগ্নোর করার চেষ্টা করেছো এর ফল কিন্ত ভালো হবেনা , আগেই ওয়ার্নিং দিয়ে দিলাম কিন্তু।’

বলেই আমার বাহু ছেড়ে দিলেন উনি। আমি সাথে সাথে ডিভান থেকে উঠে দাঁড়িয়ে লম্বা লম্বা নিঃশ্বাস ফেলতে থাকলাম।উনি এবার যাই বলুক না কেনো, আমিও আমার সিদ্ধান্তে অটল। আমি যতটা সম্ভব ততটাই এড়িয়ে থাকবো আনভীরকে। তবে এ ব্যাপারে আমি কিছুই বললাম না। আনভীরও উঠে দাঁড়ালেন এবার। এখনও জেনারেটর চালু হয়নি দেখে অবাক হয়েছেন বেশ। রুমের ভেতরে ঢুকতে ঢুকতে বলতে থাকলেন,
-‘আজব তো ! এখনও লাইট আসছে না কেনো?’

আমি এবার উনার পিছন পিছন হাটে থাকলাম। আনভীর টেবিল থেকে নিজের মোবাইল নিয়ে ফ্লাশলাইট অন করলেন। ড্রইংরুমের কাছে গিয়ে দেখেন আজরান ভাইয়া আর শিউলি আপু বসে আছে সেখানে। একপাশে মোমবাতি জ্বালানো। বাবা মাকে নিয়ে হসপিটালে গিয়েছেন চেকআপের জন্য। আনভীর আজরান ভাইয়াকে জিজ্ঞেস করলেন,

-‘ভাইয়া এখনও লাইট আসছে না কেনো?’
-‘জেনারেটরে প্রবলেম হয়েছে। আজকে আর জেনারেটর চলবে না।’
আনভীর বিরক্ত হলেন এতে। বলে ওঠলেন,
-‘এমনিতে কারেন্ট যায়না আবার আজকেই কারেন্ট গেলো সাথে জেনারেটরও নষ্ট হলো।’
-‘আরে কিছুক্ষণ পর কারেন্ট এসে পড়বে আনভীর। এত বিরক্ত হওয়ার দরকার নেই।’
শিউলি ভাবির কথামতো আনভীর সোফার অন্যত্র শরীরটা এলিয়ে শুয়ে পড়লেন এবার। জানালাগুলো খোলা থাকলেও গরম লাগছে বেশ। আনভীর দুর্বল কন্ঠে বললেন,

-‘আমার চুলগুলো টেনে দাও তো আহি?’
আমি চমকে উনার দিকে তাকালাম। মোমের আলোতে দেখতে পারছি আজরান ভাইয়া আর শিউলি ভাবি উনার কথা শুনে মিটমিটিয়ে হাসছেন। আমি অপ্রস্তুত কন্ঠে জিজ্ঞেস করলাম,
-‘আমাকে বলছেন?’
-‘এখানে তুমি ছাড়া আর কার নাম আহি?’
আনভীরের কাট কাট কন্ঠ। আমার উনার কথা শুনে শরীরে অন্যরকম এক শিহরণ জেগে উঠলো। উনি বিরক্ত হয়ে বললেন,
-‘কি হলো চুলগুলো টেনে দাও?’

আমি উনার মাথার কাছে বসে পড়লাম এবার। কাপাঁ কাপাঁ হাত চুলগুলো টেনে দিতে থাকলাম। মোমের আবছা আলোতে আমি স্পষ্ট মানুষটার অবয়ব দেখতে পারছি। চোখদুটো বন্ধ। গৌরবর্ণের গায়ে অন্যরকম এক মায়া। কে বলবে মানুষটা এত ঠোঁটকাটা স্বভাবের? হয়তো নিমিষেই যে কেউই উনার প্রেমে পড়ে যেতে পারবে। আমিও পারতাম হয়তো , যদি আমার সাথে এতটা জঘণ্য ব্যবহার না করতেন। আমি একটা উষ্ণশ্বাস ফেলে উনার চুগুলো আলতো হাতে টেনে দিতে থাকলাম। আনভীর এবার চোখ খুলে মোমের দিকে তাকালেন। বললেন,

-‘এটা দেখি শেষ হয়ে যাচ্ছে।’
শিউলি ভাবি বললেন,
-‘আসলেই তো? কথা বলতে বলতে আমি তো খেয়ালই করিনি। আচ্ছা আমি কিচেন কেবিনেট থেকে নিয়ে আসছি।’
বলে শিউলি ভাবি উঠতেই যাচ্ছিলেন তখন আনভীর বললেন,
-‘একমিনিট ভাবিমণি ! তুমি যাচ্ছো কেনো কষ্ট করে? সব কাজ তুমিই করবে নাকি? এই ফাকিবাজটাকে মোম নিয়ে আসতে বলো।’
আমি এবার রেগে জোরে চুল টান দিলাম।আনভীর আহত কন্ঠে বললেন,
-‘দেখেছো? কি বদ মেয়ের সাথে আমায় বিয়ে দিয়েছো। চুলগুলো ছিড়ে মাথা টাক করে ফেললো আমার। এই আহি! যাও , কিচেন থেকে তাড়াতাড়ি মোম নিয়ে আসো।’

আমি ঠোঁট উল্টে এবার উনার মোবাইলের ফ্ল্যাশলাইট অন করে পা বাড়ালাম কিচেনে। কেবিনেটে আন্দাজে হাতিয়ে মোমের প্যাকেট খুঁজছি।এর মধ্যে অবশেষে পেয়ে গেলাম মোমের প্যাকেট। সেখান থেকে একটি মোম নিয়ে যেই না ড্রইংরুমের দিকে যাচ্ছি হঠাৎ পায়ে খুব নরম একটি জীবের টের পেলাম। কানের কাছে খুবই সুক্ষ্ণ ‘চু চু’ ধরনের শব্দ আসছে। আমি মোবাইলের লাইটটি এবার পায়ের দিকে এনিয়ে যেতেই দেখি পায়ের কাছে দুটো ইঁদুরের বাচ্চা।

আমি বিস্ফোরিত চোখে একপলক সেখানে তাকিয়েই চোখ বন্ধ করে বিশাল এক চিৎকার দিলাম। আমার চিৎকার শুনে হনহন করে কিচেনে এসে পড়লেন আজরান ভাইয়া, শিউলি ভাবি আর আনভীর। আমার হাতের থেকে মোবাইলটা ইতিমধ্যে পড়ে গিয়েছে। আমি দৌড়েঁ সেখান থেকে সরে আসতেই ধাক্কা খেলাম একজনের সাথে। আমি জানি মানুষটা কে। তাই কোনো কিছু না ভেবেই মানুষটার গলায় ঝুলে ইচ্ছেমতো পা ছোড়াছোড়ি শুরু করেছি ভয়ে।

আমায় এমন করতে দেখে আনভীরের তো রীতিমতো কাহিল অবস্থা। উনি নিজের গলা থেকে আমার হাত সরানোর চেষ্টা করতেই আমি উনার টিশার্ট আরও খামচে ধরে ঝুলে পড়লাম। চোখ বন্ধ করেই বললাম,
-‘প্লিজ ছাড়বেন না আমায়। ওখানে দুটো ইঁদুর আছে। আমার পা খেয়ে ফেলবে।’
আনভীর এবার হাসবে না কাদবে বুঝতে পারছে না। অগত্যাই আমার কোমড় চেপে উচু করে ধরে রইলেন শান্ত করার জন্য। আজরান ভাইয়া এসব কিছু দেখে কেটে পড়লেন মিহি হেসে। কিন্ত শিউলি ভাবি এক পাও নড়েনি। আনভীর শীতল কন্ঠে বললেন,

-‘আহি শান্ত হও।’
-‘ওই ইদুঁরগুলোকে সরতে বলুন।’
আমি ভীত কন্ঠে বললাম। তখনই হঠাৎ কারেন্ট এসে পড়াতে আলোকিত হয়ে গেলো সারা ঘর। আনভীর আবার বললেন,
-‘আর কতক্ষণ আমার গলা ধরে ঝুলবে আহি? জলদি নিচে নামো। তোমার চিল্লানোতে আমার কানের ১২টা বেজে গিয়েছে।’
আমি চোখ খুলে সেখানে তাকালাম এবার। ইঁদুরগুলো মনে হয় চলে গিয়েছে। আমি স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে আনভীরের দিকে তাকাতেই দেখি উনি ভ্রু কুচকে তাকিয়ে আছেন আমার দিকে। ঠোঁটে চাপা হাসি , চোখে-মুখে রম্যতার ছাপ।শিউলি ভাবি পাশ থেকে দুষ্টু হেসে বললেন ,

-‘আমি কিন্ত কিছু দেখিনি।’
ভাবির কথায় ধ্যান ভাঙলো আমার। নিজের অবস্থান টের পেতেই আমার চক্ষু চড়কগাছ।আমি আনভীরের গলায় ঝুলে আছি, উনি কোমড় চেপে উচুঁ করে নিজের বুকের কাছাকাছি মিশিয়ে রেখেছেন আমায়। আমি তড়িঘড়ি করে উনার বলিষ্ঠ হাতজোড়া থেকে নিজের কোমড় ছাড়িয়ে নেমে পড়লাম। আনভীর ওপাশে ভাঙা মোবাইল দেখে হাহাকার করে বললেন,

-‘আল্লাহ ! এই মেয়ে ইঁদুরের ভয়ে আমার মোবাইল চৌচির করে ফেললো।’
আমার এবার লজ্জা লাগছে প্রচুর। শিউলি ভাবির দিকে তাকাতেই দেখি বেচারি আমার অবস্থা দেখে হাসি যেনো থামাতেই পারছেন না। আসলে অন্ধকারে ওভাবে ইদুঁর দেখাতে আমি যে এমন ভয় পেয়ে যাবো আমি নিজেই বুঝতে পারিনি। আর এটাও বুঝতে পারিনি যে আনভীরের গলায় ঝুলে এমন পা ছোড়াছোড়ি করবো।ইসসস! কি লজ্জা!!

সকালে তড়িঘড়ি করে আমি রেডি হতে ব্যস্ত। আজ ঘুম থেকে উঠতে অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে। আনভীর সকালে বারবার ডেকেছিলেন আমায় কিন্ত আমি ইচ্ছে করেই কোনো সাড়াশব্দ করিনি। এখন উনার কথা এড়ানোর সমস্যাটা হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছি। আমি নিশ্চিত আজকে কোচিংয়ে যেতে নির্ঘাত দেরি হবে। হঠাৎ দরজা খুলে ঘরে আসলেন আনভীর। আমি উনাকে এসময়ে ঘরে দেখে কিছুটা অবাক। কেননা সচরাচর এসময়ে উনি ভার্সিটি চলে যান। আমি তবুও পরোয়া করলাম না সেদিকে। ওড়নাটা কামিজের সাথে সেফটিপিন দিয়ে আটকাচ্ছিলাম তখনই উনি ক্ষীপ্ত কন্ঠে বলে ওঠেন,

-‘সকালে নাস্তা করোনি কেনো?’
-‘আজকে করবো না।’
ছোট এই কথাটি বলে আমি উনাকে রুমে রেখে হনহন করে ফ্ল্যাটের বাহিরে চলে যাচ্ছি তখনই উনি হাত টেনে ধরলেন আমার। আমি বিরক্ত হয়ে পেছনে তাকিয়ে কিছু বলতে যাবো উনি একপ্রকার জোরজবরদস্তি করেই আমায় ডায়নিং টেবিলে বসিয়ে দিলেন। শিউলিভাবি আর নুড়ী আপা রান্নাঘর থেকে উঁকি মারছে বারবার।আমি রেগে গিয়ে বললাম,
-‘আমি তো বললাম খাবো না। এমন করছেন কেনো? আপনি বসে আরেক দফা খেতে থাকুন। আমার দেরি হয়ে যাচ্ছে।’

উনি তবুও হাত ছাড়লেন না আমায়। শিউলি ভাবিকে ডেকে বললেন,
-‘ভাবিমণি? জলদি এই ফাঁকিবাজটার জন্য খাবার নিয়ে আসো।’
এভাবে আমায় আরও এক দফা ফাঁকিবাজ বলাতে আমি মুখ ফুলিয়ে বসে রইলাম। ভাবি মিটমিটিয়ে হেসে আমার জন্য নাস্তা নিয়ে আসলো। উনি শীতল গলায় বললেন,
-‘ফটাফট নাস্তা শেষ করো।’

আমি নড়লাম না একবিন্দুও।উনি নিঃশ্বাস ফেললেন এবার। তপ্ত কন্ঠে বললেন,
-‘তুমি কি ভাবছো যে আমি তোমায় হাত দিয়ে খাইয়ে দেবো? এই কল্পনা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলো। চুপচাপ নাস্তা কমপ্লিট করো তারপরই যেতে পারবে। আদারওয়াইজ , আজ বাসাতেই থাকো।’
এই হিটলার বর থেকে ছাড়া পাওয়ার জন্য বাধ্য হয়েই নাস্তা শেষ করে কোচিংয়ে যেতে হলো আমায়।
আজকে কোচিং থেকে বেশ তাড়াতাড়ি বাসায় ফিরেছি। সামনে একটা প্রি টেস্ট দিতে হবে তাই বেশি একটা প্রেশার দিচ্ছে না কোচিং থেকে।

বাসায় এসে দেখি শিউলি ভাবি রান্না করছেন।পাশেই দাঁড়িয়ে আছেন মা। আমায় এভাবে ঘর্মাক্ত দেখে উনি বলে ওঠলেন,
-‘একি আহি! এভাবে ঘেমে রান্নাঘরে আসতে গেলে কেনো? যাও ফ্রেস হয়ে আসো। তারপর নাহয় শিউলিকে হেল্প করো।’
আমি সম্মতি জানিয়ে রুমে চলে গেলাম এবার। তপ্ত দুপুর। রোদের তাপদাহে জর্জরিত চারিপাশ। এসময় রুমে আনভীরকে ক্লান্ত অবস্থায় বিছানায় শুয়ে থাকতে দেখে কিঞ্চিত অবাক হলাম আমি। উনার চোখজোড়া সিলিং ফ্যানের দিকে নিবদ্ধ। আমার সাহস হয়নি উনাকে কোনোকিছু জিজ্ঞেস করার । তাই জামাকাপড় নিয়ে ওয়াশরুমের দিকে চলে যেতেই উনি শীতল কন্ঠে বললেন,

-‘আজ তোমায় মায়ের মৃত্যুবার্ষিকী আহি। তোমার মনে আছে?’
পা’জোড়া থেমে গেলো আমার। মানুষটার কথা শুনে চোখ বেয়ে গড়িয়ে পড়ছে নোনাজল। আমার মনে ছিলো না, আর চেষ্টাও করিনা মনে রাখার। সেই মানুষটা চলে যাওয়ার পরই তো আমার জীবনে আধাঁর নেমে এলো। হয়ে গেলাম নিঃস্ব মানুষ। আমি দুর্বল পায়ে বসে পড়লাম দেয়াল ঘেষে। আনভীর আমার এ অবস্থা দেখে বিচলিত হননি। আমার রাগ হচ্ছে মানুষটার প্রতি। উনি ইচ্ছে করেই আমায় কথাটি স্মরণ করিয়েছেন যাতে আমি ধুঁকে ধুঁকে কষ্ট পাই। আমি অশ্রুসিক্ত কন্ঠে বললাম,

এক শ্রাবণ হাওয়ায় পর্ব ১২

-‘আপনি মানুষটা জঘণ্য আনভীর! খুবই জঘণ্য!’
আনভীর খাট থেকে উঠে আমার কাছে হাটু গেড়ে বসলেন এবার। আমি চোখ সরিয়ে নিয়েছি উনার থেকে।উনার শীতল চাহিনী দেখে একপর্যায়ে কেদে দিলাম আমি। মায়ের স্মৃতি ভুলে যাওয়ার চেষ্টা করেও ভুলে যেতে পারছি না। উনি আমার কাছে আসতেই আমি ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিলাম উনাকে। কাদতে কাদতে বললাম,

-‘আমায় কষ্ট না দিলে আপনার কি ভালোলাগে না? কেনো মনে করালেন আমায়?’
উনি আমার গাল চেপে স্থিরভাবে বললেন,
‘আমি চাইনা তিক্ত স্মৃতিগুলো তুমি ভুলে যাও। তাহলে তুমি কখনোই স্ট্রং থাকতে পারবে না।’
আমি অবাক চোখে তাকালাম উনার দিকে। উনি নির্বিকার। তুখর চোখে আমার অশ্রুসিক্ত চোখে তাকিয়ে আছেন। আচ্ছা এই মানুষটা এত অদ্ভুত কেন? ইচ্ছে করেই আমায় কষ্ট দেয়, আবার ইচ্ছে করেই আমায় নিজের মায়াজালে আবদ্ধ করে নেয়?

এক শ্রাবণ হাওয়ায় পর্ব ১৪