এমপি তামিম সরকার পর্ব ৫৬

এমপি তামিম সরকার পর্ব ৫৬
কাফাতুন নেছা কবিতা

” আপনি আরো অনেক ভালো মেয়ে পাবেন!”
” তোকেই লাগবে!”
তামিম সুবহার ঘা’ড় ধরে তাকে ঘুরিয়ে নিজের মুখ বরাবর নিয়ে আসে!
” পালা-পালির এই খেলাটা আজকে শেষ করা যাক!”
তামিমের মাদ’কাময় কন্ঠস্বর বলে দিচ্ছে সে অনেক দিন ধরে এই মুহুর্তের জন্য অপেক্ষা করছিলো!
” আমি ঘৃণা করি আপনাকে!..”
” সমস্যা নেই আমার ভালোবাসায় যথেষ্ট সারাজীবনের জন্য! ”
” আবার পালিয়ে যাবো!”’
” পাতাল থেকে হলে ও খুঁজে নিয়ে আসবো!”

সুবহা তামিমকে সরিয়ে দরজা খুলতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে! নিজের আপ্রাণ চেষ্টা করে যদি কোনোভাবে দরজা খুলে যায়! তামিম এসে দরজায় পিন দিয়ে খুলে দেয় দরজাটি সুবহার জন্য!! আর হাত দিয়ে তাকে সামনে যাওয়ার জন্য ইশারা করে!
সুবহা দু’সেকেণ্ড ও সময় নষ্ট না করে বেরিয়ে পরে! পুরো ভিলাতে অন্ধকার! খানিকটা বৃটিশ আমলের ভিলার মতো তামিমের ভিলাটি!
সুবহার জানা নেই সে অন্ধকারে কোথায় যাবে! আর তামিমই বা কেন তাকে যাওয়ার জন্য সাহায্য করলো! যেখানে সে নিজেই তাকে বন্দী করে রেখেছিলো! তামিমের উদ্দেশ্য সুবহা বুঝতে পারে না! তার মাথায় ও ঢোকে না!!
অন্ধকারে এতো বড় ভিলাতে সুবহা পথ খুজে পায় না! দুই একটা জায়গায় ড্রীম লাইট থাকলে ও বেশিরভাগ জায়গায়ই অন্ধকার!!

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

সুবহা এদিক ওদিক তাকিয়ে সিঁড়ি দেখতে পায়! পা টিপে টিপে নিচে নামতেই হালকা নীল আলো জ্বলে উঠে! চমকে উঠে সুবহা! তারপর না দাড়িয়ে সদর দরজা খুজতে থাকে! হঠাৎ হল রুমের মাঝে যেতেই অজস্র গোলাপের পাপড়ি উপর থেকে পড়তে থাকে সুবহার শরীরে! এবং হঠাৎ করেই বাম পাশের পার্টি করার জন্য যেই ছোট্ট স্পেস আছে, সেখানের ড্রীম লাইট ও জ্বলে উঠে! সাথে সাথে খুব জোড়ে মিউজিক বেজে উঠে
” Kya Jaane Tuh…. Mere Irade…..! ”
”Lay Jayunga Saanse Churakeh…..!”
সুবহা ভয়ে ভয়ে তাকায় সে-দিকে!
ওয়াই’নের গ্লাস হাতে তামিম হেলান দিয়ে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে সুবহার দিকে! তার চোখের চাউনি বলে দিচ্ছে, সে কতটা তীব্র ভাবে চায় সুবহাকে!!

তামিমের এমন ডেস্পারেট ভাবে তাকিয়ে সুবহার দিকে তাকিয়ে থাকা, ভয়ের মাত্রা আরো বাড়িয়ে দেই বহুগুন!
গানের আওয়াজ আরো জোড়ে জোড়ে বেড়েই যাচ্ছিল! সাথে সুবহার ভয় ও! তামিম ওয়া’ইনের গ্লাসটি নিচে রাখতেই! সুবহা এদিক-ওদিক তাকিয়ে যাওয়ার জন্য পথ খুঁজতে থাকে! কোনো উপায় না পেয়ে সুবহা অন্ধকারে উল্টোদিকে দৌড় দেয়! বড় বড় পর্দাগুলো ভেদ করে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে থাকে সুবহা! একটু পরপর পিছনে তাকায়! তামিম আসছে কি-না এটা দেখার জন্য! দৌড়াতে দৌড়াতে এক সময় শক্তপোক্ত কিছুর সাথে ধাক্কা খায় সুবহা! তাল সামলিয়ে সামনে তাকাতেই বুঝতে পারে পকেটে হাত ঢুকিয়ে তামিম তার সামনে দাড়িয়ে আছে!! এতো শীতের মধ্যে ও তামিম উদোম শরীরে থাকায় সুবহার তাকে চিনতে বেশ একটা অসুবিধা হলো না! সুবহা দু-কদম পিছিয়ে আবারো দৌড় দেই! আপ্রাণ দৌড়ে সুবহা আবারো সামনের ছায়া মূর্তির সাথে ধাক্কা খায়! সুবহা এবার ও বুঝতে পারে এটা তামিম!
শুকনো ঢোক গিলে সুবহা! তামিম এক পা এক পা করে সুবহার দিকে এগিয়ে যেতে থাকে! আর সুবহা এক পা এক পা করে পিছিয়ে যেতে থাকে!

” বিশ্বের যেখানেই যাও না কেন! তোমার শেষ গন্তব্য স্থান আমিই সকাল!”
তামিমের এতো ভারি গলা শুনে সুবহা চোখ বন্ধ করে ফেলে! আবার ও দৌড়ে উপরে চলে যায়! একদম ছাদে চলে যায় সুবহা! এবং দরজা বন্ধ করে দেই! প্রচন্ড কাঁপতে থাকে সুবহা! সুবহা চারপাশে ভালো ভাবে দেখে নেই! না এখানে তামিমের আসার সুযোগ নেই! এতো ভারি কাঠের দরজা নিশ্চয়ই তামিম ভেঙে ঢুকতে পারবে না! স্বত্তির নিঃশ্বাস ফেলে সুবহা! কিন্তু তার এই স্বত্তি বেশিক্ষণ থাকে না!
১০-১২ মিনিট পর সুবহা খেয়াল করে দরজার বাইরে থেকে শব্দ ভেসে আসছে! করাত দিয়ে কোনো কিছু কাটলে যেমন আওয়াজ আসে, ঠিক তেমনই!! সুবহা দরজার কাছে চলে যায়! আওয়াজের উৎস খুঁজতে!! ঠিক তখনই তার কানে ভেসে আসে তামিমের কথা…
” একটা দরজা তোকে আমার থেকে আলাদা করবে! এটা কীভাবে ভাবলি? বোকা বউ! তামিম সরকার যা চায় তা নিজ থেকে আসে। না-হয় ছিনিয়ে নেই! ”
সুবহার চোখ ভর্তি পানি চলে আসে!!

১০-১৫ মিনিট পর দরজা খুলে পড়ে যায় সুবহার পা থেকে একটু দূরে!
তামিম করাত কাঁধে নিয়ে ভিতরে প্রবেশ করে।আর তার পঞ্চ পান্ডব চলে যায় সেখান থেকে! অবশ্য দরজাটি বেশিরভাগ তার পঞ্চ পান্ডবই কাটে।তামিম ইলেকট্রিকস করাতটি নিচে রেখে সুবহার কাছে যেতে থাকে!!
তামিমকে আসতে দেখে সুবহা অন্য দিকে তাকিয়ে যাওয়ার রাস্ত খুঁজতে থাকে! কিন্তু এতো বড় ছাদে শুধু একটাই রাস্তা!! সেটা ও তামিম ভেঙ্গে ভেতরে ঢুকেছে!!
সুবহা একদম ছাদের কিনারায় যেতে থাকে! ঠিক তখনই তামিম তার তাকে ধরে ফেলে!! খুব শক্ত করে সুবহার কোমর জাপ্টে ধরে! নিজেকে ছাড়ানোর আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যায় সুবহা! কিন্তু তামিমের শক্তির কাছে পরাজিত হয়!!
তামিম সুবহাকে কোলে নিয়ে সোজা নিচে নামতে থাকে! উদ্দেশ্য তার ঘর!

” তামিম..নামান আমাকে…!”
” সোজা বিছানায়! ”
সারা পথ সুবহা অনেক লাফালাফি করতে থাকে! কিন্তু কোনো লাভ হয় না!! যেখানে অন্ধকারে সুবহা রাস্তায় খুঁজে পাচ্ছিলো না, সেখানে তামিম, কতো সুন্দর করে তাকে নিয়ে হেঁটে যাচ্ছে!
রুমে এসে তামিম সুবহা নামায়! আর দরজা লক করে, সব জানালা গুলো লক করে ফেলে!
সুবহা এই সুযোগে আবার দরজার কাছে যায়! কারণ পিন সে যেনে গেছে! কিন্তু তার আগেই তামিম এক হাত দরজায় দিয়ে সুবহার পিঠ ঠেসে দাড়ায়!!

তামিমের নিঃশ্বাস সুবহার কাধে আঁচড়ে পড়ে! ভয়ে নিঃশ্বাস উঠা নামা করতে থাকে সুবহার! তামিমের হিম শীতল করা ঠান্ডা হাত সুবহার কোমরে চলে যায়! চোখ বন্ধ করে ফেলে সুবহা! সুবহা বুঝতে পারে সে চাইলে ও এখন তামিমকে থামাতে পারবে না! এতো ছুটোছুটি করে ও কোনো লাভ হলো না! দিন শেষে সুবহাকে তামিমের কাছেই ধরা দিতে হলো!
তামিম সুবহার কোমরে চেপে ধরে তার পিঠ নিজের বুকের সাথে লাগায়! আলতো করে সুবহার কাঁধের চুল সরিয়ে গালে, গলায়, কাধে পরপর কি’স করতে থাকে! ভয়ে ঠান্ডা হয়ে যায় সুবহার সর্বাঙ্গ!

” আমার ড্রেস….!”
” আমি চেঞ্জ করেছি!”
শুকনো ঢোক গিলে সুবহা! তামিম সুবহার কানের লতিতে কি’স করে! তামিমের গরম নিঃশ্বাস দিশেহারা করে তুলছিলো সুবহাকে! সুবহা ভেবেছিলো, তামিমকে ডির্ভোস দেওয়ার ফলে,, সে আর হয়তো তার মুখ ও দেখবে না! হয়তো ঘৃণা করবে সুবহাকে! আর কখনো তার মুখ ও দেখতে চাইবে না!
কিন্তু সুবহা এটা ভুলে গেছিলো হয়তো, সে যদি পাতালে ও লুকিয়ে থাকে তামিম সেখান থেকে ও তাকে খুঁজে বের করবে!
তামিম সুবহাকে ঘুরিয়ে নেই!

” তিলটা কোমরে না থেকে, নাভীতে থাকলে বেশি সুন্দর লাগতো!”
এই এক বাক্যই ছিলো সুবহার মাথা ঘুরিয়ে দেওয়ার জন্য!
” আপনি আমার সেন্সলেস হওয়া অবস্থার সুযোগ নিয়েছেন! ”
তামিম সুবহার গলায় মুখ গুঁজে দেই!
” এখন নিবো! সব ভাবেই সুযোগ নিবো! ”
” আমি প্রস্তুত না!”
সুবহা তামিমকে সরিয়ে সামনে পা বাড়াতেই তামিম সুবহাকে ধরে কোলে তুলে নেই!
” আমি প্রস্তুত! ”
তামিম সুবহাকে বিছানায় ফেলে দেই! ড্রিম লাইটে সুবহাকে আরো বেশি আর্কষণীয় লাগছিলো! ঠিক সেদিনের মতো, যেদিন সুবহা কালো শর্ট ড্রেস পরে তামিমের সামনে গিয়েছিলো! তামিমের অ্যাডামস অ্যাপেল বার বার উঠা নামা করছিলো!
তামিমের এমন ঘোর লাগানো আচরণ দেখে সুবহা বুঝে যায় আজকে তাকে আর কেউ বাঁচাতে পারবে না!
সুবহা হাত দিয়ে ঠেলে পিছনে যেতে থাকে! তামিম সুবহার পা ধরে টান দিয়ে তাকে নিজের কাছে নিয়ে আসে!
ছেড়ে দেই নিজের সমস্ত শরীরে ভার! সুবহা দু-হাত দিয়ে বার বার তামিমকে ধাক্কা দিতে থাকে! কিন্তু কোনো লাভ হয় না!

” তামি….! ”
পুরো কথা উচ্চারণ করার আগেই তামিম সুবহার ঠোঁটে নিজের ঠোঁট বসিয়ে দেই! সুবহা তামিমের কাঁধ ঠেলে তাকে সরানোর চেষ্টা করে।কিন্তু পারে না!! তামিম একহাতে খুব শক্ত করে সুবহার হাত ধরে, আরেক হাতে সুবহাকে ডেস্পারেট স্পর্শ করতে থাকে!!
২০-২৫ মিনিট পর তামিম সুবহার ঠোঁট ছেড়ে দেয়! প্রচন্ড হাঁপাতে থাকে সুবহা!! তামিম নিজের মুখ সুবহার মুখের কাছে নিয়ে যায়!! তাদের ঠোঁটের মধ্যে তিল সমান দূরত্ব শুধু!!
” আই নিড ইউ পরী!! আই ডেস্পারেটলি নিড ইউ! ”
সুবহা কোনো কথা বলার সুযোগ না দিয়ে তামিম ডেস্পারেট ভাবে সুবহার পুরো শরীরে কি’স করতে থাকে!!
সুবহা অনেক কিছুই তামিমকে বলছিলো!! বার বার চেষ্টা করছিলো নিজেকে ছাড়ানোর!! কিন্তু আজকে তামিমের কানে কোনো কথায় ঢুকছে না!! সে মেতে আছে সুবহা নামক নে”শাতে!!
এক পর্যায়ে তামিম সুবহার নাইটি খুলে ফেলে দেই!!

” তামি….!””
” ইসসস!! নো মোর ওয়ার্ড বেবি গার্ল! ”
তামিম মত্ত হতে থাকে সুবহার মাঝে!! গভীর ভাবে স্পর্শ করতে থাকে সুবহাকে!! তামিম বরাবরই ধৈর্য শীল মানুষ! কিন্তু আজকে তাকে এতোটা ডেস্পারেট হতে দেখে সুবহা ও চিনতে পারে না তাকে!! তামিমের এমন স্পর্শ গুলো সুবহাকে নাজেহাল করে তোলে!! কান্না ছাড়া আর তেমন কোনো কিছু করার মতো ছিলো না সুবহার!!
সুবহার কান্না মাথা মুখ দেখে তামিম আবার ও তার ওষ্ঠাধরে নিজের ওষ্ঠাধর চেপে ধরে!! এক সময় সুবহা ও চুপচাপ হয়ে যায়!! মেনে নেই তামিমের স্পর্শ গুলোকে!!
প্রায় সারারাত ধরেই চলে তামিমের অত্যাচার!! শেষ রাতের দিকে তামিম ছেড়ে দেই সুবহাকে!! উল্টো দিক হয়ে কিছু ক্ষণ শুয়ে থাকে!! সুবহা ও উপরে তাকিয়ে শুয়ে থাকে চুপচাপ!
কিছু ক্ষণ পর তামিম সুবহার উন্মুক্ত কোমরে হাত দিয়ে তাকে নিজের কাছে নিয়ে আসে! শক্ত করে জড়িয়ে ধরে সুবহাকে!!

এমপি তামিম সরকার পর্ব ৫৫

” সো বেবি! হাউ ওয়াজ মাই পারফরম্যান্স? ”
ঘৃণায় মুখ অন্য দিকে করে সুবহা!! সারা শরীর ব্যাথায় নাড়াতে পারে না সে!! তামিম সুবহার মুখ নিজের দিকে নিয়ে আসে!!
” তুই আমার আনহেলদি অবসেশন সুবহা! আমি চাইলে ও তোকে ছাড়তে পারবো না! এখন থেকে প্রতিদিন সহ্য করতে হবে আমাকে!”
” আই হেট ইউ! ”
” আই লাভ ইউ টু! ”

এমপি তামিম সরকার পর্ব ৫৭