কৃষ্ণবেণী পর্ব ৩৩ (১)

কৃষ্ণবেণী পর্ব ৩৩ (১)
নন্দিনী নীলা

বাসার একমাত্র মেয়ের বিয়ে।
আত্নীয় স্বজন দিয়ে বাসা ভরপুর। বাগানে বিশাল প্যান্ডেল সাজানো হচ্ছে। এতো আত্নীয় স্বজন আসছে যে কাউকেই তৃষ্ণা চিনেই না। সবার অপরিচিত মুখ। অদ্ভুত ভাবে তৃষ্ণা কে সবাই চিনে। তৃষ্ণাকে সবাই জায়ানের ব‌উ বলে ডাকে। উর্মির নানু আসছে বয়স্ক মহিলা তিনি সারাদিন নাতব‌উ, নাতব‌উ বলে ডাকাডাকি করেন তৃষ্ণা কে। আগামীকাল উর্মির গায়ে হলুদ। আজকেই যেন বিয়ে বাড়ি এতো আত্নীয় স্বজন বাসায় এসেছে। তৃষ্ণার ভালো‌ই লাগছে এতো মানুষের মাঝে‌। কার সাথে কি সম্পর্ক জানার জন্য ও এগিয়ে এগিয়ে থাকে। সবাই নিজ থেকেই তৃষ্ণা কে পরিচয় দিয়ে যায়।

তাদের প্রথম কথাই থাকে,,” এই তো আমাদের জায়ানের ব‌উ। আমি তোমার খালা শাশুড়ি।”
এভাবে কে কি লাগে পরিচয় দেয়। ভালোই হয়েছে না হলে তো ও চিনতোই না।
তৃষ্ণা একটু পর পর দরজার কাছে গিয়ে দাঁড়াচ্ছে কারো অপেক্ষায়। আজ বকুলের আসার কথা। সাথে ভাই ও ভাবিকে ও বলা হয়েছে তারা শহরেই আছে কাল আসবে বলেছে। আব্বা মা আসবে না বাড়ি খালি রেখে।
তৃষ্ণাকে হঠাৎ ডাকল একজন মহিলা এটা হচ্ছে জায়ানের ফুপি‌। তার হাতে খাবারের প্লেট।
তৃষ্ণা কাঁচুমাচু মুখ করে এগিয়ে গেল। এই মহিলা ওকে একটুও পছন্দ করে না। আজ হঠাৎ ডাকছে কেন? আগেও তিনি এই বাসায় এসেছে তার দু’জন যমজ ছেলে মেয়ে নিয়ে।

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

তখনো তিনি ওকে এরিয়ে যেতো আর কেমন অদ্ভুত নজরে ওর দিকে তাকাতো।
তৃষ্ণা তার কাছে এসে দাঁড়িয়ে তাকিয়ে আছে শোনার জন্য কি বলতে ডাকল।
তার হাতের খাবারের প্লেট তৃষ্ণার হাতে দিয়ে বললেন তার ছেলেকে খাইয়ে দিতে। তৃষ্ণা হ্যা না কিছুই বলতে পারল না। তিনি বলেই ভেতরে চলে গেল অর্ডার করে। তার ছেলে কোথায়? কাকে খাওয়াবে।
তৃষ্ণা প্লেট হাতে নিয়ে এদিক ওদিক তাকাচ্ছে‌।
চোখ দুটো তার ছেলেকে খুঁজচ্ছে।
বাগানের দিকে তার মেয়ে কে দেখে তৃষ্ণা বাইরে এলো। খাবারের প্লেট নিয়ে হাঁটতে কেমন জানি লাগছে এতো মানুষের মধ্যে।

” এই শোভা দাঁড়াও।”
শোভা ভাবি বলে দৌড়ে এলো।
” তোমার ভাই ক‌ই?”
” ভাবি আমার জন্য কি খাবার নিয়ে এসেছ?”
” তোমার মা খাবার তো তোমার ভাইয়ের জন্য পাঠাল। তোমার ও কি খিদে পেয়েছে?”
” হ্যা অনেক।”
” আচ্ছা দুজনকেই খাইয়ে দেব। শোভন কোথায়? ওকে নিয়ে আসো ডেকে তারপর।”
” আচ্ছা।”

দৌড়ে চলে গেল। তৃষ্ণা এগিয়ে এসে চেয়ার টেনে বসল। গায়ে হলুদের স্টেজ সাজানো হচ্ছে তৃষ্ণা তাকিয়ে দেখছে। কি সুন্দর হচ্ছে সাজানো। হঠাৎ একটা ছেলে ওর দিকে তাকিয়ে চোখ টিপ দিল। তৃষ্ণা চোখ বড়ো বড়ো করে ফেলল। ছেলেটা ওকে পটানোর চেষ্টা করছে।
তৃষ্ণা উঠে চলে আসতে যাবে শোভন আর শোভা চলে আসে।
শোভন তৃষ্ণা কে দেখে বলে,,” আমি তোমার কাছে খাব না। তুমি পঁচা আম্মু বলেছে।”
তৃষ্ণা চোখ ছলছল করে উঠল।

শোভা ভাইয়ের দিকে তাকিয়ে বলল,” ভাবি কত সুন্দর। কত ভালো, তুই পঁচা কেন বললি?”
শোভন বলল,,” আম্মু পঁচা বলেছে। আমি খাব না পঁচা মানুষের হাতে।”
শোভা রাগী চোখে শোভনের দিকে তাকিয়ে বলল,,” আম্মু মিথ্যা বলেছে। ভাবিকে তুই পঁচা বলবি না।”
” তোর ভালো লাগে তুই খা আমি খাব না।”
বলেই দৌড়ে শোভন চলে গেল বাসার ভেতরে। শোভা শোভন কে বকছে।
তৃষ্ণা বলল,,” তোমার মা তো আমাকে পঁচা বলেছে তাও তুমি আমায় ভালো বললে যে।”

” আমার কাছে তো তোমায় অনেক ভালো লাগে। আম্মু তোমায় পঁচা কেন বলে?”
” জানি না।”
” ভাবি তুমি কেঁদো না আমাকে খাইয়ে দাও।”
” ছোট হলে কি হবে তুমি তো একটা পাকা বুড়ি।”
” আমি তো ছোট না আমি ফাইভে পড়ি।”
তৃষ্ণা শোভা কে খাইয়ে দিল।
শোভনের কথায় মনটা খারাপ হয়ে গেছিল। শোভার আচরণে ততটাই ভালো লেগেছে।

বকুল আসলো সন্ধ্যার কিছুক্ষণ আগে। গতবার এসে কেমন নিস্তব্ধ পরিবেশ পেয়েছিল এবার পেল হ‌ইহুল্ল পরিবেশ। এতো আত্নীয় স্বজন তাদের চালচলন, পোশাক দেখে ও চোখ কপালে তুলে তাকিয়ে আছে। কাউকে ও চেনে না পরিচিত কাউকে দেখছেও না। চোখ ভরা বিষ্ময় নিয়ে ও ভেতরে এলো। তৃষ্ণার রুমে এসে তৃষ্ণা কে পেল না। তৃষ্ণা গেছে জায়ানের নানুর কাছে।

বকুল তৃষ্ণা কে না পেয়ে জোভান কে খুঁজতে লাগল। দুজনের কাউকেই পাচ্ছে না।
মুখ গোমড়া করে দাঁড়িয়ে আছে তখনি ওর পাশ দিয়ে আয়ান যাচ্ছিল বকুল জায়ান ভেবে দুলাভাই বলে ডেকে উঠে।
আয়ান বিরক্তিকর চোখে পেছনে ঘুরে তাকায়। বকুল কে দেখে ও চমকে উঠে।
” দুলাভাই বুবু ক‌ই?”

আয়ান বুঝে গেছে বকুল ওকে জায়ান ভাবছে ও এদিক ওদিক তাকিয়ে মনে মনে শয়তানি হাসি হাসে। মুখে বলল,” তোমার বুবুকে তো আমিও খুঁজছি। আসো দু’জনে মিলে খুঁজি। তুমি কখন আসলে?”
” এইমাত্র আসলাম। পরিচিত কাউকে দেখছি না। কত মেহমান আসছে আপনাদের।”
” আচ্ছা চলো ওদিকটায় দেখি।”

বলেই আয়ান এগিয়ে বকুলের হাত ধরে নিল। বকুল চমকে হাতের দিকে তাকিয়ে আছে। দুলাভাই তো কখনো ওকে স্পর্শ করে না। দূরত্ব রেখে কথা বলে আজ এমন করছে কেন?
বকুলকে নিয়ে আয়ান নিরিবিলি জায়গায় চলে এসেছে। বকুলের মাথা থেকে আয়ানের কথা বেরিয়ে গেছে ও চারপাশে তাকিয়ে বলল,,” এখানে তো কেউ নাই। বুবু ক‌ই দুলাভাই?”
আয়ান বকুলের হাত শক্ত করে চেপে ধরে এক টানে বকুল কে সামনে এনে দাড় করালো।
বকুল ব্যথায় কুঁকড়ে উঠল।

” কি করছেন দুলাভাই ছাড়ুন?”
” আমি তোর দুলাভাই না। আমি আয়ান।”
বকুল সেই রাতে কথা মনে করতেই ভয়ে ঘামতে লাগল। দুলাভাই কে চিনতে ও আবার ভুল করল। এই লোকটা তো ভাল না খারাপ, প্রচুর খারাপ। ও ভয়ে কান্না করে দিল।
” ছাড়ুন আমাকে। আমি বুবুর কাছে যাব।”

আয়ান বকুলের চুলের মুঠি টেনে ধরে বলল,,” তোর বোনের জন্য আমার অনেক শাস্তি পেতে হয়েছে। শুধু মাত্র একটু ছুঁয়ে ছিলাম বলে। আজ তার শোধ তুলব তোকে দিয়ে।
বলেই আয়ান বকুল কে টেনে পাশের রুমে সজোরে ধাক্কা দিয়ে ঢুকিয়ে দিল। বকুল চিৎকার করে বুবু বলে ডাকছে।
আয়ান দরজা শব্দ করে আটকে দিল ভেতরে ঢুকে।

বাইরে মানুষের চেঁচামেচির গান বাজনার জন্য বকুলের আর্তনাদ কারো কানে এসে পৌঁছাল না।
আনন্দ করতে এসে নিজের জীবন উৎসর্গ করতে হবে বকুল কল্পনা ও করতে পারেনি। বদ্ধ ঘরে বকুলের চিৎকার এ রুমটা কেঁপে কেঁপে উঠল। আয়ান অমানুষিক নির্যাতন করল মেয়েটার উপর।

” বকুলের তো আজকেই আসার কথা ছিল ও কেন আসলো না বলেন তো।”
জায়ান কিছু বলল না।
” আজকেই তো গাড়ি পাঠালেন তাহলে..।”
” ওরা ফিরে এসেছে বকুল নিজেই নাকি আসবে না বলেছে।”
” ওইদিন নিয়ে আসিনি তাই রাগ করেছে বোধহয়।”
” হতে পারে।”

তৃষ্ণা মুখ গোমড়া করে বসে আছে। বোনের জন্য ওর অন্তর জ্বলে যাচ্ছে। কত অভিমান করেছে বোনটা। চাইলে তো ও এখন যেয়ে রাগ ভাঙাতে পারবে না। জায়ান তৃষ্ণার গালে হাত রেখে বলল,,” মন খারাপের করো না।”
” আমার কষ্ট হচ্ছে। বকুল রাগ করেছে আমার উপর।”
” এখন তো নিয়েও যেতে পারব না। এই পরিস্থিতিতে।”
” হ্যা। কিন্তু ওর এতো অভিমান মানতে পারছি না। ও তো এখানে আসার জন্য পাগল আর আজ সুযোগ পেয়েও আসলো না কেন?”

জায়ান তৃষ্ণার হাতের উল্টো পিঠে চুমু খেয়ে বলল,,” উফ জান একটু হাসো তো।”
তৃষ্ণা অবাক গলায় বলল,,” এখন আমার মন খারাপ। আমি বোনের জন্য কষ্ট পাচ্ছি আপনি হাসতে বলছেন?”
জায়ান বলল,,” হ্যা হাসতে বলছি। বিকজ তোমার মুখ মলিন থাকলে আমার বুকে ব্যথা করে। আজ অনেক দৌড়াদৌড়ি করতে হয়েছে। ক্লান্ত লাগছে, মাথা ব্যথা করছে। এই অবস্থায় তোমার মুখটা এমন দেখলে আমার কষ্ট হয়।‌ দিন শেষে আমি তোমার মুখে হাসি দেখতে চাই। যেই হাসি আমার সমস্ত ক্লান্ত দূর করে দিবে। তাই আমার সামনে মুখ গোমড়া করে থাকবে না। তোমার মুখের হাসি আমার সুখের উপায়।”

তৃষ্ণা জোর করে মলিন মুখে হাসি টেনে বলল,,,” আপনার জন্য আমি সব করতে পারি। আপনি আমার ভাল থাকার কারণ। আমার একমাত্র ভরসাস্থল।”
“তুমি টেনশন করো না। শালিকার রাগ ভাঙাতে বিয়ে শেষ হোক গ্রামে যাব আমরা।”
তৃষ্ণা উত্তেজিত গলায় বলল,,” সত্যি?”
” ইয়েস মহারানী।”

তৃষ্ণার ভাই ভাবি হলুদের দিন আসবে বলেও আসলো না। তৃষ্ণা সবার এমন কাজে স্তব্ধ হয়ে গেল।
বিয়ের আনন্দ করছে সবাই তৃষ্ণার মনটা বিষন্নতা ভরা।
” ভাবি আসব?”
জোভান নক করল দরজায়।
তৃষ্ণা উঠে দাঁড়িয়ে আসার অনুমতি দিল।

“ভাবি তোমার বাবা বাড়ি থেকে কেউ আসলো না?”
” না আসলো না তো। বকুল রাগ করে আসলো না। আর ভাই ভাবি রাজি হয়ে ও আসলো না কেন জানি না।”
” বকুল রাগ করেছে কেন?”
” আমরা গ্রামে গিয়েছিলাম তখন আসার জন্য অনেক জোরাজুরি করছিল। কাজ ছিল বাড়ি তাই আনিনি। সেই অভিমান এখনো পুষিয়ে রেখেছে।”

” ভাবি আমি কি একবার যাব?”
” না না তার দরকার নাই। উনি বলেছেন, বিয়ের ঝামেলা মিটে গেলে আমায় নিয়ে গ্রামে যাবে।”
” আমি যাই না ভাবি।”
” না ভাই।”
” আচ্ছা তোমাদের সাথে আমাকেও নিও। এখন বোনের বিয়ে তাই তোমার কথা মেনে নিলাম।”

গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান চলছে সবাই একে একে হলুদ ছুঁয়ে দিচ্ছে উর্মিকে। উর্মিকে আজ হলুদ পরী লাগছে একদম।
তৃষ্ণা মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে আছে। তৃষ্ণা একটা হলুদ লেহেঙ্গা পরেছে। এই ড্রেসটা পছন্দ করেছে জায়ান। জায়ান আর তৃষ্ণা এক সাথে উর্মিকে হলুদ ছুঁয়ে দেয়। উর্মি তৃষ্ণাকে টেনে নিজের পাশে বসিয়ে দিল। জায়ান এতো মানুষের মাঝে তৃষ্ণাকে বসিয়ে রাখতে চাইছিল না কিন্তু বোনের জন্য রাজি হলো।

তৃষ্ণা উর্মির পাশে বসে আছে।
বর পক্ষের লোকজন মজা করে উর্মির সাথে তৃষ্ণাকেও হলুদ দিতে চাইছে, মজা করে মিষ্টি খাওয়াতে চাইছে। তৃষ্ণা না না করে পিছিয়ে যাচ্ছে শুধু।
মেয়েরা করেছে সেটা মানা যায়। হঠাৎ
আরিফের এক ফ্রেন্ড উর্মিকে হলুদ দিতে হাত এগিয়ে নেয়। তার ঠোঁটে দুষ্টু হাসি।
সে নিচু স্বরে বলে উঠে তৃষ্ণার দিকে তাকিয়ে,,” আপনাকে কেউ দিতে পারে নাই হলুদ তাই খুব খুশি হচ্ছেন তাই না বেয়াইন। এই দেখেন আমি দিয়ে দিলাম।”

তৃষ্ণা চোখ ছোটো ছোটো করে তাকিয়ে আছে। কিছু বুঝে উঠার আগেই উর্মির দিকে বাড়ানো হাত ফট করেই তৃষ্ণার গালে ছুঁইয়ে হলুদ লাগিয়ে দেয়। তৃষ্ণা হতভম্ব হয়ে দাঁড়িয়ে পড়েছে। উর্মি নিজেও চমকে উঠেছে ওর ভাই কেমন ও জানে। এদিকে স্টেজে তৃষ্ণাকে রেখে জায়ান নিচে থেকে লক্ষ্য রাখছিল সবকিছু হঠাৎ করে এই কান্ড দেখে ও হাত মুষ্টিবদ্ধ হয়ে উঠে। রাগে ওর কপালের রগ ফুলে উঠে সঙ্গে সঙ্গে। তৃষ্ণা গালে হাত রেখে মুছতে মুছতে নেমে আসে।
অন্য পর পুরুষ ওর গালে হলুদ লাগিয়েছে এতে ওর নিজেরই রাগ লাগছে। কেমন বেয়াদব ছেলে। কেমন করে উর্মি আপুর জায়গায় আমায় হলুদ লাগিয়ে দিল। বিড়বিড় করছে তৃষ্ণা।

” আমার ভাবিকে হলুদ দিলেন কেন।কাজটা ঠিক করেন নি!”
” বলেন কি! আপনার ভাবি?”
” হ্যা আমার ভাবি। আমার ভাই এসব পছন্দ করে না। এমন মজা আর করবেন না।”
” উনি বিবাহিত দেখে মনেই হয়না। সরি আমি ভেবেছি অবিবাহিত তাই একটু মজা করছিলাম।”
” ইটস ওকে। আর এমন না জেনে মজা করতে যাবেন না।”

কৃষ্ণবেণী পর্ব ৩২ (২)

উর্মি কে হলুদ লাগিয়ে ছেলেটা নিচে নেমে এলো।ঝড়ের গতিতে জায়ান ছেলেটার সামনে এসে দাঁড়ায়। আচমকা কাউকে সামনে এসে দাঁড়াতে দেখে ছেলেটা পিছিয়ে গিয়ে বলল,,” আরে ভাই চোখে দেখেন না সামনে এসে দাঁড়ান কেন?”

কৃষ্ণবেণী পর্ব ৩৩ (২)