চন্দ্রাস্ত পর্ব ১২
ফারহানা কবীর মানাল
ঘড়িতে রাত নয়টা। জানালা গলে গাঢ় অন্ধকার ঘরের ভেতর ঢুকছে। হাবিব এখনও বাড়ি ফেরেনি। নববী ক্লান্ত ভঙ্গিতে বিছানায় বসে পড়ল। জড়ানো গলায় বলল, “এতবার কল দিচ্ছি একবারও রিসিভ করছে না। কখনো এত রাত করে বাড়ি ফেরে না। সামান্য একটু দেরি হলেও আমায় কল দিয়ে জানিয়ে দেয়। আল্লাহ না করুক কোন বিপদ-আপদ হয়নি তো?”
নাইমা তার কাঁধে হাত রাখল। শরিফা বেগম বললেন, “আল্লাহই ভালো জানেন। তোমাদের আব্বাও বাড়িতে নেই। কি করব কিছু বুঝতে পারছি না।”
“আম্মা, আপনার ছেলের কিছু হয়নি– তাই না বলেন? বিপদ কেন আমাদের পিছু ছাড়ে না।”
নাইমা নববীর মাথায় হাত বুলিয়ে দিলো। যথাসম্ভব শান্ত গলায় বলল, “এভাবে দুশ্চিন্তা করতে থাকলে তুমি অসুস্থ হয়ে পড়বে। একটু শান্ত থাকার চেষ্টা করো। ভাইয়া হয়তো কোন কাজে আটকে গেছে। চলে আসবে।”
“আর কখন আসবে? কত রাত হয়ে গেছে! খানিকক্ষণ আগে ওর ফোনে কল যাচ্ছিল, এখন ফোনও বন্ধ বলছে।”
নাইমা কি বলবে বুঝতে পারল না। শরিফা বেগম বললেন, “অফিসের কারো নম্বর নেই? তাদের কল দিয়ে যদি কিছু জানা যেত।”
নববী মাথা দুলিয়ে না বলল। ঠিক তার পরপরই হাবিব ঘরে ঢুকল। সহজ গলায় বলল, “সদর দরজা খুলে রেখেছ কেন? দিন কাল ভালো যাচ্ছে না।”
তারা তিনজনই যেন হাফ ছেড়ে বাঁচল। শরিফা বেগম কঠিন মুুখে বললেন, “কয়টা বাজে সে খেয়াল আছে তোর? একেই তো এত দেরি করে বাড়িতে ফিরেছিস তারপর থেকে কল রিসিভ করছিস না।”
“অফিসে খুব বড় একটা ঝামেলা হয়ে গেছে। নানান তালে খেয়াল করতে পারিনি। ভেবেছিলাম কাজ শেষ হলে জানিয়ে দেব। পরে দেখি ফোনে চার্জ নেই। বন্ধ হয়ে গেছে।”
“ফোন রাতে চার্জে দিয়ে রাখতে পারিস না? আর একটু হলে আমরা সবাই হার্টফেল করতাম।”
“ফোনে চার্জ ছিল। দুপুরে গেম খেলতে গিয়ে শেষ হয়ে গেছে। পরে আর চার্জে দিতে পারিনি।”
“নববী খেতে এসো। রাত হয়ে গেছে। শুয়ে পড়ব।”
শরিফা বেগম বেরিয়ে গেলেন। নাইমা ঠোঁট টিপে হাসল। বলল, “মা ভীষণ রেগে গেছে। পারলে ভাইয়াকে দু’ঘা দিয়েই দিত।”
আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন
নববী হেসে উঠল। কয়েক মুহুর্তের ব্যবধানে তার মন ভালো হয়ে গেছে। দুশ্চিন্তার ঘোর কাটিয়ে নিশ্চিত হতে পেরেছে। মন বাগানের শীত কেটে গেছে। বসন্তের দক্ষিণা বাতাস বইছে, ফুল ফুটছে, পাখিরা গান গাইছে। হাবিবও মুচকি হাসল। নাইমা বলল, “ভাইয়া, হাত-মুখ ধুয়ে ফ্রেশ হয়ে নাও। পরে কথা বলছি।” বলেই সে ঘর থেকে বেরিয়ে গেল। যাবার সময় দরজা ভেজিয়ে দিয়ে গেল।
নববী বলল, “এভাবে দুশ্চিন্তায় রাখার মানেটা কি?”
হাবিব বলল, “ইচ্ছে করে করেছি। মাঝেমধ্যে দুশ্চিন্তা না করলে কিভাবে বুঝবে আমায় কতটা ভালোবাসো!” তার গলার স্বর অন্যরকম শোনালো। যেন হঠাৎই গায়ে একগুচ্ছ দক্ষিণা বাতাসের ঝাপটা লেগেছে। শরীর মন জুড়িয়ে গেছে। নববী লাজুক হাসি হাসল।
খাবার টেবিলে নাইমা বলল, “বাদশা ভাইয়ের বাড়িতে যাবার কথা ছিল। সন্ধ্যা থেকে অপেক্ষা করছি।”
“কাল সকালে যাব। অফিসের ঝামেলায় অন্যকিছু মাথায় আসেনি।”
“অফিসে এমন কি হয়েছে? এত ব্যস্ততা কিসের?”
হাবিব জবাব দিলো না। হাত ধুয়ে উঠে পড়ল। তার শরীর ভীষণ রকমের ক্লান্ত হয়ে পড়েছে। এখন একটুু বিশ্রামের প্রয়োজন।
নাইমা খুব ভোরে জেগে উঠল। বিছানায় উঠে বসে ঘড়ির দিকে তাকাল। সবে পাঁচটা সাতচল্লিশ বাজে। এখনও ঠিকঠাক সকাল হয়নি। সে দু-হাত দিয়ে চোখ-মুখ মুছে ফেলল। সারারাত ঘুমাতে পারেনি। থেকে থেকে জেগে উঠেছে। তার এ সমস্যা নতুন নয়। কোথাও যাবার কথা থাকলে সে রাতে সে ঘুমাতে পারে না। ঘুমের মাঝেই মনে হয় সময় পেরিয়ে যাচ্ছে। দেরি হয়ে যাবে। নাইমা বিছানা ছেড়ে নামল। হাত-মুখ ধুয়ে খাতা খুলে বসল। ঘরের বাতি জ্বালিয়ে দিয়েছে। তীব্র আলো চোখে লাগে।
রাফিয়া টেবিলের ওপর চায়ের কাপ নামিয়ে রাখল। বিস্মিত গলায় বলল, “আমার সাথে তোমার কি এমন জরুরি কথা থাকতে পারে?”
নাইমা শান্ত চোখে তাকাল। সরল গলায় বলল, “কয়েক দিন আগে ভাইয়া অফিসের কাছে বাইরে গিয়েছিল। বাদশা ভাইও তার সাথে ছিলেন। জানেন নিশ্চয়ই?”
“হ্যাঁ, জানব না? অবশ্যই জানি। কিন্তু তাতে কি হয়েছে?”
“বিশেষ কিছু হয়েছে নিশ্চয়ই। নয়তো আমি এ কথা জিজ্ঞেস করব কেন?”
“সেটাই তো জানতে চাইছি। এসব কি ধরনের পাগলামো?”
“পাগলামো নয়। আমি সুস্থ স্বাভাবিক অবস্থায় সজ্ঞানে আপনাকে জিজ্ঞেস করছি আপনি ওখানে কেন গিয়েছিলেন?”
“কোথায় গিয়েছি? এসব কি বলছ তুমি?”
“আপনি খুব ভালো করে বুঝতে পারছেন আমি কি বলছি। শুধুমাত্র না বোঝার ভান করছেন। যাইহোক ভাইয়ারা কাজের জন্য যেখানে গিয়েছিল সেখানে আপনি কেন গিয়েছিলেন?”
নাইমা সেই জায়গার নাম বলল। রাফিয়া থমথমে গলায় বলল, “আমি কোথাও যাইনি। এসব মিথ্যে কথা।”
“আপনি গিয়েছিলেন। বাদশা ভাই সাক্ষী।”
“অচেতন মানুষের মতো কথা বলো না নাইমা। চেতনায় ফেরো।”
“আচ্ছা বেশ। আপনি কোথায় গিয়েছেন না গিয়েছেন এটা আপনার ব্যক্তিগত ব্যাপার। মিলি আপুকে কিভাবে চেনেন?”
“কোন মিলি?”
নাইমা মোবাইল বের করে মিলির ছবি দেখাল। বলল, “মিলি আপু। আপনার নতুন বান্ধবী।”
“এ কথা সত্যি নয়। আমি এই মেয়েকে চিনি না।”
“বন্ধুত্ব তো ভালো ব্যাপার। আপনি লুকাতে চাইছেন কেন?”
রাফিয়া চিৎকার করে বাদশাকে ডাকল। বাদশা হাবিবের সাথে বসে কথা বলছিল। বউয়ের চিৎকার শুনে ছুটে এলো। ব্যস্ত গলায় বলল, “কি হয়েছে? এভাবে চিৎকার করছ কেন?”
“বাদশা দেখো, ওই মেয়ে কিসব কথা বলছে। নতুন বান্ধবী তারপর আমি তোমাদের কাজের জায়গায় গিয়েছি। আরও কিসব কিসব বলছে।”
বাদশা নাইমার দিকে তাকাল। হাবিব বলল, “আমি সবটা বুঝিয়ে বলছি। আগে সবাই শান্ত হয়ে বসো।”
রাফিয়া ধপ করে চেয়ারে বসে পড়ল। তার চোখ-মুখ ফ্যাকাসে হয়ে গেছে। ক্রমাগত কপালের ঘাম মুছচ্ছে। সবকিছু শোনার পর বাদশা বলল, “এসব সত্যি রাফিয়া? তুমি ওখানে গিয়েছিলে?”
“না আমি কোথাও যাইনি। মিলির সাথে আমার পরিচয় নেই।”
“মিথ্যে বলছ তুমি। তোমার চোখে সত্যিটা পরিষ্কার দেখা যাচ্ছে। এতটা সন্দেহ করো আমাকে? এতটা?”
রাফিয়া চোখ নামিয়ে ফেলল। নিচু গলায় বলল, “আমি! আমি খুব বাজে একটা স্বপ্ন দেখেছিলাম। দেখেছিলাম তুমি অন্য একটা মেয়ের সাথে হোটেলে থাকছ। তারপর নিজেকে আর কিছু বোঝাতে পারছিলাম না। নিজের চোখে দেখতে গিয়েছিলাম। তবে হ্যাঁ, আমি মিলিকে চিনি না। সে আমার বান্ধবী নয়।”
“এখনও কেন মিথ্যে বলছ তুমি? রাফিয়া, চোখে মেনে তাকাও। সবকিছু দিনের আলোর মতো পরিষ্কার। মিলির মা তোমায় দেখে নিয়েছি। তিনি কেন মিথ্যে বলবেন?”
রাফিয়া কাঁদতে শুরু করল। জড়ানো গলায় বলল, “তিনি মিথ্যে বলেননি। তোমার খোঁজ নিতে গিয়ে মিলির সাথে আমার পরিচয় হয়। হোটেলে তোমার রুমের সামনে দিয়ে ওকে বেশ কয়েকবার ঘোরাঘুরি করতে দেখেছি। তখন কথা বলেছিলাম। কথা বলে জানতে পারলাম ও হাবিব ভাইয়ের আত্মীয়। তারপর আমাদের বন্ধুত্ব হয়।”
বাদশা বিস্মিত গলায় বলল, “এতক্ষণ এত ভনিতা করছিলে কেন?”
হাবিব বলল, “কারণ মিলি খু’ন হয়েছে। আর যেদিন যে সময়ে মিলি খুু’ন হয় তার কিছুক্ষণ আগে উনি মিলিদের বাড়িতে গিয়েছিলেন।”
“ হাবিব ভাই, এসব আপনি কি বলছেন?”
“ঠিক বলেছি।”
রাফিয়া বলল, “খু’নের ব্যাপারে আমি কিছু জানি না। আমি তো শুধু ওকে নলেনগুড়ের পায়েস দিতে গিয়েছিলাম। ওই আমাকে বলেছিল।”
বাদশা আর কোন প্রশ্ন করার সুযোগ পেল না। তার আগে দারোগা সাহেব তার দলবল নিয়ে তাদের বাড়িতে ঢুকলেন। হাসি-হাসি মুখ করে বললেন, “সবাই দেখি এক জায়গায়! আমার জন্য বেশ সুবিধাই হলো।”
“আপনি হঠাৎ এখানে? কোন সমস্যা?”
“সমস্যা ছাড়া পুলিশ কোথাও বেড়াতে যায় না। একটা মেয়ে খু’ন হয়েছে। নাম মিলি। তার ফোনের শেষ কল আপনার বউয়ের নম্বরে। খবর নিয়ে জানলাম সে সেদিন ওই বাড়িতে গিয়েছিল। ব্যাপারটা নিয়ে একটু আলাপ করা প্রয়োজন।”
“বেশ তো। বসুন। বসে কথা বলি।”
“বসার সময় নেই। আপনারা সবাই আমাদের সাথে থানায় চলুন। মিলির মা বাবাও আছে।”
রাফিয়া সমানে কাঁদছে। বাদশা এক পলক তার দিকে তাকাল। ভাবলেশহীন গলায় বলল, “চলুন।”
থানার পরিবেশ গম্ভীর। লোক অপেক্ষা ঘরের আকৃতি একটুু ছোট হয়ে গেছে। বসার জন্য পর্যাপ্ত চেয়ারের ব্যবস্থা করা যায়নি। হয়তো ইচ্ছে করেই চেয়ারের ব্যবস্থা করেনি। খু’নি আ’সা’মীদের আবার কিসের যত্ন-আত্তি! নিরবতা ভেঙে দারোগা সাহেব মুখ খুললেন। হাস্যজ্জ্বল গলায় বললেন, “বাদশা সাহবের সাহস আছে বলতে হবে। বউয়ের ব্যাপারে সব বলে দিলেন।”
বাদশা বরফ শীতল গলায় বলল, “সত্যের অন্য কোন পরিচয় হয় না। সত্য সত্যই! তার পরিচয়ও একটা।”
“তা বেশ ভালো। মিলির পোস্টমর্টেম রিপোর্ট চলে এসেছে। বি’ষের কারণে মৃ’ত্যু হয়েছে। যেহেতু আ’ত্ম’হ’ত্যার কোন প্রমাণ পাওয়া যায়নি। ধরে নেওয়া যায় তাকে হ’ত্যা করা হয়েছে। তবে মৃ’ত্যুর আগে তার সাথে কারো হাতাহাতি হয়নি।”
নাইমা বলল, “আপনি এ কথা বলছেন কিভাবে? মিলি আপুর আগে আচঁড়ের দাগ স্পষ্ট।”
“ভালো প্রশ্ন। মিলিকে যে বি’ষ দেওয়া হয়েছে তার নাম ডি’টু’রা। এটা এমন বি’ষ যা হ্যালুসিনেশন তৈরি করে এবং মানুষকে অদ্ভুত আচরণ করতে বাধ্য করে। তখন তারা নিজেরাই নিজেদেরকে আঁ’চ’ড়া’য় কা’ম’ড়া’য়। ডি’টু’রার বি’ষা’ক্ত যৌগ স্কো’পো’লা’মি’ন ,হা’য়ো’সি’য়া’মি’ন মস্তিষ্কে হ্যালুসিনেশন তৈরি করে। মিষ্টি জাতীয় খাবারের সাথে খেলে এই বি’ষ ত্বরান্বিত হয়। এবং দ্রুত শরীরে ছড়িয়ে পড়ে। রাফিয়া মেডাম আপনার নলেনগুড়ের পায়েস ভালোই কাজে দিয়েছে।”
রাফিয়া হাতজোড় করে বলল, “আমি কাউকে কোন বি’ষ দিইনি। আমি কেন ওকে মা’র’তে চাইব? আমার সাথে কিসের শত্রুতা?”
“কিছুই যখন নেই তাহলে প্রথমে সবকিছু অস্বীকার করছিলেন কেন? মিলির মোবাইল নম্বর ব্লক করেছেন কেন?”
“আমি খুব ভয় পেয়েছিলাম। সেদিন সকালে মিলি আমাকে কল দিয়েছিল। খুব ভোরে, এই ছয়টার আগে আগে। তখন আমি পায়েস রান্না করছিলাম। কথায় কথায় ও বলল– পায়েস খাবে। তাই আমি ওর জন্য পায়েস নিয়ে গিয়েছিলাম।”
“তারপর কি হলো? মিলি পায়েস খেয়েছিল?”
“ওর বাড়িতে যাবার পর ওর মায়ের সাথে দেখা হলো। কথাবার্তা বলে মিলির ঘরে ঢুকলাম। ঘর অন্ধকার ছিল। আমি বাতি জ্বাললাম। মিলিকে পায়েস দিয়ে বললাম, ‘তুমি খেতে চেয়েছিল।’
মিলি খুব খুশি হয়ে পায়েস খেতে লাগল। তারপর হঠাৎই অদ্ভুত আচরণ করতে শুরু করল। নিজের চুল টানতে লাগল। ভুলভাল বকতে লাগল। আমি ভয় পেয়ে বাড়ি ফিরে আসলাম।”
“তা বেশ। বাদশা বাবু, আপনার বউ কখন ঘুম থেকে ওঠে?”
বাদশা বলল, “সাড়ে সাতটার দিকে। কখনও এই সময়ের হের-ফের হয় না। ফজরের নামাজ পড়ে আবার ঘুমায়।”
দারোগা সাহেব মুচকি হাসে বললেন, “ফজরের নামাজের পর ঘুমাতে হয় না। যাইহোক, রাফিয়া আপনি পায়েসের ভাড় কি করলেন?”
“ওটা আমি আমার সাথে নিয়ে এসেছিলাম।”
“তারপর?”
“তারপর রাস্তার পাশে একটা ডাস্টবিনে ফেলে দিয়েছি।”
দারোগা সাহেব হাসলেন। তীক্ষ্ণ গলায় বললেন, “বেশ ভালো গল্প ফেঁদেছেন। তবে আপনি বাঁচতে পারবেন না। সত্যিটা তো এই যে আপনি মিলির সাথে আপনার স্বামীর গোপন সম্পর্কের কথা জানতে পারেন। আপনার খুব রাগ হয়। কিন্তু স্বামীকে খুব ভালোবাসেন বিধায় তার কোন ক্ষতি করতে পারেন না। সিদ্ধান্ত নেন মিলি নামক কাঁটাকে সরিয়ে ফেলবেন। প্রথমে মিলির সাথে বন্ধুত্ব করেন। সুযোগ বুঝে তার বাড়িতে গিয়ে তাকে বি’ষ দিয়ে হ’ত্যা করেন।”
চন্দ্রাস্ত পর্ব ১১
বাদশা এ কথার বিরোধিতা করল। জোর গলায় বলল, “মিথ্যে কথা। মিলির সাথে আমার কোন সম্পর্ক নেই। শুধু একদিন দেখা হয়েছে।”
“মিস্টার বাদশা, অস্বীকার করে কোন লাভ হবে না। কয়েক দিন ধরে মিলি একটা নম্বরে বেশ অনেকবার যোগাযোগ করছে। আর ওই নম্বর আপনার এনআইডি কার্ড দিয়ে রেজিষ্ট্রেশন করা।”
বাদশা সত্যিকার অর্থে নিভে গেল। তার গলা শুকিয়ে গেছে। পিপাসা লেগেছে। এ পিপাসা ভীষণ তীব্র।