চৈত্রিকা পর্ব ৫৩

চৈত্রিকা পর্ব ৫৩
বোরহানা আক্তার রেশমী

চৈত্রিকা উদ্ভ্রান্তের মতো ছুটে আসে প্রহরের কাছে। সনিয়া বেগম আর আজম আলী কোথায় তা ভেবেই মাথা ঘুরে যাচ্ছে তার। প্রহর তখন আজম আলীর বাড়ির উঠোনে দাঁড়িয়ে রয়েছে। চৈত্রিকাকে এভাবে ছুটো আসতে দেখে ভীষণ চমকালো। চৈত্রিকা প্রহরের শার্টের কোণা আঁকড়ে ধরে কাঁপা কাঁপা গলায় বলে,

‘মামা মামীকে কেউ সকাল থেকে কোথাও দেখেনি জমিদার সাহেব। কোথায় গেলো ওরা? ওরা-ওরা কোনো বিপদে পড়েনি তো? এখন কি হবে জমিদার সাহেব?’
প্রহর মনে মনে চমকালেও বাহিরে প্রকাশ করলো নাহ। দাঁতে দাঁত চেপে নিজেকে নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। শক্ত হাতে চৈত্রিকাকে আগলে নিয়ে এক হাত রাখে চৈত্রিকার গালে। উদ্ভ্রান্তের ন্যায় ছুটতে থাকা দৃষ্টিতে নিজের দৃষ্টি মিলিয়ে আশ্বস্ত করে বলে,

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

‘শান্ত হও! আগে শান্ত হও। আমি আছি তো! কিচ্ছু হয়নি মামা মামির। কিচ্ছু হবে নাহ।’
চৈত্রিকা শান্ত হতে পারলো নাহ। মস্তিষ্ক চলাচল যেনো বন্ধ হয়ে গেছে। বার বার দৃষ্টি এদিকে ওদিক করতে থাকে। বিড়বিড় করে কি যেনো আওড়াতেই থাকে। প্রহর বোঝে চৈত্রিকা এখনও শান্ত হতে পারেনি। কোনো কথা ছাড়াই চৈত্রিকাকে আগে শক্ত করে জাপ্টে ধরে। বার বার মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে বলে,
‘কিচ্ছু হয়নি তো। শান্ত হও আগে! এমন করো না চৈত্র।’

চৈত্রিকা মিনিট খানেকের মাঝেই শান্ত হয়ে যায়। প্রহরের বুকে মাথা ঠেকিয়ে নিশ্চুপ হয়ে পড়ে থাকে। ক্লান্ত মস্তিষ্কে চাপ দিতে পারে নাহ। শরীরের ভার ছেড়ে দেয় সম্পূর্ণ প্রহরের ওপর। প্রহর তখনো শক্ত হাতে আগলে আছে। চোয়াল শক্ত হয়ে গেছে। বার বার নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়েও ব্যর্থ হচ্ছে। প্রহর যখন বোঝে চৈত্রিকা শান্ত হয়েছে তখন ধীরে ধীরে ছেড়ে দেয়। চৈত্রিকা নিশ্চুপ হয়ে যায়। তার মাথার মধ্যে চলতে থাকে মামা মামি কোথায়! এক মা’কে সে অনেক আগেই হারিয়ে ফেলেছে এবার তার মায়ের মতো আগলে রাখা মামিকেও হারাতে হবে কি? প্রহর চৈত্রিকার হাত শক্ত করে ধরে রাস্তা দিয়ে এগোতে শুরু করে। শান্ত কন্ঠে বলে,

‘চলো!’
চৈত্রিকা জবাব দেয় নাহ। পুরোটা রাস্তা দুজনে নিশ্চুপ ভাবে আসে। জমিদার বাড়িতে ঢুকেই পল্লবী আর শায়লাকে প্রথমে নজরে আসে। পল্লবী এগিয়ে আসতেই প্রহর ব্যস্ত কন্ঠে বলে,
‘আম্মাজান! চৈত্রিকার মামা মামি বাড়িতে নেই। কেউ কোনো খোঁজ জানে নাহ। আপনি একটু চৈত্রিকাকে সামলান। আমার যেতে হবে!’

পল্লবী চমকে যায়। সনিয়া বেগম আর আজম আলী নিখোঁজ শুনে তারও ঢের বোঝা হয়ে যায় এসবের পিছনে কার হাত! প্রহর দ্রুত চৈত্রিকার হাত ছেড়ে উল্টো ঘুরতে নিলে চৈত্রিকা হাত টেনে ধরে। ব্যস্ত কন্ঠে বলে,
‘কোথায় যাচ্ছেন আপনি? যাবেন নাহ।’
প্রহর জিভ দিয়ে ঠোঁট ভিজিয়ে নেয়। পল্লবীর দিকে এক পলক তাকিয়ে চৈত্রিকার হাত ছাড়িয়ে নিয়ে বলে, ‘আমি আসবো তো চৈত্র। ছাড়ো হাত! আমি চলে আসবো খুব তাড়াতাড়ি।’

চৈত্রিকার মন মানে নাহ। প্রহর হাত ছাড়িয়ে চলে যায়। বিষন্নতা ঘিরে রাখা মনটা আরো বেশি বিষন্ন হয়। চোখ উপচে কান্নারা চলে আসে। ভেজা দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে প্রহরের যাওয়ার পানে। পল্লবী হয়তো বোঝে! চৈত্রিকার গালে হাত রেখে সামান্য হাসে। ছোট্ট করে বলে,
‘চিন্তা করো নাহ। প্রহর ঠিক তোমার মামা মামিকে খুঁজে নিয়ে আসবে। এখন ঘরে চলো!’
চৈত্রিকা কোনো কথা-ই বলে নাহ। শুধু প্রহরের যাওয়ার পথে তাকিয়ে থাকে। পল্লবী চৈত্রিকাকে তাদের ঘরে নিয়ে যায়। চৈত্রিকার অশান্ত মনে আরো অশান্তির সৃষ্টি হয়ে গেছে৷ বার বার মনে হচ্ছে কিছু একটা হবে! খুব খারাপ কিছু হবে!

প্রহর বাড়ি থেকে বেড়িয়ে চলে আসে নিজেদের বাগানের সাথে টিনশেড বাড়িতে। যেখানে চয়ন এই সময় থাকবে! প্রহর বড় একটা শ্বাস নিয়ে বাড়ির ভেতর প্রবেশ করে। চয়নের সাথে আরো দুজন লোক বসে তখন ‘তাস’ খেলায় মত্ত। প্রহরকে দেখে চয়ন বাঁকা হাসে। ব্যাঙ্গাত্মক কন্ঠে বলে,
‘বড় পুত্র! খেলবে নাকি?’
প্রহর কিচ্ছুটি বলে নাহ। বাকি দুজন লোকের দিকে তাকিয়ে পা থেকে মাথা পর্যন্ত পর্যবেক্ষণ করে। শীতল কন্ঠে আওড়ায়,
‘বাহিরে যান দুজন!’

প্রহরের কথা অমান্য করার মতো দুঃসাহস তাদের নেই। তাই হুকুম মেনে কোনো রকমে উঠে চলে যায়। চয়ন মাথা এলিয়ে দেয় খাটের সাথে। নিজ থেকেই আবার বলে,
‘ওদের বের করে দিলে কেনো প্রহর? তুমি বুঝি সত্যিই খেলবে?’
প্রহর এ প্রশ্নের জবাব দেয় না। সম্পূর্ণ উপেক্ষা করে নিজে প্রশ্ন করে, ‘আজম আলী আর তার বউ কোথায় আব্বাজান?’
চয়ন একটুও চমকায় নাহ। অবাক হয় নাহ। সে যেনো আগে থেকেই জানতো এমন কিছু হবে! চয়নের চুপ থাকা আর স্বাভাবিক মুখশ্রী প্রহরের চোয়াল শক্ত করে দেয়। বুঝতে বাকি থাকে নাাহ চয়ন ইচ্ছে করে করছে এসব। প্রহর ফের শুধায়,

‘ওরাা কোথায় আব্বাজান?’
‘তুমি জেনে কি করবে?’
প্রহর হাত মুষ্টিবদ্ধ করে নেয়। চয়ন দেখে তা। তবে একটা শব্দও বলে নাহ। প্রহর নিজেই বলে, ‘আব্বাজান আমি আপনার সকল পা’পের জায়গা চিনি। আমি নিজ থেকে খুঁজে বের করলে তা যে খুব একটা ভালো হবে নাহ তা আপনিও জানেন আর আমিও জানি। তবুও যদি আপনি এটাই চান তবে আমি এটাই করবো। যা চাচ্ছেন তা কখনোই হবে নাহ। চৈত্রিকা কিন্তু এতো দুর্বল নয়। ‘ও’ সবকিছু পেরিয়েই পা’পের শা’স্তি দেবেই।’

চয়ন ক্রুদ্ধ হলো। তবে মুখে কিছুই বললো নাহ। প্রহর উল্টো ঘুরে চলে আসতে নিলে চয়ন শক্ত, মোটা রড দিয়ে আঘাত করে প্রহরের মাথায় আর পিঠে। মাথার ভেতরটা যেনো মুহুর্তেই নড়ে ওঠে। প্রহর ঢুলে পড়ে যায়। চোখের সামনে সবটা আবছা হয়ে ওঠে। বার বার মাথা নাড়িয়ে দৃষ্টি স্পষ্ট করতে চাইলেও করতে পারে নাহ। আবছা দৃষ্টিতে তাকাতেই দেখতে পায় চয়নের হাসি। প্রহর দাঁতে দাঁত চেপে কাঁপা কাঁপা কন্ঠে বলে,

‘আপনি নিজের প্রতিজ্ঞা রাখেননি। আমার কাছেও আর আশা কইরেন না আব্বাজান।’
আর কিছু বলতে পারে নাহ। জ্ঞান হারিয়ে পড়ে থাকে মেঝেতে। চয়ন ভেতর থেকে ডাকতেই বাহিরে দাঁড়ানো দুজনে ভেতরে আসে। প্রহরের নিস্তেজ শরীরটা মেঝে থেকে উঠিয়ে বস্তার মাঝে নেয়। উদ্দেশ্য কোনো এক পা’প!

সারাদিনে অফিস করে ক্লান্ত নিবিড় বাড়িতে ঢুকেই আগে বিছানায় গা এলিয়ে দেয়। অর্থি তখনো বিছানার কোণায় বসে আছে দাঁতে দাঁত চেপে। ভীষণ ভাবে সে তার মাষ্টারমশাইয়ের ওপর রেগে আছে। ভীষণ মানে ভীষণ। নিবিড় কোনো মতে ক্লান্ত গলায় বলে,
‘অর্থি! এক গ্লাস পানি দাও তো!’
নিবিড়ের ক্লান্ত কন্ঠে অর্থির মায়া হয়। সব রাগ ধুলোয় মিশিয়ে ছুটে গিয়ে আগে পানি আনে। বিছানার পাশে দাঁড়িয়ে বলে,
‘এই নিন পানি! আপনার কি বেশি খারাপ লাগছে মাষ্টারমশাই?’
নিবিড় এতক্ষণ চোখ বন্ধ করে থাকলেও এবার চোখ মেলে তাকায়। ক্লান্ত ভঙ্গিতেই হাসে। অর্থির হাত থেকে পানি নিয়ে ঢকঢক করে তা শেষ করে। তারপর কোনো কথা ছাড়া-ই অর্থিকে টেনে বসায় বিছানায়। অর্থির কোলে নিজের মাথা গুজে দিয়ে অলস গলায় বলে,

‘আমি একটু ঘুমাই! তুমি এভাবেই থাকো।’
অর্থি বার কয়েক চোখের পলক ফেলে। শুকনো ঢোক গিলে ভাঙা ভাঙা ভাবে বলে, ‘গোসল করবেন না? আগে গোসল করে আসুন! তারপর খেয়ে না হয় ঘুমান!’
নিবিড় শুনলো। মন না চাওয়া স্বত্বেও নিজের জায়গা ছেড়ে উঠতে হলো। অর্থি নিজেই নিবিড়ের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র এগিয়ে দেয়। নিবিড় হাসে। বোকা অর্থি সংসারী হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু তার তো এই মেয়ের বোকা কথা শুনতেই বেশি ভালো লাগে। কবে আবার বোকা কথা বলবে? নিবিড় ঠোঁট উল্টে তাকায়। হুট করে এমন করায় অর্থি খানিকটা চমকায়। চোখ ছোট ছোট করে বলে,

‘কি হয়েছে মাষ্টারমশাই?’
‘একটু বোকা বোকা প্রশ্ন করো তো অর্থি!’
অর্থি যেনো বোকা হয়ে যায়। ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করে, ‘কেমন করে?’
নিবিড় মুহুর্তেই হেঁসে ওঠে। প্রাণবন্ত হাসি হেঁসে অথির গোছানো চুল এলোমেলো করে দেয়। তারপর অর্থির কপালে ঠোঁট ছুঁইয়ে নিজে চলে যায় গোসলখানায়। অর্থি শুধু তাকিয়ে দেখে। যখন তার বোধ হয় নিবিড় তার কপালে ঠোঁট ছুঁইয়েছে তখন হুট করেই লজ্জা পায়। চুপচাপ এসে বিছানা ঠিক করে নিবিড়ের জন্য খাবার সাজায়। নিবিড় গোসল সেড়ে আসলে ভেজা কাপড় ওভাবেই রাখে অর্থি। নিবিড়কে খেতে বসতে বলতেই ঘরের দরজায় টোকা পড়ে। নিবিড় ভ্রু কুঁচকায়। বাহির থেকে শব্দ আসে বাড়িওয়ালার বউয়ের। নিবিড় দরজা খুলে দিয়ে সালাম দেয়। মহিলা সালাম নিয়ে ঘরের ভেতর ঢুকে পড়ে। অর্থি তখন গোসলখানা থেকে বের হচ্ছে। অর্থিকে দেখেই তিনি বলেন,

‘এটা তোমার বউ নিবিড়?’
নিবিড় এক গাল হেঁসে মাথা নাড়ায়। অর্থি এগিয়ে এসে সালাম দেয়। মহিলাটি জহুরি নজরে পরখ করে কিছু বলতে চেয়েও বলে নাহ। সাধারণ কথা বার্তা শেষ করে গলা পরিষ্কার করে বলে,
‘তোমার কাছে এসেছি একটা দরকারে!’
অর্থির ভ্রু কুঁচকে যায়। তৃষ্ণাকে দেখার পর থেকে তার এই বাড়িওয়ালা, তার বউ কিংবা এই বাড়ি কাউকেই ভালো লাগে নাহ। নিবিড় বরাবরের মতো হেঁসে জিজ্ঞেস করে ‘কি কথা!’ জবাবে ভদ্র মহিলা বললেন,

‘আমার তৃষ্ণার জন্য একটা শিক্ষক খুজতেছি। কিন্তু বিশ্বস্ত কাউকে পাচ্ছি নাহ। বুঝোই তো বাবা! তো তৃষ্ণার থেকে শুনলাম তুমি নাকি ভীষণ ভালো পড়াও! আমার মেয়েটাকে যদি একটু পড়িয়ে দিতে খুব উপকার হতো। না করো না বাবা!’
মহিলার কথা শেষ হতে না হতেই নিবিড় চট করে তাকায় অর্থির দিকে। অর্থি শান্ত দৃষ্টিতে তারই দিকে তাকিয়ে আছে। এই শান্ত দৃষ্টির মানে যে ভ’য়ং’কর তা সে হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে। নিবিড় ফাঁকা ঢোক গিলে বলে,
‘আমি আপনাকে জানাবো চাচি!’

মহিলাটি খুশি হলেন নাাহ খুব একটা। জোড় দিয়ে বললেন, ‘রাজি হয়ে যেও কেমন!’
নিবিড় কিছু বলে নাহ। মহিলাটি বিদায় নিয়ে চলে যায়। নিবিড় ঘরের দরজা লাগিয়ে আসে অর্থির কাছে। অর্থি কিছু বলে নাহ। চুপচাপ এসে খাবারের জায়গায় বসে বলে,
‘খেতে আসেন!’

নিবিড় টু শব্দও করে নাহ। খেতে চলে আসে। অর্থি নীরবে নিজের প্লেটে খাবার নিয়ে নিবিড়কেও দেয়। চুপচাপ খেতে শুরু করে। পুরো সময়ে কোনো শব্দ করে নাহ। নিবিড় খাওয়া শেষে বিছানায় গা এলিয়ে দেয়। অর্থি সব গুছিয়ে এসে নিজেও পাশে শুয়ে পড়ে। অনেকটা সময় পর নিজেই বলে,
‘আমাকে বাড়িতে দিয়ে আসবেন কাল! নয়তো দুদিন পর আপনাকে শুনতে হবে ‘খু’নীর বর আপনি’।’

রাত তখন ১১ টার আশে পাশে। প্রহর তখনো ফেরেনি। সবাই যে যার মতো ঘুমিয়ে পড়েছে৷ পুরো ঘরে পায়চারি করতে থাকে চৈত্রিকা। একবার এই মাথা তো আরেকবার ওই মাথা যাচ্ছে। মনের মাঝে বার বার কু ডাকছে। চিন্তায় মাথা ব্যাথা করছে। বার বার বারান্দায় গিয়ে উঁকি দিচ্ছে প্রহর আসছে কি না তা দেখার জন্য! শেষ বার বারান্দায় গিয়ে দাঁড়াতেই চোখে পড়ে একটা অবয়ব। চৈত্রিকা ভালো মতো তাকিয়ে বুঝতে পারে এটা চয়ন।

চয়ন এতো রাতে কোথায় যাচ্ছে তা ভেবেই ভ্রু কুঁচকে যায়। মাথায় হাজারটা চিন্তার পোকা নিয়ে একবার ভাবে চয়নের পিছে যাবে আবার পরক্ষণেই ভাবে যাবে নাহ। কিন্তু মনকে স্থির করতে না পেরে একটা ত’লো’য়া’র নিয়ে জলদি ঘর থেকে বের হয়। আল্লাহর নাম নিয়ে দৌড়ে চয়নের পিছু পিছু যায়। কিছুটা দূরত্ব রেখে চলতে থাকে।

একদম গ্রামের শেষ প্রান্তের কাছে এসে একটা পোড়া বাড়ির ভেতর প্রবেশ করে চয়ন। এভাবে আসাটা যে উচিত হয়নি তা বুঝেও চৈত্রিকা কঠিন সিদ্ধান্ত নেয়। সে কিছুতেই পিছিয়ে যাবে নাহ। বড় বড় শ্বাস নিয়ে ছোট ছোট কদমে কদমে বাড়ির কাছে এগিয়ে যায়। ভেতরে প্রবেশ করতেই তরল কিছু এসে পড়ে তার গায়ে। চোখ মুখ বন্ধ করে নিয়ে হাত দিয়ে মুখ আগলায়। পুরো গা ভিজে চুপচুপে হয়ে গেছে। ভেসে আসছে ক্যারোসিনের গন্ধ।

চৈত্রিকা পর্ব ৫২

(আসসালামু আলাইকুম। ভুলত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। আমাকে আপাতত বকেও লাভ নাই😑 সোমবার থেকে এক্সাম। পড়বো নাকি লিখবো এটা নিয়েই মাথা গুলিয়ে যাচ্ছে তার মধ্যে স্যারদের প্যারা তো আছেই। যায় হোক! আর হয়তো ২ পর্ব নয়তো পরবর্তী পর্বেই গল্পের ইতি টানবো। সেই পর্যন্ত কষ্ট করেন। আর আমি এইচএসসি ক্যান্ডিডেট না। আমি একাদশের ছাত্রী। তাতে কি! এক্সাম তো এক্সামই হয় তাই না! আমার তো এক্সাম দিতেই হবে। আর আমি কোনো ভাবেই চাইবো নাহ ফেইল করি! কিংবা আমার বাজে পড়ালেখার জন্য আমার প্যারেন্টসকে কেউ বলুক ‘আপনার মেয়ে ফেইল করার কারণ কি!’🙂 আশা করবো আমার দিকটা বুঝেই সবাই বকবেন😐)

চৈত্রিকা পর্ব ৫৪