চৈত্রিকা পর্ব ৫২

চৈত্রিকা পর্ব ৫২
বোরহানা আক্তার রেশমী

সাদিক নাসিমার ম’ত্যুর আজ দুদিন। নিবিড় যেহেতু অর্থিকে নিতে এসেছিলো তাই সে নিয়ে যাওয়ার কথা বলতেই চয়ন রেগে যায়। সে কিছুতেই অর্থিকে নিবিড়ের সাথে যেতে দিবে নাহ। দিবে নাহ মানে দিবে নাহ। সকাল থেকে বাড়িতে এই নিয়ে চেচামেচি শুরু হয়েছে। পল্লবী, শিমুল বার বার চুপ করতে বললেও কারোর কথা কানে নিচ্ছে না চয়ন। বাড়ির লোকদের সাথে সাথে জমিদার বাড়ির সকল কাজের মানুষগুলোও ঝামেলা দেখছে। বরং তারা উৎসুক দৃষ্টিতেই দেখছে।

যেনো জমিদার বাড়ির এসব ছোট খাটো ঝামেলা তাদেরকে মজা ই দিচ্ছে। চৈত্রিকা নিশ্চুপ। আপাতত সে কিছু বলবে নাহ৷ নিবিড় হাত বগলদাবা করে মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে আছে। পাশেই খানিকটা দুরে দাঁড়িয়ে অর্থি নখ কা’মড়াচ্ছে আর পিট পিট করে নিবিড়, চয়নের দিকে তাকাচ্ছে। চয়ন বলেই যাচ্ছে আর নিবিড় মনোযোগী শ্রোতার মতো শুনে যাচ্ছে। অর্থিকে নখ কা’মড়াতে দেখে অর্পিতা মাথায় আস্তে করে একটা গা’ট্টা মা’রে। অর্থি চোখ ছোট ছোট করে তাকাতেই অর্পিতা ফিসফিস করে বলে,

আরও গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

‘বিয়ে হয়ে গেছে অথচ বাচ্চাদের মতো নখ কা’মড়ানোর মতো স্বভাব যায় নাই? নিবিড় ভাই কিছু বলে না তোরে?’
অর্থি সেসব কথা পাত্তা দিলো নাহ। বরং ব্যস্ত ভঙ্গিতে নিজেও ফিসফিস করে বলে, ‘কথা বলো না ছোট ভাবী। আব্বাজান আর উনার কথা শুনতে দেও! মাষ্টারমশাই কি বলবে এটা শোনো!’

অর্পিতা আর কিছু না বলে নিজেও মনোযোগী শ্রোতার মতো তাকায়। কয়েক সেকেন্ড বাদেই অর্থি অর্পিতার হাত চেপে ধরে বলে, ‘এই আপু! মাষ্টারমশাই আমাকে নিয়ে যাবে তো? আব্বাজানের কথা শুনে আবার আমাকে রেখে যাবে না তো?’
অর্থির হঠাৎ এমন করায় অর্পিতা খানিকটা চমকায়। বুকে থু থু দিয়ে কটমট করে তাাকায়। দাতে দাত চেপে বলে, ‘নিজেই বলিস কথা না বলে কি হচ্ছে তা দেখতে আর নিজেই কানের ১২ টা বাজিয়ে দিচ্ছিস! আর একবার ভাবী, একবার আপু ডাকিস কেন? যেকোনো একটা ডাক!’

অর্থি ঠোঁট উল্টে নিবিড়ের দিকে তাকায়। তারপর মিনমিনিয়ে বলে, ‘আসলেই ভাবীরা ননদকে দেখতে পারে নাহ। এজন্যই তুমি আমাকে এমন বকো! আর তুমি তো আমার ভাবী+আপু দুইটাই তাই জন্যই আমি গুলিয়ে ফেলি। একেকবার একেকটা বলি।’
অর্পিতা ঠোঁট চেপে হাসে। অর্থির দিকে তাকিয়ে আবার সামনে তাকায়। চয়ন তখনো বলে যাচ্ছে। চয়ন চুপ করে গেলেই নিবিড় মাথা তুলে তাকায়। ছোট্ট করে বলে,

‘আমাদের ফিরতে হবে আব্বাজান। আমার ছুটির সময় সীমা শেষ। এর থেকে বেশি থাকলে হয়তো আমার চাকুরীটাই টিকবে নাহ। আশা করছি আপনার বলা শেষ!’
চয়ন ক্ষে’পে ওঠে। হুং’কার ছেড়ে বলে, ‘যাবে নিজে যাও! আমার মেয়েকে তোমাকে দিবো নাহ।’
নিবিড়ের শান্ত কন্ঠের জবাব, ‘আপনি জমিদার হলেও আমার বউকে আমার সাথে যাওয়া থেকে আটকানোর ক্ষমতা নেই আব্বাজান। অর্থি আমার বিয়ে করা বউ। আপনি কেমন করে আটকাবেন?’

চয়ন এবার রুখে আসে। মুখে যা আসে তাই বলতে থাকে। উপস্থিস সবার কান ঝা ঝা করে ওঠে। অর্থি কান চেপে ধরে নিস্তেজ কন্ঠে বলে, ‘চুপ করেন আব্বাজান। এসব ভাষা ব্যবহার করবেন নাহ।’
নিবিড় দাঁতে দাঁত চেপে থাকে। এ পর্যায়ে প্রহর কথা বলে। চোখ বন্ধ করে শান্ত অথচ জোড়ালো কন্ঠে বলে, ‘নিবিড়ের সাথে এধরণের ব্যবহার করে নিজেকে ছোট করবেন না আব্বাজান। নিবিড় এ বাড়ির জামাই। আপনার নিজের মেয়ে জামাই। তার সাথে এধরণের ব্যবহার কি আপনার শোভা পায়? এসব করে আপনি পারবেন অর্থির ওর সাথে যাওয়া আটকাতে? পুরো গ্রামের সামনে ওদের বিয়ে হয়ছে।’

‘বিয়ে হয়ছে তো কি করবো আমি? তোমাকে নিষেধ করেছিলাম না বিয়ে দিতে! দিয়েছো কেনো?’
‘যা করা উচিত ছিলো সেইটাই করেছি আব্বাজান। এখন এসব করে লোক না হাসিয়ে ওদের যেতে দেন।’
চয়ন তেতে ওঠে। প্রহর নিবিড়কে বলে, ‘সব গুছিয়েছো দুজন?’
নিবিড় ছোট্ট উত্তরে জানায় তারা সব গুছিয়েছে। প্রহরের ব্যবহারে চয়ন রেগে গেলেও আর কিছু বলে নাহ। আপাতত তার পা’পের সঙ্গীরা কেউই নেই। তাই তার যা করতে হবে খুবই সাবধানে। মনে মনে ক্রো’ধের পাহাড় জমিয়ে চুপচাপ বসে থাকে। প্রহরের নির্দেশে নিবিড় আর অর্থি তৈরী হতে চলে যায়। চয়ন ফুঁসতে ফুঁসতে বলে,
‘কাজটা ঠিক করছো নাহ প্রহর!’

প্রহর জবাব দেয় নাহ। হলরুম নীরবতায় ছেয়ে যায়। মিনিট ত্রিশেক বাদেই হাজির হয় নিবিড় অর্থি। চয়নের দিকে এক পলক তাকিয়েও অর্থি সেদিকে যাওয়ার সাহস পায় নাহ। চুপচাপ ঘুরে চলে আসে। নিবিড় শক্ত করে আঁকড়ে ধরে অর্থির হাত। সবার থেকে বিদায় নিয়ে সদর দরজা পেড়োতে পেড়োতে শক্ত প্রতিজ্ঞা নিয়ে বলে,
‘তোমার এই হাত যেভাবে ধরেছি ওভাবেই আজীবন ধরে থাকবো। তোমাকে সুখের বদলে কখনো দুঃখের অশ্রু ঝড়তে দেবো নাহ। কথা দিলাম!’

অর্থি কান খাড়া করে প্রত্যেকটা কথায় শুনলো। চোখ পিটপিট করে একবার নিবিড়ের দিকে তাকিয়ে চোখ নামিয়ে নেয়। ঠোঁট প্রসারিত করে হাসে। মনে শান্তি অনুভব করে। ভেতর থেকে কেউ যেনো চিৎকার করে বলে,
‘অর্থি তুই ভালোবেসে ভুল করিসনি। এই যে মাষ্টারমশাইটা তোকে সত্যিই ভীষণ ভালোবাসে। ভীষণ! এতো ভালো কি তোকে কেউ আদৌও বাসতো?’

১ ঘন্টার পথ পাড়ি দিয়ে অর্থি আর নিবিড় পা রাখে শহরে। অর্থি খোলা আকাশের নিচে মৃদু হাওয়ায় আশে পাশে তাকায়। এই শহরেই তার ছোট্ট সংসার হবে। সে ছোট ছোট হাতে সব সামলাবে। পরক্ষণেই তার মনে পড়ে সে এখনো তেমন একটা পারদর্শী নয় সব কাজে। পল্লবী টুকটাক শিখালেও তার বেশ হিমশিম খেতে হয়। মন খারাপ হয়ে যায় মুহুর্তেই। নিবিড় অর্থির হাত ধরেই ছোট্ট একটা ঘরের সামনে আসে। অর্থি আশে পাশে নজর বুলিয়ে দেখে। ইট পাথরে তৈরী ছোট্ট একটা ঘর। পাশে বিশাল বড় বাগান। নানান ফুলের সমাহার। ছোট, বড় কত গাছ! অর্থি মুগ্ধতা নিয়ে তাকায়। নিবিড় ঘরের দরজা খুলে অর্থিকে ডাকে। অর্থি চমকে জবাব দেয়,

‘জ্বি মাষ্টারমশাই!’
‘কোথায় হারিয়ে গেছিলে?’
অর্থি মাথা নত করে হাত দিয়ে ঈশারা করে। নিবিড় ফুলের দিকে তাকিয়ে ঠোঁট কামড়ে হাসে। অর্থির কানের পিঠে চুল গুজে দিয়ে বলে, ‘এনে দিবো আমি৷ তখন মন ভরে দেখো! আপাতত আমার ফুল তোমার ছোট্ট ঘরে প্রবেশ করো। নিজের সংসার নিজে বুঝে নিয়ে আমাকে শান্তি দাও।’

অর্থি লজ্জায় মাথা তুলে তাকায় নাহ। ঘরের দিকে তাকিয়ে ভেতরে যায়। পিছু পিছু নিবিড়ও যায়। ঘরটা খুব বেশি বড় নাহ। একপাশে শোবার ঘর আরেক পাশে ছোট্ট রান্নাঘর। তবে বেশ পরিপাটি, গোছানো। ঘরে প্রায় কমবেশি সবই আছে। অর্থি অবাক হয়ে নিবিড়ের দিকে তাকাতেই নিবিড় উৎফুল্ল কন্ঠে বলে,
‘পছন্দ হয়েছে?’

অর্থি হাসে৷ মাথা নাড়ায়। নিবিড়ের ঠোঁট আপনাআপনিই প্রসারিত হয়ে যায়। হাতের কাপড়ের ব্যাগ নিচে রেখে বলে, ‘তোমার মাষ্টারমশাইয়ের এর চেয়ে বেশি কিছু করার সামর্থ্য নেই। যতটুকু পেরেছে এবং পারবে তাতে তোমাকে সম্পূর্ণ সুখ দেওয়ার চেষ্টা করবে।’
‘আমার অতো বিলাসিতার প্রয়োজন নেই মাষ্টারমশাই। আপনি এমনই থাকুন আজীবন আমি তবেই সুখী।’
নিবিড় হয়তো এমন কিছুই আশা করেছিলো। তাই কথার পিঠে আর কিছু বললো নাহ। অর্থির হাতে শাড়ি ধরিয়ে দিয়ে বললো, ‘তুমি গিয়ে আগে গোসল করে আসো! আমি ততক্ষণে দেখি রান্না বসিয়ে দেই!’

অর্থি অবাক হয়। কন্ঠে অবাকতা ধরে রেখে বলে, ‘আপনি রান্না করবেন? পারেন মাষ্টারমশাই? আপনার করতে হবে নাহ। আমি করে দিচ্ছি।’
নিবিড় চোখ রাঙায়। চোখে মুখে গম্ভীরতা টেনে এনে বলে, ‘তোমাকে বলেছি কিছু করতে? আমি ৩ মাস একা ছিলাম না! তখন টুকটাক শিখে নিয়েছি। তুমি গোসল করে আসো! যাও জলদি!’
অর্থি কিছু বলার সাহস পায় নাহ। শুধু গাল ফুলিয়ে নিবিড়ের দেখানো গোসলখানার দিকে এগোয়। নিবিড় সেদিকে তাকিয়ে হাসে। আপাতত গরম গরম ভাত আর ডিম ভাজা দিয়েই চালাতে হবে। বিকেলে সে টাটকা বাজার করে নিয়ে আসলে তখন অন্যকিছু রান্না হবে।

নিবিড়ের ভাত রান্নার মাঝামাঝি সময়েই অর্থির গোসল শেষ হয়। নিবিড় তখন মন দিয়ে ডিম ভাজার জন্য পেয়াজ, মরিচ কুঁচি করছিলো। অর্থি মিনমিনে স্বরে ডাকে,
‘মাষ্টারমশাই!’
নিবিড় নিজের কাজে মন দিয়েই জবাব দেয় ‘হু!’
‘কাপড় কই শুকাতে দেবো?’
‘বাহিরে দেখো দড়ি টাঙানো আছে! ওখানে দিয়ে আসো।’

অর্থি ‘আচ্ছা’ বলেই বাহিরে চলে আসে। আশে পাশে নজর বুলিয়ে নিজের শাড়ি মেলে দেয় দড়িতে। ঠিক তখনই একটা মেয়ে হুড়মুড় করে অর্থিকে ডিঙিয়ে ঘরের দিকে যেতে নেয়। অর্থি চমকায়, ভড়কায়। মেয়েটাকে চিনতে পারে নাহ। মেয়েটা এক পলক তার দিকে তাকায় বিরক্তি নিয়ে। তারপর পরই চলে যায় ঘরে। অর্থি বেশ অবাক হয়। নিজেও কৌতুহল বশত পিছু পিছু ঘরে আসে। মেয়েটা ঘরে ঢুকেই বেশ আনন্দিত স্বরে বলে,
‘নিবিড় ভাই আপনি কখন আসলেন? আর এসেই রান্না বসিয়েছেন কেনো? এতো কষ্ট করতে হবে! আমাকে ডাকলেই তো আমি করে দিতাম।’

অর্থির ভ্রদ্বয় আপনা আপনি কুঁচকে যায়। হাত বুকের ওপর আড়াআড়ি ভাবে রেখে দরজার সাথে ঠেস দিয়ে দাঁড়ায় কি হচ্ছে তা দেখার জন্য। নিবিড় যেনো মেয়েটির কন্ঠ শুনে বেশ বিরক্ত হলো। নিজের এতো মনোযোগের কাজ রেখে বিরক্তির কন্ঠে বলে,

‘আমার নিজের কাজ আমার নিজের করা-ই বেশি পছন্দ। আপনাকে আগেও বলেছি আর এখনও বলছি আমার বিষয়ে নিজের মাথা ঘামানো বন্ধ করেন। তাছাড়াও আমার খেয়াল রাখার জন্য আমার বউ আছে। আপনার কিছু বলার থাকলে বলেন নয়তো আসতে পারেন!’
মেয়েটা অপমানিত বোধ করলো। অর্থির অদ্ভুত কারণেই মেয়েটাকে পছন্দ হলো নাহ৷ তার মাষ্টারমশাইয়ের প্রতি এতো দরদ কেনো দেখাবে! কে এই মেয়ে? অচেনা মেয়েটি মিনমিনিয়ে বলে,
‘আপনি কাজ করছিলেন তাই…’

নিবিড় মাঝ পথে থামিয়ে দিয়ে অর্থিকে ডাকে৷ শান্ত গলায় বলে, ‘অর্থি এদিকে আসো আর তৃষ্ণা! এটা আপনার ভাবী। আমার বউ অর্থি।’
অর্থি এগিয়ে আসে। তৃষ্ণার দিকে তাকায় অদ্ভুত ভাবে। তৃষ্ণাও যে তাকে খুব একটা পছন্দ করেনি তা বুঝতে বেগ পেতে হলো নাহ। তৃষ্ণা কিছু না বলেই চলে যায়। অর্থি একবার সেদিকে তাকিয়ে নিবিড়ের দিকে তাকায়৷ ছোট্ট করে জিজ্ঞেস করে,
‘এটা কে?’
‘বাড়িওয়ালার মেয়ে!’

অর্থি মনে মনে ফুঁসে ওঠে। মুখে কোনোরুপ প্রতিক্রিয়া না দেখিয়ে নিবিড়কে সরিয়ে নিজে বসে পড়ে। ডিম ভেঙে মরিচের সাথে মিশিয়ে নিয়ে বলে শান্ত ভাবে বলে,
‘হয় এই বাড়ি ছাড়ুন নয়তো এই মেয়ে যেনো আমার ঘরের আশে পাশে না আসে। নয়তো আমি বড় ভাবীজানের মতো হাতের কাছে যা পাবো তাই গলার ভেতর চা”’লিয়ে দিবো।’

বিকেল বেলা চৈত্রিকা আর প্রহর হাঁটতে বেড়িয়েছে। আজ কি মনে করে দুজনে এক সাথে বের হয়েছে তা জানা নেই কারোরই। হাঁটতে হাঁটতে প্রহরই প্রথমে মুখ খোলে,
‘মুখ ভার কেনো? কি হয়েছে?’
অজানা কারণেই চৈত্রিকার মন বি’ষিয়ে আছে। নিজেও জানে না কেনো এই বিষণ্নতা। তাই দৃষ্টি এদিক ওদিক করে অলস গলায় বলে, ‘ভালো লাগছে নাহ জমিদার সাহেব। একটু মামির কাছে নিয়ে যাবেন? আমার একটু মায়ের স্পর্শ পেতে ইচ্ছে করছে। ফেরার সময় একবার সাথীর কবর দেখে যাবো।’

প্রহর নিঃশব্দে চৈত্রিকার হাতের মাঝে নিজের হাত নেয়। আঙুলের মাঝে আঙুল গলিয়ে দিয়ে আঁকড়ে ধরে থাকে। চৈত্রিকা ধরে রাখা হাতের দিকে এক পলক তাকিয়ে বড় করে শ্বাস নেয়। প্রহরের দিকে তাকিয়ে খানিকটা হাসে। প্রহরের দৃষ্টি সামনে। দুজনে এগিয়ে আসে সাথীদের বাড়ির কাছে। বাড়ি পুরো শুনশান। চৈত্রিকা আর প্রহর বাড়ির ভেতর গিয়ে দেখে দরজা খোলা। চৈত্রিকা ‘মামী’ বলে কয়েকবার ডাকে।

চৈত্রিকা পর্ব ৫১

অপরপক্ষ থেকে কোনো জবাব আসে নাহ। চৈত্রিকা ভ্রু কুঁচকে ঘরের মাঝে উঁকি দেয়। নাহ কেউ নেই। চৈত্রিকার ভেতরটা মিনিট খানেকের মাঝেই অস্থির হলো। প্রহরকে দাঁড়াতে বলে পাশের বাড়িতে যায় সনিয়া বেগম আর আজম আলীর খোঁজ আনতে। পাশের বাড়ি থেকে জানায় সকাল থেকেই সনিয়া বেগম কিংবা আজম আলীকে কোথাও কেউ দেখেনি। চৈত্রিকার মাথা কাজ করাা বন্ধ করে দেয়। তার দ্রুত চলা মস্তিষ্ক যেনো ধরতে পেরেছে সনিয়া বেগম আর আজম আলী বি’পদে আছে। কিন্তু কেমন বি’পদ! কোথায় তারা? আবার তার জন্য এই মানুষগুলো কোন বি’পদে পড়েছে!’

চৈত্রিকা পর্ব ৫৩