জলকাব্য পর্ব ১৮ || লেখিকা:সুরাইয়া আয়াত

জলকাব্য পর্ব ১৮
লেখিকা:সুরাইয়া আয়াত

শ্রাবণ এখনো কনফিউজ নীলু ওকে আগের দিন কি বলেছিল , আসলে মেয়েটাকে যখন দ্বিতীয়বার জিজ্ঞাসা করতে গেলো মেয়েটা তখন ঠিক করে কিছুই বলল না আর তাছাড়া অত রাত্রেবেলা নীলুর ঘরে গিয়ে আবার একটা কথা শোনার জন্য বারবার নীলুকে বিরক্ত করা ঠিক হবে না বলে শ্রাবণ জোর করেনি , কিন্তু পুরো একটা রাত পার হয়ে গিয়ে এখন সকাল সাড়ে দশটা বাজে তবুও শ্রাবণ এখনো বুঝতে পারছে না যে নীলু ঠিক কি বলেছে ৷ আচ্ছা মেয়েটাকে কি ওর এখন জিজ্ঞাসা করে দেখা উচিত?

ঠিক করে তো কিছুই শুনতে পায়নি কি বলেছিল তাই জিজ্ঞাসা করবে যে কি বলেছিল ৷ শ্রাবন কথাগুলো ভাবলো,যেই ভাবা সেই কাজ, নীলুর কাছে যাওয়ার জন্য পা বাড়াতেই নীলু গটগট করে হেটে ওর রুমে হাজির, শ্রাবন একপ্রকার চমকে গেল প্রায় ৷ শ্রাবনকে কোনরকম পাত্তা না দিয়ে শ্রাবনের আলমারির দিকে গেল নীলু, একটা ব্লু বেরি কালারের শার্ট নিয়ে দেখতে লাগলো ৷ শ্রাবন অবাক চাহনিতে নীলুর দিকে চেয়ে আছে ৷ শ্রাবণ লক্ষ করেছে আজকাল নীলু একটু অদ্ভুত ব্যবহার করে ওর সাথে যা শ্রাবণের কাছে বড়ই অদ্ভুত বলে মনে হয় কারণ শ্রাবণ লক্ষ্য করেছে যে ওর প্রতি মিলুর একটা অধিকারবোধ জন্মেছে, আজকাল বড্ড অধিকার খাটায় মেয়েটা , কিন্তু কিসের পরিপ্রেক্ষিতে সেটা ও বুঝে না ৷ নীলু মেয়েটা বড্ড চাপা স্বভাবের , কখনোই তেমন কিছু বলেনা কিন্তু কাজের মাধ্যমে ঠিকই কিছু একটা ইঙ্গিত করতে চায় বারবার ৷ শ্রাবনের ভাবনা ভেঙে নীলু একটা ব্লুবেরি কালারের শার্ট এনে শ্রাবণের হাতে ধরিয়ে দিয়ে বলল
” বিকালে গড়িয়া যাচ্ছি, তুমি আমার সাথে যাবে তাই এটা পরে রেডি থেকো , বেশি দেরি করো না যেন, তাহলে যে কাজ আছে সেটাই হয়তো আর হবে না ৷” কথাটা বলে নীলু চলে যেতে নিলেই শ্রাবণ নীলুকে ডেকে উঠলো ৷ ” কিন্তু আমরা সেখানে কিসের জন্য যাচ্ছি?”

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

নীলু একটা দীর্ঘশ্বাস নিয়ে বলল
“একটা বিহিত ঘটাতে যাচ্ছি, হয় এসপার নয় ওসপার ৷”
শ্রাবণ নীলুর কথায় কিছু একটা বুঝল তাই নীলুকে আর বেশি ঘাঁটতে চাইল না , ও জানে যে নীলু ওকে নিয়ে যাচ্ছে নিশ্চয়ই তার কোনো কারণ আছে তাছাড়া সেখানে গেলেই জানতে পারবে ব্যাপারটা কি ৷ আর নীলু যখন এখনো সবটা খুলে বলেনি তখন বিষয়টা না হয় শ্রাবনের কাছে একটু চমকের মতোই থাকুক ৷
কথাটা বলে নীলু ঘর থেক বেরিয়ে গেল ৷ মনটা আজ ভারী,ও জানে না যে মিঠি আসলে কি চাইছে , ওর উদ্দেশ্যেটা কি ৷মিঠির কথা খানিকটা হলও বিশ্বাস করেছে নীলু তার কারন কোর্টে রুদ্র ওকে তার কাছে ফিরে যাওয়ার জন্য প্রস্তাব দিয়েছে যদিও তা নোংরা ইঙ্গিতে, তাই যদি মিঠির সাথে রুদ্র সুখী থাকতো তাহলে রুদ্র কখনো নীলুকে কেস ছেড়ে তার কাছে ফিরে যাওয়ার কথা বলতো না ৷তাই নীলু অনেকআংশে সব ঘটনা গুলো মিলিয়ে নীলুর কথা বিশ্বাস করতে চেয়েছে ৷

“আমরা কোথায় যাচ্ছি নীলু ? সকালে জিজ্ঞাসা করিনি কিন্তু এখন আমরা প্রায় লোকশনে চলেই এসেছি তাই এখন তো জনাতেই পারি তাইনা ?”
নীলু বাইরের দিকে খানিকটা উঁকি মারার চেষ্টা করে দেখতে লাগলো ৷ শ্রাবনের করার উত্তর না দিয়ে বলতে লাগলো ” দাদা এখানে থামান, আমরা এখানেই নামবো ৷”
শ্রাবন খানিকটা অবাক চোখে তাকালো ৷ নীলু এখনো ওকে বললো না ৷ ওরা দুজন গাড়ি জেকে নেমে এলো ৷ ওরা একটা কফিশপের সামনে নেমেছে, লোকশন অনুযায়ী এই জায়গাটাই ৷ নীলু এদিক ওদিক তাকিয়ে কোথায় মিঠিকে পেলো না ৷ নীলু এবার ওর ফোনটা বার করে মিঠির নাম্বারটা খুঁজতে লাগলো,নাম্বারটা আর সেভ ও করেনি নীলু , তবুও ওর ফোনে কারোর ফোন আসে না শ্রাবন ছাড়া তাই নাম্বারটা খুঁজতে বেশি দেরি হলো না ৷নাম্বারটা খুঁজতে খুঁজতে শ্রাবণ আবার প্রশ্ন করে উঠলো

” আমরা এখানে কি করতে এসেছি নীলু ৷” নীলু এবারও শ্রাবনের কথার কোন উত্তর দিলো না, আসলে সবকিছু নিয়ে মনের মাঝে এতো এতো ভয় কাজ রছে তে শ্রাবনকে কথাটা বলার মতো সাহস জুগিয়ে উঠতে পারছে না তাই একপ্রকার ভয়েই বলছেনা, তাছাড়া মিঠি যদি না আসে তখন শ্রাবন না জানি আরো কতো কিছু বলে ওকে বকাবকি শুরু করবে তাই মুখ বন্ধ করেই আছে , যতখন ইগনোর করে পারা যায় ৷
নীলু এবার ও কিছু বলছেনা দেখে শ্রাবনের এবার চরম বিরক্তি লাগলো ৷
হঠাৎ নীলু কল করতে যাবে তখনই একটা মেয়েলি কন্ঠস্বর ওর কানে ভেসে আসলো ৷ নীলুর আর বুঝতে বেশি সময় লাগলো না এটা কার গলা ৷ মিঠির দিকে ঘুরে তাকাতেই মিঠি বলল ” কেমন আছো ?”
নীলু শান্ত কন্ঠে বলল ” যেমন থাকা উচিত ৷ যাই হোক যেটা বলতে চাইছো সেটা বলো ৷”
মিঠি মুচকি হেসে বলল ” ভিতরে বসে কথা বলি ?”

নীলু হ্যাঁ সম্মতি জানালো ৷ শ্রাবন ওদের এই আলাপচারিতা দেখে বুঝলো যে এটা মিঠি, এর আগে ও কখনো মিঠিকে দেখেনি তাই প্রথম দেখাতে চিনতে পারেনি ৷ শ্রাবনের নীলুর ওপর রাগ হতে লাগলো, এই মেয়ে এতকিছুর পরেও কি করে দেখা করতে এলো সেটা ভেবে ৷
ওরা ভিতরে গিয়ে বসতেই মিঠি বলে উঠলো
” যেটা বলতে চাইছিলাম সেটা হলো আই ওয়ান্ট টু হেল্প ইউ ৷ রুদ্রর এগেইনস্টে আমি তোমার হয়ে হাজিরা দেবো,তোমার সাথে যা যা অবিচার হয়েছে আমি সেসব কথা আদালতে জানাবো ৷”
নীলু খানিকটা তাচ্ছিল্যর হাসি হেসে বলল
” আমার প্রতি অবিচার হয়েছে বলছো?”
মিঠি এবার মাথা নীচু করে অনিকটা ভেবে বলল
” হ্যাঁ হয়েছে, আমিও রুদ্রর সাথে সামিল হয়ে তোমার প্রতি অবিচার করেছি, তবে তোমার বেবি নষ্টের পিছনে আমার কোনভাবেই কোন হাত ছিলো না, ওটা রুদ্র করেছে , তবে আমমি রুদ্রকে ভীষনভাবে চাইতাম ওকে ভালোবাসতাম তাই…”

মিঠির কথা থামিয়ে নীলু বলল
” তাই !তাই কি ? এখন আর ভালোবাসো না ? এখন আর তাকে চাও না বুঝি ? ”
” নাহ এখন আর তাকে চাই না তার কারন সে আমাকে অত্যাচার করছে , তার সাথে আমার থাকা কোনভাবেই পসিবল না ৷ ও আমাকে কোনভাবেই ডিভোর্স দিতে রাজি নয় বাট আই ওয়ান্ট ডিভোর্স ‌৷”
নীলু কিছু বলতে যাবে তার আগেই শ্রাবন বললো
” তা অত্যাচার গুলোকে এনজয় করছেন তো ? নাকি এখন সে অন্য পরকীয়াতে লিপ্ত হয়েছে তাই আপনার প্রয়োজন শেষ ‍, কোনটা ? আপনাদের মতো মানুষদের সম্পর্ক গুলোই তো গড়ে ওঠে পরকীয়াকে কেন্দ্র করে ৷ তাহলে এখন বিরক্ত হচ্ছেন কেন?”

মিঠি বুঝতে পারলো যে রুদ্র ওকে ইচ্ছা করে কথাগুলো শোনালো তবুও নিজেকে শান্ত রেখে বলল
” আসলে আমি অন্য একজনকে ভালোবাসি , আর তাকেই বিয়ে করতে চাই ৷ রুদ্রর অত্যাচার আমি আর সহ্য করতে পাচ্ছি না, আই নিড ডিভোর্স,তাছাড়া নীলুকে ডিভোর্সের জন্য আমিই ওকে জোর করেছিলাম কিন্তু এখন আমিই ওকে ডিভোর্স দিতে চায় ৷”
মিঠির কথাটা শুনে শ্রাবন হো হো করে হেসে উঠলঝ,নীলু একটা বাঁকা হাসি দিলো , আসলেই আজ প্রমান হলো যারা অন্যর সংসার ভঙে তারা নিজেরাও কখনো সুখী হতে পারে না ৷
নীলু বলে উঠলো ” তা রুদ্রর বিরুদ্ধে প্রমান দেওয়াতে তোমার স্বার্থটা বুঝলাম না ৷ কাইনডলি যদি বলতে ৷”

” আসলে আমি ওর কাছে ডিভোর্স চেয়েছি , ও আমাকে ডিভোর্স দিতে রাজী না, ওর কথা হলো আমার কারনেই ও তোমাকে ছেড়েছে, এখন তুমিও ওর হাতের বাইরে আর আমিও ওর হাতের বাইরে চলে গেলে ওর কাছে আর কিছুই রইলো না , তাই আমি চাই যাতে ও ওর শাস্তি পাক আর আমিও তার সাথে ডিভোর্স এর জন্য কোর্টে আপিল করবো তখন সে ডিভোর্স দিতে বাধ্য হবে ৷ আমি আবার নিখিলের সাথে জীবন শুরূ করতে চাই ৷”
নীলুর ইচ্ছে করছে এই মুহূর্তে উঠে মিঠিকে কয়েকটা ঠাস ঠাস করে চড় মারতে , আর চেঁচিয়ে বলতে
” ভীষন ভাবে ঘৃনা করি তোমাদের, ভীষন ভাবে ৷”

নীলুর চোখে জল চলে এসেছে, তাদের ক্ষনিকের আবেগে ওর জীবনটা নষ্ট ৷ নীলু নিজেকে অনেক শান্ত রেখে বলল ” পরশু আমাদের কোর্টে কেসের ডেট আছে তাই সেখানে তোমার উপস্থিতি আশা করছি , তুমি সেদিন. উপস্থিত না হলে তুমি পুলিশের কাস্টাডিতে চলে যাবে তখন হয়তো তোমার আর নিখিলকে বিয়ে হবে না, আর রুদ্রর হাত থেকে মুক্তিও পাওয়া হবে না ৷এখন তুমি ঠিক করো কি করবে ৷
মিঠি কফির কাপে চুমুক দিয়ে টিসু দিয়ে ঠোঁটের লিপস্টিকের ওপর থেকে কফি মুছে বলল
” আমি সেদিন তোমার হয়ে সাক্ষী দেবো চিন্তা করো না ৷ তাহলে আজ তবে আসি ৷”
শ্রাবন বলে উঠলো ” কি ভীষন তাড়া নাকি ৷ নতুন বয়ফ্রেন্ডের কাছে যাচ্ছেন নাকি ৷”
মিঠি দাঁতে দাঁত চেপে বলল ” বয়ফ্রেন্ড না সে আমার ফিয়ন্সে ৷ তার বাড়িতে আজকে আমাদের বিয়ের ব্যাপারে কথা হবে ৷”
নীলু প্রশ্ন করে উঠলো ” এই বিকালে ?”
“নাহ রাতে ৷”
নীলু মুচকি হেসে বলল ” সবাধানে থেকে এটাই দোঁয়া করি ৷” মিঠি এটা মিথ্যা হাসি দিয়ে সেখান থেকে বেরিয়ে এলো ৷ পরনে আছে ওয়ান পিস, হাতে একটা ব্যাগ আর চোখে সানগ্লাস,মেয়েটার রুপ দেখেই হয়তো রুদ্র আকৃষ্ট হয়েছিলো ৷

শাওয়ারের নীচে বসে চিৎকার করে কাঁদছে মিঠি ৷ কিন্তু আফসোস আজ ওর কান্না শুনে ওর কাছে ছুটে আসার মানুষ নেই , কেউ ওর কাধে হাত রেখে ওকে সাহস জোগানোর কেউ নেই ৷ বিয়ে আগে রুদ্রর সাথে পরকীয়া করে শর নিজের শরীর বিলিয়ে দিয়েও কখনো এমন অনুভূতি হয়নি যেমনটা আজ হচ্ছে, আজ ওর নিজেকে ধর্ষিতা মনে হচ্ছে , বারবার কানে বাজছে নিখিলের বলা কথাগুলো আর নিখিলের সেই চেহারা যা মিঠির চিনতে ভুল হয়েছিলো ৷
নীলু আর শ্রাবনের সাথে দেখা করার পর মিঠি নিখিলের ফ্ল্যাটে গেল ৷ কলিংবেল বাজাতেই নিখিল দরজাটা খুলল ৷ মিঠিকে দেখে নিখিল হাত ধরে টেনে নিয়ে ওর বুকের সাথে মিশিয়ে নিলো ৷ মিঠি লজ্জা পেয়ে বলল ” আরে কি করছো টা কি , তোমার বাবা মা আছে, ওরা দেখে ফেললে কেলেঙ্কারি হবে , কি না কি ভাববে ৷”
নিখিল মিঠির শুনে এর এপাশ ওপাশ তাকিয়ে বলল ” কোথায় আমার বাবা মা ? আর কই আমিতো ওদের দেখতে পাচ্ছি না

মিঠি অবাক হয়ে নিখিলকে ছাড়ানোর চেষ্টা করে বলল
” মনে ! তুমি না বলেছিলে আজ মুম্বাই থেকে তোমার বাবা মা আসছেন আমাদের বিয়ের কথা বলতে তাহলে !”
নিখিল মুচকি হেসে বলল ” আরে ওগুলো তো মজা করে বলে ছিলাম ৷বাড়িতে আমি আর জ্যাক ছাড়া কেউ নেই ৷ আমরা কি এখন বিয়ে করছি নাকি ? আমরা তো আগেরুম ডেট করবো তাইনা ৷”
মিঠি নিখিলকে ধাক্কা মেরে বলল ” মানে টা কি নিখিল , তুমি আমাকে মিথ্যা বলে এখানে আনলে ! আর আমি তো তোমাকে বলেছিলাম আমি কোন রুমডেট করবো না, আমি বিয়ে করবো ৷”

জলকাব্য পর্ব ১৭

নিখিল এবার মিঠির কাছে গিয়ে মিঠিকে বুকে জড়িয়ে নিয়ে বলল ” ওকে কুল, তুমি রুমডেট করবেনা, বিয়ে করবে তাইতো ?” মিঠি মাথা নেড়ে হ্যাঁ সম্মতি জানালো ৷ তখনই হঠাৎ নিখিল মিঠির চুলে মুঠি ধরে বলল ” তোর মতো মেয়েদের কে নিখিল বিয়ে কেন ছুঁয়েও দেখে না ৷ তাই তোর জন্য জ্যাক ই পারফেক্ট ৷”
কথাটা বলে নিখিল মিঠিকে ঠেলে ছুড়ে ফেলে দিতেই মিঠি একটা লোকের গায়ে গিয়ে পড়লো, তার নামই জ্যাক ৷
মিঠির ভয়ে গলা শুকিয়ে আসছে, ভয়ে কাঁপছে, নিখিলের হঠাৎ এমন অদ্ভুত কথা মানতে কষ্ট হচ্ছে ৷ নিখিল টেবিল থেকে গাড়ির চাবি নিয়ে বলল

” জ্যাক নাও সি ইজ ইউরস ৷ আই উইল বি ব্যাক এট নাইট ৷”
নিখিল দরজা দিতে গেলেই মিঠি দৌড়ে ছুটে যেতে গেলেই জ্যাক ধরে ফেলল ৷ মিঠি কাঁদতে কাঁদতে বলল
” নিখিল প্লিজ আমাকে যেতে দাও, তোমার আমাকে বিয়ে করতে হবে না , শুধু আমাকে যেতে দাও ৷”
আর বেশি কিছু বলতে পারলো না, জ্যাক মিঠিকে টেনে নিয়ে গেল ৷
কথাগুলো ভাবছে আর চিৎকার করে কাঁদছে মিঠি ৷

জলকাব্য শেষ পর্ব