তুমিই আমার প্রিয় নেশা পর্ব ৩৩ || suraiya Aayat

তুমিই আমার প্রিয় নেশা পর্ব ৩৩
suraiya Aayat

আরো 3ঘন্টা টানা জার্নি র পর আয়াশ আর নূর নাটোর পৌছালো ৷ সারাটা রাস্তা নূর ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে কাটিয়েছে তাই বৃষ্টি হয়েছে নাকি বন্যা হয়ে গেছে তার খবর নূরের কাছে নেই ৷

হঠাৎ গাড়ি থেমে যেতেই আচমকাই নূরের ঘুম ভেঙে গেল ‌৷ আয়াশের দিকে তাকালো নূর, সারা চোখ মুখ জুড়ে ক্লান্তির ছাপ, সকাল 8টা মতো বাজে ৷ আয়াশ গাড়ি থেকে নামতেই হঠাৎ ধুতি আর পাঞ্জাবী পরিহীতা একজন মধ্য বয়সী দারোয়ান ছুটে এলো ওদের দিকে ,মূলত লাগেজ নামানোর জন্যই ছুটে এসেছে ৷ নূর এখনো গাড়ি থেকে নামেনি, গাড়িতে বসে আছে , আসলে এতোখন ধরে ঘুমানোর পর সবকিছু কেমন নতুন লাগলে তাই নতুনত্ব জিনিসটাকে বেশ উপভোগ করতে চাইছে ৷ আয়াশ বাইরে দারোয়ানের সাথে কথা বলছে নূর তা দেখলো আর বাইরে বেরিয়ে আসলো ৷ এদিকে একদম বৃষ্টি হয়নি, মাটিতে কাঁদাকাঁদা ভাবটা নেই ৷ আয়াশ নূরের কাছে এসে বলল

” আফু সোনা দেখো এটা হলো নাটোর , আগে কখনো এসেছো?”
নূর মাথা নাড়িয়ে চারিদিকে তাকালো, আগে কখনো নাটোর এ আসেনি ও ৷ আয়াশের মামার বাড়ির লোকেরা জমিদারী পরিবারের লোক ছিলেন ,,যুগ যুগ ধরে জমিদারী বংশধারা বজায় রেখে এসেছেন তারা কিন্তু কথায় আছে সময়ের সাথে পাল্টায় মানুষ আর তাদের স্বভাব আর তার ছোঁয়াই পড়েছে বর্তমানে ৷ আয়াশরাও জমিদারী বংশের তবুও তাদেরকে দেখে তা মনে হয় না, আয়াশ আহান দুজনেই বিদেশ থেকে উচ্চশিক্ষা গ্রহন করেছে আগেকার মানুষেরা বেশি উচ্চশিক্ষিত না হলেও তারা জমিদারীতে , এলাকা শাষন জিনিসগুলোতে পারদর্শী ছিলেন যা আজকালকার জেনারেশন এর মাঝে একটি বিরল স্বভাব ৷ নূর আরো কিছু ভাবছে আর ওর ভাবনার মাঝে আয়াশ বলল

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

” এটা হলো নাটোর জেলার সিংড়া উপজেলার চোগ্রাম , আর এখানকার জমিদার ছিলেন আমার মায়ের পূর্বপুরুষরা ৷ আর সেই বিশাল সম্পত্তির একমাত্র উত্তরাধিকার হলেন আমার মামা এবং আমার আম্মু ‌৷”
নূর আয়াশের মুখের দিকে তাকিয়ে বলল
” কিন্তু আপনার আম্মু তো !”
বাকিটুকু বলতে যাবে তার আগেই আয়াশ বলে উঠলো
” বেঁচে নেই ৷”
নূর আয়াশের মুখ ভাব বোঝার চেষ্টা করলো, কেমন যেন একপ্রকার অদ্ভুত চাপা কষ্ট প্রকাশ পাচ্ছে ৷নূর হঠাৎ আনমনেই বলে উঠলো

” জানেন তো আমি গাড়িতে ঘুমিয়ে স্বপ্ন দেখছিলাম ৷”
আয়াশ চোখের জলটা আড়াল করার জন্য সানগ্লাসটা পরে নিয়ে বলল
” হমম !”
নূর আয়াশের দিকে মনোযোগ দিয়ে বলল
” জানতে চাইবেন না যে কি দেখলাম ?”
” হমম বলো ৷”
” জানেন তো আমি দেখলাম রাজকুমারীকে কেউ একটা গোপন কক্ষে বন্দী করে রেখেছে , তার মুখে কষ্টের ছাপ, স্বামীকে হারানোর বেদনা…..আর সন্তান !”
কথাটা বলে নূর আবার ভাবুক সুরে বলল
” আচ্ছা রাজকুমারীর কোন সন্তান নেই?”
আয়াশ এদিক ওদিক তাকিয়ে বলল

” হমম আছে তো, রাজকুমারীর ও দুটো রাজপুত্র ছিলো ৷ তারপর কি দেখলে বললে না তো ?”
নূর এবার উৎসাহ পেয়ে বলল
” হমম, তারপর রাজকুমারীর কষ্ট দেখে আমার অনেক কষ্ট হলো , তার মুখের সৌন্দর্য যেন কোথায় হারিয়ে গেছে, অন্ধকারে থাকতে থাকতে সে অন্ধের মতো আচরন করে ৷ কিন্তু সবচেয়ে অবাক করা বিষয় কি জানেন ? ”
আয়াশ ভ্রু কুঁচকে বলল
” কী?”
” রাজকুমারীর পাহারা হিসাবে থাকে একটা রক্ষী, দীর্ঘ বছর ধরে সেও অন্ধকারে রাজকুমারীকে পাহারা দিচ্ছে তবে সে রাজকুমকরীর সাথে গল্প করে, অনেক হাসে, কতো সুখ দুঃখের গল্প করে, কিন্তু রাজকুমারীকে সেই কক্ষ থেকে মুক্ত করার তার কোন উপায় নেই ৷”

” কেন?”
” কারন এই গোপন কক্ষের রাস্তা সে জানে তবে এতোবছরে হয়তো তাও ভুলে গেছে ৷ কারন সেও রাজকুমারীর সাথে বন্দী ৷ সে দৃষ্টিহীন কারন রাজকুমারীর ময়ায় পড়ে সে যেন কখনো রাজকুমারীকে পালাতে সাহায্য না করে তাই তাকে চিরকালের মতো অন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ৷”
আয়াশ শিউরে উঠলো, এগুলো কি কেবলই নূরের স্বপ্ন নাকি সৃষ্টিকর্তা নুরের এই স্বপ্নের মধ্যে কোন বাস্তবতা রেখেছেন যাতে আয়াশ সেই সূত্র বুঝতে পারে ৷ আসলেই কি এটা মিরাক্কেল !
আয়াশ শুকনো ঢোক গিললো, কি বলা উচিত এখন ওর !
কিছু বলছে না আয়াশ, নূর আবার বলে উঠলো

” সেও যে অন্ধ তার ও মুক্তির পথ নেই, তবে রাজকুমারীকে সে তার মনের কথা বলে অনেক গল্প করে তার সাথে ৷ রাজকুমারী এবং সে উভয়েই অপেক্ষায় আছে যে কবে তারা মুক্তি পাবে ৷”
আয়াশ বেশ সাহস জুগিয়ে বলল
” তুমি কি এতোকিছু স্বপ্ন দেখেছো আফু সোনা নাকি গল্পের মায়ায় পড়ে আমাকে মনগড়া গল্প শোনাচ্ছো কোনটা ?”
নূর নিজের মাথায় হাত রেখে বলল
” এই যে দেখুন নিজের মাথায় হাত রেখে বলছি ৷আমি এটা ভোরবেলা স্বপ্ন দেখেছি আর ভোরের স্বপ্ন সত্যি হয়, যদি কখনো এমন হতো যে রাজকুমারী সত্যিই ফিরে আসবে তাহলে কেমন হবে ?”
আয়াশ চুপ করে আছে , কোন কথা বলছে না দেখে নূর বলল

” আমার তো মনে হচ্ছিল যে এটা কোন গল্প না এটা সত্যি ! আচ্ছা সত্যি যদি এরকম রাজকুমারী থাকতো তাহলে আমি ঠিক ছুটে যেতাম তাকে বাঁচাতে কিন্তু আমার স্বপ্নটা যে অসমাপ্ত রয়ে গেল, আমি জানতে পারিনি রাজকুমারী আসলেই কোথায় আছে ৷”
আয়াশ নূরকে বুকে জড়িয়ে ধরলো কিছুখনের জন্য, আয়াশের হৃদস্পন্দন নূর শুনতে পাচ্ছে, এর আগে বহুবার নুর আয়াশের বুকে মাথা রেখেছে তবে কখনো আয়াশের হৃদস্পন্দের এই অস্বাভাবিক গতির সাথে পরিচিত হয়নি, আয়াশের শরীরের পতিক্রিয়া অস্বাভাবিক, অনেক আকুলিত যা নূর বুঝতে পারছে, মনের মধ্যে চাইতে না চাইতেও অদ্ভুত এক খটকা জাগছে রাজকুমারী কে নিয়ে , আসলেই কি সে এমন কোন রাজকুমারীর খবর জানে? নূর প্রশ্নটা নিজের মাঝেই দমিয়ে রাখলো কারন ও জানে এতো সহজে আয়াশ ওকে বলবে না তাই এখনই আয়াশকে জিজ্ঞাসা করা বৃথা ৷
বেশ কিছুখন পর আয়াশ নুরকে নিজের কাছ থেকে সরিয়ে বলল

” ইনশাআল্লাহ সেই রাজকুমারী খুব শীঘ্রই ফিরে আসবে ৷”
নূর অবাক হলো তবুও তা চোখ মুখের ভাব ভঙ্গিতে প্রকাশ করলো না ৷ আয়াশ নূরের হাত ধরে বলল
” চলো তোমার স্বপ্নের হাত ধরে রাজকুমারী কে খোঁজা যাক ৷”
নূর মুচকি হাসলো, না বোঝার ভান করলো ৷ আয়াশ গেটে পা রাখতে যাবে তার আগে নূরকে উদ্দেশ্য করে বলল
” আমি তোমাকে একটা কাজ দেবো আফু সোনা, কাজটা ঠিকঠাক পালন করবে , ওকে?”
নূর অবাক হয়ে বলল
” কি কাজ ?”
” তুমি নিজেকে যাচাই করবে, আমি যতদূর জানি তুমি সহজে কারোর সাথে মিশতে পারোনা, তাই এই কাজ দিলাম তোমাকে যে তোমাকে এই বাসার মানুষদের সাথে সহজে মিশতে হবে আর আমাকে বলতে হবে কাকে তোমার কেমন লাগলো আর কার ব্যাবহার কেমন বুঝলে ? ”

নূর বোকার মতো মাথা নাড়ালো, আসলেই আয়াশের দেওয়া কাজটা ওর কাছে কঠিন মনে হচ্ছে ৷
আয়াশ নূরের চেহারা দেখে বলল
” কি পারবেনা ? না করলে পানিশমেন্ট ৷”
নূর মুখ ফসকে বলে ফেলল
” আপনার পানিশমেন্ট পেতে খারাপ লাগে না কিন্তু কাজটা কঠিন ৷” কথাটা বলে নিজের মাথায় টোকা দিলো নূর ৷
আয়াশ মুচকি হেসে বলল
” এখন চলো ৷”
আয়াশ নূরের হাত ধরে নিয়ে গেল ৷

নূর আর আয়াশ বাসায় ঢুকতেই চারিদেকি বেশ রমরমা শুরু হয়ে গেল, আজ 12 বছর পর আয়াশ এখানে এসেছে, এর আগে ছোট বেলায় আসতো তাই সেখানকার জায়গাগুলো আয়াশের কাছে বেশ অপরিচিত ৷ সময়ের সাথে মানুষ পাল্টায় তেমনি ঘরবাড়িগুলোও ৷ তাই সময়ের সাথে তার মিলিয়ে না চললে পেরে ওঠা মুশকিল ৷ তিনটে বউ বেশ আগেকার দিনের মেয়েদের মতো আটপৌড়ে শাড়ি পেরেছে শুধু তফাত একটাই আগেকার মেয়েরা ব্লাউজ পরতো না তবে শাড়িকে সুন্দর ভাবে পরিপাটি করায় তাদের সর্বাঙ্গ ঢাকা থাকতো , কিন্তু এখন যারা ওদের সামনে দাঁড়িয়ে আছেন তারা বেশ পরিপাটি….তাদের পিছনে দাঁড়িয়ে আছে বেশ কয়েকটা বউ,তাদেরকে দেখে আজকালকার মেয়ে মনে হলেও গ্রামে থাকার দরুন পুরোনো আভিজাত্য তাদের মাঝে এখনো বিদ্যমান ৷

বউগূলো নূরকে দেখছে আর মুচকি মুচকি হাসছে , কেউ কেউ আয়াশকে নিয়েও কথা বলছে ফিসফিসিয়ে ৷ এই বাড়ির মেয়েরা অন্দরমহলের বাইরে যাইনা তাই বর্তমান সমাজটা তাদের এখনো চেনা হয়ে ওঠেনি তবে নূর একজন সাধারন পরিবারের মেয়ে তাই অনেক স্বাধীনতা আর একরাশ স্বপ্ন নিয়ে ও বড়ো হয়েছে ৷ নূরের বেশ অসস্তি ফিল হচ্ছে তাদের এমন চাহনিতে ৷ নূরের কল্পনা জল্পনার রেশ কাটবে কি তার আগেই মধ্যে বয়সী একজন মহিলা বলে উঠলেন
” আমাদের আয়াশ আর তার বউ মাশাআল্লাহ ৷ সেই কোন ছোট বেলায় দেখেছিলাম যখন আমার নতুন নতুন বিয়ে হয়েছে তখন ৷”
উনি কথা বলে উঠতেই আর একজন মধ্য বয়সী মহিলা বলে উঠলেন
” মেজদি আমি তো শুধু আয়াশ আর তার বাবার গল্প শুনেছি আগে কখনো দেখিনি ৷ তবে ছেলে আর ছেলের বউ দুজনেই মাশাআল্লাহ ৷”

কথাটা বলতে না বলতেই আর একজন বলে উঠলেন
” আমার দেখার আশা তো ক্ষীন কারন আমি তো সবচেয়ে ছোট ৷”
ওনার কথাটা শোনার পরপর মেজ বউ খানিকটা ইর্ষান্বিত দৃষ্টিতে তাকালেন, নূর তা খেয়াল করলো কারন আয়াশ বলেছে সবাইকে বোঝার চেষ্টা করতে, যেকোনো সময় জিজ্ঞাসা করে উঠতে পারে যে কাকে কেমন লাগলো তাই আগে থেকে খেয়াল রাখা ভালো কারন সাবধানের মার নেই ৷
আয়াশ মুখ খুলে বলল এবার
” আফু সোনা ইনি আমার মেজো মামী, ইনি সেজ মামী আর ইনি ছোট ৷”
নূর অবাক হয়ে তাকিয়ে বলল

” আর বড়োটা ? উনি বুঝি আর নেই ?”
কথাটা শুনে সেজো মামী বলে উঠলেন
” থাকবেনা কেন ! বড়ো আপা তো অসুস্থ তাই তিনি সবসময় ঘরেই থাকেন বাইরে আসেন না ৷”
নূর বলল
” ওহহ !”
তার কথা শুনে মেঝো বউ বলল
” থাক থাক এসব কথা , এই বউরা দেখো তোমাদের আর একজন সঙ্গী এসেছে তাকে ঘরে নিয়ে যাও,,আর হ্যাঁ শোনো সে যেন অন্দরযহলেই থাকে বাইরে না বার হয় দেখো ৷”
সবাই একসাথে বলে উঠলো
” আচ্ছা মা ৷”
এতো জনের গলার আওয়াজে কান ধাঁধিয়ে যাওয়ার উপক্রম, আর এদের কথা শুনে বোঝার উপায় নেই যে কে কার শাশুড়ি ৷
একজন এসে আয়াশকে রুম দেখানোর জন্য নিয়ে গেলো, আয়াশ নূরের দিকে ভরসার চাহনিতে তাকিয়ে বলল
” রূমে আসো ৷”

নূর কিছু বলল না, অসলে এতো লোকজন দেখে খানিকটা ভড়কে গেছে, একে একে বাকি বউগুলো কাছে এসে নূরের সাথে টুকটাক কিছু কথা বলল, তারা অত্যন্ত মিশুকে প্রকৃতির মানুষ ৷ কিছুখন পর বউগুলো নূরকে ঘর দেখিয়ে দিলো, বিরাট এক বারান্দার সামনে একটা বড়ো ঘর, দেখেই বোঝা যয় যে জমিদারী বাড়ি,,নূর আগে কখনো দেখেনি, আয়াশরা জমিদার আর উচ্চবিত্ত হলেও বোঝার উপায় নেই কারন তারা অনেক অধুনিক ৷ নূর রুমে ঢুকতেই অয়াশ দরজার পাশ থেকে দাঁড়িয়ে থেকে নূরের হাতটা ধরে নিয়ে নিজের সাথে মিশিয়ে নিলো ৷

তুমিই আমার প্রিয় নেশা পর্ব ৩২

” একবার বলো ভালোবাসি ?”
হঠাৎ আয়াশের মুখ থেকে এমন কথা শুনে নূর চমকে গেল তৎক্ষনাত মনে পড়ে গেল আয়াশের বলা কথাটা
” ভালোবাসার প্রকাশ ঘটালে তা সস্তা হয়ে যায় ৷”
নূর কথাটা মাথায় রেখে বললো
“যদি না বলি তো ?”
কথাটা শোনামাত্রই আয়াশ মুচকি হেসে নূরকে কাছে টেনে নিতেই দরজার বাইরে প্রচন্ড রকমের ঝনঝন আওয়াজ শুনে আয়াশ নুরকে ছেড়ে বাইরে গেল গিয়ে দেখলো কেউ নেই,আছে শুধু ভাঙা দুটো মাটির গ্লাস আর তাতে থাকা সরবত মাটিতে ভাসছে ‌৷ আয়াশের মাথায় অনেক কিছু ভাবনা এলো তারপর দরজা দিয়ে রুমে ঢুকে নূরকে কোলে তুলে নিয়ে বিছানায় শুইয়ে দিয়ে বললো

” কাছে পেতে ইচ্ছা করছে বড্ড ৷”
নূর হালকা কাঁপা কন্ঠে বলল
” এটা সম্ভব না, আমি অসুস্থ ‌৷”
আয়াশ নূরের গলায় ঠোঁট ছুঁইয়ে বলল
” জানি তাই তো দূরে সরে আছি ৷”
নূর টপিক চেন্জ করার জন্য বললো
” বাইরে কে ছিলো ?”
আয়াশ মুচকি হেসে বলল
“শাকচুন্নী ৷”
কথাটা শুনে আয়াশ আর নূর দুজনেই হেসে ফেলল ৷

তুমিই আমার প্রিয় নেশা পর্ব ৩৪