তুমিময় আসক্তি পর্ব ১৫ || Writer Mahfuza Akter

তুমিময় আসক্তি পর্ব ১৫
Writer Mahfuza Akter

?রহস্যভেদ-২?
-তোমার বর একজন খুনী। ইয়েস! হি ইজ আ মার্ডারার।
বিস্ফোরিত চোখে তাকালাম। মাথা ভনভন করে ঘুরছে ইতোমধ্যেই! তারওপর এই কথা শুনে সারা শরীর যেন অসাড় হয়ে আসছে। নির্জন খুনী! কম্পিত কণ্ঠে বললাম,
-ম্ মিথ্যে! সব মিথ্যে। ন্ নির্জন কাউকে অন্যায়ভাবে মারতে পারে না। আপনি মিথ্যে ব্ বলছেন!
শুভ্রব দূরে দাঁড়িয়েই হুংকার ছেড়ে বললো,

-পারে ও। সব করতে পারে। হোয়াট দ্য হেল ডিড ইউ মিন বাই মিথ্যে বলছেন? মিথ্যে বলে আমার লাভ কী?
এমনসময় একটা মেয়ে মেইনডোর দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করলো। শুভ্রবের আর মেয়েটার গেটআপ একদম সেইম। হোয়াইট টি-শার্ট, ব্ল্যাক জিন্স আর ব্ল্যাক লেদারের জ্যাকেট। মেয়েটা ভেতরে প্রবেশ করে এগিয়ে আসতে আসতে বললো,
-কাম ডাউন, ব্রো! এনেই মেয়েটার ওপর চেঁচামেচি শুরু করে দিয়েছিস!
শুভ্রব দাঁতে দাঁত চেপে বললো,
-ও কী বলেছে জানিস? ও বলছে নির্জন নাকি কাউকে মার্ডার করতে পারে না। এতো বিশ্বাস! এতো ভালোবাসা! কীভাবে সহ্য করছি শুধু আমি জানি, আপি।

তার মানে এটাই শুভ্রবের বোন, যাকে এতোক্ষণ ও শায়ন্তী আপি বলছিল। শায়ন্তী আমার দিকে বাঁকা হেসে তাকালো। চোখের সামনে থেকে চুল গুলো সরিয়ে দিতে দিতে বললো,
-নির্জনই মেরেছে আমাদের মমকে। ড্যাড তো ভাগ্যক্রমে বেঁচে গেছে! তবু নির্জনের উদ্দেশ্য ছিল ড্যাডকে মেরে ফেলা। সেটা বুঝেছিলাম যখন ড্যাডের মৃত্যু নিশ্চিত হতেই নির্জন পলিটিক্সে তার জায়গাটা দখল করে নিয়েছিল। নিজে ক্ষমতা লাভের স্বার্থেই নির্জন আমাদের বাবা-মাকে খুন করেছিল।

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

কী বলছে এসব এরা? নির্জন ক্ষমতার লোভে মানুষ খুন করবে? অসম্ভব! একবার নির্জনকে ভুল বুঝে অনেক কষ্ট দিয়েছি। এবার আর সেই একই ভুল করতে চাইনা আমি। কিন্তু নির্জনের সাথে কি আবার দেখা হবে আমার কোনোদিন? আমার যে সব মনে পড়ে গেছে সেটা কি ওনাকে জানাতে পারবো কখনো? মাথা কাজ করা বন্ধ করে দিয়েছে। তমুল গতিতে কানে সেই তীক্ষ্ণ শব্দ শুনতে পাচ্ছি। ভয়াবহ যন্ত্রণা শুরু হয়ে গেছে মাথায়। চোখের সামনে সবকিছুই ঝাপসা লাগছে।
শুভ্রব প্রচন্ড ক্রোধে ফোসফোস করছিল। এক পর্যায়ে আমার দিকে নজর যেতেই অবাক হয়ে গেল। ব্যস্ত হয়ে আমার কাছে এসে হাঁটু মুড়ে বসতেই গালে মুখে হাত দিয়ে নাড়িয়ে জিজ্ঞেস করতে লাগলো,
-গুঞ্জন! এই গুঞ্জন! কী হয়েছে তোমার? এমন করছো কেন?

ততক্ষণে আমি আর কিছু বলার মতো পরিস্থিতিতে নেই। মাথার ভেতর প্রচন্ড যন্ত্রণায় আর্তনাদ করার সামর্থ্যও নেই আমার। মুখ থেকে অস্ফুট শব্দ বের হচ্ছে শুধু। শুভ্রব একে একে আমার হাত পায়ের বাঁধন খুলে দিতে দিতে বললো,
-গুঞ্জন! হেই চোখ বন্ধ করো না, প্লিজ। লেট মি চেক।
শুভ্রব আমার চোখের ভেতরের অংশ গভীর দৃষ্টিতে পরখ করতেই শিউরে উঠলো যেন। শঙ্কিত স্বরে বললো,
-শি হ্যাজ ফলেন ইনটু আ বিগ ট্রমা। আই থিংক সেদিনের এক্সিডেন্টে ওর মেমোরি লস হয়েছিল! এখন আমি সবটা খুলে বলায় ওর ব্রেইন অনেক প্রেশার পড়ে গেছে। সব মনে পড়েছে হয়তো! কিন্তু ওর ব্রেইন এসব নিতে পারছে না।
শায়ন্তী বিরক্ত হয়ে বললো ,

-না নিতে পারলে নেই! ওকে ওর মতো থাকতে দে না!!
শুভ্রব কাঁদো কাঁদো স্বরে বললো,
-যে কোনো সময় ইন্টার্নাল ব্লিডিং শুরু হয়ে যেতে পারে, আপি। আই মিন ব্রেইন স্ট্রোক!
-হলে হবে। কেন যে এই মেয়েকে নিয়ে এতো পাগলামি করিস তুই আর নির্জন? আমি আজও বুঝতে পারলাম না!
শুভ্রব অগ্নিদৃষ্টিতে তাকিয়ে বললো,
-এখন তোর সাথে কথা কাটাকাটি করার ইচ্ছে নেই বলে বেচে গেলি!
বলেই শুভ্রব সিঁড়ি বেয়ে উপরে গেল। এক মিনিটের মাথায় ফিরে এলো হাতে একটা সিরিঞ্জ ফিল-ইন করতে করতে। তারপর সেটা আমার বাহুতে পুশ করে দিতেই শায়ন্তী বললো,

-কিসের ইনজেকশন এটা?
-তোর না জানলেও চলবে! অনেকদিন ধরে প্র্যাকটিস না থাকলেও ডাক্তারি ভুলে বসিনি। আই হোপ, কিছুক্ষণের মধ্যেই ও ঠিক হয়ে যাবে।
শায়ন্তী বিরক্ত হয়ে বললো,
-এবারো মরলো না! তুই আর নির্জন কোনো ভাবেই মেয়েটাকে মরতে দিবি না, তাই না?
-একদম ঠিক বলেছো, মিস শায়ন্তী আফনাদ! গুঞ্জনের কোনো ক্ষতি হতেই পারে না এজ শি ইজ মাই ওয়ান এন্ড অনলি ওয়াইফ।
শুভ্রব আর শায়ন্তী চমকে পেছনে তাকাতেই দেখলো, নির্জন ভেতরে প্রবেশ করছে। তার পেছনে শৌভিক আফনাদ। পেছনে পুলিশও ছিল। নির্জনকে দেখে শুভ্রব রেগে গেলেও নিজের বাবাকে দেখে অবাক হয়ে গেল।
শুভ্রবের চোখে বিস্ময়, শায়ন্তীর চোখে ভীতি।

মাথার ব্যথাটা ধীরে ধীরে কমে আসছে যেন! আস্তে আস্তে স্বাভাবিক হচ্ছি। ঝাপসা দৃষ্টি ক্রমশ স্বচ্ছ হয়ে আসতেই নির্জনকে দেখে একটা প্রশান্তি আমার শিরায় শিরায় ছেয়ে গেল। এই তো! ইনিই তো আমার জীবনের সেই প্রেমময় পুরুষ! উনাকে কীভাবে ভুলে গিয়েছিলাম আমি। ধীরে ধীরে উঠে দাঁড়ালাম। নির্জনের দিকে পা বাড়াতেই শুভ্রব আমার হাতটা খপ করে চেপে ধরে বললো,
-ও এসেছে বলে আমি তোমাকে যেতে দেব এমনটা ভাবলে কী করে? তোমাকে আমি কোথাও যেতে দিবো না।
নির্জন ডোন্ট কেয়ার ভাব নিয়ে দাঁড়িয়ে রইলো। বললো,
-আমি চেয়েছি বলে গুঞ্জনকে কিডন্যাপ করে এখানে আনতে পেরেছিস। নয়তো ওর হাত ধরাটা তোর স্বপ্নই থাকতো আজীবন!
শুভ্রব ভ্রু কুঁচকে বললো,
-তুই চেয়েছিস মানে?

-মানে তো খুব সিম্পেল! আমি সবটা প্ল্যান করেছিলাম যেন তোর সামনে তোর অজানা সব সত্য সুনিপুণ ভাবে ফাঁস করে দিতে পারি। কেউ একজনের ভালোমানুষির মুখোশটাও আজ খুলতে হবে। এভাবে না করলে তো তুই বিশ্বাস করবি না!
নির্জনের পাশ থেকে শৌভিক আফনাদ আফসোসের সুরে বললেন,
-তোমরা দুই ভাইবোন এতোটা উচ্ছন্নে গেছো, আমার ভাবতেই ঘৃণা লাগছে! তোকে তো আমি ভালোমন্দ শিক্ষা দিয়েছি, শুভ্রব! শায়ন্তীর কথা কী বলবো? ও তো ছোটো বেলা থেকেই বিগড়ে গেছে! নিকৃষ্ট রকমের পাপী ও।
শায়ন্তী ভীতসন্ত্রস্ত দৃষ্টিতে তাকালো শুভ্রবের দিকে। শুভ্রব ভ্রু কুঁচকে বললো,

-কী বলছো তোমরা? আমার মাথায় কিছু ঢুকছে না। আর তুমি নির্জনের সাথে কী করছো, ড্যাড? ও আমার মমকে মেরে ফেলেছে। তোমাকেও খুন করতে চেয়েছিলো।
-নির্জন আমায় খুন করতে চায়নি, শুভ্রব। না ও তোমার মাকে মেরেছে। আসল খুনী তো তোমার একমাত্র বোন!
শুভ্রবের মাথায় যেন আকাশ ভেঙে পড়লো। প্রচন্ড রকমের বিস্ময়ে বিহ্বল হয়ে সে বললো,
-আপি!

অবাক চোখে তাকালাম শায়ন্তীর দিকে। নিজের বাবা-মাকে খুন করতে চেয়েছিলো এই মেয়ে! শায়ন্তী উত্তেজিত হয়ে বললো,
-ড্ ড্যাড ত্ তোমার ভুল হচ্ছে। আমি ক্ কেন তোমাদের মারতে চাইবো?
মাঝখান থেকে নির্জন বললেন,
-সেটা তো আমি বলবো! তুমি কেন নিজের বাবা-মাকে মারতে চেয়েছিলে? কারণ তোমার মা তোমার অপকর্মের মাঝে বাধা হয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন।
শুভ্রব অবাক হয়ে বললো,
-মানে?

-শায়ন্তী ইজ আ ড্রাগ ইম্পোর্টার। বিদেশ থেকে ড্রাগ আমদানি করে সেল করে ও। পাশাপাশি অ্যাডিক্টেডও। ওর বিশাল নেটওয়ার্ক আছে। সেটাই ওর মা জেনে গিয়েছিল। নিষেধ করেছিলো ওকে এসব করতে। নয়তো ওর কুকীর্তির কথা শৌভিক আঙ্কেলকে জানিয়ে দিবেন। কিন্তু শায়ন্তী অতি লোভে আর মাদকে আসক্ত থাকায় সেটা ছাড়তে পারেনি। সেজন্যই পথের কাটা সরিয়ে ফেলতেই সেদিন গাড়ি ব্রেক ফেইল করিয়েছিলো। সেদিন এক্সিডেন্টের পর আমার তেমন ক্ষতি হয়নি। ধীরে ধাতস্থ হচ্ছিলাম। সামনের দিকে তাকাতেই দেখলাম, শায়ন্তী অন্য একটা গাড়ি থেকে বেরিয়ে আসছে।

মুলতঃ ও তার মায়ের মৃত্যু নিশ্চিত করতে সেখানে গিয়েছিল। কিন্ত শৌভিক আফনাদকে খুঁজে পায়নি। কারণ তিনি পাশের জঙ্গলে লুকিয়ে ছিলেন আহত অবস্থায়। তোর মা-ই ওনাকে জোর করে লুকাতে বলেছিল। নয়তো শায়ন্তী তাকেও মেরে ফেলতো। শায়ন্তী চলে যাওয়ার পর আমি গুঞ্জনকে আমার পাশে বসিয়ে সামনের গাড়িটায় যাই। যদি কেউ বেঁচে থাকে, তাহলে তাকে নিয়েই হসপিটালে যেতে হবে। সেখানে গিয়ে শৌভিক আঙ্কেলকে তোর মায়ের পাশে বসে বসে কাঁদতে দেখি। তিনি আমায় সংক্ষেপে সবটা বলেন। তারপর পুলিশে ফোন করে এক্সিডেন্টের কথা জানাই। ঐ এক্সিডেন্টে গুঞ্জনের স্মৃতি চলে যায়। আর শৌভিক আঙ্কেল শারীরিক ও মানসিক কষ্টের কারণে কোমায় চলে যায়। এক বছর পর সুস্থ হলেও স্বাভাবিক ছিল না। এতো বছর আমিই তার ট্রিটমেন্ট করিয়েছি।

শুভ্রব সব শুনে থমকে গেল। আমার হাত ছেড়ে দিয়ে বিস্ফোরিত চোখে তাকালো শায়ন্তীর দিকে। আমি ধীরে ধীরে নির্জনের দিকে এগিয়ে যেতে লাগলাম। শায়ন্তী চোখ মুখ শক্ত করে তাকিয়ে আছে। শুভ্রব ক্রোধান্বিত স্বরে বললো,
-তুই এতো নিচ! নিজের দোষটা নির্জনের ওপর চাপিয়ে দিয়েছিস। তুই আমার মাকে মেরে ফেলেছিস। আমাদের বন্ধুত্ব নষ্ট করেছিস। একটা জঘন্য ব্যবসায়ে নেমেছিস। এতো জঘন্য তুই?
শায়ন্তী রাগী গলায় বললো,
-হ্যাঁ, করেছি। বাবা-মা এর পর তোকে নিঃস্ব করে দিতে চেয়েছিলাম। ভাগ্যের চোটে এক্সিডেন্টটা নির্জনের সাথে হয়েছিল আমার আর এক্সট্রা প্ল্যান করতে হয়নি। আর এই মেয়েটার সাথে তোকে বিয়ে দিয়ে দেশ থেকে বিদায় করে দিতে চেয়েছিলাম। তাহলে আমার জীবনে আর কোনো বাধা থাকত না।
নির্জন বললো,

-এজন্যই গুঞ্জনের কাছে একটা এলবাম পাঠিয়ে ছিল যেন ও আমাকে ভুল বুঝে!
-হ্যাঁ, এতে ওর মনে তোমার প্রতি ঘৃণা সৃষ্টি করতে চেয়েছিলাম। আমি জানতাম ওর আগের কিছু মনে নেই। কিন্তু শুভ্রব জানতো না। সব দোষ এই মেয়েটার। ও যেদিন থেকে আমার খেলায় জড়িয়েছে, সেদিন থেকেই নির্জন এসে জুটেছে। ওর জন্য আমার সব ধ্বংস হয়ে গেল আজ। ওকে আমি বাঁচতে দেব না।
কারো কিছু বুঝে ওঠার আগেই শায়ন্তী নিজের পকেট থেকে রিভলবার বের করে আমার দিকে তাক করে ট্রিগারে আঙুল চাপ দিলো। সাথে সাথেই নিজর্ন আমায় ধাক্কা মেরে সরিয়ে দিতেই ফ্লোরে পড়ে গেলাম। গুলির আওয়াজ কানে ভেসে এলো। মুহুর্তেই শুভ্রবের কন্ঠ শুনতে পেলাম,
-নির্জনননন!!!!

তুমিময় আসক্তি পর্ব ১৪

ঘাড় ঘুরিয়ে দেখলাম, নির্জন মাথা চেপে ধরে মাটিতে লুটিয়ে পড়লেন। ওনার কপালের ডান সাইডে গুলি লেগেছে। ফিনকি দিয়ে রক্ত পড়ছে সেখান থেকে। আমার পুরো পৃথিবীটাই থমকে গেল যেন! শায়ন্তীকে পুলিশ এসে ঘিরে ফেললো।
শুভ্রব নির্জনের কাছে এসে বসে ওর মাথাটা নিজের কোলে রাখলো। বাচ্চাদের মতো শব্দ করে কেঁদে দিলো শুভ্রব,
-নির্জন এটা কী করলি তুই, দোস্ত!! এটা কেন করলি? তোকে ছাড়া কীভাবে থাকবো আমি? এতো দিন ভুল ছিলাম আমি। আমাকে তো মাফ চাইতেও দিলি না, ইয়ার! মেরে ফেল আমায়। প্লিজ মেরে ফেল।
নির্জন ব্যথায় কুঁকড়ে উঠতেই একটু হাসলো।
শুন্য দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছি। পাথর হয়ে গেছি যেন! অস্ফুটস্বরে বললাম,
-এমনটা কেন হলো? আমার সাথে কি তোমার নামটা কখনোই পুরোপুরি জুড়বে না, নির্জন?
‘তুমি’ সম্বোধনে নির্জন অবাক হয়ে বললো,
-ত্ তোমার সব ম্ মনে প্ পড়েছে?

শব্দ করে কেঁদে দিলাম। ছুটে এসে নির্জনের কাছে গিয়ে কাঁদতে কাঁদতে বললাম,
-আমায় এভাবে একা করে যেও না, নির্জন। মরে যাবো তো আমি! কী নিয়ে বাঁচবো বলো? তুমি সেদিন সমুদ্র পাড়ে আমায় কথা দিয়েছিলে আমি তোমার হাত ছেড়ে দিলেও তুমি কখনো আমার হাত ছাড়বে না। সব মিথ্যে করে দিও না।
নির্জন নিজের রক্তাক্ত হাত আমার গালে রাখলো। শুভ্রবের একহাত নিজের হাতে আঁকড়ে ধরে অতি কষ্টে একটু হেসে বললো,

-দ্ দেখে রাখিস আমার শ্ শ্যামাঙ্গিনীকে! তোর দায়িত্বে রেখে গ্ গেলাম, দোস্ত!
নির্জন চোখ বন্ধ করে ফেললো। কান্না থামিয়ে অবাক চোখে তাকালাম। শুভ্রবকে ধাক্কা দিয়ে বললাম,
-আপনি না ডাক্তার! আমার নির্জনকে বাঁচান। ওর চোখ বন্ধ করে আছে কেন?
শুভ্রব কান্না থামিয়ে নির্জনের পালস চেক করে বললো
-শ্বাস চলছে। তোর কিছু হবে না, নির্জন। আমি হতে দেব না। তোকে ফিরতেই হবে আমাদের মাঝে। আমার বন্ধুত্বের ওপর বাজী রাখলাম আজ!

তুমিময় আসক্তি পর্ব ১৬