তুমিময় বসন্ত পর্ব ১
writer Mousumi Akter
–মিস আহিয়্যাত আনান মুগ্ধতা হয় চুপচাপ এই বিয়েটা করে নাও না হয় পাঁচ মিনিটের মাঝে আমার হবু বউকে আমার সামনে এনে হাজির করো।অপশন দুইটা তোমার কাছে নাউ ইওর চয়েজ তুমি কোনটা করবে।কথাটা বলেই আমার সামনে থাকা মানুষটা হাতের ব্লেজার একটু গুটিয়ে নিজের হাতের ঘড়ি দেখলেন।রাগ আর বিরক্তিতে তার কপালের চামড়া ভাজ পড়ে আছে, চোখে অগ্নিরুপ।প্রচন্ড বিরক্তিতে ভরা তার মুখের অদলখানি।ছাদের রেলিং ঘেষে দাঁড়িয়ে আছি আমি আর আমার সামনে থাকা মানুষ টা একদম আমার সামনে আমার দিকে ঝুঁকে দুই হাতে ছাদের রেলিং ধরে দাঁড়িয়ে আছে তার দুই হাতের মধ্যবর্তী জায়গা অবস্হান করছি আমি।
তবে খুব সাবধান অবলম্বন করে দাঁড়িয়ে আছে আমার সাথে একটুও টাচ লাগেনি।আশে পাশে কেউ নেই ভয়ে থর থর করে কাঁপছি আমি,হৃদপিন্ড প্রচন্ড গতিতে দুরুম দুরুম আওয়াজে বাড়ি দিচ্ছে।ভয়ে চোখ মুখ শুকিয়ে গিয়েছে আমার।ঠোঁট শুকিয়ে গিয়েছে বার বার জিভ দিয়ে ঠোঁট ভেজাচ্ছি।উনি আমাকে পাঁচ মিনিট সময় বেঁধে দিয়েছেন এর মাঝেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে।কিন্তু কিভাবে সিদ্ধান্ত নিবো আমি।তার হবু বউ মানে আমার খালাতো বোন তো তার বয়ফ্রেন্ডের সাথে পালিয়ে গিয়েছে এতসময় হয়তো বিয়ে শাদী ও হয়ে গিয়েছে।তাকে তো কোনভাবেই এনে দেওয়া যাবেনা।
আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন
সেকেন্ড অপশন মানে তাকে বিয়ে করা।ওহ মাই গড কোনভাবেই নয়।আমাকে বিয়ে করে নিশ্চয়ই প্রতিশোধ নিতে চাইছেন উনি।আমার উপর তার অনেক রাগ, প্রতিশোধ নিতে কি এই বিয়ে অপশন টায় বেছে নিলেন।তাছাড়া আমি অন্যেকজন কে ভালবাসি। তার দিকে তাকিয়ে ভাবতে ভাবতে তার দেওয়া টাইম শেষ। এক্ষুনি তার বেঁধে দেওয়া টাইম শেষ হয়ে যাবে বলে মনে হচ্ছে।
তার হাত থেকে বাঁচার উপায় খুজে বের করলাম।মনে মনে ভাবছি এক্ষুণি খুব জোরে কাউকে ডাক দিবো আর নিচে থেকে মানুষ চলে আসবে।তাকে চরিত্রহীন ভেবে এখান থেকে উত্তম মাধ্যম দিয়ে বিদায় করবে।মাত্র হা করেছি চিৎকার দিবো মুখ থেকে সাউন্ড বেরোনোর আগেই আমার সামনে থাকা ভয়ানক মানুষ টা চোয়াল শক্ত করে দ্রুত আমার কাছে দু’কদম এগিয়ে এসে আমার মুখ চেপে ধরলো।এবার আমার ভয়ের মাত্রা আরো বেড়ে গেলো।উনি গম্ভীর চাহনিতে আমার দিকে তাকিয়ে আছেন মনে হচ্ছে বহুযুগের রাগ তার আমার উপর।দাঁতে দাঁত চেপে বললেন,
“একদম চিৎকার চেঁচামেচি করার চেষ্টা করবে না।আমি এখানে তোমার সাথে কোনরকম অসভ্যতা করতে আসিনি যে খরগোশ এর ছানার মতো কান খাড়া করে মানুষ জড় করবে।কিছু করেছি আমি তোমার, এই নির্জন জায়গা কেউ নেই আমি কিছু করলেও কি তোমার সেই ক্ষমতা আছে আমাকে আটকাবে।আমি তোমাকে একটুও স্পর্শ করিনি তাহলে চিৎকার করে কি প্রুভ করতে চাইছো আর্মি অফিসার আয়মান সাদিক আয়াস একজন ক্যারেক্টরলেস মানুষ।যে জীবনে কোনো মেয়েকে স্পর্শ করে দেখেনি তার চরিত্রে দাগ লাগাতে চাইছো।নিজেকে এত ইমপর্টেন্ট ভেবো না যে আয়াস তোমাকে দেখে মুগ্ধ হবে মিস মুগ্ধতা।কোনো অপরিচিত মেয়েকে ছুঁয়ে দেখার কোনো শখ আমার নেই আন্ডারস্ট্যান্ড। ”
জীবনে কি এমন পাপ করেছিলাম জানিনা।এভাবে কেউ কথা শোনাবে ভাবতেও পারিনি আমি।ভয়ে জা*ন বেরিয়ে যাচ্ছে আমার।খানিকটা দম নিয়ে বললাম,
“অসভ্যতা ছাড়া কি?আ-আর আপনি এত তেজ দেখাচ্ছেন কেনো?একটা মেয়েকে ধরে ছাদের কোনায় নিয়ে এসেছেন এত রাতে এটা কে কি খুব সভ্যতা বলে।”
“তুমি কতটা জটিল আর ঘাড়ত্যাড়া মেয়ে সেটা আমি বুঝে গিয়েছি মিস মুগ্ধতা।আমি এমনি এমনি ডাকলে এখানে আসতে।? ”
প্রশ্ন ছুড়ে দিলেন আমার দিকে।ডান ভ্রু কুচকে তীব্র বিরক্তি নিয়ে তাকিয়ে আছেন আমার দিকে।আমি আবার ও তার প্রশ্নের উত্তর দিলাম,
“কেনো আসবো আমি?”
“আমি জানতাম ঠিক এমন কথায় বলতে তুমি।তার জন্য কৌশলে এখানে আনা তোমাকে।”
“দে-দেখুন আপনি এখন কি চাইছেন কি? ”
“তোমাকে চাইছি মিস মুগ্ধতা।”
“আমাকে মানে?”
“কাল আমার ছুটি শেষ।আমাকে কাল ই বিয়ে করতে হবে।আর বউ নিয়ে যশোর ক্যান্টনমেন্টে যেতে হবে।কাল আমার বিয়ের ডেট।আমার কলিগরা,স্যার রা জানেন যে কাল আমার বিয়ে হবে।কাল যখন হওয়ার কথা ছিলো আমার বিয়ে কাল ই হবে।আর ইউ লিসেন মিস মুগ্ধতা তুমি দুই দুইটা ভয়ানক অন্যায় করেছো আমার সাথে তাই শাস্তিস্বরূপ তোমাকেই আমাকে বিয়ে করতে হবে।আর যদি বিয়ে না করো আমি কিন্তু মামলা দিবো তোমার নামে।লাস্টবার ভাবার টাইম দিলাম।”
“কি বলে মামলা করবেন শুনি?আর আমি কেনো আপনাকে বিয়ে করতে যাবো।খেয়ে আমার কাজ নেই।”
“মামলা করবো এটা বলে যে তুমি আমার হবু বউ কে উস্কানিমূলক পালাতে সাহায্য করেছো।আমি যত গহনা দিয়েছিলাম সেগুলো আত্মসাৎ করেছো।বাই দ্যা ওয়ে খেয়ে কোনো কাজ থাকলে হয়তো অন্যর বউ ভাগাতে না।”
মানুষ যে কতটা বিয়ে পা*গল হতে পারে তা উনাকে না দেখলে জীবনেও বুঝতাম না।বিয়ের জন্য উন্মা*দ হয়ে গিয়েছেন।বউ ছাড়া যেনো দম বন্ধ হয়ে মারা যাচ্ছেন।নির্লজ্জের মতো কাল ই বিয়ে করবো বলে পা*গল হয়েছেন।
“আপনাকে একটা মেয়ে বিয়ে করবে না বলে পালিয়ে গিয়েছে দেশে কি আর মেয়ে নেই।এখন আমাকেই জোর করছেন বিয়ে করতে।”
“দেশে আরো অনেক মেয়ে আছে।কেউ তো আমার নামে অপবাদ ছড়ায় নি।আমাকে বয়ফ্রেন্ড বলে দাবি করেনি তাইনা?”
“দে- দেখুন আমার বয়ফ্রেন্ড আছে। আমাকে ছাড়া সে ম*রে যাবে।”
“উনি আমার দিকে আরেক টু ঝুঁকে এসে বললেন,আমিও তোমাকে ছাড়া বাঁচ*বো না মিস মুগ্ধতা।মানুষ নিজের জীবনের থেকে কাউকে বেশী ভালবাসে না।তাই নিজের জীবন বাঁচাতে তোমাকে বিয়ে করতে চাইছি।”
“এটুকু বলে জোরে হেসে দিয়ে বললেন,এমন টা ভুলেও ভেবো না ওকে।তুমি আমার লাইফ টা জাস্ট হেল করে দিয়েছো।ফ্যামিলিতে আমার মান সম্মান নষ্ট করেছো।তোমাকে আমি ছাড়বো না মিস মুগ্ধতা।ফেসবুকের নামে অসভ্যতা করার মজা তুমি এইবার বুঝবে মিস মুগ্ধতা।আয়াস এর মান সম্মান নষ্ট করলে কি হয় এইবার তুমি বুঝবে।”
“দেখুন সরি আমার ভুল হয়ে গিয়েছে।”
“নিচে চলো এখানে রেখে গেলে তোমার সো কলড বয়ফ্রেন্ডের জন্য আমাকে বিয়ে না করার জন্য ছাদ থেকে লা*ফ দিতে পারো।তুমি ম*রলে আমার কি হবে মিস হবু বউ।”
এটুকু বলেই আমার হাত ধরে টেনে নিচে নিয়ে এসে বললেন,আমার ফোন এসেছে রাতেই ফিরতে হবে। বিয়ে কাল নয় আজ মানে এক্ষুনি হবে কাজী ডাকুন প্লিজ।”
উনার কথাবার্তা ভীষণ সন্দেহের লাগছে আমার কাছে।পুরো টায় রহস্য লাগছে আমার কাছে সব কিছু।আরহীর তো কোনো বয়ফ্রেন্ড নেই তাহলে কার সাথে পালিয়ে গেলো বুঝলাম না।আমাকে একবার ও ওর বয়ফ্রেন্ড দেখালো না।ও বললো আর আমি মেনে নিলাম ব্যাপার টা কী?তাছাড়া আমাকে ডেয়ার গেম এর জন্য তো আরহী আয়াস এর ফেসবুক আইডি দিয়েছিলো।এখন আবার আরহী বলছে কাকতালীয় ভাবে এই ছেলের সাথেই ওর বিয়ে ঠিক হয়েছে ও জানতো না।ব্যাপার টা যেনো কেমন রহস্য ঘেরা।
–আমি আহিয়্যাত আনান মুগ্ধতা। বাবা আর্মিতে চাকরি করতেন এখন রিটায়ার্ড করেছেন।আমি এইস.এস.সি পরীক্ষা দিয়েছি রেজাল্ট এর অপেক্ষায় বসে আছি।বাড়িতে আমার ছোট আরেকটা বোন আছে ক্লাস সেভেনে পড়ে।কথায় আছে ইয়ার্কির নাম লোকসান।আমার জীবনেও তার ব্যাতিক্রম ঘটলো না।ইয়ার্কী মারতে গিয়ে জীবনের চরম দূর্দশায় ফেঁসে গেলাম।একদিন রাতে আরহী আমার খালাতো বোন বললো ট্রুথ নাকি ডেয়ার মুগ্ধ।আমি সাহসী মেয়ের মতো বললাম ডেয়ার।আরহী বললো,কাজিনদের বোকা বানাতে হবে কিন্তু সবাই যেনো ভাবে এটা তোর রিয়েল বয়ফ্রেন্ড।
যে আইডি দিলাম এর ফটো কভারে দিয়ে দিবি বুঝলি সুন্দর একটা ক্যাপশন লিখবি।কাজিনদের বোকা বানাতে আরহীর দেওয়া ফেসবুক প্রফাইল থেকে তার কিছু স্টাইলিশ ছবি নিয়ে কাজিনদের দেখিয়ে বলেছিলাম আমরা দুজন রিলেশন এ আছি।মাঝে মধ্য তার আর আমার ছবি দিয়ে ভিডিও বানাতাম।সেসব আবার কাজিন দের দিতাম।একদিন কভারে তার ফটো দিয়ে ক্যাপশন লিখেছিলাম লাইফলাইন।কিভাবে জানবো এই ছেলের সাথেই আমার খালাতো বোনের বিয়ে ঠিক হবে।ফেঁসে গেলাম মারাত্মক এক সমস্যায়। আমি বলেছিলাম আমাদের পাঁচ বছরের রিলেশন। সেখান থেকে একটা ঝামেলায় জড়িয়ে গেলাম।আরহী আবার এমনিতেই তাকে বিয়ে করবে না তার রিলেশন আছে।বিয়ে ভাঙার জন্য আরহী উঠে পড়ে লেগেছে।
ছেলের ছবি দেখা মাত্র আরহী আর আমি দুজনে আকাশ থেকে পড়লাম।যে ছেলেকে নিয়ে এতদিন মজা করলাম সেই ছেলের সাথেই কিনা বিয়ে ঠিক হলো।তখন ই আরহী বললো,বাড়িতে বিয়ে করবো না বললে কেউ মানবে না শুদ্ধ।একটা গ্রেট আইডিয়া পেয়েছি।বাড়িতে বলবো,ছেলেটা তোকে লাইক করতো জাস্ট এটুকু বললে কেউ আর এত তদন্ত করতে যাবে নাহ ব্যাস বিয়েটা ভেঙে যাবে। কি বুদ্ধিমতী আমি ভেবে দেখ শুদ্ধ।আরহীকে অনেক বার নিষেধ করলাম আমাকে এর মাঝে জড়াস না প্লিজ কোথায় ফেঁসে যাবো তার ঠিক নেই।বাড়িতে এটা বললে অনেক তদন্ত চলবে আমি ফেঁসে যাবো।
এই বিয়ে ভাঙতে আরহী বাড়িতে বলেছে ওই ছেলে আমাকে প্রপোজ করেছিলো আমার সাথে রিলেশন করতে চাইছিলো আর আমার ছবি নিয়ে বিভিন্ন কাপল ভিডিও বানাতো।আমাদের এডিট করা কাপল পিক বাড়িতে দেখিয়ে দিলো।এটুকু আমাকে না জানিয়েই আরহী বাড়াবাড়ি টা করে ফেললো।আরহী বাড়িতে এসব দেখালে সবাই আমার কাছে জিজ্ঞেস করেছিলো ছেলেটা তোমাকে প্রপোজ করেছিলো।আমি মাথা নেড়ে বলেছিলাম হ্যাঁ। আবার ও আমাকে জিজ্ঞেস করা হলো তুমি তো আর রিলেশন করো নি।আমি মাথা নেড়ে বললাম না।সমস্যার সমাধান এখানেই হলো না।
আমি যেহেতু রিলেশন এ যায় নি কেউ কাউকে পছন্দ করতেই পারে এমন কথা বলেই বিয়ে হবে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো।আরহী আমার হাত পা জড়িয়ে ধরে বললো তাকে যেনো আমি পালাতে সাহায্য করি। কি আর করার আরহীকে সাহায্য করলাম সে পালিয়ে গেলো।আরহী পালানোর সাথে সাথেই দেখলাম আমার মামাতো ভাই আরহী কে ফোন দিয়ে বলছে আরে গা*ধী তুই পালিয়েছিস কেনো?ওই ছেলে যখন মুগ্ধতাকে প্রপোজ করেছিলো বিয়ে মুগ্ধতার সাথেই হবে।কথাটা শুনেই আমার মাথা ঘুরে উঠলো। ছেলে নাকি বলেছে আরহী যখন আপত্তি আছে আমি মুগ্ধতাকে বিয়ে করতে চাই।বাড়ির মানুষের আর কি কি কথা হয়েছে জানিনা।ছেলে পক্ষ আমার খালুর ঘনিষ্ট বন্ধু তাই যা ভুলবুঝাবুঝি হোক তারা মিটিয়ে নিয়ে আত্মীয়তা আরো ঘনিষ্ট করে নিলো।
আজ আরহীর হলুদ সন্ধ্যা ছিলো। নিমিষেই বিয়ে বাড়ির রং পাল্টে আজ আরহীর হলুদ সন্ধার জায়গা লেখা হলো আজ মুগ্ধতার হলুদ সন্ধা।আচ্ছা এরা কি আগে থেকেই জানতো যে বিয়ে আরহী নয় আমার সাথেই হবে।সাথে সাথে আমার নামের হলুদের কার্ড কোথায় পেলো এরা।আমার গায়ের মাপের ব্লাউজ,আমার হাতের মাপের চুড়ি সব ই যেনো আমার জন্য তৈরি ছিলো।বরপক্ষের পাঠানো গহনা,ব্লাউজ হুবহু আমার মাপের ই।আরহী তো আমার থেকে একটু মোটা আছে এ ব্লাউজ তো ওর হবে না।হুবহু আমার গায়ের মাপের।এটা কিভাবে সম্ভভ।সবটায় রহস্য লাগছে আমার কাছে।পরিবারের সবাই ই হাসি খুশি কিন্তু কেনো?এক মেয়ের বিয়ে ভেঙে সেই ছেলের সাথেই বাড়ির অন্য মেয়ের বিয়ে হচ্ছে এটা যেনো কোনো ব্যাপার ই না।
পরিবারের সবাই আমাকে একটা রুমের মধ্য ডেকে নিয়ে সবাই বললো,
–শোনো মুগ্ধ জন্ম মৃত্যু বিয়ে এটা সব উপর ওয়ালার হাতেই থাকে।আরহী এ বিয়ে করতে রাজি হচ্ছে না আর ছেলেটাও তোমাকে পছন্দ করতো।তাছাড়া ছেলেটা অনেক ভালো আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি তোমার সাথেই বিয়েটা দিবো।রেডি হও এক্ষুনি তোমার গায়ে হলুদ হবে। আর কাল তোমার বিয়ে।চারপাশ ভূমিকম্পের মতো ঘুরছে আমার।ছিটকে গিয়ে পড়লাম আমি কিছুতেই এই বিয়ে করবো না।মা আমাকে ধমক দিলেন।এমন ভালো ছেলে নাকি আর পাওয়া যাবে না কোথাও?
“আম্মুকে ডেকে বললাম আম্মু তুমি আর বাবা তো জানোই অভির সাথে আমার রিলেশন। অভি আমাকে বিয়ে করতে চাই।তবুও কেনো আম্মু?আমার ফিলিংস আমার পছন্দের কি কোনো দাম নেই।”
আম্মু দাঁত কিড়মিড় করে বললো,
“এই অভি তোমার মাথা নষ্ট করেছে।তুমি যদি এখন বিয়েটা না করো তোমার বাবা আর আমি সুইসা*ইড করবো।অভির কাছে যেতে হলে আমাদের লা*শের উপর দিয়ে যেতে হবে পারবে।এক্ষুণি একটা ফয়সালা হয়ে যাক শুদ্ধ।বলো কি চাও তুমি।”
কোনো সন্তান ই মা-বাবার মৃ*ত্যু মেনে নিতে পারেনা।ভীষণ কষ্ট হচ্ছে দম বন্ধু হয়ে আসছে কি করবো আমি।ছাদে বসে একা একা কাঁদছিলাম।আমার এভাবে বিয়ে হয়ে গেলে অভির কি হবে।অভিকে আমি ভালবাসি।আমরা দুজন -দুজনকে ভালবাসি।অভির কথা ভাবতে ভাবতেই তখন আয়াস এসে আমার হাত ধরে টেনে ছাদের রেলিং এর কাছে নিয়ে গেলো।আর বিয়ে না করলে মামলা করার হু*মকী দেখালো।
রাত বারোটা বাজে।কাজী ও চলে এসেছে।তখন ই ভীষণ অবাক হলাম আরহী কে দেখে।আরহী না পালিয়ে গেলো তাহলে কোথা থেকে এসে হাতে হাতে কাজ করছে সবার সাথে।আরহী কে ডাক দিবো তখন ই চারদিক থেকে আমাকে কবুল বলার জন্য বলা হচ্ছে।কিছুই করার ছিলোনা।চোখের পানি ছেড়ে কবুল বলে দিলাম।
[বিঃদ্রঃআসসালামু আলাইকুম।নতুন উপন্যাস শুরু করলাম।প্রথম পর্ব পড়ে কেউ থিম নিয়ে চিন্তা করবেন না। শুরু টা যেমন ই হোক আশা করছি গল্প টা ভালো লাগবে আপনাদের। প্রথম পর্বে রহস্য রেখে গেলাম।পুরা উপন্যাস ই রহস্যময় থাকবে।আপনাদের রেসপন্স জরুরী।রেসপন্স না পেলে তো আগানো যাবে না।প্রথম পর্বে রেসপন্স পেলে উপন্যাসের যাত্রা দীর্ঘ হবে।ভালোবাসা আপনাদের সবার জন্য।ভুক ত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।]
Golpo darun hoyeche…….Please please text part taratari diben
Story taa darun lagchhe.. please roj story er part deben ??
Golpo ta onek sundar hoyeche next part ta taratari diben please.