তুমিময় বসন্ত পর্ব ২৬

তুমিময় বসন্ত পর্ব ২৬
writer Mousumi Akter
‘মুগ্ধতা আমার জীবনের সব থেকে বড় উইকনেস কি জানো?’
আয়াসের এমন প্রশ্নে আমার মাঝে কোনো হেলদোল প্রকাশ পেলোনা।আমি কেঁদেই যাচ্ছি।আমার দিক থেকে কোনো উত্তর না পেয়ে আয়াস বললো,
‘তোমার চোখের পানি।পৃথিবীর এমন কোনো কারণ নেই যেটা আমাকে কষ্ট দিতে পারে।বাট তুমি কাঁদলে তোমাকে কষ্ট পেতে দেখলে আমার ভেতরে তীব্র যন্ত্রণা হয়। পৃথিবীর সব প্রেমিকের ই বোধহয় এমন হয়।যাকে ভালোবাসে তার চোখের পানি সহ্য করতে পারে না।তার কষ্ট দেখতে পারে না।একজন প্রেমিক তার প্রিয়তমার মুখের হাসির জন্য অনেক অসম্ভব কেও সম্ভব করতে পারে।অনেক ভয়ংকর কাজ ও নিমিষেই করতেই পারে।প্রেমিকার মুখের হাসি প্রেমিক হৃদয়ে পৃথিবীর সর্বোচ্চ প্রশান্তি এনে দিতে পারে।তুমি কাঁদছিলে,তোমার চোখ দিয়ে পানি বেরোচ্ছিলো,তুমি ছটফট করছিলে যন্ত্রণায়  তোমার চোখের পানিতে লেপ্টে যাওয়া কাজল দেখে আমার বুকের এই খান টায় তীব্র যন্ত্রণা হচ্ছিলো।সেই যন্ত্রণা বোধহয় কয়েক যুগেও কমবে না মুগ্ধতা।তোমার প্রতি আমার ভালবাসা এতটায় তীব্র আর গভীর।টেনশন এ আমি প্রায় পা* গ * ল হয়ে যাচ্ছিলাম।তোমাকে কষ্ট পেতে দেখে বুঝতে পারছিলাম না কিভাবে তোমার কষ্ট টা কমাবো।পৃথিবীতে যদি এমন কোনো ম্যাজিক থাকতো সে ম্যাজিকের বিনিময়ে তোমার ভেতরের সব কষ্ট নিংড়ে আমার ভেতরে নিয়ে নিতাম।পৃথিবীর সব সুখ তোমার মাঝে এনে দিতাম।’
আয়াসের দিকে তাকিয়ে দেখি ওর চোখ অশ্রুসিক্ত।ওর ও কি আমার মতোই কষ্ট হচ্ছে।কিন্তু ওর কেনো কষ্ট হবে।কাঁদতে কাঁদতে হেচকি তুলে বললাম,
‘আপনি আমাকে ভালবাসেন?’
আয়াসের চোখজোড়া গভীর চাহনিতে তাকিয়ে আছে আমার দিকে।সে চোখে ভীষণ যন্ত্রণা, ভীষণ কষ্ট ক্লিয়ার বোঝা যাচ্ছে।পুরুষ মানুষ তাই হয়তো আমার মতো ভ্যা ভ্যা করে চিৎকার দিয়ে কাঁদতে পারছে না।
আয়াস একটা দীর্ঘ নিঃশ্বাস নিয়ে বললো,
‘আচ্ছা আমার চোখের দিকে তাকাও মুগ্ধ।’
এই প্রথমবার আয়াস আমাকে মুগ্ধ বলে ডাকলো।আমার কাছের মানুষ গুলো এতদিন যেভাবে ডেকেছে।আজ আয়াস ও আমাকে তাদের মতোই মুগ্ধ বলে ডাকলো।আয়াসের মুখের মুগ্ধ ডাকটা যেনো আরো বেশী মধুর লাগছে।অন্য সবার থেকে সম্পূর্ণ আলাদা লাগছে শুনতে।ভাললাগার আরেকদফা বেড়ে গেলো আমার।আয়াসের চোখের দিকে তাকালাম আমি।
আয়াস আমাকে তাকিয়ে থাকতে দেখে বললো,
‘বহুকাল ধরে শুনে আসছি চোখ নাকি মনের কথা বলে।আমার চোখ কি কিছুই বলে না মুগ্ধ।আমার চোখ দেখে কি আজ ও সন্দেহ হয় তোমার।’
নিজেকে সামলে নিয়ে এবার বললাম,
‘তাহলে আরহীর সাথে কি আপনার।কি ছিলো আপনাদের।কেনো দুজনের রিলেশন থাকার পরেও আমাকে বিয়ে করলেন।আমি দুই হাত চুলের মধ্য দিয়ে শক্ত ভাবে চুল টেনে মাথা নিচু করে বললাম,আমি জাস্ট পা* গ * ল হয়ে যাবো এসব ভাবতে ভাবতে।প্লিজ আমায় বলুন।আপনারা দুজন কি লুকাচ্ছেন।’
আয়াস আমার চুল থেকে হাত দুটো সরিয়ে নিয়ে বললো,
‘আরহীর সাথে আমার কোনো রিলেশন ছিলো না মুগ্ধ।আরহী আমার চোখে শুধুই তোমার বোন আর কিছুই না।তোমাকে পেতে আমাকে সাহায্য করেছে এটুকুই।আচ্ছা আমাকে কি এতটা খারাপ পুরুষ মনে হয় তোমার।যে একটা মেয়ের সাথে রিলেশন করে তাকে কষ্ট দিয়ে তার ই বোন কে জোর জবরদস্হি বিয়ে করবো।আচ্ছা আমার সাথে এতদিন থেকে কি তোমার তাই মনে হয়।আমি কি এতটায় ব্যাক্তিত্বহীন জঘন্য পুরুষ যে কোনো নারীর মন ভাঙবো।নারীর মন কে আমি সব থেকে বেশী রেস্পেক্ট করি।নারীর মনের সাথে পৃথিবীর কোনো কিছুর ই তুলনা হয়না। সৃষ্টিকর্তা কত যত্ন নিয়ে নারীর মন সৃষ্টি করেছেন।এত মায়া,এত মমতা,এত ভালবাসা নারীর মনে থাকে যার হাজার ভাগের এক ভাগ ও পৃথিবীতে নেই।নারীর মন এ যে পুরুষ আঘাত করে সে পুরুষের মৃ*ত্যু*দন্ড হওয়া উচিত।নারী আছে বলেই পুরুষ মানুষ পরিপূর্ণ ।
নারী আছেই বলেই পুরুষের অস্তিত্ব আছে পৃথিবীতে।নারীর ভালোবাসায় একটা পুরুষ পৃথিবীর সর্বোচ্চ সুখ অনুভব করতে পারে।একজন মা, একজন স্ত্রী,একজন বোন,সবার নিঁখুত ভালবাসা পেয়ে একটা অগোছালো পুরুষ নিজেকে গুছিয়ে নিতে পারে।নারী মানেই ভালোবাসা।যে পুরুষ একজন নারীর প্রকৃত ভালবাসা পেয়েছে সে পুরুষ কে সুখের জন্য আর সামনে পেছনে তাকাতে হয় নি।ভালবাসাময় ওই নারীটা সাথে থাকলেই সারাক্ষণ ভালবাসা অনুভব হয়।নারী পুরুষ মিলেই সুন্দর পৃথিবী। ‘
‘দেখুন আমি এত কিছু শুনতে চাইনা।আমাকে শুধু এটুকু বলেন আরহীর সাথে কি আপনার?আরহী কার সাথে রিলেশন করতো।ব্যাস এটুকু জানতে চাই।’
‘আরহীর সাথে আমার অত্যান্ত ভালো রিলেশন সেটাও তোমার জন্য।শোনো আমি একটু বুঝতে শেখার পর থেকেই মা বলতো কোথাও প্রেম করার প্রয়োজন নেই।তোমার জন্য মেয়ে দেখে রেখেছি।মায়ের কথায় অনেক আপত্তি জানিয়েছিলাম আমি।চিনিনা জানিনা এমন একটা মেয়েকে কেনো বিয়ে করবো।একদিন দেখলাম আরহী আমাদের বাড়িতে।মা পরিচয় করালো এটা আরহী মেয়ের কাজিন।সেখান থেকে আমাদের টুকটাক কথা হতো।
বসন্ত উৎসবের দিন মা বললো যাও মেয়ে দেখে আসো। দেখে পছন্দ না হলে আমি আর জোর করবোনা।বসন্ত উৎসবে অনেক মানুষের ভীড়ে আরহী আমাকে ইশারায় দেখালো তোমাকে।তোমার হলুদ শাড়ি, লাল লিপিস্টিক, মাথায় ফুলের ব্যাড়।আমার ব্যাস একবার দেখেই কাজ হয়ে গিয়েছিলো।আমার বসন্ত টা তুমিময় বসন্ত হয়ে গেলো।দূর থেকে কতগুলো ছবি তুলেছিলাম।আমি অবাক হয়ে তাকিয়ে দেখেছিলাম।নারী এতটাও মায়াবতী,সুন্দরী হতে পারে।নামের সাথে চেহারার দারুণ মিল পেলাম।আসলেই তুমি মুগ্ধতায় ভরপুর ছিলে।প্রথম দেখাতে ভীষণ ভালো লেগে যায়।এদিকে মায়ের ও দীর্ঘদিনের পছন্দ। তোমাকে নিয়ে ভাবতে ভাবতে এক তরফা ভীষণ ভালবেসে ফেললাম।তবে তোমার তখন অভির সাথে রিলেশন।
অভিতে মগ্ন তুমি আমার মতো হ্যান্ডসাম ছেলে তো তোমার চোখেই বাঁধলো না।আমি যখন জানলাম তোমার অন্য জায়গা রিলেশন আছে আমি বাদ দিয়ে দিলাম তোমাকে নিয়ে ভাবনা।ভেবেছিলাম কারো ভালবাসা কেড়ে নেওয়া উচিত নয়।তোমার অধিকার আছে যাকে ভালোবাসো তার সাথে জীবন কাটানোর।কিন্তু তোমার মা বাবা,খালা খালু সবাই আমাকে বললো,মুগ্ধতা ছোট মানুষ ঠিক আর ভুল বোঝার বয়স ওর হয় নি।নিজের জীবনে সঠিক মানুষ চয়েজ করার ক্ষমতা মুগ্ধতার হয়নি।মুগ্ধতা যে ছেলের সাথে রিলেশন এ আছে ছেলেটা ভালো নয়।ছেলেটার চরিত্রে সমস্যা আছে।মুগ্ধতার ওই ছেলের সাথে বিয়ে হয়ে গেলে মুগ্ধতার জীবন টা নষ্ট হয়ে যাবে।খোজ খবর নিয়ে জানতে পারলাম ছেলেটা সত্যি খারাপ।
কিন্তু কে তোমাকে বোঝাবে তখন।তুমি কি বুঝতে চাইতে।তোমাকে ভালবাসি আর তোমার জীবন টা যাতে নষ্ট না হয় তাই আরহী তোমার ফ্যামিলির বাকি সবাই মিলে বিয়ের প্ল্যান করে তোমাকে বিয়ে করেছি।আচ্ছা আমি কি ভুল করেছিলাম মুগ্ধতা।সেদিন যেটা করেছিলাম অন্যায় করেছিলাম।কিন্তু আমার জায়গায় দাঁড়িয়ে কি সেদিন ওই ভুল টা করা ছাড়া আর কোনো উপায় ছিলো।সেদিন ওই ভুল টা না করলে কি একজন প্রেমিক হিসাবে নিজের দায়িত্ব পালন করতে পারতাম।মুগ্ধতা আরহীসহ বাকি সবাই যা করেছে তোমার ভালোর জন্য বিলিভ মি।শুধু তোমার জন্য।সেদিনের করা অন্যায়ের শাস্তি তুমি চাইলে আজ আমায় দিতে পারো।বলো কি শাস্তি আমাকে দিতে চাও মুগ্ধতা আমি মাথা পেতে নিবো।’
আজ নিজেকে বড্ড অপরাধী মনে হচ্ছে।পরিবারের মানুষ গুলোকে চিনতে ভুল করেছি আমি।আজ বুঝতে পারছি মা -বাবার থেকে বেশী সন্তানের ভালো আত কেউ চাইতে পারেনা।আয়াস এর দিকে তাকিয়ে ভাবছি এক জীবনে কতটা পূর্ণ করলে আয়াসের মতো জীবনসঙ্গী পাওয়া যায়।আমি কি কোনদিক থেকে আয়াসের যোগ্য।সেদিন যার প্রতি ভীষণ রাগ আর ঘৃণা হয়েছিলো আজ তার প্রতি সীমাহীন রেস্পেক্ট আমার।আয়াস এর তুলনা সত্যি কারো সাথে করা সম্ভব নয়।আমার জীবন টা ছন্নছাড়া হয়ে যেতো আয়াস আমার সব অবহেলা মেনে নিয়ে অপেক্ষায় ছিলো আমার ভালবাসার।মাঝে মাঝে ভীষন আনন্দে ও কাঁন্না আসে।আমার এবার তাই হলো।আয়াসের ভালোবাসার গভীরতার কথা ভেবে ভীষন কাঁন্না পাচ্ছে।নারীকে এতটা সম্মান করে যে পুরুষ সে পুরুষ সত্যি মহান।আবার ও কেঁদে দিলাম আমি।
আয়াস আবার আমার মাথাটা ওর বুকের সাথে নিয়ে আমাকে জড়িয়ে ধরে বললো,
‘ হৃদয়ের স্পন্দন শোনো তুমি মুগ্ধতা।প্রতিটা স্পন্দনে তোমার জন্য ভালবাসার কথা বলছে।ঠিক এভাবেই আমার বুকের বা পাশে তুমি থাকবে। ‘
আমার আবেগপ্রবন কাঁন্না যেনো থামছেই না।
আয়াস এবার দুষ্টুমি করে বললো,
‘আমি কি আদর করছি না কাঁন্না থামাচ্ছো না।আরে বাবা করবো তো আদর।তোমার হাজবেন্ড অনেক রোমান্টিক একটা ছেলে একদম কেঁদো না।’
এবার আমি কাঁন্নার মাঝে হেসে দিয়ে বললাম,
‘এত ফাজিল কেনো আপনি?’
‘তোমার মুখে এই কথাটা শুনতেই আমার সব ফাইজলামি।অনেক কিউট লাগে তুমি যখন লজ্জা পেয়ে এভাবে কথা বলো।’
‘দেখছেন আমি কাঁদছি অন্য কারনে আর আপনি উল্টা পাল্টা বলছেন।’
আয়াস আমার কপালে চুমু দিয়ে বললো,
‘আর কেঁদো না কখনো।ভুলেও কেঁদোনা। আমি আছি তো।’
আয়াসের দিকে এবার স্নিগ্ধ নয়নে তাকালাম।আমার ভেতরে আর কোনো চিন্তা নেই,দুঃখ নেই,কষ্ট নেই।রিলাক্সড ভাবে তাকিয়ে রইলাম।
আয়াস আমার চোখের পানি মুছিয়ে দিয়ে বললো,
‘যাও আরহীর কাছে যাও।কথা বলো গিয়ে।’
‘আরহীকে প্লিজ কখনো বলবেন না যে আমি মাইন্ড করেছিলাম আপনি আর আরহীকে নিয়ে।’
আয়াস মিষ্টি হাসলো।সে হাসির দিকে তাকিয়ে ভীষণ রকমের ক্রাশ খেলাম আমি।তার মুখের হাসি যেনো সর্বশ্রেষ্ট হাসি।
এদিক ওদিক তাকিয়ে আরহীকে কোথাও দেখলাম না।অয়নের রুমের দিকে গিয়ে দেখি দুজনে চা খাচ্ছে আর হাসছে।আমি একটু শব্দ করে গলা ঝেড়ে নিয়ে বললাম,আমি কি চায়ের পার্টনার হতে পারি।অয়ন আর আরহী দুজনেই হাসি মুখে তাকালো।আমাকে দেখেই বোধহয় দুজন একটু বেশী খুশি হলো।
‘অয়ন খুব এক্সসাইটেড হয়ে বললো,আরে ভাবি এসো এসো। চা খাবে তুমি?তুমি খেলে আমি এখনি বানিয়ে এনে দিবো।’
‘আরহী বললো,নিরীহ দুলাভাই টাকে এইভাবে অত্যাচার করে আসলি তাইতো।’
আরহীর দিকে তাকিয়ে ভীষণ অনুশোচনা হচ্ছে।কিছুক্ষণ আগেই মিস বিহেভ করে ফেলেছি।
‘মন খারাপ করে আরহীকে বললাম,রাগ করেছিস আরহী।কান ধরে বললাম আসলে।’
‘আরহী আমাকে থামিয়ে দিয়ে বললো,কোনো কিছুর জন্য তোকে কইফত দিতে হবেনা।আমরা তোর আপণজন। রাগ হলে আমাদের সাথেই চিল্লাবি এটাই রুলস।’
‘সত্যি রাগ করিস নি।’
‘অয়ন বললো,না ভাবি তোমার বোন এমনিতে ধুরন্ধর আছে।তবে মেয়ে ভালো কিন্তু।’
অয়ন আর আরহীর মাঝে দেখছি বেশ মিল হয়েছে।অয়ন আজ আরহীর প্রশংসা করছে ব্যাপার টা বেশ ভালোই লাগলো।
দশ দিন পর আয়াস ছুটি নিলো।আয়াসের একমাত্র মামার মৃত্যুবার্ষিকী।আয়াসের মামা আর মামির নাকি একই সাথে মৃত্যু হয়েছিলো।তবে সেটা সাধারণ মৃত্যু নয়।তাদের খু* ন করা হয়েছিলো।মানুষ এত নিষ্টুর হতে পারে কিভাবে।সামান্য একটু ঝামেলায় মানুষ মানুষের প্রা* ণ কেড়ে নিতে পারে কিভাবে।আমি নতুন বউ অনেক কিছুই জানিনা।তবে শুনেছি অনেক ঘটনা আছে আয়াসের মামা -মামিকে নিয়ে।
আমরা গাজিপুরের উদ্দেশ্য রওনা হলাম সব কিছু গুছিয়ে নিয়ে।এইদিকে এডমিশন ও শুরু হয়ে গিয়েছে।প্রিপারেশন ভালো নেই।তবুও আয়াসের ইচ্ছা আমি যেনো সব জায়গা পরীক্ষা দেই।আমরা একটা প্রাইভেট কার ভাড়া করে গাজিপুর পৌছালাম।গাড়ি এসে সোজা আয়াসের বাড়ির গেটে থামলো।আয়াসের মা বাবা আমাদের জন্য গেটে অপেক্ষা করছিলেন।গাড়ি থেকে নামতেই আয়াসের আম্মা আমাকে জড়িয়ে ধরলেন।শ্বাশুড়ি ও এত ভালো হয় আগে জানতাম না।নিজের মায়ের কাছে আছি নাকি শ্বাশুড়ির কাছে আছি বুঝতেই পারিনা।বাড়িতে প্রবেশ করে ফ্রেশ হয়ে খাবার খেয়ে শ্বাশুড়ির সাথে গল্প জুড়ে দিলাম।এতদিন যশোর কি কি করেছি সব গল্প করলাম।