তোমার আসক্তিতে আমি আসক্ত পর্ব ২১

তোমার আসক্তিতে আমি আসক্ত পর্ব ২১
নুশা আহমেদ

বিকাল চারটার দিকে রান্নাঘরে তোরজোর চলছে খাবারের পোলাও কোর্মা না হলেও চা বিস্কুট, ফল ফুটের আয়োজন। সকাল বেলাই রিফাত নিশিকে আর নিশির সাথে রিফাতের মা কেও এই বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়েছে। এতো সব আয়োজন আজ নুশার বাবার বন্ধুর পরিবার থেকে লোকজন আসবে বলে, বন্ধুর ছেলেও আসবে আজ । সবাইকে অবাক করে নিশাত আজ নুশাকে দেখিয়ে দেখিয়ে মায়ের সাথে কাজে সাহায্য করছে । নুশা চুপচাপ বসে বসে দেখছে এদের সব কীর্তি কলাপ গুলো আজ টু – শব্দ টুকুও করেনি চুপচাপ বসে আছে ।

তিনটার দিকে বাড়ির সামনে দুইটা গাড়ি এসে থামালে নুশার বাবা বাহিরে বের হয়ে বন্ধু সমেত তার পরিবারের সবাইকে নিয়ে ঘরে ডুকে তারিন বেগম কে ডাকতে লাগলেন। তারিন বেগম শাড়ীর আঁচলে হাত মুছে মাথায় কাপড় দিয়ে তাদের সবার সামনে এসে দাঁড়িয়ে তাঁদের কে উদ্দেশ্য করে বলে উঠলেন,,,
– ভাই, ভাবি কেমন আছেন আর বাবা তোমরা কেমন আছো?
একবারে সবাইকে একসাথে প্রশ্ন করায় সবাই একটু বিব্রর্ত বোধ করেন। রাজ্জাক হোসেন ব্যাপারটা বুঝতে পেরে মুখে হাসি ফুটিয়ে তারিন বেগমের দিকে তাকিয়ে বললেন,,

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

-জী ভাবি আমরা সবাই আলহামদুলিল্লাহ অনেক ভালো আছি। আর সামনে তো আরো ভালো থাকার দিন আসতেছে কি বলেন হবু বেয়ান।
নুশার বাবাকে উদ্দেশ্য করে কথাটা বলে উঠে রাজ্জাক হোসেন। নুশার বাবা মিরাজ আহমেদ রাজ্জাকের কথা শুনে হাসতে হাসতে বললো,,
-হুম একদম..!

রাজ্জাক হোসেন তার সহধর্মিণী, আর দুই ছেলেকে নিয়ে মিরাজ আহমেদ বাড়িতে এসেছে। উনি যেনো এই সুযোগটাই চেয়েছিলেন যে মিরাজ আহমেদ যেনো নিজে থেকে তাদেরকে বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে আসতে বলেন তাই তো গতকাল বলতে না বলতেই আজকে আসবে বলে সকালেই মিরাজ আহমেদ কে জানিয়ে দিয়েছে রাজ্জাক হোসেন। এতোক্ষণে নিশাতও এখানে সবার সামনে এসে হাজির নিশাতকে দেখে রাজ্জাক হোসেনের স্ত্রী মনিরা বেগম বলে উঠলেন,,

-ভাই এটা আপনার ছেল৷ নাকি।
মিরাজ আহমেদ মনিরা বেগমের কথা শুনে মাথা ঘুড়িয়ে নিশাতের দিকে একপলক তাকিয়ে আবার মনিরা বেগমের দিকে তাকিয়ে হালকা হেসে বলে উঠলো,
-জী ভাবি এটাই আমার একমাএ ছেলে নিশাত আহমেদ।
মনিরা বেগম মিরাজ আহমেদের কথা শুনে নিশাতের দিকে তাকিয়ে থেকে দাঁত বের করে হেসে বলে উঠলো,,
-মাশাল্লাহ আপনার ছেলে না হয়ে মেয়ে হলে ভালোই হতো আমি আমার ছেলের জন্য নিয়ে যেতাম ।
মনিরা বেগমের কথা শুনে এখানে উপস্থিত সবাই খুব অস্বস্তিতে পরে গেছে বিশেষ করে নিশাত৷ বলে কি এই মহিলা সে মেয়ে হলে নাকি তার ছেলের জন্য নিয়ে যেতো ।

মনিরা বেগম এখনও তাকিয়ে আছে নিশাতের দিকে সেটা লক্ষ করে রাজ্জাক হোসেন তার স্ত্রীকে হাত দিয়ে ধাক্কা দিয়ে স্বাভাবিক করলেন। তার বউয়ের একটা অভ্যাস নাকি রোগ সেটা সে বুঝতে পারে না কারন কোনো সুন্দর ছেলেকে দেখলেই বলে ছেলেটা ছেলে না হয়ে মেয়ে হলে খুব ভালো হতো।তার এই ব্যবহারের জন্য বিযের প্রথম প্রথম খুব লজ্জিত বোধ করতো বউকে তো এর জন্য কয়েকবার বাপের বাড়িতেও পাঠিয়ে দিতো। কিন্তু নিজের বউকে একটু বেশি ভালোবাসে বলে একেবারে ছেড়ে দেয়নি কয়েকদিনের জন্য আলাদা হতো। রাজ্জাক হোসেন এই প্রসঙ্গ বাদ দিয়ে একটা ছেলের দিকে হাত দিয়ে ইশারা করে বললো,

-আমার বড় ছেলে মাহমুদুল হাসান সিফাত আর পাশেরটা ছোট ছেলে মাহসুদুল হাসান ইফাত।
পরিচয় দিতেই সিফাত মুখে হাসি বজায় রেখে বলে উঠলো,,
-আসসালামু আলাইকুম ভালো আছেন।
সিফাতের কথা শুনে মিরাজ আহমেদ বলে উঠলো,,
-এই তো আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি বাবা, তা তুমি কেমন আছো।
-আলহামদুলিল্লাহ ভালো।
কথা বলার মাঝেই নিশি হাতে সরবত নিয়ে হাজির হলো। নিশিকে দেখে মিরাজ আহমেদ নিশিকে দেখিয়ে বললো,,
-এটা আমার বড় মেয়ে নিশি আহমেদ ।

নিশির দিকে একপলক তাকিয়ে থেকে মিরাজ আহমেদ কে উদ্দেশ্য করে বলে উঠলো মনিরা বেগম,,
-ভাই আপনার বড় মেয়ের তো বিয়ে হয়ে গেছে তাকে দেখে তো আমাদের আর লাভ নাই, যাকে দেখতে এসেছি সে কই আপনার ছোট মেয়ে । আর আপনার ছোট মেয়ে থাকতে আপনার বড় মেয়ে কেনো আমাদের জন্য খাবার নিয়ে আসবে।
মনিরা বেগমের কথা শুনে রাজ্জাক হোসেন আর তার দুই ছেলেই হতভম্ব হয়ে গেছে কি সব বলছে কখন থেকে । সিফাত তো বাবার দিকে রাগী চোখে তাকিয়ে আছে তার ভয় হচ্ছে মায়ের জন্য না আবার বিয়েটা ভেঙ্গে যায়। ছেলের চোখের রাগ দেখে রাজ্জাক মিনমিন করে মিনারা বেগমের দিকে মুখটা নিয়ে বলে উঠলো,,

রাত
-আরেকরাত বার আরেকটা বাজে কথা বলবা তাহলে বাড়িতে গিয়ে তোমার খবর আছে।
মনিরা বেগম স্বামীর এমন কথা শুনে স্বামীর মতোই বিরবির করে বলে উঠলো,,
-আমি কি ভুল কিছু বলছি নাকি, আমরা তো বেড়াতে আসি নাই এখানে মেয়ে দেখতে এসেছি। আর নিয়ম তো মেয়ে সরবত, চা পানি নিয়ে আসবে আর বাকী জিনিস অন্যরা আনবে । কিন্তু এখানে তো মেয়ের বড় বোনই পানি নিয়ে আসলো।

রাজ্জাকের মাঝে মাঝে মনে হয় কোন দুঃখে এই মাইয়াটাকে ভালোবেসেছিলো । বেক্কল মানুষ কিছু বুঝে না তারাও এর থেকে ভালো মনে করছে এখন রাজ্জাক হোসেন । রাজ্জাক আর কিছু না বলে নিজের আঙ্গুল দিয়ে মনিরা বেগমকে চুপ থাকতে বলে সামনে ট্রি টেবিলের উপর থেকে গ্লাস নিয়ে খাওয়া শুরু করে দিলো আর এই টপিক বাদ দিয়ে অন্য কথায় চলে গেলো । বাবার দেখা দেখি সিফাত ইফাত দুইজনই গ্লাস নিয়ে খাওয়া শুরু করলো। নিশাত সামনে দাড়িয়ে থেকে সব কিছুই লক্ষ করছে পিছন থেকে নিশিও লক্ষ করছে। স্বামী ছেলেদের দেখা দেখি মনিরা বেগমও গ্লাস নিয়ে খাওয়া শুরু করলেন। সবার খাওয়া শেষ হতেই ট্রি টেবিল থেকে ট্রে টা নিয়ে রান্না ঘরের দিকে চলে আসলো নিশাত। হাত দিয়ে ইশারা করে নিশির দিকে তাকিয়ে মুখে রহস্য ময় হাসি দিয়ে বলে উঠলো,,

-আপু মিশন কমপ্লিট।
নিশাতের কথা শুনে নিশিও মুখে হাসি দিয়ে হাত দ্বারা ইশারায় বুঝালো পরের কাজটা তাড়াতাড়ি করতে।
নিশির কথা বুঝতে পেরে নিশাত আর দেরি না করে ট্রে থেকে একটা গ্লাস নিয়ে রান্নাঘরের জানালার কাছে গিয়ে বলে উঠলো,,

,-ব্রো আমার মিশন কমপ্লিট এবার অন্তত আমার দিকটা বিবেচনা করে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চিন্তা করো।
জানালার ঐপাশে থাকা লোকটা মুখে রহস্য মাখা হাসি দিয়ে হাতটা নিশাতের দিকে এগিয়ে চোখে মুখে ইশারা করে বুঝালো নিশাতের হাতে থাকা জিনিসটা তাকে দিতে। নিশাতও তা বুঝতে পেরে মুখে হাসি রেখে জিনিসটা একবার দেখে জনালার ফাঁক দিয়ে এগিয়ে দিলো লোকটার দিকে। লোকটা সেটা হাতে নিয়ে ডেবিল মার্কা একটা হাসি দিয়ে সরে গেলো জানালার কাছ থেকে ।

এবার অন্তত নিয়ে তো আয় নুশা মামুনিকে । রাজ্জাকের কথা শুনে মাথা দুলিয়ে পিছনে ফিরে নিশিকে ডেকে বলে দিলো নুশা কে নিয়ে আসতে। বাবার কথা মতো নিশিও নুশার রুমের দিকে এগিয়ে গেলো।
চুপচাপ বেলকনিতে দাড়িয়ে বাহিরের দিকে তাকিয়ে আছে, নিজেই নিজের সাথে যুদ্ধ করে এটা বুঝতে পারছে সেও সায়ান কে ভালো বেসে ফেলেছে কিন্তু তার কাছে মনে হচ্ছে সে খুব দেরি করে ফেলেছে সায়ানকে ভালোবাসতে । এসব কিছু ভাবনার মাঝেই দরজা খোলে ভিতরে এসে নুশাকে ডাকতে লাগলো নিশি । নুশার কোনো রেসপন্স না পেয়ে বেলকনিতে এসে নুশাকে এভাবে দাড়িয়ে থাকতে দেখে তার পাশে দাড়িয়ে বলে উঠলো,,

-এত করে ডাকতেছি চুপ করে আছিস কেন।
হঠাৎ নিশির কথা শুনে পাশে তাকিয়ে নিশিকে দেখে বলে উঠলো,,
-তুমি,, তুমি কখন এখানে এলে।
-আমি যে এতো করে ডাকছি তুই শুনিছ নাই
-খেয়াল করি নাই। কিছু বলবে,,
নুশার কথা শুনে বড় বোন হিসেবে একটু হলেও বুঝতে পারছে তার ছোট বোনটার যে কোনো এক কারনে কষ্ট হচ্ছে তাই নিশি সরাসরিই নুশা কে বলে দিলো,,,

-নুশা একটা সত্যি কথা বল তো তুই কি সায়ান ভাইয়া কে ভালোবাসিস।
নিশির মুখে এমন কথা শুনে থমকে তাকিয়ে আছে নিশির দিকে নুশা , কি বলবে নুশা নিশিকে সত্যিটা বলবে নাকি মিথ্যা বলবে বুঝতে পারছে না । নুশাকে চুপ থাকতে দেখে আবারও বলে উঠলো,,
-দেখ নুশা চুপ করে থাকবি না যা বলার সরাসরি সত্যি কথা বলে দে। তুই যদি সায়ান ভাইয়া কে ভালোবেসে থাকিস তাহলে তুই এমনিতেই অনেক দেরি করে ফেলেছিস আর দেরি করিস না এখনো অনেক সময় আছে সেই সময় টা কাজে লাগা ।

নুশা এবার নিশির কথায় কেঁদেই দিলো আর কাঁদতে কাঁদতে বললো,
-হ্যাঁ আপু আমি সায়ান ভাইয়া কে ভালো বাসি , খুব ভালো বাসি। কিন্তু আপু আমার মনে হয় না আমি আর উনাকে পাবো কারন উনি তো আমাকে ছেড়ে চলে গেছেন ঐদিন আর আব্বুর বন্ধুর ছেলের সাথে ওতো আর বলতে পারলো না তার আগেই কান্নায় ভেঙে পরলো ।
নুশাকে জরিয়ে ধরে নিশি বলে উঠলো,,
-ধুর পাগলি কে বলেছে সায়ান ভাই তোকে ছেড়ে চলে গেছেন । সায়ান ভাই তো আসবে আর তুই চাইলে আর না চাইলেও সায়ান ভাইকেই তোর বিয়ে করবে হবে বুঝলি।

নুশা চোখের পানি মুছে কিছু বলতে যাবে তার আগেই রুমে তারিন বেগম প্রবেশ করে বলে উঠলো,,
-নিশি তুই ও দেখি এখানে এসে আটকে গেলি কই নুশা কে নিয়ে আসবি তা না করে এখানে দাড়িয়ে থেকে কথা বলছিস ।
নিশি তারিন বেগমের কাছে গিয়ে বলে উঠলো,,
-মা একটা খুশির খবর আমাদের নুশা বুড়িও তোমার এক মাএ ভাতিজাকে ভালোবাসতে শুরু করে দিয়েছে ।
তারিন বেগম যেনো এটাই চাইচিলেন তাই নুশার কাছে গিয়ে নুশার মাথায় হাত দিয়ে বলে উঠলো,,

-এখন তাহলে আমার মেয়েটার মাথায় সুবুদ্ধি হলো।
তারিন বেগমের কথা শুনে নিশি নুশা দু’জনেই অবাক কি বলে মা এসব। মেয়ে একটা ছেল কে ভালোবাসে আর মা বলছে মেয়ের মাথায় সুবুদ্ধি হইছে।
তারিন বেগম কথা শেষ করে আর কাউকে কথা বলার সুযোগ না দিয়ে তাড়া দিয়ে দুই মেয়েকে নিয়ে রুমের বাহিরে চলে এলেন।
নুশা চুপচাপ দাড়িয়ে আছে মাথা নিচু করে পাশেই নিশি দাঁড়ানো আছে। নুশাকে দেখিয়ে দিয়ে মিরাজ আহমেদ বলে উঠলো,,

-এটাই হলো আমার ছোট মেয়ে নুশা আহমেদ ।
কেউ কিছু বলার আগেই মনিরা বেগম বলে উঠলো,,
-একি ভাইে আপনার মেয়ে এসব কি পরে এসেছে। মানলাম এখন এসব কাপড়চোপড়েরি দিন তাই বলে আজকেও পড়তে হবে তার থেকে তো ফ্রী – পিছ পরে আসলেও ভালো হতো ।
অনেকক্ষণ যাবৎ এসব অনেক কথা শুনেও চুপচাপ ভদ্রতার খাতিরে বসে ছিলো মিরাজ আহমেদ কিন্তু আর নয় আসার পর থেকেই এই মহিলাটা তার ছেলেমেয়েদের নানা ভাবে অপমান করছে , বাবা হয়ে সেটা কিভাবে আর মেনে নিতে পারে তাই এবার আর চুপ না থেকে বলে উঠলো,,

-দেখ রাজ্জাক এটা একটা ভদ্র লোকের বাড়ি তাই বলে এটা ভাবিস না তোর বউ যা নয় তা বলবে আমার ছেলে মেয়েদের মেয়ে দেখতে এসেছিস অপমান করতে না। আর দুঃখীত আমি তোর ছেলের সাথে আমার মেয়ের বিয়ে সম্ভব না শুধু আমার মেয়ে কেনো কোনো বাবার মেযেরই সম্ভব না। কারন এমন একটা খুতনি শ্বাশুড়ি থাকলে ঐবাড়িতে কোনো বাবার মেয়েই সংসার করতে পারবে ।
মিরাজের কথা শুনে রাজ্জাক আর সিফাত দুইজনেই ভয় পেয়ে গেলো শেষ পর্যন্ত কি তারা তীরে এসে তরী ডুবিয়ে ফেলবে । রাজ্জাক মিরাজের দিকে তাকিয়ে মুখে ভয়ের হাসি দিয়ে বলে উঠলো,,

-কি বলিস এসব বন্ধু তুই আর আমি তো কথা দিয়েছিলাম তোর আর আমার সম্পর্কটা বন্ধু থেকে বেয়াই করবো তোর মেয়ে কে আমার ছেলের হাতে তুলে দিবি তাহলে এখন এই সামান্য বিষয় নিয়ে কথা কেনো ফেলে দিচ্ছিস কেনো বিযে দিবি না আমার ছেলের সাথে তোর মেয়েকে। আমার ছেলে তো তোর মেয়েকে খুব ভাল,বাসে। আর তোর মেয়ে তো বিয়ের পর আমার ছেলের সাথে ইউএসে চলে যাবে সেখানে গিয়ে তো তোর মেয়ে আর আমার ছেলে ভা,,,,,,,
আর কিছু বলার আগেই কেউ একজন বলে উঠলো,,

-সেখানে গিয়ে আমার ছেলে তোর মেয়েকে ব্রিক্রি করে দিবে।
হটাৎ করে সায়ানের এমন কথা শুনে সায়ানের দিকে তাকিয়ে রাজ্জাক হোসেন আর সিফাত তো সায়ানের এমন কথা শুনে ঘাবড়ে গেছে কপালে ছোট ছোট গামের ফোটারও সৃষ্টি হচ্ছে সেই ভয়ের কারনে।
সায়ানের এমন কথা শুনে মিরাজ বলে উঠলো,,
-কি বলতে চাইছো সায়ান।
সায়ান মুখে রহস্যময় হাসি বজায় রেখে সামনে এগিয়ে এসে সিফাত আর রাজ্জাকের দিকে একবার তাকিয়ে থেকে মুখটা গম্ভীর করে বলে উঠলো,,

– আংকেল আপনি আপনার মেয়ে কে এমন একটা ছেলের সাথে বিয়ে দিতে রাজি হতে চাচ্ছেন যেই ছেলে আর ছেলের বাপ বিয়ের পর আপনার মেয়েকে সুখি করতে না বরং আপনার মেয়ে কে বিয়ে করে বিদেশে গিয়ে ব্রিক্রি করে সেই টাকা দিয়ে নিজেরা ফুর্তি করতে চাইছে।
সায়ানের কথা শুনে রাজ্জাক এবার বাজখাঁই গলায় সায়ানের দিকে তেরে এসে বলে উঠলো,,
-এই ছেলে,, এই কি সব আবোল তাবোল কথা বলে আমাদের সম্পর্ক নষ্ট করতে চাইছো এতে তোমার কি লাভ শুনি।
সায়ান তার হাত উঠিয়ে রাজ্জাকে শান্ত হতে ইশারা করে বলে উঠলো,,

-কুল ডাওন কুল ডাওন মি. পাচারকারী রাজ্জাক হোসেন ।
সিফাত এবার আর চুপ করতে না পেরে দৌড়ে এসে সায়ানের কলার চেপে ধরলো আর দাঁতে দাঁত ঘসিয়ে বলে উঠলো,,
-খুব খারাপ কিছু হবে কিন্তু সায়ান।
নুশা এতোক্ষণ সিফাতকে কেয়াল করে নাই নুশাতো এতোক্ষণ নিচু হয়ে ছিলো যখন সায়নের কন্ঠ শুনে তখন খুশি মনে সায়নের দিকে তাকায় এখন সিফাতকে দেখে নুশা অনেকটাই অবাক হয়ে যায় তাই জোরেই বলে উঠলো,,

-সিফাত ভাই আপনি ।
সায়ান সিফাত দুইজনই নুশার দিকে তাকায়। সায়ান নিজের কলার থেকে সিফাতের হাত সরিয়ে বলে উঠলো হুম এটাই সেই সিফাত ভাই যে সিফাত ভাই আমাকে তোমার কাছে মাফিয়া বানিয়েছে তোমাকে আমার কাছে খারাপ বানাতে চাইছে আবার ঐদিন রাতে আমার মার মাথা ফাটিয়ে আমাকে থ্রেট দিয়ে তেমাকে কিডন্যাপ করে তোমাদের ঐঘরে বন্দী করে রেখেছে।

তোমার আসক্তিতে আমি আসক্ত পর্ব ২০

কি লেখছি নিজেও জানি না । কোনোকিছুর সাথে কোনোকিছুর মিল পাচ্ছি না যা মাথায় আসছে তাই লেখছি। গল্পটা আরো দুই দিন আগেই দিতাম কিন্তু বৃহস্পতিবার ০৩/০৩/২০২৩ তারিখ আমি ছোট খাটো একটা এক্সিডেন করেছি চোখের কাছে সেই বড়সড় ব্যাথা না পেলেও মোটামুটি ভালোই ব্যাথা পেয়েছি। চোখের চারপাশে কেটে গিয়ে অনেক রক্ত বের হইছে জায়গাটা অনেক কালচে হয়ে ফুলে গেছে তার জন্য আর লেখতে পারিনি। আর গল্পটা আজকেই শেষ করে দিতাম কিন্তু অনেক বড় হয়ে যায় তাই আরেকটা পর্ব আসবে এই নামের গল্পের । ভালো হয়নি জানি আমি তাই কেু খারাপ মন্তব্য করবেন না আশা করি। এখন ভালো হয় নাই পরবতী গল্পে হয়তো কিছুটা ভালো হতে পারে । ভালো থাকবেন সবাই আর আমার জন্য দোয়া করবেন।

তোমার আসক্তিতে আমি আসক্ত শেষ পর্ব