তোমার নেশায় আসক্ত পর্ব ২৯ || Suraiya Aayat || SA Alhaj

তোমার নেশায় আসক্ত পর্ব ২৯
Suraiya Aayat

সানা অনেকক্ষণ আগেই বেরিয়ে গেছে , আরূ জানত যে লাঞ্চ টাইম হলেই সঙ্গে সঙ্গে ওরা বেরিয়ে যাবে কিন্তু হঠাৎ করেই ওরা আগে আগে চলে গেছে , আর আরু বেচারী একা একা বসে বোর হচ্ছে ৷ তিথি থাকলেও তবে তিথি আজকে যেন কেমন একটা চুপচাপ, কোন কথা বলছে না….
আরু আর তিথি দুজনের মিলে ক্যান্টিনে বসে আছে, খাবার অর্ডার করেছে তবে তিথি খাবারটা ধরে অন্যমনস্ক হয়ে তাকিয়ে আছে অন্যদিকে ৷ আরু আজকে তিথির মাঝে অদ্ভুত এক পরিবর্তন লক্ষ্য করেছে ৷ তিথি কখনও এইভাবে চুপচাপ বসে থাকার মেয়ে নয় , সবসময় প্রাণোচ্ছল আর খুব কথা বলতে ভালোবাসে , আর আজকে ওকে চুপচাপ থাকতে দেখে খুবই অবাক লাগছে ওর ৷ অন্যদিনে এতক্ষনে এটা ওটা বলে মাথা খেয়ে ফেলে পুরো , তবে তিথি সবটা না বললে যে আরু কিছুই জানতে পারছে না ৷

সারা লাঞ্চ টাইম তিথি ওইভাবেই চুপচাপ ছিল, কোন কথা বলেনি দেখে আরূও আর নিজে থেকেও কিছু জিজ্ঞাসা করেনি ওকে ৷ আরিশ এর মাঝে তিন থেকে চার বার ফোন করেছে , ও লাঞ্চ করেছে কি ঠিকঠাক তা জানার জন্য, আর আরিশ যা যা বলেছে সেই সমস্ত খাবার অর্ডারই করেছে আরূ ৷
ক্লাসরুমের যেতেই না পেরে আরূ জিজ্ঞাসা করল তিথিকে,,,,
আরূ : কিরে তুই চুপচাপ যে, কোনো কথা বলছিস না কেন?

আরু ডাক দিতেই তিথি যেন চমকে উঠলো, মেয়েটা যে কোন ভাবনার জগতের মধ্যে থাকে বুঝতে পারেনা আরূ ৷
তিথিকে চমকে উঠতে দেখে আরু বলল : কি রে ভয় পেয়ে গেলি নাকি? আর কি এত ভাবছিস তুই সেই তখন থেকে ?
তিথি: কিছু না রে, এমনিই মনটা ভালো নেই খুব একটা ৷
আরু তিথির হাতে আলতো করে স্পর্শ করে বলল : তোর মনটা যে ভালো নেই সেটা আমিও জানি তবে কারণটা কি তা আমি জানতে পারি ? নাকি সেটুকু অধিকারও আমি হারিয়েছি কোনটা?
তিথি এবার কন্না করে দিয়ে বলল….

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

তিথি : আমার বাড়ি থেকে অন্য জায়গায় বিয়ে ঠিক করেছে,আর তুই তো জানিস যে আমি নাহিদকে কতটা ভালোবাসি ৷ও এখন জব লেস বলে আমার বাড়ি থেকে মেনে নিচ্ছে না , কিন্তু আমি ওকে ছাড়া থাকতে পারবো না…. আমি এখন কি করবো? আমার পক্ষে এখন অন্য কাউকে বিয়ে করা সম্ভব নয় ৷ তিন বছরের রেলেশনশিপের একটা পবিত্র সম্পর্ককে আমি কোনভাবেই নষ্ট করতে পারবোনা…
আরু তিথিকে কি সান্ত্বনা দেবে ও নিজেই বুঝতে পারছে না আর এ বিষয়ে কোন ধারনাও নেই ওর৷ আগে কখনো এরকম কোন সমস্যার সম্মুখীন হয়নি ও তাই ৷ তিথির মনের যা অবস্থা তাতে আরূ ওকে কিছু বললেও তিথি বুঝবে না তা ও ভালোই জানে…
আরূ আরো কিছু বলতে যাবে তখনই হঠাৎ প্রিন্সিপাল রুমে ঢুকলেন ৷
প্রিন্সিপাল আসতেই সকলেই দাঁড়িয়ে গেল…..
উনি রুমে এসে বললেন,,,,,

আমরা সকলেই এই বিষয়ে অবগত যে আগামীকাল আমাদের ইউনিভার্সিটির পিএইচডি ফাইনাল রেজাল্ট তো সেই কারণে আমরা আশা করছি যে চূড়ান্ত ফলাফলটা আমাদের ইউনিভার্সিটি থেকেই আসবে, আর আমরা আশা করছি যে তা আরিশ খানের হাত ধরেই আসবে , যদি এমনটা হয় তো তাকে চূড়ান্ত সম্বর্ধনা দেওয়ার জন্য আমরা আমাদের ভার্সিটিতে একটা অনুষ্ঠানের আয়োজন করব , আশা করি সকলেই উপস্থিত থাকবে সেখানে ৷
আরিশ এর নাম শুনে আরূশির মনটা যেন ভরে গেল, কারণ এত বড় একটা সম্মান ওর স্বামী পাবে তাতে আনন্দে ওর বুকটা ভরে যাচ্ছে…

প্রিন্সিপাল স্যার আসাতে তিথি আর কি কি বলতে চাইল তা আর ওর শোনা হলো না আরূর ৷
গাড়ি চলছে আপন গতিতে আরিশ ড্রাইভিং সিটে বসে আছে আর আরূ ওর পাশে সিটে হেলান দিয়ে চোখটা বন্ধ করে রেখেছে , মনে হচ্ছে দীর্ঘ ক্লান্তির পর বিশ্রাম নেওয়ার ব্যর্থ প্রচেষ্টা ৷
আরিশ আরূর দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসি দিয়ে আবার সামনের দিকে তাকিয়ে বলে উঠলো : কি আরুপাখি ননদিনী নেই বলে মন খারাপ!
আরূ আগের অবস্থান থেকেই বললো: না কিছু নয় ,অন্য একটা ভাবনা মাথায় ঘুরছে ৷
হঠাৎই ফোনে মেসেজের টুংটাং নোটিফিকেশন আসতেই ব্যাগ থেকে ফোনটা বার করে হাতে নিতেই শব্দ করে হেসে ফেললো আরূ ৷

এতক্ষণ পর আরূর হাসির আওয়াজ শুনে আরিশ আরুর দিকে তাকালো ৷
আরিশ : কি হয়েছে হাসছো যে!
আরূ ফোনটা আরিশের দিকে ঘুরিয়ে বলল: ছবিগুলো দেখুন৷
আরিশ ছবির দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসলো তারপর বললো : আমার বোনটা হ্যাপি থাকলেই আমি খুশি৷
সানা ওর আর আরাভের ঘুরতে যাওয়ার কিছু ছবি পাঠিয়েছে, দুজনে যে খুব আনন্দ করছে ঘুরতে গিয়ে তা ছবিগুলোতে ফুটে উঠছে , এগুলো দেখলেই মনে একটা প্রশান্তি কাজ করে…

আরিশ একটু থেমে বলল ; তুমি আমাকে কিছু বলতে চাইছিলে আরুপাখি তা তো আর শোনা হলো না, এবার বল ৷
আরুশি: আমি কিছু বলছিলাম তাইনা?
আরিশ: ওরে আমার ভোলা মনের বউ যে,কোন দিন আমাকেই না ভুলে যান আপনি ৷ আপনি বলছিলেন যে আপনার কোনো কারণে চিন্তার শেষ নেই ৷
আরুশি এবার একটু নড়েচড়ে বসল তারপর বলতে আরম্ভ করলো,,,,
আরু: তিথি একটু সমস্যার মধ্যে আছে,আর সেই কথাই আমাকে বলছিল আর তা নিয়ে আমিও চিন্তিত ৷
আরিশ আরূর দিকের ভ্রু কুঁচকে তাকিয়ে : যেমন !
আরূ: তিথি নাহিদ ভাইয়া কে খুব ভালোবাসে কিন্তু ওর বাড়ি থেকে অন্য একজায়গায় বিয়ে ঠিক করেছে,আর তিথি সেখানে বিয়ে করতে চায় না ৷

আরিশ: তা ওর বড়ি থেকেই বা মেনে নিচ্ছে না কেন?
আরু:নাহিদ ভাইয়া জব লেস বলে মেনে নিতে পারছে না তিথির বাড়ির লোক ৷ নতুন সম্বন্ধ এসেছে ছেলেটা নাকি কোন কোম্পানিতে জব করে তাই তিথির বাড়ি থেকে অমত করছে না ‌৷ আজ কেবল বেকারত্বের কারণে কি একটা ভালবাসার অসমাপ্ত থেকে যাবে ? বাইরের দিকে তাকিয়ে ৷
আরিস: তা এখন উপায়?
আরূ একটা দীর্ঘশ্বাস নিয়ে বলল: আমি জানিনা, আমার মুখে সেরকম কোনো শব্দই আসেনি যাতে আমি তিথিকে সান্ত্বনা দিতে পারি , আমার নিজেরই খুব খারাপ লাগছে এখন ৷
আরিশ : বুঝলাম, তা এই নাহিদ ভাইয়ার বাড়ি কোথায় জানো ? আই মিন ডিটেইলস ৷
আরূ: নাহিদ ভাইয়া ঢাকা ইউনিভার্সিটি তে পড়ে আর ওখানকার হোস্টেলে থাকেন ৷ ওখানে ওনাকে পাওয়া যেতে পারে হয়তো

আরীস : আচ্ছা ৷
এরপরে ব্যাপারটা নিয়ে ওদের মধ্যে আর কোন কথা হল না , আরূর মন বেশ খারাপ দেখে আরিশ ও আরূকে আর বিরক্ত করেনি ৷
আরু বাড়িতে ফিরতেই আরিশ ওকে নামিয়ে দিয়ে কোথায় চলে গেল তার আর শোনা হয়ে ওঠেনি ৷
আস্তে আস্তে বাড়িতে ঢুকতেই অনিকা খান প্রশ্ন করে উঠলেন,,,,,
অনিকা খান : তোর সেই গুণধারী ননদিনী টা কোথায় তাকে তো দেখছিনা ? একসাথেই তো গেলেন আপনারা,তা সে বাড়ি ফিরল না কেন?

আরূ এবার কি বলবে ? কারন সানা বারবার বারণ করেছিল যেন সত্যিটা না বলতে….
আরূ আমতা আমতা করে বলল : আসলে মামনি ও তো তিথির বাড়িতে গেছে , তিথি একটু সমস্যার মধ্যে আছে তো তাই ৷আমারও যাওয়ার ইচ্ছা ছিল তবে উনি কোথায় যাবে বলল সেইজন্য আমি যেতে পারলাম না ৷
অনিকা খান: তুই ফ্রেশ হয়ে আয় আমি তোর খাবার দিচ্ছি ৷
আরূ অবাক চোখে তাকালো,,,,
আরু; এখন আবার খাবার কিসের?
আমি কিছু খাবোনা , তোমরা আমাকে এতো খাওয়াচ্ছো যে দেখবে কোন দিন আমি কুমড়োর মত হয়ে যাব সেদিন আমাকে চিনতেই পারবেনা ৷

অনিকা খান আরুকে জড়িয়ে ধরলেন তারপর আরুও উনার সঙ্গে হেসে ফেললেন….
আরু অনিকা খানকে ছাড়িয়ে বলল : মামনি তোমার সেই বোনটা কই, উনাকে তো দেখছি না ?
আনিকা খান : রাইসা আর রেনু দুজনই দুদিনের জন্য একটু বেরিয়েছে ৷
আরু ভ্রু কুঁচকে তাকিয়ে বললো : কোথায় গেছে মামনি?
অনিকা খান : ও বলল যে ওর ছোটবেলার ফ্রেন্ড মধুরিমার বাড়িতে গেছে, কবে ফিরবে সেটা তো কিছুই বলে যায়নি ৷
আরু অবাক হয়ে বললো : রাইসা আপু রাজি হয়ে গেল?

অনিকা খান আরুর কান ধরে বলল : বড্ড ফাজিল হয়ে যাচ্ছিস দিন দিন ৷ তাড়াতাড়ি ফ্রেশ হয়ে নে৷
আরু হেসে রুমের ভিতরে গেল , যাক দুদিন রাইসা বাড়িতে নেই একটু নিশ্চিন্তে থাকা যাবে….
আজকে আরু একটু বই নিয়ে বসেছে, কালকে আরিশে উপর রাগ করে বসলেও আজকে স্বইচ্ছায় বইটা ধরেছে কারণ ওকে পড়তে না দেখলে আরিশ খুব বকাঝকা করবে ৷ যেখানে আরিশ ইউনিভার্সিটিতে টপ রেজাল্ট করে সেখানে ও কিনা ল্যাধখোর বাঙালি যাকে ঠেলে ঠেলে সব কাজ করাতে হয় , ভাবতেই নিজেকে মাঝে মাঝে ধিক্কার জানাতে ইচ্ছে করে আরুর ৷
আরু মনে মনে ভাবছে: এ বছর যদি ভালো রেজাল্ট না হয়েছে তো উনি আমাকে যা শুনাবেন তা শোনার জন্য আমি প্রস্তুতি নিচ্ছি এখন থেকেই ৷

আরু আরিশের মিমিক্রি করে বলতে লাগল :
এটা তোমার থেকে আশা করা যায় না আরুপাখি, আমি চাইনা তুমি কোন অংশে আমার থেকে কম হও, আমার সঙ্গে সমানতালে তোমাকেও জীবনে এগিয়ে চলতে হবে , নীতিপরায়ণ হতে হবে , পৃথিবীর সবথেকে ভালো মানুষের দেখাতে হবে ৷ কথাটা বলেই আরু মুখটা হাত দিয়ে চেপে ধরে খিলখিল করে হাসতে লাগলো |
আরিশ দরজায় দাঁড়িয়ে হেলান দিয়ে আরূর এসব কান্ড কারখানা দেখছে, খুব হাসি পাচ্ছে ওর তবে এখন হাসলে চলবে না, আরুকে একটু পরখ করে দেখতে চাইছে ও ৷

হাসতে হাসতেই আরূর হঠাৎ চোখ গেল দরজার দিকে, তাকাতেই ভয়ে গলা শুকিয়ে আসলো ওর ৷ আস্তে আস্তে বলল : এ মা, আপনি কখন এলেন, আমিতো আপনাকে খেয়ালই করিনি ৷
আরিশ প্যান্টের পকেটে হাত ঢুকিয়ে ধীরপায়ে আরুর দিকে এগিয়ে যাচ্ছে , তারপর একপর্যায়ে আরুর সঙ্গে লেপ্টে গেছে একেরারে ৷ আরুর তো জান যায় যায় অবস্থা , আরিস এখন কি শাস্তি দেবে ওকে এটাই ভবছে ৷
আরিশ গভীর কণ্ঠে বলতে লাগল : ঠিক কি বলছিলে যেন , আমার মত ভাল মানুষ হবে তাইনা ! আমার মতো ভালো মানুষ তুমি আর দেখেছে? তুমি কি জানো না যে আমি কতটা ভাল ! আরুশির গলায় হাত দিয়ে স্লাইড করতে করতে….
আরোশী : আমি তো জাস্ট,,,,,

আর কিছু বলতে পারলো না তার আগেই আরিশ ওর ঠোঁট জোড়া দখল করে নিল….
(আরিশ কি চাই তা আজো বুঝতে না পারা লেখিকার নিষ্পাপ মন?)
সানা সন্ধ্যার মধ্যে বাড়িতে ফিরে এসেছিল ৷ প্রথমে সবটা ঘেটে গেলও পরে আরুশিকে সবটা সামলে নেয়…

অরিশের বুকে মাথা রেখে ঘুমিয়ে আছে আরূ আর আঙ্গুল দিয়ে আরিসের বুকের ওপর আঁকিবুকি আকছে ,,,,,
আরিস: ঘুমাবে কখন আরুপাখি?
আরুশি : ঘুম আসছেনা আমার ৷
আরিশ: তিথির ব্যাপারটা নিয়ে চিন্তিত কি?
আরুশি : হমমম ৷
দুজনের মধ্যে অনেকক্ষণ ধরে নীরবতা কাজ করলো তারপর হঠাৎ আরু আরিশের দিকে তাকিয়ে বলে উঠলো ,,,,,,
আচ্ছা প্রিন্সিপাল sir আজকে আপনাকে কেন ডেকেছিলেন?
আরিস একটু থেমে বলল: পড়াশোনার ব্যাপারে জানতে চেয়েছিলেন আরকি ,( আসল কথাটা ও চেপে গেল, কারণ সারপ্রাইজটা ও কালকে আরুকে দেবে , আজকে বলে দিলে সমস্ত সারপ্রাইজটা নষ্ট হয়ে যাবে তাই আর বলল না ৷)
আরু: ওহহহ ৷
আরিশ : এবার ঘুমিয়ে পরো আরুপাখি অনেক রাত হয়েছে ৷ বলে আরুর মাথায় হাত বুলাতে লাগল , এক পর্যায়ে আরু ঘুমিয়ে পরল আর আরিশ নিজেও ৷

তোমার নেশায় আসক্ত পর্ব ২৮

আজকে গোটা খান বাড়িতে খুশির মেজাজ, আরিশ সবকটা ইউনিভার্সিটির মধ্যে টপ রেজাল্ট করেছে, আর এমন রেজাল্ট আজ অব্দি খুব কমই হয়েছে৷ নিজের উপরে আরিশের আত্মবিশ্বাস ছিল বরাবরই ৷
আরু তো খুশিতে প্রায় কেঁদেই ফেলেছে ৷ সবাই খুব খুশী আরিশ এর সাকসেসএ…
আরিশের মা আরিশের সমস্ত পছন্দের খাবার রান্না করছেন , গোটা বাড়িতে খুশির ঝলক….
আরূ রুমে ঢুকতেই দেখলো আরিশ খাটে হেলান দিয়ে পায়ের উপর পা তুলে নিশ্চিন্তে ফোন দেখছে….
আরিশকে দেখে মনে হচ্ছে যেন কোন কিছুই হয়নি খুবই নরমাল….
আরু আরিশের কাছে গিয়ে বলল : আমি জানতাম আপনি এ রকমই একটা রেজাল্ট করবেন , আপনার থেকে এগুলোই আশা করা যায় ৷

আরিশ ফোনের দিকে তাকিয়েই বলল: আর তোমার থেকে?
আরুশি মুখ ফসকে বলে ফেলল: আমরা তো ল্যাধখোর বাঙালি , আমাদেরকে ঠেলে ঠেলে পড়াতে হয় আমাদের দ্বারা কি আর এসব সম্ভব !
আরিশ আরূর উত্তর শুনে আরূর ওর হাত ধরে ওর কাছে টেনে নিয়ে ওর সাথে মিশিয়ে নিল , তারপরে আরুর মুখের ওপর আছড়ে পড়া চুলগুলো কানের পেছনে গুঁজে দিয়ে কানে একটা জোরে কামড় দিল৷
আরূ: আপনি আমাকে কি মনে করেন বলুন তো ?যখন তখন এভাবে কামড়ে দেন !
আরিস : তোমাকে তো আমি সোজা করেই ছাড়বো না হলে আমার নাম আরিশ খান নই…..
আরু নিজেকে আরিশের থেকে ছাড়িয়ে মুখ ভ্যাংচিয়ে বললো : এত সহজ নয় আমাকে সোজা করা…(বলে রূম থেকে বেরিয়ে গেল ৷)
আরিশ এবার মুচকি হেসে ফোনের উপর দৃষ্টি নিক্ষেপ করল ৷

তোমার নেশায় আসক্ত পর্ব ৩০