তোমার নেশায় আসক্ত শেষ পর্ব || Suraiya Aayat || SA Alhaj

তোমার নেশায় আসক্ত শেষ পর্ব 
Suraiya Aayat

কমিউনিটি সেন্টার থেকে ওরা সকলেই ফিরেছে, খুব টায়ার্ড তারপরে আবার কালকে ওদের বিয়ে তা নিয়ে সকলের মাঝে হাজারো ব্যস্ততা…..
আরু ছাদে দাঁড়িয়ে আছে এক প্রান্তে আরিস 1 মগ কফি নিয়ে আরূর পাশে দাঁড়ালো, কফি থেকে ধোঁয়া উঠছে এইমাত্র যে আরিশ এটা বানিয়ে আনলো তারই প্রমাণ ৷
আরু মুচকি হেসে আরিশের দিকে তাকালো……
__”এত রাত্রে আপনি এবার কফি বানিয়ে নিয়েছেন কেন!”
কফিতে একটু চুমু দিয়ে সামনের দিকে তাকিয়ে বলল,,,,,
__” এনিথিং ফর ইউ আরুপাখি ৷”

কফির কাপটা আরু হাতে তুলে নিয়ে বেশ শব্দ করে চুমুক দিল আরিশ যে জায়গাটা স্পর্শ করেছে সেখানে ৷
আরিশ সামনের দিকে একইভাবে তাকিয়ে বলল,,,,, __”কেমন লাগছে আরুপাখি আবার নতুনভাবে সবকিছু ! নতুনভাবে হলুদ , নতুন ভাবে আবার বিয়ে, সবকিছুতেই একটা অদ্ভুত ভালো লাগা আছে তাই না!”
আরু আরিসের কাছে গিয়ে শক্ত করে আরিশ কে জরিয়ে ধরল,,,,,
__”কেন এত ভালোবাসেন আমায়? এতটা না বাসলেও তো পারেন ৷”
আরিশ ও ঠিক তেমনভাবেই আরুকে জড়িয়ে ধরল,,,,

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

__”তোমাকে আমি কতটা ভালোবাসি তা ঠিক জানি না তবে এটুকু জানি তোমার মাঝেই আমার অস্তিত্ব, তোমাতেই আমি ৷”
আরুর কপালে ভালোবাসার পরশ একে আরিশ বলল,,,,,
__”আজকে আর কোন ভালোবাসায় দিতে পারলাম না আরুপাখি,সব ভালোবাসাগুলো কালকের জন্যই তুলে রাখলাম না হয় , একেবারে সবটা উজাড় করে দেব ৷”
আরু মুচকি হেসে আরিশের বুকে মুখ লুকালো লজ্জায়…..
সবসময়ের মতো আজকেও আরু বলল,,,,,
__” কেন বারবার এভাবে আমাকে লজ্জা দেন বলুন তো !”
__”আমার বউটা লজ্জাও পায় বুঝি, আগে তো জানা ছিল না ৷”
__” ধ্যাত !”( আরিশের বুকে কিল মেরে ৷)
আরিশ মুচকি হেসে আরূকে নিজের সাথে জাপটে ধরল ৷
আজ ওদের বিয়ে,,,,,,

কমিউনিটি সেন্টারে অনেকক্ষণ আগেই সানা আর আরু সাজুগুজু করে বসে আছে, এখন শুধু কাজী এসে বিয়ে পড়ানোর অপেক্ষা ৷
আরুর শরীরটা খুব একটা ভালো লাগছে না আজকে ,বমি বমি ভাব টা না থাকলেও কেমন অস্বস্তি হচ্ছে সারা শরীর জুড়ে ৷
আর এদিকে তো সানা লজ্জায় লাল হয়ে গেছে, আরাভের কাজিনরা সানাকে নানান কথা বলে লজ্জা দিচ্ছে, আরু সানান দিকে তাকাচ্ছে আর মুচকি মুচকি হাসছে, ৷ ওর ও আজ মনে পড়ে যাচ্ছে সেই দিনের কথা যেদিন একটা ভুল মানুষের সঙ্গে ওর বিয়ে ঠিক হয়েছিল আর আরিশ কিভাবে আরুকে নিজের জীবনের সাথে জড়িয়ে নিয়েছিল ৷
(সবই আল্লাহর ইচ্ছা,তিনি সবাইকে জোড়ায় জোড়ায় সৃষ্টি করেন আর আমাদেরকে একইসঙ্গে পৃথিবীতে পাঠান , তাই বৃথা আলাদাভাবে কাউকে পছন্দ করা বা ভালোবেসে একটা সম্পর্কে জড়িত হয়ে নিজেকে কষ্ট দেওয়াটা ভুল ৷ লেখিকার একান্ত মতামত আর সেটাই বিশ্বাস করি ৷)

সানা লেহেঙ্গা পড়েছে তবে আরু লেহেঙ্গা পরেনি শাড়িই পড়েছে কারণ আরিশ ওকে শাড়িতেই দেখতে চেয়েছে , হাত ভর্তি চুড়ি, গয়না , মুখের ভারী মেকআপ আর সম্পূর্ণ লাল বেনারসীতে আরিশের মায়াবতী লাগছে ৷
কিছুক্ষণ পর কাজী এসে বিয়ে পড়িয়ে চলে গেলেন , সানা-আরাভের বিয়ে সম্পন্ন হলো তার সঙ্গে আরু আর আরিশ দ্বিতীয়বারের মতো বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হলো , কতজনের ই বা এমন সৌভাগ্য হয় নিজের প্রিয় মানুষটাকে বারবার নিজের করে পাওয়ার , সে ক্ষেত্রে আরু হয়তো খুবই ভাগ্যবতী ৷

মাঝখানে একটা পর্দা রেখে আরিশ আর আরুশিকে বসানো হলো , আরোশী সানা আর আরাভের-আরিশকে বসানো হলো সামনাসামনি তবে মাঝখানে রয়েছে একটা পর্দা , সামান্য কয়েক ইঞ্চি দূরত্বের মধ্যে তবুও ভালোবাসাগুলো তা ভেদ করে একে অপরের সঙ্গে প্রকাশ পাচ্ছে ৷ হয়তো ভালোবাসাটা এমনই , চাইলেও কেউ আটকে রাখতে পারেনা ৷
আয়না দিয়ে আরিশ আরুর মুখটা দেখছে, এতক্ষণ ধরে এই সময়টারই অপেক্ষায় ছিল আরিশ ৷ যেমনটা ও কল্পনা করেছিল তার থেকেও হাজারগুণ বেশি সুন্দর লাগছে আরুশিকে…..

আয়নাতে আরু আরিশকে দেখছে তবে মাঝে মাঝে লজ্জায় চোখ নামিয়ে নিচ্ছে যেন প্রথমবার দুজন দুজনকে দেখছে সেরকমই একটা অনুভূতি কাজ করছে ওদের দুজনের মধ্যে…..
সানার কে আরাভের পরিবারের সবাই নিয়ে চলে গেছে , যাওয়ার সময় প্রচুর কান্নাকাটি করেছে ও, যতই হোক বাবা-মা কে ছেড়ে থাকা একটা সন্তান এর পক্ষে খুবই কষ্টকর ৷
তবে তারা সকলেই নিশ্চিন্ত যে সানার হাতটা তারা সঠিক মানুষের হাতে ধরিয়ে দিতে পেরেছেন ৷
বাসর ঘরে বসে আছে আরু তবে আজকে আর সেই প্রথম দিনের মতো ভয় লাগা কাজ করছে না, প্রথম দিন যেমনটি ছিল তবে আজকের অনুভূতিতে তার থেকে সম্পূর্ণ আলাদা , তখন মানুষটার প্রতি ভয় থাকলেও এখন মানুষটার প্রতি হাজারো ভালোবাসা কাজ করছে…..

বাসর ঘরটা সুন্দর করে সাজানো হয়েছে যেমনটা আরিশ আর আরু দুজনেই চেয়েছিল, বিছানাটা সম্পূর্ণ ফুলের সজ্জায় সজ্জিত , অবশ্যই তা গোলাপ ফুলের কারণ গোলাপ আরুর ভীষণ প্রিয় ৷
সমগ্র ঘরজুড়ে এমন একটা ভালোবাসা ময় অনুভুতি কাজ করছে,আর বিছানার মাঝখানে বসে আরু অপেক্ষা করছে আরিসের জন্য…
কিছুক্ষণ পর আরুর প্রতীক্ষার অবসান ঘটে আরিস রুমে আসলো, আরু তাড়াতাড়ি করে উঠে গিয়ে আরিশের পায়ে সালাম করতে গেলেই আরিশ আরুকে বাধা দিয়ে নিজের বুকে জড়িয়ে নিল ৷
তোমার স্থান আমার পায়ে নয় আরুপাখি আমার বুকে ,এটা কবে বুঝবে তুমি ! কদিন পরে বাবুর মা হবে আর এখনো বুঝতে শিখলে না এগুলো, বলে আরুশির নাকে হালকা করে ঠোঁট ছোঁয়ালো আরিস ৷

আরু নেশাগ্রস্থ চাহনিতে তাকিয়ে বলল ,,,,,,
__”ভালোবাসি অনেক, খুব বেশি ভালোবাসি আপনাকে, আপনার বুকের মাঝেই সারা জীবন থাকতে চাই , এই স্থানটাই যে আমার কাছ থেকে সব থেকে নিরাপদ বলে মনে হয় , সারা জীবন এভাবেই আমার পাশে থাকবেন আর আপনার হৃদয়ে স্থান টা যেন সারাজীবন অক্ষুন্ন থাকে আমার জন্য ৷”

তবে এই হৃদয় এখন কি শুধুই তুমি ? তুমি ছাড়াও যে আরো একজন আছে আরুপাখি ৷
কথাটা শুনে আরুর ভ্রু জোড়া কুঁচকে এল, তারপর কৌতুহল নিয়ে বলল:কে সে?
আমি তোমার আর আমার ছোট্ট আরুপাখির কথা বলছি, যে তোমার মাঝেই তার অস্তিত্বকে বহন করছে ৷
শাড়ি ভেদ করে হাতটা আরুর পেটে রাখতেই আরুর শরীরটা কেপে উঠলো ৷
আরিসের স্পর্শে যেন মাতাল হয়ে যাচ্ছে আরুশি, চাইলেও মানুষটাকে ও আজ আটকাবে না ৷
আরিশ আরুর কানের কাছে মুখ নিয়ে গিয়ে নেশাগ্রস্থ কন্ঠে বলে উঠলো:

__” আজ তুমি না চাইলে সমস্ত ভালোবাসা এনে দেবো তোমার কাছে তুমি চাইলেও না করতে পারবে না আরুপাখি ৷”
কথাটা শোনা মাত্রই আরু চোখ দুটো বন্ধ করে আরিশের পাঞ্জাবির কলার টা শক্ত করে চেপে ধরল,আরিশ মুচকি হসে আরুকে নিজের কাছে টেনে নিল ৷
চোখটা বন্ধ করা অবস্থায় মাঝে মাঝে ছোট ছোট দুটো চোখ কয়েকবার পিটপিট করে তাকিয়ে দেখেই আবার চোখ বন্ধ করে ফেলছে অরি, দৃশ্যটা এতক্ষণ আরুর নজরে না পড়লেও হঠাৎ চোখে পড়ল ওর ৷
__”অরি মামনি তুমি এখনো ঘুমাওনি? কখন থেকে আমি তোমাকে ঘুম পাড়ানোর চেষ্টা করছি তবুও কেন ঘুমাচ্ছো না , তুমি দুপুরেও তো ঘুমাওনি , আর দেখোতো এখন কটা বাজে !”

__”11:58 মাম্মাম ৷”
আরু আরির কথা শুনে অবাক হয়ে গেল, ওর মেয়েটাকে কে ঘড়ি দেখাতে শেখিয়েছে সেটাই বুঝে উঠতে পারছে না তাছাড়া ও নিজেও তো শেখায়নি ঘড়ি দেখাতে, তাহলে ও কি করে শিখল ?
__” আম্মু তুমি কি করে ঘড়ি দেখা শিখলে?আমি তো শেখাইনি ৷”
আরিশ পাঞ্জাবির হাতা ফোল্ড করতে করতে রুমের ভিতর ঢুকলো তারপর অরির কাছে গিয়ে বিছানা থেকে ওকে কোলে তুলে নিয়ে বলল,,,,,
__” আমি শিখিয়েছি আমার অরি মামনি কে ঘড়ি দেখানো, কেন তোমার কোন সমস্যা আরুপাখি! “চোখ দুটো ছোট ছোট করে সন্দেহের চোখে তাকিয়ে ৷
আরিসের কথা শুনে আরু আর কিছু বললনা ,ওখান থেকে উঠতে গেলেই আরিশ আরুর হাতটা ধরে ফেলল ৷
আরিশ হাতটা ধরতেই আরু আরিশের দিকে ঘুরল, আরিশ প্রশ্ন করল,,,,

__” কোথায় যাচ্ছো আরুপাখি?”
__”কোথাও না ৷”
হঠাৎ করে অরি চেঁচিয়ে উঠে বলল,,,,
__” পাপা দেখো বারোটা বাজে ৷”
অরির কথা শুনে আরিস ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখল সত্যিই বারোটা বাজে ,তারপর অরির দিকে একবার তাকিয়ে আরুর দিকে তাকিয়ে বলে উঠলো,,,
__” হ্যাপি 3rd ম্যারেজ অ্যানিভার্সারি আরুপাখি ৷”
আরু যে এটা শুনে অবাক হয়ে গেল ঠিক তেমনটা নয় , ও ভেবেছিল আরিসের হয়তো ব্যাপারটা মনে নেই তাই সময়টা পার করার জন্যই ব্যালকনির দিকে যাচ্ছিল ৷

অরিকে কোলে নিয়েই আরিশ আরুকে ওর কাছে টেনে নিজের সাথে জড়িয়ে ধরল…..
অরি ওদের দুজনের কান্ড দেখে খিলখিল করে হাসছে ৷ দু বছর বয়সী বাচ্চা মেয়েটা ভালোবাসা জিনিসটা ঠিক কি তা বুঝতে শিখেছে নিজের বাবা মা কে দেখে, ওর পুরো নাম আরিশফা , ভালবেসে সবাই ছোট করে অরি বলেই ডাকে….
ঘড়ি দেখাটা আরিশ ই অরি কে শিখিয়েছে যাতে বারোটা বাজলেই অরিও আরুকে উইশ করতে পারে ৷ অরির তো উত্তেজনার শেষ ছিল না যখন জানতে পারল যে ওর মাম্মাম আর পাপার বিবাহ বার্ষিকের কথাটা ৷ বিবাহ বার্ষিকী জিনিসটা ঠিক কি তা অরির ক্ষুদ্র মস্তিষ্কের ধারনায় না থাকলেও এটা যে কোন একটা বিশেষ দিন ওর জন্মদিনের মতোই তা ওর মনে গেঁথে গিয়েছিলো তা নিয়ে ওর এত উত্তেজনা আর কৌতুহল ছিল ৷
অরি আরিশের কোল থেকে নেমে গেল ৷
আরিস অরির দিকে তাকিয়ে বলল :

__”কি হলো মাম্মাম ?”
__”আজ তোমার আর মাম্মাম এর ডে তাই তুমি রোজ মাম্মামের কপালে আর গালে যেভাবে কিসি দিয়ে আদর করো আজকেও করবে আমি জানি আর আমি দেখে নিলে আমার বুঝি লজ্জা করে না !”
বলে ছোট ছোট হাত দুটো দিয়ে মুখ ঢেকে নিল লজ্জাই ৷
আরিশ আর আরু দুজন দুজনের দিকে তাকিয়ে মুচকি মুচকি হেসে ফেললো তা দেখে অরি একটু ভাব নিয়ে বলল,,,,
__” জানি তো এখন আমার কথা শুনে হাসি পাবেই, তার জন্যই তোমাদের দুজনের মাঝখানে এখন থাকতে চাইছি না বাপু , আমি এখন সানা আন্টির ঘরে গেলাম ওখানে হৃদয় ভাইয়া একা একা আছে, আমিও ওর সাথেই ঘুমাবো ,বলে গুটি গুটি পায়ে রুম থেকে বেরিয়ে গেল , যাওয়ার আগে অল দ্যা বেস্ট জানালো দুজনকেই ৷
আরু তো ওর মেয়ের কান্ড দেখে হতভম্ব ৷

তোমার নেশায় আসক্ত পর্ব ৪২

আরিশ মুচকি হেসে ওর দিকে তাকাল, তাকিয়ে আরুর চোখের পাতাতে ভালোবাসার পরশ একে পকেট থেকে একটা ডায়মন্ডের পেন্ডেন্ট বার করে আরুর গলায় পরিয়ে দিল ৷
আরুর চোখ দুটো ছলছল করছে আজ , দেখতে দেখতে তিন বছরের ভালোবাসার দীর্ঘ সময় পার করলো ওরা, এভাবেই আমৃত্যু পর্যন্ত চলবে ওদের ভালোবাসা , আর বারবারই আরু আর আরিশের ভালোবাসা আর আরিসে ভালোবাসা গভীর হবে ৷
আরিশ আরুর কোমর ধরে নিজের কাছে এনে বললো,,,,
__” আমি তোমাতেই আসক্ত ছিলাম আজও আছি আর আজীবন থাকবো আরুপাখি ৷”
__”আমিও ভালোবাসি , খুব বেশি ভালোবাসি ৷”
“#তোমার_নেশায়_আসক্ত ৷”

___সমাপ্ত___

জানিনা কতটা ভালো বা খারাপ লিখেছি তবে গল্পটায় আপনাদের অনেক রেসপন্স পেয়ে খুব খুশি হয়েছি আমি ৷ এই প্রথম কোনো একটা গল্প এত ভালো রেসপন্স পেয়েছিল তা দেখে অনেক আগ্রহ নিয়ে লিখেছিলাম ৷ তবে আমার লেখা ভালোবাসার রং তুলি গল্পটা আপনাদের হয়তো ভালো লাগে নি তার জন্য আমি দুঃখিত ৷ আর সত্যি বলতে আরু আর আরিশকে বাস্তব জীবনের একটা চরিত্রের মত রুপ দিতে চেয়েছি যদিও বা কতটা পেরেছি জানিনা তবে চেষ্টা করেছি ৷ এভাবেই পাশে থাকবেন যতদিন লেখালেখি করছি ৷ আল্লাহ হাফেজ ☺ ৷

(লেখাঃ সুরাইয়া আয়াত) এই লেখিকার আরও লেখা গল্প পড়তে চাইলে এখানে ক্লিক করুন

2 COMMENTS

  1. খুব ভালো লেগেছে গল্পটা
    ভালোবাসা অন্যায় না তবে ভুল মানুষকে ভালোবাসাটা অন্যায়।আমার জীবনেও যদি এমন একজন আসতো।
    লেখিকার আরো সুন্দর সুন্দর গল্প চাই।

Comments are closed.