তোমার নেশায় আসক্ত পর্ব ২৪ || Suraiya Aayat || SA Alhaj

তোমার নেশায় আসক্ত পর্ব ২৪
Suraiya Aayat

সারা রাস্তায় রাইশা আরিশের সঙ্গে বকবক করতে করতে এসেছে আরিশ কেবলমাত্র হ্যাঁ হু করছে আর মাথা নাড়াচ্ছে , আর রাইসা আছে নিজের তালে , আর ওর সঙ্গে যোগ দিয়েছে আরিশের খালাম্মা ৷
রাইসা বুঝতে পারল যে আরিস ওকে সামান্য কিছুটা হলেও ইগনোর করছে ৷ মনে মনে ও ভেবেই নিয়েছে একবার আরিসে সঙ্গে ওর বিয়েটা হয়ে গেলে তারপরে সবকিছু ঠিকঠাক করে নেবে ৷

এয়ারপোর্ট থেকে আরিশের বাড়ি প্রায় 45 মিনিটের ডিসটেন্স তাই 45 মিনিট পর আরিশ ওদেরকে নিয়ে বাড়িতে ঢুকলো ৷ গাড়ির হর্ন দিতেই সবার মধ্যে উৎফুল্লতা আর ব্যস্ততার , তার মাঝে উদাস হয়ে বসে আছে আরু ৷ ওর যেন কিছুতেই ইন্টারেস্ট লাগছে না ব্যাপারটা নিয়ে, যখন থেকে শুনেছে যে রাইসা নাকি আরিশকে পছন্দ করে তখন থেকেই মনের মাঝে গভীর চিন্তা চলছে যে কি করে রাইসার থেকে দূরে রাখা যায় আরিশকে ৷

গাড়ি থেকে লাগেজ পত্র বাড়ির সার্ভেন্ট রার করে নিতেই হঠাৎ রাইসার চেঁচানোর শব্দ আরিশের কানে এলো , সঙ্গে সঙ্গে রাইশার দিকে তাকিয়ে দেখতেই দেখল যে ও মাটিতে পড়ে গেছে ৷
আরিস তাড়াতাড়ি করে রাইসাকে তুলে ধরে: কি হয়েছে তোর আর পড়লি কিভাবে?
রাইসা এমন একটা ভাব করছে যেন ও ব্যথায় কথা বলতে পারছেনা ৷
রাইসা : পায়ে কি ব্যথা পেয়েছি !

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

আরিশের খালাম্মা : কি হলো রে মা তোর হঠাৎ? এতক্ষণ তো ঠিকই ছিলি তুই ৷
আরিস : সেই তো, তুই হঠাৎ পড়ে গেলি কিভাবে?
রাইসা আরিশের দিকে ইশারা করল ওর পায়ের দিকে ইশারা করল যা থেকে বোঝা যায় যে লম্বা হিল পরার কারণে পা মচকে গেছে ৷

আরিস : কি দরকার এসব পরার, এমনিতেই তো তুই লম্বা ৷
রাইসা : আরে কখনোই এরকম হয়না কিন্তু আজকে কিভাবে হলো জানি না, কিন্তু আমি এখন হাটবো কিভাবে?
আরিশ বাঁকা চোখে রাইশার দিকে তাকিয়ে : তুই কি আমাকে এখন কোলে নিতে বলছিস ?
সঙ্গে সঙ্গে রাইসা খুশি হয়ে বলল : হ্যাঁ আমাকে তুই কলে নে, না হলে আমি যাব কিভাবে?
আরিশ মনে মনে কিছু একটা ভাবল তারপরে রাইসাকে কোলে তুলে নিয়ে বাড়ির দিকে হাঁটা দিল, রাইসা তো বেজায় খুশি আর তার সঙ্গে আরিসের খালাম্মাও ৷

আরিসের রাইসাকে কোলে নেওয়ার উদ্দেশ্যে একটাই যে যখন সকলের সামনে ওকে নিয়ে যাবে তখন আরুশি তখন বেশি অবাক হবে আর জ্বলবে সেই দৃশ্যটা আরিশ একবার দেখতে চাই , একটু হলেও বেশ মজা নেওয়া যাবে এটা ভাবল ৷
আরিশ রাইসাকে কোলে তুলে নিয়ে ড্রয়িংরুমে প্রবেশ করতেই সবার চোখ যেন অপ্রত্যাশিতভাবে ছানাবড়া হয়ে গেল ৷
সবথেকে অবাক হলো আরু ৷
আরিশকে ও যে এই ভাবে রাইসার সঙ্গে দেখবে সেটা হয়তো আন্দাজ করতে পারেনি আরু ৷
আরিশ রাইসাকে নিয়ে সোফায় বসিয়ে দিলো তারপর নিজেও ওর পাশে বসলো ৷
আরিসের মা : কি হয়েছে রাইসার?

রেনু খান (আরিশের খালাম্মা ) : আর বলিস না আসার সময় মেয়েটার পা মচকে গেছে তাই আরিশ ওকে কোলে করে নিয়ে আসলো , না হলে এতটা রাস্তা আসতো কি করে ?(কথাটায় কিছুটা মসলা মাখিয়ে উনি বললেন যাতে সবাই একটু অবাক হয় ৷)
সানা রাইশার পাশে গিয়ে বলল : এখন ঠিক আছো আপু ?
রাইসা : হ্যাঁ এখন ঠিক আছি , আর আরিশ আমাকে কোলে করে না আনলে যে কি হত !
রাইশা এতক্ষণে আরুশিকে খেয়াল করেনি….ও জানে যে আরিশের বিয়ে হয়ে গেছে , আশার কিছুক্ষণ আগেই ওর মা ও কে বলেছে, কথাটা শুনে প্রচন্ড রেগে গেছিল রাইসা ৷ প্লেনের মধ্যে ছিল বলে সিন ক্রিয়েট করতে পারেনি, না হলে একটা লজ্জার ব্যাপার ঘটে যেত ৷ আরুশিকে দেখে মনে মনে রেগে ফেটে পড়ছে রাইসা….

রেনু খান :: এই যে সেই মেয়ে যাকে তুই আরিস এর গলায় ঝুলিয়ে দিয়েছিস ৷ মেয়েটার কোন শিক্ষা আছে বলে তো মনে হয় না ! বাড়িতে যে একজন মুরব্বি এসেছেন তাকে সালাম করতে হয় সেটুকুই শিক্ষা মেয়ের মধ্যে নেই , কেমন ভাবে দাঁড়িয়ে আছে এখনো! আর আমার রাইসাকে তো এইসব কথা দ্বিতীয় বার বলতেই হয় না….
রাইসা ও রাগে ফুঁসতে ফুঁসতে এবার বলেই ফেলল,,,,,,,,
রাইশা : কি দেখে তুই এই মেয়েকে বিয়ে করেছিস? তোর চয়েজ বলে কি কিছু নেই নাকি?আর তাছাড়া তুই আমার জন্য আর কদিন অপেক্ষা করতে পারলি না, শেষমেষ এই মেয়েকে বিয়ে করলি, আমি জানি এই মেয়েটির কোন যাদু মন্ত্র করে তোকে আমার কাছ থেকে কেড়ে নিয়েছে, না হলে তুই কখনো বিয়েতে বিয়ে করতে রাজি হতিস না…
রাইসা আর আরিশের খালাম্মার বলা কথাগুলো আরুর বুকে এসে যেন তীরের মত বিধছে , সবেমাত্র হল ওনারা এসেছেন আর এসেই এত খারাপ খারাপ কথা বলতে শুরু করে দিয়েছেন ৷ আরু যা ভেবেছিল এরা তার থেকেও আরো বাজে ব্যবহার করছে ওর সাথে ৷

কথাগুলো শুনে আরুর খুব খারাপ লেগেছে তবে আশা রেখেছিল মনে মনে যে আরিশ এসবের প্রতিবাদ করবে তাই ও কিছু বলেনি চুপ করে ছিল, আরিশের কথা বলার জন্য অপেক্ষা করছিল আরোশী৷ কিন্তু অনেকক্ষণ রাইসার এই সমস্ত কথা বলার পরও আরিশ একটা কথাও বলল না চুপ করে আছে আর তা থেকে আরুর চোখের কোনে জল চলে এলো ৷
রাইসা বলতে শুরু করেছে আর থামার নাম নেই দেখে আরিশ বলল : ছাড় না রাইসা , সব সত্যি না হয় সকলের সামনে নাইবা বললি…..

আরিসের কথাটা শুনে আরু চোখে জল নিয়ে আরিশের মুখের দিকে তাকাল কারন আরিশ যা বলেছে সম্পুর্ন মিথ্যা কথা , সত্যিটাকে এড়িয়ে গেল৷ আরিশ ওকে জোর করে বিয়ে করেছে সেটা আর বলল না বরং আরুকে দোষারোপ করল ৷
রাইসা : আমি ঠিক জানতাম যে এই মেয়ে ছলে-বলে-কৌশলে তোকে বিয়ে করেছে না হলে এই মেয়ের মাঝে এমন কি আছে যা আমার মাঝে নেই ৷ তুই চিন্তা করিস না আমি এসে গেছি আর কিছু হতে দেব না…
একেতো রাইসা আর রেনু খান দুজন মিলেই নানান বাজে বাজে কথা শোনাচ্ছে আরুকে আর তার উপর আরিশ ও তাদের সঙ্গে সঙ্গে তাল মিলাচ্ছে দেখে আরু পারল না নিজেকে আটকাতে , চোখের জল গুলো বাঁধ ভেঙে চিবুক বেয়ে গড়িয়ে পড়েছে টপটপ করে৷ আরু তাড়াতাড়ি করে ওর রুমে চলে গেল…

সানা: ভাইয়া তুই এসব,,,,,
সানা আর কিছু বলবে তার আগেই আরিশ সানাকে থামিয়ে দিয়ে রুমে চলে গেল ৷
আরিশ রুমে গিয়ে দেখল আরু বিছানার উপরে বসে গুটিসুটি হয়ে ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদছে , আর কান্নার ক্ষীন শব্দটা হালকা ওর কানে ভেসে আসছে ৷ মানুষ তার মনের ভিতর কষ্ট দূর করতে যেভাবে কান্না করে আরু ও ঠিক সেভাবেই কাদছিল….
আরিশ এসে আরুর সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছে আর আরু এদিকে কেদেই চলেছে ক্রমাগত…
আরু জলে ভেজা চোখ নিয়ে পিট পিট করে আরিশের দিকে তাকালো , দেখতেই যেন আরুর রাগটা দ্বিগুন হয়ে গেল ৷ চোখে এখন কিছুক্ষণ আগে ঘটে যাওয়া সমস্ত কথাগুলোই ভাসছে ৷
আরিশ কে দেখে যেন রাগটা চরম পর্যায়ে পৌঁছে গেছে , তাই বিছানা থেকে নেমে আরিশের জামার কলার ধরে বলতে লাগলো,,,,

আরুশি :: আপনার সাহস কি করে হয় ওই মেয়েকে কোলে নেওয়ার ! জানেন কিভাবে আপনাকে জড়িয়ে ছিল ! আপনার শরীরে ওর স্পর্শ রয়েছে ! কেন থাকবে? আপনার উপর শুধু আমার অধিকার আর কারো নয় ৷ আর আপনি তখন সবার সামনে এভাবে মিথ্যা বললেন কেন যে আমি আপনাকে জোর করে বিয়ে করেছি , সত্যিটা বলার সাহস কি আপনার নেই? আপনি কি পারতেননা আমার হয়ে কথা বলতে!
এতক্ষণ রেগে রেগে কথাগুলো বলছিল আরু কিন্তু এখন আর নিজেকে পারছে না সামলাতে , তাই এবার অঝোরে কেঁদে দিল আরুশি ৷

আরুশির চোখের জল দেখে এমনিতেই আরিস বুকের মধ্যে চিনচিনে ব্যথা অনুভব করে ,আর তার ওপরে নিজে সেখানে প্রতিবাদ না করে এখন আরিশকে জড়িয়ে ধরে কাঁদছে ৷ আরিশ ভেবেছিল আরু হয়তো নিজের অধিকারের জন্য রাইসাকে উল্টে দু’চারটে কথা শুনিয়ে দেবে , আরোশীর রূপটা দেখার জন্য আরিশ আরুর সাথে এসমস্ত কাজ করলো কিন্তু এতে হিতে-বিপরীত হলো ৷ এখন আরু ক্রমাগত কেদেই চলেছে আর তার প্রত্যেক কষ্টের ব্যথা অনুভব করছে আরিশ নিজেই ৷
আরিশ আবার আরুশিকে কোলে তুলে নিয়ে বিছানার ওপর ফেলে দিল,,,,
হঠাৎ আরিশের দিকে থেকে এমন একটা প্রতিক্রিয়ায় আরু চমকে গেল ৷
যতক্ষণে ও আরিশকে কিছু বলতে যাবে তার আগে আরিশ ওর হাতদুটো বিছানার সাথে শক্ত করে চেপে ধরেছে , ধরে ওর মুখের কাছে মুখটা নিয়ে এসে বলল,,,,,,

আরিশ : আমাকে দোষারোপ করছো তুমি ! নিজের অধিকারটা নিজে বুঝে নিতে পারো না ? তুমি কি পারতেনা সত্যের জন্য প্রতিবাদ করতে ? নিজে তো মুখ লুকিয়ে চলে এলে ! এতে যে প্রতিপক্ষ আরো সুযোগ পায় তা কি বোঝনা ? কবে সমস্ত কিছু বুঝতে শিখবে? তোমাকে সব কিছু বোঝানোর দায়িত্বটা কি আমার!
কথাগুলো অত্যন্ত জোরে চেচিয়ে চেচিয়ে বলছিল আর প্রত্যেকটা কথার আওয়াজ শুনে আরুর বুকের ভিতর ধক ধক করে উঠলো ৷

আরিশ : নিজের অধিকারটা বুঝতে শেখো , এমন কিছু করো না যাতে কেউ তোমার জায়গায় নিজের ভাগ বসিয়ে নেই,তবে সেইদিন কিন্তু বড্ড বেশি আফসোস করতে হবে তোমাকে আরুপাখি ৷ বলে আরুশির গলায় জোরে একটা কামড় দিল ৷
আরোশী যেন এতক্ষণ আরিশের কথার মাঝে হারিয়ে গিয়েছিল হঠাৎ আরিশ জোরে কামড়ে নিতেই আহ করে চেঁচিয়ে উঠলো ৷ নিজেকে যে আরিশের থেকে ছাড়াবে সে শক্তি টুকুও নেই ওর ৷আরিশ ওর হাত দুটোকে চেপে ধরে রেখেছে…
আরিশ : তোমাকে আমি কষ্ট দেবো , বকব আর তারপর আমিই তোমাকে ভালোবাসবো , আর এ বিষয় নিয়ে যদি মনের মধ্যে কোন সন্দেহ থাকে তাহলে তা মুছে ফেলাই ভাল, কারণ তোমার ওপর শুধু আমার অধিকার , শুধু আমার ৷ বলে কামড়ে দেওয়া জায়গাটায় গভীরভাবে একটা কিস করে আরুশিকে ছেড়ে উঠে গেল ৷
আরিশের কাজকর্মে যেন আরুশি হতভম্ব ৷ একটা মানুষ কত ভাবে কত রূপে নিজেকে প্রকাশিত করে তা হয়তো আরিশকে না দেখলে বুঝতেই পারতো না আরূ ৷

অনিকা খানের সঙ্গে রান্নাঘরে কিছু টুকটাক কাজ করছে আরূ , যদিও বা উনি করতে দিতে চাননি তবুও আরোশী নিজে থেকেই জোর করে করছে ৷ মাঝে মাঝে হাতে হাতে কাজ করে দিতে ওর বেশ লাগে ৷ আগে ওর মায়ের সঙ্গে কাজ করে দিত তবে আজকে ওর মাকে বড্ড মিস করছে ৷ ওর বাবা ওর প্রতি এমন খারাপ ব্যবহার করলেও ওর মা কখনো ওর প্রতি এমন ব্যবহার করেনি , কথাগুলো ভাবতেই আরুশির চোখে জল চলে এলো, তবু নিজেকে সংযত করে নিয়ে আবার নরমাল হয়ে গেল ৷

আরিশ রুমের ভিতরে ল্যাপটপে কাজ করছে আর রাইসা সানার সঙ্গে গল্প করছে আর আরিশের খালাম্মা রুমের মধ্যে শুয়ে আছেন ৷ এতটা লং জার্নি করার পর উনি বেশ ক্লান্ত….
হঠাৎই রুম থেকে আওয়াজ এল কফি বলে ৷
তা শুনে অনিকা খান বললেন : আরূ মা আমি খুব ব্যস্ত , তো তুই কি একটু ফ্লাক্স এর মধ্যে থাকা কফিটা ওদের দুজনকে একটু দিয়ে আসবি !

আরূ: আচ্ছা মামনি আমি দিয়ে আসছি ৷
বলে দু কাপ কফি ঢালল আর ইচ্ছা করে রাইসার কফিতে চার চামচ গুঁড়ো লঙ্কা মিশিয়ে দিল ৷
আরুশি কফি টা নিয়ে যাচ্ছে ওদের কাছে আর বলছে মনে মনে : আমার জামাইয়ের কোলে ওঠার বড্ড শখ তাই না , এবার আমি দেখাচ্ছি মজা…..
সানা কফিতে চুমুক দিয়ে টিভির দিকে মন দিল, আরোশী অপেক্ষা করে আছে যে রাইসা কখন কফিতে চুমুক দেবে ৷ তবে বেশিক্ষণ আর দেরি না করে রাইসা কফিটা মুখে দিতেই চোখ মুখের অবস্থা বেহাল হলো,চোখ মুখ লাল হয়ে গেছে ৷ জোরে চেচিয়ে উঠল রাইসা…

রাইসা : এই মেয়ে তুমি এটা কি বানিয়েছ? এটা কি কফি না অন্যকিছু?( চেঁচাতে চেঁচাতে)
ওর চেঁচামেচি শুনে আরিশ নিচে নেমে এলো , দেখতে গেল যে কি হচ্ছে আসলে ৷
আরিশ এসে দেখে রাইসার অবস্থা খারাপ ৷
সানা: কিন্তু আমার কফিটা তো ঠিকই আছে ৷
আরিস আরুশির দিকে চেঁচিয়ে বলল :কি মিশিয়েছ তুমি কফিতে? রাইসার চোখমুখ তো লাল হয়ে গেছে৷তো ঝাল মিশেছে কেন তুমি ওর কফিতে?

আরোশী : আমি কিছু করিনি ডোন্ট কেয়ার ভাবনিয়ে৷
আরিশ : তুমি যখন মিথ্যা বলছো না তাহলে তুমি কফিটা খেয়ে দেখাও…
আর যাইহোক আরূঝি কফিটাতো খাবেইনা ৷মঅনেকবার না না করল কিন্তু এবার আরিস জোর করে কপি টা খাইয়ে দিল আরুকে ৷ কফিটা খেয়ে আরুর খুব বাজে অবস্থা ৷ যেখানে রাইসা কফিতে একটা চুমুক দিয়েছে সেখানে আরু সমস্ত কফিটা আরুকে খাইয়েছে ৷ শরীরটা যেন জ্বলে পুড়ে ছারখার হয়ে যাচ্ছে আরুর….
চোখ থেকে টপটপ করে জল গড়িয়ে পড়েছে আর অস্থিরতা কাজ করতে গোটা শরীরের মধ্যে ৷ আরশি আর দেরি না করে দৌড়ে রুমে গেল ৷

তোমার নেশায় আসক্ত পর্ব ২৩

আরিশ ভেবেছিল রাইসা হয়তো মিথ্যা কথা বলছে আরুশিকে কথা শোনানোর জন্য কিন্তু আরোশী যে সত্যিই কফিতে ঝাল মিশিয়েছে সেটা ও বুঝতে পারেনি ৷ আরিশ ও পিছনে পিছনে গেল কারণ আরুশির অবস্থা বেহাল….
ওয়াশরুমে গিয়ে হড়হড় করে বমি করে দিল আরুশি, শরীর ক্রমশ নেতিয়ে আসছে, আনছান আনছান করছে ও ৷
আরিশ রুমে ঢুকে দেখল যে আরুশি বমি করছে, আরিশ ওয়াশরুমে ঢুকে আরুশির হাত-মুখ ধোঁয়াল, তোয়ালে দিয়ে চোখ মুখ মুছে দিল , দিয়ে আরুশিকে শাওয়ারের নিচে দাঁড় করালো জোর করে ৷

একেই আরুর ঝালে বেহাল অবস্থা তার ওপর আরিশ ওকে জোর করে সবকিছু করাচ্ছে ৷আরিশকে বাধা দিয়ে বেরিয়ে আসতে যাবে তখন আরিশ আরুশিকে ধরে শাওয়ার নিচে দাঁড়িয়ে পড়ল ৷ আরুশে ছটফট করছে ঝালে ৷ আরিশ আরো শক্ত করে চেপে ধরে আছে আরুকে ৷ দুজনেই ভিজে যাচ্ছে , হঠাৎ করে আরুশির ছটফটানিটা বন্ধ হয়ে যেতেই আরিস আরুর দিকে তাকিয়ে দেখলো আরুশি জ্ঞান হারিয়েছে ৷

তোমার নেশায় আসক্ত পর্ব ২৫