তোলপাড় সিজন ২ পর্ব ৩৩+৩৪

তোলপাড় সিজন ২ পর্ব ৩৩+৩৪
শান্তনা আক্তার

‘আজ স্রুতির মুখ দেখার মতো ছিল বলো?’
আহসান ল্যাপটপ দিয়ে কাজ করছিল। রিমির কথা কানে আসায় ল্যাপটপ অফ করে বলল,
‘হুম ঠিক বলেছো। আমার তো পেট চেপে হাসতে ইচ্ছে করছিল। স্রুতি তোমার গুগলিতে নাস্তানাবুদ হয়ে গিয়েছিল প্রায়।’
রিমি বিছানার এক কোণে গিয়ে বসল। তারপর বলল, ‘নাস্তানাবুদ নয়,পুরোই ভ্যাবলাকান্তী বানিয়ে ছেড়েছি।’

‘ও আচ্ছা। তো ম্যাম, ভ্যাবলাকান্ত তো শুনেছি। তবে এই ভ্যাবলাকান্তী টা কি শুনি?’
‘কি আবার? ভ্যাবলাকান্তের বউ।’ বলেই রিমি ফিক করে হেসে ওঠে।
‘তুমিও না রিমি! যাই হোক, আজ আমার পিচ্চি শালিটা আসেনি কেন? মিস করলাম ওকে।’
‘তিসুর কথা বলছো?’
‘আর কয়টা শালি আমার?’
‘ওর নাকি আজ ইম্পর্ট্যান্ট ক্লাস ছিল কলেজে। খুব বেশি জরুরি। তাই আসেনি নাকি। আব্বু আম্মু অনেক জোর করে মানাতে পারেনি ওকে।’

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

‘যাক পড়াশোনার প্রতি সিরিয়াস থাকা ভালো। তবে নিজের বোনের বউভাতে আসেনি! তিয়াসা আমাদের বিয়ে নিয়ে খুব এক্সাইটেড ছিল। ইভেন তোমার আমার থেকেও বেশি। তবে কিভাবে কি হলো? তিয়াসার মন মানসিকতা ভালো লাগেনি আমার কাছে। মনমরা হয়ে ছিল গতকাল। আমি বেশ খেয়াল করেছি। তাছাড়া শালিরা দুলাভাইদের থেকে টাকা চায় বিয়ের দিন। নানান আবদার করে। আমি ওর জন্য খুব যত্ন করে খামে ভরে টাকা রেডি করেও রেখেছিলাম। ও চাইলেই দিয়ে দেব ভেবেছিলাম। কিন্তু আমার ভাবনাটাই বদলে গিয়েছিল গতকাল। ও চায়নি বলে আমি সেধে গিয়ে খামটা ওর হাতে গুজে দিয়েছিলাম। তুমি জানো কি তিয়াসার কি হয়েছে?’

রিমি ঠোঁট উল্টে বলল, ‘না, জানি না তো। সত্যি বলতে আমি খেয়াল করিনি ওকে। তাছাড়া তিসু আমাকে বলেনি কিছু। তবে কাল আমাকে নিয়ে ও বাড়িতে গেলে দেখা যাবে। নিয়ে যাবে তো?’
‘শ্বশুড়বাড়ি পা ফেলতে না ফেলতেই বাপেরবাড়ি যাওয়ার প্রস্তুতি সারা?’
‘প্লিজ নিয়ে যাওনা৷ আমরা রাতেই চলে আসবো নাহয়। প্লিজ!’

‘স্যরি রিমি। এখন তুমি এ বাড়ির নতুন বউ। রিলেটিভরা অনেকেই আসা-যাওয়া করছে বাড়িতে। এমতাবস্থায় তোমার কোথাও যাওয়া ঠিক হবে না। তাছাড়া দাদিয়া পারমিশন দিবেন না। তুমি কি বুঝতে পারছো আমার কথাটা?’
রিমি ভেবে বলল,
‘হুম ঠিক বলেছো। তাহলে কবে যাব আমরা?’
‘সামনের ফ্রাইডে।’
রিমির মস্ত এক হাসিরসহিত বলল,
‘পাক্কা?’

‘হুম পাক্কা। এবার একটু আমার কাছে এসে বসো তো। সারাদিন কাজই করতে হয় আমাকে। সদ্য বিয়ে করা দম্পতি মনে হচ্ছে না নিজেদের। এটা কেমন বিয়ে হলো কি জানি? ভালো লাগছে না আমার।’
‘তা মনে হবে কেন হুম? শর্ত মাথায় নিয়ে ঘুরে বেড়াও। আমি তোমার কে হুম? কেউ না।’
রিমি বেশ অভিমানী সুরে বলল কথাটা। আহসান তা বেশ ভালো করেই বুঝতে পারলো। আহসান গিয়ে রিমির গাঁ ঘেঁষে বসে৷ তাই দেখে রিমি উঠে যেতে নিয়েও পারেনা। আহসান তার বুকের সাথে রিমিকে আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে রেখেছে। রিমি কিছুক্ষণ ছুটাছুটি করেও নিজেকে ছাড়াতে না পেরে শান্ত হয়ে যায়৷ নিঃশব্দে আহসানের হার্টবিট শুনছে রিমি। আহসান রিমির থুতুনি হালকা উঁচিয়ে বলল,

‘কিছুদিন ওয়েট করো শুধু। আমি তো তোমাকেই ভালবাসি। তোমাকে ছেড়ে তো কোথাও হারিয়ে যাচ্ছি না। ভরসা রাখো আমার প্রতি।’
‘হুম অনেক ভরসা করি আমার বরটাকে। তাইতো তার পাশে আছি আর থাকবো।’
আহসান মৃদু হেসে রিমিকে আবারও জড়িয়ে ধরল।

জিসান স্রুতির দরজায় নক করতেই স্রুতি বলে ওঠে, ‘চলে আয় তোকে পারমিশন নিতে হবে না।’
‘তুই কি আমাকে কিছু বলতে ডাকলি আপু?’
‘হুম অনেক জরুরি একটা কথা বলার ছিল।’
‘কি আপু? তাড়াতাড়ি বল।’
‘এত তাড়া কিসের? বুঝেছি এখন বউই আপন হয়ে গিয়েছে।’
‘আপু আমি যাচ্ছি। পরে কথা বলবো।’

‘এক পাও নড়বি না। এত রাগ কাকে দেখাচ্ছিস?
তোর রাগ সব জান্নাতকে দেখাবি। আমাকে না। হাত তোলাবি না একদম।’
জিসান ভ্রু কুচকে তাকালো স্রুতির দিকে। তা দেখে স্রুতি পুনরায় বলল,
‘অবাক হওয়ার কিছু নেই। আমি সব জানি যে তুই জান্নাতকে লাইক করিস না। ওকে মেনে নিতে পারছিস না। আর কেন পারছিস না তাও জানি আমি।’
‘কিভাবে?’

‘কিভাবে জেনেছি সেটা বড় কথা না। কথা হচ্ছে মেয়েটি কে যার জন্য তুই জান্নাতকে মেনে নিতে পারছিস না?’
‘আপু তুই কি যা তা বলছিস বলতো?’
‘আমি সব জানি। কথা চেঞ্জ করার দুঃসাহস দেখিয়ে লাভ নেইরে ভাই। তুই আমার কোলে চড়ে বড় হয়েছিস, আমি না ওকে?’
‘আপু আমি পরে কথা বলছি তোর সাথে।’
‘আমি বেশি সময় নেব না। তুই আমার প্রশ্নের উত্তর টা দে আমি সব ঠিক করে দেব। তোর সাথে যা হয়েছে অন্যায় হয়েছে নানু আহসানকে ভালবাসে কিন্তু তোকে না। ঠিক সেভাবে নানু জান্নাতকে ভালবাসে কিন্তু আমাকে মনে হয়না সহ্য করতে পারে বলে।’

‘তুই কি বোঝাতে চাচ্ছিস আপু? তোর আর জান্নাতের তুলনা কেন আসলো এখানে?’
‘আসলো কারণ জান্নাত তোকে খুব সহজেও পেয়ে গেল। কিন্তু আমি আহসানকে ভালবেসে পাইনি। আহসান আমাকে একটুও দেখতে পারে না। তাহলে তুই কেন জান্নাতকে মেনে নিবি? তুই আমার হয়ে প্রতিশোধ নিবি। আহসানকে বলবি ও যদি রিমিকে ছেড়ে আমাকে বিয়ে করে, তাহলে তুইও জান্নাতকে মেনে নিবি। ওই রিমি নামক পথের কাটাকে আমার রাস্তা থেকে সরাতে পারবি না জিসান?’

‘আপু তোর মাথা ঠিক আছে? ভাইয়া আর ভাবি দুজন দুজনকে ভালবেসে বিয়ে করেছে। সেখানে ভাইয়া ভাবির মধ্যে তুই কেন থার্ড পারসন হতে চাচ্ছিস? আমি পারবো না এটা। স্যরি৷ আর তোকেও সাবধান করলাম। ভুলেও এই পাপ করিস না।’
‘তুইও বুঝলি না আমাকে। আচ্ছা থাক সেটা। তুই আমার পাশে না থাকলেও আমি তোর সুখের জন্য লড়াই করতে রাজী। তুই বল তুই কোন মেয়েকে ভালবাসিস। আমি তার সাথেই তোর বিয়ে দেব।’

‘সেটা আর পারবে না আপু। সে তো আমাকে ভালবাসে না। তার কাছে আমি খারাপ ছেলে।’
‘নামটা তো বল।’
‘নাম! তুমি যাকে পথের কাটা ভাবো তারই বোন।’ এই বলে জিসান চলে গেল স্রুতির রুম থেকে।
এদিকে স্রুতি ওর কানকে বিশ্বাস করতে পারছে না যেন। কিছুক্ষণ ভাবনায় মগ্ন থেকে ভয়ংকর এক হাসি দিল স্রুতি। তারপর বলল, ‘বাহ! আমার ভাইটা তো ভালো একটা কাজ করেছে। আমার পথ সহজ করে দিয়েছে। পুরোই নিট এন্ড ক্লিন। এখন তিয়াসা হবে আমার হুমুক কা ইক্কাআয়ায়ায়ায়া!

কলেজ থেকে বের হয়ে রাস্তার এক কোণে ট্যাক্সি বা রিকশার জন্য অপেক্ষা করছে তিয়াসা। তার বন্ধু-বান্ধব সবাই যে যার মতো চলে গিয়েছে। তাদের বাড়ি তিয়াসার বাড়ির উল্টো রাস্তায় বলে তিয়াসাকে একাই যেতে হয়।
‘উফ আজ কি সব রিকশাওয়ালাদের স্ট্রাইক নাকি? একটা অটো বা ট্যাক্সিও নেই দেখছি! রোদ আঙ্কেল তো খাড়াভাবে কিরণ বর্ষিত করছে আজ। নির্ঘাত আমাকে কাইল্লা বানানোর প্লান তার।’

তিয়াসা রাগে ফুসছে আর যা মনে আসছে বলে যাচ্ছে। আচমকাই তিয়াসার কানে মেয়েলি কণ্ঠ গিয়ে বারি খেল। বলল,
‘হ্যালো তিয়াসা।’
তিয়াসা পাশ ফিরে তাকাতেই স্রুতির হাস্য উজ্জ্বল মুখ দেখতে পায়। তিয়াসা কিঞ্চিৎ অবাক হলো। তবে তা মুখে প্রকাশ না করে বলল,
‘স্রুতি আপু যে! কেমন আছেন?’

‘এইতো চিনতে পেরেছো। আমি হচ্ছি জিসানের বড় বোন।’
‘এটা না বললেও আমি জানি আপু।’ কটমটিয়ে বলে ফেলল তিয়াসা।
স্রুতি রোদচশমাটা খুলে মাথায় নিয়ে ঠেকালো। তারপর ন্যাকামি করে বলল, ‘তুমি কি রেগে গেলে ছোটাপ্পি?’
‘না রাগিনি। তবে মেজাজ ভালো নেই গো আপু। একটা রিকশা পাচ্ছি না। সেই কখন থেকে দাঁড়িয়ে আছি তো আছিই।’

‘এই ব্যাপার!’
‘হুম এই ব্যাপার।’
‘এত ছোট একটা ব্যাপার নিয়ে রেগে লাল হয়ে গেছ! যাই হোক, আমি কি তোমাকে তোমার বাড়ি অবধি দিয়ে আসতে পারবো? উড ইউ মাইন্ড!’
‘আপনি কষ্ট কেন করবেন আমার জন্য? সমস্যা নেই আমি যেতে পারবো। একটা না একটা রিকশা ঠিক চলে আসবে। আজ দর কষাকষি না করে যা ভাড়া বলবে তাতেই রাজী হয়ে উঠে পড়বো আমি।’
‘ইশ মেয়েটা কতটা বিরক্তিকর সিচুয়েশন দিয়ে যাচ্ছে। নিশ্চয়ই গলা শুকিয়ে গিয়েছে এভাবে দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতে?’
‘তেমন কিছু না। আমি ঠিকই আছি।’

‘মুখে বললে চেহারার আকৃতি পাল্টে যায়না ছোটাপ্পি। আমি ঢের বড় তোমার থেকে। আমি বুঝি বুঝেছো? চলো কফি শপে গিয়ে বসি আমরা।’
‘আমি লেট হয়ে যাচ্ছি। অন্য একদিন আপু।’
‘আরে চলোই না। কোল্ড কফি খাব দুজনে। এই সময়ে কোল্ড কফি মানে ক্লান্তিহরের উত্তম মাধ্যম। মানা করো না প্লিজ!’
স্রুতির তুমুল জোরাজোরিতে অতিষ্ঠ হয়ে তিয়াসা বাধ্য হয় কফি শপে যাওয়ার জন্য।

নিলয় আর হাফসা গতরাতেই তাদের বাড়ি চলে গিয়েছিলেন। নিলয়ের গুরুত্বপূর্ণ কাজ থাকায় রিসিপশন শেষ হতেই রওনা দেয় হাফসাকে নিয়ে। আজ জিসান ও জান্নাতের যাওয়ার পালা। স্রুতি কদিন পর যাবে বলে যায়নি ওদের সাথে। ড্রাইভার জান্নাত ও জিসানের জিনিসপত্র গাড়িতে তুলছে। এদিকে অপা ও মুনতাহা কান্নায় ভেঙে পড়েছে প্রায়। জান্নাত তাদের কান্না দেখে নিজেও ইমোশনাল হয়ে যায়। ফলে মা-দাদির সাথে সেও সায় মেলায়। জিসান ও জান্নাতের গাড়ি চলে গেলে মুনতাহা নিজের রুমে চলে যান। আর অপা এখনো দরজার কাছে দাঁড়িয়ে থাকেন। অপা কান্নাজড়িত কন্ঠে বলতে থাকেন,

‘আর কয়টা দিন পর গেলে কি হতো মেয়েটার? এমনতো না অন্য কোনো ফ্যামিলিতে বিয়ে হয়েছে। নিজেদের মধ্যেই তো হয়েছে। আমি এখন মেয়েটাকে না দেখে কিভাবে থাকবো?’
রিমি এক গ্লাস পানি অপার দিকে এগিয়ে দিয়ে বলল, ‘আপনি শান্ত হন মা। পানি খেয়ে নিন। আর ভেতরে চলুন।’
‘পানি লাগবে না। আজ বাড়িটা খালি হয়ে গেল৷ বাড়িটা মাথায় করে রাখা মেয়েটা চলে গেল।’
‘এভাবে উদাস হবেন না মা। ওতো আর একেবারের জন্য চলে যায়নি। জান্নাত আসবে যাবে। আবারও দেখতে পারবেন আপনার মেয়েকে।’

‘তুমি মায়ের কষ্টটা বুঝতে পারবে না মা। যেদিন মা হবে ওইদিনই বুঝবে,তার আগে না। মেয়ে যখন পরের ঘরে যায়,তখন মায়ের চিন্তা দ্বিগুণ বেড়ে যায়।’
‘আপনি ঠিক বলছেন মা। কিন্তু তাই বলে খাওয়া দাওয়া,ঘুম বাদ দিয়ে সারাদিন চিন্তা নিয়ে পড়ে থাকতে হবে! হাসুন এখন। আপনাকে হাসলে খুব সুন্দর লাগে। একদম কাচা গোল্লার মতো। খুব সুইট লাগে।’
অপা অবাক হয়ে বলল, ‘তুমি তো তোমার শ্বশুড়ের মতো কথা বলছো। উনিও এই উদাহরণ টাই দেয়।’
‘কি রোমান্টিক! আর কি কি বলে মা?’

‘একদম মেরে তক্তা বানিয়ে ফেলব। শ্বাশুড়ির কাছে এসব কথা কেউ জিজ্ঞেস করে নাকি?’
‘শোনো,শোনো,শোনো। আমার শ্বাশুড়ি মা লজ্জা পাওয়ায় এই টপিকটা স্থগিত করা হলো। তবে তার মুখে যে হাসি ফুটেছে তার জন্য আমি খুবই আনন্দিত।’
‘পাগলী মেয়ে তো তুই?’
‘সবাই বলে। তুমি চিন্তা করো না। আমি থাকতে তোমার একটুও মন খারাপ থাকবে না। শুধু জান্নাতের মতো আমাকেও তোমার আরেকটা মেয়ে ভাবলে হয়।’
‘তুই সেটা না বললেও চলবে। আয় আমার বুকে।’
রিমি গিয়ে জাপ্টে ধরে অপাকে।

তোলপাড় সিজন ২ পর্ব ৩১+৩২

‘সবই তো শুনলে। এখন তোমার ডিসিশন জানাও তিয়াসা।’
‘দেখুন, আমি আপনার ভাইকেও বলেছি আর আপনাকেউ বলছি,আমি আপনার ভাইকে ঘৃণা করি।’
‘এভাবে বলো না! জিসান খুব খারাপ অবস্থা দিয়ে যাচ্ছে। তোমাকে ছাড়া অন্য কাউকে ও মেনে নিতে পারছে না।’
‘মেনে নিতে না পারলেও তাকে মেনে নিতে হবে। জান্নাত আপু তাকে অনেক ভালবাসে। পারলে আপনার ভাইকে বোঝান, আমাকে না।’

‘তুমি কেন বুঝতে চাইছো না হুম?’
‘আপনারা বড় হয়ে কেন বুঝতে চাইছেন না? আমি এখনো ছোট। ১৮ বছর হয়নি আমার। আমি কেন বাল্যবিবাহ করবো? তাছাড়া আপনার ভাই এখন বিবাহিত।’
‘দেশে ডিভোর্স এর ব্যবস্থা রয়েছে। আর রইল বয়সের ব্যপার! সেটা তো কোনো সমস্যা নয়। তুমি নাহয় কয়েকবছর পর বিয়ে করো আমার ভাইকে। চাইলে পড়াশোনা কন্টিনিউ করতে পারো। আমি তোমার পাশে থাকবো অলওয়েজ।’
‘আপনি আর আপনার ভাই দুইজনই মানসিক ভাবে সুস্থ নন। আপনারা সহজ জিনিসটা বুঝতে পারছেন না। আমার তো মনে হচ্ছে আপনারা ইচ্ছে করেই বুঝতে চাইছেন না।’

‘তুমিও তো বুঝতে চাইছো না তিয়াসা! আমার ভাই মানসিক রোগী হলে সেটার জন্য দায়ী তুমি। শুধুই তুমি৷ আর আমি আমার ভাইয়ের জন্য নিঃসন্দেহে মানসিক রোগী হতে প্রস্তুত। আমার প্রবলেম নেই তাতে।’
‘অসহ্য! আমি আর আপনার সাথে কথা বলতে চাইনা। গুড বায়।’
তিয়াসা রেগেমেগে কফি শপ থেকে বেরিয়ে আসলো।

তোলপাড় সিজন ২ পর্ব ৩৫+৩৬