নিভৃতে তেজস্বিনী পর্ব ২৮

নিভৃতে তেজস্বিনী পর্ব ২৮
নামিরা নূর নিদ্রা

অন্ধকারাচ্ছন্ন বদ্ধ কুটিরে হিমশীতল এক স্থানে বেঁধে রাখা হয়েছে দু’জনকে। ঠাণ্ডায় জমে যাওয়ার মতো অবস্থা হয়েছে তাদের। একে তো ঠাণ্ডার মাঝে টেকা মুশকিল, তার উপর হাত, পা বাঁধা। চিৎকার করার উপায়টুকু নেই। মুখ যে বাঁধা কালো কাপড়ে। দীর্ঘ দুই ঘন্টা যাবত এখানে বন্দী হয়ে আছে মাহতাব আর তুরাগ। কখনো ঠাণ্ডার পরিমাণ কমে গিয়ে তাদের স্বস্তি দিচ্ছে তো কখনো পরিমাণ বেড়ে গিয়ে তাদের মা*রতে উদ্যত হচ্ছে। কথা বলার শক্তিটুকুও যেন হারিয়ে ফেলেছে তারা।

ঘরের দরজা খুলে ধীর পায়ে ঘরে প্রবেশ করে এক মানবী। চোখেমুখে তার উপচে পড়া রাগ লক্ষণীয়। চোখ বাঁধা না থাকায় তাদের দু’জনের বুঝতে একটুও অসুবিধা হলো না যে এটা সিরাত। তুরাগ তো আগে থেকেই জানত এবার সিরাতের হাতে পড়লে তার আর রক্ষা নেই। কিন্তু মাহতাব! সে তো তার প্রাক্তন স্ত্রীর কঠিন রূপ আজও নিজ চোখে দেখেনি।

আরও গল্প পড়তে আমাদের গ্রুপে জয়েন করুন

সিরাতের পাশাপাশি ঘরে প্রবেশ করে তার বন্ধুমহলের সবাই। শেষে ফারহান এসে দরজা আটকে দেয় ভেতর থেকে। নাবিলের হাতে একটা ব্যাগ দেখে তুরাগের নিঃশ্বাস যেন আটকে আসে।
সিরাত হাসিমুখে তাদের কাছে এগিয়ে যায়। দুজনকে বরফের মাঝে আটকে রাখা হয়েছে। পাশাপাশি পুরো ঘরে এয়ার কুলার আর হিটার সেট করা।

একটা চেয়ারে পায়ের উপর পা তুলে বসে সিরাত। আজ তাকে চিনতে খানিকটা বেগ পেতে হয়েছে মাহতাবের। কারণ স্ত্রীকে এমন রূপে আগে কখনো সে দেখেনি। গায়ে একখানা কালো রঙের হুডি জড়ানো। চুলগুলো উঁচু করে বাঁধা। হাতে একটা ঘড়ি। আর পায়ে কালো রঙের জুতা। যেন সে মা*রামা*রি করার জন্য একদম প্রস্তুত হয়ে এসেছে।

“কী? অবাক হয়ে যাচ্ছ আমাকে দেখে? ভেবেছিলে আমাকে মে*রে মাটির নিচে রেখে আসবে। কিন্তু ভাগ্যের কি খেলা দেখো। আমি দিব্যি সুস্থ হয়ে তোমাদের সামনে বসে আছি। আর তোমরা বন্দী অবস্থায় ছটফট করছ আমার সামনে। মাত্র এক মাসের ব্যবধানে আমি তোমাদের জায়গায় চলে এসেছি। আর তোমরা আমার জায়গায় চলে এসেছ। ব্যাপারটা সুন্দর না?”
হাসিমুখে কথাগুলো বলে সিরাত দু’জনের মুখের বাঁধন খুলে দেয়। এতক্ষণে যেন দু’জন একটু স্বস্তির নিঃশ্বাস ছাড়তে সক্ষম হলো।

“তোমাদের জন্য এত সুন্দর ঠাণ্ডা একটা জায়গা কেন নির্ধারণ করেছি জানো? কারণ তোমাদের শরীরে অনেক তেজ। মা*থা সব সময় গরম হয়ে থাকে। এখন একটু ঠাণ্ডা হাওয়া দরকার তোমাদের। পায়ের নিচে বরফ থাকায় আমার পাচ্ছ না? দাঁড়াও, তোমাদের আরাম আরেকটু বাড়িয়ে দিচ্ছি।”
কথাটা বলে সিরাত মাওয়াকে ইশারা করে এসির পাওয়ার বাড়িয়ে দিতে। তাদের প্রত্যেকের গায়ে শীতবস্ত্র রয়েছে। কেবল মাহতাব আর তুরাগের শরীরে একটা প্যান্ট এবং টিশার্ট জড়ানো। ঠাণ্ডার মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় মাহতাব কাঁপতে কাঁপতে বলে,

“দয়া করে এসব বন্ধ করো। অনেক ঠাণ্ডা লাগছে। সহ্য করতে পারছি না আমরা।”
“এটা কোনো কথা হলো? এত অল্পতেই তোমাদের শরীরে তেজ সব গায়েব হয়ে হলো? কেমন পুরুষ মানুষ তোমরা হ্যা?”
সিরাতের কথায় অভি মুচকি হেসে বলে,

“আরে কা*পুরুষ বল। এদের পুরুষ বলে আমাদের পুরুষ জাতিকে অপমান করিস না।”
“হুম সেটাও ঠিক। আচ্ছা এদের দু’জনের সাথে কী কী করা যায় বল তো? একে তো এরা দু’জন মিলে আমার আর মাওয়ার জীবন নষ্ট করেছে। আমার মেয়েটা এদের জন্য অনেক কষ্ট পেয়েছে। আমার সবচেয়ে কাছের একজনের শরীর থেকে এরা র*ক্ত ঝরিয়েছে। বাকি রইলাম আমি। আমাকে যে কষ্ট এরা দিয়েছে এটা তো ম*রার আগ পর্যন্ত আমি ভুলব না। এত এত অন্যায়ের শাস্তি তো সেরকমই হওয়া উচিত তাই না?”
পাশ হতে তারিন আর উর্মি একত্রে বলে ওঠে,

“অবশ্যই।”
“আজকে যা যা হবে সেটাও কী লাইভে দেখাব?”
ইভান কিছু একটা ভেবে উত্তর দেয়,
“না, আজকের এসব লাইভে দেখানোর দরকার নেই। পরবর্তীতে থানা, পুলিশ হতে পারে। আজকে যা যা হবে তা শুধু আমাদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে।”

“আচ্ছা। তাহলে এক কাজ করি আমরা। উর্মি আর তামান্না ভিডিয়ো করবি। বাকিরা আমাকে সাহায্য করবি।”
সবাই সিরাতের কথায় সম্মতি দিলে সিরাত নাবিলকে উদ্দেশ্য করে বলে,
“নাবিল ব্যাগ থেকে ব্লে*ড আর লবণের প্যাকেট বের কর।”
ব্যাগ থেকে এসব বের করে সিরাতের হাতে দিলে সিরাত প্রথমে তুরাগের কাছে এগিয়ে যায়৷ তুরাগের মা*থার চুলগুলো মুষ্টিবদ্ধ করে একটু জোরে টান দিয়ে বলে,

“তোমার মা*থা তো সব সময় গরম থাকে তাই না? ঠাণ্ডা করার ব্যবস্থা করছি।”
কথাটা বলে আলতো হাতে তুরাগের মা*থার চুলগুলো কেটে ফেলে সিরাত। শেষে গিয়ে কয়েক জায়গায় ইচ্ছাকৃতভাবে কেটে ফেলে। ফলস্বরূপ মা*থার বিভিন্ন জায়গা থেকে র*ক্ত ঝরতে শুরু করে। এর মাঝে মুঠোভরতি লবণ নিয়ে সযত্নে তুরাগের সম্পূর্ণ মা*থায় লবণ মাখিয়ে দেয়। তীব্র যন্ত্রণায় ছটফট করতে শুরু করে তুরাগ। সিরাতের এমন রূপ দেখে আত্মা শুকিয়ে যায় মাহতাবের। ভয়ার্ত চোখে সে তার প্রাক্তন স্ত্রীর দিকে তাকালে সিরাত হেসে বলে,

“দীর্ঘ পাঁচ বছর একসাথে সংসার করেছি আমরা। তোমার মনে আছে? তোমার সিল্কি চুলগুলো আমার ভীষণ প্রিয় ছিল। চলো, এখন তোমাকে একটু ভালোবেসে কাছে টেনে নিই।”
মাহতাবের কাছে গিয়ে তার চুলে আলতো হাতে বিলি কেটে দেয় সিরাত। অন্য সময় হলে মাহতাব সময়টা উপভোগ করত। কিন্তু আজ তার ভয়ে গলা শুকিয়ে আসছে। সে কাঁপা কাঁপা কণ্ঠে বলে,

“সিরাত আমার সাথে এমন করো না। আমি আর কখনো তোমার কোনো ক্ষ*তি করব না। দয়া করে আমাকে ছেড়ে দাও। আর তোমাকে মা*রার পরিকল্পনা আমার ছিল না। এসব তুরাগের পরিকল্পনা ছিল।”
“আহারে আমার নিরীহ স্বামী! তুমি তো দুধে ধোয়া তুলশী পাতা। তুমি তো কোনো অন্যায় করতেই পারো না তাই না?”

কথাটা বলে মাহতাবের চুলগুলো খুব শক্ত করে আঁকড়ে ধরে সিরাত। ব্যথায় আহ্ শব্দ করে চোখ বন্ধ করে নেয় মাহতাব। সিরাত একইভাবে মাহতাবের চুলগুলো কেটে সম্পূর্ণ মা*থায় লবণ মাখিয়ে দেয়।
তামান্না কৌতুহলী কণ্ঠে জিজ্ঞেস করে,
“তুই কি ওদের জানে মা*রবি?”

“আরে না। ওদেরকে মা*রব কেন আমি? আমি কি খু*নি নাকি?”
“তাহলে কী করবি? আমাদের তো তুই আগে থেকে কিছুই জানালি না।”
ফারহানের প্রশ্নের কোনো উত্তর দেয় না সিরাত। কেবল মুচকি হেসে এগিয়ে যায় নাবিলের দিকে।
“এই ব্যাগে সবকিছু আছে তো?”

“হ্যা, তুই যা যা আনতে বলেছিলি সবকিছু এনেছি আমি।”
সিরাত পুনরায় মাহতাবের কাছে ফিরে যায়। হাসিমুখে বলে,
“আমি তোমাদের ছেড়ে দিব। তবে এমনভাবে ছাড়ব যেন আজীবন তোমরা আমাকে মনে রাখতে পারো।”
ঠোঁটের কোণে হাসি থাকলেও সিরাতের চোখে ভয়ং*কর রাগ খেলা করছে। ব্যাগ থেকে সার্জিক্যাল কিছু জিনিস বের করে সিরাত বাকিদের বলে,

“মেয়েরা বের হয়ে যা। আমার সাথে শুধু ইভান আর অভি থাকবে। নাবিল তুই ফারহানকে নিয়ে মেয়েদের সামলাবি।”
সিরাতের কথায় উর্মি অবাক হয়ে বলে,
“কী করতে চাইছিস তুই?”

“এখন কোনো প্রশ্ন করিস না। অভির হাতে তোর ফোন দিয়ে বের হয়ে যা।”
সবাই ভয়ে ভয়ে বের হয়ে যায়। ইভান সিরাতের পরবর্তী পরিকল্পনা বুঝতে পেরে জিজ্ঞেস করে,
“এটা বাড়াবাড়ি হয়ে যাবে না?”
“আর কোনো মেয়ের জীবন যেন নষ্ট না হয় তার জন্য এটুকু তো আমাকে করতেই হবে।”
ইভান আর কিছু বলে না। কিন্তু অভি জিজ্ঞেস করে,

“জানি তুই কী করতে চাইছিস। কিন্তু তুরাগ তো আগে থেকেই,”
অভিকে পুরো কথা শেষ করতে না দিয়ে সিরাত নিজেই বলে,
“আমি কেবল মাহতাবের সাথে এমনটা করব। তুরাগের সাথে নয়। ওর জন্য অন্য ব্যবস্থা করেছি আমি।”

কথাটা বলে চোখের ইশারায় ইভানকে মাহতাবের কাছে এগিয়ে যেতে বলে সিরাত। ইভান মাহতাবের কাছে গিয়ে পায়ের বাঁধন খুলে দিয়ে পাশের একটা জায়গায় শুইয়ে দেয়। এরপর পুনরায় পা বেঁধে দেয়। পরবর্তীতে মাহতাবের প্যান্ট খুলতে গেলে মাহতাব চিৎকার করে ওঠে। নিজের বিপদ বুঝতে পেরে কাঁদতে কাঁদতে বলে,
“সিরাত দয়া করে আমার সাথে এমন করো না। আমি তোমার স্বামী সিরাত। তোমার সন্তানের বাবা আমি। আমাকে মাফ করে দাও। দয়া করো আমার উপর।”

সিরাতের চোখের কোণ বেয়ে পানি গড়িয়ে পড়ে। তার বুকের ভেতর অসহনীয় যন্ত্রণা হচ্ছে। কিন্তু এটা যে তাকে করতেই হবে। অন্য সবকিছু বাদ, এই শাস্তিটা কেবল পর*কীয়ার জন্য।
একটু একটু করে মাহতাবের কাছে এগিয়ে যায় সিরাত। তার সম্পূর্ণ শরীর কাঁপছে। চোখ বন্ধ করে সে বলে,
“আমাকে আপনি মাফ করে দিন আল্লাহ।

এছাড়া আমার কাছে আর কোনো উপায় নেই। কারোর জীবন নেওয়ার অধিকার আমার নেই। কিন্তু এদের ছেড়ে দিলে সমাজের বাকি পুরুষেরা সাহস পেয়ে যাবে। মেয়েদের কষ্ট কখনো ফুরাবে না। যার জন্য পুরুষ মানুষ বহু নারীতে আসক্ত হয় সেটাই যদি না থাকে তাহলে তারা কীভাবে ঠকাবে তাদের স্ত্রীদের? আর শুধু পুরুষ নয়। কোনো মেয়েও যদি এমন করে তার সাথেও একই কাজ করা উচিত বলে আমি মনে করি।”

নিজ মনে কথাগুলো বলে মনে একরাশ সাহস সঞ্চার করে চোখ বন্ধ করে নিজের কাজ করে নেয় সিরাত। মাহতাবের চিৎকারে কেঁপে ওঠে সবাই। তুরাগ ভয়ে আৎকে ওঠে সিরাতের এমন কাজে। বাকিরা দৌড়ে ভেতরে এসে সিরাতের র*ক্তাক্ত হাত দেখে চমকে ওঠে। মেয়েরা লজ্জায় চোখ বন্ধ করে নেয়। মাহতাবকে গলা কা*টা মুরগির মতো ছটফট করতে দেখে সিরাত দূরে সরে যায়। কাঁদতে কাঁদতে মাটিতে বসে পড়ে সে। ইভান মাহতাবের শরীরের উপর একটা চাদর দিয়ে দেয়।

পরিবেশ একদম শান্ত। কেবল ক্ষণে ক্ষণে ভেসে আসছে মাহতাবের আর্তনাদের স্বর। সিরাত নিজেকে সামলে নিয়ে ইভানকে বলে,
“ওকে এখন এখান থেকে নিয়ে যা। অন্য ঘরে নিয়ে গিয়ে রাখ।”
“আচ্ছা।”

অনেকটা সময় অতিবাহিত হয়ে যাওয়ার পর এবার পালা আসে তুরাগের। তুরাগ সিরাতের দিকে তাকিয়ে একদম নিশ্চুপ হয়ে আছে। তার গলা দিয়ে আজ কোনো আওয়াজ বের হচ্ছে না। সিরাত মাওয়ার দিকে তাকিয়ে বলে,
“ওকে তুই নিজ হাতে শাস্তি দিবি।”
“আমি?”

“হুম, তুই শাস্তি দিবি ওকে।”
কথাটা বলে ব্যাগ থেকে একটা ইনজেকশন বের করে মাওয়ার হাতে তুলে দেয় সিরাত।
“কীসের ইনজেকশন এটা?”
“তুরাগ বাঁচবে। কিন্তু এমনভাবে বাঁচবে যেন আর কখনো কারোর ক্ষতি করতে না পারে।”
“মানে?”
“এই ইনজেকশন ওর শরীরে পুশ করার ফলে তুরাগ প্যারালাইজ্ড হয়ে যাবে।”
“হ্যা?”
“হুম। আর কিছু ভাবিস না। যা পুশ করে দে।”

মাওয়া ভয়ে ভয়ে তুরাগের কাছে এগিয়ে যায়। তার সামনে দাঁড়িয়ে বলে,
“জীবনে প্রথম তোমাকে ভালোবেসেছিলাম। কিন্তু তুমি আমার ভালোবাসার মর্যাদা দিতে পারোনি৷ এরপরেও তোমাকে বাঁচার একটা সুযোগ দিয়েছিলাম। কিন্তু তুমি কী করলে? নিজ হাতে নিজের বিপদ ডেকে আনলে। মাফ করে দিয়ো আমায়। তোমার জন্য এটুকু শাস্তি তো প্রাপ্য।”

লম্বা একটা শ্বাস ছেড়ে তুরাগের হাতে ইনজেকশন পুশ করে দেয় মাওয়া। তুরাগের চিৎকারে চোখ বন্ধ করে নিলে দু’ফোটা অশ্রু গড়িয়ে পড়ে মাওয়ার চোখ থেকে।
সিরাত নিজের র*ক্তাক্ত হাতের দিকে তাকিয়ে বলে,

“আমি ভালো থাকতে চেয়েছিলাম। খুব বেশি চাওয়া তো আমার ছিল না। সুখে, শান্তিতে স্বামী আর সন্তানকে নিয়ে বসবাস করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু তুমি এটা কী করলে মাহতাব? আমার সাথে যা করেছ সেসব মেনে নিয়েছিলাম। কিন্তু আমার মেয়েকে নিয়ে তুমি যে পরিকল্পনা করছিলে সেটা কিছুতেই মানতে পারতাম না আমি।

নিভৃতে তেজস্বিনী পর্ব ২৭

আমার কাছ থেকে তুমি আমার মেয়েকে কেঁড়ে নিতে চাইছিলে। হাসপাতালে থাকাকালীন তোমার পরিকল্পনার বিষয়ে সবকিছু জেনে গিয়েছিলাম আমি। তাই তোমাকে এমনি এমনি ছেড়ে দেওয়া আমার পক্ষে সম্ভব ছিল না। বাকিটা জীবন তুমি কষ্টে কাটাবে। তোমার পাপের ফল এটা!”
কিছু মুহূর্তের মধ্যে সবাই নীরব হয়ে যায়। নির্বাক দৃষ্টিতে চেয়ে থাকে মেঝের উপর পড়ে থাকা সিরাতের দিকে।

নিভৃতে তেজস্বিনী পর্ব ২৯